দুর্ঘটনা
এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতের সর্বশেষ মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনায় শুক্রবার দুই শতাধিক মানুষ নিহত এবং ৯শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনও কয়েকশ’ মানুষ দুর্ঘটনাকবলিত রেল গাড়ির মধ্যে আটকা পড়েছে।
প্রতিদিন ভারতজুড়ে ১২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) পথ ভ্রমণ করে।
রেল নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারতে প্রতিবছর কয়েকশো ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় মানবিক ত্রুটি বা সেকেলে সিগন্যালিং যন্ত্রপাতিকে।
এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
২০১৮ সালের অক্টোবর- উত্তর ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের একটি শহর অমৃতসরের উপকণ্ঠে একটি ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে আতশবাজি দেখার জন্য জড়ো হওয়া জনতার ওপর দিয়ে একটি ট্রেন ছুটে যায়। যাতে কমপক্ষে ৬০ জন মারা যায় এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ২৩৩ জন নিহত, ৯ শতাধিক মানুষ আহত
২০১৬ সালের নভেম্বর- ইন্দোর ও পাটনা শহরের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ট্র্যাক থেকে লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ১৪৬ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল।
২০১১ সালের জুলাই- উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ফতেহপুরের কাছে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহত এবং ২৩৯ জন যাত্রী আহত হয়।
২০১০ সালের মে- পশ্চিমবঙ্গে একটি যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ১৪৫ জন নিহত হয়। কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনার জন্য মাওবাদী বিদ্রোহীদের নাশকতাকে দায়ী করে।
২০০৫ সালের অক্টোবর- ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের ভেলিগন্ডা শহরে বন্যার পানিতে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ১১১ জন নিহত হয়। এছাড়াও প্রায় ১০০ জন যাত্রী আহত হয়।
২০০২ সালের সেপ্টেম্বর- ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনায় কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২১ জন নিহত হয়।
১৯৯৯ সালের আগস্ট- গৌহাটি শহরে দুটি ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৮৫ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়।
১৯৯৮ সালের নভেম্বর- উত্তরের শহর খান্নাতে দুই টেনের সংঘর্ষে ২১০ জন নিহত হয়।
১৯৯৫ সালের আগস্ট- নয়াদিল্লির কাছে দুটি ট্রেন সংঘর্ষে ৩৫৮ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় ৯৮ জন নিহত
ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৬০, কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এর চালক ও এক পথচারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) গভীর রাতে উপজেলা সদরের দশদোনা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার আইয়ূবপুর গ্রামের মৃত জিলানীর ছেলে মো. নূরে আলম (৩২) এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার দামদরোদী গ্রামের নিরঞ্জন দাসের ছেলে রনি দাস (২৪)।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ মাসে ৫৭৯ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম জানান, দশদোনা গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলের চালক নূরে আলম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী রনিকে ধাক্কা দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নুরে আলমের। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় রনিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় তিনিও মারা যান।
তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক ভাই নিহত, অপর ভাই আহত
মধুমতি সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
নাটোরে কৃষকের বুদ্ধিমত্তায় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস
নাটোরের নলডাঙ্গায় সাইদুল ইসলাম নামে এক কৃষকের বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেন।
এলাকাবাসী জানায়, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পঞ্চগড় থেকে রাজশাহীগামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর স্টেশন অভিমুখে আসতে থাকে।
এ সময় স্টেশনের উত্তর প্রান্তে একটি অননুমোদিত রেল ক্রসিংয়ের সময় ধানবাহী একটি ট্রলি রেললাইনের ওপর আটকে যায়।
ঘটনাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় কৃষক সাইদুল ইসলাম তার গলার লাল গামছা খুলে ট্রেনটিকে থামার সংকেত দেয়। পরে এলাকার আরও কিছু লোক তার সঙ্গে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৭ আ.লীগ নেতাকর্মী আহত
বিষয়টি বুঝতে পেরে চালক ট্রেনটি থামিয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রলিটি অপসারণ করলে ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করে।
মাধনগর স্টেশন মাস্টার আব্দুল হামিদ জানান, উভয়পক্ষের সচেতনতার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেন ও ট্রলিটি।
আরও পড়ুন: নাটোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রের মৃত্যু
ময়মনসিংহে আম কুড়াতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১০ মে) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মুক্তাগাছা পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাড়াটুঙ্গি মধ্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ঝগড়ার মাঝে পড়ে জীবন দিল ৩ মাসের শিশু
নিহত শিশুরা হলো-ওই এলাকার মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে জেরিন আক্তার (৬) এবং প্রতিবেশী আমিরুল ইসলামের মেয়ে চাঁন মনি (৪)।
তারা সর্ম্পকে চাচাতো ও জেঠাতো বোন হয়।
মুক্তাগাছা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিকালে হঠাৎ ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হলে নিহত শিশু জেরিন ও চাঁন মনি বাড়ির পাশে আম কুড়াতে গিয়েছিল। এ সময় তাদের মাথায় আম গাছের ডাল ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই জেরিন মারা যায়।
পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় চাঁন মনিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ঝড়ে দুই শিশু নিহত হওয়ার খবরটি শুনেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ও রামচন্দ্রপুর এলাকায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহতরা হলো-চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার দারিয়াপুর চৌহদ্দিটোলা এলাকার সাইফুলের ছেলে জাহিদ (১৯), ইসলামপুর কাজিপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে উমর ফারুক (১৭) এবং হায়াতপুর ট্যাপাপাড়া এলাকার রকিবের মেয়ে আফিয়া (৩)।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শাহজাহানপুর থেকে দুই বন্ধু জাহিদ ও উমর ফারুক একটি মোটরসাইকেলে করে জেলা শহরের দিকে আসছিলেন। এসময় শাহজাহানপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।
ওসি আরও জানান, অপরদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বিহার পাড়া মোড় এলাকায় একটি অটোরিকশাকে পেছন থেকে ওভারটেক করার সময় অপর একটি অটোরিকশা ধাক্কা দেয়। এসময় সামনের অটোরিকশায় মায়ের কোলে থাকা শিশু আফিয়া রাস্তায় পড়ে আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জামালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রসহ নিহত ৩
কুড়িগ্রামে ঈদে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
মাগুরায় সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
মাগুরায় চারতলা ভবনে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মাগুরা পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান জানান।
নিহত মো. আবু সালেহ ফয়সাল (২৩) পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানার আকনবাড়ি উত্তর বালিপাড়া এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে।
আবু সালেহ পিটিআই একাডেমি ভবন কাম প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজ করার জন্য গত ১৪ এপ্রিল মাগুরাতে আসেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
নির্মাণ কাজের ফোরম্যান নাজমুল হাসান জানান, আবু সালেহ সকাল থেকে ওই ভবনের চারতলায় রড বাধার কাজ করছিলেন। চারতলা থেকে নামতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আবু সালেহের সঙ্গে কর্মরত অন্য শ্রমিকরা বলেন, সকালে ভাত না খেয়ে অল্প খাবার ও দুপুরে না খেয়ে রোদে চারতলা বিল্ডিংয়ের কাজ করায় অনেকটা ক্লান্ত ছিলেন তিনি। দুপুরে চারতলার থেকে নামতে গিয়ে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান।
মাগুরা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ এহসানুল হক মাসুম বলেন, হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মাগুরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজম বিশ্বাস জানান, এটি দুর্ঘটনা না কি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। মাগুরা থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উলিপুরে ডায়রিয়ায় কিশোরের মৃত্যু
সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকালে এয়ারপোর্ট থানার ধোপাগুল এলাকায় কারখানার মোটর রুমে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মনসুর আলম (৩৫) এয়ারপোর্ট থানার ধোপাগুল এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারখানার মোটর রুমে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মনসুর আলম নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সুরতহাল সংগ্রহ করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
চাঁদপুরে বৃষ্টির সময় খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কিশোরের মৃত্যু
টঙ্গীতে বিআরটি ক্রেন উল্টে দোকানে পড়ে আহত ৫
টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি ক্রেন দোকানের ওপর পড়ে শিশুসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।
শনিবার বিকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, বিকাল ৫টার দিকে প্রকল্পের জন্য মালামাল বহনকারী একটি বড় ক্রেন উল্টে রাস্তার পাশের দোকানে পড়ে গেলে পাঁচজন আহত হয়।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে গুরুতর কোনো আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
সৌদিতে ক্রেন দুর্ঘটনায় হতাহত বাংলাদেশিদের ক্ষতিপূরণ
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কর্মীর ৫৪.৫ শতাংশ এখনও বেকার
রানা প্লাজা দুঘর্টনায় বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে বেকারত্বের হার হ্রাস পেলেও বর্তমানে কর্মহীন রয়েছেন ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১০ বছর উপলক্ষে বুধবার (১২ এপ্রিল) ‘রানা প্লাজা দুঘর্টনা: ট্রাজেডি এবং ট্রান্সফরমেশন’ শীর্ষক সমীক্ষায় এই ফলাফল উপস্থাপন করে একশনএইড বাংলাদেশ।
একশনএইড বাংলাদেশ-এর এক সমীক্ষা অনুসারে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে বেকারত্বের হার হ্রাস পেলেও বর্তমানে ৫৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ কর্মহীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ গত পাঁচ থেকে আট বছর ধরে কর্মহীন, আর পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ কর্মহীন রয়েছেন গত তিন থেকে চার বছর ধরে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৮ বছর
একশনএইড বাংলাদেশ পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেঁচে যাওয়া ২০০ জনের মধ্যে এই জরিপ পরিচালিত হয়েছে।
এর মধ্যে ৬৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ নারী এবং ৩০ দশমিক পাঁচ শতাংশ পুরুষ।
সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলে বেঁচে থাকাদের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত শারীরিক স্বাস্থ্যের অবস্থা, মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা এবং আর্থিক অবস্থাসহ বেশ কয়েকটি মূল বিষয় তুলে ধরা হয়।
সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য মতে, তাদের বেকারত্বের পেছনে মূল কারণ হলো তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যগত অবস্থা। তবে এই হার গত বছরে ছিল ৬৭ শতাংশ, যা বর্তমানে কমে ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, ২১ শতাংশ বলেছেন যে তারা কোন উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পাচ্ছেন না।
এই ফলাফল থেকে দেখা যায় যে শারীরিকভাবে সক্ষমতা থাকা অনেক শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সমীক্ষা আরও বলছে, রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। সম্পূর্ণরূপে স্থিতিশীল বলে দাবি করা জীবিতদের অনুপাত ২০১৪ সালে ছিল ১৭ শতাংশ যা ২০২৩ সালে এসে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ হয়েছে।
এবছর ২২ দশমিক পাঁচ শতাংশ বলেছেন তাদের শারীরিক স্বাস্থের অবনতি হয়েছে যা ২০১৪ সালে ছিল ৯ শতাংশ।
উত্তরদাতাদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি (৩৬ দশমিক আট শতাংশ) উল্লেখ করেছেন যে তারা পিঠের ব্যথায় ভুগছেন, এক চতুর্থাংশ (২৪ দশমিক ছয় শতাংশ) মাথা ব্যথার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, হাত ও পায়ে আঘাত, দাঁড়াতে ও সঠিকভাবে হাঁটতে না পারা, দৃষ্টিশক্তি ও কিডনির সমস্যা ইত্যাদি।
মনোসামাজিক স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ অনুভব করা লোকের হার হ্রাস পেলেও মোটামুটি স্থিতিশীল বলে দাবি করার হার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ইতিবাচক প্রবণতা সত্ত্বেও, এখনও ২৯ শতাংশ মানসিক ট্রমার মধ্যে বেঁচে আছেন, যাদের অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে।
মানসিক ট্রমায় আক্রান্ত ২৯ শতাংশের মধ্যে ৫৭ দশমিক আট শতাংশ উত্তরদাতারা বলেছেন তাদের মধ্যে ভবন ধসে পড়ার ভয় কাজ করে।
এছাড়া ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ তাদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।
সমীক্ষার ফলাফলে আরও দেখা যায় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে সেরে উঠেছে ৩৬ দশমিক তিন শতাংশ বর্তমানে পোশাক কারখানায় কর্মরত রয়েছেন।
গত বছর এ হার ছিল ১৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
সমীক্ষা অনুযায়ী, বেঁচে ফেরা পোশাক শ্রমিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি কাটিয়ে ওঠার পরে কাজ ফিরে আসছে, যা তাদের সামগ্রিক কর্মসংস্থানের ইতিবাচক বিকাশকে প্রতিফলিত করে।
সমীক্ষায় আরও প্রকাশ পায়, বেঁচে যাওয়াদের পরিবারের আয়ের পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। জীবিতদের অর্ধেকের মাসিক পারিবারিক আয় (৪৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ) ১০ হাজার এক থেকে ১৫ হাজার টাকা, ১৯ দশমিক পাঁচ শতাংশের মাসিক পারিবারিক আয় ১৫ হাজার এক টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা, এবং ১১ শতাংশের প্রতি মাসে আয় ২০ হাজার টাকার বেশি।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৭ বছর পরও অর্ধেক শ্রমিক কর্মহীন: একশনএইড
উত্তরদাতাদের বেশিরভাগের পরিবারের আয় তাদের পারিবারিক খরচ মেটাতে অপর্যাপ্ত। প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতা জানিয়েছেন (৪৭ শতাংশ) তাদের মাসিক ব্যয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা এবং তারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরী ব্যয় এর মতো অপ্রত্যাশিত ব্যয় এর জন্য কোন সঞ্চয় নেই।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশের অভিযান শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ভুয়া চালকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে অভিযান শুরু করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেশের পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। জেলার প্রায় ৭৬ কিলোমিটার সড়ক ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের আওতায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এসব সড়কে প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে।
যানবাহনের তীব্র গতি, আইন অমান্য করে নিষিদ্ধ তিন চাকার যান চলাচল, রাস্তার বাঁকসহ বিভিন্ন কারণে প্রায়ই এসব সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে জেলার খাতিহাটা হাইওয়ে পুলিশ নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে গত তিন মাসে ৪৯৮টি মামলা করেছে।
মামলার মধ্যে ২৫৩টি থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে এবং ১৩৭টি দ্রুতগতির যানবাহনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া আরও ১০৮টি মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
এছাড়া পুলিশের অভিযানে মহাসড়ক দখল করে স্থাপন করা কিছু অস্থায়ী দোকানও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিশা রোড মোড়, কুত্তাপাড়া, শাহবাজপুর, কাউতলী মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এই অভিযানের সময়, পুলিশ চলন্ত যানবাহনের গতি পরিমাপ করতে স্পিডগান ব্যবহার করে। এছাড়া নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের সুপারভাইজারসহ নিহত ২
চালকরা মদ বা মাদক সেবন করে গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হাইওয়ে পুলিশ তাদের স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে এসব দুর্ঘটনারোধে কাজ করলেও চালকদের সচেতনতার অভাবে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে।
খন্তিহাটা হাইওয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চাঁদ বিশাস বলেন, হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমেছে।
তিনি বলেন, আমরা আশুগঞ্জের ধরখার পর্যন্ত চার লেনের সড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি।
এছাড়া গত ৩ মাসে হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ৪৯৮টি মামলা করেছে।
এদিকে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখনও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে যাত্রী কল্যাণ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে সারাদেশে সাত হজার ৬১৭টি সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে দুর্ঘটনায় মোট ১০ হাজার ৮৫৮ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৮৭৫ জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে ছয় হাজার ৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১জন নিহত এবং ১২ হাজার ৩৫৬জন আহত হয়েছে যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিসংখ্যান।
এছাড়া ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত