প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যসহ বিনাশুল্কে পণ্য রপ্তানির করার সুযোগ, যেটির জন্য বহু বছর ধরে বাংলাদেশ চেষ্টা করে এসেছে।
আরও পড়ুন: মাজহারুল আনোয়ার তার কাজের মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে বন্দরনগরীতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়েজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণকালে দেয়া বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'অথচ এই ভারত সফর নিয়ে বিএনপি নানা ধরনের কথা বলেছে, এখন নিশ্চয় চুপসে গেছে।’
কিন্তু এরপরও আজকালের মধ্যে তারা আরও কিছু একটা বলবে' উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সফল ভারত সফর করে বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, 'ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমাদের সরকারই ভারতের কাছ থেকে সমস্ত কিছু আদায় করেছে। ১৯৭৪ সালে ছিটমহল চুক্তি হয়েছে। সেই ছিটমহল আমাদের অধিকারে চার দশকে কেউ আনতে পারেনি। তারা কোন দেশের নাগরিক সেটা বলতে পারতো না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এনেছেন। সম্পর্ক যে ন্যায্যতা ভিত্তিক তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে, আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের সঙ্গে মামলা করে সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি।'
আরও পড়ুন: ২ মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ গঠিত হবে:তথ্যমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সেটি আরও নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।
সারাদেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি আশা-ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, একজন সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে এককালীন তিন লাখ টাকা দেয়া হয়। একজন সাংবাদিক অসুস্থ হলে তাকে পঞ্চাশ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে।
করোনাকালে ভারত পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা নেপালসহ এই উপমহাদেশের কোনো দেশে সাংবাদিকদের করোনা সহায়তা দেয়া হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকার করোনাকালীন সহায়তা হিসেবে চার হাজার সাংবাদিককে সহায়তা দিয়েছে, এখনও চলমান আছে।'
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণের ক্ষেত্রে আমরা কখনো কে কোন দল বা মতের সেটি দেখি না। আমি দল করি, আমি দলীয় সরকারের মন্ত্রী, কিন্তু যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি তখন সবাইকে দুই চোখে সমভাবে দেখার চেষ্টা করি, রাষ্ট্রের সাহায্য যেন সবাই পায়।
আরও পড়ুন: সব দেশেই সেন্সর বোর্ড আছে, বাংলাদেশেও থাকবে:তথ্যমন্ত্রী
যারা প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে পারলে কালকেই সরকার নামিয়ে দেয়, আমাদের বিরুদ্ধে গলা ফাটায়, তাদেরকেও আমরা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করেছি। কিন্তু মাঝে মধ্যে বিশ্ব পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হয়।
কিছু কিছু সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিশ্বপরিস্থিতিকে আড়াল করে দেশের পরিস্থিতিটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, এটি নতুন কিছু নয়। পদ্মাসেতু যখন আমরা নির্মাণ শুরু করি তখনও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।'
এসময় তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের ৩৬ জন সাংবাদিকের হাতে ৩৪ লাখ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে আ.লীগ প্রতিহত করবে: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের ভারত সফর থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ‘দৃশ্যমান অর্জন’ নেই।
তিনি বলেন, ‘এই সফরে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত যে অর্জন আমরা দেখতে পাচ্ছি তা হলো কুশিয়ারা নদী থেকে ৫৩ কিউসেক পানি। আমরা আর কোনো দৃশ্যমান অর্জন দেখিনি।’
ভারতের কাছ থেকে সামরিক যান কেনার জন্য ৫০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। ‘যেদিন এই কথা বলা হয়েছিল, সে দিনেই দিনাজপুর সীমান্তে একজন নিহত হয়েছিল এবং আরও দুইজন নিখোঁজ ছিল। এটিই (তার সফরের) ফলাফল।’
আরও পড়ুন: আন্দোলন বানচাল করতেই বিরোধীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন: বিএনপি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এদিকে ভারতে চার দিনের সরকারি সফর শেষে বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার সফরকালে, হাসিনা তার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেছেন এবং মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও ভারতীয় উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন।
দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর, ঢাকা ও দিল্লি কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
ফখরুল বলেন, সফরে কোনো ফলাফল না আসলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভারতের প্রতি তাদের ভালোবাসা তুলে ধরছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আপনার অবশ্যই মনে আছে যে এই সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী (এ কে আব্দুল মোমেন) বলেছিলেন যেকোনো উপায়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি ভারতীয় নেতাদের অনুরোধ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: পাকুন্দিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল বিশ্বাস করে, গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে এবং বিশ্বব্যাপী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকল গণতান্ত্রিক দেশ তাদের ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের ভালো বন্ধু এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা বিশ্বাস করি যে ভারতও তার গণতান্ত্রিক চরিত্র অক্ষুণ্ণ রাখবে।’
সরকার কর্তৃক সন্ত্রাসের রাজত্ব উন্মোচন
সারাদেশে তাদের দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা এবং তাদের নেতাকর্মীদের ‘মিথ্যা’ ও ‘কাল্পনিক’ মামলায় ফাঁসানোর জন্য ফখরুল সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের অনেক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। অতীতের মতো আমাদের বিরুদ্ধেও কাল্পনিক মামলা করা হচ্ছে। আপনারা জানেন যে ইতিমধ্যে আমাদের তিন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।’
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কিশোরগঞ্জ শাখার ১৪ বছর বয়সী গুলিবিদ্ধ নেতা শ্রাবণকে দেখতে বৃহস্পতিবার পপুলার হাসপাতালে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ছেলেটির ফুসফুস, লিভার ও কিডনি গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘সে রক্ত বমি করছে... তার জীবন বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।’
তিনি আরও জানান, শ্রাবণ ছাড়াও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এবং অনেকে বিভিন্নভাবে আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। ‘তারা (সরকার) আবারও সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব জারি করেছে। আমি বলতে চাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়ে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’
সহিংসতার আশ্রয় না নিলে বিএনপির কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হবে না বলে আইনমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়... ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে। গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। জনগণের শক্তি দিয়ে আমরা তাদের পরাজিত করব।’
আরও পড়ুন: যুবদল কর্মী হত্যা: পুলিশ সুপারকে আসামি করে বিএনপির মামলার আবেদন
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাসকে সমবেদনা জানিয়ে বৃহস্পতিবার একটি চিঠি লিখেছেন।
এতে আরও বলা হয়, চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনার মাধ্যমে মহান রানি এলিজাবেথ দ্য সেকেন্ডের আকস্মিক মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যের জনগণের প্রতি আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি ও সমবেদনা জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আন্তরিক ভাবনা ও প্রার্থনা শোকাহত রাজপরিবারের সদস্য ও যুক্তরাজ্যের শোকাহত জনগণের সঙ্গে রয়েছে এবং আমরা মহান রানির বিদেহী আত্মার চির শান্তি ও মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছি।’
তিনি উল্লেখ করেছেন যে মহান্ রানি শুধুমাত্র ২.৫ বিলিয়ন কমনওয়েলথ জনগণের স্তম্ভ ও শক্তিই ছিলেন না বরং তিনি করুণা, মর্যাদা, প্রজ্ঞা ও সেবার প্রতীকও ছিলেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বের সমসাময়িক ইতিহাসে সবচেয়ে কিংবদন্তী এবং দীর্ঘ সময় রাজত্বকারী রাজা হিসেবে মহান রানি কর্তব্য, সেবা ও ত্যাগের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এবং বিশ্বজুড়ে তার অগণিত মানুষের কাছে উৎসর্গের একটি অতুলনীয় উত্তরাধিকার রেখে গেছেন।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন যে মহান রানি আমাদের নাগরিকদের জন্য অনুপ্রেরণা, সাহস ও শক্তির এক অসাধারণ উৎস হয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে মহান রানি ও আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকথা এবং অটোয়া ও কিংস্টনে দুই কমনওয়েলথ সরকার প্রধানের বৈঠক চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি লন্ডনে ২০১৮ সালের সিএইওবিএম-এ আমাদের শেষ ব্যক্তিগত আলাপচারিতার প্রশংসা করি।’
তিনি উল্লেখ করেন যে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের জনগণের জন্য মহান রানির অভিনন্দনের সবচেয়ে আবেগপূর্ণ বার্তাটি ছিল- ‘আমরা বন্ধুত্ব ও স্নেহের বন্ধন ভাগ করি, যা আমাদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি হিসেবে রয়ে গেছে এবং পঞ্চাশ বছর আগের মতো এটি আজও গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
তিনি আরও বলেন, ‘তার দুঃখজনক মৃত্যুতে বাংলাদেশের মানুষ এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে শুধু একজন বিশ্বস্ত বন্ধুকেই হারালাম না, একজন প্রকৃত অভিভাবককেও হারালাম।’
শেখ হাসিনা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার জন্য রাজপরিবারের সদস্য ও যুক্তরাজ্যের জনগণ, রাজ্য এবং কমনওয়েলথের সদস্যদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
আরও পড়ুন: রানির মৃত্যু: অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও দাফন
ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে চার দিনের সরকারি সফর শেষে বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রাত ৮টা ০৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে, ফ্লাইটটি রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশি সময় সন্ধ্যা ৬টা) যাত্রা করে। যেখানে রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী বুলাকি দাস কাল্লা ও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এর আগে সকালে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের শেষ দিনে সুফি মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজার (রওজা) খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফে নামাজ পড়তে রাজস্থানের আজমির শরীফে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
গত সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন বছর পর ভারত সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং মঙ্গলবার পৃথকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এসময় দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর ঢাকা ও দিল্লি কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনসহ সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
অন্যান্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- মহাকাশ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, বিচার বিভাগ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
এছাড়া রামপালে মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এবং খুলনায় ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রূপসা সেতুর উদ্বোধন করেন দুই নেতা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থানকালে দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি, নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মহাত্মা গান্ধীর সমাধি (স্মৃতিস্থল) পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগা পরিদর্শন করেন ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাদের বংশধরদের মধ্যে ২০০ শিক্ষার্থীকে মুজিব বৃত্তি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
ভারতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চটেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বৃহস্পতিবার কলকাতা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের এক সম্মেলনে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমি চমৎকার সম্পর্কের অংশীদার, অথচ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তার সফরের সময় আমাকে আমন্ত্রণ জানায়নি।’
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মমতাকে পাঠানো হলো ১ টন হাড়িভাঙ্গা আম
মমতা বলেন, ‘আমি দ্বিপক্ষীয় পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে বলতে চাই না। কিন্তু আমি জানতে পেরেছি যে অন্য কোন রাষ্ট্র কর্তৃক যাতে আমি আমন্ত্রিত না হই কেন্দ্রীয় সরকার সে চেষ্টাই করছে। আমি জানতে চাই কেন কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার দেখা করা নিয়ে বিচলিত।’
বৃহস্পতিবার দেশের রাজধানী থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের রাজস্থানের খাজা মঈনুদ্দিন
পড়ুন: কলকাতায় মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
চিশতীর মাজার আজমীর শরীফ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা চারদিনে ভারত সফর শেষ করেছেন।
তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে মমতার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের নৈশভোজে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মমতা আমার বোন। আমি চাইলেই তার সঙ্গে দেখা করতে পারি। সবসময় আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে।’
আরও পড়ুন: ভাগ্নে অভিষেকেই আস্থা মমতার
৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে তার চার দিনের সরকারি সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৬টায়) জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী বুলাকি দাস কাল্লা ও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান। ফ্লাইটটি রাত ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
এর আগে সকালে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে তার চার দিনের সরকারি সফরের শেষ দিনে সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতির মাজার (রওজা) খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফে প্রার্থনা করতে রাজস্থানের আজমির শরীফে যান।
গত সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন বছর পর ভারত সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং মঙ্গলবার পৃথকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আজমির শরীফ জিয়ারত
এসময় দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর ঢাকা ও দিল্লি কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনসহ সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
অন্যান্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- মহাকাশ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, বিচার বিভাগ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
এছাড়া রামপালে মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এবং খুলনায় ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রূপসা সেতুর উদ্বোধন করেন দুই নেতা।
শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থানকালে দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি, নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মহাত্মা গান্ধীর সমাধি (স্মৃতিস্থল) পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগা পরিদর্শন করেন ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাদের বংশধরদের মধ্যে ২০০ শিক্ষার্থীকে মুজিব বৃত্তি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর সাক্ষাৎ
আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর আজমির শরীফ জিয়ারত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ভারতের রাজস্থানের আজমিরে অবস্থিত খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ (আজমির শরীফ) পরিদর্শনে গিয়ে সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজার জিয়ারত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশ, জাতি ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে ফাতেহা পাঠ, নফল নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেন।’
তিনি বলেন, সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজমির দরগা শরীফের চারপাশে ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: আজমির পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে, ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১২ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল ও শাহপরানের মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্বজনদের কবর জিয়ারত করছেন প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রেহানা
প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর: যৌথ সম্মতিতে যেসব সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ-ভারত
ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বের সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব প্রদর্শনপূর্বক ভারতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক সফরে (৫০৮ সেপ্টেম্বর) দুই দেশ যৌথ সম্মতিতে একমত হয়েছে। সেগুলো হলো-
অবিচল বন্ধুত্ব
আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের চেতনায় বৃহত্তর সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেল সংযোগ উন্নয়ন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত
চলমান দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগের মূল্যায়ন, যেমন:
- টঙ্গী-আখাউড়া লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর
- বাংলাদেশ রেলওয়েতে রেলওয়ে রোলিং স্টক সরবরাহ
- ভারতীয় রেলওয়ের স্বনামধন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ
- বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবার উন্নতি নিশ্চিতে আইটি-সংক্রান্ত সহযোগিতা প্রদান
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ-ভারত রেল সংযোগের উন্নয়নে গৃহীত নতুন উদ্যোগ
- কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলঘাট-নিউ গীতালদহ রেল সংযোগ
- হিলি ও বিরামপুরের মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপন
- বেনাপোল-যশোর রেল পথ ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং রেল স্টেশনের মানোন্নয়ন
- বুড়িমারী ও চ্যাংড়াবান্ধার মধ্যে রেল সংযোগ পুনঃস্থাপন
- সিরাজগঞ্জে একটি কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ ইত্যাদি
বাংলাদেশের অনুরোধে অনুদানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০টি ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ধাক্কা প্রতিরোধ করা
ভারত থেকে বাংলাদেশে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা এবং রসুনের মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের আনুমানিক সরবরাহ নিশ্চিতে উভয় দেশের সরকারের মাঝে বিশেষ ব্যবস্থায় (জি২জি) দুদেশের মধ্যে পণ্য সরবরাহের সম্ভাবনা।
মানুষ এবং পণ্যের স্বাচ্ছন্দ্যপুর্ণ চলাচলের সুবিধা নিশ্চিতকরণ
আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে চলমান উন্নয়নমূলক কাজগুলো দ্রুত সম্পন্নকরণ, যার মধ্যে ৪,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের বিভিন্ন সীমান্ত ক্রসিংগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন এবং বাণিজ্য-সম্পর্কিত অবকাঠামো রয়েছে।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিক মুক্তির আগে প্রধানমন্ত্রী দেখবেন ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
সীমান্ত নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা
একটি শান্তিপূর্ণ এবং অপরাধমুক্ত সীমান্ত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য, ত্রিপুরা সেক্টর থেকে শুরু করে সমগ্র সীমান্তের কাঁটাতারবিহীন অংশগুলোতে কাঁটাতার নির্মাণের কাজ শেষ করার বিষয়ে উভয় নেতা একমত হয়েছেন।
সীমান্ত রক্ষাবাহিনী কর্তৃক পদক্ষেপের মাধ্যমে সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাসকরণে সাহায্য করেছে। অস্ত্র, মাদক ও জাল টাকার চোরাচালান এবং পাচার রোধে বিশেষত নারী ও শিশুপাচার রোধে পারস্পরিক সহযোগিতাও প্রশংসিত হয়েছে।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
উভয় নেতাই সন্ত্রাসবাদের সকল রূপ ও অভিব্যক্তি নির্মূলে তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এই অঞ্চল ও এর বাইরে সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা এবং মৌলবাদের বিস্তার প্রতিরোধ এবং সে সম্পর্কিত পদক্ষেপে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য যানবাহন সংগ্রহের পরিকল্পনাসহ ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিরক্ষা লাইন অফ ক্রেডিটের অধীনে প্রকল্পগুলোর প্রাথমিক চূড়ান্তকরণে সম্মত হয়েছে।
বর্ধিত সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত উপকূলীয় রাডার সিস্টেম সমঝোতা স্মারকের প্রাথমিক কার্যকারিতা চূড়ান্তকরণ।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, সে এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর: ওবায়দুল কাদের
নদীর পানি সংক্রান্ত সহযোগিতা
এক দশকেরও বেশি সময় পর যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের সভা আহ্বান করা, যেখানে সব অভিন্ন নদীর ব্যাপারে সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়, যা প্রশংসিত হয়েছে।
আসাম রাজ্য সরকারসহ ভারতের সকল অংশীদারদের সহযোগিতায় কুশিয়ারা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি শুষ্ক মৌসুমে উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের জমিতে সেচ দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি কৃষকদের সাহায্য করবে এবং একইভাবে, দক্ষিণ আসামও এর দ্বারা উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফেনী নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের অনুরোধের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
ত্রিপুরার জনগণের জন্য খাবার পানি প্রকল্পটির মাধ্যমে এখন শিগগিরই ফেনী নদী থেকে এক দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত অনুমোদন এবং ছাড়পত্রের ভিত্তিতে ২০১৯ এ স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক কার্যকর হবে৷
তথ্য বিনিময় এবং অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির কাঠামো প্রণয়নের জন্য এখন আরও অন্যান্য নদীগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
গঙ্গার পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য একটি সমীক্ষা পরিচালনা করতে যৌথ কারিগরি কমিটি গঠনে উভয় পক্ষই সম্মত হয়।
২০১১ সালে চূড়ান্ত হওয়া তিস্তা চুক্তি শেষ করার জন্য বাংলাদেশ পুনরায় অনুরোধ জানায়।
নদী দূষণ মোকাবিলা, নদীর পরিবেশ ও নাব্যতা উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়াতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা
সিঙ্ক্রোনাস গ্রিড কানেক্টিভিটির মাধ্যমে কাটিহার (বিহার) থেকে পার্বতীপুর (বাংলাদেশ) হয়ে বোরনগর (আসাম) পর্যন্ত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৭৬৫ কিলোভোল্ট ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনে ‘স্পেশ্যাল পারপাজ ভেহিকল’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ। এই সংযোগের মাধ্যমে মৌসুমী চাহিদামাফিক বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি উভয়ই সহজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নেপাল, ভূটান এবং বাংলাদেশকে সংযুক্তপূর্বক উপ-আঞ্চলিক পাওয়ার গ্রিড বাস্তবায়ন বেগবান হয়েছে। ভারত জানায়, যে এই জাতীয় নেটওয়ার্ক স্থাপনে অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বাই-ব্যাক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
জ্বালানি খাতে সহযোগিতা
বাংলাদেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে উভয় পক্ষই আন্তঃসীমান্ত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের নির্মাণকাজ দ্রুত সমাপ্তির আশা করছে যার মাধ্যমে ভারত থেকে সরাসরি বাংলাদেশে উচ্চ গতির ডিজেল পরিবহন হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ভারত উভয় দেশের অনুমোদিত সংস্থার মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা নিশ্চিতে সম্মত হয়েছে।
এই বছরের আসাম ও মেঘালয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ভারত আসাম থেকে ত্রিপুরায় পেট্রোলিয়াম, তেল এবং লুব্রিক্যান্ট পরিবহনের সুবিধার্থে বর্ধিত সহায়তার জন্য বাংলাদেশের প্রতি ধন্যবাদ জানায়।
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল), ভারত সরকারের একটি পিএসইউ, এখন বাংলাদেশে জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকারে) ভিত্তিতে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ করার অনুমোদন লাভ করেছে৷
উন্নয়ন সহযোগিতা
বাংলাদেশ ভারত সরকারের সাথে যুক্ত লাইন অফ ক্রেডিট এর অধীনে, বিশেষত গত বছরের তহবিল বিতরণের কার্যকারিতা এবং গতির জন্য ভারতের প্রশংসা করেছে। বাংলাদেশকে প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেয়াতি ঋণ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ভারতের শীর্ষ উন্নয়ন সহযোগী। ভারত কর্তৃক অন্যান্য দেশকে দেওয়া সকল উন্নয়ন অর্থায়নের প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ২৫% করে বাংলাদেশকে প্রদান করে।
আরও পড়ুন: আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
দ্বিপাক্ষিক ও উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য এবং সংযোগ বৃদ্ধি
উভয় নেতা বাংলাদেশ-ভূটান-ভারত-নেপাল মোটরযান চুক্তি কার্যকর করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন। একবার সম্মত হলে, চারটি দেশের সীমান্তে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক যানবাহন নিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করা সম্ভব হবে।
উপ-আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধিতে, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মহেন্দ্রগঞ্জ (মেঘালয়) থেকে হিলিকে (পশ্চিমবঙ্গ) সংযুক্তকারী একটি নতুন হাইওয়ে নির্মাণকল্পে একটি বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তাব করেছে ভারত। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কেও তাদের অংশগ্রহণে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।
বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে তার ভূখণ্ডে নির্দিষ্ট ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন/বিমানবন্দর/সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে ভারতের দেওয়া বিনামূল্যের ট্রানজিট ব্যবহার করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে, ভারত তৃতীয় কোনো দেশে বাংলাদেশী রপ্তানির সুযোগ করে দিয়েছে। এটি নেপাল এবং ভূটানে রপ্তানিকারী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদেরকে ইতিমধ্যেই দেওয়া বিনামূল্যের ট্রানজিট সুবিধার বহির্ভূত।
পারস্পরিক লাভজনক দ্বিমুখী বাণিজ্য
২০১৫ সালে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তির অধীনে সফল পরীক্ষামূলক চালান সম্পন্ন হয়েছে।
ভারতের ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের সংযোগকারী মৈত্রী সেতুটিও চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এবং ভারত বাংলাদেশকে রামগড়ে অবশিষ্ট অবকাঠামো, অভিবাসন এবং শুল্ক সুবিধা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করেছে।
দ্বিমুখী ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য, ভারতীয় পণ্যের ওপর বাংলাদেশ কর্তৃক আরোপিত বন্দর নিষেধাজ্ঞা অপসারণে আবারও জোর দেওয়া হয়।
উভয় পক্ষের বাণিজ্য বিষয়ক কর্মকর্তাদেরকে ২০২২ সালের মধ্যে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে এবং ২০২৬ সালের আগে এটি সম্পূর্ণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ২০২৬ বাংলাদেশ তার এলডিসি অবস্থা থেকে উন্নীত হবে এবং বর্তমানে ভোগ করা শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধাগুলো ধরে রাখতে উদ্যোগ নেবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য চলাচলের সুবিধার্থে, দেশের ব্যস্ততম স্থলবন্দর, বেনাপোল-পেট্রাপোল আইসিপিতে একটি দ্বিতীয় মালবাহী গেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে তহবিল গঠনের জন্য ভারতের দেওয়া প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
বঙ্গবন্ধুর ওপর যৌথভাবে নির্মিত বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ খুব শীঘ্রই শেষ হবে এবং আগামী বছর মুক্তি পেতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্রের যৌথ প্রযোজনা এবং দুর্লভ ভিডিও ফুটেজের যৌথ সংকলনে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ।
২০১৮ সাল থেকে বিনা মূল্যে ভারতের নামকরা হাসপাতালে ১০০ জনেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধাকে চিকিৎসাসেবা প্রদানে ভারতের উদ্যোগ গভীরভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে: প্রধানমন্ত্রী
সহযোগিতার ভবিষ্যত ক্ষেত্র
ভারতে বাংলাদেশী স্টার্ট-আপ প্রতিনিধি দলের প্রথম সফর।
সুন্দরবন সংরক্ষণে যৌথ উদ্যোগ।
মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, গ্রিন এনার্জি, পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং অর্থ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত পরিষেবাগুলোতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
আঞ্চলিক সমস্যা
ভারত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত দশ লাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া এবং মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছে এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এইসব লোকদের নিরাপদ, টেকসই এবং দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে তার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ওপরে জোর দিয়েছে।
ভারত বিমসটেক সচিবালয়ের আয়োজনে এবং এর অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেছে। ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় পক্ষ তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন ভারতীয় নোবেলজয়ী ও সমাজ সংস্কারক কৈলাশ সত্যার্থী।
কৈলাশ বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্বলদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য তার সহানুভূতি এবং সংকল্প প্রশংসনীয়।’
নোবেল বিজয়ী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা সব সময়ই আনন্দের।
নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করার পর সত্যার্থী টুইটে বলেন, ‘প্রান্তিক শিশুদের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আমার দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে রয়েছেন এবং বৃহস্পতিবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পড়ুন: ভারতের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়চুক্তি সই
বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে ট্রানজিট ফ্রি রপ্তানির প্রস্তাব ভারতের
ভারতের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়চুক্তি সই
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ লাইন অব ক্রেডিট-এলওসি’র আওতায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম চুক্তি সই করেছে। ভারত দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে এটিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ’ বলে মনে করছে।
মঙ্গলবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন , আমি মনে করি এই সপ্তাহের শুরুতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহায়তার (এলওসি) অধীনে প্রথম চুক্তি সই হয়েছে। আমি নিশ্চিত আপনারা নিবিড়ভাবে দেখেছেন, ‘সামান্য পরিমাণ’ হলেও এটি একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ’ ছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটি একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহায়তা-এলওসি হতে পারে। তবে এটি উন্নয়ন অংশীদারিত্ব কাঠামোরও একটি অংশ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা হল এটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততার পথ খুলে দেবে এবং আমাদের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বন্ধনকে ‘নিবিড়করণে’ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর যৌথ বিবৃতিতে বলেন, তারা এলওসি’র অধীনে প্রকল্পগুলোর দ্রুত চূড়ান্তকরণে সম্মত হয়েছে, যা দু’দেশের জন্য লাভজনক হবে।
ভারত এই বিষয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর যানবাহন ‘প্রাথমিক ক্রয় পরিকল্পনা’ চূড়ান্ত করাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য আগ্রহী।
বৃহত্তর সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য একটি উপকূলীয় রাডার ব্যবস্থা প্রদানের ২০১৯ সালের সমঝোতা স্মারকটি তাড়াতাড়ি বাস্তবায়নে তাদের অনুরোধ পূনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে ট্রানজিট ফ্রি রপ্তানির প্রস্তাব ভারতের
আগস্টে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বাংলাদেশ-ভারত বার্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপে, ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলোর জন্য সহযোগিতা সহায়তার(এলওসি) ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাস্তবায়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয় উভয় পক্ষ।
সংলাপে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়াতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উদ্যোগের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান এবং ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এই সংলাপে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিরক্ষা শিল্প এবং সক্ষমতা-নির্মাণ সহযোগিতার বিভিন্ন দিক বিস্তারিত আলোচনায় উঠে এসেছে।
উভয় দেশ প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, সহ-উন্নয়ন এবং যৌথ উৎপাদনে সহযোগিতার সম্ভাবনায় সম্মত হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা দ্য হিন্দু জানিয়েছে যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সম্প্রতি সামরিক প্ল্যাটফর্ম এবং সিস্টেমগুলো ভারত থেকে সংগ্রহ করতে একটি চাহিদাপত্র দিয়েছে। সরকারি সূত্র বলছে, ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সামরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহায়তার (এলওসি) ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ার কিছু অগ্রগতি চিহ্নিত করে।
এতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ভাসমান ডক, লজিস্টিক জাহাজ এবং তেলের ট্যাঙ্কারসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকেএক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত তিনটি আইটেম ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এলওসি-এর আওতায় প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে পাঁচটি ব্রিজ লেয়ার ট্যাঙ্ক (বিএলটি-৭২); প্রায় ২ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সাতটি বহনযোগ্য ইস্পাত সেতু এবং টাটা গ্রুপ থেকে ২ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১১টি মাইন প্রোটেক্টিভ ভেহিকেল।
আরও পড়ুন: সেপা চুক্তির জন্য চলতি বছরেই আলোচনা শুরুর নির্দেশ হাসিনা-মোদির
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্রয় প্রস্তাবনার অন্যান্য সরঞ্জামগুলো হলো- মাহিন্দ্রা এক্সইউভি৫০০ অব-রোড যানবাহন; আনুমানিক ২ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে মাহিন্দ্রা থেকে হার্ড টপ যান, ভারী উদ্ধারযান, সাঁজোয়া প্রকৌশলী উদ্ধারযান এবং বুলেটপ্রুফ হেলমেট।
সূত্রটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি লজিস্টিক জাহাজ, ভাসমান ডক, তেল ট্যাংকার এবং একটি সমুদ্রগামী টাগ সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’