সুরক্ষা
সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার।
রবিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূল ধারার গণমাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তার কীভাবে মোকাবিলা করা হয় সেটা নিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। ফ্রান্সে বেশ কিছু আইন আছে, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এ বিষয়গুলো দেখভাল করে।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি ফ্রান্সের মধ্যে ফ্রান্সের সরকারের বিপক্ষে কোনো অপতথ্য প্রচার করে এবং সেক্ষেত্রে তার পেছনে যদি কোনো বিদেশি শক্তিও থাকে তাদের রীতিমতো জেরা করার জন্য নিয়ে আসা হয়। এখানে তারা কোনো ছাড় দেয় না। তাদের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অপতথ্য খুঁজে বের করে সরকারের কাছে পেশ করে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রেগুলেশন যেমন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করতে পারে, আবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংরক্ষণের জন্য নিয়ম-নীতি দরকার। আমিও এ বিষয়ে একমত। পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার। আইনের প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ হচ্ছে কি না সেটি হচ্ছে বিষয়। কিন্তু নিয়ম-নীতির বাইরে পৃথিবীর কোনো দেশ নেই। সব দেশে আইন আছে। অপতথ্যের ব্যাপারে কারো কোনো ছাড় নেই।
তিনি বলেন, ইউরোপ বা পাশ্চাত্যের দেশগুলো বা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ কীভাবে এই অপতথ্যকে মোকাবিলা করে সে অভিজ্ঞতা জানা ও বোঝা এবং আমাদের এখানে কাজে লাগানোর বিষয়গুলো নিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকারের প্রতি এবং মানুষের প্রতি ফ্রান্সের আস্থা আছে এবং তারা গভীরভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায় বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। অপতথ্য মোকাবিলার ক্ষেত্রে ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।
ফ্রান্সের সরকারি ভর্তুকিতে চলা টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স টুয়েন্টিফোরের সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশনের যৌথ সহযোগিতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে এ সময় জানান প্রতিমন্ত্রী।
ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাম্প্রতিক ধর্মঘট ডাকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী কোয়াবের সদস্যদের এ ধরনের ধর্মঘট ডাকা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে জোর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কোয়াব নেতাদের সঙ্গে বসেছি, কথা বলেছি। তারা তাদের সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। তখন আমি তাদের একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বলেছি, আইনের বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। ওটিটি প্লাটফর্ম সবগুলো চ্যানেলকে প্যাকেজ করে যা করছে এটা বেআইনি। এগুলো দেখার জন্য আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে কোয়াব, অ্যাটকো, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন এবং ডিটিএস থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি পাঠাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়ে কোলাবরেশন সেল তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের নিয়ে সভা করা হবে। সেখান থেকে সবগুলো সমস্যা সমাধানের পথে আমরা এগোব। মন্ত্রণালয় এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। সেজন্য মাঝপথে এসে এ ধরনের ধর্মঘটে যাওয়া ঠিক হবে না। আইনের মধ্যে থেকে সব সমস্যার সমাধান করা হবে।
উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ায় নির্বাচনকালীন সরকারের অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন টিআইবি’র
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সত্ত্বেও মন্ত্রিসভা খসড়া উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩-এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়ায় গভীর বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলেছে, এই আইনের সুদূর প্রসারী প্রভাব অস্বীকার করার সুযোগ নেই এবং বেশ কিছুদিন ধরে ধাপে ধাপে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে একটি গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়নের প্রচেষ্টা চলছে। এর মধ্যেই খসড়াটি মন্ত্রীসভার অনুমোদন পাওয়ার প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে নির্বাচনকালীন সরকারের এধরনের নীতি সিদ্ধান্ত নেওয়া সুবিবেচনাপ্রসূত কী না এ প্রশ্নও তুলেছে টিআইবি।
আলোচ্য আইনের খসড়াতে টিআইবিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পরামর্শের ভিত্তিতে কয়েক ধাপে বেশকিছু ইতিবাচক সংশোধনী আনা হয়েছে।
তবে তড়িঘড়ি করে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আগেই প্রশ্নবিদ্ধভাবে মন্ত্রীসভার ‘নীতিগত’ অনুমোদনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মতো একটি জনগুরুত্বসম্পন্ন-বিষয়ক আইনকে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বাস্তবসম্মত আইনের পর্যায়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে সচেতনভাবে বন্ধ করে দেওয়া হলো।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘খসড়া আইনটিতে ব্যক্তিগত উপাত্তের সংজ্ঞা সুস্পষ্ট ও পর্যাপ্ত করা; বিচারিক নজরদারির মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার নিশ্চয়তা এবং সর্বোপরি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদারকি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ বেশকিছু সুপারিশ আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে অপসারণে উদ্বেগ প্রকাশ টিআইবির
তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ বিভিন্ন সময় আমাদের আস্বস্ত করেছেন, অংশীজনের পরামর্শ বিবেচনা করেই খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি অবস্থায় খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন পেল বা আদৌ তাতে জনস্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে কি-না তা জানার সুযোগ আমাদের দেওয়া হলো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে যতটুকু তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে নিশ্চিত করা হয়েছে, তদারকি কর্তৃপক্ষ সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সরকার নিজেই সবচেয়ে বড় উপাত্ত প্রক্রিয়াকারী হওয়ার পরও ব্যক্তি উপাত্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পাওয়া বোর্ডকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা চরম স্ববিরোধিতা। কারণ এই বোর্ড তখনই যথাযথভাবে কাজ করতে পারবে, যখন তা সরকারের উপাত্ত প্রক্রিয়া কার্যক্রমের উপর নজরদারি করতে পারবে।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পাশাপাশি জনগণের তথ্যে সরকার বা সরকার সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবানদের যে যথেচ্ছ প্রবেশাধিকার থাকবে না সেটাও এই বোর্ডকে নিশ্চিত করতে পারতে হবে। যার এখতিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন বোর্ডের থাকবে-এরূপ প্রত্যাশা করা অবান্তর। এই একটা উদাহরণ থেকেই বলা যায় যে খসড়াটিতে মৌলিক দুর্বলতা রয়ে গেছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘আমাদের আরও একটি বড় আপত্তির জায়গা ছিল অতিমাত্রায় বিধিনির্ভরতা, যা আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার পাশাপাশি নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের আশঙ্কাকেও জোরদার করে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার তার কার্যক্রম দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবে এবং নীতি সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য তুলে রাখা হবে-এই নিয়মের ব্যত্যয় করে গৃহীত মন্ত্রীপরিষদের সিদ্ধান্ত সুবিবেচনাপ্রসূত কি-না সেই প্রশ্ন তোলা অবান্তর হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাকরি নীতিগত অনুমোদনপ্রাপ্ত এই খসড়া চূড়ান্ত করার পরবর্তী সব কার্যক্রম সরকার স্থগিত করবেন এবং নির্বাচন পরবর্তী সরকার অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য খসড়া প্রস্তুত করে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবেন।’
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ প্রত্যাখ্যান করেছে টিআইবি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল টিআইবি
যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা আশা করে- যে কোনো দেশের সরকার তাদের কর্মকর্তা ও স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
প্যাটেল ভিয়েনা কনভেনশন ও এর অধীনে বিদ্যমান কূটনৈতিক কনভেনশনগুলোর অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতার কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণত ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোনো নেতাকে যেকোনো অন্যায়ের জন্য সতর্ক করে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ শোকজ নোটিশ দেবে এবং মুজিবুল হক চৌধুরীকে সতর্ক করবে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশ সরকার ভিয়েনা কনভেনশন ও কূটনৈতিক কনভেনশনের অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কূটনীতিক, তাদের কর্মকর্তা এবং তাদের স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সমস্ত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরী তার এক জনসভায় 'মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে মারধরের' হুমকি দেন।
আরাফাত বলেন, ‘ইউনিয়ন হলো দলের সর্বনিম্ন স্তর এবং সেই স্তরের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এমন অনেক কথা বলে যাতে আমরা খুব বেশি মনোযোগ দিই না। আওয়ামী লীগও কোনো রেজিমেন্টেড দল নয়; অতএব, তৃণমূল নেতারা বাকস্বাধীনতা ভোগ করেন।’
আরও পড়ুন: ভুয়া প্রোফাইল থেকে সাবধান: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এই বিশেষ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের এই নেতার আপত্তিকর বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি। আমি আওয়ামী লীগের সকল তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদের সাবধানতা অবলম্বন এবং কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলকে সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা, আমাদের আকাঙ্ক্ষা এবং সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অংশীজনদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আমরা যে দিকে কাজ করে যাচ্ছি তা হলো- এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।’
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ঢাবিতে নিরাপত্তা জোরদারে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকায় বুধবার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু করা হয়েছে।
আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুম থেকে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স অ্যান্ড মনিটরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানসহ অন্যান্য সহকারী প্রক্টর ও অনুষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্রীড়া কোটায় ঢাবিতে ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে
ক্যাম্পাস এলাকার নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে মোট ৫৮টি ক্যামেরা চালু রয়েছে।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, ‘এই ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেমের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশে পাশের বেশিরভাগ সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো এখন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
রবীন্দ্র সরোবরে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৬
সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, সরকার দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা নাকাতানি জেন এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিশেষ উপদেষ্টা নাকাতানি জেন ৯সদস্যের জাপানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার রক্ষায় সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার: আইনমন্ত্রী
এসময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার পরিস্থিতি, গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা, হলি আর্টিসান মামলার অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পায়।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচার করেছে।
তিনি বলেন, একাত্তরের গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করছে। ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ণ করে তার অধীনে একটি শক্তিশালী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। এই কমিশন দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেই কমিশন ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের নাগরিকদের খাদ্য ও গৃহ সংস্থানের অধিকার পূরণে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুগান্তকারী বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সকল গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদাহরণ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে আদালত কতৃর্ক দণ্ডপ্রাপ্ত। তিনি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় তার কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় থেকে সুচিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
আনিসুল হক জানান, রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে সরকার শ্রম আইন সংশোধনসহ কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ফলে গার্মেন্টস খাতের কর্মপরিবেশ আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। সরকার শ্রম আইনকে সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইনে পরিণত করার চেষ্টা করছে; আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার চাহিদ মোতাবেক আইনটিকে আরও শ্রমবান্ধব করার কাজ করছে। কোনো কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ওই কারখানার ৩০ শতাংশ শ্রমিকদের সমর্থনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়াটিকে পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হয়েছে।
এছাড়া, কারখানার আরও অনেক অপারেটিং সিস্টেম অনলাইন করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে শ্রম আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বর্তমানে অনেক কমেছে।
হলি আর্টিসান মামলার অগ্রগতির বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, অধস্তন আদালতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এই মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে আছে। সেখানে খুব অল্প সময়ে এই মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে জাপানী প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আইনমন্ত্রী জাপান সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
সেইসঙ্গে জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের সম্পর্ক আগামীতে আরও দৃঢ় হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
হলি আর্টিসান মামলায় অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপানের পাশে থাকার জন্য জাপানি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
উপাত্ত সুরক্ষা যেন হয়, আইনে সে ব্যবস্থাই থাকবে: আইনমন্ত্রী
উপাত্ত সুরক্ষা যেন হয়, আইনে সে ব্যবস্থাই থাকবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আগেও বলেছি, এখনো বলছি, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে যাওয়ার আগে এর অংশীজনদের সঙ্গে আবারও আলাপ-আলোচনা করা হবে। এর আগেও আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে যাতে আইনটির বিষয়ে এমন মনে না হয় যে, এটা উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হচ্ছে। এটার উদ্দেশ্যই হচ্ছে উপাত্ত সুরক্ষা করা। উপাত্ত সুরক্ষাই যাতে দেয়া হয়, সে ব্যবস্থাই থাকবে এতে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে: আইনমন্ত্রী
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ১৪তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের জন্য ১২তম ওরিয়েন্টশন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান উপহার দেন, সেখানে তিনি পরিষ্কারভাবে বাকস্বাধীনতাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে রাখেন এবং তার সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাও মৌলিক অধিকার হিসেবে রাখা হয়; যা বহু গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে রাখা হয়নি। তাই কেউ যদি এমন দুশ্চিন্তা বা কল্পনা করেন যে, শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকারের সময় এমন একটি আইন হবে, যেখানে জনগণের বাকস্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট হবে, সেটা ঠিক নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ৬৬নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, কারও যদি নৈতিক স্খলনের কারণে দুই বছর বা তার বেশি সাজা হয়, তাহলে তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। এগুলো তো স্পষ্ট।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, আদালতে ফিরছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীরা
মানবাধিকার রক্ষায় সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার: আইনমন্ত্রী
শিশুদের সুরক্ষায় সমাজসেবা কর্মীবাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি সরকারের
বাংলাদেশ সরকার ছয় হাজার নতুন সামাজিক কর্মী নিয়োগ করে তিন হাজার জনবল থেকে ৯ হাজার জনবলে উন্নীত করবে।
সাড়ে চার লাখ শিশুর ওপর চালানো জাতীয় পারিবারিক জরিপে দেখা যায়, ১৫ বছরের কম বয়সী ৮৯ শতাংশ শিশু নিয়মিত শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার। জরিপের এই ফলাফলের পরপরই এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত আসলো।
সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষা বিষয়ক জাতীয় সিম্পোজিয়াম’-এ শিশু সুরক্ষা পরিষেবা জোরদার
করা এবং সমাজকর্মীদের সংখ্যা ২০০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
ইউনিসেফ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিম্পোজিয়ামটি উদ্বোধন করেন। এবং একটি ভিডিও বার্তায় শিশু সুরক্ষা পরিষেবাগুলোকে কমিউনিটি পর্যায়ে সহলভ্য করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের সরকারের লক্ষ্য হল একটি পেশাদার সামাজিক পরিষেবা কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা। আর শিশু হেল্পলাইন নম্বরটি হলো ১০৯৮। যাতে কোনো শিশু পিছনে পড়ে না থাকে সেজন্য শিশু সুরক্ষা ভাতা, স্বেচ্ছাসেবক, কিশোর শিশু এবং সম্প্রদায়ের লোকদের জড়িত সম্প্রদায়-ভিত্তিক বিস্তৃত পরিষেবাগুলোর মতো শিশু সুরক্ষা পরিষেবাগুলোর সরবরাহ বাড়ায়।’
বাংলাদেশে ত্রিশ লাখেরও বেশি শিশু শিশুশ্রমে আটকে আছে। এর মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে জড়িত।
প্রতি পাঁচজন শিশুর একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করে না। প্রায় অর্ধেক শিশুর জন্ম নিবন্ধন নেই।
আরও পড়ুন: সরকার ওজনস্তর রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে: জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
এক লাখেরও বেশি শিশু প্রাতিষ্ঠানিক যত্ন ও পারিবারিক সহায়তা বঞ্চিত। প্রতি দুই কন্যাশিশুর মধ্যে একজনের শিশু অবস্থায় বিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও লাখ লাখ শিশু রাস্তায় বাস করে।
‘সমাজকর্মীরা সমাজের গভীরে পৌঁছায় যেখানে শিশুদের তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, আরও বেশি শিশুকে জটিল পেশাগত যত্ন থেকে উপকৃত হতে সমাজকর্মীদের সংখ্যায় এই
অকল্পনীয় বৃদ্ধির জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানাই।
আজকের উচ্চ পর্যায়ের শিশু সুরক্ষা সিম্পোজিয়ামের আলোচনায় প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার ও চাহিদা এবং শিশু সুরক্ষা আইনি কাঠামোর বিষয়ে সরকার, সুশীল সমাজ, বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সমাজসেবা
কর্মশক্তি, ঝুঁকি এবং হস্তক্ষেপের প্রাথমিক সনাক্তকরণ বিষয়ে একমত হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে শিশুদের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘২০২৪ সালে ৮০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৬ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা সরকারের’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের অনুষ্ঠান শিশুদের সহিংসতা, অপব্যবহার এবং শোষণ থেকে, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু এবং প্রতিবন্ধী শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি অনন্য সুযোগ। ইইউ বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে সরকারকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও সুপ্রিম কমিটি অন চাইল্ড রাইটস এর সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে যৌথভাবে একটি বিস্তৃত জাতীয় শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করে ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন: সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক
বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এছাড়া দেশের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট কাজ করছে পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাইবার হামালার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও রক্ষার বিষয়ে অবহিত করছে।
সোমবার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র উদ্যোগে ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে উদীয়মান (ইমার্জিং) সাইবার হুমকির’ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত একা কোনো দেশের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বরং আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
কিন্তু হ্যাকারদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাংকিং ও সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:নারীদের সাইবার সুরক্ষায় ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে মূলত চারটি পূর্ব শর্ত নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ। এছাড়া ওপেনসোর্স ইন্টিলিজেন্স বা ওএসআইএনটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে স্টেট স্পন্সর হ্যাকারদের তৎপরতা বেড়েছে। সে জন্য তিনি সবাইকে সতর্ক ও প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, গোপনে দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। আর্থিক ও পাওয়ার সেক্টর ছাড়াও এবার দেশের মোবাইল অপারেটরদের ওপর দৃষ্টি পড়েছে সংঘবদ্ধ হ্যাকারদের। ইতোমধ্যেই একাধিক মোবাইল অপারেটর ইনফেক্টেড। অপারেটরগুলোর ডেটাবেজ, সার্ভার ও পরিকাঠামো ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে।
এজন্য দ্রুত আইটি অডিট করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসএ-তে একটি সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্টদের নিরীক্ষা করিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমিন এবং বিডিজিডি ই-গভ সার্ট পরিচালক তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
নিয়ন্ত্রণ নয়, সুরক্ষায় ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ করা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য নয় বরং উপাত্ত সুরক্ষার জন্য করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়নের বিষয়ে আয়োজিত পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন যাতে সর্বজনীন হয় এবং বাংলাদেশের জনগণ যাতে এই আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পৃথিবীকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার উপযোগী করে তোলার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ সভা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে জুলাই-আগস্ট মাসে আরও ২-৩টি পরামর্শ সভা করা হবে এবং এসব পরামর্শ সভার মাধ্যমে উঠে আসা যুক্তিসঙ্গত সুপারিশগুলো গ্রহণ করে সকলের জন্য মঙ্গলজনক এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে।
এই আইনের দ্বারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময় বঙ্গবন্ধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে যে সুরক্ষা ও নিশ্চিয়তা দিয়ে গেছেন, সেখানে হাত দেয়ার ক্ষমতা কারও নেই। বর্তমান সরকার যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করে এবং জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করে, সেজন্য আমরা সেখানে হাত দিবোই না।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের এবং রাষ্ট্রের তথ্যের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র লেজিসলেটিভ এক্সপার্ট এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক, আইসিটি এক্সপার্ট তারিক এ বরকতুল্লাহ বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সভায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন আইনটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো আছে: আইনমন্ত্রী
বিচার বিভাগের সমস্যা সমাধানে কার্পণ্য করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
নারী অধিকারের সুরক্ষা, প্রচারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করল পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নারীর অধিকার রক্ষা ও প্রচারের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান বিশ্বের সকল নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। যাদের ধৈর্য, ত্যাগ এবং প্রচেষ্টার ফলে মানবজাতির অগ্রগতি হয়েছে এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তোলা সম্ভব করেছে। লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন না করে কোনো সমাজ বা জাতি সফল হতে এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জন করতে পারে না।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নারীরা জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। দেশের সংবিধান ও আইনি কাঠামো সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খাতসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এই দিনে, আমরা দেশজুড়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার প্রচার চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করছি।
আরও পড়ুন: নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ