চীন
যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ‘কৌশল’ ভারসাম্যপূর্ণ: এসসিএমপি
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (এসসিএমপি) অনুসারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো অর্থনৈতিক সঙ্কটে নিমজ্জিত। কেউ কেউ চীনের সঙ্গে ঋণের ফাঁদে আটকে আছে। তবে বাংলাদেশ এই ধরনের পরিস্থিতির বাইরে আছে। বর্তমানে এই দেশটিকে ক্রমবর্ধমান একটি উদীয়মান মধ্য শক্তিধর দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে এসসিএমপি তার রিপোর্টে জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সামরিকভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও, ঢাকা সরকার ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি নিপুণ ‘ত্রিমুখী ভারসাম্য’ বজায় রাখার কারণে, এই ধরনের সম্পর্ক জোরদার করাতে দেশটির কোনো উদ্বেগ নেই।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা তার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ব্যাপক ঘাটতির কারণে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে দেশটি।
নেপালে, রিজার্ভ ঘাটতি, বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। হিমালয়ের পাদদেশের এ দেশটি অর্থনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কা করছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সক্রিয় সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ (এ ধরনের পরিস্থিতির আশঙ্কা) নেই। অন্তত, এখনও না।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বিজ্ঞান অনুষদের ফেলো আনু আনোয়ার বলেছেন, ভারতের পাশে অবস্থিত বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের মধ্যে ‘ত্রিমুখী ভারসাম্য’ বজায় রেখেছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন কে ফেয়ারব্যাঙ্ক সেন্টার ফর চাইনিজ স্টাডিজের গবেষণা সহযোগী আনোয়ার বলেন, ‘ঢাকা চীন ও ভারত উভয়ের সঙ্গেই ভালো কাজের সম্পর্ক বজায় রেখে কৌশলগত অস্পষ্টতা বজায় রেখেছে।’
আনোয়ার আরও বলেন, ঢাকা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্ককে ‘অগ্রাধিকার’ হিসেবে ব্যবহার করার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে। যাতে চীন ও ভারত উভয়ের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক স্থাপন করা, উত্তেজনা প্রশমিত করা এবং দুই এশীয় শক্তির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করা যায়।
আনোয়ার বলেন,যদিও ওয়াশিংটন ঢাকার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা জোরদার করেছে, তবে তার মানে এই না যে যুক্তরাষ্ট্র ‘বাংলাদেশকে নিজের অধিকারে’ করে রেখেছে।
আনোয়ার বলেন, ‘অনুমান করা হচ্ছে, বাংলাদেশ চীনের বলয়ে চলে যাচ্ছে বলেই ওয়াশিংটনের কাছ থেকে দেশটি সম্প্রতি অধিক মনোযোগ পাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা
ঢাকায় রাশিয়ান হাউজের ‘অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা
চীনে ভবনধসে নিহত বেড়ে ৫৩
মধ্য চীনে এক সপ্তাহ আগে হওয়া একটি ভবনধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এক সপ্তাহের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে , দুর্ঘটনাস্থলের অনুসন্ধান কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গত ২৯ এপ্রিল বিকালে চাংশা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনটি হঠাৎ করে ধসে পড়ে।
আরও পড়ুন: চীনে বিধ্বস্ত বিমানের ৪৯ হাজারের বেশি টুকরো উদ্ধার
দেশটির ভবন তৈরির নীতিমালা উপেক্ষা ও অনন্য নিয়ম লঙ্ঘনের সন্দেহে অন্তত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে- ভবনের মালিক, নকশা ও নির্মাণের দায়িত্বে থাকা তিনজন এবং অন্য পাঁচজন যারা ভবনের চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ তলায় গেস্ট হাউসে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলো।
এছাড়াও ভবনটিতে ফ্লাট, একটি ক্যাফে ও একটি রেস্তোরাঁও ছিল।
আরও পড়ুন: ১৩২ যাত্রী নিয়ে চীনা বিমান বিধ্বস্ত
চীনে রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৭ জনের মৃত্যু
চীনা ঋণের ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা নেই: মোমেন
বাংলাদেশ চীনের ‘ঋণের ফাঁদে’ পড়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার আবারও বলেছেন, অর্থনীতিবিদদের যারা এই ধরনের কথা বলছেন তারা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাপান থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে, তবে চীনের ঋণ নিয়ে তাদের একমাত্র মাথাব্যথা, কিন্তু জাপানের কথা কেউ বলে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ ঋণ নেয়ার সময় আমরা খুব সতর্ক থাকি। ঋণের ফাঁদে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি দিক সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেন এবং কোনোভাবেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, আমরা জানি না, তবে মাঝে মাঝে আমরা আপনাদের কাছ থেকে শুনি, আপনারা লিখেন যে বাংলাদেশ নাকি চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। পড়ে দেখি যে আপনারা সম্পূর্ণ অলীক কথা লিখেন।’
চীনের ঋণ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের নেতিবাচক মন্তব্যের কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন, তারা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চায়।’
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত বিদেশি ঋণ খুব ভালোভাবে পরিচালনা করছে তবে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জনসাধারণের মধ্যে অনেক আলোচনা রয়েছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অবকাঠামোর প্রয়োজনের মধ্যে চীন ‘আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী মূল্যের’ প্রস্তাবের সঙ্গে ‘অর্থের ঝুড়ি’ নিয়ে এগিয়ে এসেছে।
পড়ুন: চীন শুধু ‘অর্থের ঝুড়ি’ নয় ‘সাশ্রয়ী’ প্রস্তাবও দেয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বুধবার বলেছেন, ইউক্রেনের চলমান ট্র্যাজেডি অনেকের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে, চীন শান্তির পক্ষে এবং যুদ্ধের বিপক্ষে।
শান্তিকে সুযোগ দেয়ার চীন দুটি অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, শান্তি আলোচনা উৎসাহিত করা এবং মানবিক সংকট থেকে মুক্তি দেয়া।
রাষ্ট্রদূত একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘চীন একটি ছয় দফা মানবিক উদ্যোগ পেশ করেছে এবং এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত জনগণের জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে।’
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত ১, আহত ১৩
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির আহ্বান বা শত্রুতার ডাক দেয়া, খাদ্য বা প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করা, আগুন নেভানোর চেষ্টা করা বা আগুনে ঘি ঢালা–কোনটি সমস্যা থেকে উত্তরণ সহজ করছে এবং কোনটি সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করছে? আপনি কী মনে করেন?
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘে এবং অন্যান্য অনেক অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে আলোচনার সময় আমাদের মতামত স্পষ্ট করেছি।’
তিনি বলেন, চীন তার মূল হিসেবে জাতিসংঘের সনদের সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণকারী আন্তর্জাতিক আইন এবং সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত নিয়মকে সমর্থন করে।
রাষ্ট্রদূত জিমিং বলেন, ‘এটি আমাদের গভীর বিশ্বাস যে সব দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১০ জনের মৃত্যু
তিনি বলেন, চীন অভিন্ন, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই নিরাপত্তার দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত করে।
চীনা দূত বলেন, ‘রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগগুলোকে সম্মান করা উচিত এবং বৃহত্তম বিদ্যমান সামরিক জোট কর্তৃক ভালোভাবে নিষ্পত্তি করা হলে সশস্ত্র সংঘাত এড়ানো যেত।’
তিনি বলেন, শীতল যুদ্ধের মানসিকতা এবং ব্লক সংঘাত বিশ্বের জন্য একটি অভিশাপ ছাড়া আর কিছুই নয়, এই সত্যের সাথে পুনরায় শিক্ষা লাভ করতে মানবতাকে একটি বিশাল মূল্য দিতে হলো।
আরও পড়ুন: ডনবাসে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
চীনে বিধ্বস্ত বিমানের ৪৯ হাজারের বেশি টুকরো উদ্ধার
চীনে গেলে সপ্তাহে চায়না ইস্টার্ন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ নামে একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষের ৪৯ হাজারের বেশি টুকরো পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার দেশটির সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এভিয়েশন সেফটি ডিরেক্টর ঝু তাও এর বরাত দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেফটি ডিরেক্টর ঝু তাও এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুর্ঘটনার প্রায় ১০ দিন পর বিধ্বস্ত বিমানটির অনুভূমিক স্টেবিলাইজার, ইঞ্জিনসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে বিমান বিধ্বস্ত: বেঁচে যাওয়া কাউকে পাওয়া যায়নি
ঝু বলেন, দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
গুয়াংজি সরকারের একজন কর্মকর্তা ঝাং ঝিওয়েন বলেছেন, ২২ হাজার কিউবিক মিটার (আট লাখ ঘনফুট) এরও বেশি মাটি খনন করা হয়েছে এবং প্লেনের ৪৯ হাজার ১১৭ টুকরো পাওয়া গেছে। দুর্গম অঞ্চল সঙ্গে বৃষ্টি ও কর্দমাক্ত অবস্থার কারণে অনুসন্ধান কাজ বিঘ্নিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুটি ‘ব্ল্যাক বক্স’- ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার পাওয়া গেছে। পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য এগুলো বেইজিং পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৭ জনের মৃত্যু
এদিকে দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে তদন্তে অংশ নিতে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের মার্কিন তদন্তকারীদের একটি দল এবং বোয়িং এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপদেষ্টাদের চীনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ (সোমবার) চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংসি প্রদেশে ১২৩ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু সদস্য নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং এতে সবাই নিহত হন।
বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতা দেখছেন চীনা নেতারা
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটছে এবং সেটা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি সঞ্চার করছে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদকে এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
প্রেসিডেন্ট শি বলেন, বাংলাদেশ সরকার করোনা মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা পাকিস্তানের
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্জন চীনের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।
প্রেসিডেন্ট শি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী,বন্ধু ও কৌশলগত অংশীদার।
চীনে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দক্ষিণ চীনে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আমাদের দোয়া ও প্রার্থনা বিপর্যয়ের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে রয়েছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন,বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার এবং তার নিজের পক্ষ থেকে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, এই গভীর দুঃখের সময়ে আমরা আমাদের বিশ্বস্ত ও কৌশলগত অংশীদার চীনের সরকার এবং তার জনগণের প্রতি আমাদের জাতীয় সংহতি প্রকাশ করছি। তারা যেন সাহস এবং দৃঢ়তার সঙ্গে এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে।
আরও পড়ুন: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দিলারা হাশেমের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মৃত্যুতে বিএনপির শোক প্রকাশ
চীনে বিমান বিধ্বস্ত: বেঁচে যাওয়া কাউকে পাওয়া যায়নি
এক দশকের মধ্যে চীনে সবচেয়ে খারাপ বিমান বিপর্যয়ের মধ্যে ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে একটি বনাঞ্চলীয় পাহাড়ী এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ দুর্ঘটনায় এখনও বেঁচে যাওয়া কাউকে পাওয়া যায়নি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী টেলিভিশন সিসিটিভি মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ১৮ ঘন্টারও বেশি সময় পর বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে, তবে এখন পর্যন্ত বিমানটিতে যাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
এর আগে সোমবার চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংসি প্রদেশে ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
দেশটির সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টেং কাউন্টির উঝো শহরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ফ্লাইটটি পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের কুনমিং থেকে পূর্ব উপকূল বরাবর গুয়াংজু এর শিল্প কেন্দ্রে যাচ্ছিল।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহত ও আহতের সংখ্যা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে চায়না ইস্টার্ন বোয়িং ৭৩৭ বিমানটিতে ১২৩ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু সদস্য ছিল।
নাসার স্যাটেলাইট ডাটায় দুর্ঘটনাস্থলে আগুন দেখা গেছে।
পড়ুন: ১৩২ যাত্রী নিয়ে চীনা বিমান বিধ্বস্ত
১৩২ যাত্রী নিয়ে চীনা বিমান বিধ্বস্ত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংসি প্রদেশে সোমবার ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা।
চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টেং কাউন্টির উঝো শহরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ফ্লাইটটি পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের কুনমিং থেকে পূর্ব উপকূল বরাবর গুয়াংজু এর শিল্প কেন্দ্রে যাচ্ছিল।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহত ও আহতের সংখ্যা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে চায়না ইস্টার্ন বোয়িং ৭৩৭ বিমানটিতে ১২৩ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু সদস্য ছিল।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
নাসার স্যাটেলাইট ডাটায় দুর্ঘটনাস্থলে আগুন দেখা গেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রথমে স্থানীয় পুলিশ দুপুর আড়াইটার দিকে দুর্ঘটনার বিষয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে একটি কল পায়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা করবে যুক্তরাষ্ট্র
মারিউপোলবাসীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান রাশিয়ার
চীনে রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৭ জনের মৃত্যু
উত্তর চীনের মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে সোমবার একটি রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বাওতু শহরের হন্ডলন জেলায় রাত ২টা ৮ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং প্রায় এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে সাত জন নিখোঁজ হন।
আরও পড়ুন: চীনের কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
সোমবার সকাল ৬টায় ৪০ মিনিটে উদ্ধার কাজ শেষ হলে নিখোঁজ সকলকে মৃত পাওয়া যায়। দুর্ঘটনার কারণ জানতে অনুসন্ধান চলছে।