চীন
'শান্তি ও স্থিতাবস্থা' বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি চীন-ভারতের
চীন ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ সীমান্তে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুই দেশের সামরিক কমান্ডাররা। সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য উভয় পক্ষের এটি সাময়িক প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি যৌথ বিবৃতিতে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রবিবার ও সোমবার সীমান্তের পশ্চিম অংশের দ্য লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলসিএ) নিয়ে সীমারেখা সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সমাধানকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কমান্ডার পর্যায়ের ১৯তম বৈঠকে ‘ইতিবাচক, গঠনমূলক ও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা’ হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ‘অতি দ্রুত বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করতে সম্মত হয়েছে তারা। তবে ছাড় দিতে ইচ্ছুক এমন কোনো ইঙ্গিত কোনো পক্ষ থেকেই আসেনি। এ ছাড়া, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংঘর্ষে তাদের উভয় পক্ষের সৈন্যরা যে রক্তপাত ঘটিয়েছে তা এড়াতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘অন্তর্বর্তী সময়ে, উভয় পক্ষ সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।’
পশ্চিমে লাদাখ থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে চীন এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোকে পৃথক করেছে এলসিএ, যা সম্পূর্ণরূপে নিজেদের বলে দাবি করে চীন। ভারত ও চীন ১৯৬২ সালে তাদের সীমান্তে একটি যুদ্ধে জড়িয়েছিল। তখন থেকে এটির আঞ্চলিক দাবির পরিবর্তে সরাসরি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রগুলোকে বিভক্ত করে।
ভারতের মতে, প্রকৃত সীমানা ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার (২ হাজার ১৬৭ মাইল) দীর্ঘ, কিন্তু চীন সংক্ষিপ্ত একটি চিত্র প্রচার করে।
সব মিলিয়ে চীন অরুণাচল প্রদেশসহ ভারতের উত্তর-পূর্বে প্রায় ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটার (৩৫ হাজার বর্গ মাইল) অঞ্চল দাবি করে। এটি বৌদ্ধ অধ্যুষিত এলাকা।
এদিকে ভারতের দাবি, আকসাই চিন মালভূমিতে তার অঞ্চলের ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার (১৫ হাজার বর্গ মাইল) দখল করেছে চীন। এটিকে লাদাখের অংশ মনে করে ভারত। আর এখানেই বর্তমান দেশ দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
চীন এরই মধ্যে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে দৃঢ় করতে শুরু করে এবং বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যুতে দেশটিকে সমর্থন দেয়।
১৯৬৭ ও ১৯৭৫ সালে ভয়ংকর যুদ্ধের ফলে উভয় পক্ষের আরও বেশি মৃত্যু ঘটে। তারা তখন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার চুক্তিসহ প্রোটোকল গ্রহণ করেছে, কিন্তু সেই প্রোটোকলগুলো কেউই মানছে না।
আরও পড়ুন: চীন সীমান্তবর্তী লাদাখের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করলেন মোদি
তিন বছর আগে লাদাখ অঞ্চলে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় এবং ৪ চীনা সেনা নিহত হয়। এতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় একটি দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা নেমে আসে। যেখানে উভয় পক্ষ কামান, ট্যাঙক ও যুদ্ধবিমানসহ সামরিক বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্যকে মোতায়েন করেছে।
ভারত ও চীন উভয়ই প্যাংগং সো, গোগরা ও গালওয়ান উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণ তীরের কিছু এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু বহুস্তর নিরাপত্তার অংশ হিসেবে অতিরিক্ত সৈন্যের মোতায়েন রেখেছে।
এপ্রিলে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার চীনের প্রতিপক্ষ জেনারেল লি শংফু -এর সঙ্গে আলোচনার সময় চীনকে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি লঙ্ঘন করে দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ‘সার্বিক ভিত্তি’ নষ্ট করার জন্য দায়ী করেছিলেন।
ভারতের দাবি, বিপুল সংখ্যক চীনের সেনা মোতায়েন, তাদের আগ্রাসী আচরণ এবং একতরফাভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা দেশগুলোর মধ্যে চুক্তি লঙ্ঘন করে।
চীন, ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান নিয়ে গঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার প্রতিরক্ষা প্রধানদের বৈঠকে যোগ দিতে নয়া দিল্লি সফর করছিলেন জেনারেল লি শংফু।
আরও পড়ুন: লাদাখ থেকে চীনকে সেনা ফিরিয়ে নিতে বলেছে ভারত
চীনে বন্যায় নিহত ২০, নিখোঁজ ২৭
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের আশেপাশের অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিতে অন্তত ২০ জন নিহত ও ২৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে দেশটির সরকার। প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে গেছে, গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বেইজিং শহরতলির স্কুল ও অন্যান্য সরকারি ভবন এবং নিকটবর্তী তিয়ানজিন ও ঝুওঝৌ শহরে হাজার হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বন্যার তীব্রতা চীনের রাজধানীকে অবাক করে দিয়েছে। বেইজিংয়ে সাধারণত শুষ্ক গ্রীষ্মকালই দেখা যায়। তাছাড়া এ বছর ছিল রেকর্ড পরিমাণ তাপ।
অন্যান্য অঞ্চল, বিশেষ করে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে অস্বাভাবিকভাবে মারাত্মক গ্রীষ্মকালীন বন্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে বহু মানুষ মারা গেছে। এদিকে, দেশের অন্যান্য অংশ খরার সঙ্গে লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
বেইজিংয়ের পশ্চিম প্রান্তের মেনটুগু জেলার রাস্তায় জমে থাকা কাদা পানিতে দুর্ঘটনায় পড়ছে গাড়ি।
বেইজিংয়ে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ ২৭ জনকে খুঁজছে বলে সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে। রাজধানীকে ঘিরে থাকা হেবেই প্রদেশে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ফিনিক্স টিভি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, রাজধানীর ফাংশান জেলার প্রায় ৬০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সিনহুয়া জানিয়েছে, বেইজিংয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ঝুওঝৌতে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু, নয়াদিল্লির স্কুল বন্ধ
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং স্থানীয় সরকারগুলোকে আটকা পড়াদের উদ্ধার এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে 'সর্বাত্মক প্রচেষ্টা' চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বেইজিংয়ের পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর তিয়ানজিনের সরকার জানিয়েছে, ইয়ংডিং নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে ৩৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হেবেই প্রদেশের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার থেকে কোথাও কোথাও ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু এলাকায় ঘণ্টায় ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ইতালির প্রাণঘাতী বন্যা জলবায়ু বিপর্যয়ের সর্বশেষ চরমতম উদাহরণ
চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানী বেইজিংয়ের আশেপাশের পাহাড়ে বন্যায় ১১ জন নিহত হয়েছেন এবং ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দেশটির সিসিটিভি চ্যানেল জানিয়েছে, কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে কর্তৃপক্ষ ট্রেন স্টেশনগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। দুর্বল সম্প্রদায়ের লোকদের স্কুলের জিমে সরিয়ে নিয়েছে। বাড়িঘর ডুবে গেছে এবং রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে।
মৌসুমী বন্যা প্রতি গ্রীষ্মে চীনের বড় অংশে আঘাত হানে, বিশেষ করে আধা-ক্রান্তীয় দক্ষিণে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সমাবেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত, আহত প্রায় ২০০
তবে দেশটির উত্তরাঞ্চলে এই বছর ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার খবর পাওয়া গেছে।
জুলাইয়ের শুরুর দিকে চংকিং-এর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে বন্যায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছিল এবং সুদূর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশে প্রায় ৫ হাজার ৫৯০ জন লোককে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।
হুবেই প্রদেশের মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি-ঝড়ে বাসিন্দারা বাড়িতে আটকে পড়ে।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে চীনের সবচেয়ে মারাত্মক এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বন্যা ছিল ১৯৯৮ সালে। সেবার ৪ হাজার ১৫০ জন মারা গিয়েছিল।
২০২১ সালে হেনানের কেন্দ্রীয় প্রদেশে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। সেই বছরের ২০ জুলাই রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে প্রাদেশিক রাজধানী ঝেংঝো প্লাবিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ৫
ঝিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবির নেই, বিদেশি গণমাধ্যমসহ সবার জন্য উন্মুক্ত: চীন
পশ্চিমা গণমাধ্যমসহ সবার জন্য ঝিনজিয়াং উন্মুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা। সেখানকার পরিস্থিতি দেখতে আগ্রহী এমন যে কাউকে সাদরে গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ঝিনজিয়াং পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমহাপরিচালক ঝ্যাং হুয়াঝং সাম্প্রতিক সফরের সময় এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনবিকে বলেন, ‘ঝিনজিয়াংয়ের দরজা পশ্চিমা গণমাধ্যমসহ সবার জন্য উন্মুক্ত।’
তিনি বলেন, তারা চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ঝিনজিয়াং সম্পর্কে ‘আরও বিস্তৃত ও বস্তুনিষ্ঠ’ প্রতিবেদন দেখতে চান।
তাদের একটি ‘মুক্ত ও সম্যক’ মনোভাব রয়েছে উল্লেখ করে ঝ্যাং বলেন, ‘এখানে কোনো বন্দিশিবির নেই। এখানে সবাই সশরীরে এসে দেখতে পারেন। আপনারা (বাংলাদেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধি দল) আমাদের দৈনন্দিন জীবন দেখেছেন। ‘বন্দিশিবির’ এর মতো শব্দের ব্যবহার করা একেবারেই বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নয়।’
তিনি বলেন, ঝিনজিয়াংয়ের মানুষ সুখী জীবনযাপন করছে এবং এই অঞ্চল সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণে ২ দেশের ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক উন্নয়নে মনোনিবেশ অব্যাহত রাখা উচিত।
চীনা সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উভয় দেশ একই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বেঁচে থাকার অধিকার, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা হলো মূল মানবাধিকার।’
আরও পড়ুন: চীনের ঝিনজিয়াংয়ে 'বন্দিশিবিরের' দাবি ভিত্তিহীন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলকে অঞ্চলটির বৃহত্তম মসজিদের ইমাম
তিনি বলেন, তারা উন্নয়ন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে চান এবং জাতীয় স্থিতিশীলতা ও জনগণের কল্যাণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঝিনজিয়াং প্রদেশের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কর্মকর্তারা ১০ সদস্যের বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলের কাছে এসব কথা বলেন। এই প্রতিনিধি দলের সপ্তাহব্যাপী সফরের ইতি টানার আগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চীনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপ করেন- ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের উপমহাপরিচালক ইয়ান নাইমিন, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সাহিত্য ফেডারেশনের সহসভাপতি উইলিজান ইয়াকুব, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নারী ফেডারেশনের সভাপতি আয়নুর মাহসেত, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জাতিগতবিষয়ক উপমহাপরিচালক (ধর্মবিষয়ক ব্যুরো) লি জিয়াং, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কমিশনের উপমহাপরিচালক ইউ মিপিং, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সিপিসির ইউনাইটেড ফ্রন্ট ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টের ধর্মবিষয়ক বিভাগের পরিচালক চু জিয়ান, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন ব্যুরোর প্রধান অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপক মা ঝিবিন, ঝিনজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক লি জিয়াওডং, শিক্ষার পররাষ্ট্র বিভাগের উপপরিচালক কিন শান এবং ঝিনজিয়াং পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক গু মেই।
কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী উভয়ের অধিকার রক্ষায় পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চীন সরকার। একই সঙ্গে ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জনগণের ধর্মীয় স্বাধীনতা পুরোপুরি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তারা বলেন, সরকার প্রণীত আইন ও প্রবিধান জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি সব ধর্মের অনুসারীদের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়।
আরও পড়ুন: খরচ ও শ্রম কমাতে চীনা বর্ষজীবী ধান চাষ করতে পারে বাংলাদেশ
ঝিনজিয়াং প্রদেশের জনগণের একটি বড় অংশ মুসলিম এবং মিডিয়ার একটি অংশে অভিযোগ রয়েছে যে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার ৮ দেশের সঙ্গে সীমান্তসংলগ্ন এই অঞ্চলে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঝ্যাং বলেন, ‘যা সম্পূর্ণ মনগড়া… চীনবিরোধী শক্তিগুলো চীনের অর্জিত বিস্তৃত গণমুখী সমৃদ্ধিকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য এসব অপপ্রচার করছে।’
লি জিয়াং বলেন, এ অঞ্চলের জনগণ পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করে থাকে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, তারা নাগরিকদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুরোপুরি সম্মান করেন এবং রক্ষাও করেন। ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য আইন ও বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে।
চু জিয়ান বলেন, নীতি নির্ধারণী ফোরামে জাতিগত সংখ্যালঘুদেরও যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
ইয়ান নাইমিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত সংস্কৃতি, শিল্পকলা ও সংগীতের প্রচার করে আসছি। বিদেশি পর্যটকদের জন্য ঝিনজিয়াং ভ্রমণ করা খুব সুবিধাজনক।’
এলিজান ইয়াকুব বলেন, সিপিসি সাহিত্য ও লোককাহিনির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে এবং প্রতি বছর এই উদ্দেশ্যে ১০ মিলিয়ন আরএমবি (ইউয়ান) বরাদ্দ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘জাতিগত ঐক্য জোরদার করতে আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের জন্য সংস্কৃতি ও সাহিত্যের উন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
আইনুর মাহসেত বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ নারী ও শিশুদের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়।
তিনি বলেন, উইঘুরের স্থানীয় সরকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য কল্যাণে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।সরকারের আইন ও প্রবিধান নারী ও শিশুদের অধিকার সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়।
তিনি আরও বলেন, দল ও সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্র ও ফোরামে বিপুল সংখ্যক নারী অবদান রাখছেন।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলটিতে ছিলেন- দৈনিক যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের উপসম্পাদক টিটু দাস গুপ্ত, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিবেদক মীর মোস্তাফিজুর রহমান, দ্য ডেইলি স্টারের কূটনৈতিক প্রতিবেদক পরিমল পালমা, ইউএনবির বিশেষ প্রতিবেদক একেএম মঈনুদ্দিন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিশেষ প্রতিবেদক নাফিজা দৌলা, এটিএন নিউজের প্রধান প্রতিবেদক আশিকুর রহমান অপু, দৈনিক সমকালের কূটনৈতিক প্রতিবেদক তাসনিম মহসিন মিশু, যমুনা টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আহমেদ রেজা এবং সময় টিভির কূটনৈতিক প্রতিবেদক তাজওয়ার মাহমিদ।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে: চীনা কর্মকর্তা
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে: চীনা কর্মকর্তা
'পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ' শীর্ষক প্রকল্পের পূর্ণ বাস্তবায়নের পর ঢাকা শহর ও তৎসংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। যা হবে ডিজিটাল ঢাকা শহরের মূল ভিত্তি। এমনটাই জানিয়েছেন চীনের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা।
টিবিইএ'র ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক মা ইউএনবিকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৭০ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন যে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পুরো প্রকল্পটি সম্পন্ন করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পরিচালক মা বলেন, টিবিইএ ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পের অধীনে কাজ করছে। যার অধীনে বেশ কয়েকটি উপপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে এই প্রকল্পটি দুই দেশের সরকারের মধ্যে বৃহত্তম বিদ্যুৎ সহযোগিতা প্রকল্প।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জরিমানা করেই দায় সারছে দুই সিটি করপোরেশন
চীনে স্কুলে জিমের ছাদ ধসে ১১ জন নিহত
চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের কিকিহার শহরে একটি মিডল স্কুলের জিমের ছাদ ধসে ১১ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) বিকালে এই দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
দেশটির সরকারি নিউজ এজেন্সি সিনহুয়া’র তথ্যমতে, স্কুলের ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শ্রমিকেরা জিমের ছাদে নির্মাণ সামগ্রী জমা করে রাখায় সেগুলো বৃষ্টির পানি শুষে নেয়।
সিনহুয়া জানায়, ৩৪ নম্বর মিডল স্কুলের জিমনেসিয়ামে ১৯ জন ছিলেন। কিন্তু এদের মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী ছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন: চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে খনি শ্রমিক আবাসনে নিহত ১৯
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খনির ছাদ ধসে ৫জন নিহত
চীনে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৮
নির্মাণ ও শিল্প দুর্ঘটনা চীনে নিয়মিত ঘটনা। মূলত কোম্পানিগুলোর নিরাপত্তা বিধি না মানা এবং দুর্নীতি বা স্থানীয় সরকারি সংস্থাগুলোর দায়িত্বহীনতার অভাবের ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।
এসব সমস্যা বিশেষত দ্বিতীয় ও তৃতীয়-স্তরের শহরগুলোতে তীব্র। যেমন-কিকিহার, যা রাশিয়ার সীমান্তবর্তী হেইলংজিয়াংয়ের চীনা রাস্টবেল্ট প্রদেশে অবস্থিত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলে বড় আকারের অর্থনৈতিক পতন এবং বহির্মুখী অভিবাসন ঘটেছে।
বাংলাদেশকে ব্রিকস জোটে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চীন: মুখপাত্র
চীন বলেছে যে ব্রিকস-এর সম্প্রসারণের বিষয় জোটটির পাঁচ সদস্য একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং মঙ্গলবার ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে বলেন, ‘চীন ব্রিকস সম্প্রসারণকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ব্রিকসের বড় পরিবারে আরও সমমনা অংশীদারদের যুক্ত করতে প্রস্তুত।’
মাও বলেন, উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্রিকস বহুপক্ষীয়তা সমুন্নত রাখতে, বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কারকে জোরালোভাবে এগিয়ে নিতে এবং উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে ঢাকা স্বাগত জানাবে
এর আগে গত ১৯ জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের জোটে যোগ দিতে ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা অবশ্যই যোগ দেব। আমরা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি (আমাদের যোগদানের বিষয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে)। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ প্রায় আটটি নতুন দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছেন ব্রিকস নেতারা।’
এর আগে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মোমেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হতে পারে।
আগামী ২২ থেকে ২৪ আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন জোটটির নেতারা। গাউতেংয়ের জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে (এসসিসি) এই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
ব্রিকস নেতারা ব্রিকস বিজনেস ফোরামের সময় ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে এবং শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিল ও অন্যান্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হবেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশে' প্রতিফলিত: চীন
আফ্রিকা ও বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের নেতাদের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা এর প্রচার অব্যাহত রাখবে এবং ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনের সময় একটি ব্রিকস আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস সংলাপের আয়োজন করা হবে।
মোমেন সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডোরের আমন্ত্রণে ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট দেশগুলোকে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে আরও সহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
মোমেন জোটের দেশগুলোর উন্নয়ন, অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোকপাতের কথা উল্লেখ করেন।
ব্রিকস সদস্য দেশগুলোকে তাদের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উন্নয়নশীল অংশীদারদের কাছে হস্তান্তর করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: চীনের আপত্তির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি সই
নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশে' প্রতিফলিত: চীন
চীন বলেছে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ‘শুধু বাংলাদেশের জনগণের শক্তিশালী অবস্থান নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের একটি বড় অংশের মনে প্রতিফলিত।’
বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্য করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যটি লক্ষ করেছি। প্রকৃতপক্ষে, নিজস্ব জাতিগত বৈষম্য, বন্দুক সহিংসতা এবং মাদকের বিস্তারের সমস্যাগুলোর প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রেখে, একটি নির্দিষ্ট দেশ দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে অনেক উন্নয়নশীল দেশ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী।
আরও পড়ুন: চীনের আপত্তির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি সই
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন,‘আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায়, স্বাধীন দেশীয় ও বৈদেশিক নীতিকে সমুন্নত রাখতে এবং এর জাতীয় বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই উন্নয়নের পথ অনুসরণে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।’
তিনি বলেন, তারা সব ধরনের আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করতে, জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার মৌলিক নিয়মগুলোকে সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এবং জাতিসংঘের সনদের নীতিগুলো এবং মানবজাতির জন্য একটি ভাগ করা ভবিষ্যতসহ একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলুন।
আরও পড়ুন: চীনের প্রেসিডেন্ট শি বাংলাদেশি শিশু আলিফা চিনের চিঠির জবাব দিয়েছেন
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে খনি শ্রমিক আবাসনে নিহত ১৯
দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে একটি খনির কোম্পানীর কর্মী আবাসিকে ভূমিধসে ১৯ জন নিহত হয়েছে।
রবিবার ভোরে এই বিপর্যয় ঘটে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিপর্যয়টি সিচুয়ান প্রদেশের লেশান কাউন্টির একটি পাহাড়ী গ্রামীণ জেলায় কয়েক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ভূমিধস হয়।
রবিবার বিকালে উদ্ধার অভিযানা চালিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের খুঁজে বের করতে ১৮০ জনেরও বেশি লোককে একত্রিত করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকার সংস্থা সিসিটিভির মতে, নিহতরা সবাই জিনকাইয়ুয়ান মাইনিং কোম্পানির কর্মী।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
আর্দ্র, বৃষ্টির আবহাওয়াসহ, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন ভূমিধস প্রবণ এলাকা। বিশেষ করে এমন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে যেখানে কৃষিকাজ, বন উজাড়, প্রকৌশল প্রকল্প এবং খনির কাজের কারণে বৃহৎ আকারে মাটি সরানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ অনেকে
চীনের আপত্তির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি সই
চীনের আপত্তির মধ্যেই বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে।
দুই দেশের সরকার জানায়, ২১ শতকের বাণিজ্যে মার্কিন-তাইওয়ানের উদ্যোগ শুল্ক, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য নিয়মনীতির উন্নতির মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পের কেন্দ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখে এমন বেসরকারি সংস্থার কর্মচারীরা এই চুক্তি সই করে। এ দুই দেশের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবে তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে।
ডেপুটি ইউএসটিআর সারাহ বিয়াঞ্চি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ককে শক্তিশালী ও গভীর করার উদ্দেশ্যে এই চুক্তি করা হয়েছে।’
চীন সরকার ওয়াশিংটনকে তাইওয়ান বিষয়ক চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং মার্কিন সরকারকে তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর তাইওয়ান ও চীন বিভক্ত হয়। দ্বীপটি কখনই গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অংশ ছিল না, তবে মূল ভূখণ্ডের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দাবি, প্রয়োজনে জোর করে চীনের সঙ্গে একত্রিত হতে বাধ্য।
চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সরকার দ্বীপের কাছে যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমান উড়িয়ে তাইওয়ানকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
আমেরিকান ও ইউরোপীয় রাজনীতিবিদরা তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য সফর করেছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তাইওয়ানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক বিনিময় বন্ধ করা উচিত’ এবং ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল সংকেত পাঠানো থেকে বিরত থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি
চীনের হুমকির মধ্যেই তাইওয়ান পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার