দুর্ঘটনা
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড ও মীরসরাই উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া ও সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদামবিবির হাট এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. মহিউদ্দিন ও আলেয়া বেগম।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের মাদামবিবির হাট এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগতির ট্রলি মহিউদ্দিনকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করি। গাড়িটি চালকসহ আটক করা হয়। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় আলেয়া বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধুর মৃত্যু
রাজবাড়ী সদর উপজেলার কামালদিয়া-পাচুরিয়া সড়কের শান্তিনগর এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোরে দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। সকালে আলিপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য আব্দুল আলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী নিহত
নিহতরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়নপুর গ্রামের আব্দুর রব মন্ডলের ছেলে সোহাগ ও লালন শেখের ছেলে রাজন শেখ।
আব্দুল আলিম জানান, সোহাগ ও রাজন মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক পুলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মারা যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে রেখেছেন।
আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘তিনদিন আগে রাজন মোটরসাইকেল না কিনে দিলে আত্মহত্যা করবেন বলে গলায় ফাঁস নিতে যায়। এরপর তার বাবা-মা কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনে দেয়। সকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।’
আরও পড়ুন: সিলেটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত
জামালপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত
সিলেটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত
সিলেটের কানাইঘাটে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে আখলাক হোসেন নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চটিগ্রাম জামে মসজিদের পাশে গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল পুরানফৌদ গ্রামের স্কুল শিক্ষক বদরুল আলম উজ্জ্বলের ছেলে কানাইঘাট সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আখলাক হোসেন (১৮) তার অপর দুই সহপাঠী কামরুল ও ইমন উদ্দিনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চটিগ্রাম জামে মসজিদের পাশে পৌঁছা মাত্র অপরদিক থেকে আসা চটিগ্রামের আব্দুল্লাহ’র মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং মোটরসাইকেল দুটির আরোহী ৪ জনই আহত হন।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজ শিক্ষার্থী আখলাক হোসেন ও আব্দুল্লাহকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসকরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে আলখাক হোসেনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত আব্দুল্লাহ সেখানে চিকিৎসাধীন।
খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজছাত্রের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
কারো জন্য বিনোদন, কারো কাছে ঘনিষ্ঠ জনদের সঙ্গে ভালো কিছু সময় কাটানো, কারো বা জীবিকার একমাত্র গন্তব্য। কিন্তু পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে এই কর্মযজ্ঞই পরিণত হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞে। এই ডিস্টোপিয়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে রাজধানীবাসীর জন্য। নিয়মবহির্ভূত ভবনের নকশা, পরিচালনা সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বয়হীনতা এবং দুর্নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমতাবস্থায় ভবনে প্রবেশের সময় জীবন বাঁচানোর জন্য সাবধান হতে হবে ভোক্তা শ্রেণীকেই। চলুন, দেখে নেওয়া যাক রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে প্রবেশের সময় কোন বিষয়গুলোর প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি।
বহুমুখী ভবনগুলোতে প্রবেশকালে সাবধানতা কেন এখন সময়ের দাবি
ফায়ার সার্ভিসের মতে, ২০২৩ সালে সারাদেশে মার্কেটসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৫ হাজার ৩৭৪টির মধ্যে ৪২৪টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে আবার ৫৮টি শপিং মল, যেগুলোর মধ্যে ৯টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, ১৪টি মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ, এবং ৩৫টি রয়েছে সাধারণ ঝুঁকিতে।
এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে বিগত কয়েক দশক ধরে অভ্যস্ত হয়ে গেছে অসহায় ঢাকাবাসী। সমস্যাযুক্ত ভবনগুলো নিয়ে বছরের পর বছর ধরে মামলা চলছে। প্রায়ই পিছিয়ে যাচ্ছে ভবন নিরীক্ষণের দিনক্ষণ। যথারীতি নিয়ম মেনে নির্মাণ বিধিতে আসছে পরিবর্তন। কিন্তু থেমে নেই সাধারণ মানুষের মৃত্যু। বরং বিষয়টি এখন এমন এক পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে যে, এর সঠিক সুরাহা করতে লেগে যাবে অনেকটা সময়। কেননা ত্রুটিপূর্ণ ভবনগুলো এক নিমেষে ভেঙে ফেলা বা সঠিক নকশা দিয়ে আদ্যোপান্ত বদলে ফেলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: আবাসিক ভবনের রেস্তোরাঁ বন্ধের দাবিতে রিট
রেস্তোরাঁয় ভরা ভবন বা অতিকায় শপিং মলে যাওয়াটা জীবনের চেয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ- এখন সেই হিসাব-নিকাষের সময় এসেছে। সব চাহিদার বিসর্জন দিয়ে হলেও সেই মৃত্যুকূপগুলো থেকে দূরে থাকার কোনও বিকল্প নেই। আর অগত্যা যদি যেতেই হয়, তবে সেক্ষেত্রে অবলম্বন করা উচিত আপোষহীন সতর্কতা।
রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে দুর্ঘটনা এড়াতে যে ১০টি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার
.
ভবনে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ
আগুন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য খোলামেলা জায়গা নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ভেতরের প্রতিটি দরজা প্রবেশের জন্য সহায়ক হতে হবে। এমনকি জানালার বাইরের স্থানগুলোতেও কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা থাকা চলবে না। পেছনের দরজা বা অন্য প্রবেশ পথগুলো ময়লা-আবর্জনা বা বাতিল জিনিসের স্তূপে বন্ধ আছে কিনা তা দেখতে হবে।
বহিরাগতরা খুব সহজেই ভেতরে ঢুকে সিঁড়ি বা লিফট ধরতে পারছে কিনা তা খেয়াল করতে হবে। ঠিক একইভাবে দেখতে হবে ভেতরের লোকেরা বাইরে বেরতে যেয়ে কোনও বিড়ম্বনায় পড়ছে কি না। বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে প্রায় দেখা যায় জরুরি ডেলিভারিগুলোর কারণে প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া বহুতল ভবনে উপরের তলা থেকে ফেলা ময়লা নিচের তলার জানালার সামনে স্তূপ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বনানীর স্টার কাবাবের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সিড়ির প্রশস্ততা ও পর্যাপ্ততা
কোনও আবাসিক ভবন যদি ৬ তলার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী সেখানে চলাচলের জন্য দু’টি সিঁড়ি থাকতে হবে। একটি সবসময় চলাচলের জন্য, আর অন্যটি জরুরি অবস্থায় নিরাপদ দূরত্বে সরে পড়ার জন্য। সেজন্য একে বলা হয় জরুরি বহির্গমন পথ।
তবে যেগুলো বাণিজ্যিক ভবন, সেখানে লোকসংখ্যার ভিত্তিতে সিঁড়ির সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এক তলা বাণিজ্যিক বিল্ডিং-এর জন্যও লোকসংখ্যা ৩০০-এর মধ্যে হলে, সেখানে সিঁড়ি দিতে হবে প্রতি ২৩ মিটার পরপর।
প্রশস্ত প্রবেশদ্বার
শপিং মল, রেস্তোরাঁ, বা হাসপাতালের মত ভবনগুলো প্রায় সব সময়ই অধিক লোক সমাগম থাকে। এগুলোর ঢোকার জায়গা বা প্রধান ফটক তিন মিটারের (প্রায় ১০ ফুট) বেশি হতে হবে। অন্যথায় সংকীর্ণ প্রবেশপথের অতিকায় স্থাপনায় প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
জরুরি বহির্গমন পথ এবং ফায়ার এক্সিট লাইট
একটি ভবনে প্রশস্ত প্রবেশপথ যতটা প্রয়োজন তার থেকেও বেশি প্রয়োজন জরুরি বহির্গমন পথ। এ পথে দুর্ঘটনার সময় আত্মরক্ষার জন্য দ্রুত বের হওয়া যায়। এর আরও একটি নাম আছে, আর তা হচ্ছে অগ্নি নির্গমন পথ।
আবাসিক ভবন ছাড়া অন্য যে কোনও ভবনের প্রতি তলায় এই পথ থাকা জরুরি। এগুলোর নির্দেশকগুলো স্পষ্ট এবং সহজে দেখা যায় এমন জায়গায় থাকতে হয়। এই সিঁড়ি পথে বিদ্যুৎ বিভ্রাটেও আলো দেয়ার জন্য লাইটের ব্যবস্থা রাখা হয়, যাকে বলা হয় ফায়ার এক্সিট লাইট।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
পর্যাপ্ত অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রাদি
বিএনবিসি (জাতীয় বিল্ডিং কোড) বিধি অনুযায়ী, ৭ তলার চেয়ে উঁচু ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফায়ার ডিটেক্টর, উচ্চগতির পানি স্প্রে সিস্টেম, স্মোক ডিটেক্টর, এবং ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকা বাধ্যতামূলক।
ধোয়া ও ফায়ার অ্যালার্ম
এই সতর্ক করা ডিভাইসগুলো অগ্নি নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক। কোথাও ধোঁয়া বা আগুন ধরে গেলে এগুলো সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে বেজে উঠে। এতে করে ভবনের প্রত্যেক তলার বাসিন্দারা সতর্ক হয়ে দ্রুত নিচে নেমে আসতে পারে।
ত্রুটিহীন ফায়ার এক্সটিংগুইশার
এই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রটিতে উচ্চচাপে তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড সংরক্ষিত থাকে। আগুন নেভানোর সময় স্প্রে করার মাধ্যমে এই কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
আগুন লাগার সাথে সাথেই ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করলে আগুনকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে ভবনটিতে এই যন্ত্র শুধু থাকলেই হবে না, দেখতে হবে তা ঠিক কোন জায়গায় কিভাবে রাখা আছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
অফিস বা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসরুমের মত হালকা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রতি ৭৫ ফুটে একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকাটা যথেষ্ট।
তবে যে ভবনে রেস্তোরাঁ বেশি, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই দুইয়ের অধিক রান্নাঘর থাকে। সেই সাথে থাকে চর্বি এবং তেলের মত দাহ্য বস্তু থেকে প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপাদনের সম্ভাবনা। তাই এই জায়গাগুলোর প্রতি ৩০ ফুটে একটি করে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বসানো উচিত। এগুলোর উপস্থিতির জন্য হলুদ-লাল রঙ দিয়ে জেব্রা ক্রসিং চিহ্ন খুঁজতে হবে।
সম্ভব হলে সেগুলো ত্রুটিহীন অবস্থায় আছে কি না তাও নিশ্চিত হয়ে নেওয়া যেতে পারে। কেননা ত্রুটিপূর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্প্রে করার সময় বিস্ফারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। খালি চোখে চটজলদি দেখে নেওয়া যেতে পারে এগুলোর সিলিন্ডারের গায়ে কোন ক্ষয় বা ফাটল আছে কিনা। এছাড়া হোস পাইপটির দিকে সুক্ষ দৃষ্টি দিলে চিড় বা লিক চোখে পড়তে পারে।
দেয়াল থেকে বৈদ্যুতিক তার বেরিয়ে থাকা
বর্তমানে প্রায় সব ভবনেই বৈদ্যুতিক কেবল ও তারগুলো দেয়ালের ভেতরে মোটা পাইপ দিয়ে টানা হয়। এগুলোকে বলা হয় ডাক্ট লাইন। অনেক ভবনে দেয়ালে অযাচিত ছোট ছোট গর্তে ক্যাবলগুলো উন্মুক্ত দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় দেয়ালের গর্ত বা ফুটো থেকে বেরিয়ে থাকা ছেঁড়া তার। এই ক্যাবল হোল বা গর্ত দিয়ে ধোঁয়া এবং আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা ভবনে। তাছাড়া তারগুলো কোনোভাবে শরীরের সংস্পর্শে আসাটাও বিপজ্জনক।
আরও পড়ুন: অগ্নি দুর্ঘটনা নিরসনে জাতীয় বিল্ডিং কোড ও ফায়ার কোডের যথাযথ প্রয়োগ কেন জরুরি
সিলিন্ডার রাখার জায়গা
অগ্নিকাণ্ডের খুব স্বাভাবিক কারণগুলোর একটি হচ্ছে সিলিন্ডার থেকে আগুন লাগা। তাই ঘরে বা রান্নাঘরে না রেখে ভবনের নিচে সব সিলিন্ডার একসঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। একই কাজ করা যায় বাণিজ্যিক ভবনগুলোতেও। তবে সেই জায়গাটি এমন হতে হবে যেন বাতাসের চলাচলে কোনও প্রতিবন্ধকতা না থাকে। তাহলে সিলিন্ডার লিক হলেও নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় গ্যাস জমে বিস্ফোরণের কারণ হতে পারবে না।
জায়গাটি পরিদর্শনের সময় খেয়াল করতে হবে প্রতিটি সিলিন্ডার গ্রিলের খাঁচা দিয়ে আবদ্ধ করা আছে কিনা। একটু সন্ধানী দৃষ্টি দিলে আশেপাশে কোনও বিদ্যুতের লাইন বা দাহ্য পদার্থ আছে কিনা তাও চোখে পড়ে যেতে পারে।
ভবনের ভেতরে উপযুক্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা
যে কোনও স্থাপনা নির্মাণের সময় নকশার গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত থাকে উপযুক্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা।
ভেন্টিলেশন বলতে ভবনের ভেতরে বাতাসের অবাধ চলাচলকে বোঝানো হয়। এর উপর সামগ্রিকভাবে ভেতরের তাপমাত্রা নির্ভরশীল।
ফ্লোরগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর সময় দুর্গন্ধ এলে বা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ অনুভূত হলে বুঝতে হবে ভেন্টিলেশন অবস্থা ভালো নয়। বিল্ডিংয়ে পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের অভাব হলে আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ঘরের ভেতরে আদর্শ আর্দ্রতার মাত্রা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে। এই সীমার বাইরে যাওয়া মানেই ঘরটি বাসযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণেই বার বার আগুনের ঘটনা
এছাড়া ঘরের দেয়াল ও ছাতে অত্যধিক ধূলিকণা জমতে দেখা যাবে। এটি মূলত বাইরের গাড়ির নির্গমন, ধূলাবালি, বর্জ্য, এমনকি সুগন্ধি থেকেও হতে পারে। ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা উপযুক্ত না হওয়ায় দূষকগুলো ভেতরে এসে ঠিকভাবে বাইরে বেরুতে পারছে না।
ভবনের ডিজাইন ও উদ্দেশ্য পরিবর্তনের রেকর্ড
নির্মাণের সময় প্রাথমিকভাবে আবাসিক ভবন ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। এতে করে স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্নহয়। কেননা বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশেষ করে রেস্তোরাঁ বানানো হলে তা পূর্বের গ্যাসের লাইন ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। এরপর আবার দৃষ্টিনন্দনের জন্য কাঁচ বসালে ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যা অগ্নি-নিরাপত্তার অন্তরায়। তাই ভবনে প্রবেশের আগে নিরাপত্তার স্বার্থে তার অতীতের রেকর্ড জেনে নেওয়া উত্তম।
ভবন ব্যবহারের অনুমোদনপত্র এবং হালনাগাদকৃত ফায়ার লাইসেন্স
কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার দিক থেকে ভবনের প্রতিটি নিরাপত্তার খুঁটিনাটি যাচাই করা জনসাধারণের জন্য অত্যন্ত দুষ্কর। তবে সাধারণ ভোক্তা শ্রেণির জন্য রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রদত্ত ভবন ব্যবহারের সনদ দেখাটাই শ্রেয়। এর পাশাপাশি প্রতি বছর নবায়ন করা ফায়ার লাইসেন্সটিও দেখতে হবে। এই দু’টি নথি প্রদর্শনে অস্বীকৃতি জানালে বা দেখাতে ব্যর্থ হলে, সেই ভবন নিশ্চিন্তে এড়িয়ে চলা যেতে পারে।
শেষাংশ
পরিশেষে, রেস্তোরাঁ কিংবা শপিং মলে দুর্ঘটনা এড়াতে উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো যাচাই করা বর্তমান প্রেক্ষাপটের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ। সিঁড়ি, প্রবেশ ও জরুরি বহির্গমন পথ, উন্মুক্ত বৈদ্যুতিক তার, এবং সিলিন্ডার পরিদর্শন তাৎক্ষণিকভাবে ভবন সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে পারে। তবে এই সময় সাপেক্ষ ও জটিল কাজটির বিপরীতে সর্বাধিক সহজসাধ্য আইনগত নথি যাচাই। ইতিবাচক দিক থেকে ভবন ব্যবহারের সনদ প্রদর্শন কোম্পানির ব্র্যান্ডিংয়ের সহায়ক হতে পারে। কেননা ভোক্তা সেখানেই যাবেন, যেখানে তার জীবনের নিরপত্তা আছে।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬
জামালপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত
জামালপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে কাকন ও সিনাথ টিকাদার নামে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর কাচারিপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ৭ জন নিহত
নিহত কাকন জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর কাচারিপাড়া গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় কৈডোলা-শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
অপর নিহত সিনাথ টিকাদার পার্শ্ববর্তী ভেলা পিঙ্গলহাটি গ্রামের সুমন টিকাদারের ছেলে এবং একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পিকনিক বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে শাহবাজপুর কাচারি মোড়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন তারা।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত কবীর জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পঠিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পথচারী নিহত
বগুড়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
বগুড়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া সদরের বুজরুকবাড়িয়া এলাকায় এবং বাইপাস সড়কে এই দুর্ঘটনা দুইটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলার গাবতলী উপজেলার পারানীপাড়া এলাকার সুমনের ছেলে মাইনুর ও বৈঠাভাঙ্গা গ্রামের উজ্জ্বলের ছেলে সিফাত।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
সম্পর্কে তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। আর নিহত শাহানা আকতার সোনাতলা সরকারি নাজির আকতার কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার মাইনুর আর সিফাত মোটরসাইকেলে করে বাইপাস সড়কের বড়িয়া বটতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক দুধবাহী একটি লরিকে ওভারটেক করার সময় মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায় দুই ভাই। পরে তাদের পিষ্ট করে আরেকটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় দুই কিশোর।
বগুড়া সদর থানার নারুলী ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, নিহত দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক ও সহকারি পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কুকুর বাঁচাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
আর কলেজছাত্রী শাহানা বালু বোঝাই ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন।
সোনাতলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন জানান, শাহানাকে নিয়ে তার বড় ভাই মোটরসাইকেলে করে কলেজে যাচ্ছিলেন।
চকুড়ি সেতুর কাছে একটি বালু বোঝাই ট্রাকের চাপায় শাহানা আকতার ঘটনাস্থলেই মারা যান। এতে আহত হন তার ভাই।
স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করলেও চালক এবং সহকারী পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনার কবলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাস
সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনার কবলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাস
চট্টগ্রামে নিজ মাঠে খেলতে ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাস। এতে বাসটির সামনের অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা মছজিদ্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কারণ ওই সময় বাসটিতে দলের কোনো খেলোয়াড়-কর্মকর্তা ছিলেন না বলে জানান পুলিশ।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার পথে ছোট কুমিরা এলাকায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের স্টিকার লাগানো একটি বাসের সামনের চাকা ফেটে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরিকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটির সামনের অংশ ও দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাড়িতে কোনো খেলোয়াড় বা কোনো কর্মকর্তা ছিলেন না। শুধু খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম ছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেলে একসঙ্গে ৫টি গাড়ি দুর্ঘটনায় কবলিত
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
শিশুদের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে দূরে রাখতে করণীয়
১১ হাজার ভোল্টের ট্রান্সমিশন কেবলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ৭ বছর বয়সী এক শিশুর। ঘটনাটি কুমিল্লার সংরাইশ নামক একটি এলাকার; ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি)। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোই নয়; দেশের আধুনিক শহরগুলোও মুক্ত নয় এমন নির্মম দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলো যেখানে উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ দ্বারা পরিবেষ্টিত, সেখানে শিশুর খেলার জায়গাটি নিমেষেই পরিণত হতে পারে মরণফাঁদে। এমনকি ঘরের ভেতরটাও এই ঝুঁকির বাইরে নয়। তাই শিশুর নিরাপদ বিচরণক্ষেত্র নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে প্রয়োজন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের।
এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন দেখে নিই, ঘরের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে শিশুর জীবন বাঁচাতে কি কি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।
বৈদ্যুতিক শক থেকে শিশুদের রক্ষা করার উপায়
ঘরের ভেতরে প্রয়োজনীয় সাবধানতা
দেয়ালের বৈদ্যুতিক সকেটগুলো আবৃত রাখা
ঘরের দেয়ালের নিচের দিকে প্রায় সময় দেখা যায় বিদ্যুৎ সংযোগের উৎসগুলো অনাবৃত থাকে। এছাড়া ব্যবহার শেষে প্লাগ খুলে ফেলার পর সেগুলো অনাবৃত অবস্থাতেই রেখে দেওয়া হয়। এগুলো বাচ্চাদের হাতের নাগালেই থাকে। খেলার ছলে এগুলোর ছোট গর্তগুলোতে বাচ্চাদের হাত চলে যেতে পারে। এমন অনর্থ থেকে বাঁচতে বৈদ্যুতিক আউটলেট কভার বা সেফটি প্লাগের আবির্ভাব।
আরও পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
প্লাগগুলো মূলত টু পিং ও থ্রি পিং সকেটের জন্য সামঞ্জস্য করে তৈরি করা হয়। আর কভারের ক্ষেত্রে বর্তমানের অত্যাধুনিক স্লাইডিং আবরণীগুলো ব্যবহার শেষে কোনো অ্যাডাপ্টারের প্লাগ খুলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সকেটটিকে ঢেকে ফেলে। এতে করে বিদ্যুৎ সংযোগের গর্তগুলো আবৃত হয়ে যায় এবং তাতে বাচ্চাদের হাত পড়লেও কোনো বিপদের আশঙ্কা থাকে না।
বিদ্যুতের কেবলগুলো গুছিয়ে রাখা
শুধু নিরাপত্তার জন্য নয়, ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে কেবল অর্গানাইজার। এলোমেলো করে ছড়ানো-ছিটানো কেবল বা তারগুলোতে বাচ্চাদের ছোট ছোট হাত-পা জড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে চঞ্চল শিশুরা ছুটে বেড়াতে যেয়ে এগুলোতে পা জড়িয়ে পড়ে যেয়ে আঘাত পেতে পারে। আর কোনো একটিতে ছোট্ট কোনো চিড় বা লিকেজ থাকলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই নিদেনপক্ষে দড়ি বা ফিতে দিয়ে কেবল বা তারগুলোকে বেধে পরিপাটি করে রাখা উচিৎ।
তাছাড়া এখন অধিকাংশ ইলেকট্রনিক পণ্যের সঙ্গে এগুলোর কেবল গুছিয়ে রাখার জন্য ছোট ছোট প্লাস্টিকের তার সরবরাহ করা হয়। এগুলোর যথাযথ সদ্ব্যবহার করে তার বা কেবলগুলো আড়াল করে রাখা উচিৎ। কর্ড সংগঠক ব্যবহার করে বা অতিরিক্ত কর্ডের দৈর্ঘ্য বেঁধে দড়িগুলোকে সংগঠিত এবং নাগালের বাইরে রাখুন। এটি দড়িতে ছিটকে যাওয়ার বা টানার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাস সতর্কতা: কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ঝুঁকি
ওভারলোড না করা
একটি আউটলেটে একাধিক ডিভাইস ব্যবহারের উপায় থাকলেও তার সুবিধা নেওয়া উচিৎ নয়। বিশেষ করে উচ্চ পাওয়ার রেটিংয়ের বৈদ্যুতিক আসবাব একটি আউটলেটে একটির বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে আউটলেটগুলো অতিরিক্ত গরম হয়ে সকেটের পেছনে তার বা আসবাবের কেবল পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া শর্ট সার্কিট হলে একসঙ্গে একাধিক যন্ত্র নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
বিদ্যুতের প্রতিটি সংযোগের ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করা
ঘরের প্রতিটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা রুটিন মাফিক যাচাই করা হলে সময় মতো ত্রুটিগুলো চোখে পড়বে। এতে করে যন্ত্রপাতিগুলো রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় থাকবে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হবে প্রত্যেকটির নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহার। আর ঘরের ভেতরে শিশুর খেলার জায়গাটিও হবে ঝুঁকি মুক্ত।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদিকে কোনোভাবেই পানির সংস্পর্শে না আনা
রান্নাঘর ও টয়লেটের বৈদ্যুতিক আউটলেটগুলোকে কোনোভাবেই ভেজা রাখা যাবে না। প্রয়োজনে নিয়মিত শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে রাখতে হবে। দিনের অধিকাংশ সময়ই এই স্থানগুলোতে পানির কাজ থাকে। ফলে যে কোনো ভুলে মেঝেতে পানি পড়ে তা গড়িয়ে চলে আসতে পারে ডাইনিং বা অন্যান্য ঘরগুলোতে। পরিণতিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে শিশুর খেলে বেড়ানোর জায়গাটি।
ফ্রিজ বা ওভেনের মতো উচ্চ ভোল্টেজের যন্ত্রপাতির পেছনের স্থান কোনোভাবেই যেন পানির সান্নিধ্যে না আসে। এগুলোর কেবলে হঠাৎ পানি লেগে গেলে দ্রুত পাওয়ার অফ করে শুকনো কাপড় দিয়ে তা মুছে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থী নিহত
মুন্সিগঞ্জের বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অভিজিৎ হওলাদার নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জৈব রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা রাণী হাওলাদার নামে আরেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের ফুটপাতগুলোয় শীতের কাপড় বিকিকিনিতে ধুম
নিহত অভিজিৎ হাওলাদার পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার মঠবাড়িয়া গ্রামের রতন হাওলাদেরর ছেলে। আহত রাণী হাওলাদার একই এলাকার উত্তম হাওলাদারের মেয়ে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার সিংহ জানান, দুপুর ১২টার দিকে বান্ধবীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে মাওয়া থেকে ঢাকা ফিরছিলেন অভিজিৎ। পথে বঙ্গবন্ধু টোল প্লাজার সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান অভিজিৎ।
তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত বান্ধবীকে প্রথমে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিডফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
আরও পড়ুন: শীতে সীমাহীন কষ্টে লালমনিরহাটের মানুষ, দেখা নেই সূর্যের
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
খুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় রূপম হালদার আফসান নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় খুলনা-চালনা মহাসড়কের সিলিন্দামারি কারিগরি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
নিহত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রূপম ৩নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম হালদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রূপম মোটরসাইকেলে তার চাচাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে এবং আরও তিনটি মোটরসাইকেল একযোগে খুলনা থেকে কাতিয়ানাংলার তার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বাসচাপায় যুবক নিহত
তাদের চারটি গাড়ির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছিল তাদের মধ্য থেকে একটি গাড়ির প্রতিযোগিতার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করছিল বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন কুমার সরকার জানান, সিলিন্দামারি কারিগারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামক স্থানে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হলে গাড়িতে থাকা দুইজন আহত হন।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রূপমকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, তার চাচাতো ভাই রিশাদ হালদার গুরুতর আহত অবস্থায় সিটি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ২০