সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে বরযাত্রীবাহী গাড়ি দুর্ঘটনায় ৩ শিশু নিহত
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বরযাত্রীবাহী গাড়ীর আরোহী তিন শিশু নিহত ও কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডাবর পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হল- জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের পুতুল দাসের ছেলে খোকন দাস (২), সমীরণ দাসের ছেলে নিলয় দাস (৯) এবং লিপু চন্দের ছেলে প্রণব চন্দ (৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রাম থেকে বরযাত্রী দল শান্তিগঞ্জের পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে তারা নোহা মাইক্রোবাসে করে বাড়ির পথে রওনা হন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ডাবর পয়েন্টে দ্রুতগতির নোহা মাইক্রোবাসটি রাস্তার ওপর পার্কিংয়ে থাকা মালবাহী বিকল ট্রাকের পেছন ধাক্কা দেয়। এতে নোহা মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গাড়ীর ছাদ উড়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এ সময় মাইক্রো বাসে থাকা ১১ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশু খোকন, নিলয় এবং প্রণবকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশীষ ধর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৮
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পিকআপ ভ্যান চালক-হেলপার নিহত
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছেন কয়েক হাজার বালি-পাথর শ্রমিক। শুক্রবার দুপুর ১২ টায় তাহিরপুর নৌকাঘাট এলাকা থেকে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার শ্রমিক ঝাড়ু হাতে নিয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তারা তাহিরপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যাদুকাটা নদীর শ্রমিকদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বালু মহালটি বন্ধ করে দেয়ার বহুমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। এ লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করে শ্রমিকদের হয়রানি করে যাচ্ছেন।
এই মহালটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। মহালটি বন্ধ থাকায় দু’টি উপজেলার লক্ষাধিক শ্রমিক দীর্ঘ দুই বছর বেকার হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। সম্প্রতি মহালটি চালু হওয়ায় হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যাদুকাটা নদীর বালু মহাল বন্ধ করে দেয়ার পাঁয়তারা সফল হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে।
এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা আব্দুস ছাত্তার, আব্দুল জলিল, মনাই মিয়া, আলী হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
সুনামগঞ্জে লেগুনা মালিক সমিতির উদ্যোগে সড়ক সংস্কার
সুনামগঞ্জে আঞ্জু হত্যা: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
হাওরে পানি কমার সাথে সাথে বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত কৃষকরা
হাওরের পানি কমার সাথে সাথে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি ও চারা উৎপাদনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনামগঞ্জের কৃষকরা। তবে গত বছরের চেয়ে এবার বীজ ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
এ বছর জেলায় হাইব্রিড, স্থানীয় উফশী মিলে ১০ হাজার ৬১২ হেক্টর বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। আর বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমি।
কৃষি বিপণন কার্যালয় জানায়, এবার হাইব্রিড, স্থানীয় উফশী মিলে ৪ হাজার ৩৭৯ মেট্রিক টন বীজ ধান বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। বোরো মৌসুমের শুরুতে দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, কুমিল্লা, পাবনা ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ ও সিলেটের সরকারি বীজ প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার বস্তা বীজ নিয়ে সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকায় আসছেন ট্রাকচালকরা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত বীজ ধান বড় ট্রাক থেকে ছোট ট্রাকের মাধ্যমে ২০২ জন বীজ ডিলারের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত ঠেকাতে হাওরে হবে এক হাজার ছাউনি
সদর উপজেলার হাছনবসত গ্রামের কৃষক আনফর আলী বলেন, ‘গেলবার ব্রি ২৮ জাতের বীজ ধানের চাষি পর্যায়ে মূল্য ছিল ৩৯০ টাকা, আর এবার ৫০০ থেকে ৫৩০ টাকা। ব্রি ২৯ জাতের দাম ছিল ৩৮০ টাকা এবার ৪৯০ থেকে ৫২০ টাকা।’
একই গ্রামের কৃষক মনির উদ্দিন বলেন, ‘ইবার (এবার) হালি ধানের দাম বেশি। সরকার ডিজেলের দামও বাড়াইছে (বাড়িয়েছে)। গেলবার থাকি (থেকে) এবার গিরস্থির (চাষের) খরচ বেশি হইবো। বৈশাখ মাসে ধানের দাম পাওয়া যায় না। কার্তিক মাসে গিরস্থির লাইগ্গা (জন্য) ভারাল (গোলা) খালি কইরা ধান বিক্রি করছি। এভাবে চললে আগামীতে কেউ ক্ষেতকিষি (চাষ) করতো না।’
বীজ ডিলার সাহেদ আলী জানান, বোরো মৌসুম শুরু হওয়ায় বীজ ধানের চাহিদা বেশি।
সুনামগঞ্জ বীজ বিপনণ কেন্দ্রের উপসহকারী পরিচালক আমিনুর রহমান বলেন, এখন বোরো মৌসুম শুরু হয়েছে। সারা জেলার ডিলারদের সুনামগঞ্জ থেকে বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। আজ পর্যন্ত ১০১ জন ডিলার বীজ উত্তোলন করেছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেন, এতো আগে বীজ ধান ফেললে কোল্ড ইনজুরির শিকার হতে পারে। তাই আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের এখন বীজ তলায় বীজ ফেলতে নিষেধ করছি। আরও ১৫ দিন পর বীজ ফেলার আহ্বান জানিয়েছি।
জেলায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ছোট, বড়, মাঝারি ও প্রান্তিক কৃষক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিকলী হাওরে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার
হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে: মন্ত্রী
সুনামগঞ্জে লেগুনা মালিক সমিতির উদ্যোগে সড়ক সংস্কার
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কান্দাপাড়া-জয়শ্রী সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় লেগুনা মালিক সমিতি। সপ্তাহখানেক ধরে সমিতির লোকজন নিজস্ব অর্থায়নে সড়কের সংস্কার কাজ করছে।
আগামী কিছু দিনের মধ্যে ধর্মপাশা থেকে জয়শ্রী পর্যন্ত লেগুনা চলাচল শুরু হবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আরটিআইপি) প্রকল্পের আওতায় ২০০৭ সালে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ কিলোমিটার ও পরবর্তীতে ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫.১ কিলোমিটার সড়কের কাজ করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আঞ্জু হত্যা: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় এ সড়কের কান্দাপাড়া থেকে জয়শ্রী পর্যন্ত সাত কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় চার কিলোমিটারই পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে জয়শ্রী ইউনিয়নবাসীসহ সুখাইড় রাজাপুর উত্তর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও সুনামগঞ্জগামী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কান্দাপাড়া থেকে জয়শ্রী বাজার পর্যন্ত সড়কের মাটি হাওরে বিলীন হয়ে গেছে। ব্লকগুলো এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। সড়কের চারটির সেতুর উভয়পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। জয়শ্রী বাজার সংলগ্ন সেতুটি পুরোপুরি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কান্দাপাড়া ঢালা ও তার অদূরে পূর্ব দিকের সেতুর উভয়পাশে মাটি ফেলে কোনো রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে লেগুনা মালিক সমিতি।
লেগুনা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, ‘বিকল্প সড়ক না থাকায় প্রত্যেক বছরই নিজস্ব অর্থায়নে আমরা সড়ক সংস্কার কাজ করে লেগুনা চালাই। সড়কটির বেহাল দশার কারণে বৈশাখে কৃষকেরা ধান বাজারজাত করতে পারেনা। আমরা দুইবার সড়ক সংস্কারের জন্য সরকারি টাকা পেয়েছি। আমাদের লেগুনা চালানোর স্বার্থে লাখ টাকার ওপরে খরচ করে সড়কটি সংস্কার করতে হয়। সড়কটি সংস্কার করতে ২০-২৫ দিন সময় লাগে। আমরা সরকারি সহযোগিতা কামনা করি।’
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আরিফ উল্লাহ খান বলেন, ‘এ সড়ক মেরামতের জন্য প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে। লেগুনা মালিক সমিতি প্রতি বছরই সড়কে কাজ করে। আমাদের কাছে তারা সাহায্য চেয়েছে। কাজের মান ভালো হলে আমরা বিষয়টি দেখবো।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ বন্ধু নিহত
চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বাস ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে আঞ্জু হত্যা: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
সুনামগঞ্জে আঞ্জু মিয়া হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হলেন- আবদুর রহিম, এরশাদ মিয়া, জুলহাস, এমরান মিয়া ও মহরম আলী। আসামিদের সকলের বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মোদেরগাঁও গ্রামে।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। পরে বশির আহমেদ পাঁচ আসামির ফাঁসি বহালের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্র জানায়, তাহিরপুর উপজেলার সুন্দরপাহাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আঞ্জু মিয়ার সাথে আসামিদের পূর্ব বিরোধ ছিল। ২০০৬ সালের ১৫ নভেম্বর সকালে আসামিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আঞ্জু মিয়ার ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
ওইদিনই আঞ্জু মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম তাহিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে পুলিশ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল আঞ্জু মিয়া হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রণয় কুমার দাশ এ দণ্ড দেন।
মামলার অন্য ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। একই সঙ্গে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। সোমবার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: রংপুরে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ
প্রতারণার মামলা: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
সাবেক এমপি আউয়ালকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
আনন্দে কৃষক, জগন্নাথপুরে আমন ধান কাটা শুরু
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আমন ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। ধানে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে। তবে এবার আমন ধান রোপনকালে অনেক দুর্ভোগের শিকার হন কৃষকরা। অনেকে আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে নমুনা ধানও কাটা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
এব্যাপারে কৃষকরা জানান, প্রথমে ধান রোপনকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে জমি তলিয়ে গিয়ে নিচু এলাকার অনেকের জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবার দ্বিতীয় বার রোপন করতে হয়েছে। অনেকে আবার তৃতীয় বারও রোপন করেছেন। বারবার জমির ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হলেও হাল ছাড়েননি হার না মানা কৃষকরা। তারা আবারো ধান রোপন করেছেন। এখন জমিতে বাম্পার ফলন দেখে তাদের সকল কষ্ট যেন স্বার্থক হয়েছে।
তারা জানান, এবার এক সাথে ধান কাটা শুরু হয়নি। প্রথমে যাদের ধান নষ্ট হয়নি, শুধু তাদের ধান কাটা শুরু হয়েছে। পরে রোপনকৃত ধান এখনো কাটা শুরু না হলেও জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে আংশিক আমন ধান কাটা চলছে। আরও কিছু দিন পর পুরোদমে ধান কাটার ধুম পড়বে।
যদিও প্রতি বছরের মতো এবারো সরকারি সহায়তা ও সার্বক্ষণিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের জমি আবাদে সাহস জুগিয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আমন ধান সংগ্রহ নিয়ে শঙ্কা
ধানকাটা অনুষ্ঠানে সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অতিরিক্ত পরিচালক দিলিপ কুমার অধিকারী, জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার, উপ-সহকারি কর্মকর্তা রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার জানান, এবার জগন্নাথপুর উপজেলায় ৯ হাজার ৪৩০ হেক্টর আমন জমি আবাদ হয়েছে। এবার সরকারি ভাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন ধান। তবে সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষকরা সাহসিকতার পরিচয় যাচ্ছেন। যার ফলে বাম্পার ফলন উঠছে কৃষকদের গোলায়।
স্কুল কমিটি নিয়ে জগন্নাথপুরে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০, গ্রেপ্তার ১৪
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে স্কুল কমিটিতে নাম রাখা না রাখা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (০১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জেলার জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ইসহাকপুর গ্রামে সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন-নোমান আহমদ, আবদুস সালাম, শমসের উদ্দিন, জাকির আহমদ, নুর আলম, ইউনুছ মিয়া, জুবেল। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নুর আলম, ফরুক আহমদ, সুজন মিয়া, আলী নুর, শাহ আলম, জাকির আহমদ, সিজিল উল্লাহ, আংগুর মিয়া, হেলাল মিয়া, রুবেল মিয়া, নজরুল ইসলাম, মনর আলী, সফু মিয়া ও আবদুল আউয়াল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ বন্ধু নিহত
জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে ইসহাকপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটিতে নাম রাখা ও না রাখা নিয়ে গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী উস্তার গণি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে উত্তেজনা হলেও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অবশেষে ১ নভেম্বর রাত প্রায় সাড়ে ১০ টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর খলিলুর রহমান জানান, সংঘর্ষে তাদের পক্ষে দুইজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযানে পাঁচটি সুলফি, ৩৯টি সুপারি গাছের শলা, একটি ত্রিশুল, ছয়টি লাঠি ও তিনটি ঢালসহ উভয় পক্ষের আহতসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার এসআই আবদুস ছত্তার জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
আরও পড়ুন:সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মদসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ
সুনামগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস পানিতে ডুবে নিহত ১
সুনামগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ বন্ধু নিহত
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিন বন্ধু নিহত হয়েছে। বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ সিলেট আঞ্চলিক সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ আরোহী নিহত
নিহতরা হলেন, জাউয়াবাজার ইউনিয়নের কৈতক গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে রিদয় হোসেন (২০), আক্সগুর মিয়ার ছেলে লায়েক আহমদ (২০) ও একই গ্রামের সাদিকুর রহমানের ছেলে জামিল মিয়া (২০)।
আরও পড়ুন: গৌরনদীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ ভাইয়ের মৃত্যু
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন জানান, রাত ১০টার দিকে সুনামগঞ্জ যাওয়ার সময় অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বাস্তবে জীবিত হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা মৃত!
সুনামগঞ্জের ছাতকে তিনজন মেম্বার প্রার্থীর কপাল মন্দ। দু’জন মেম্বার প্রার্থী জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা ‘মৃত’ এবং একজন প্রার্থীর নিজ ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ভোট স্থানান্তর করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে সংশোধনের জন্য প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচন ও ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। ফলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া তাদের অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন ঘটনায় এলাকার সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলছে।
আরও পড়ুন: তিন দশক গান গেয়েই চলছে অন্ধ বাউলের সংসার
এনআইডি কার্ড চেক যাছাই করে জীবিত মানুষদেরকে মৃত বিষয়টি প্রার্থীরা যেমন সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন তেমনি নির্বাচন অফিসের দায়িত্বশীলদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
এই বিষয়ে গত রবিবার ছাতক উপজেলা নির্বাচন কমিশনার বরাবরে পৃথক তিনটি অভিযোগ করেছেন আলী আহমদ, কমর আলী ও ছিদ্দেকুর রহমান নামের তিনজন ভুক্তভোগী।
উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ব্রাক্ষণগাঁও গ্রামের মৃত আসক আলীর ছেলে মো. আলী আহমদের অভিযোগ, ২০১৬ সালে সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী হিসেবে ৮নং ওয়ার্ডে তিনি নির্বাচন করার ইচ্ছা করেছিলেন। এ বছরও তার আগ্রহ ছিল নির্বাচনে অংশ নেয়ার। কিন্তু গত ১ জুলাই গোবিন্দগঞ্জ পূবালী ব্যাংক শাখায় একাউন্ট করতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান তার (৯০১২৩৮৫৫৭৬১৭৪) জাতীয় পরিচয়পত্রটি অনলাইনে দেখাচ্ছে না। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে মৃত দেখিয়ে পরিচয়পত্রটি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি
ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ব্রাক্ষণগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল আউয়ালের ছেলে মো. কমর আলী’র জাতীয় পরিচয়পত্রেও তাকে মৃত দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে। তার অভিযোগে, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। সম্প্রতি করোনার টিকার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (৯০১২৩৮৫৫৭৬৩০৯) নিয়ে নিবন্ধন করতে গেলে তা হয়নি। পরে ওই কার্ড নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাওয়ার পর জানতে পারেন তিনি মৃত! এ জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চাকল পাড়া গ্রামের মো. আবদুল আমিনের ছেলে মো. ছিদ্দেকুর রহমানের ৯নং ওয়ার্ডে ভোট স্থানান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাচন কমিশনে পৃথক একটি অভিযোগে উল্লেখ করেন, এ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্বাচন করার জন্য তিনি কাজ করছেন। কিন্তু গত ৯ অক্টোবর একটি ফরম পূরণ করতে গেলে জানতে পারেন তিনি ৭নং ওয়ার্ডের ভোটার নন! একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বেরাজপুরে তার ভোট স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাকে নির্বাচনে প্রার্থী থেকে বঞ্চিত করার জন্য বর্তমান জনপ্রতিনিধিসহ নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে এমন কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রমাকান্তরা আবার স্কুলে যেতে চায়
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান জানান, এমন কাজের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তদন্তের মাধ্যমে অন্যায়কারীদের চিহিৃত করে দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তি হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
প্রার্থীদের অভিযোগের কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়েজুর রহমান জানান, এগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় শিশুসহ নিহত ২
সুনামগঞ্জের ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় থাকা শিশুসহ দুই জন নিহত হয়েছে। রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে সড়কের ঝাওয়ার খাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিন যাত্রী। তাৎক্ষিণকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন। তিনি জানান, ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জমুখী যাত্রীবাহী ফোরস্ট্রোক সড়কের ঝাওয়ারখাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাকের ধাক্কায় ফোরস্টোকটি উল্টে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ফলে ওই সড়কে প্রায় ঘন্টাব্যাপী যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিশু নিহত
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় দাদা-নাতি নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে হট এয়ার বেলুন দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ৫