প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২য় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দেশের প্রথম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ও শেষ ইউনিটের চুল্লি (রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল) স্থাপনের উদ্বোধন করেছেন।
রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেলটি দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটে স্থাপন করা হয়।
পাবনার উত্তরাঞ্চলের ঈশ্বরদীতে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
ঈশ্বরদীর রূপপুরে এক হাজার ২৬০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট রয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল স্থাপন উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পের রুশ ঠিকাদার রোসাটম জানায়, ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাকটর ভেসেলটি বুধবার স্থাপনের আগে সকল নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ইনপুট নিয়ন্ত্রণ পাস করেছে।
রোসাটমের কর্মকর্তারা জানান, নকশা পর্যায়ে দ্বিতীয় পাওয়ার ইউনিটের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাকটর ভেসেল স্থাপনের কাজটি বেশ কয়েকটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়।
একটি লিয়েবয়ার-১১৩৫০ ভারী ক্রলার ক্রেন রিঅ্যাকটর ভেসেলটিকে পাওয়ার ইউনিটের পরিবহন পোর্টালে তুলেছে।
এরপর একটি বিশেষ পরিবহন ট্রলিতে এটিকে চুল্লির বগির কেন্দ্রীয় হলে সরানো হয়। আরও একটি পোলার ক্রেনের সাহায্যে চুল্লি সিলিন্ডারটিকে খাড়াভাবে তোলা হয় এবং রিঅ্যাকটর গহ্বরের একটি রিংয়ে স্থাপন করা হয়।
আরএনপিপির কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ভৌত কাজের ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে এবং দ্বিতীয় ইউনিটে রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্পটির মোট ৫৩ শতাংশ ভৌত কাজ সম্পন্ন হবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শওকত আকবর মঙ্গলবার ইউএনবিকে বলেন, ‘রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের সঙ্গে প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের ভৌত কাজ লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ শতাংশের বেশি অর্জিত হবে।’
সরকার ২০০৯ সালে প্রকল্পটি হাতে নেয় এবং দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে ১১ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি ক্রেডিট চুক্তি সই করে যাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা-রোসাটমকে এর ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।
এছাড়াও ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশ প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে একটি পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি সই করে।
চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা টিভেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো জীবনকালের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিটি ইউনিটকে প্রতি ১৮ মাস পর পর মোট প্রয়োজনীয় পারমাণবিক জ্বালানির এক তৃতীয়াংশ পুনরায় লোড করতে হবে এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুনরায় লোড বিনামূল্যে রাশিয়ান ফার্ম প্রদান করবে।
প্রতিটি পারমাণবিক জ্বালানি পুনরায় লোড করতে খরচ হবে ছয় কোটি ২০ লাখ ডলার, যা ৫৫০ কোটি টাকার সমান।
ড. শওকত আকবর বলেন, দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপনের পর যে বড় কাজগুলো অসমাপ্ত থাকবে তার মধ্যে রয়েছে প্রি-অপারেশনাল টেস্টিং ও ফুয়েল লোডিং।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি চালু করার আগে আরও কিছু কাজ শেষ করতে হবে। ‘আমরা আশা করছি আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই কাজগুলো শেষ করব।’
তিনি বলেন, ‘পাওয়ার গ্রিড লাইন নির্মাণ এবং যোগাযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে যা রয়েছে তা আগামী ২০২৪ সালের মাঝামাঝি আগে সম্পন্ন করতে হবে।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তির জন্য একটি নিবেদিত কোম্পানি নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। এর (এনপিসিবিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেছেন, ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ২০২২ এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৩ থেকে শুরু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং তারপর লক্ষ্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এনবিসিবিএল-এর কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া এবং বেলারুশসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ থেকে প্রায় ১৪ হাজার বিদেশি কর্মী এখন বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য ঠিকাদার এবং এর সাব-কন্ট্রাক্টরদের অধীনে এই প্রকল্পে নিযুক্ত রয়েছে।
রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি বসছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপন (রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল) হবে বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই কর্মসূচির কথা জানান।
তারা বলছেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ভৌত কাজের ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে এবং দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপন করার মধ্য দিয়ে প্রকল্পের মোট ভৌত কাজের ৫৩ শতাংশ সম্পন্ন হবে।
পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে দু’টি ইউনিট থাকবে। যার প্রতিটিতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকবে।
রাশিয়ার রোসাটম স্টেট করপোরেশনের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এই অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে ঢাকা আসছেন এবং প্রধানমন্ত্রী ঢাকার তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
গত বছরের অক্টোবরে প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের বৃহত্তম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. শওকত আকবর ইউএনবিকে বলেছেন, ‘চুল্লি স্থাপনের সঙ্গে প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের ভৌত কাজের লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ শতাংশেরও বেশি সম্পন্ন হবে।’
সরকার ২০০৯ সালে প্রকল্পটি হাতে নেয় এবং দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে ১১ দশমিক ৩৮৫ বিলিয়ন ডলারের একটি ক্রেডিট চুক্তি সই করে যাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা- রোসাটমকে এর ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।
এছাড়াও ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশ প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে একটি পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি সই করে।
চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা টিভেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো জীবনকালের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করবে।
বিদ্যুতকেন্দ্রের প্রতিটি ইউনিটকে প্রতি ১৮ মাস পর পর মোট প্রয়োজনীয় পারমাণবিক জ্বালানির এক তৃতীয়াংশ পুনরায় লোড করতে হবে এবং প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুনরায় লোড বিনামূল্যে রাশিয়ান ফার্ম প্রদান করবে।
প্রতিটি পারমাণবিক জ্বালানি পুনরায় লোড করতে খরচ হবে ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ৫৫০ কোটি টাকার সমান।
ড. শওকত আকবর বলেন, দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপনের পর যে বড় কাজগুলো অসমাপ্ত থাকবে তার মধ্যে রয়েছে প্রি-অপারেশনাল টেস্টিং এবং ফুয়েল লোডিং।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি চালু করার আগে আরও কিছু কাজ শেষ করতে হবে। ‘আমরা আশা করছি আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই কাজগুলো শেষ করব।’
তিনি বলেন, ‘পাওয়ার গ্রিড লাইন নির্মাণ এবং যোগাযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে যা রয়েছে তা আগামী ২০২৪ সালের মাঝামাঝি আগে সম্পন্ন করতে হবে।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তির জন্য একটি নিবেদিত কোম্পানি নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। এর (এনপিসিবিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেছেন, ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ২০২২ এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৩ থেকে শুরু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং তারপর লক্ষ্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এনবিসিবিএল-এর কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া এবং বেলারুশসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ থেকে প্রায় ১৪ হাজার বিদেশি কর্মী এখন বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য ঠিকাদার এবং এর সাব-কন্ট্রাক্টরদের অধীনে এই প্রকল্পে নিযুক্ত রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সময়মতো প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু এই প্রকল্পের রাশিয়ান ঠিকাদার রোসাটম এ বছরের ১ মার্চ একটি বিবৃতিতে এই ধরনের অনিশ্চয়তা উড়িয়ে দিয়ে বলেছে যে সময়মত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে কোন ব্যাঘাত হবে না।
রোসাটম বলেছে, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি এবং কাজের সময়সূচিগুলোর মধ্যে কোন বাধার পূর্বাভাস দেয়া হয়নি।’
যদিও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বর্তমান যুদ্ধ সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু পশ্চিমা দেশ কর্তৃক রাশিয়ার ওপর আরোপিত আর্থিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষিতে রোসাটম এটি স্পষ্ট করেছে।
রোসাটমের কর্মকর্তারা দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপনকে একটি বিশেষ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তারা বলেন, নকশা অবস্থানে দ্বিতীয় পাওয়ার ইউনিটের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করার কার্যক্রমটি বেশ কয়েকটি ধাপে পরিচালিত হয়েছিল।
একটি লিয়েবয়ার-১১৩৫০ ভারী ক্রলার ক্রেন চুল্লি সিলিন্ডারটিকে পাওয়ার ইউনিটের পরিবহন পোর্টালে তুলেছে।
এরপর একটি বিশেষ পরিবহন ট্রলিতে এটিকে চুল্লির বগির কেন্দ্রীয় হলে সরানো হয়েছিল। আরও একটি পোলার ক্রেনের সাহায্যে চুল্লি সিলিন্ডারটিকে একটি খাড়াভাবে তোলা হয়েছিল এবং চুল্লির যন্ত্রে একটি সাহায্যকারী ফ্রেমে স্থাপন করা হয়েছিল।
রোসাটম জানিয়েছে, এইএম প্রযুক্তিতে নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি সিলিন্ডারটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন।
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকদের গণতন্ত্র নিয়ে বক্তব্যের অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারে বাধা দেয়ার জন্য বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা জাতির জন্য পরিহাসের বিষয় যে খুনিদের পৃষ্ঠপোষকরা এখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আজ তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র, ভোট ও মানবাধিকারের কথা শুনতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, একই মানুষগুলো খুনি, খুনিদের পৃষ্ঠপোষক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ রাসেল দিবস (২০২২) ও শেখ রাসেল পদক (২০২২) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগদানকালে ভাষণ দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মঙ্গলবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাসেল ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডিতে মাত্র ১০ বছর বয়সে শহীদ হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন না করা পর্যন্ত তাকে ও তার বোন শেখ রেহানাকে তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার চাইতে দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: জাপান দূতাবাসে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপিত
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ কেন আমরা মানবতা, মানবাধিকার বিষয়ের মতো এত শব্দ শুনি? আমার এই প্রশ্নের উত্তর কি কেউ দিতে পারবেন যে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমি যখন সরকার গঠন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছি শুধু তখনই খুনিদের বিচার হবে?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছেন- জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ ও খালেদা জিয়া, তারাই নৃশংস খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও পুরস্কৃত করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞানে সজ্জিত করার সরকারি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে পাঁচ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও ৩০০ শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার (৩০০টি সংসদীয় আসনের প্রতিটিতে একটি করে স্কুল) উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাসেলের শৈশবকে তুলে ধরে ‘দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল’ নামের একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে নোবেল শান্তি বিজয়ী ও বিখ্যাত শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থীর একটি ভিডিও বার্তা, একটি অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ এর ট্রেলার, শেখ রাসেলের ওপর একটি ভিডিও তথ্যচিত্র এবং শেখ রাসেল দিবস (২০২২) উপলক্ষে একটি থিম সং পরিবেশিত হয়। আইসিটি বিভাগ অ্যানিমেটেড সিনেমা, তথ্যচিত্র ও থিম সং তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহ এবং শিশু বক্তা আফসা জাফর সৃজিতসহ আরও অনেকে।
শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
গত বছর সরকার জাতীয়ভাবে দিবসটি পালনের জন্য ‘ক’ ক্যাটাগরিতে ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মবার্ষিকীতে মঙ্গলবার গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার ছোট ভাইয়ের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বনানী কবরস্থানে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। ঘাতকরা ১০ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও সেদিন রেহাই দেয়নি।
তার দুই মেয়ে হাসিনা ও রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোনকে নিয়ে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে যান।
পড়ুন: শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
দুজনেই সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রীর মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তাদের পরিবারের অন্যান্য শহীদদের কবরে পাপড়ি ছড়িয়ে দেন।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আজ দেশে যথাযথভাবে ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে।
শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকার ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
সরকার ২০২১ সালে ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
পড়ুন: ১৮ অক্টোবর পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’
শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও পরম মমতায় স্মরণ করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তারা।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো রাসেলও ছিলেন সহজ-সরল ও অত্যন্ত বিনয়ী। অন্য শিশুদের সঙ্গে নিজের জামা-কাপড় ও খেলনা ভাগাভাগি করা ও মানুষের উপকার করার চেষ্টা ছোটবেলা থেকেই শেখ রাসেলের মাঝে দেখা গেছে। তিনি ছিলেন আদর্শ পিতার যোগ্য সন্তান।
আরও পড়ুন: ১৮ অক্টোবর পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’
রাষ্ট্রপতি বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো আজ জাতির নেতৃত্ব দিতেন। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করতেন। কিন্তু বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। ঘাতকরা ১০ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও সেদিন রেহাই দেয়নি। ছোট্ট রাসেল সেদিন ঘাতকদের মিনতি করে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’ কিন্তু সেই ঘাতকদল তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: লিসবনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
মো. আবদুল হামিদ বলেন, মৃত্যুকালে রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। রাসেল আজ বিশ্বে অধিকার বঞ্চিত শিশুদের প্রতীক ও মানবিকসত্তা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে।
আরও পড়ুন: নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে বিনা উদ্ভাবিত ‘শেখ রাসেল’ ধান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছর তার জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবারের মতো পালিত ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তি সই হয়েছে। রবিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে শুরু হয়ে ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এ আলোচনা চলে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এবং অপরদিকে ব্রুনাইয়ের পক্ষে সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ নেতৃত্ব দেন।
দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আলোচনার পর তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তি সই হয়।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুলতান পৌঁছালে টাইগার গেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর চুক্তিসহ তিনটি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন ব্রুনাই সুলতান
অন্য দুটি সহযোগিতার নথি বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ ও দুই দেশের নাবিকদের সনদপত্রের স্বীকৃতি সংক্রান্ত।
প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি এখন তেল সমৃদ্ধ দেশ ব্রুনাইয়ে কাজ করছে।
শনিবার বিকালে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ব্রুনাইয়ের সুলতান ঢাকায় আসেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২১ বন্দুকের স্যালুটের মধ্যে সুলতানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্রুনাই দারুসসালামের হাই কমিশনার হারিস বিন উসমান বলেন, ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রুনাইয়ের দারুসসালামে ঐতিহাসিক সফর করেন। যা এক নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেসময় গ্যাস সরবরাহ, মৎস্য, কৃষি, পশুসম্পদ, যুব, শিল্প, সংস্কৃতি, খেলাধুলার মতো খাতসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার জন্য বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: প্রেস সচিব
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শনিবার ইউএনবিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
তিনি বলেন, ‘ফেসবুক,টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মিথ্যা ও ভুয়া পোস্টে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রেস সচিব সবাইকে অনুরোধ করেন।
‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় নিতে সক্ষম হবে দেশ’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় নিতে সক্ষম হবে দেশ।
করোনা মোকাবিলা এবং টিকাদানে বাংলাদেশের অনন্য সাফল্যের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের জনগণের মানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নীতি ও কর্মকৌশলের বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী চতুর্থ গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ সামিটে দেয়া বক্তব্যে মন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
শুক্রবার ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: ওষুধের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
জাহিদ মালেক জানান, ইতোমধ্যে আট বিভাগীয় শহরে নতুন আটটি মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এবং জেলা উপজেলা পর্যায়ে এনসিডি কর্নারে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য স্কুল মেন্টাল হেলথ কার্যক্রম, এমএইচগ্যাপ প্রশিক্ষণসহ সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের বিষয়ে মন্ত্রী সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করেন।
মন্ত্রী বলেন, সম্পদ সীমিত এবং মানসিক স্বাস্থ্য খাতে দক্ষ জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ই-মেন্টাল হেলথ, অ্যাপভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবাসহ নানা উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়া চলমান। এই প্রক্রিয়াগুলোকে আরও বেগবান করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভূক্ত করতে ‘স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ’ কার্যক্রমে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করায় মন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সম্মেলন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি কোভিড মোকাবিলা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মন্ত্রী কমিউনিটি বেইজড মেন্টাল হেলথ সার্ভিস প্রদানে দেশের বিদ্যমান প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা অবকাঠামো যেমন- ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ৪ হাজার ফেমিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার, ৫০০ উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করার কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি কমিউনিটির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য ব্যক্তি নির্বাচন, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি, অর্থায়ন ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এসব বিষয়ে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা কামনা করেন।
রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশ্বের ৫২টি রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশগ্রহণ করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরেনজা বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার পুনর্ব্যক্ত করেন যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ২০২৩ সালে একটি দুর্ভিক্ষ বিশ্বকে গ্রাস করতে পারে এমন আশঙ্কা করছে। যা এড়াতে বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রতি ইঞ্চি জমিতে খাদ্য উৎপাদন, সঞ্চয় ও মিতব্যয়ী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করুন, আমাদের সঞ্চয়ের জন্য যেতে হবে এবং মিতব্যয়ী হতে হবে। আমি আশা করি সবাই সেই ধারা বজায় রাখবেন।’
সাভার সেনানিবাসের সিএমপি সেন্টার ও স্কুলে আয়োজিত হেড কোয়ার্টার ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, ১৫ ও ৪০ ইস্ট বেঙ্গল (মেকানাইজড), ৯ ও ১১ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের (মেকানাইজড) পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন। কারণ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে যে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষের সময় হবে।
আরও পড়ুন: নতুন সেতুগুলো আঞ্চলিক সংযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশ যেন সেই দুর্ভিক্ষের শিকার না হয়। সেজন্য আমাদের নিজেদের জমিতেই খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। আমাদের সঞ্চয়ের জন্য যেতে হবে এবং কঠোরতা অনুশীলন করতে হবে। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি ইঞ্চি অনাবাদি জমি খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা।
তিনি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে যেটুকু জমি আছে সেখানে খাদ্য উৎপাদন করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও এর ফলস্বরূপ নিষেধাজ্ঞার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ সেখানে খাদ্য সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশও একই অবস্থানে আছে। সে আঘাত ইতোমধ্যেই এখানে অনুভূত হচ্ছে। আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণের জন্য এক কোটি মানুষকে কার্ড দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ৩৫ লাখ অসহায় মানুষের কাছে কম দামে ১৫ টাকা কেজি চাল বিক্রি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা কাজ করতে অক্ষম তাদের পরিবারের আকার বিবেচনা করে আমরা প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৪০ কেজি চাল বিনামূল্যে দিচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ব্রিগেড ও রেজিমেন্টের সদস্যদের দ্বারা প্রদর্শিত একটি সুশৃঙ্খল ও সুন্দর কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তার জন্য দেশের কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে কৃষিপণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের এক বা দুটি রপ্তানি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না।’
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পুরস্কারটি দেশের কৃষির উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশকে স্বাবলম্বী করা ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কৃষিপণ্য বৃদ্ধিতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বদা এটি মনে রাখা উচিত। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াব।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী ও কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে শারমিন আক্তার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের