সড়ক অবরোধ
সিলেটে গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক ৫ ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে ওসি প্রত্যাহারের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অবরোধ শুরু করেন শ্রমিকরা। তারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকে রাখেন। বিকাল ৩ টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম বলেন, শ্রমিকদের বিষয়টি নিয়ে আমরা গোলাপগঞ্জ মডেল থানার (সদর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ চন্দ্র দাশের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে শ্রমিকরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছে।
তিনিও ওসি মো. রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহারের দাবি করেন।
গোলাপগঞ্জ মাইক্রোবাস শ্রমিক উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর হেতিমগঞ্জের বাঘার ইউনিয়নের তুরুগবাঘ গ্রামের বাছন আহমদ নামের এক ব্যক্তি আমাদের একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। সোমবার (২ অক্টোবর) আহত বাছন আহমদ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, বাছন আহমদের পরিবারের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা হলে তারা মামলা করবেন না বলে জানান।
তারা বাছন আহমদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের আবেদন করেন। একারণে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের সইয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তিনি নানা অজুহাতে দেরি করতে থাকেন।
লিলু মিয়া আরও বলেন, সোমবার ওসি সই দিতে পারবেন না বলে জানান। এর প্রতিবাদেই আমরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলাম।
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাছন আহমদের ঘটনায় কোনো মামলা বা জিডি আছে কি না জানতে সিলেট কোতোয়ালি থানা থেকে আমাকে একটি মেইল পাঠানো হয়। আমি মেইলের উত্তরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় কোনো মামলা বা জিডি হয়নি জানাই।
তিনি আরও বলেন, এরপর শ্রমিকরা একটি লিখিত সই নিতে চায়। আমি নিহতের পরিবারের অপেক্ষায় ছিলাম। তারা আসলেই সই দিতাম। কিন্তু শ্রমিকরা ভুল বুঝে সড়ক অবরোধ করে।
বিষয়টি ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টা ধরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ থাকায় শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফুটবল খেলার সময় ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
মারধর ও ছাঁটাইয়ের অভিযোগে বরিশালে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
মারধর ও ছাঁটাইয়ের অভিযোগে বরিশালের সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের কয়েকশ’ শ্রমিক ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় পুলিশ শ্রমিকদের দাবি নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা বিক্ষোভ বন্ধ করেন।
আরও পড়ুন: নাদিয়ার মৃত্যু: বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে শ্রমিকরা বরিশাল নগরের রুপাতলী এলাকার সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। ফলে মহাসড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী ও বিক্ষুব্ধরা জানান, সোমবার (২০ মার্চ) কারখানার ফ্লোরে দুই শ্রমিকের মধ্যে ঝামেলা হয়। এরপর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) তাদের ডেকে নেন। তবে তিনি কারও কথা না শুনে শ্রমিকদের মারধর করেন এবং দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখেন। পরে তাদের কার্ড জব্দ করে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে চাকুরিচ্যুত করে ফ্যাক্টরি থেকে বের করে দেন। বিষয়টি সবাই জানতে পেরে রাতেই ফ্যাক্টরির ভেতরে বিক্ষোভ করে। তবে জিএম কোনও সমাধান না দিয়ে চলে যান। এরপর মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রমিকরা একত্র হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে।
এসময় তারা অন্যায়ভাবে দুই শ্রমিককে মারধর ও চাকরি থেকে ছাঁটাই করার প্রতিবাদ জানায়।
একই সঙ্গে ওই ঘটনার সঠিক বিচার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক।
তবে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ স্বীকার করলেও, মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানটির জিএম শামীম সরকার।
অন্যদিকে, প্রায় এক ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধের পর পুলিশের আশ্বাসে শ্রমিকরা আন্দোলন থেকে সরে আসায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আলী আশরাফ ভূঁঞা জানান, এ ঘটনায় বিচারের পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন না দিয়েই দীপস অ্যাপারেলস নামের একটি পোশাক কারখানা হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও নতুন চাক্তাই করে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করছে কারখানাটির শ্রমিক ও কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের না জানিয়ে হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে শিক্ষক হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
কারখানাটির কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, আমাদের এখনো পাঁচমাসের বেতন বকেয়া আছে। তার ওপর অন্য কারখানাগুলোতে এখন লোক নিচ্ছে না। জানি না কিভাবে ঘর সংসার সামলাবো।
কারখানা মালিকের বরাত দিয়ে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সহকারী সুপার (এএসপি) মো. সেলিম নেওয়াজ জানান, বর্তমানে পোশাক কারখানাটিতে কোন কাজের অর্ডার নেই। আয় না থাকায় ৬০০ শ্রমিকের বেতন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মালিক। তাই তারা কারখানা বন্ধ করে শ্রমিক ছাটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এতে শ্রমিকরা চাক্তাই রিং রোডে বিক্ষোভ শুরু করে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সদস্যরা সেখানে আছেন।
বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শাহবাগে বামজোটের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জে ‘আহত’ ৩
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
মতিঝিলে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
কেরানীগঞ্জে কারখানা স্থানান্তরের প্রতিবাদে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে। এতে মতিঝিল ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার সকালে এই অবরোধে নামে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানায়, অলিও অ্যাপারেলস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কোনও পূর্ব নোটিশ ছাড়াই রাজধানীর উত্তর কমলাপুর এলাকা থেকে কারখানাটি কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করেছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় মতিঝিল এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ৪০০ থেকে ৫০০ শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।
তিনি আরও বলেন, এর ফলে ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ট্রাফিক পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক-মতিঝিল জোন) এফএম বজলুর রশিদ ইউএনবিকে জানান, বেলা ১টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের কমলাপুর পয়েন্ট থেকে নটর ডেম কলেজের কাছে আল হেলাল ক্রসিং পর্যন্ত বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ যানজট নিরসনের চেষ্টা করছে এবং বেলা ১টার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত: নোয়াখালীতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ
উচ্ছেদ অভিযান: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ বস্তিবাসীর
পাঁচ ঘন্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধমুক্ত, যান চলাচল স্বাভাবিক
কুড়িগ্রামে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
শিক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রতিবাদ ও চার বছরের কোর্স বহাল রাখার দাবিতে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের প্রেসক্লাবের সামনের চিলমারী সড়কটি ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে জানান, গত ১৩ আগস্ট ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী চার বছরের কোর্সকে তিন বছর করার যে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। কারণ স্বল্প সময়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ হবেনা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতাও অর্জিত হবেনা। ফলে চাকরির ক্ষেত্রে তারা বঞ্চনার শিকার হবেন।
এছাড়া প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, হোস্টেল সুবিধা সম্প্রসারণ,ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য উন্নতমানের যন্ত্রাংশ সরবারহের দাবী জানান তারা।
আরও পড়ুন:সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
বগুড়ায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একটি পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কারখানার শ্রমিকেরা। বুধবার কোনাবাড়ী এলাকার এনটিকেসি নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও শিল্প পুলিশ সদস্যরা এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করলে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকেরা জানায়, এপ্রিল মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস না দিয়ে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ ঈদের আগে কারখানা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর কারখানাটি আর উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেনি। প্রায় প্রতিদিনই শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটকে এসে ফিরে যায়। সকালে শ্রমিকরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কারখানা গেটে অবস্থান নেয়। পরে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পুলিশ সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে নিতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে গিয়ে বেতন ও বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
কারখানার জিএম বুলবুল আহমেদ জানান, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে আগামী মাসের ৫ তারিখে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস দেয়া হবে।
চট্টগ্রামে টেক্সটাইল শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ২০, সড়ক অবরোধ
চট্টগ্রামের পূর্ব কালুরঘাটে রিজেন্ট টেক্সটাইলে শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এই সময় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান সড়ক অবরোধ করে।
সোমবার সকাল থেকে উপজেলার পূর্ব কালুরঘাটে রিজেন্ট টেক্সটাইলের শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের জন্য কারাখানায় প্রবেশ করতে চাইলে মালিকপক্ষ বাধা দেয়। এ সময় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। দুপুরের দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করলে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
এই সময় বিক্ষোভরত শ্রমিকরা কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে দীর্ঘ যানজটসহ ভোগান্তিতে পরেন সাধারণ যাত্রীরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে অবরোধ তুলে দেয়।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ২০
এ ব্যাপারে বোয়ালখালী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আকতার বলেন, কারখানা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তবে মালিকপক্ষের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা জানান, রিজেন্ট টেক্সটাইলে দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। গত ১৬ মার্চ শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন বকেয়া রেখেই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন মালিকপক্ষ। তখন আন্দোলনের মুখে চারদিন পর এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ বেতন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মালিকপক্ষ। নির্ধারিত তারিখ শ্রমিকরা বেতন নিতে আসলে কর্তৃপক্ষ ৪ এপ্রিল সোমবার কারখানায় চাকরিতে যোগদানসহ বেতন দিবে বলে আশ্বাস দেয়।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে চা শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
কারখানার শ্রমিক মো. আকবর হোসেন জানান, মালিকপক্ষের কথা মতো সোমবার সকালে শ্রমিকরা পূর্ব কালুরঘাটে জড়ো হয়ে কারখানায় যেতে চাইলে কর্তৃপক্ষ গেইট বন্ধ করে রাখে। পরে শ্রমিকরা তাদের পাওনার দাবি করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের আহত করে।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সঞ্জয় সেন।
যুবলীগ নেতা অপহৃত: খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থেকে অপহৃত যুবলীগ নেতা ইমান হোসেনের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে সড়ক অবরোধ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন।
স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে সকাল-সন্ধ্যার এই সড়ক অবরোধ দুপুরেই তুলে নেয় তারা।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
সংশ্লিষ্টরা জানান, অবরোধের কারণে সকাল থেকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এই সময় বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এ ছাড়া আতঙ্কের কারণে কিছু কিছু দোকানপাট বন্ধ রাখতে দেখা গেছে।
এদিকে, অপহৃতকে উদ্ধারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ।
গত শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মানিকছড়ি থেকে বড়বিল নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ইমান হোসেন (২৭) অপহরণের শিকার হন। তিনি মানিকছড়ি তিনটহরী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মামুনুলের আগমন ঠেকাতে টায়ার জ্বালিয়ে ছাত্রলীগের সড়ক অবরোধ
পরিবারের দাবি, আঞ্চলিক একটি পাহাড়ি রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরা তাকে অপহরণ করেছে।
এ ব্যাপারে মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহনুর আলম জানান, অবরোধ চলেছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া অপহৃতকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে রামপুরায় সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
সড়ক দুর্ঘটনায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার রামপুরা সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
অবরোধের ফলে রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাকসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
সকাল ১০টায় বিএএফ শাহীন কলেজ, ইম্পেরিয়াল কলেজ, একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পর শুধুমাত্র ব্যক্তিগত যানবাহনকে একটি লেন দিয়ে চলাচল করতে দেয়। এসময় কোনো বাস চলাচল করতে দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
সড়কে নিরাপত্তা ও গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করতে সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে রবিবার আবারও রাজধানীর রাস্তায় নেমেছে কলেজ শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১২টার দিকে ধানমন্ডি-২৭ নম্বর সড়কের রাপা প্লাজার সামনে বিভিন্ন কলেজের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের দাবি জানায়।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর সাম্প্রতিক পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা শিক্ষার্থীদের পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তুলতে উদ্বুদ্ধ করে।
আরও পড়ুন: অর্ধেক বাস ভাড়ায় শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়েছে বিএনপি
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, মিরপুর সড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এছাড়া একই দাবিতে নগরীর উত্তরা, শান্তিনগর ও রামপুরা এলাকায় বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (উত্তরা) আক্তার হোসেন জানান, দুপুরে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। তবে কিছুক্ষণ পর অবরোধ তুলে নেয় তারা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের জন্য বিআরটিসি বাসে ভাড়া অর্ধেক: ওবায়দুল কাদের