দুর্ঘটনা
সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনার কবলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাস
চট্টগ্রামে নিজ মাঠে খেলতে ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাস। এতে বাসটির সামনের অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা মছজিদ্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কারণ ওই সময় বাসটিতে দলের কোনো খেলোয়াড়-কর্মকর্তা ছিলেন না বলে জানান পুলিশ।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার পথে ছোট কুমিরা এলাকায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের স্টিকার লাগানো একটি বাসের সামনের চাকা ফেটে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরিকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটির সামনের অংশ ও দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাড়িতে কোনো খেলোয়াড় বা কোনো কর্মকর্তা ছিলেন না। শুধু খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম ছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেলে একসঙ্গে ৫টি গাড়ি দুর্ঘটনায় কবলিত
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
শিশুদের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে দূরে রাখতে করণীয়
১১ হাজার ভোল্টের ট্রান্সমিশন কেবলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ৭ বছর বয়সী এক শিশুর। ঘটনাটি কুমিল্লার সংরাইশ নামক একটি এলাকার; ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি)। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোই নয়; দেশের আধুনিক শহরগুলোও মুক্ত নয় এমন নির্মম দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলো যেখানে উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ দ্বারা পরিবেষ্টিত, সেখানে শিশুর খেলার জায়গাটি নিমেষেই পরিণত হতে পারে মরণফাঁদে। এমনকি ঘরের ভেতরটাও এই ঝুঁকির বাইরে নয়। তাই শিশুর নিরাপদ বিচরণক্ষেত্র নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে প্রয়োজন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের।
এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন দেখে নিই, ঘরের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে শিশুর জীবন বাঁচাতে কি কি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।
বৈদ্যুতিক শক থেকে শিশুদের রক্ষা করার উপায়
ঘরের ভেতরে প্রয়োজনীয় সাবধানতা
দেয়ালের বৈদ্যুতিক সকেটগুলো আবৃত রাখা
ঘরের দেয়ালের নিচের দিকে প্রায় সময় দেখা যায় বিদ্যুৎ সংযোগের উৎসগুলো অনাবৃত থাকে। এছাড়া ব্যবহার শেষে প্লাগ খুলে ফেলার পর সেগুলো অনাবৃত অবস্থাতেই রেখে দেওয়া হয়। এগুলো বাচ্চাদের হাতের নাগালেই থাকে। খেলার ছলে এগুলোর ছোট গর্তগুলোতে বাচ্চাদের হাত চলে যেতে পারে। এমন অনর্থ থেকে বাঁচতে বৈদ্যুতিক আউটলেট কভার বা সেফটি প্লাগের আবির্ভাব।
আরও পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
প্লাগগুলো মূলত টু পিং ও থ্রি পিং সকেটের জন্য সামঞ্জস্য করে তৈরি করা হয়। আর কভারের ক্ষেত্রে বর্তমানের অত্যাধুনিক স্লাইডিং আবরণীগুলো ব্যবহার শেষে কোনো অ্যাডাপ্টারের প্লাগ খুলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সকেটটিকে ঢেকে ফেলে। এতে করে বিদ্যুৎ সংযোগের গর্তগুলো আবৃত হয়ে যায় এবং তাতে বাচ্চাদের হাত পড়লেও কোনো বিপদের আশঙ্কা থাকে না।
বিদ্যুতের কেবলগুলো গুছিয়ে রাখা
শুধু নিরাপত্তার জন্য নয়, ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে কেবল অর্গানাইজার। এলোমেলো করে ছড়ানো-ছিটানো কেবল বা তারগুলোতে বাচ্চাদের ছোট ছোট হাত-পা জড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে চঞ্চল শিশুরা ছুটে বেড়াতে যেয়ে এগুলোতে পা জড়িয়ে পড়ে যেয়ে আঘাত পেতে পারে। আর কোনো একটিতে ছোট্ট কোনো চিড় বা লিকেজ থাকলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই নিদেনপক্ষে দড়ি বা ফিতে দিয়ে কেবল বা তারগুলোকে বেধে পরিপাটি করে রাখা উচিৎ।
তাছাড়া এখন অধিকাংশ ইলেকট্রনিক পণ্যের সঙ্গে এগুলোর কেবল গুছিয়ে রাখার জন্য ছোট ছোট প্লাস্টিকের তার সরবরাহ করা হয়। এগুলোর যথাযথ সদ্ব্যবহার করে তার বা কেবলগুলো আড়াল করে রাখা উচিৎ। কর্ড সংগঠক ব্যবহার করে বা অতিরিক্ত কর্ডের দৈর্ঘ্য বেঁধে দড়িগুলোকে সংগঠিত এবং নাগালের বাইরে রাখুন। এটি দড়িতে ছিটকে যাওয়ার বা টানার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাস সতর্কতা: কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ঝুঁকি
ওভারলোড না করা
একটি আউটলেটে একাধিক ডিভাইস ব্যবহারের উপায় থাকলেও তার সুবিধা নেওয়া উচিৎ নয়। বিশেষ করে উচ্চ পাওয়ার রেটিংয়ের বৈদ্যুতিক আসবাব একটি আউটলেটে একটির বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে আউটলেটগুলো অতিরিক্ত গরম হয়ে সকেটের পেছনে তার বা আসবাবের কেবল পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া শর্ট সার্কিট হলে একসঙ্গে একাধিক যন্ত্র নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
বিদ্যুতের প্রতিটি সংযোগের ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করা
ঘরের প্রতিটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা রুটিন মাফিক যাচাই করা হলে সময় মতো ত্রুটিগুলো চোখে পড়বে। এতে করে যন্ত্রপাতিগুলো রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় থাকবে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হবে প্রত্যেকটির নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহার। আর ঘরের ভেতরে শিশুর খেলার জায়গাটিও হবে ঝুঁকি মুক্ত।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদিকে কোনোভাবেই পানির সংস্পর্শে না আনা
রান্নাঘর ও টয়লেটের বৈদ্যুতিক আউটলেটগুলোকে কোনোভাবেই ভেজা রাখা যাবে না। প্রয়োজনে নিয়মিত শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে রাখতে হবে। দিনের অধিকাংশ সময়ই এই স্থানগুলোতে পানির কাজ থাকে। ফলে যে কোনো ভুলে মেঝেতে পানি পড়ে তা গড়িয়ে চলে আসতে পারে ডাইনিং বা অন্যান্য ঘরগুলোতে। পরিণতিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে শিশুর খেলে বেড়ানোর জায়গাটি।
ফ্রিজ বা ওভেনের মতো উচ্চ ভোল্টেজের যন্ত্রপাতির পেছনের স্থান কোনোভাবেই যেন পানির সান্নিধ্যে না আসে। এগুলোর কেবলে হঠাৎ পানি লেগে গেলে দ্রুত পাওয়ার অফ করে শুকনো কাপড় দিয়ে তা মুছে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থী নিহত
মুন্সিগঞ্জের বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অভিজিৎ হওলাদার নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জৈব রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা রাণী হাওলাদার নামে আরেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের ফুটপাতগুলোয় শীতের কাপড় বিকিকিনিতে ধুম
নিহত অভিজিৎ হাওলাদার পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার মঠবাড়িয়া গ্রামের রতন হাওলাদেরর ছেলে। আহত রাণী হাওলাদার একই এলাকার উত্তম হাওলাদারের মেয়ে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার সিংহ জানান, দুপুর ১২টার দিকে বান্ধবীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে মাওয়া থেকে ঢাকা ফিরছিলেন অভিজিৎ। পথে বঙ্গবন্ধু টোল প্লাজার সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান অভিজিৎ।
তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত বান্ধবীকে প্রথমে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিডফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
আরও পড়ুন: শীতে সীমাহীন কষ্টে লালমনিরহাটের মানুষ, দেখা নেই সূর্যের
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
খুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় রূপম হালদার আফসান নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় খুলনা-চালনা মহাসড়কের সিলিন্দামারি কারিগরি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
নিহত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রূপম ৩নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম হালদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রূপম মোটরসাইকেলে তার চাচাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে এবং আরও তিনটি মোটরসাইকেল একযোগে খুলনা থেকে কাতিয়ানাংলার তার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বাসচাপায় যুবক নিহত
তাদের চারটি গাড়ির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছিল তাদের মধ্য থেকে একটি গাড়ির প্রতিযোগিতার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করছিল বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন কুমার সরকার জানান, সিলিন্দামারি কারিগারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামক স্থানে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হলে গাড়িতে থাকা দুইজন আহত হন।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রূপমকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, তার চাচাতো ভাই রিশাদ হালদার গুরুতর আহত অবস্থায় সিটি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ২০
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
বগুড়ার শাজাহানপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলার বনানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল লতিফ (৪৮) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চড়িয়া শিকার এলাকার ঈমান আলীর ছেলে। তিনি বগুড়া জেলা পুলিশে বেতার বিভাগের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ছেলের চালানো মোটরসাইকেলের পেছনে বসে বনানীতে তেল পাম্পে যাচ্ছিলেন আব্দুল লতিফ। পাম্পে পৌঁছানোর আগে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে পেছনে থাকা লতিফ রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে তার ছেলের কোনো ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পরে লতিফকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রসহ নিহত ২, আহত ৪
বগুড়ায় অটোরিকশার ধাক্কায় নারী নিহত
কেরাণীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১
কেরাণীগঞ্জের ইকুরিয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকা-মাওয়া হাইওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এসময় অপর একজন পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতের নাম মনিরুল ইসলাম (৩০)।
হাসাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেদুল ইসলাম জানান, আহত ব্যক্তি এবং নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুল আলম সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তারা এখনও আহতের নাম-ঠিকানা উদ্ধার করতে পারেনি। পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
সাভার ও ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বিসিএস ক্যাডারসহ নিহত ৩
বগুড়ার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দমকলকর্মী নিহত
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জুয়েল হোসেন নামে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পাকরাইল এলাকায় দুপচাঁচিয়া-আক্কেলপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
নিহত জুয়েল জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বিহারপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, জুয়েল বুধবার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। দুপচাঁচিয়া উপজেলার পাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
এ সময় পেছনে আসা আক্কেলপুরগামী অপর একটি মোটরসাইকেলের চালক তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যান। এতে জুয়েল হোসেন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে মুমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার জুয়েল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে সড়ক দুর্ঘটনা আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমার জন্য দোয়া করো’, মাকে বলা সর্বশেষ কথা দমকলকর্মী শাকিলের
ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯
মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যুতে হাইকমিশনের শোক
মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে তিনজন বাংলাদেশি নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বুধবার(২৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই শোক প্রকাশ করে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
এতে বলা হয়, দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য হাই কমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) এ. এস. এম. জাহিদুর রহমান এবং আইন সহকারী সুকুমারান সুবরামানিয়মকে ঘটনাস্থলে পাঠান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন বাংলাদেশি শ্রমিকের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মোহাম্মদ মোকাদ্দেশ আলী, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. রওশন আলীর ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইপাই গ্রামের মোহাম্মদ ওসমান মণ্ডলের ছেলে মো. আহাদ আলী।
নিহতদের লাশ বর্তমানে পেনাং জেনারেল হসপিটালে সংরক্ষিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফানের মৃত্যুর তদন্ত করছে মালয়েশিয়া পুলিশ
এ ছাড়া, আরও দুই শ্রমিককে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পেনাং জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চলমান উদ্ধার কাজ শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাতে এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত পৌনে ১০টার দিকে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের লাশ দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রক্রিয়া চলছে। মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাইকমিশন যোগাযোগ করছে বলেও জানান প্রেস সচিব সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় গুদাম ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
৯৯৯ নম্বরে সাকিবের কল, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
পাবনায় রেললাইনের কিছু অংশ ভেঙে গিয়ে ফাঁকা হয়ে আছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তবে তার আগেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান এক যুবক।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে ভাঙুরার দিলপাশা রেল স্টেশনের কাছাকাছি স্থানে রেললাইনে এই সমস্যা দেখা যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্বামীকে কুপিয়ে খুন করে ৯৯৯-এ স্ত্রীর ফোন
পরে বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন সাকিব নামে একজন।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সোহরাব আরাফাত এবং বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক রেললাইন মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেলওয়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষ এবং রেল পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষে ঘটনাটি দ্রুত জানাই।
সংবাদ সংবাদ পেয়ে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেরামতকারী দল রেললাইনের ফাঁকা অংশটুকু মেরামত করে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন: নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
এলপিজির দাম আবার কমল, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৯৯ টাকা
ফেনীতে ৩টি পৃথক দুর্ঘটনায় ৩জন নিহত
ফেনীতে বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে পৃথক ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার(২৪ নভেম্বর) সকালে নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া না গেলেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার ফল ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহত অপর দুইজন হলেন-ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মোটরসাইকেল আরোহী মো. শাহপরান এবং নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার রেহানিয়া এলাকার মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে ফারুক উদ্দিন জিহাদ (২৩)।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ কলেজছাত্রী আহত
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুর স্টার লাইন ফিলিং স্টেশনের সামনের ইউটার্ন দিয়ে সড়ক পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগ্রামী কাভার্ডভ্যান সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে অজ্ঞাত ফল ব্যবসায়ী ও চালক গুরুতর আহত হন। ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর ফলব্যবসায়ীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর সিনজি চালক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকের মৃত্যু
বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনীয়া এলাকায় মোটরসাইকেলের চাকা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চালক মো. শাহপরান আহত অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার বিসিক সড়কের মোড় এলাকায় একটি লরী সিএনজিকে ধাক্কা দিলে ফারুক উদ্দিন জিহাদ (২৩) নামে এক বিক্রয়কর্মী আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল পৃথক ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানানা তিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১