চীন
৩-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেবে চীন
চীনে তিন বছরের শিশুদের টিকা দেয়া শুরু করা হবে। এখানে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেয়া হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ প্রাদুর্ভাবের প্রতি জিরো-টলারেন্স নীতি বজায় রেখে চলছে।
অন্তত পাঁচটি প্রদেশের স্থানীয় শহর ও প্রাদেশিক স্তরের সরকার সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা করেছে যে ৩-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা নিতে হবে।
চীনের কিছু অংশে ছোটখাটো প্রাদুর্ভাব বন্ধ করার জন্য টিকা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পর্যটনের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গানসুতে নতুন কেস খুঁজে পাওয়ার পর সোমবার সমস্ত পর্যটন এলাকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রাদুর্ভাবের কারণে অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ার কিছু অংশের বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ নতুন স্থানীয় সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যার মধ্যে চারজন গানসুতে। অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে আরও ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধানসহ আটক ৫, অভ্যুত্থানের আশঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ এরদোয়ানের
পূর্বাচলে অত্যাধুনিক প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পূর্বাচলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কেন্দ্রটি সারা বছর বিভিন্ন পণ্য-ভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
ঢাকা ও বেইজিংয়ের যৌথ অর্থায়নে এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি) পূর্বাচল নিউ সিটি প্রজেক্ট এরিয়ায় বৃহৎ এ প্রকল্পটি গ্রহণ করে।
চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএসসিইসি)’ ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ একর জায়গাজুড়ে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে।
কেন্দ্রটির ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার স্কয়ার মিটার। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৪১৮ স্কয়ার মিটারের একটি প্রদর্শনী হল রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর সভাপতিত্বে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রদর্শনী কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: জমি সংকট থাকায় কূটনৈতিক এলাকা হতে পারে পূর্বাচলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়: প্রধানমন্ত্রী
শিশুদের ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী
দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে শিখছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ তার সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী চীনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছে।’
বুধবার ‘দারিদ্র্য বিমোচন: বাংলাদেশ ও চীনের অভিজ্ঞতা’ – শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং চীন উভয়ই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং দারিদ্র্য বিমোচন উভয় রাজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কিভাবে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে তা অন্যান্য দেশ বাংলাদেশ থেকে অনেক কিছু শিখছে।’
ওয়েবিনারে বাংলাদেশকে দরিদ্র্যমুক্ত করতে এবং দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যাওয়ার যে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে তা পূরণে সরকারকে চীনের কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ সময় চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারের লক্ষ্যে দুই বছর মেয়াদী ২৫ সদস্যের অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না এলামনাই (অ্যাবকা)- এর কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
চীনে নিযুক্ত সাবেক বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফায়েজ আহমদকে সভাপতি এবং সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মো. সাহাবুল হককে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করে এই কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
ওয়েবিনারে দীপু মনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও চীন অত্যন্ত জনবহুল দুটি দেশ। তাই দুই দেশের জন্যই দারিদ্র্য বিমোচন অত্যন্ত জরুরী এবং বেশ কঠিন।
বাংলাদেশ চীনের মধ্যে বিদ্যমান গভীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘সাধারণত দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্কের ৪৬তম বার্ষিকী নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বহুদিনের পুরোনো। দুই দেশের সম্পর্কের গোড়া অন্তত আরও দুই হাজার বছরের পুরোনো।’
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে চীনের ব্যাপক সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি ও দেশের মানুষ আশা করেন।
বাংলাদেশকে দরিদ্রমুক্ত করতে এবং দেশে আরও ব্যাপক সংখ্যক সময়োপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার বিস্তারের ওপর জোর দেয়ার জন্য ওয়েবিনারে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ’
আরও পড়ুন: চীনের উপহারের আরও ১০ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
দীপু মনি এ সময় অ্যাবকার নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এই কমিটি বাংলাদেশ-চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদারের ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে বলে তার বিশ্বাস।’
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশকে দরিদ্রমুক্ত করতে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে বন্ধুপ্রতীম দেশ চীনেরও অনেক আন্তরিক সহযোগিতা ছিল বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখন তাদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য চীনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার বাংলাদেশি চীনে অধ্যয়ন করছে। চীনে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে দিশে ফিরে এখন বাংলাদেশের বহু ডাক্তার, শিক্ষক এবং ইঞ্জিনিয়ার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করছেন।’
তিনি চীনের আদলে দেশ থেকে দরিদ্রতা দূর করতে সু-পরিকল্পিত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। প্রায় চার দশক আগে চীন এমনই পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রতিনিয়ত তা বাস্তবায়নে কাজ করার মধ্য দিয়ে দেশকে আজ দরিদ্রমুক্ত করতে পেরেছে বলেও দাবি করেন এই কুটনীতিক।
ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে পল্লী সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, ‘৭০-এর দশকে দারিদ্র্য সূচকে বাংলাদেশ ও চীন প্রায় একই অবস্থানে ছিল। অথচ সুপরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম ও দক্ষ নেতৃত্বের বদৌলতে চীন দেশ থেকে দরিদ্রতা দূর করতে সক্ষম হয়। ’
তিনি বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই দুই দেশকে সবসময় একইভাবে বিবেচনা করা যায় না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে: চীনা উপরাষ্ট্রদূত
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। মূল বক্তা হিসাবে আরও ছিলেন অধ্যাপক ড. লি শিয়াওইউন, প্রধান অধ্যাপক চায়না কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সন্মানিত ডিন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও বৈশ্বিক কৃষি বিভাগ । আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব চুয়াং লিফং, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশে ওভারসিস চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এলডিসি গ্রুপ এবং ড. বিনায়েক সেন, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফায়েজ আহমেদ। এছাড়াও বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সন্মানিত সভাপতি ছাই শি, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাইনুল ইসলাম সাধারণ এবং সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক, কার্যনির্বাহী সদস্যরা, উপদেষ্টা মণ্ডলী, সাধারণ সদস্যরা ও চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চীনের উপহারের আরও ১০ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্কে রাজনীতির চেয়ে ব্যবসা গুরুত্বপূর্ণ
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্যবসা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের বিবেচনায় চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশীদার। রপ্তানি পণ্যের কাঁচামাল, এক্সেসরিজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা রয়েছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কে রাজনীতির চেয়ে ব্যবসার গুরুত্ব বেশি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর সময়ও বাংলাদেশের রপ্তানি মূখী শিল্প কলকারখানা চালু রাখার জন্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাপ্লাই চেইন চালু রেখে সহযোগিতা করেছে চীন। বিশ্বব্যাপী এখন বাণিজ্য কুটনীতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের জন্য প্রতিটি দেশ এখন কুটনীতিকে ব্যবহার করছে। চীনের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। ফলে চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদার।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১০ অক্টোবর) ঢাকায় ইআরএফ কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (বিসিসিসিআই) এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথ ভাবে আয়োজিত ‘বেস্ট রিপোর্টিং এ্যাওয়ার্ড অন বাইলেটারেল রিলেশনশীপ বিটুইন বাংলাদেশ এন্ড চায়না’ শীর্ষক পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চীনের উপহারের আরও ১০ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছেইআরএফ এর উদ্যোগের প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রচার মাধ্যম একটি দেশের অর্থনীতি, ব্যাবসা-বাণিজ্য এবং উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি, আগামী দিনগুলোতেও দেশের স্বার্থে প্রচার মাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। দায়িত্বশীল রিপোর্টিং এর জন্য যারা আজ পুরষ্কৃত হচ্ছেন তারা আগামীতে আরও উৎসাহ নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। দেশের উন্নয়নের জন্য সম্মিলিতভাবে আমাদের কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জাতিসংঘের ৭৬ তম অধিবেশনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, চীন বৈশ্বিক উন্নয়নে কাজ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। সবুজ ও স্বাস্থ্যসম্মত বৈশ্বিক উন্নয়ন চায় চীন। মানব কল্যাণ এবং কাউকে পেছনে ফেলে নয় এমন উন্নয়ন চায় চীন। এজন্য আঞ্চলিক উন্নয়ন ও বিভিন্ন উদ্ভাবনে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশও চীনের এই বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ থেকে সহায়তা পাবে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) নির্ধারিত সময়ে অর্জন হয়েছে। আগামী উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোও সময়মত অর্জন হবে। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের। আর ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩৫ তম অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিসিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মর্তুজা, ইআরএফ প্রেসিডেন্ট শারমিন রিনভি, ইআরএফ এর জেনারেল সেক্রেটারি এস এম রাশেদুল ইসলাম, বিসিসিসিআই এর মহাসচিব মো. শাহজাহান মৃধা বেনু এবং ইআরএফ এর নির্বাহী কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম কাদির।
আরও পড়ুন: চীন থেকে আসবে সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চীনে আঘাত হানছে টাইফুন ‘ইন-ফা’, বহু ফ্লাইট বাতিল
তাইওয়ান ভ্রমণে গেলেন ফরাসি সিনেটর প্রতিনিধি দল
চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্কের চরম উত্তেজনার মধ্যে ফ্রান্সের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিনেটর অ্যালিয়ান রিচার্ডের নেতৃত্বে একদল ফরাসি সিনেটর পাঁচ দিনের সফরে বুধবার তাইওয়ান পৌঁছেছেন।
সিনেটর রিচার্ডের নেতৃত্বে ফরাসি দলটি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই-ইং-ওয়েন, দেশটির অর্থ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং মেইনল্যান্ড অ্যাপেয়ার্স কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে রিচার্ডের এই সফর বাতিল করতে চীনে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে সতর্কপত্র পাঠিয়েছিল চীন।
স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল দাবি করা চীন এই সফরের বিরোধিতা করতে পারে। এছাড়া দেশটির সঙ্গে যে কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্টতারও চরম বিরোধিতা করে চীন।
আরও পড়ুন: পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তাইওয়ানের আকাশ সীমায় চীনা যুদ্ধ বিমান বহর ১৪৯ বার উড়ে যায়। এতেই ৪০ বছরের মধ্যে তাইওয়ান-চীন সম্পর্ক উত্তেজনার চরম তুঙ্গে রয়েছে। তবে চীনা যুদ্ধ বিমানকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্থীতিশীল’ বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাবে চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে এবং মার্কিন জাহাজ তাইওয়ান স্ট্রেইট বরাবর চলাচল করেছে যা ‘উত্তেজনাকর’।
দেশটির আকাশে চীনা যুদ্ধ বিমান উড়ে যাওয়ার ঘটনাকে ‘৪০ বছরের মধ্যে চরম গুরুতর’ বলে উল্লেখ করেছেন তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং।
১৯৪৯ সালে এক গৃহযুদ্ধের পর চীন ও তাইওয়ান আলাদা হয়। বর্তমানে দেশ দুটির মধ্যে ব্যাপক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক থাকলেও কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই।
পড়ুন: কাবুলে আইএসের আস্তানায় তালেবানের অভিযান
ফ্রান্সের ক্যাথলিক চার্চের ৩ হাজার যাজক শিশু নির্যাতনকারী
ঋণের ফাঁদে পড়বে না বাংলাদেশ: পরিকল্পমন্ত্রী
জিডিপির অনুপাতে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ অনেক কম এবং রিজার্ভের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ঋণের ফাঁদে পড়ার কোন আশঙ্কা নেই বাংলাদেশের।
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- চায়না অ্যালামনাই এবিসিএ’র আয়োজনে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭২তম বার্ষিকী’ ও ‘চীন-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’ বিষয়ক এক অনলাইন সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ চিন্তাভাবনা করেই বিদেশি ঋণ নেয় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়বে। বাংলাদেশে চীনা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ এবং দুই দেশের সরকারের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
মন্ত্রী এ সময় চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নিতে চীন সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর ও ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান বলেন, ‘চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নিতে কাজ করছে সেদেশের সরকার।’
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ফেরত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
পড়ুন: গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ
অফিসিয়াল ব্যবস্থাপনায় একবার চীন দেশ ভ্রমনের সুযোগ হয়েছিল। চীনারা বিদেশি ছাত্র অফিসার বলে আমাদের অনেক যত্ন আত্তি করেছে। বিদেশি ৯ জন ছাত্রের জন্য প্রচুর প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রশংসনীয়। একজন স্যার দোভাষী, সিনিয়র প্রশিক্ষক, একটি এয়ারকন্ডিসন মাইক্রোবাস, উইন্ডশিল্ড এ 'ফরেনার সাটানো' ভিআইপি গাড়িটি সর্বদা পুলিশ প্রহরায় চলাচল করতো। খাবার দাবারের কমতি নেই।
আমাদের নিরাপত্তার প্রতি ওরা খুবই সতর্ক। কোথাও একা যেতে দিত না। নারীদের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এসব কড়াকড়ির মাঝেও ফাঁক বুঝে বাইরে যাওয়া যেতো। কিন্তু সমস্যা হলো ভাষার। চীনা ভাষা না জানলে এক চুলও নড়ার সাধ্য নেই। আমাদের অবসর কাটে টিভি দেখে (যত্তসব গাজাখুরি আজগুবি কল্প কাহিনী)।
কলেজ ক্যাম্পাসে বিশাল এক লাইব্রেরি আছে। সময় কাটানোর একটা ভালো জায়গা। কিছু ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার বই ছাড়া বাকি চীনা বই।
একদিন একটা বই পেলাম আধুনিক চীনের সংস্কারবাদী নেতা দেং শিয়াও পিংয়ের জীবনীর উপর। চীনের রাজনীতি ও লং মার্চে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি চীনকে বহির্বিশ্বে পরিচিত করেছিলেন এই সংস্কারের মাধ্যমে। এক সন্তান নীতি, শিল্পায়ন, ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যক্তি মালিকানার স্বীকৃতি, উৎপাদন ও পুঁজি সৃষ্টিতে সংস্কার সমূহ বিশেষ ভূমিকা রাখে।
আগ্রহ ভরে বইটা নিলাম। ধরে নিয়েছিলাম রাজনীতিবিদ ও কাস্তে হাতে বিপ্লব করা লোকটা এমন আর কিইবা জানে। আফসান চৌধুরীর ভাষার হাইলা হবে হয়তো। দেখলাম এই নেতা ধনী কৃষকের ছেলে যিনি ফ্রান্সে লেখা পড়া করেছেন। চীনা রাজনীতিতে সকল স্তরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বার বার গ্রেপ্তোর ও নির্যাতন তাকে নীতি থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। স্বয়ং মাওয়ের সাথে নীতিগত বিরোধিতা করে পদ হারিয়েছিলেন। জেলে বন্দী ছিলেন। সামরিক শক্তি বাড়িয়ে যুদ্ধ জয়ের পরিবর্তে তিনি অর্থনৈতিক বিনিয়োগে যুদ্ধ জয়ে বিশ্বাসী ছিলেন। তার ভাষায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এলে সামরিক উৎকর্ষতা নিশ্চিত বাড়বে ও যুদ্ধ জয় সহজ হবে।
দেংয়ের এই থিওরি ঠিক কিংবা বেঠিক সে বিতর্কে এ স্বল্প পরিসরে যেতে চাইনা। তাছাড়া তার মৃত্যুর পর তার অনুসারী চীনা কর্ণধারগণ সঠিক নির্দেশনায় আছেন কি না তাও দেখার বিষয়। চীন যে একটা অর্থনৈতিক শক্তি সন্দেহ নেই। তবে সামরিক বা রাজনৈতিক সক্ষমতায় চীন কি বিশ্ব শক্তি না রিজিওনাল শক্তি। চীনের একলা চলো নীতি আর নেই কিন্তু বন্ধুদের সংখ্যা লেনদেনের উপর নির্ভরশীল। তাই সাপের মাথার মনির লোভে কেউ কাছে এগোতে দ্বিধান্বিত। বর্তমান সময়ের চীনা রাজনৈতিক বিশ্লেষণ অনেক জটিল ও দীর্ঘ। কড়া নজদারি চলছে চীনা সম্ভাব্য বন্ধুদের প্রতি।
ঢাকায় পৌঁছেছে সিনোফার্মের আরও ৫০ লাখ ডোজ টিকা
চীন থেকে সিনোফার্মের আরও প্রায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট ভ্যাকসিনের চালান নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু জাহের বিমানবন্দরে ভ্যাকসিনের চালান গ্রহণ করেন। এই টিকা চীন থেকে বাণিজ্যিক ক্রয়েরই অংশ।’
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিনোফার্মের প্রায় ৫০ লাখ ডোজ পেয়েছে। এছাড়া ১১ সেপ্টেম্বর চীনের আরও ৫ লাখ ডোজ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, প্রতি মাসে এক কোটি বা তার বেশি ডোজ টিকা সংগ্রহের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সিনোফার্ম থেকে প্রতিমাসে ২ কোটি করে মোট ছয় কোটি টিকা আসবে।
আরও পড়ুন: মাসে এক কোটির বেশি টিকার ব্যবস্থা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
সিনোফার্মের আরও ৫৪ লাখ টিকা দেশে এসেছে
চীনের সিনোফার্ম থেকে প্রায় ৫৪ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৪৪ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এই টিকা এসে পৌঁছেছে।
বিমানবন্দর স্বাস্থ্য ক্যাম্পের ইনচার্জ ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. সামসুল হক টিকার এই চালান গ্রহণ করেন।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান বলেছেন, চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে ক্রয় করা টিকার চালান ঢাকা পৌঁছাবে।
এটি এখন পর্যন্ত চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে ক্রয় টিকার ডোজের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালান।
হুয়ালং ইয়ান বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে যখনই প্রয়োজন হবে চীন সর্বদা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে পাশে থাকবে।
এনিয়ে সিনোফার্মের প্রায় ২ কোটি ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দেশে সিনোফার্ম টিকার যৌথ উৎপাদনে চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকায় এলো সিনোফার্মের প্রায় ৫৬ লাখ ডোজ টিকা
নয়া তালেবান, পুরান তালেবান: তফাৎ কী?
তালেবান ক্ষমতা হারায় বিশ বছর আগে, তারপর কখনও এখানে, কখনও ওখানে। পরিকল্পনা করেছে, অ্যাকশনে গিয়েছে, কিন্তু ক্ষমতা পায়নি। শেষে মার্কিনিরা যখন দেখলো যে ক্ষমতা তারা ধরে রাখতে পারবে না, তালেবানের সাথে আলাপে নামলো। হঠাৎ করে তালেবানেরা সবল হলো, নাকি মার্কিনিরা দূর্বল হচ্ছিল দীর্ঘ দিন ধরে?
তালেবানের পিছনে দুই বড় শক্তি কাজ করেছে গত ৭ বছর ধরে আমেরিকাকে হটাতে এবং নিজেদের দেশে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে। সে কারণেই তালেবান টিকে থাকতে পেরেছিল।
আর মার্কিনিদের মাথায় তালেবান নয়, চীনাদের ভূত চেপেছে। সকল শক্তি নিয়োজিত করছে চীনকে ঠেকাতে। তাই প্রস্থান। সংঘাত সাউথ সি ও তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে।
তালেবান পাঞ্জশির প্রদেশ নিজেরা দখল করতে না পারায় এটাই প্রমাণ হয় যে তাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়নি।
২
পাঞ্জশির পুরোটাই CIA-এর পালক সন্তান। সেটা মাসুদ বা Northern Alliance ই হোক। কিন্তু তারা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি, কারণ পাশের ইরান বা তাজিকিস্তানের সাথে সামরিক যোগাযোগ আগেই বন্ধ করা ছিল।
অতএব রসদহীন ভাবে যুদ্ধ চালাতে তারা অক্ষম। তাছাড়া যুদ্ধটা করেছে পাকিস্তান, অতএব তালেবানের কৃতিত্ব এটা নয়। আর পাকিস্তান কার কথা শোনে? চীন। তালেবান এমন কোনও বড় শক্তি আগেও ছিল না, এখনও নেই।
৩
দেশের ভেতর তালেবানরা বলেছে, তারা নারী অধিকার, গণমাধ্যমের অধিকার, এইসব দেবে। তারা জানে, এইগুলো না বললে অন্য দেশ তাদের স্বীকৃতি দেবে না।
তালেবানরা পুশতুন নিয়মে চলে। তার বাইরে যেটা, সেটা তারা করবে না। ২০ বছর আগে যেটা লোকে বলতো ইসলামী মৌলবাদ, সেটা ছিল ‘পুশতুনিয়া’ মৌলবাদ। এটা থেকে সরে আসলে তালেবানদের ভেতরে দ্বন্দ্ব দেখা দেবে। অতএব, মুখে যতই বলুক, একটা সীমানার পর তারা পুরান তালেবানই থাকবে।
নারীদের পরিসর শতভাগ বন্ধ হবে না, তবে বেশির ভাগ বন্ধ থাকার আলামত চারদিকে। কিন্তু ২০ বছরে পৃথিবী পাল্টেছে। আমেরিকা যা বলে, তা সবাই আর শোনে না। এটাই তালেবানদের জন্য বড় সংবাদ। কিন্তু তাদের নিজেদের কী হবে?
আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তান’ কোনো একক রাষ্ট্র নয়
৪
তালেবানরা দেশের ভেতরে যাই করুক, বাইরে তা করতে পারবে না। জঙ্গিবাদ পোষণ করতে বড় বাঁধা তাদের দুই হুজুর- চীন ও রাশিয়া, বিশেষ করে চীন। তাদের খেপিয়ে টিকে থাকার ক্ষমতা তালেবানের নেই।
জঙ্গিবাদ পোষণ করবো না বলেই তারা চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন আদায় করেছে। জঙ্গিবাদ লালন বন্ধ করতে হবে, আর না করলে তাতে নতুন বিপদ।
দেশ চালানোর সমস্যা অনেক। যেমন সাহায্য না পেলে, দারিদ্র্য ভয়ানকভাবে বাড়বে, ফলে নতুন শত্রু তৈরি হবে। তালেবানের দূর্বলতা মানে পাকিস্তানের শক্তি বৃদ্ধি, যেটা তালেবান চায় না। আর চীন চায় ব্যবসা, যেটা তালেবানও চায়।
এই প্রয়োজনের কারণেই তালেবান কথা শুনবে। জটিল রাষ্ট্র সামলাবার ক্ষমতা তাদের নেই। ক্ষমতায় টিকতে হলে কথা শুনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: তালেবান মাস্ক না পরলে কি কিছু এসে যায়
৫
সেই তালেবান ছিল পুশতুন মৌলবাদী, এই তালেবান তাই। যেটা তারা শিখেছে সেটা হলো, যে করেই হোক ক্ষমতায় টিকতে হবে। কিছু নিলে, কিছু দিতে হবে।
আজকের আফগনিস্তান, ২০ বছর আগের মতো নয়। মানুষগুলো অনেক পাল্টে গেছে, দেশের অনেক শত্রু। কয়েক বিলিয়ন ডলার মার্কিন ব্যাংকে আটকা, তা না পেলে অনেক কিছুই হবে না।
চীনের সাথে তালেবানের রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল না আগে। তাই চীন কত কঠোর হতে পারে তালেবান তা জানে না। তাই বেসামাল কিছু করলে, এই অনেকটা দূর্বল গোষ্ঠী বিপদে পড়বে। তবে কতটা গেলে সেটা হতে পারে, এখনও কেউ তা বলতে পারে না।
হুম হ্যাম যতই করুক, তালেবান শান্তিতে নেই।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়ে কী বার্তা দিলেন পরীমণি
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?