প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভা অনুষ্ঠিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিয়মিত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রাস্টি বোর্ডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নিয়মিত বৈঠকে স্মৃতি জাদুঘরের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি আগের সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়।
বৈঠকে উপ-কমিটির প্রতিবেদনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
‘বৈচিত্র্যময় জ্বালানি খাত সময়ের দাবি'
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী একটি বৈচিত্র্যময় জ্বালানি খাত গড়ে তোলার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমস্যা সমাধানের জন্য সৃজনশীল সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।’
মঙ্গলবার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আয়োজিত 'বৈচিত্র্যময় শক্তি, সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ' -শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা সেচ পাম্পে ডিজেলের পরিবর্তে সৌর শক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সৌর সেচ পাম্প চালু করতে পারি, তবে এটি অর্ধ মিলিয়ন মেট্রিক টন ডিজেল সাশ্রয় করতে পারে।’
সরকারের গ্যাস আমদানি নীতির পক্ষে ড. চৌধুরী বলেন, এটি বহুমুখী জ্বালানি-মিশ্রণ নীতির অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত যশোরের সবজির বাজার
তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক নয় যে দেশে গত ৫-১০ বছরে কোনো খনন হয়নি। বরং, গত পাঁচ বছরে ৩৫টি কূপ খনন করা হয়েছে, যার মানে বছরে গড়ে সাতটি কূপ খনন করা হয়েছে।’
সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসেকা আয়েশা খানম, বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সচিব মো. (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।
অনুষ্ঠানে ‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া পৃথক দুটি উপস্থাপনা করেন।
তার পক্ষে নসরুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট একটি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আজ অবধি চুক্তির সুবিধা পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি খাতে সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস দেখিয়ে তার (বঙ্গবন্ধুর) পথ অনুসরণ করতে হবে।
তিনি সকলকে ঐক্য ও ধৈর্যের মাধ্যমে জ্বালানি খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানান।
বেগম ওয়াসেকা আয়েশা খানম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত প্রযুক্তি ও মৌলিক গবেষণা কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
অন্যদিকে হাবিবুর রহমান বলেন, সরকার পরিবহন খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার উৎসাহিত করতে বৈদ্যুতিক যানবাহন নীতি প্রণয়ন করেছে। ‘নবায়নযোগ্য বিকল্প হিসেবে অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মডুলার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথাও ভাবা হচ্ছে।
নাজমুল আহসান বলেন, পেট্রোবাংলা আগামী কয়েক বছরে ৪৬টি কূপ খননের একটি পদক্ষেপ শুরু করেছে, ‘যার ফলে জাতীয় গ্রিডে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাবে’।
এবিএম আজাদ বলেন, বিপিসি একটি সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যা গভীর সমুদ্র থেকে চট্টগ্রামের জ্বালানি শোধনাগারে পেট্রোলিয়াম পরিবহনে বছরে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলক্ষেতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বঙ্গবন্ধু সৌভাগ্যবান যে তিনি বঙ্গমাতাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সৌভাগ্যবান, যে তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে তার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন। যিনি তাকে দেশের স্বাধীনতা ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য অপরিসীম শক্তি জুগিয়েছিলেন।
সোমবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাবার জন্য সৌভাগ্যের বিষয় যে, তিনি আমার মাকে তার পাশে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন।’
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ বিজেতার হাতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতু ন নেছা মুজিব পদক-২০২২ বিতরণ করেন।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি রোডের ৩২ নম্বর বাসভবনে তার বাবা-মাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করা হয়েছিল।
তাদের ছেলেকে (বঙ্গবন্ধু) ছোট বেলা থেকেই দেশের জন্য কাজ করার স্বাধীনতা দেয়ার জন্য তার দাদা এবং দাদীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তার দাদা-দাদি কখনোই তাদের ছেলের কাছে কিছু দাবি করেননি।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিন: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘আমার বাবার পক্ষে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রামে পুরোপুরি নিবেদিত হওয়া সহজ ছিল, কারণ তিনি তাঁর পাশে এমন অসাধারণ জীবনসঙ্গী ও পিতামাতা পেয়েছিলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, মায়ের মতো জীবনসঙ্গী না পেলে বঙ্গবন্ধুর জন্য দেশের জন্য কাজ করা এবং রাজনীতিতে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া খুবই কঠিন হতো।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘...যদি তিনি (বঙ্গমাতা) তার স্বামীকে বিভিন্ন দাবির জন্য সব সময় চাপ দিতেন, তাহলে আমার বাবার জন্য এটা (রাজনীতিতে মনোযোগ দেয়া) কঠিন কাজ হতো।’
তিনি বলেন, তার মা কখনোই তার স্বামীর কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মায়ের যে কোনও সমস্যাকে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার এবং কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার অস্বাভাবিক মানসিক শক্তি ছিল।
তিনি আরও বলেন, তার মা তাদেরকেও সেভাবেই বড় করেছেন এবং তার সন্তানদের সাহসের সঙ্গে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শিখিয়েছেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার মা যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার মা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, যে দেশ স্বাধীন হবে এবং আমার মায়ের এই প্রত্যয় আমার বাবার জন্য খুব সহায়ক ছিল।’
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক পেলেন ৫ বিশিষ্ট নারী
তিনি বলেন, তার মা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বস্ব দিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট, তিনি তার জন্য জীবন ভিক্ষা করেননি। বরং তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
শেখ হাসিনা দেশের নারীদেরকে বঙ্গমাতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে বলেন। যা আমাদের শিক্ষা দেয়, আকাঙ্ক্ষা ও ভোগ-বিলাসই কারও জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, আমি দেশের নারীদের ত্যাগের চেতনা ধারণ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানাব।
বঙ্গমাতার জীবন ও আত্মত্যাগের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে সৈয়দা জেবুন্নেসা হক বলেন, এই সম্মান পেয়ে তিনি গভীরভাবে আলোড়িত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সারাদেশের ২৫০০ অস্বচ্ছল নারীর মাঝে ২০০০ টাকা করে বিতরণ করেন।
এর মধ্যে ১৩ লাখ টাকা বন্যা কবলিত সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে দুস্থ মহিলাদের মধ্যে প্রায় চার হাজার ৫০০টি সুইং মেশিন বিতরণ করেন।
তিনি ‘শেখ ফজিলাতুন নেছা: আমার মা’- শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন।
শেখ হাসিনা রাজধানীতে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে একটি মহিলা হোস্টেলও খোলেন।
আরও পড়ুন: দলমত নির্বিশেষে আমি প্রতিটি নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক পেলেন ৫ বিশিষ্ট নারী
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সোমবার পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন-রাজনীতিতে সৈয়দা জেবুন্নেসা হক (সিলেট), অর্থনীতিতে সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ (কুমিল্লা), শিক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য নাসরীন আহমাদ, সমাজসেবায় আছিয়া আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গোপালগঞ্জ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশালতা বৈদ্য (মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার)।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা পুরস্কার তুলে দেন।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর মা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু সেনা সদস্যের নির্মম হামলায় তিনি বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে শাহাদাত বরণ করেন।
পড়ুন: বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক পাচ্ছেন ৫ নারী
বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিন: শেখ হাসিনা
পশ্চিমারা আমাদের বিপদে ফেলেছে: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী দেশের বর্তমান জ্বালানি সংকটের জন্য ‘পশ্চিমাদের’ দায়ী করেছেন।
রবিবার বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটি (বিইএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেকসই শক্তি নিরাপত্তা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রূপকল্প’- শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই সঙ্কট আমাদের নিজস্ব সৃষ্টি নয়। পশ্চিমারা আমাদের বিপদে ফেলেছে।’
বর্তমান পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশই দাম বাড়ায়নি, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশও দাম বাড়িয়েছে।
সেমিনারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি গ্যালন পেট্রোল পাঁচ ডলারে বিক্রি হচ্ছে, যা লিটার প্রতি ১২০-১৩০ টাকার সমান।
তিনি বলেন, সিস্টেমে যৌক্তিকতা আনতে বিদ্যুতের লোড বদলাতে থ্রি হুইলারের জন্য সোলার-চালিত ফাস্ট চার্জিং স্টেশন ও বৈদ্যুতিক ওভেনের মাধ্যমে রান্নার মতো নতুন উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা উচিত।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড.তামিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই পেট্রোলিয়ামের দাম গ্যালন প্রতি পাঁচ ডলার থেকে কমে তিন ডলারে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: গণপরিবহন বন্ধে দেশজুড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ
এক মার্কিন গ্যালন প্রায় চার লিটারের সমান।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার আগেই সরকারের উচিত ছিল দাম কমানো। কিন্তু তা করা হয়নি। এখন আবার বিদ্যুতের দাম একযোগে প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, ‘একটি সুনির্দিষ্ট নীতি থাকা উচিত, দাম কমলে লাভ একটি বিশেষ তহবিল হিসাবে সংরক্ষণ করা উচিত এবং মূল্য বৃদ্ধির সময় পেট্রোলিয়াম আমদানিতে সে তহবিল ব্যবহার করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, তেলের দাম শিগগিরই কমতে পারে, কারণ এটি সর্বদা চক্রাকারে ঘটে। যে দাম বৃদ্ধির পরে বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবার কমে যায়।
গ্যাস অনুসন্ধান এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাপেক্সের ওপর বেশি নির্ভরতা থাকা উচিত নয়। কারণ এটি গত ৫০ বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন বিদেশি কোম্পানিগুলোকে উপকূলীয় ও অফশোর অনুসন্ধানের জন্য চুক্তি প্রদান করা উচিত।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, ৭১ টিভির প্রধান মোজাম্মেল বাবু, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আলম, বিজনেস এক্সিকিউটিভ জাকারিয়া জালাল ও কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও বিইএস-এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
মোজাম্মেল বাবু বলেন, রান্নার জন্য ইন্ডাকশন ওভেনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা উচিত, কারণ এটি গ্যাস-ওভেনের তুলনায় বেশি কার্যকর।
তিনি বলেন, সরকারের ভিয়েতনামের মতো বৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অগ্রসর হওয়া উচিত। দেশটি ইতোমধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করেছে।
আজিজ খান বলেন, বিদেশি তেল কোম্পানিগুলো গ্যাস রপ্তানির বিকল্প না দেয়া পর্যন্ত গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে না।
তিনি বলেন, নীতিমালা পরিবর্তন হলে অনেক স্থানীয় কোম্পানি অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হতে পারে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: বাড়ছে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া
বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিন: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন। কেননা তিনি তার দৃঢ়তা, বুদ্ধিমত্তা ও দুরদর্শীতা দিয়ে অবিস্মরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন।
রবিবার ‘বঙ্গমাতা এ প্যারাগন অব ওমেন্স লিডারশিপ এন্ড ন্যাশন বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’- এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সেমিনারে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের প্রতি জনগণের আস্থা সরকারের সাফল্যের চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দরের সুবিধা নিতে পারে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, নেপাল বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুবিধা নিতে পারে।
নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারপারসন পবিত্র নিরুওলা খারেলের নেতৃত্বে সফররত নেপালের সংসদীয় প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলছে, যা প্রতিবেশি দেশগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
তিনি বলেন, তার সরকার নেপালসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেয়।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেপালের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রতিনিধি দলটি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও বাংলাদেশ সংসদ পরিদর্শন করায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
নেপালি প্রতিনিধি দল জোর দিয়ে বলেন, দুই দেশ বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, পর্যটন, শিক্ষা, আইসিটি, কানেক্টিভিটি ও মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের মতো খাতে তাদের সহযোগিতা আরও সুসংহত করতে পারে।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ-তুর্কিয়ে বিজনেস ফোরাম গঠিত
তারা অত্যন্ত সন্তুষ্টির সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে নেপাল ও বাংলাদেশ বিগত বছর ধরে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে।
তারা আরও বলেছেন, এই বছরটি উভয় দেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব বহন করে, কারণ দুই দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করছে।
তারা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফরের ওপর জোর দেন।
সফরকারী দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রশংসা করেন।
শুরুতেই নেপালের প্রতিনিধি দল তাদের জন্য চমৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
উভয় পক্ষের মধ্যে শুভেচ্ছা ও উপহার বিনিময় হয়।
বৈঠকে নেপালি প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে চাঁদতারা কুমারী এমপি, ডা. দীপক প্রকাশ ভাট এমপি, দেব প্রসাদ তিমলসেনা এমপি, লীলা দেবী সিতৌলা এমপি, নারদ মুনি রানা এমপি এবং সরলা কুমারী যাদব এমপি উপস্থিত ছিলেন।
সফরকারী দলটি শুক্রবার পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের
হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন এখনো চূড়ান্ত নয়: পররাষ্ট্র সচিব
শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অসামান্য অবদানের জন্য সাতটি বিভাগে ৯ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২২ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগ দেন।
শেখ হাসিনার পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রবীণ ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদ আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন এবং ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বিভাগে লিটন কুমার দাস (ক্রিকেট), আব্দুল্লাহ হেল বাকী (শ্যুটিং) ও মোল্লা সাবিরা সুলতানা (ভারোত্তোলন) পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও আমার সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন দিয়া সিদ্দিক (তীরন্দাজ) ও মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম (ক্রিকেট)।
ক্রীড়া সংগঠক বিভাগে সাইদুর রহমান প্যাটেল ও নাজমা শামীম, ক্রীড়া সাংবাদিকতা বিভাগে কাশীনাথ বশক, ক্রীড়া সংস্থা/ফেডারেশন/ক্রীড়া সংস্থা বিভাগে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও স্পোর্টস স্পন্সর বিভাগে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
প্রত্যকে পুরস্কারপ্রাপ্ত এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ পেয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত বছর এ পুরস্কার প্রবর্তন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ফখরুল
সরকারবিরোধী আন্দোলন কোনো চক্রান্ত হতে পারে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বুধবার বলেছেন যে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য একটি নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে এবং তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের চেনেন। আমি তাকে অনুরোধ করতে চাই... আপনি স্পষ্টভাবে তাদের নাম প্রকাশ করুন দয়া করে। জাতি জানতে চায় তারা কারা।’
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
সরকার পতনের যে কোনো আন্দোলন কোনো ষড়যন্ত্র নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে এবং প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে চাই যে আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শাসনকে সরিয়ে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে কোনো চক্রান্তের প্রশ্নই আসে না। আওয়ামী লীগই ২০০৮ সালে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে ২০০৮ সালে বিএনপিকে হারানোর ষড়যন্ত্র করেছিল এবং আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচন একইভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল... এমনকি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছিলেন যে রাতে ভোট হয়েছে এবং তারা নিজেরাই করেছে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বিএনপিপন্থী অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তারা আবারও আমাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাদের [ষড়যন্ত্রকারীদের] সবাইকে চিনি,’ তিনি বলেছিলেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে, অনেক সাংবাদিককে দমন ও হত্যা করেছে, অনেককে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়েছে এবং মিডিয়াকে আটকানোর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। ‘আওয়ামী লীগের জন্য এটা স্বাভাবিক কারণ এটা তাদের মৌলিক চরিত্র। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মানুষকে ধোঁকা দেয়াও দলের চরিত্র। এই দল যা বলে তার ঠিক উল্টোটা করে।’
৬৪ জেলার মধ্যে ৪০টিতে পুলিশ সুপার (এসপি) বদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনে নতুন করে রদবদলের মাধ্যমে যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগের সদস্য তাদের এসপি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমত্যে বিএনপি-গণফোরাম
১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও আমার সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কে কী করছে সে সম্পর্কে সব তথ্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমি তাদের (ষড়যন্ত্রকারীদের) সবাইকে চিনি।’
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনির্বাচিত বোর্ড সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের প্রতি জনগণের আস্থা সরকারের সাফল্যের চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের মিশনে বেরিয়েছিল। ‘এখন যেহেতু আগামী নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাই তারা অনেক তৎপর।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারকে উৎখাত করে ষড়যন্ত্রকারীরা কীভাবে লাভ করবে! তবে একটি জিনিস নিশ্চিত জনগণ ভুক্তভোগী হবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার কথা স্মরণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি তার শাসনামলে জাতীয় সম্পদ লুটপাট করেছে: প্রধানমন্ত্রী
আবেগ জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, খুনিরা এমনকি রাসেলকে (তার ১০ বছর বয়সী ভাই) পর্যন্ত রেহাই দেয়নি।
শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ওই সময় বিদেশে থাকায় হত্যাকাণ্ড থেকে রক্ষা পান।