জাতিসংঘ
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ কমাতে পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
জনগণের ওপর দমন-নিপীড়ন বন্ধ করতে মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে অর্থ সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহের সুযোগ কমাতে আরও পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের (তাতমাদাও) অর্থনৈতিক যোগানের বিষয়ে দেশটির স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের (এফএফএম) করা সুপারিশের ভিত্তিতে মানবাধিকার কাউন্সিল এ অনুরোধ করেছে।
প্রতিবেদনটিতে তাতমাদাও ও এর অর্থনৈতিক যোগানের পাশাপাশি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার ওপরও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য এফএফএমের সুপারিশগুলো পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তুলে ধরতে হবে যে এই ধরনের পদক্ষেপগুলো অবশ্যই মানবাধিকারকে সম্মান করবে এবং প্রত্যাশিত আর্থ-সামাজিক প্রভাবগুলো প্রশমিত করার জন্য চেষ্টা চালাবে।
এতে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে এবং সামরিক সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন:জোরপূর্বক গুম: জাতিসংঘ ২১ দেশের ৬৯৬ মামলা পর্যালোচনা করবে
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ আছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ দখল করার পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিষদকে অর্থবহ করতে এবং টেকসই উপায়ে শাসন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বরং মিয়ানমারের জনগণের ওপর দমন ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাতমাদাওকে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার জন্য এফএফএমের সুপারিশগুলোতে কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বিশেষ করে জান্তাবাহিনীর বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহের ওপর গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এটি মিয়ানমারের জনগণকে সমর্থন করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং সমন্বিতভাবে সামরিক সরকারের আর্থিক বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক সরকার স্পষ্টত জনগণের কল্যাণ ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টির চেয়ে তাদের সামরিক অভিযানকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
আগের বার্ষিক বাজেটের তুলনায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক কল্যাণে বরাদ্দ কমিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে সেনা সরকার।
অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে দারিদ্র্য কমপক্ষে দুইগুণ বেড়েছে এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। স্কুলগামী শিশুদের অর্ধেকের বেশি দুই বছর ধরে শিক্ষার কোনো সুযোগ পায়নি।
এরপরও কিছু দেশ ও কোম্পানি বেশ কয়েকটি সেক্টরে সামরিক মালিকানাধীন উদ্যোগের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে সক্রিয় বা দেশ থেকে পরিচালিত সমস্ত ব্যবসাকে চালু ও স্বচ্ছ রাখতে উচ্চতর মানবাধিকারের যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন। সেইসঙ্গে সামরিক বাহিনীর অর্থের যোগান কমানোর ব্যাপারটি নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘের সতর্কতা: ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জোরপূর্বক গুম: জাতিসংঘ ২১ দেশের ৬৯৬ মামলা পর্যালোচনা করবে
জাতিসংঘের জোরপূর্বক বা অনিচ্ছাকৃত গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ ২১টি দেশের ৬৯৬টি মামলা পর্যালোচনা করার জন্য ১২৮তম অধিবেশন বসবে ১৯-২৮ সেপ্টেম্বর।
পাঁচটি স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞের দল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত জোরপূর্বক গুম সম্পর্কে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করবে এবং এগুলো নথিভুক্ত করবে৷
বিশেষজ্ঞরা জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজন, রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে পৃথক ঘটনা ও কাঠামোগত বিষয় এবং জোরপূর্বক গুম সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে তথ্য বিনিময়ের জন্য বৈঠক করবেন।
এই দলের সদস্যরা ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গঠিত ‘জোরপূর্বক গুম বিষয়ক কমিটি’র সঙ্গে বার্ষিক যৌথ সভা করবেন।
আরও পড়ুন: দেশে গুম নেই, স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ নেই: ব্যাচলেটকে বললেন মোমেন
অধিবেশন চলাকালীন বিশেষজ্ঞরা জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা সংক্রান্ত ঘোষণার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলো পরীক্ষা করবেন। যেমন প্রত্যাবর্তনমূলক আইন ও অনুশীলন, বা বলপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো মোকাবিলায় পদ্ধতিগত ব্যর্থতা; বিশেষত সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে।
তারা অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় ও ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করবে। যেমন: নির্দিষ্ট দেশসমূহ পরিদর্শন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে নতুন প্রযুক্তি ও জোরপূর্বক গুম নিয়ে তাদের করা গবেষণা প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাচেলেটে সঙ্গে সাক্ষাতের পর ‘গুম’ নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫১তম অধিবেশনে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সঙ্গে এই গ্রুপের অধিবেশনও হবে।
১২৮তম অধিবেশন চলাকালীন ওয়ার্কিং গ্রুপের সিদ্ধান্তগুলো এর পরবর্তী পোস্ট সেশনাল রিপোর্টে প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সতর্কতা: ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে
জাতিসংঘের সতর্কতা: ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে
জাতিসংঘের খাদ্য প্রধান বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছেন যে, বিশ্ব ‘অভূতপূর্ব মাত্রার একটি বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার’ মুখোমুখি হচ্ছে। যেখানে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং সাত কোটি মানুষকে ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে অনাহারের কাছাকাছি অবস্থায় যেতে হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, ৮২টি দেশে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন, যা ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগের সংখ্যার চেয়ে আড়াই গুণ বেশি।
তিনি বলেন, এটি অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক যে ৪৫টি দেশের পাঁচ কোটি মানুষ তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এবং দুর্ভিক্ষ দরজায় কড়া নাড়ছে।
আরও পড়ুন: শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের
ক্রমবর্ধমান সংঘাত, মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনে যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘পূর্বে যা ছিল তা হচ্ছে ক্ষুধার ঢেউ, আর এখন হচ্ছে ক্ষুধার সুনামি।’
বিসলি জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশকে আক্রমণ করার পর থেকে খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের ক্রমবর্ধমান খরচ সাত কোটি মানুষকে অনাহারের কাছাকাছি নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘ
বিশ্বে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ ঘটছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় লন্ডন স্ট্যানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়।
১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দেয়ার পরপরই শেখ হাসিনা নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করবেন। তিনি ০২ অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমেদ অব উইম্বলডন, লেবার পার্টির বিরোধী দলীয় নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারও আলাদাভাবে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: খালি হাতে ফিরিনি, তেল-গ্যাসের নিশ্চয়তা বড় অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের জন্য আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দিবেন।
শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে লন্ডন থেকে উড়ে যাবেন এবং একই দিনে তার ফ্লাইট জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
তিনি ২০ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিবেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর (স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটের মধ্যে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ৭৭তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিবেন।
নিউইয়র্কে থাকাকালীন, তিনি ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।
২০ সেপ্টেম্বর, শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আয়োজিত সংবর্ধনা, ৭৭তম ইউএনজিএ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আয়োজিত সংবর্ধনা এবং 'ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারস' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে তিনি স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুট পাহোর এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন।
২১ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী টেকসই আবাসন সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের ইভেন্টে যোগ দিবেন (যা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক রিপাবলিক এবং ইউএন হ্যাবিট্যাট সহ-আয়োজক হবে), গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরজি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দিবেন এবং জাতিসংঘের হেডকোয়ার্টারে পদ্মা সেতুর ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।
একই দিনে তিনি কসোভোর প্রেসিডেন্ট ডক্টর ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ এবং ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজার সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
এছাড়া ২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার সঙ্গে ডব্লিউইএফ-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শোয়াব ক্লাউস এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল (ইউএসজি, ওএইচআরএলএলএস) রাবাব ফাতিমা আলাদাভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
২২ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) ওপর একটি প্রাতঃরাশ বৈঠক করবেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুতে উচ্চপর্যায়ের ইভেন্ট এবং ইউএস-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিলের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং একই দিনে আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনো এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ এবং করিম খানের সঙ্গে দুটি পৃথক বৈঠক করবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
এছাড়া তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিবেন।
এরপর তিনি ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ০২ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবেন।
ওয়াশিংটন থেকে যাওয়ার পথে লন্ডনে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর ৪ অক্টোবর ভোরে দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে: ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে তিনি লন্ডন যাবেন এবং পরবর্তীতে নিউইয়র্কে অধিবেশনে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে।
ফ্লাইটটির স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৫টায় লন্ডন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দেয়ার পরপরই নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন। এরপর আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: খালি হাতে ফিরিনি, তেল-গ্যাসের নিশ্চয়তা বড় অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়কমন্ত্রী লর্ড আহমেদ অব উইম্বলডন, লেবার পার্টির বিরোধী দলীয় নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারও আলাদাভাবে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাকিংহাম প্যালেসে যুক্তরাজ্যের রাজা কর্তৃক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের জন্য আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ছেড়ে যাবেন এবং একই দিনে তার ফ্লাইট জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা ২০ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ বিতর্ক উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে (স্থানীয় সময় সাড়ে ৪টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে) ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
নিউইয়র্কে থাকাকালীন তিনি ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং বেশ কয়েকজন নেতার সাথে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচি: মোমেন
২০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা, ৭৭তম ইউএনজিএ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনা এবং 'ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডার্স' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে তিনি স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহোর এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন।
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী টেকসই আবাসন সংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন (বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র এবং ইউএন হ্যাবিট্যাট এর সহ আয়োজক) এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরজি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে অংশ নেবেন এবং ইউএনএইচকিউতে পদ্মা সেতুর ওপর একটি স্থিরচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন।
একই দিনে তিনি কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ এবং ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজার সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
এছাড়া ২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার সঙ্গে ডব্লিউইএফ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শোয়াব ক্লাউস এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা আলাদাভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: রানির প্রতি শোক জানাতে ব্রিটিশ হাইকমিশনে প্রধানমন্ত্রী
২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর), রোহিঙ্গা ইস্যুতে উচ্চস্তরের অনুষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিলের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের নীতিগত গোলটেবিল বিষয়ে প্রাতঃরাশ বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিনে আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনো এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ ও করিম খানের সাথে দুটি পৃথক বৈঠক করবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
এছাড়া তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
এরপর তিনি ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবেন।
ওয়াশিংটন থেকে যাওয়ার পথে লন্ডনে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর ৪ অক্টোবর ভোরে দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
বিশ্বে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ ঘটছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো স্বাধীনতা নেই।
১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র দিবসে এবং প্রতিদিন, আসুন আমরা সর্বত্র স্বাধীনতা এবং সকল মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করি।’
আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের ১৫তম বার্ষিকী। ২০০৮ সাল থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ ঘটছে, নাগরিকদের মতপ্রকাশের সুযোগ সংকোচিত হচ্ছে।’
গুতেরেস বলেন, অবিশ্বাস ও অপতৎপরতা বাড়ছে এবং মেরুকরণ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের
তিনি বলেন, সতর্ক হওয়ায় এখনই সময়। গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার যে পরস্পর নির্ভরশীল এবং পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী হয় তা নিশ্চিত করার এখনই সময়।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, সাম্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সংহতির গণতান্ত্রিক নীতির পক্ষে দাঁড়ানোর এখনই সময়।
আরও পড়ুন: আল জাজিরার সাংবাদিক হত্যায় শোকাহত জাতিসংঘের মহাসচিব, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি
বিশ্ব ‘পরমাণু বিপর্যয়ের’ থেকে এক ধাপ দূরে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচি: মোমেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অন্যান্য অধিবেশন ছাড়াও ২২ সেপ্টেম্বর ৭৭তম অধিবেশনের ফাঁকে উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন ছাড়াও টেকসই আবাসন বিষয়ে আরেকটি সাইড ইভেন্টের আয়োজন করবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করব।
আরও পড়ুন:বাকিংহাম প্যালেসে রানির মরদেহ
বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সকল অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হল ‘একটি অশ্রুসিক্ত মুহূর্ত: ইন্টারলকিং চ্যালেঞ্জের রূপান্তরমূলক সমাধান’।
ইউক্রেনের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, বিশ্বের মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ৯৬ বছর বয়সে রানি মারা যাওয়ার পর বিভিন্ন বিশ্ব নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তি রানির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে হাসিনার।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে লন্ডন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের পর ওয়াশিংটন ডিসি সফর শেষে দেশে ফিরবেন হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন লন্ডন, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সঙ্গে থাকবেন।
ওয়াশিংটনের কর্মসূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে মোমেন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ছাড়াল
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সীমান্তে সংঘর্ষে ৯৯ সেনা নিহত
বন্যা: পাকিস্তানকে সাহায্য করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি গুতেরেসের আহ্বান
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কয়েক মাসের মারাত্মক রেকর্ড বন্যার ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে শুক্রবার পাকিস্তান সফরে গিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসে। এসময় খোলা তাবুতে আশ্রয় নেয়া পাঁচ লাখ মানুষের মানবেতর জীবনযাপন দেখেন তিনি। এরপর দেশটিকে সাহায্য করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি এই আহ্বান জানান গুতেরেসে।
বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য গুতেরেস জরুরি তহবিলের জন্য ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আবেদন করার দুই সপ্তাহেরও কম সময় পরে তিনি সফরটি করলেন। এই বন্যার ফলে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে মারা গেছেন কমপক্ষে এক হাজার ৩৯১ জন মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ত্রাণবাহী বিমানসহ আন্তর্জাতিক সাহায্য আসতে শুরু করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি ভোরে এক টুইটে বলেন, ‘ভয়াবহ বন্যার পর পাকিস্তানি জনগণের প্রতি গভীর সংহতি প্রকাশ করতে আমি পাকিস্তানে এসেছি। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ব্যাপক সহযোগিতার আহ্বান করছি, কারণ পাকিস্তান এই জলবায়ু বিপর্যয়ের শিকার।
জাতিসংঘের প্রধান গত সপ্তাহে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন।
তিনি সে সময় ইসলামাবাদে একটি অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, ‘আসুন জলবায়ু পরিবর্তনের ঘুমন্তগতির মাধ্যমে আমাদের গ্রহকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া বন্ধ করি। আজ পাকিস্তান, আগামীকাল আপনার দেশ এর শিকার হতে পারে।’
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের প্রধানকে এমন সময়ে পাকিস্তান সফরের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন যখন তিনি বলেন, পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। তিনি বলেন, বন্যা দুর্গতদের সংকটকে বৈশ্বিক পর্যায়ে পৌঁছাতে তিনি এই সফর চান।
‘জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের পরিণতি উপলব্ধি করতেও এই সফর সাহায্য করবে।’ বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি৷
আওরঙ্গজেব বলেন, গুতেরেসে শুক্রবার ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার আগে বন্যার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা একটি ব্রিফিং করবেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২শ’ ছাড়িয়েছে
এখন পর্যন্ত, জাতিসংঘের সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি দেশ প্রায় ৬০টি ত্রাণবাহী বিমান করে সাহায্য পাঠিয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ বলছে সহায়তাদানকারীদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছেন। কারণ তারা এখন পর্যন্ত ২৬টি ফ্লাইট পাঠিয়েছে যেগুলি সাহায্য বা বন্যার্তদের বহন করে।
বন্যা সমগ্র পাকিস্তানকে ছুঁয়েছে এবং ৩৩ লাখেরও বেশি মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। হেরিটেজ সাইটগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মহেঞ্জো দারো, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা-সংরক্ষিত প্রাচীন শহুরে জনবসতি হিসেবে বিবেচিত।
সিন্ধু নদীর কাছে ১৯২২ সালে একটি ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং আজ পর্যন্ত, প্রাচীন মিশর এবং মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে মিলে যাওয়া সাড়ে চার হাজার বছর আগের সভ্যতার অন্তর্ধানকে তুলে ধরছে।
মহেঞ্জো দারো একটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং জাতিসংঘের ঐতিহ্য সংস্থা বৃহস্পতিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান পুনরুদ্ধারের জন্য তিন লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তা ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তান সফরকালে গুতেরেসকে অভ্যর্থনা জানান উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। এই সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং অন্যান্য সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণ
জাতিসংঘ মহাসচিব পাকিস্তানে আগমনের আগে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ সফররত এক আমেরিকান কূটনীতিককে বলেছিলেন যে ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক বন্যা এড়াতে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডেরেক চোলেট ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং সাহায্যের ব্যবস্থা করতে ইসলামাবাদ সফর করছেন।
সরকারের বিবৃতিতে চোলেট নিশ্চিত করেছেন যে বন্যার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জনগণের পুনর্গঠনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলছেন, শুক্রবার প্রথম আমেরিকান বিমানভর্তি ত্রাণ পাকিস্তানে পৌঁছাবে, ওয়াশিংটন বন্যা দুর্গতদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা ও আকাশ পথে দুর্গতদের সঙ্গে একটি মানবিক সহায়তা সংযোগ স্থাপন করবে।
জুন মাস থেকে ভারী বর্ষণ এবং বন্যা নগদ অর্থ সংকটে পড়া পাকিস্তানে নতুন বোঝা চাপিয়েছে এবং দরিদ্র জনসংখ্যার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব তুলে ধরেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশ্বের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশের জন্য পাকিস্তান দায়ী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাড়ে ২১ শতাংশ, চীন ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ইইউ ১৫ শতাংশের জন্য দায়ী।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির দেয়া তথ্যানুসারে দেশটিতে বন্যায় ১২ হাজার ৭২২ জন আহত হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তা, ভেঙে পড়েছে সেতু এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য স্কুল ও হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সভাপতি আবদুল্লাহ শহীদ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশনের ওপর সাধারণ পরিষদের বার্ষিক উচ্চ-পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করেছেন।
ফোরামটি বিপুল সংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তঃসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বছরের ইভেন্টটির থিম হচ্ছে ‘শান্তি সংস্কৃতি: শান্তি বিনির্মাণে অগ্রসর হওয়ার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব।’
উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতিসংঘ পিসবিল্ডিং সাপোর্ট অফিসের সহকারি মহাসচিব, যুব বিষয়ের জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং ইউনিভার্সিটি অব পিসের রেক্টর।
ফোরামটিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অংশগ্রহণে একটি প্লেনারি পর্ব রাখা হয়। এছাড়া জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। একটি প্যানেল আলোচনা যেখানে জাতিসংঘ এবং সুশীল সমাজের বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন প্রবর্তন, সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ এবং তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত করুন: সরকারকে ফখরুল
তিনি বলেন, ‘জাতি হিসাবে আমাদের জন্মের মুহূর্ত থেকেই আমরা এমন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সমস্ত মানুষের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটবে। এই প্রতিশ্রুতিই আমাদেরকে ১৯৯৯ সালে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা ও কর্মসূচি বিষয়ক সাধারণ পরিষদ রেজুলেশন প্রবর্তন করতে উৎসাহিত করেছিল, যার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতির একটি রূপ আমরা দিতে পেরেছি।’
রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতার কথাও তুলে ধরেন। জাতিসংঘের বর্তমান শান্তিবিনির্মাণ কাঠামো ইতিবাচক শান্তিকে এগিয়ে নিতে একটি কার্যকর উপায় তুলে ধরতে পেরেছে। এটি সংঘাতের প্রাদুর্ভাব, ভয়াবহতা, ধারাবাহিকতা ও পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এর মূল কারণগুলোকে সমাধান করে শত্রুতার অবসান ঘটানোর পথ দেখায়। এজন্য মনোভাবের পরিবর্তন, প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ এবং বিদ্যমান কাঠামো পরিবর্তনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা দরকার যা আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ সমাজের দিকে ধাবিত করে।’
প্লেনারি এবং প্যানেল আলোচনায় বক্তাগণ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শান্তির সংস্কৃতির ধারণার প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা কোভিড-১৯ অতিমারি এবং চলমান সংঘর্ষের কারণে বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে নতুনভাবে গুরুত্ব দেয়ার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ও চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা প্রশংসা জাতিসংঘের
জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানের সঙ্গে আইজিপি’র ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের সঙ্গে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান লুইস কারিলহো এর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশকে অন্যতম প্রধান পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ উল্লেখ করে কারিলহো শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতি এবং পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও কর্মদক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি পূর্ব তিমুর ও হাইতিতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের যে উঁচু মানের পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধ দেখেছেন তা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মালি ও ডিআর কঙ্গোতে কর্তব্যরত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের পেশাদারিত্বেরও প্রশংসা করেন তিনি।
কারিলহো বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে আসছে, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘ পুলিশ, সংস্থা ও জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সকলের সমন্বয় প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের যে কোনো প্রয়োজনে সাড়া দিতে বাংলাদেশ পুলিশ সদা প্রস্তুত রয়েছে।
বিশেষ করে আফ্রিকার ঝুঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষ ও পেশাদারী বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েনের অনুরোধ জানান আইজিপি।
এক্ষেত্রে তিনি সোয়াট, ক্যানাইন, রিভারাইন ও গার্ড পুলিশ এবং ফরেনসিক ইউনিটসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েন এবং জাতিসংঘ পুলিশের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ আয়োজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তর ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে উচ্চ পদে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়োগের অনুরোধ জানান।
বৈঠকে শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহের বিষয়েও আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসডিজি বাস্তবায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন আইজিপি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ আগামী দিনগুলোতেও সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান।
জাতিসংঘের শান্তি পদক্ষেপ ও বৈশ্বিক সহযোগিতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে আইজিপি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাদেকুজ্জামান ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ওভারসিজ অ্যান্ড ইউএন অপারেশন শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিয়ান ওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ও চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা প্রশংসা জাতিসংঘের
পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের