চীন
চীনে ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
চীনের বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে। এখন থেকে আরও এক শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। এতে চীনের বাজারে বাংলাদেশ ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাবে।
রবিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তির বিস্তারিত পরে গণমাধ্যমে ব্রিফ করা হবে।
এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাংস্কৃতিক বিনিময় (নবায়ন) এবং সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিষয়ক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি দেখে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুশি।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ‘নতুন স্তরে’ উন্নীত করার লক্ষ্যে বৈঠকে উভয় পক্ষই দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে।
মন্ত্রী ওয়াং ভবিষ্যতে যৌথ সহযোগিতার ওপর জোর দেন এবং ‘এক-চীন’ নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেন।
পড়ুন: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর: ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৪ চুক্তি-সমঝোতা সই
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর: ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৪ চুক্তি-সমঝোতা সই
দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে রবিবার বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের মধ্যে এক ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এসব চুক্তি সই হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তির বিস্তারিত পরে গণমাধ্যমে ব্রিফ করা হবে।
এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাংস্কৃতিক বিনিময় (নবায়ন) এবং সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিষয়ক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি দেখে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুশি।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে চীন আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত দেশটির স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মিয়ানমার একটি কঠিন দেশ, আমরা সঙ্কট সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।‘
এর আগে শনিবার বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটের দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
রাজ্জাক ওয়াংকে জানান, দেশে সম্পদ সীমিত থাকায় বাংলাদেশ এত বড় বোঝা বহন করতে পারছে না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা থাকার কারণে দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, এটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘নতুন স্তরে’ উন্নীত করার আশা নিয়ে আজ (রবিবার) বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
বিমানবন্দর থেকে মন্ত্রী ওয়াং ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেছেন, ‘আমরা আশা করি এই সফরটি দুই দেশের নেতাদের মধ্যে সাধারণ বোঝাপড়াকে আরও কার্যকর করার, পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতাকে আরও গভীর করার এবং সম্পর্ককে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করার সুযোগ দেবে।’
তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ বলে মনে করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রণে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
বঙ্গবন্ধুর প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ককে ‘নতুন স্তরে’ উন্নীত করার আশা নিয়ে বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, শনিবার বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটের দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে মন্ত্রী ওয়াং ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ওয়াং ইয়ের সফর ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন স্তরে ‘উন্নীত’ করবে: বেইজিং
ওয়াং ইয়ের সফর ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন স্তরে ‘উন্নীত’ করবে: বেইজিং
চীনা স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন স্তরে উন্নীত করবে বলে জানিয়েছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যায়ন করি। এই সফর সম্পর্ককে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করবে।’
ওয়াং ইয়ের সফরকে সামনে রেখে এসব কথা বলেন চুনয়িং।
বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে শনিবার বিকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
মুখপাত্র বলেন, তারা আশা করেন এই সফর দুই দেশের নেতাদের মধ্যে ‘অভিন্ন সমঝোতা’ বাস্তবায়ন ও পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতাকে ‘গভীর’ করার সুযোগ দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং একই দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর: ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে একাধিক সহযোগিতা চুক্তির সম্ভাবনা
চুনয়িং বলেন, ‘তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেয়ার্ড স্বার্থ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।’
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, দুই দিনের সফরে শনিবার বিকাল ৫টায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে শনিবার ঢাকায় আসছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে শনিবার বিকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, দুই দিনের সফরে শনিবার বিকাল ৫টায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বিমানবন্দরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস তার কর্মসূচির সময়সূচি বিস্তারিত জানায়নি।
মন্ত্রী ওয়াং রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন এবং একই দিনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেকজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘এটি অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সফর থেকে আলাদা হতে চলেছে। আমি এই মুহূর্তে আপনাকে বিস্তারিত বলতে পারব না, কারণ এখনও শেষ মুহূর্তের আলোচনার ওপর অনেকগুলো বিষয় নির্ভর করছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার সন্ধ্যায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
আরও পড়ুন: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর: ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে একাধিক সহযোগিতা চুক্তির সম্ভাবনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের বৈঠকে (৫-৬ আগস্ট) যোগদান শেষে কম্বোডিয়া থেকে শনিবার রাতে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ওয়াংয়ের সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে পাঁচ-সাতটি হতে পারে।
তিনি আশ্বস্ত করেন, পরিকল্পিত সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, যদিও তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ‘গভীর ও বিস্তৃত’ এবং দুই দেশ ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ চীন সরকারের কাছে আরও জোরালো ভূমিকা চাইবে।
বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে স্থান দিয়েছে। সংকট আলোচনা ও সমাধানের জন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন-এই ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে।
এর আগে বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশ আবার চীন থেকে ঋণ নিতে যাচ্ছে কি না এক সাংবাদিকের করা এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এবার নতুন করে ঋণ নেয়ার বিষয়টি নেই।’
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্কটের মধ্যে এই সফর কী বার্তা দেবে- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই সফরটি এই অঞ্চলে চীনা পক্ষের নিয়মিত সফরের অংশ এবং এটি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক পর্যালোচনা করার একটি সুযোগ।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ওয়াং ই ঢাকায় এক ঘন্টার যাত্রাবিরতি করেছিলেন। ‘এবার, তিনি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য আসবেন।’
ওয়াং ১৯তম সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, স্টেট কাউন্সিলর ও স্টেট কাউন্সিলের লিডিং সিপিসি মেম্বারস গ্রুপের সদস্য।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক চীন নীতিকে স্বাগত জানাল বেইজিং
৬ আগস্ট ঢাকায় আসবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর: ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে একাধিক সহযোগিতা চুক্তির সম্ভাবনা
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বৃহস্পতিবার বলেছেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের দুই দিনের সফরে বাংলাদেশ ও চীন একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে পাঁচ-সাতটি হতে পারে।
তিনি আশ্বস্ত করেন, পরিকল্পিত সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে; যদিও তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ‘গভীর ও বিস্তৃত’ এবং দুই দেশ ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবে।
শাহরিয়ার বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার সকাল ১১টায় এখানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে এবং রবিবার সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন।
দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একই দিনে মন্ত্রী ওয়াং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার সন্ধ্যায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন শাহরিয়ার।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক চীন নীতিকে স্বাগত জানাল বেইজিং
আগামী ৫-৬ আগস্ট কম্বোডিয়ায় আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের বৈঠকে যোগদান শেষে শনিবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিসিভ করবেন তা এখনও ঠিক হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ চীন সরকারের কাছে আরও জোরালো ভূমিকা চাইবে।
বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে স্থান দিয়েছে। সংকট আলোচনা ও সমাধানের জন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন-এই ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ আবার চীন থেকে ঋণ নিতে যাচ্ছে কিনা এক সাংবাদিকের করা এ প্রশ্নের জবাবে বুধবার তিনি বলেন, ‘এবার নতুন করে ঋণ নেয়ার বিষয়টি নেই।’
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্কটের মধ্যে এই সফর কী বার্তা দেবে- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই সফরটি এই অঞ্চলে চীনা পক্ষের নিয়মিত সফরের অংশ এবং এটি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক পর্যালোচনা করার একটি সুযোগ।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ওয়াং ই ঢাকায় এক ঘন্টার যাত্রাবিরতি করেছিলেন। ‘এবার, তিনি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য আসবেন।’
ওয়াং ১৯তম সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, স্টেট কাউন্সিলর ও স্টেট কাউন্সিলের লিডিং সিপিসি মেম্বারস গ্রুপের সদস্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের
পরমাণু অস্ত্রের হুমকি থেকে বিশ্বকে মুক্ত রাখার আহ্বান ঢাকার
চীনের সামরিক মহড়ার জেরে তাইওয়ানের বিমানের ফ্লাইট বাতিল
মার্কিন আইনপ্রণেতা ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পাল্টা জবাবে চীনের মিসাইল নিক্ষেপের প্রভাবে তাইওয়ান এয়ারলাইনস বৃহস্পতিবার তাদের একাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে।
হংকংয়ের সংবাদপত্র দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এই মহড়াকে ‘কার্যকর তাইওয়ান অবরোধ’ বলে অভিহিত করেছে।
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মঙ্গলবার চীনের সতর্কতাকে অস্বীকার করে একদিনের সফরে আসার পরে বেইজিং ‘লাইভ-ফায়ার অনুশীলন’ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও দেশটি মাছ, ফল ও কুকিজসহ তাইওয়ানের কয়েকশ’ ধরনের খাদ্য সামগ্রী আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।
গৃহযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে বিভক্ত হওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের (চীন ও তাইওয়ান) কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই; তবে এই দুই পক্ষের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত প্রযুক্তি ও উৎপাদন সম্পর্ক রয়েছে।
চায়না টাইমস পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার তাইওয়ানে যাতায়াতকারী কমপক্ষে ৪০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
খবরে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ের তাওয়ুয়ান বিমানবন্দরকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘তার মানে এই নয় যে’ সবগুলো ফ্লাইট সামরিক মহড়ার জন্যই বাতিল করা হয়েছে।
তবে, বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় ধাক্কা দেয়ার মতো সম্ভাব্য কোনো প্রভাবের ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
তাইওয়ান বিশ্বের স্মার্টফোন, অটো, ট্যাবলেট কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত অর্ধেকেরও বেশি প্রসেসর চিপ তৈরি করে।
এসএন্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স-এর রাজীব বিশ্বাস একটি ই-মেইলে বলেছেন, যে কোনও বড় আঘাত ‘বিশ্বব্যাপী শিল্পে শকওয়েভ তৈরি করবে।’
তাইওয়ানের পরিবহনমন্ত্রী ওয়াং কো-সাই বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কিছু ফ্লাইট হংকং দিয়ে যাতায়াত করবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সরকার তাইওয়ানের ওপর চাপপ্রয়োগ এবং দেশটির সরকারকে ক্রমাগত ভয় দেখানোর জন্য দ্বীপদেশটির চারপাশে ফাইটার প্লেন ও বোমারু বিমান মোতায়েন রাখে।
এরপরেও দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ক্রমবর্ধমান। গত বছর দ্বিমুখী বাণিজ্য ২৬ শতাংশ বেড়ে ৩২৮ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তাইওয়ান বলেছে, গত বছরে চীনা কারখানাগুলোতে চিপ বিক্রি ২৪ দশমিক চার শতাংশ বেড়ে ১০৪ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ান ছাড়লেন ন্যান্সি পেলোসি
তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি
ঢাকার এক চীন নীতিকে স্বাগত জানাল বেইজিং
এক চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছে চীন এবং ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ দৃঢ় বিরোধিতা করেছে দেশটি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এসব কথা বলেছেন।
লি জিমিং বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ এক চীন নীতি মেনে চলবে এবং তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের বৈধ ও ন্যায্য অবস্থান বুঝবে ও সমর্থন করবে।’
মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ভালো প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশ সর্বদা নিজ নিজ সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা সংক্রান্ত মূল স্বার্থের বিষয়ে একে অপরকে বুঝেছে ও সমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, ২ আগস্ট চীনের তীব্র বিরোধিতা ও আপত্তি উপেক্ষা করে স্পিকার পেলোসি চীনের তাইওয়ান অঞ্চল সফর করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি এক চীন নীতি ও চীন-যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি যৌথ ইশতেহারের বিধানের গুরুতর লঙ্ঘন।’
এটি চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করে, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ এর জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল বার্তা দেয় এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ান ছাড়লেন ন্যান্সি পেলোসি
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে এবং এর তীব্র নিন্দা করে।’
লি বলেন, বিশ্বে কেবল একটি চীন আছে। তাইওয়ান চীনা ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সরকারই সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র বৈধ সরকার।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির চীনের তাইওয়ান অঞ্চলে সফর শুধু তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং এই অঞ্চলে উত্তেজনা ও সংঘাতের সৃষ্টি করে এবং ইতোমধ্যে সমস্যায় জর্জরিত বিশ্বে আরও অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে।’
তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
দক্ষিণ কোরিয়ায় সফররত মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বৃহস্পতিবার দেশটির শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
এর আগে চীনের অব্যাহত হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাইওয়ান সফর শেষ করে পেলোসি এবং কংগ্রেসের অন্যান্য সদস্যরা বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান। সেখান থেকে তারা জাপান সফরে যাবেন। এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে এর আগে পেলোসি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া যান।
বৃহস্পতিবার পেলোসি দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পরিষদের স্পিকার কিম জিন পিয়ো এবং পার্লামেন্টের অন্যান্য সিনিয়র সদস্যদের সাথে দেখা করবেন। এসময় তাদের মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু বিষয়ক আলোচনা প্রধান্য পাবে বলে জানা গেছে।
একজন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, একই দিন পেলোসির একটি আন্তঃকোরিয়ান সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে যা যৌথভাবে আমেরিকান নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ কমান্ড এবং উত্তর কোরিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালায় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সাথে ফোনে কথা বলবেন পেলোসি। তাদের মধ্যে সরাসরি কোনো বৈঠকের আয়োজন করা হয়নি।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করে জানিয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ।’
এর আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি দেশটি ত্যাগ করেছেন। পেলোসির এই সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে।
তাইওয়ানে পেলোসির আগমনের পর সামরিক মহড়া দিয়েছে চীন এবং তার এই সফর তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনে উসকানি বলে অভিহিত করেছে চীন।
পড়ুন: তাইওয়ান ছাড়লেন ন্যান্সি পেলোসি
তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি