প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় গর্ব: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পদ্মা সেতুকে জাতীয় গর্বের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাওয়া বহুমুখী পদ্মা সেতুর মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
বুধবার তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন,পদ্মা সেতু নির্মাণে আমরা মান নিয়ে কোনো আপোস করিনি। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সম্পন্ন হয়েছে।
সেতু ইস্যুতে সরকারের কিছু সমালোচকের মন্তব্যের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি পদ্মা সেতুর মান নিয়ে কেউ কোনো সমালোচনা করতে পারবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পর সাহসী পদক্ষেপে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের দীর্ঘতম সেতু
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তাদের (বিশ্বব্যাংক) ধন্যবাদ জানাই। ওই ঘটনা ঘটার কারণেই আমরা সাহসের সঙ্গে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি; আজ বাংলাদেশ তার মর্যাদা ফিরে পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
জনগণের নিরাপত্তার শেষ অবলম্বন হিসেবে আস্থা অর্জন করুন, পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী
জীবন ও মর্যাদার সুরক্ষার জন্য পুলিশের কাছে আসা মানুষের শেষ অবলম্বন হিসেবে বাহিনীটিকে গড়ে উঠতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পুলিশকেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে যাতে জনগণ তাদের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় এই বাহিনীকেই তাদের শেষ অবলম্বন বলে মনে করে। জনগণ তাদের আশ্রয় পেতে পারে।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর দুই পাশে নবনির্মিত দুটি থানাসহ-পদ্মা সেতু উত্তর থানা ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা- বাংলাদেশ পুলিশের পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উভয় পাশে ২ থানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশকে বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি ও অপরাধের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মাদকের অপব্যবহার, সাইবার অপরাধ, অর্থপাচার, গুজব ছড়ানো, মানব পাচার এবং জনগণ ও দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সমাজে এ ধরনের অপরাধ রোধে বিশেষ নজর দিতে বলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আপনাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।’
সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা রোধে পুলিশ চমৎকার ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশে শান্তি চাই। যদি একটি শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করে, আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হব।’
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি দেশে খাদ্য স্বনির্ভরতা অর্জন ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা ঠেকাতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তার কিছু নেই, বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন করবে সরকার: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ও মূল্যস্ফীতির হার সারা বিশ্বে বাড়ছে এবং তা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
উদ্বোধন করা অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ১২টি নবনির্মিত জেলা পর্যায়ের পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ছয়টি নারী ব্যারাক, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য অনলাইন জিডি (সাধারণ ডায়েরি) কার্যক্রম এবং গৃহহীন পরিবারের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি ঘর বিতরণ।
৬৪ জেলায় নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক ব্যারাক নির্মাণের সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই ছয়টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।
নবনির্মিত ১২০টি ঘরসহ পুলিশ এখন পর্যন্ত গৃহহীন পরিবারের জন্য মোট ৫২০টি ঘর সরবরাহ করেছে।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জের পদ্মা সেতু উত্তর থানা, খুলনার কেএমপি নারী ব্যারাক, ময়মনসিংহ পুলিশ হাসপাতাল ও পিরোজপুর পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ সদস্য ও সুবিধাভোগীসহ অন্য অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
পদ্মা সেতুর উভয় পাশে ২ থানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর দুই পাশে নবনির্মিত দুটি থানাসহ-পদ্মা সেতু উত্তর থানা ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা- বাংলাদেশ পুলিশের পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
বহুমুখী রেল-সড়ক সেতু ও এর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আশপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দেশের দীর্ঘতম ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে দুটি আধুনিক থানা নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে মৎসখাতে সোনালি সম্ভাবনার হাতছানি
উদ্বোধন করা অন্য তিনটি প্রকল্প হলো- ১২টি নবনির্মিত জেলা পর্যায়ের পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ছয়টি নারী ব্যারাক, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য অনলাইন জিডি (সাধারণ ডায়েরি) কার্যক্রম এবং গৃহহীন পরিবারের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি ঘর বিতরণ।
৬৪ জেলায় নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক ব্যারাক নির্মাণের সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই ছয়টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।
নবনির্মিত ১২০টি ঘরসহ পুলিশ এখন পর্যন্ত গৃহহীন পরিবারের জন্য মোট ৫২০টি ঘর সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতু এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত: ইইউ রাষ্ট্রদূত
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জের পদ্মা সেতু উত্তর থানা, খুলনার কেএমপি নারী ব্যারাক, ময়মনসিংহ পুলিশ হাসপাতাল ও পিরোজপুর পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ সদস্য ও সুবিধাভোগীসহ অন্য অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
শাহজালাল ও শাহপরানের মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও তৎসংলগ্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে শেখ হাসিনা প্রথমে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
সেখানে তিনি কোরআন তেলাওয়াত, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করে কিছু সময় কাটান।
পরে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
সেখানেও তিনি একই প্রার্থণা করেছেন।
আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তার কিছু নেই, বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন করবে সরকার: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
দুশ্চিন্তার কিছু নেই, বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন করবে সরকার: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য ও ওষুধসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে জনগণকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে আরও বন্যার আশঙ্কা থাকায় যেকোনো সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সিলেট সার্কিট হাউসে জনপ্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া ত্রাণ নিতে গিয়ে আহত একজনের মৃত্যু
শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, তার সরকার সমগ্র সিলেট অঞ্চলের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিয়েছে।
সিলেট অঞ্চলে টানা তৃতীয়বারের মতো বন্যা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথভাবে কাজ করছে।
চলমান বন্যাকে নতুন কিছু নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
হেলিকপ্টার থেকে ‘লো-ফ্লাই মুডে’ মঙ্গলবার সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও তৎসংলগ্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি লো-ফ্লাই মুড বা নিচু হয়ে উড়েছিল। এতে তিনি দুর্গত এলাকা প্রত্যক্ষ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সিলেট সার্কিট হাউসে যান। যেখানে বিভাগীয়, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এর আগে, বন্যার পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা সমুদ্রে পরিণত হওয়ায় বিশেষ করে সিলেটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার্তদের সরিয়ে নিতে এবং অসহায় মানুষকে সহায়তার জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায়, একইসাথে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ইউনিটগুলোকে ডাকা হয়েছে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ১৫ থেকে ১৮ জুন বন্যাকবলিত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ ২২.৫ মিলিয়ন টাকা, ৪০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দিয়েছে।
পড়ুন: সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
বন্যায় দুর্ভোগ কমাতে সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
চলমান বন্যার প্রকোপ মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এবার (বন্যার) প্রকোপ কিছুটা তীব্র। এটি কিছু সময়ের জন্য থাকতে পারে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারে।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবনের কার্যালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো দেখা করতে গেলে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার সব কিছু করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্রকৃতির সঙ্গেই বাঁচতে হবে। বন্যা দুর্গতদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকে জাপান উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে আসছে।
দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, এটা দীর্ঘদিন ধরে সেনানিবাসে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারা (সামরিক শাসকরা) শাসন করেছে। সেখান থেকে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি।
তিনি বলেন, দেশে গণমাধ্যম স্বাধীন। বাংলাদেশে ৩৩টি টিভি চ্যানেল চালু আছে।
তিনি বলেন, ‘এর আগে শুধু রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ টেলিভিশনই কাজ করত।’
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের ৪ জুলাই তিনি প্রথম সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত কাজটি এগোয়নি।
কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত থাকায় তার সরকার কক্সবাজারকে পর্যটনের জন্য উন্নত করতে চায় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি এই বছরের নভেম্বরের কোনো সময় জাপানে সফর করেন তাহলে তারা খুশি হবেন।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি
আগামী বছর থেকে জাপানি কোম্পানি আড়াইহাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ শুরু করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত প্রত্যাবাসন চায়।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার উন্নত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।
এ সময় মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
‘পদ্মা সেতু সৌদি কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের চোখ খুলে দেবে’
ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত সোমবার বলেছেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে পদ্মা সেতু সৌদি কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের চোখ খুলে দিতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান সাংবাদিকদের বলেন, `পদ্মা সেতু নির্মাণে স্ব-অর্থায়নের বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করি।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অর্জন যা জনগণের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছে।
বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মেগা প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ঐতিহাসিক দিনটি সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার তথা বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু প্রকৃত গেম চেঞ্জার: রাশিয়া
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত দুহাইলান বলেন, সৌদি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে দেখছে এবং এ লক্ষ্যে শিগগিরই কিছু দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একটি অনন্য প্রকল্প এবং এটি বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে চিন্তা করতে এবং আরও অবকাঠামো গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এটি বাংলাদেশকে উচ্চ অবস্থানে নিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সার্বিক নিরাপত্তা পরিবেশের প্রশংসা করেন যা তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই অনুকূল বলে মন্তব্য করেছেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার প্রমাণ করেছেন যে তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তার দূরদর্শী ভাবনা দেশের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
রাষ্ট্রদূত দুহাইলান বলেন, দেশের অর্থনীতিকে ট্র্যাকে রাখার জন্য তার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অসাধারণ।
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে কোনো উৎসব করছে না সরকার: তথ্যমন্ত্রী
শত বিপত্তি পেরিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা চীনের
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মমতাকে পাঠানো হলো ১ টন হাড়িভাঙ্গা আম
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা উপহার হিসাবে এক টন হাড়িভাঙ্গা আম পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গেট দিয়ে এক টন হাড়িভাঙ্গা আম (২০০ কার্টুন) হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাভারন সার্কেল পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদারসহ স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন: ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আম পাঠালেন শেখ হাসিনা
ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ডিআইজি সুকেশ জেল, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার শেখ মারেফাত তরিকুল ইসলাম, প্রটোকল অ্যাসিস্ট্যান্ট আজিজুল আলম ও মি. এস কে ইমাদ।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার শেখ মারেফাত তরিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কের যে সোনালী অধ্যায় পার হচ্ছে তারই অংশ হিসাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা উপহার হাড়িভাঙ্গা আম পাঠিয়েছেন। এর মাধ্যমে দু’দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমরা আশা করি।
তিনি আরও বলেন, এ শুভেচ্ছা উপহারে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: পিএমও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
পিএমও প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ১১টায় তার কার্যালয়ে (পিএমও) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে দেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি এবং ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের বন্যার ভয়াবহতা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী