জাতিসংঘ
কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে জাতিসংঘবিরোধী দুই দিনের বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিক্ষোভে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত মরক্কোর একজন, ভারতের দুই পুলিশ সদস্য এবং উত্তর কিভু প্রদেশের বুটেম্বোতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে মিশরের একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিক্ষোভের সময় সহিংস হামলাকারীরা কঙ্গোলিজ পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর গুলি চালায়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বলে জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
হক বলেন, মঙ্গলবার ‘শতশত হামলাকারী’গোমা এবং উত্তর কিভুর অন্যান্য অংশে জাতিসংঘ বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায়। তারা পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, ঘাঁটি ভাঙছে, লুটপাট ও ভাঙচুর করছে এবং স্থাপনাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
করোনার কারণে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হয়েছে
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি আনুমানিক ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত শুক্রবারের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কার ও হুপিং কাশি (ডিটিপি৩) এর বিরুদ্ধে তিনটি ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে এমন শিশুদের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৫ শতাংশ কমে ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷
ফলস্বরূপ, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই ২৫ মিলিয়ন শিশু ডিটিপির নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির এক বা একাধিক ডোজ মিস করেছে।
২০২১ সালে টিকা মিস করা শিশুর সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ২ মিলিয়ন বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ৬ মিলিয়ন বেশি।
এই টিকাগ্রহণ ব্যাহত হওয়ার কারণ হলো- যুদ্ধাবস্থায় বসবাসকারী শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভঙ্গুর সামাজিক কাঠামো। কেননা এর ফলে টিকাদান কর্মসূচি প্রায়ই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
এছাড়া ভুল তথ্য, কোভিড-১৯ এর কারণে পরিষেবা ও সরবরাহ শৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, টিকার স্বল্পতা এবং অসম স্বাস্থ্য সুবিধাপ্রাপ্তি ইত্যাদিও প্রভাব রেখেছে।
আরও পড়ুন: কাউকে পেছনে না ফেলে ন্যায়সঙ্গত ও বর্ধনশীল কর্মী তৈরির আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
এ বিষয়ে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘এটি শিশু স্বাস্থ্যের জন্য একটি বিপদ সঙ্কেত। আমরা একটি প্রজন্মকে শৈশবকালীন টিকাদানে সবচেয়ে বেশি ঘাটতির শিকার হতে দেখছি। এর পরিণতি জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও বলেন,‘যদিও গত বছর কোভিড-১৯ মহামারি ও লকডাউনের ফলে মহামারির বিরুদ্ধে কার্যকর টিকাগ্রহণের পরিমাণ প্রত্যাশিত ছিল, তবে বর্তমানে তা হ্রাস পেয়েছে।’
বছরে ২৫ মিলিয়ন শিশুর মধ্যে ১৮ মিলিয়ন পর্যন্ত ডিটিপি টিকার একটি ডোজও পায়নি। এসব শিশুদের বেশিরভাগই ভারত, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন এবং অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বাস করে।
২০১৯ ও ২০২১ সালের মধ্যে একটিও টিকা না পাওয়া শিশুদের সংখ্যা আপেক্ষিকভাবে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার ও মোজাম্বিক রয়েছে।
ডব্লুউএইচও মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, ‘হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার মতো ঘাতক রোগের টিকা দেয়ার সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকাদানের পরিকল্পনা ও সমন্বয় করা উচিত।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধ, জলবায়ু বিপর্যয় বহুমুখী খাদ্য সংকট সৃষ্টি করছে: জাতিসংঘ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিপুল সংখ্যক শিশুর অপুষ্টি ঝুঁকি বাড়িয়েছে: জাতিসংঘ
কাউকে পেছনে না ফেলে ন্যায়সঙ্গত ও বর্ধনশীল কর্মী তৈরির আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আরও ন্যায়সঙ্গত ও বর্ধনশীল কর্মী বাহিনী, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে এবং কাউকে পেছনে না ফেলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আগামী সেপ্টেম্বরে একটি ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিট আহ্বান করেছেন। যাতে বিভিন্ন বিশ্বনেতা, তরুণ ও অন্যান্য শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।
শুক্রবার তিনি সবাইকে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ইউনাইটেড নেশনস ইয়ুথ ২০৩০ স্ট্র্যাটেজি পূরণে আমি সকলকে শীর্ষ সম্মেলনে এবং এর বাইরে যুব দক্ষতা উন্নয়নে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করার অনুরোধ করছি।
গুতেরেস বলেন, তরুণরা পরিবর্তনের চালক এবং তাদের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে এমন সিদ্ধান্তে তাদের সম্পূর্ণভাবে যুক্ত থাকতে হবে।
তিনি কাজের ভবিষ্যতের জন্য যুবকদের দক্ষতা পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ থেকে শুরু করে ক্রমাগত দারিদ্র্য পর্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত বৈশ্বিক সংকটের কারণে তরুণরা অসমভাবে প্রভাবিত হয়।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এই ভঙ্গুরতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র ২০২০ সালেই ৩৯ মিলিয়ন যুব কর্মসংস্থান কমেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ২৪ মিলিয়ন তরুণ স্কুলে না ফেরার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই মহামারি শ্রমবাজারের রূপান্তরকেও ত্বরান্বিত করেছে এবং অনিশ্চয়তা ও ডিজিটাল বিভাজন বাড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই তরুণদের কার্যকর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও জীবনমুখী শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, ব্রডব্যান্ড সংযোগ এবং ডিজিটাল দক্ষতায় বিনিয়োগ করার মাধ্যমে যুবকদের দক্ষতার বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে হবে।’
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সু-সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান ঢাকার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার এবং চলমান একাধিক ও আন্তঃসংযুক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও উত্তরণের জন্য একটি সু-সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের একজন সদস্য হিসাবে, সংকটের মাত্রা ও মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া চার্ট করতে অন্যান্য বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এসডিজি শীর্ষক উচ্চ-স্তরের রাজনৈতিক ফোরাম (এইচএলপিএফ) ২০২২-এর এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো বহুবিধ দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের প্রভাব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এই সংকটের প্রভাব মোকাবিলায় দৃঢ় সহনশীলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শিনজো আবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখতে সরকার ২২ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যাপকভাবে প্রসারিত করা হয়েছিল। তাছাড়া আমরা ভ্যাকসিনের জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করেছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সমাজ, জাতীয় ডেটা ভান্ডার সিস্টেম, এসডিজি ট্র্যাকার ও স্থানীয়করণের প্রচেষ্টা এসডিজি বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার পথ তৈরি করেছে।
প্রতিমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সংহতি ও অংশীদারিত্বের উচ্চ গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
প্রতিমন্ত্রী টেকসই, স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধারের জন্য জাতিসংঘের নেতৃস্থানীয় সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, পাশাপাশি বহুপাক্ষিক দাতা এবং বেসরকারি খাতকে জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থনের পাশাপাশি, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও পিছিয়ে পরা দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
স্পীকারের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইসের বৈঠক
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’র সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস বৈঠক করেছেন।
বৃহস্পতিবার স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে
সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ বৈঠকে তারা দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের করোনা মোকাবিলা, করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জেন্ডার বাজেট ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পীকার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ-এর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যন্ত নারী ও শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে। সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় এক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখে চলেছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সভা আয়োজনের মাধ্যমে নারী ও শিশুবান্ধব অনেক পরামর্শ পাওয়া গেছে যা আইন-নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখছে। সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো জেন্ডার বাজেট চালু করে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরেও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাছ, মাংস, ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা খামারিদের অনন্য অর্জন: স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে কোভিডকালীন সময়ে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা সুরক্ষিত হয়েছে। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে কোভিড পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিশ্ব দরবারে রোল মডেল। ঝরে পড়া শিশুদের সংখ্যা হ্রাস, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, মোবাইলের মাধ্যমে সরাসরি বৃত্তির অর্থ প্রদানের মাধ্যমে মেয়েদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধকরণ, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি, নারী সহিংসতায় জিরো টলারেন্স, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদে নারীদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বহুমুখী পদক্ষেপের কারণে আজ এদেশে নারীর অগ্রযাত্রা দৃশ্যমান। স্কুলগামী মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ১০০টি বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে, যা দেশব্যাপী চলমান থাকবে। ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করেছে। গাছের চারা রোপণ, সামাজিক বনায়ন ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নারী ও যুবকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে জিন লুইস বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে যা অতুলনীয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুর্গম এলাকাগুলোতেও ত্রাণ পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
এসময় ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিস ক্রিস্টিন ব্লোখুস ও সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারীদের সুরক্ষায় কর্মস্থল-পাবলিক প্লেস সিসিটিভির আওতায় আনার অভিমত স্পিকারের
বাংলাদেশে বন্যায় ৭২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত: জাতিসংঘ
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৯ জেলায় আকস্মিক বন্যায় প্রায় ৭২ লাখ মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এবারের বন্যা মে মাসে শুরু হয় এবং এর দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় ১৫ জুন।
ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হলো- সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ ও শেরপুর।
এই ৯ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোণা।
বিবৃতি অনুযায়ী, গত ২ ও ৩ জুলাই জাতিসংঘের একটি যৌথ মিশন, মানবিক দাতা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য) ও এনজিও অংশীদাররা বন্যা কবলিত জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জ পরিদর্শন করেন।
মিশনের লক্ষ্য ছিল- বন্যার প্রভাব পর্যবেক্ষণ ও সাড়াদান, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং সমবেদনা জানানো।
আরও পড়ুন: বন্যায় আরও ২ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১১২
মিশন বন্যার মাত্রা দেখতে; ক্ষতিগ্রস্ত কিছু মানুষের কাছ থেকে শুনেছে; সরকারের সাড়াদান প্রদান করা প্রধান প্রধান স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় সরকার প্রদত্ত সাড়াদানের মাত্রা ও সুযোগের ধারণা পেতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বৃহৎ পরিসরে সমন্বিত সাড়াদান অভিযান চলছে।
৪ লাখ ৭২ হাজার মানুষকে এক হাজার ৬০৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করেছে সরকার। আমরা যে সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলেছি তাদের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন।
জাতিসংঘ ও এনজিও অংশীদাররা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা, পানীয় জল, নগদ অর্থ, জরুরি ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মর্যাদা ও স্বাস্থ্যবিধি কিট ও শিক্ষা সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে এই প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করছে।
এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বন্যার মাত্রার কারণে এমন কিছু এলাকা রয়েছে যা এখনও দুর্গম। উদ্ধার বা ত্রাণ থেকে বিচ্ছিন্ন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রদায়ের অনেক প্রবীণ এই বন্যাকে তাদের জীবদ্দশায় দেখা যে কোনো বন্যার চেয়ে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রায় ৬০ হাজার নারী গর্ভবতী। তাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার আগামী মাসে সন্তান জন্মদান করবেন। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো তলিয়ে যাওয়া ও অকার্যকর হওয়ায় এসব নারীদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার সীমিত বা নেই।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্যায় ১৪০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি
যেখানে পানি কিছুটা কমেছে সেখানে আরও পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে ফিরে যাবে; অন্যদের এই ক্ষত নিয়ে পুনর্নির্মাণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ল্যাট্রিন ও পানির উৎস মেরামত করা দরকার। শিশুরা ইতিমধ্যে তিন সপ্তাহের স্কুলে পড়া হারিয়েছে এবং তাদের বই ভেসে গেছে। ২০২০-২০২১ সালে করোনায় স্কুল বন্ধের কারণে শিক্ষার ক্ষতিতে এটা শীর্ষে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চলমান প্রয়োজনের মুখে ও বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মানবিক এনজিওকে এক দশমিক দুই মিলিয়ন ইউরো এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে দুই লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে; যুক্তরাজ্য ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৮ পাউন্ড বরাদ্দ দিয়েছে; সুইডেন ১৩ মিলিয়ন এসইকে দেয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্র ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।
পদ্মা সেতু নতুন বাংলাদেশের প্রতীক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের নিজস্ব সম্পদে নির্মিত সদ্য উদ্বোধন হওয়া পদ্মা সেতু নতুন বাংলাদেশের প্রতীক যা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফলতা অর্জনে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন।
পর্তুগাল ও কেনিয়ার যৌথ আয়োজনে চলমান দ্বিতীয় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলন ২০২২-এর সাইডলাইনে শুক্রবার লিসবনে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহোর সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মোমেন এ কথা বলেন।
এটি ছিল পররাষ্ট্র পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করেছে: মন্ত্রী
ড.মোমেন তার পর্তুগিজ সমকক্ষ ড. জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পাশাপাশি দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
এসময় পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে তার সরকারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের পর্তুগিজ অর্থনীতিতে অবদানের প্রশংসা করার পাশাপাশি পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার আশ্বাস দেন।
উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় স্তরে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ২ বছর পিছিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
সড়ক নিরাপত্তায় সার্বিক পদক্ষেপ বৃদ্ধির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সড়ক নিরাপত্তার জন্য সার্বিক পদক্ষেপ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সড়ক নিরাপত্তার উন্নয়নে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গুতেরেস বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে দুর্বল অবকাঠামো, অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিথিল সামাজিক সুরক্ষা,স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, সীমিত সড়ক নিরাপত্তা জ্ঞান ও অসমতার বিষয়গুলো ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
অনিরাপদ সড়ক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ মাসে ১৬৭৪ শিশুর মৃত্যু
মহাসচিব বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাগুলো একজন উপার্জনকারীর মৃত্যু বা তার জন্য চিকিৎসা খরচবৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবারকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এসব কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রতি বছর জিডিপির ২ থেকে ৫ শতাংশ হারায়৷
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি জাতিসংঘ সড়ক নিরাপত্তা তহবিলের মাধ্যমে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর্থিক ও কারিগরি অবদান বাড়াতে সকল দাতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সবাইকে নিয়ে আমরা জীবন বাঁচাতে পারি, উন্নয়নে সহায়তা করতে পারি এবং আমাদের বিশ্বকে নিরাপদ সড়কের দিকে নিয়ে যেতে পারি।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
ইউনূস সেন্টারের আয়োজনে দ্বাদশ বার্ষিক সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন শুরু ২৭ জুন
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ২৭-৩০ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সামাজিক ব্যবসা দিবস। এ বছরের সামাজিক ব্যবসা দিবসের বিষয়বস্তু হচ্ছে বর্তমান সভ্যতা আমাদের ধ্বংস করে ফেলার আগেই একটি নতুন সভ্যতা বিনির্মাণ।
এ বছর পূর্ব আফ্রিকার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব জিম্বাবুয়ে এবং তার সহযোগী হিসেবে উগান্ডার কাম্পালা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ম্যাকেরেরে ইউনিভার্সিটি বিজনেস স্কুল, কেনিয়ার তানগাজা ইউনিভার্সিটি কলেজ, বেনিনের আবোমে কালাবি এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের সি.এ.এম. স্কুল অব বিজনেস সম্মেলনের বৈশ্বিক আয়োজনের সমান্তরালে স্থানীয়ভাবে সামাজিক ব্যবসা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
তিরিশ জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ছাড়াও এ বছরের সম্মেলনে ১৫০ জনেরেও বেশি বক্তা তাঁদের বক্তব্য রাখবেন। চার দিনের এই সম্মেলনে থাকছে ১৪টি কান্ট্রি ফোরাম ও ১৬টি সেশন। পৃথিবীর ৬৬টি দেশ থেকে ৭০০-এর বেশি নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারী সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ইইউ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত
মূল বক্তাদের মধ্যে থাকছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৯৬ জয়ী পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস অরতা, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ, নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী এবং নোবেল উইমেন’স ইনিশিয়েটিভ এর সভাপতি জোডি উইলিয়ামস, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারী জেনারেল আরমিডা সালসিয়াহ আলিসজাবানা, জেন গুডআল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত জেন গুডআল, ডিবিই, -এর নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানিমা, নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মেইরিড ম্যাগুয়াইয়ার, এবং নারায়ণ রূদয়ালয় -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. দেবী শেঠী।
উল্লেখযোগ্য অন্য বক্তাদের মধ্যে আরো রয়েছেন মেক্সিকোর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট ফক্স কেসাদা, ব্রাজিলের প্রাক্তন পরিবেশমন্ত্রী মারিনা সিলভা, সমাজকর্মী ও অভিনেত্রী লিলি কোল, সমাজকর্মী ও অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন, মাস্টার অব ইউনিভার্সিটি কলেজ অক্সফোর্ড ব্যারোনেস ভ্যালেরী আমোস, ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট চিকিৎসাবিদ্যা ও সংক্রামক রোগের অধ্যাপক আদীবা কামারুলজামান, সীড গ্লোবাল হেলথ-এর প্রতিষ্ঠাতা হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল-এর ড. ভ্যানেসা কেরী, ইউগেনা-র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মিৎসুুরু ইজুমো, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ইউকে-এর প্রধান নির্বাহী পিটার হলব্রুক, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কেনিয়ার পল টেরগাট প্রমূখ।
আরও পড়ুন: উৎসে কর আগামী ৫ বছরের জন্য ০.৫ শতাংশ বহাল চায় বিজিএমইএ
সমাপনী বক্তব্য রাখবেন লেখিকা ও মানবাধিকার কর্মী মারিনা মাহাথির, মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডী হিউমান রাইটস-এর প্রেসিডেন্ট কেরী কেনেডী, গ্রামীণ আমেরিকা’র প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রিয়া জাং, থিংক-অস্ট্রিয়া এর হেড অব স্ট্র্যাটেজী ইউনিট এবং ফেডারেল চ্যান্সেলর এর বিশেষ উপদেষ্টা ড. অ্যান্টোনেলা মেই-পচলার, জাতিসংঘ এসডিজি অ্যাডভোকেট এবং হুইটেকার পিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফরেস্ট হুইটেকার, এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৩ জয়ী শিরিন এবাদি।
এ বছরের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, বেকারত্ব দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা, সামাজিক ব্যবসায়ে ক্রীড়ার ভূমিকা, থ্রি-জিরো ক্লাব, এবং সামাজিক ব্যবসার উপর একাডেমিক গবেষণা ইত্যাদি।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
ঢাকা, ২৬ জুন (ইউএনবি)- নিউইয়র্কের জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে উৎসব মুখর পরিবেশে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা, প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা যোগ দেন বলে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় মিশন।
পদ্মা সেতুর সাফল্য এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এ উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয়। অতঃপর পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন: বাংলাদেশকে নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার অভিনন্দন
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য আজ অত্যন্ত আনন্দের দিন। বাংলাদেশ সময় আজ (শনিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের বিস্ময়। আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার, গৌরব, ও সক্ষমতার প্রতীক। কারণ এটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে। এটি বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় এক অনন্য মাইলফলক। এ অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অগ্রযাত্রায় আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে।’
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
পদ্মা সেতু ঘিরে গড়ে ওঠা বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগসহ এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নানা দিক তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারিসহ প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ভিডিও ক্লিপস প্রদর্শিত হয়।