প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ চীনের
পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও গভীর করতে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেইজিংয়ে সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'চীন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে এ সফর করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।’
আরও পড়ুন: সুন্দরগঞ্জে অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে শিক্ষিকা নিহত
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, চীন বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, ঐক্য ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ১-৬ জুলাই চীন সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দালিয়ানে ১৩তম গ্রীষ্মকালীন দাভোস ফোরামেও অংশ নিয়েছিলেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
সিংড়ায় সিএনজি অটোরিকশায় চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ
বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান: ব্রিটিশ এমপিদের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ অগ্রাধিকার পায় উল্লেখ করে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি।’
বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে সফররত ব্রিটিশ ক্রস পার্টির সংসদীয় প্রতিনিধিদল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় যেতে 'অন্য শক্তির' উপর নির্ভর করে: ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলকে প্রধানমন্ত্রী
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- পল স্কুলি, নিল কোয়েল ও অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা চাইলে বাংলাদেশ তাদের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ করতে পারে। কারণ অন্যান্য দেশ এরই মধ্যে তাদের ডেডিকেটেড অর্থনৈতিক অঞ্চল পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আদর্শ। কারণ এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে ভালোভাবে সংযুক্ত; যেখানে ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষ বাস করে।
তিনি বলেন, ‘এটি ৩০০ কোটির বাজার, ফলে কেউ যদি এখানে বিনিয়োগ করে তবে উৎপাদিত পণ্যের বাজার পেতে সমস্যা হবে না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিনিয়োগের প্রক্রিয়াগত সময় হ্রাস করার লক্ষ্যে সরকার এরই মধ্যে ১৭০টি আইটেমের মধ্যে ১১০টি আইটেম অনলাইনে যুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সংকট অবসানের পথ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘বাকি ৬০টি আইটেম খুব শিগগিরই অনলাইনে প্রকাশ করা হবে।’
ব্রিটিশ এমপিরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের উন্নয়ন উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে নিবিড়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় যেতে 'অন্য শক্তির' উপর নির্ভর করে: ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলকে প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় যেতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়ে সবসময় অন্য শক্তির উপর নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যখনই নির্বাচনের সময় আসে তারা (বিএনপি) অন্য কোনো শক্তি খোঁজে যারা তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারে।’
বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে সফররত ব্রিটিশ ক্রস পার্টির সংসদীয় প্রতিনিধিদল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- পল স্কুলি, নিল কোয়েল ও অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে নজরুল ইসলাম বলেন, যখনই বিএনপি তাদের ক্ষমতায় বসানোর কাউকে পায় না, তখনই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে আসে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা সব সময় সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছে। তারা সবসময় মনে করে, কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়াই তাদের সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে একজন সামরিক লোককে বসিয়েছিল এবং এই ব্যক্তি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে বাংলাদেশ শাসন করেছে অগণতান্ত্রিক শক্তি।
প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময় দেশে গণতন্ত্র ছিল না। ফলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি।’
তিনি বলেন, বিএনপির কোনো নেতৃত্ব নেই এবং তারা সাধারণত লন্ডন থেকে নির্দেশনা পায়। ‘ফলে ২০০৮ সালের পর তারা আন্তরিকভাবে কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সংকট অবসানের পথ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও একটি আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছিল দলটি।
তিনি বলেন, 'শেষ পর্যন্ত যখনই তারা মনে করেছে যে তারা নির্বাচনে জিততে পারবে না, তখনই তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট পায় ৩০টি আসন এবং আওয়ামী লীগ পায় ২৩৩টি আসন। এতে প্রমাণিত হয়, গণমানুষের মধ্যে বিএনপির কোনো ভিত্তি নেই।’
তিনি বলেন, বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ ভোট দিয়েছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।
তিনি বলেন, 'জনগণ বিএনপির ভোট বাতিল করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করল ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল
নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
সামনের মাসে জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় নিরাপত্তাবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বার্ষিক সংলাপ মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈশ্বিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, সম্মেলনের ফাঁকে যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে তার মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
আরও পড়ুন: অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এর আগে ২০১৯ সালে নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানায়, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ পেলেও নির্বাচনোত্তর তার প্রথম সরকারি সফর জার্মানি দিয়ে শুরু হতে পারে।
জার্মান নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও সাইডলাইনে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।
২০২৪ সালের ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখের হোটেল বেরিসচার হোফে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
আয়োজকরা জানায়, আবারও বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি বিষয় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বিতর্কের জন্য অনন্য সুযোগ দেবে এমএসসি ২০২৪।
১৯৬৩ সালের শরতে প্রতিষ্ঠিত এমএসসি পরবর্তী প্রধান সম্মেলনে ৬০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।
প্রতি বছর নিরাপত্তা সম্মেলনের আগে প্রকাশ করা হয় মিউনিখ নিরাপত্তা প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বর্তমান সুরক্ষা নীতি সম্পর্কিত মৌলিক তথ্য-উপাত্ত এবং গ্রাফিক্স রয়েছে, যা এমএসসির বিখ্যাত অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় সংকলন করা হয়েছে। মিউনিখ নিরাপত্তা প্রতিবেদন মিউনিখের সম্মেলনে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সৌদি আরবের আরও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আলদুহাইলান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চেক প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, সৌদি আরব ও এর জনগণ বাংলাদেশের হৃদয়ের খুব কাছের।
তিনি বলেন, সৌদি আরব সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তার দেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সৌদি রাষ্ট্রদূত।
পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদের একটি অভিনন্দন বার্তা হস্তান্তর করেন সৌদি রাষ্ট্রদূত।
বার্তায় যুবরাজ বাংলাদেশের উত্তরোত্তর অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে ফ্রান্সের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আটটি বিভাগে আটটি মসজিদ ও ইসলামিক ভাষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তার দেশের ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজে বের করার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা আগামী দিনগুলোতে হজ ও ওমরাহ হজের প্রক্রিয়া সহজ করার ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে পারে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূত অন্যান্য পেশাজীবীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো.তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মজুতদারদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে ফ্রান্সের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
২০০৯ সাল থেকে তার সরকারের বাস্তবায়িত উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই। এ সময় শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ৬ বছরের জিএসপি+ সুবিধা দিতে ইইউ'র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য, বন্যা ও খরার মতো বিষয়গুলো কমে এসেছে বলে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকার অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দরিদ্র মানুষের জন্য গ্রামাঞ্চলে ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। শহরাঞ্চলেও এ ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অবশ্যই তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে।
তারা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তারা শিক্ষা বা কাজের সঙ্গে জড়িত নয়।
তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন ছাড়া অপরাধ পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না।
তিনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে আরও চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আটকে পড়া পাকিস্তানিদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের চতুর্থ প্রজন্ম এখানে বসবাস করছে।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে পাকিস্তান তাদের ফেরত নেবে না। তাই আমরা এখানে তাদের স্থায়ী পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করুন: প্রার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি ফরাসি গ্যাস কোম্পানিগুলোকে অনুসন্ধানসহ বাংলাদেশের গ্যাস খাতে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও হাইকমিশনার এয়ারবাস ক্রয় ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণসহ দ্বিপক্ষীয় কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর একটি বার্তা হস্তান্তর করেন।
তিনি দু'দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন, যা বিশেষ করে ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফর এবং ২০২৩ সালে ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফরের পর জোরদার হয়েছে।
জলবায়ু ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ইউটিলাইজেশন ফান্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে অগ্রগামী হিসেবে দেখতে চায়।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশকে গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনে সহায়তা করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তার দেশ ব্লু ইকোনমি ও সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
মজুতদারদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
অবৈধ মজুতদার ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা এর ফল ভোগ করবে।
তিনি বলেন, 'কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য মজুদ করে থাকে, তাহলে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রয়োজনে তাদের কারাগারে পাঠাতে হবে।’
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি খুবই অস্বাভাবিক বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
তিনি বলেন, ‘এর পেছনে কারা কারসাজি করছে তা খুঁজে বের করা জরুরি। শুধু তাদের খুঁজে বের করাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও আমরা তা করব।’
মজুতদারি ও কালোবাজারি করে কেউ যাতে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'মানুষের খাবার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো মানে হয় না।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ এই নির্বাচন মেনে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের পর হঠাৎ করেই চাল ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়।’ আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে, যদিও ভোটারদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতে আন্দোলনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন বিকল্প উপায়ে আবার শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, 'আমরা তাদের বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করায় জনগণ সন্তুষ্ট ও খুশি।
তিনি বলেন, 'ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে আর কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।' তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
তার সরকার দেশের আরও উন্নয়ন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে আসবে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরউল্লাহ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ মঞ্চে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
দপ্তর পেলেন প্রধানমন্ত্রীর ৬ উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ছয়জনের নাম ঘোষণা করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) উপদেষ্টাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার খুঁজুন: ডিআইটিএফ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
উপদেষ্টারা হলেন- অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ সালমান এফ রহমান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
আরও পড়ুন: আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা (বিনা বেতনে) হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস ইউএনবিকে জানান, রবিবার (২১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকীর সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এরপর ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পদত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর আরও ছয়জন উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনার ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠনের দিন তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
কামাল আবদুল নাসের ছাড়া বাকি পাঁচজনও তার আগের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর পূর্বাচলে রবিবার (২১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের ২৮তম মেলায় বিদেশি ৬টি দেশের (তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইরান) পাশাপাশি দেশীয় কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।
এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান উপস্থিত ছিলেন।
মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু রবিবার
ডিআইটিএফ সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কারণে মেলা স্থগিত করে ইপিবি।
বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
মেলায় এবার প্রবেশমূল্য বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইপিবি। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এ বছর প্রবেশ টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা ও শিশুদের (১২ বছরের নিচে) জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনলাইনেও টিকিট কেনা যাবে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বছর মেলায় দেশি-বিদেশি ৩৫১টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকবে।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি খাবারের স্টল থাকবে, যেখানে ৫০০ জন বসতে পারবেন।
এছাড়াও রয়েছে একটি প্রার্থনা কক্ষ, শিশুদের খেলার জায়গা, মিডিয়া কর্নার, অফিস কক্ষ, মেডিকেল কক্ষ, কর্মকর্তাদের জন্য অতিথি কক্ষ ও বিপণিবিতান।
পার্কিং এলাকায় ৫০০টি যানবাহন রাখার সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় ইইউ: প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি