যমুনা
চুয়াডাঙ্গায় জন্মের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেল পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা
চুয়াডাঙ্গায় একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার শিশুই একে একে মারা গেল। যদিও জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে ছেলে শিশুটি মারা যায়। এরপর বেঁচে থাকা তিন মেয়ে শিশু পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা জন্মের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে একে একে মারা যায়।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত তিন মেয়ে শিশুই মারা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এক সঙ্গে চার শিশু (তিন মেয়ে ও এক ছেলে) জন্ম দেন তসলিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আকলিমা খাতুন সেসময় সফলভাবে কোনো অস্ত্রোপচার ছাড়াই বাচ্চা প্রসব করান।
তিনি আরও জানান, সাধারণত কোনো শিশু যদি ৩৭ সপ্তাহের পর জন্ম গ্রহণ করে ও তার ওজন ২ থেকে ২ দশমিক ৫০ কেজি হয় তাকে আমরা পুষ্ট বাচ্চা বলি। এর চেয়ে কম হলে সেগুলো অপুষ্ট বাচ্চা। এক সঙ্গে যে চারটা বাচ্চা জন্ম নিয়েছে তারা সময়ের ২ মাস আগেই জন্ম গ্রহণ করেছে।
তিনি জোনান, তাদের একেরজনের ওজন ১ দশমিক ৫ কেজির মতো বা তারও কিছু কম ছিল। যার কারণে তাদের ফুসফুসসহ অনেক অঙ্গ পরিপক্ব হয়নি। নিজে থেকেও শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছিল না। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যে ও আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্যে বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমরা কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থাও করেছি। যতটা সম্ভব আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাদের বাঁচানো সম্ভব হলো না।
এদিকে শিশুদের বাবা ইমরান হোসেন বলেন, আমার তিন মেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুস্থই ছিল। হঠাৎ একজনের নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে কিছুক্ষণ পর মারা যায়। এর কিছুক্ষণ পর আরও একজন অসুস্থ হয়ে মারা যায়। মৃত দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি এসে দাফন করার প্রস্তুতি নিতে নিতে আরও একজন মারা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নাটোরের বড়াইগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
যমুনা-বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়ার জন্য বিএনপির রোড মার্চ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন শকুনরা তাদের দিকে নজর দিয়েছে। এই শকুন ও রাজনীতির কাক থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি গঠন করেন, তখন বিভিন্ন দলের নেতারা কাকের মতো জড়ো হয়ে মন্দকে মেনে নেন। তারা রাজনীতির কাক।’
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলকে সম্মান জানাতে ১৫ আগস্টের অপরাধীদের শাস্তি হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশি শকুনের চোখ যখন দেশের দিকে পড়েছে, তখন রাজনীতির কাকগুলো তাদের মিত্র হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ২৮ অক্টোবর সরকার পতনের যাত্রা শুরু করবে, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে থেকে সরকার পতনের যাত্রা শুরু করতে চেয়েছিল, গোলাপবাগের পশুর হাটে মারা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘এবারও বিএনপি সরকার উৎখাত করে যমুনা বা বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়ার যাত্রা শুরু করবে। আর চট্টগ্রামে করলে কর্ণফুলী নদী বা বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাবে। আসলে ২৮ তারিখে বড় ধরনের পিকনিক করতে চায় বিএনপি। আমরা পিকনিক থেকে বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচের জন্য পাঠাব।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণ ও রাজপথের দল। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম। আমরা ২১ বছর বিরোধী দলে থেকে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা জানি, রাস্তায় কারা আছে তাদের কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়।’
তথ্যমন্ত্রী ফিলিস্তিন ইস্যুতে আবারও বিএনপির সমালোচনা করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনে শিশু হত্যা, হাসপাতালে বোমা হামলা, গির্জায় হামলা করে ১৮ জনকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব যখন প্রতিদিন প্রতিবাদ করছে তখন ‘শকুন’ অখুশি হতে পারে এমন ধারণায় কথা বলে না বিএনপি। শকুনরা দেশের সব সম্পদ লুট করলেও বিএনপি নীরব থাকবে। তারা আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখেন। তাদের হাতে দেশ হস্তান্তর করা যাবে না। তাদের হাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান লিটন, সহসভাপতি প্রকৌশলী গোলাম নওশের আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা উপদেষ্টা মোহাম্মদ আখতার হোসেন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখলেন তথ্যমন্ত্রী
২৮ অক্টোবর বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে: তথ্যমন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, বন্যার আশঙ্কা
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এতে যমুনা তীরবর্তী জেলার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন অঞ্চল।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে সিরাজগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত বলেন, গত মাসের শেষ দিকে যমুনার পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে বিশেষ করে যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজীপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয় এবং ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার বাঁধ ভেঙে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
তিনি আরও বলেন, এসব উপজেলার অনেক স্থানে তীব্র ভাঙনও দেখা দেয়। এ ভাঙনে অনেক স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও ৪/৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
এদিকে ভারী বর্ষণে জেলার খাল-বিল, নদী-নালা প্রায় ভরে উঠেছে। টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে দিনমজুর পরিবারের লোকজন এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা পাওয়া গেলে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
টানা বর্ষণে গাজীপুরে ভেঙে পড়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে নগরবাসী
সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেইসাথে নদী তীরবর্তী আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত মাসের শেষ দিকে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই পানি তবু পিপাসার্ত কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিতরা
এসব উপজেলার অনেক স্থানে তীব্র নদীভাঙ্গনেও অনেক স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে যমুনার পানি কমতে থাকলেও তৃতীয় দফায় কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় কাজিপুর পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও ৪ থেকে ৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় এখনো ৭০০০ পরিবার পানিবন্দি
সিরাজগঞ্জে ফের যমুনার পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেইসঙ্গে নদী তীরবর্তী আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত মাসের শেষ দিকে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে বিশেষ করে যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব উপজেলার অনেক স্থানে তীব্র নদীভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে যমুনার পানি কমতে থাকে এবং অনেক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এ ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পাউবো কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনার পানি আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় কাজিপুর পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও ৪/৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ফের তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দীঘিনালা-লংগদু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
বান্দরবানে ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সতর্ক করতে মাইকিং
সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার কাছাকাছি যমুনার পানি
কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এতে সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই।
সেইসঙ্গে যমুনা তীরবর্তী ৫টি উপজেলা কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর, বেলকুচি ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙনও শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক ঘরবাড়ি, খেয়াঘাট, গাছপালা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভেসে গেছে স্পার বাঁধের ৪০ মিটার
এ ভাঙন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) রনজিৎ কুমার সরকার জানান, রবিবার (১৩ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪৫ মিটার। অপরদিকে কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ১৫ মিটার।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও মেঘাই পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, উজানে ভারী বর্ষণের ফলে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় যমুনা পানি বৃদ্ধি পেয়ে এ দফায় বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এতে সিরাজগঞ্জ বন্যার তেমন কোনো আশংকা নেই।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনা তীর ভাঙনে ৫০টি স্থাপনা ভেসে গেছে
সিরাজগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৪
সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভেসে গেছে স্পার বাঁধের ৪০ মিটার
যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকায় ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়ে ধসে গেছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর ১নং সলিড স্পারের অন্তত ৪০ মিটার এলাকা।
শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোরে কাজীপুর যমুনা নদীর মেঘাই-এর ১ নম্বর সলিড স্পার এলাকায় এ ধস দেখা দেয়।
এতে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনা তীর ভাঙনে ৫০টি স্থাপনা ভেসে গেছে
এছাড়া এ বাঁধটি পুরোপুরি ধসে গেলে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোতে ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোরে মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পারের কিছু অংশ ধস দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সলিড স্পারের প্রায় ৪০ মিটার ধ্বসে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সেইসঙ্গে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে কাজীপুর উপজেলাকে রক্ষার জন্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালে মেঘাই খেয়াঘাট এলাকায় ৩০০ মিটার এই স্পার বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।
পরবর্তীতে ২০১২ ও ২০১৩ সালে স্পারটির মূল অংশের ১৫০ মিটার ধসে যাওয়ার পর মাটির অংশটুকু রক্ষায় সিসি ব্লক ফেলে ঠেকানো সেই অংশের ৪০ মিটার ধসে শুক্রবার ভোরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, স্পার বাঁধটি পুরোপুরি ধসে গেলে কাজীপুর থানা, উপজেলা খাদ্য গুদাম, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, কাজীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়বে।
তবে স্পার বাঁধটি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে কাজীপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী অনিক ইসলাম জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আবারও ভাঙন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ
তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
সিরাজগঞ্জে যমুনা তীর ভাঙনে ৫০টি স্থাপনা ভেসে গেছে
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে খিদ্রচাপড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়ি।
রবিবার (০২ জুলাই) বিদ্যালয়টির দুটি কক্ষ চোখের পলকে যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আবারও ভাঙন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেলকুচি উপজেলার মেহেরনগর থেকে চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর স্পার বাঁধ পর্যন্ত যমুনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজে গাফিলতি ও প্রকল্প এলাকার কাছাকাছি স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এই ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে।
গত কয়েকদিন যমুনায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করায় জিও ব্যাগ নিক্ষেপ বন্ধ থাকায় দুইদিন ধরে ভাঙনের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহম্মেদ নয়ন জানান, ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৮ সালে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়।
এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ায় ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার মতো আর কোন জায়গা রইলো না।
বড়ধুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সুজন সরকার বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এলাকাবাসী ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হারাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন
তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত: বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
দেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিইসি) মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১০৯টি নদীর জলস্তর পর্যবেক্ষণের পর ৯১টি স্টেশনে জলস্তর বৃদ্ধি এবং ১৫টি অন্যান্য স্টেশনে জলস্তর হ্রাস পাওয়ার তথ্য রেকর্ড করেছে।
মঙ্গলবার এফএফডব্লিউসি’র পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বুলেটিনে বলা হয়েছে, তিনটি নদী স্টেশনে জলস্তর স্থিতিশীল রয়েছে এবং সমস্ত নদীর পানি বিপদসীমার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া এই অঞ্চলের সব প্রধান নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংস্থার বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর (সুরমা, কুশিয়ারা, সারি গোয়াইন, ঝালুখালী, ভোগাই-কংস, সোমেশ্বরী, জাদুকাটা) পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।’
তারা আরও জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার অববাহিকা এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের কারণে এই সময়ে নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ফের বন্যায় ভাসতে পারে সিলেট-সুনামগঞ্জ
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
ইউএনবি কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান: প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পানির ঢলে কুড়িগ্রামে উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদীর পানির উচ্চতা অব্যাহত রয়েছে।
তবে সব পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী নিচু চর এলাকাগুলো প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে।
ফলে নদী অববাহিকায় মৌসুমি সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের খেত তলিয়ে যাচ্ছে।
জেলার নাগেশ্বরী, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজীবপুর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার শতাধিক পরিবার বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে।
এসব এলাকার অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষ বর্তমানে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে নৌকা ব্যবহার করছে।
চর ও নিচু এলাকায় নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছেন মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলার সব নদ-নদীর পানির উচ্চতা বাড়লেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে ২২ ও ২৩ জুন এসব নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে অবিরাম বর্ষণে আবারও বন্যার শঙ্কা
বন্যা দুর্গত এলাকায় কি ধরনের খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবেন
সিরাজগঞ্জে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
সিরাজগঞ্জের যমুনার চরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এবার কাঁচা মরিচ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। সেইসঙ্গে বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
বিশেষ করে যমুনার চরাঞ্চলে উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৪৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে এ লাভজনক মরিচের চাষ বেশি হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০৫ মেট্রিক টন। ফলন ভাল হওয়ায় ও দাম ভালো পাওয়ায় এ মরিচ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা।
যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ মরিচ চাষাবাদ বেশি হয়েছে।
চরাঞ্চলের কৃষকেরা বলছেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরবর্তীতে চরাঞ্চলগুলোতে মরিচের চাষ শুরু করা হয়। পলিমাটির উর্বরতার কারণে কম খরচে মরিচ চাষাবাদে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফলন ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধরলার বুকে নতুন স্বপ্ন জাগিয়েছে পটল চাষ
তারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে এ মরিচ উত্তোলনে নারী-পুরুষেরা ব্যস্ত সময় পার করছে এবং খেত থেকেই ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি এ মরিচ কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। আর বর্তমানে স্থানীয় হাট-বাজারে এ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় এবং এ কাঁচা মরিচের দাম ওঠা-নামা করলেও লোকসান নেই কৃষকের। চরাঞ্চলের হাটবারের দিনগুলোতে কৃষক ও ব্যবসায়ীর অবস্থান জমজমাট। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসিও ফুটেছে।
বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মরিচ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও মরিচের ব্যবসা করতে চরাঞ্চলে এসেছেন তারা। মরিচের বাজার মূল্য এখন ভালো থাকায় কৃষকের পাশাপাশি তারাও লাভবান হচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের পরামর্শে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবার ১ হাজার ৪৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদ করা হয়েছে। এ চাষাবাদ চরাঞ্চলে বেশি হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০৫ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচের বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে।
আগামীতে এ লাভজনক চাষাবাদে কৃষকেরা ঝুঁকে পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুর্গম চরাঞ্চলে তরমুজ চাষ, ভাগ্য পরিবর্তনের আশা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে