প্রধানমন্ত্রী
দপ্তর পেলেন প্রধানমন্ত্রীর ৬ উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ছয়জনের নাম ঘোষণা করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) উপদেষ্টাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার খুঁজুন: ডিআইটিএফ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
উপদেষ্টারা হলেন- অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ সালমান এফ রহমান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
আরও পড়ুন: আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা (বিনা বেতনে) হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস ইউএনবিকে জানান, রবিবার (২১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকীর সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এরপর ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পদত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর আরও ছয়জন উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনার ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠনের দিন তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
কামাল আবদুল নাসের ছাড়া বাকি পাঁচজনও তার আগের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর পূর্বাচলে রবিবার (২১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের ২৮তম মেলায় বিদেশি ৬টি দেশের (তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইরান) পাশাপাশি দেশীয় কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।
এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান উপস্থিত ছিলেন।
মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু রবিবার
ডিআইটিএফ সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কারণে মেলা স্থগিত করে ইপিবি।
বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
মেলায় এবার প্রবেশমূল্য বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইপিবি। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এ বছর প্রবেশ টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা ও শিশুদের (১২ বছরের নিচে) জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনলাইনেও টিকিট কেনা যাবে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বছর মেলায় দেশি-বিদেশি ৩৫১টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকবে।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি খাবারের স্টল থাকবে, যেখানে ৫০০ জন বসতে পারবেন।
এছাড়াও রয়েছে একটি প্রার্থনা কক্ষ, শিশুদের খেলার জায়গা, মিডিয়া কর্নার, অফিস কক্ষ, মেডিকেল কক্ষ, কর্মকর্তাদের জন্য অতিথি কক্ষ ও বিপণিবিতান।
পার্কিং এলাকায় ৫০০টি যানবাহন রাখার সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় ইইউ: প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
প্রধানমন্ত্রীকে আরও আটটি দেশের অভিনন্দন
টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আরও আটটি দেশের নেতারা।
দেশগুলো হলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, মিসর, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ব্রাজিল।
তাদের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন বলে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এক অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের পর আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
ওই বার্তায় তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের ভিত্তিতে আমাদের দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আপনার নতুন মেয়াদে আরও গভীর ও জোরদার হবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এক শুভেচ্ছা বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আপনার উল্লেখযোগ্যভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন এবং বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম সাফল্যের গল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে মার্কিন বিশ্লেষক যা বললেন
তিনি আরও বলেন, 'আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনারা বাংলাদেশকে ২০৪১-এ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব দেবেন।’
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে মূল্য দেয়।
তিনি বলেন, 'আমাদের অভিন্নতা ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আমাদের জনগণকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করেছে।’
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এক শুভেচ্ছা বার্তায় সাধারণ নির্বাচনে নতুন মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পুনঃনির্বাচিত হওয়া দেশের জন্য আরও অগ্রগতি অর্জনে আপনার যোগ্য নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন।’
আরও পড়ুন: কোনো রকম দুর্নীতি মেনে নেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আবদেল ফাত্তাহ বলেন, মিসর ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দু'দেশের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে আগামী বছরগুলোতে দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণ অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা চার মেয়াদে যে নেতৃত্ব দেখিয়েছেন তার জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি বন্ধুপ্রতিম জাতির ভাগ্য নির্ধারণে তার পঞ্চম মেয়াদের সাফল্য কামনা করেন।
শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সবসময় ব্রাজিলের অবিচল অংশীদার থাকবে বলে আশ্বাস দেন লুলা দা সিলভা। একই সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধন আরও জোরদার করতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে নেই আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
পৃথক চিঠিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, লুক্সেমবার্গের উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী, সহযোগিতা ও মানবিক পদক্ষেপমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে আবার সরকার সগঠন করায় শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে টনি ব্লেয়ারের অভিনন্দন
টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) শেখ হাসিনাকে পাঠানো অভিনন্দন চিঠিতে তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়নই নির্বাচনের ফলাফলে আপনার নেতৃত্ব ও নিষ্ঠা প্রতিফলিত হয়েছে।’
বর্তমানে টনি ব্লেয়ার ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের নেতৃত্বে থাকা টনি ব্লেয়ার বলেন, বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প বহুমুখী; যা শক্তিশালী রপ্তানি খাত, সমৃদ্ধ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থান এবং তরুণ ও শিক্ষিত জনশক্তির গতিশীলতা দ্বারা চালিত।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
তিনি বলেন, ‘নিম্ন-আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশের রূপান্তরমূলক যাত্রা জনগণের কল্যাণে আপনার অঙ্গীকারের সাক্ষ্য হিসেবে প্রতীয়মান।’
তিনি আশা করেন, ‘আপনার পরবর্তী মেয়াদ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আমি আত্মবিশ্বাসী- বাংলাদেশ উন্নতি অব্যাহত রাখবে, নতুন মাইলফলক অর্জন করবে এবং সুশাসনের জন্য বৈশ্বিক মানদণ্ড স্থাপন করবে।’
ব্লেয়ার বলেন, তিনি বাংলাদেশের জনগণের জন্য রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা ও তার প্রশাসনকে সমর্থন করতে আগ্রহী।
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি শেখ হাসিনার সাফল্য কামনা করেন এবং আবারও তার সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন।
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
৭ জানুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের বিজয় এবং গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতার বিজয়।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থবার বিজয়ে অভিনন্দন জানাতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শতাধিক প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, তার সরকার এই মাসের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটি অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ সবাইকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রতীক নৌকা দিয়েছি এবং আগ্রহী দলের অন্যদের নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছি।’
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন করেন, তারা কীভাবে নির্বাচনে আসবে।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি তাদের ২০ দলীয় জোট নিয়ে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং আওয়ামী লীগ একাই ২৩৩টি আসন পেয়েছিল।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভেবেছিলেন সাংগঠনিক শক্তি বিবেচনায় বিএনপি আওয়ামী লীগের সমান। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে তা ভুল প্রমাণিত হয়।’
আরও পড়ুন: রমজানে আগাম পণ্য ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কখনই নির্বাচন চায়নি। তারা নির্বাচন নষ্ট করতে অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে, ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যতই অগ্নিসংযোগ করবে, ততই জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। তারা জানে যে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কারণেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না।
তিনি বলেন, ‘বরং তারা নির্বাচন নষ্ট করতে চেয়েছিল এবং ক্ষমতায় আসার জন্য অবৈধ উপায় খুঁজছিল।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী ২১ জানুয়ারি ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানালেন জয়শঙ্কর
তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানী থেকে ১৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার পূর্বে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি। বাণিজ্য মেলা সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে মেলা পিছিয়ে দেয় ইপিবি।
আরও পড়ুন: শীতে দরিদ্রদের দুর্ভোগ কমাতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি
মেলায় ২৩টি প্যাভিলিয়ন ও ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়নসহ মোট ৩৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি ফুড স্টল। যথারীতি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বৈঠকে তাকে অভিনন্দন জানানো হয়।
বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
তিনি আরও বলেন, এ সময় মন্ত্রীদের কিছু নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
তিনি বলেন, বিশেষ করে আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রমজানে আগাম পণ্য ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে জনগণ যাতে সমস্যায় না পড়ে সেজন্য সরকার আগাম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, 'রমজান মাসে যা যা প্রয়োজন তা আগে থেকেই কেনার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রমজানে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য কিনতে পারবে এবং খোলা বাজার বিক্রির (ওএমএস) চাল কিনতে পারবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘জনগণ যাতে পণ্য কিনতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করব। মুদ্রাস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। ‘হ্যাঁ, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, তবে আমরা এটি অনেকটা কমিয়ে এনেছি। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে দাম বাড়ায়।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে এটা সত্য যে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এছাড়া জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকার খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দল সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি। এই বিশ্বাসকে সম্মান করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: শিখা অনির্বাণে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন, বিশ্বাস ও আস্থা এই নির্বাচনে ব্যাপকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। একজন সাধারণ গ্রামবাসী আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, অন্য কারো ওপর তাদের আস্থা ও বিশ্বাস নেই।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে। দরিদ্র, কৃষক, দিনমজুর ও রিকশাচালকদের মতো সাধারণ মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করা যায় এবং জীবনযাত্রার উন্নতি করা যায় তা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, চলমান উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং ত্বরান্বিত করতে হবে।
দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
সরকারি ক্রয়সহ কোনো খাতে যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আমি কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করব না।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ বার্তা দেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব ব্যয়, সরকারি ক্রয় ও স্বচ্ছতার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আমি এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করবো না।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি কোনো দেশের জন্যই ভালো নয়।
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
তিনি বলেন, 'আমাদের যে সম্পদ আছে তা আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করব। আমরা আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে এগিয়ে যাব।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত, কিন্তু জনসংখ্যা বিশাল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঠিক মানুষ যেন বার্ধক্য ও সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পায় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি হলেও পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, 'তাহলেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ প্রবৃদ্ধির সুফল পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাকি সবই ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আমাদের তা আরও কমাতে হবে।’
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়লে কৃষকরা খুশি হয়। ‘কিন্তু ভোক্তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদের ওপর চাপ রয়েছে। এটি ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, কীভাবে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় সে সম্পর্কে আমাদের খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি জনগণের অর্থের অপচয় রোধ, এমনকি যেকোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা মূল্য নির্ধারণকারীদের কঠোর নজরদারিতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
এ প্রসঙ্গে তিনি আসন্ন রমজানের কথা উল্লেখ করে বলেন, সীমিত সংখ্যক গোষ্ঠী খাদ্যপণ্য আমদানি করে।
তিনি বলেন, ‘তারাও সবসময় এখানে একটা ম্যাচ খেলতে চায়। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব প্রস্তুতি নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যেসব পণ্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেগুলো সহনীয় মূল্যে রাখতে হবে। সেগুলো নিয়মিত বাজারে যাতে পাওয়া যায়, তাই সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়ানের অভিনন্দন
‘এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে এবং নতুন বাজার খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা