সুনামগঞ্জ
জগন্নাথপুরে সন্দেহজনক ‘জঙ্গি আস্তানা’ ঘিরে রেখেছে পুলিশ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সন্দেহজনক ‘জঙ্গি আস্তানা’ ঘিরে রেখেছে পুলিশ। রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার আষাঢ়কান্দি ইউনিয়নের ফেচী আটঘর এলাকার ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার রাফির ৭ দিনের রিমান্ড
সুনামগঞ্জ (জগন্নাথপুর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভাশিস ধর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পরিত্যক্ত বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সকালে পুলিশের একটি দল বাড়িটি ঘিরে ফেলে।
বাড়ির মালিক সিলেট নগরীর বাসিন্দা বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে আল কায়েদা অনুপ্রাণিত ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
দুই জঙ্গির পলায়নকে 'ব্যর্থতা' বলেছেন র্যাব মহাপরিচালক
সুনামগঞ্জে জেঁকে বসেছে শীত, কাবু হাওড়পাড়ের মানুষ
গত কয়েকদিন ধরে সুনামগঞ্জ জেঁকে বসা তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পরেছে। দিনের বেলায় কিছুটা সহনীয় হলেও, রাতের বেলা শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। ফলে শীতে কাবু সুনামগঞ্জের হাওড় পাড়ের মানুষ।
শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
নিম্নআয়ের মানুষ ফুটপাতে দোকান থেকে শীত নিবারণের জন্য সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার কিনছেন। এছাড়া অনেকেই পুরান শীতের কাপর পরেই শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
এদিকে শহরের হতদরিদ্ররা নানাভাবে সহায়তা পেলেও গ্রামের মানুষেরা শীতবস্ত্রের অভাবে ভীষণ কষ্টে আছে। এক কম্বলে চারজন ঘুমাচ্ছেন, এমন অবস্থাও আছে কোন কোন পরিবারে।
সুনামগঞ্জ শহরতলির সরদাবাজ গ্রামের দিনমজুর বিকাশ রঞ্জন দাস ও রেখা রানী দাসের পাঁচ ছেলে মেয়ে। জুনের ভয়াবহ বন্যায় গলা সমান পানি ছিল এই দম্পত্তির বসত ঘরে। বিছানাপত্র-থালাবাসন সবই ভেসে যায় ঢলে। একজনের রোজগারে চলা টানা-পোড়েনের সংসারে ছেলে মেয়ের পড়াশুনা খরচ যুগিয়ে কোনভাবে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে তারা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, শীতের তীব্রতায় কাঁপছে মানুষ
তিনদিন শীতের সঙ্গে লড়াই করে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে এই পরিবারের সদস্যরা।
রেখা রানী দাস বলেন, এলাকার মেম্বারে দুই- তিন দিন আগে একখান (একটা) কম্বল দিছলা (দিয়েছিলেন), আরেকজনে (অন্য একজন) দিছলা (দিয়েছিলেন) আরেক কম্বল। এই দুই কম্বল দিয়াই চাইর (চার) পুয়া পুরি (ছেলে মেয়ে) আর আমরা দুইজন কোনভাবে ঘুমায়রাম।
তিনি বলেন, এক পুরি মামার বাড়িতে আছে। কয়েকদিন ধইরা তিন পুরি লইয়া এক কম্বল দিয়া আমিসহ চাইর জন ঘুমানি লাগের (ঘুমাতে হয়)। বাইচ্ছাইনতের (ছেলে মেয়ের) বাবায় পুয়ারে লইয়া আরেক কম্বল দিয়া ঘুমাইন। কেউরই (কারোরই) শীত কুলায় না (রক্ষা হয় না), কিতা করমু (কি করবো) উপায়তো নাই (কোন ব্যবস্থা নাই)। ঘরের ভাঙা বেড়াগুড়া দিয়াও শীত হামায় (ঢুকে), কেমনে শীত যাইতো।
বিকাশ ও রেখা রানীর মত বিপদাপন্ন অবস্থা হাওরপাড়ের গ্রামে গ্রামে। বিশেষ করে গেল জুনের বন্যায় ঢল যেসব এলাকা দিয়ে গেছে, এসব গ্রামের মানুষের বেহাল অবস্থা।
সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতকের বেশিরভাগ এলাকাতেই এখন এমন বিপদ।
সুনামগঞ্জ শহরের বড়পাড়ার বাসিন্দা নুরুল আমিন ও পিয়ারা খানম বন্যার পরবর্তী সময়ে বসতঘরের ছাল ছাড়া কিছুই পান নি।
নুরুল আমিন ফুটপাতে বসে সামান্য লেবু বিক্রয় করে সংসার চালান। সরকারি সহায়তার কিছু টাকা দিয়ে তিনি একটি লেপ কিনেছিলেন।
পিয়ারা খানম বলেন, এক লেপ দিয়া (দিয়ে) কিলাখান (কেমনে) চাইর পুয়া-পুরিরে লইয়া ঘুমাইতাম কইন (বলেন) ভাই।
সুনামগঞ্জ শহরতলির কোরবাননগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বরকত বলেন, শীতের তীব্রতায় বিপদে পড়েছেন দরিদ্র মানুষেরা। গেল বন্যায় সবকিছু হারানো এসব মানুষ একটি কম্বল নেবার জন্য বার আসছেন আমাদের অফিসে।
ইউনিয়নের সকল গ্রামে কম্বল বিতরণ করতে তিন হাজার কম্বল প্রয়োজন, আমরা পেয়েছি তিনশ। লুকিয়ে এসব কম্বল বিতরণ করতে হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফীকুল ইসলাম বলেন, শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় এবার বহু মানুষের বিছানাপত্র-ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। এই জেলায় অতিরিক্ত কম্বল বরাদ্দের জন্য তিনবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত কোন বরাদ্দ এখনো পাওয়া যায় নি। রুটিন বরাদ্দের ৪৫ হাজার ১০০ কম্বল ১২ উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
এরমধ্যে তাহিরপুরে তিন হাজার পাঁচশ, জামালগঞ্জে তিন হাজার, ধর্মপাশায় তিন হাজার, শাল্লায় দুই হাজার, দিরাইয়ে চার হাজার, শান্তিগঞ্জে চার হাজার, সুনামগঞ্জ সদরে পাঁচ হাজার, বিশ্বম্ভরপুরে দুই হাজার পাঁচশ, ছাতকে ছয় হাজার পাঁচশ, দোয়ারাবাজারে পাঁচ হাজার, মধ্যনগরে দুই হাজার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ছয়শ’ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সব উপজেলারই কম্বল বিতরণ শেষ প্রায়।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ৪৫ হাজার ১০০ শীতবস্ত্র পেয়েছি। সেগুলো উপজেলায় উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ইতোমধ্যে চিঠি লিখেছি, বাস্তবতা বিবেচনা করে আরও শীতবস্ত্র পাঠানোর জন্য।পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো বিতরণ করা হবে।
এছাড়াও শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণে যারা বিত্তবান আছেন তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, জুনের ভয়াবহ বন্যার ঢলের পানিতে অনেক বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে। অনেকের ঘরের কাঁথা-বালিশ ভেসে গেছে, নষ্ট হয়েছে। মানুষ এখনো বসতঘর মেরামত করতে পারেনি। শীতের কনকনে বাতাস ঘরে ঢুকছে। কেতা-কম্বলও নেই।
তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় এই জেলার জন্য কম্বলের বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। এখনো পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে। আমরা বিতরণ করেছি। কিছু মানুষের উপকার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান উন্নত করতে পারেনি শীতকালীন বৃষ্টি
কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ
সুনামগঞ্জে ‘চোরাই’ওষুধসহ হাসপাতাল কর্মচারী আটক
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের এক কর্মচারীকে ‘চোরাই’ এক লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ পাচারকালে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আটক মোস্তাফিজুর রহমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার)।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় জামায়াতের গণমিছিল থেকে আটক ১৬
পুলিশ জানায়, জেলা সদর হাসপাতালের স্টোর রুম থেকে ওষুধ চুরি করে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ময়নার পয়েন্ট এলাকায় তার বাসায় রাখার সময় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার টহল পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন।
সদর হাসপাতালের স্টোরকিপার সোলেমান আহমদের মুঠোফোনে বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশের হাতে ওষুধসহ গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর রহমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স।
তিনি বলেন, এক লাখ সত্তর হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ পাচারকালে আটক করা হয় মোস্তাফিজুর রহমানকে। বৃহস্পতিবার তাকে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি যেহেতু দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় এবং আটক ব্যক্তি সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, সেহেতু পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ১৯১ টি চোরাই মোবাইল জব্দ, আটক ৩
৭টি ওয়ান শুটার গানসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক
বাউল কামাল পাশার ১২১তম জন্মবার্ষিকী পালিত
সুনামগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত ৫৫টি গান পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে গানের সম্রাট মরহুম বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) এর ১২১তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধে ট্যাকেরঘাট সাবসেক্টরের যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ এর সভাপতি মহিবুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন-জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম.এ শাহিদ, জেলা কৃষকলীগ নেতা শাহ আলম সেরুল, ছাদিকুর রহমান ছাদিক, সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষ, গীতিকার শাহিনা জালালী পিয়ারা, গীতিকার আব্দুল আজিজ চৌধুরী, গীতিকার নির্মল কর জনি ও গীতিকার সামসুল আলম।
মঙ্গলবার থেকে দু’দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাউল কামাল পাশা রচিত ৫৫টি দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন বাউল কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বাউল তছকীর আলী, বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল, বঙ্গবন্ধু সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি বাউল শাহজাহান সিরাজ, সাংবাদিক রাজু আহমদ রমজান, বিটিভি শিল্পী তুলিকা ঘোষ চৌধুরী, বাউল ফারুক আহমদ, বাউল আমজাদ পাশা, বাউল শফিকুন নূর, বাউল এখলাছ দেওয়ান, বাউল জুবায়ের বখত সেবুল, বাউল বিভাষ দে, শিল্পী রাসেল আহমদ, তারিফ মিয়া, পূর্ণিমা শুক্ল বৈদ্য, শাহীন আলম ও শিশু শিল্পী প্রীতি মন্ডলসহ স্থানীয় শিল্পীরা।
উল্লেখ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশের সর্বপ্রথম সংগীত রচয়িতা বাউল কামাল পাশা ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলার দিরাই থানার রাজানগর স্কুল প্রাঙ্গনেপরিবেশন করেন ‘শেখ মুজিব কারাগারে আন্দোলন কেউ নাহি ছাড়ে/সত্যাগ্রহে এক কাতারে সামনে আছেন সামাদ ভাই/ঢাকার বুকে গুলি কেন নুরুল আমিন জবাব চাই’শীর্ষক দেশাত্ববোধক গানটি।
তিনি ১৯০১ সালের ৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ এবং ১৯৮৫ সালের ৩রা মে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
কবি নজরুলের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী বুধবার
সুনামগঞ্জে তিন ভারতীয় যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধভাবে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের সময় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তিন ভারতীয় যুবককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের পাশ্ববর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সাইপ্রাস থানার কালাটেক গ্রামের লিটন দাস (২৫), সুরঞ্জিত দাস (২৮) ও সাদব দাস (৩০)।
মাদক মামলায় তিন ভারতীয় যুবককে কারাদণ্ড প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ সোহেল মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত থেকে তিন হাজার ৯৭০ পিস ইয়াবা ও এক বোতল ভারতীয় মদসহ ভারতীয় ওই তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে র্যাব সিলেট অফিসের সদস্যরা। এই ঘটনায় দোয়ারাবাজার থানায় মামলা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ইয়াবা জব্দের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন বলেও জানা যায়।
পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে বাসশ্রমিকরা
সুনামগঞ্জে কর্মবিরতি শুরু করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার বাস টার্মিনাল সংস্কার ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে রাত থেকে সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন।
এ কারণে সুনামগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাসসহ কোনো বাস চলছে না। ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ। দুই একটি বাস ছাড়া সব বাস সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যাত্রীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়ার জন্য এসে বাস বন্ধ দেখে বেকায়দায় পড়েছেন। অনেকেই টিকিট নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু কাউন্টারে আসার পর টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ চেষ্টা করছেন সিলেটে যাওয়ার। কিন্তু তাও পারছেন না।
জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেজাউল কবির বলেন, আমাদের কোনো বাসস্ট্যান্ড নেই। এছাড়া বাস রাখার পর্যাপ্ত কোনো জায়গা নেই। তাই বাস সড়কে রাখতে হয়। সড়ক ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই, যেখানে বাস রাখা যাবে। যার জন্য আমাদের বাস আটক করেছে পুলিশ। এমনকি শ্রমিকদের হয়রানিও করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্ট যানজট থেকে সড়ক মুক্ত রাখতে এবং বাসের বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পাড়ায় বাস আটক করা হয়েছে। অবৈধ পার্কিং এবং বৈধ কাগজ না থাকায়
শ্যামলী, মামুন, সাকিল পরিবহনের তিনটি বাস আটক আছে বলেও জানানো হয়।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, সড়কের দুই পাশে বাস রাখায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, যানজট হচ্ছে। জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির প্রতিটি সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। অনেকেই এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এ অবস্থায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি বাস পুলিশ লাইনসে এনে রাখা হয়েছে। এ কারণে কর্মবিরতি ডেকে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যুক্তিযুক্ত হবে না।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোগান্তি যাতে না হয়, এ জন্য বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: ফের ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
সুনামগঞ্জে ২ দিনের বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে যাত্রীরা
সুনামগঞ্জে চার দফা দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির ডাকে দুইদিনের বাস ধর্মঘট চলছে। সকাল ৬ টা থেকে এই ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, বাস ধর্মঘটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আসা-যাওয়া যাত্রীরা।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির দাবি অনুযায়ী, তাদের চার দফা দাবির মধ্যে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজি সেতুতে বাসের টোল প্রত্যাহার, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও নিবন্ধনহীন সিএনজি বন্ধ, বিআরটিসি বাস বন্ধ এবং সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনাল সংস্কার করে আধুনিকায়নের দাবিতে এই ধর্মধটের ডাক দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির সমাবেশের দিন বাস ধর্মঘট
নৌ চলাচল বন্ধের পর এবার ভোলা-বরিশাল রুটে বাস ধর্মঘট
বরগুনায় বাসমালিকদের ২ দিনের বাস ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে আ.লীগের সম্মেলনের সঙ্গে কারও মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বলেছেন, আরমান নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আয়োজিত দলীয় সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাদের বলেন, ‘তিনি (আরমান) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, এতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের ২৯তম সভায় যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
সোমবার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজমল হোসেন চৌধুরী ওরফে আরমান নামে ২৭ বছর বয়সী এক যুবক নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল এবং সোমবার অনুষ্ঠান চলাকালে সম্মেলনের মঞ্চে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহত অবস্থায় আরমানকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে বিকালে তার মৃত্যু হয় বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লড়াই করছে: কাদের
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ১৭টি সেতুর উদ্বোধন সোমবার
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দুয়ার খুলছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রাণীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের মধ্যখানে কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর। জগন্নাথপুর উপজেলায় ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাণীগঞ্জ সেতুর নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এই সেতুসহ সুনামগঞ্জের ১৭টি সেতুর উদ্বোধন হবে সোমবার (৭ নভেম্বর)। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা যায়, এ জেলার প্রায় ২৫ লাখ মানুষ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে সিলেটে যেতে হতো। এতে অর্থ ও সময়ের ব্যয় হতো। দীর্ঘদিন ধরে এ জেলাবাসীর দাবি ছিল ডাবর-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার এলাকায় জগন্নাথপুরের রাণীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের মধ্যখানে কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু স্থাপনের।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
কিন্তু সুনামগঞ্জের অনেক রাজনীতিবিদ মহান জাতীয় সংসদে এমপি-মন্ত্রী হয়ে প্রতিনিধিত্ব করলেও আশ্বাস দিয়েও সেতু বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান হাওরবাসীর স্বপ্নের এ সেতুর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেন।
এতে প্রধানমন্ত্রীও সম্মতি জানান। ফলে এ প্রকল্পের অনুমোদন হলে ২০১৭ সালে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এ সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করে এমএম বিল্ডার্স এন্ড কোম্পানি।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুর কাজ শেষ করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কাজ বন্ধ ছিল কিছুদিন।
ফলে ২০২২ সালের আগস্টে এসে কাজ শেষ হয়। পরবর্তীতে সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম এ সেতুর উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ সেতু খুলে দেয়ার পর দুর্ভোগ-ভোগান্তি কমবে সুনামগঞ্জের ২৫ লাখ মানুষের। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সুনামগঞ্জের দুরত্ব কমবে ৫৫ কিলোমিটার, সময় বাঁচবে প্রায় আড়াই ঘন্টার মতো।
সেতুর কাজ সস্পন্ন হওয়ার পর পরই প্রতিদিন কুশিয়ারার দুই পাড়ে লেগে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। অনেকেই এ সেতুটিকে হাওরাঞ্চলের পদ্মাসেতু বলে থাকেন। সেতুটি যেমন সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম সেতু তেমনি দৃষ্টিনন্দনও।
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সুনামগঞ্জবাসী।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ৭ নভেম্বর সারাদেশের ১০০টি সেতু উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে রাণীগঞ্জ সেতুসহ সুনামগঞ্জের ১৭টি সেতু উদ্বোধন হবে।
এতে সুনামগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার কমবে। এর আগে ২০০৩ সালে ধলাই সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম সেতু ছিল কোম্পানীগঞ্জের ধলাই সেতু (দীর্ঘ ৪৩৪.৩৫ মিটার)।
উদ্বোধন হওয়া রাণীগঞ্জ সেতু দৈর্ঘ্য এর দিক দিয়ে এ সেতুরও রেকর্ড ভাঙল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২ হাজার কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত, ১৫০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সুনামগঞ্জের একটি আদালত বৃহস্পতিবার ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আসামিদের উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আনোয়ার হোসেন খোকন, তাহিরপুর উপজেলার শফি উল্লা, সাইদুর রহমান ও শফিউল এবং ছাতক উপজেলার ইকবাল হোসেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালে আনোয়ার তাহিরপুরের লাউড়েরগড় এলাকায় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: যশোরে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
পরে শফি উল্লাহ, সাইদুর ও শফিউল আনোয়ারের হাত-পা বেঁধে রাখে। তারা পালাক্রমে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিও করে অনলাইনে পোস্ট করে।
পরে তাহিরপুর থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণী। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অন্য চারজনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি তিনজনের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়।
এছাড়াও, ২০১২ সালের ১৭ মার্চ ছাতক উপজেলা থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ইকবাল ও জয়নাল আবেদীন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে যে কিশোরীকে সিলেটে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে আসামিরা।
বৃহস্পতিবার জয়নালকে যাবজ্জীবন ও ইকবালকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ২