পশুর হাট
কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের ৯ জন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তারা নির্ধারিত হাটে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
রবিবার (২৫ জুন) এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা প্রদান কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১টি কেন্দ্রীয় সমন্বয় টিম, ৫টি মনিটরিং টিম, ২২ টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম এবং ২ টি বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল গঠন করেছে।
এসব টিম সোমবার (২৬ জুন) থেকে কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সিলেট নগরীর মাছিমপুর এলাকায় পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের চার জন আহত হন।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকাল ৩টার দিকে দুই কাউন্সিলরের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
আরও পড়ুন: পাবনায় জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
আহতেরা হলেন- মনজু মিয়া (৩৫), অপি (২৫), দিপু (৩৫), হারুন রশিদ খছরু (৫৫)। আহতদের মধ্যে হারুন রশিদ খছরুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাছিমপুরে গরুর হাটের জন্য জেলা পরিষদ টেন্ডার আহ্বান করে।
তবে তা পাওয়ার আগেই ৮নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শারমিন আকতার রুমির স্বামী মনজু মিয়া ও তার দুই ভাই দিপু ও অপি হাটের জায়গায় বাঁশ বসানো থেকে অন্যান্য কাজ শুরু করেন।
এতে ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের ভাই হারুন রশিদ খছরু বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী জানান, গরুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
৩ দিনে প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ
বিগত তিনদিনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে অপসারণ করেছে।৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চার হাজার ৮৮০টি ট্রিপের মাধ্যমে মোট ২০ হাজার ৬২৬.৩৪ মেট্রিক টন কোরবানির পশু ও পশুর হাটের বর্জ্য মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে স্থানান্তরপূর্বক অপসারণ করেছে।এদিকে মঙ্গলবারও ডিএসসিসি এলাকার ৫৮টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে ৪, ৬, ৯-১১, ১৮, ২১, ৫২, ৫৯-৬১, ৬৩, ৬৬, ৬৭, ৭১, ৭২ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকী ৫৮টি ওয়ার্ডে ৯৩৫টি কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এসব পশু জবাই করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.১০মিনিট নাগাদ সকল ওয়ার্ড থেকে ঈদের তৃতীয় দিনে জবাই করা কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রথম দিনে মাত্র সোয়া ১১ ঘন্টায় সকল ওয়ার্ড থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
কোরবানির হাট মাতাবে ‘সম্রাট’ ও ‘ট্রাম্প’
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে খুলনায় কোরবানির জন্য সাড়ে ২৭ মণ ওজনের সম্রাট এবং ২৬ মণের ট্রাম্পকে প্রস্তুত করা হয়েছে। শুধু সম্রাট-ট্রাম্পই নয় এই ফার্মে রয়েছে সম্রাটের ভাই নবাব, আছে ডন, বাদশা, টাইটেন, জেমস, কালুসহ বিভিন্ন বাহারি নাম আর রংয়ের ৬৫টি গরু।
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের মধুমতি ডেইরি ফার্মে এবারের ঈদে কোরবারির জন্য ৯টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্রাট আর ট্রাম্প এবারের কোরবানির পশুর হাট মাতাবে বলে মন্তব্য করেছেন ফার্মের সংশ্লিষ্টরা।
ফার্মের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইমতিয়াজ হোসেন রনি বলেন, ফার্মটি আমার চাচা শামীম শেখের। আমি নিজেসহ বেশ কয়েকজন ফার্মটি দেখাশোনা করি। কিছু কর্মচারী রয়েছে। এই খামারের শুরুতে সাড়ে ৩ থেকে ৪ বছর আগে ১৪টি গরু আনা হয়। এখন চার প্রজাতির ৬৫টি গরু রয়েছে খামারে। এই সময়ের মধ্যে আরও ছয়টি গরু বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত খুলনার ৩২ মণের ‘কালো মানিক’
তিনি বলেন, এটি দুগ্ধ খামার। এখানে এবার কোরবানি ঈদের জন্য ৯টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে আকার-আকৃতি, গঠন, রং, স্বভাব, চেহারা সবদিক থেকে আকর্ষণীয় হচ্ছে সম্রাট। যে কারোরই পছন্দ হবে। এটির দাম ১৩ লাখ টাকা বলেছিল একজন। কিন্তু আমরা ২৫ লাখ টাকা বলেছি। আশা করছি হাটে নেয়ার পরই বিক্রি হবে। ট্রাম্পও ভালো দামে বিক্রি হবে-ইনশাআল্লাহ। দু’টি গরুই শান্ত প্রকৃতির।
ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, এরা সাধারণ খাবারই খায়। গমের ভূষি, সয়াবিনের খৈল, ধান ও ভুট্টার কুড়া খেয়ে থাকে। এর সঙ্গে দুপুরে নিজেদের ফার্মেই উৎপাদিত ঘাস খাওয়ানো হয়।
ফার্মের কর্মচারী জাফর ভূঁইয়া বলেন, এই ফার্মের শুরু থেকে এখানে কাজ করি। গরুগুলোকে সাধারণ খাবার খাওয়ানো হয়। আর দুধের গরুগুলোকে এসব খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ওষুধ খাওয়ানো হয় ক্যালসিয়ামের জন্য। খাবারের সঙ্গে আয়োডিনযুক্ত লবণ দেয়া হয়। এসব খাবার দুই বেলা দেই আর এক বেলা ঘাস।
আরও পড়ুন: এবার ১.২১ কোটির বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত: মন্ত্রী
ফার্মের মালিক শামীম শেখ জানান, কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ফার্মে ৯টি গরুর মধ্যে আকর্ষণীয় হচ্ছে সম্রাট ও ট্রাম্প। এর মধ্যে সম্রাটের ওজন সাড়ে ২৭ মণ হবে। আর কালো রংয়ের ট্রাম্পের ওজন ২৬ মণ হবে। গরুগুলো ঢাকা গাবতলীর হাটে নেয়া হবে। আকর্ষণীয় এই দু’টি গরুর দাম ৩২ থেকে ৩৩ লাখ টাকা প্রত্যাশা করছি। যার মধ্যে সম্রাট ১৭ থেকে ১৮ লাখ এবং ট্রাম্প ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা। বাকি গরুগুলো বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হবে।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মন্ডল বলেন, বিগত দিনে কোরবানির জন্য ৮০ হাজার গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে। এই বছর তার চেয়ে কিছু বেশি হবে। কারণ করোনার প্রভাব না থাকার কারণে আমরা সকল উৎসবে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখছি। মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তার প্রেক্ষিত আমরা মনে করি এবার কোরবানির ঈদ আনন্দময় হবে।
তিনি বলেন, এবার ৭ হাজার ৬১৪ জন খামারি ২৩ হাজার ৯১৭টি গরু কোরবানির জন্য লালন-পালন করেছে। এছাড়া মহিষ ১৭টি, ছাগল প্রায় ৯৩ হাজার এবং দুই হাজার ৩৫০টি ভেড়া রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লাখের বেশি কোরবানি পশু প্রস্তুত: জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর
তিনি বলেন, খামারির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে কোয়ালিটিও বাড়ছে। অনেকেই এখানে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করছে। প্রাণিসম্পদে লাভ আকাশচুম্বি না হলেও লাভ অবশ্যই আছে। এই সময়ে মৌসুমী কিছু খামারিও গরু প্রস্তুত করে। বরাবরই তারা লাভ পেয়ে আসছেন। এবারও তারা লাভ পাবে। বেকার যুববকরা অনেক বিনিয়োগও করছে।
কোরবানির ঈদ: জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশুর হাটগুলো
আসন্ন পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশুর হাটগুলো। হাটে গরু-ছাগলের সংখ্যা এবং বিক্রেতার জনসমাগম বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু ও বিক্রেতার সমাগম থাকলেও ক্রেতা ছিল কম।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে শিয়ালমারি পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, মানুষে লোকারণ্য পুরো হাট। কেউ এসেছেন গরু কিনতে, আবার কেউ এসেছেন কোরবানির গরু দেখতে। হাটের সামনে জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে যানজট। কয়েকজন পুলিশ সদস্য যানজট নিরসনে কাজ করছেন।
হাট ব্যবস্থপনার দায়িত্বে থাকা চঞ্চল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ভারতীয় গরু যেন বাজারে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
হাটে আসা পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি হাটে গরু বিক্রি করতে আইছি। গরুর দাম দিয়েছি দেড় লাখ টাকা। মানুষ আমার গরু দেখছে কেনার জন্য দামও জিজ্ঞাসা করছে আমি এক লাখ ২০ হলে গরুটি বিক্রি করে দেব।’
জীবননগর উপজেলার আরেক বিক্রেতা বকতিয়ার আলী বলেন, ‘আমি আমার গরু বিক্রি করতে এসেছি, দাম দিয়েছি দুই লাখ টাকা। গরুর ওজন অনুযায়ী ক্রেতা ও দালালেরা দাম বলছে কম। যে কারণে গরু দিতে পারছি না। তবে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা হলে গরুটি বিক্রি করে দেব।’
গরুর ক্রেতা মো. কাশেম বলেন, ‘আমি কোরবানির গরু কিনতে এসেছি। গরুর দাম এবার অনেক বেশি, তাই গরু কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমার বাজেটের মধ্যে যদি হয়, আমি এই হাটেই গরু কিনে নিয়ে যাব।’
বাজারে ছাগল বিক্রি করতে আসা মো. আক্কাচ আলী বলেন, গতবার কোরবানির ঈদের তুলনায় এ বছর ছাগলের দাম কম। ক্রেতাও অনেক কম।
ছাগল ব্যবসায়ী মো. সমসের আলী বলেন, বাজারে বড় ছাগলের তুলনায় ছোট ছাগলের চাহিদা বেশি। এই জন্য এসব ছাগলের দাম এখন তুলনামূলক বেশি।
বাজারের ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন বলেন, শিয়ালমারী পশুর হাটে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। রাস্তায় পুলিশের অনেক লোকজন রয়েছে।
পড়ুন: ঈদুল আজহা: হাটের জন্য প্রস্তুত ঠাকুরগাঁওয়ের ‘বারাকাত’
ডুগডুগি পশুর হাটের ইজারাদার জনি শাহ পশুর হাটের বেচা-বিক্রি সম্পর্কে বলেন, গত বছরের করোনার প্রভাবের কারণে খুব খারাপ অবস্থা ছিল। এবার আবার সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার বন্যার কারণে ব্যাপারীরা আসতে না পারায় খুব বেশি ভালো বেচা-বিক্রি নেই। তারপরও ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার বেচা-বিক্রি হয়েছে। আশা করি ঈদের সামনের হাটগুলোতে বেচা কেনা আরও বাড়বে।
হাটের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, শিয়ালমারী পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। অজ্ঞান পার্টির বিরুদ্ধে পুলিশ এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। হাটের নিরাপত্তায় জীবননগর থানা-পুলিশের পাঁচটি দল কাজ করছে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, শিয়ালমারি পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এবং পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তের জন্য মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি পশু ক্রয় করতে এসে যাতে কোনো ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষ হয়রানি বা প্রতারণার শিকার না হয়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে ৪৪০০টির বেশি পশুর হাট বসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে ৪৪০০টির বেশি পশুর হাট বসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সারাদেশের পশুর হাটে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
তিনি বলেন, ‘এ বছর মোট চার হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসবে। এসব হাটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’
বুধবার ঈদকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২টি পশুর হাট বসবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতে গরুর হাটে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ব্যবসায়ীদের টাকা নিরাপদে স্থানান্তর করতে সহায়তা করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা কবে, জানা যাবে বৃহস্পতিবার
সড়ক ও মহাসড়কে কোনো পশুর হাট থাকবে না উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো হাটে পশুবোঝাই গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না।
কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে পাচার রোধে কঠোর নজরদারি করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করবে।
কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত খুলনার ৩২ মণের ‘কালো মানিক’
আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু হিসেবে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাত ফুট উচ্চতা ও ১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩২ মণ ওজনের কালো মানিক স্থানীয়দের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
উপজেলার আটালিয়া ইউনিয়নের রোস্তমপুর গ্রামের গরুর মালিক প্রবীর মজুমদার জানান, তিনি তার খামারে আরও তিনটি গরুর সঙ্গে কালো মানিক নামে গরুটিকে লালন ও পালন করেছেন।
বড় সাইজের গরুটিকে দেখতে প্রতিদিনই লোকজন খামারে ভিড় করছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লাখের বেশি কোরবানি পশু প্রস্তুত: জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর
ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় এনামুল গাজী ইউএনবিকে বলেন, ‘উপজেলায় কালো মানিকের চেয়ে বড় গরু আর নেই বলে অনেক খামারিদের কাছে শুনেছি। তাই নিজের চোখে দেখতে এসেছি।’
বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে এসেছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, উপজেলায় এত বড় গরু আর নেই।
মালিক প্রবীর মজুমদার বলেন, ‘আমার কালো মানিক খুব শান্ত স্বভাবের গরু। তার কোনো রাগ নেই। কারো দিকে তেড়েও আসে না।’
প্রবীর মজুমদার একজন প্রবাসী শ্রমিক ছিলেন। দেশে ফিরে আসার পর পাঁচ বছর আগে নিজের বাড়িতে তার গরুর খামার শুরু করেন। গত দুই বছর ধরে আরও তিনটি গরু সঙ্গে কালো মানিককে লালন ও পালন করেন। তিনি প্রতিদিন গরুটিকে প্রায় ১০ কেজি করে খাবার খাওয়ান। এর মধ্যে গমের ভুসি, ধানের কুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার ১.২১ কোটির বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত: মন্ত্রী
প্রবীর দাবি করেন, তিনি কালো মানিককে মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ ব্যবহার করেননি তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা সুলতানা বলেন, ‘উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত কোরবানির পশু পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিক্রি এবং ভালো দাম পাওয়া নিয়ে কৃষকরা কিছুটা চিন্তিত রয়েছেন।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লাখের বেশি কোরবানি পশু প্রস্তুত: জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক লাখ ৬৫ হাজারের বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, জেলায় চাহিদার অতিরিক্ত ৫২ হাজার ২২২টি পশু রয়েছে। খামার ও পারিবারিকভাবে এসব পশুকে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়েছে। এবার করোনা মহামারি না থাকার কারণে পশু হাট জমে উঠার আশা করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে খামারিরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা প্রাণিসম্পদ বিভাগের।
তবে পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খামারিরা। তারা বলছেন, বাজারে গো-খাদ্যের দাম চড়া। বাধ্য হয়ে তাই বেশি দামে খাবার কিনে গবাদি পশুকে খাওয়ানো হচ্ছে। এতে ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় হাটে কোরবানির পশুর বেচা কেনা ভালো হবে বলে আশা খামারিদের।
আরও পড়ুন: এবার ১.২১ কোটির বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত: মন্ত্রী
জেলা প্রণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, এবার জেলায় কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৩ টি পশু। আর কোরবানির জন্য মোট পশু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৫টি। অর্থাৎ ৫২ হাজার ২২২টি পশু অতিরিক্ত রয়েছে। জেলার পাঁচ উপজেলায় খামারি রয়েছেন ১১ হাজার ৫৪৯ জন। খামারে ও পারিবারিকভাবে এসব পশু লালন পালন করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ৮৮ হাজার ৩০০টি, ছাগল ৬৮ হাজার ৭২টি, ভেড়া ৯ হাজার ৬৭টি ও মহিষ রয়েছে ১৭৬টি। যা চাহিদার তুলনায় বেশি।
সদর উপজেলার নামোনিমগাছি এলাকার খামারি ইকবাল হোসেন জানান, তার খামারে এবার কেরবানির জন্য ২৩টি গরু ও ৭টি মহিষ প্রস্তুত করা হয়েছে। এক লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে তিন লাখ পর্যন্ত দামের গরু রয়েছে।
তিনি জানান, গরু লালনপালনে বা মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকসান ব্যবহার না করেন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পুষ্টিকর খাবার দিয়েছেন। তবে এই বছর পশু খাদ্যের দাম দ্বিগুন। আগে ভুট্টা ছিল ১৮ টাকা কেজি সেটা এখন ৩৫ টাকা, গম ছিল ২২ টাকা কেজি সে গম এখন ৪০ টাকা। গমের ভুষি ৪৮ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান
উপররাজারামপুর এলাকার আরেক খামারি এসএম কামাল জানান, তার খামারে বর্তমানে কোরবানির জন্য ২০টি গরু আছে। এবার করোনার সমস্যা না থাকলেও পশু খাদ্যের দাম অনেক বেশি হওয়ায় লালনপালন খরচ অনেক বেশি। তাই গরুর দাম এবার কম হবে না। তাছাড়া চাহিদার ওপর দাম পাওয়া যাবে, চাহিদা ভালো থাকলে দাম ভালো পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি হবে না। ভারত বা মিয়ানমার থেকে গরু আনার দরকার নেই। সরকার এদিকে নজর দিলে দেশীয় খামারিরা লাভবান হবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বটতলা হাটের ইজারাদার রফিকুল ইসলাম জানান, সপ্তাহের মঙ্গলবার ও শুক্রবার এ দুই দিন হাটবার। করোনার কারণে বিগত বছরে গরুর বেচাকেনা ভালো না হওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে। এবার করোনার সমস্যা নেই আশা করা যায় জুলাই মাসের প্রথম দিক থেকে কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠবে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছেড়েছে ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেন
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, জেলায় এবার চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বাড়তি পশু অন্যান্য জেলার চাহিদা পূরন করতে পারবে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ভারত থেকে গরু আসা একেবারেই বন্ধ। এছাড়া এই বছর করোনা পরিস্থিতিও ভালো থাকায় পশু হাটগুলোতে বেচা কেনা জমে উঠবে এবং খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গাজী বাবুকে কিনলো না কেউ!
গাজী বাবুকে কিনলো না কেউ। হতাশ তার মালিক। চাঁদপুরে সেরা হিসেবেই পরিচিতি গরুটির। তবু সঙ্গী-সাথী অনেকেই বিকিয়ে গেলেও গাজী বাবুর কপালে ক্রেতা জোটেনি।
চাঁদপুর সদরের সবচেয়ে বড় গরু গাজী বাবুর ওজন ১১৭২ কেজি, ৯ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতা। এই গরুটি মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। অথচ বিক্রির জন্য ৫/৬ দিন আগেই আনা হয়েছিল সদরের বড় পশুর হাট বাগাদী চৌরাস্তা পশুর হাটে। পাশেই ধানুয়া গ্রামে গাজী গরু খামারেই এটি অত্যন্ত যত্নে পালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রাজার’ মালিক এখন বাদশা
গরুটির মালিক জা্ফর গাজী জানান, গরুর কাঙ্খিত মুল্য না পাওয়ায় তা মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে নিয়ে যান। গরুর দাম সাড়ে ৪ লাখ পর্যন্ত উঠেছে। জাফর গাজী দাম চাইছেন ৭ লাখ। ক্রেতা কম থাকায় তাই বেশ হতাশ হয়েই তিনি গাজী বাবুকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। তিনি বলেন, ‘আমার মাথায় হাত। করোনার কারণে মানুষের হাতে এত টাকা নেই।’
শহরের ওসমানিয়া মাদ্রাসা বাজারের গরু বিক্রেতারাও একই কথা জানালেন। ক্রেতা মোশারফ হোসেন ও আনোয়ার হোসেন মাস্টার জানান, তারা সস্তায় গরু কিনেছেন। এতে তাঁরা খুব খুশি। যে গরুর দাম একলাখ টাকা, সে রকম দুটি গরু তাঁরা কিনেছেন ৮৫ হাজার ও ৮৭ হাজার টাকা করে। মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
কুমিল্লায় স্কুল মাঠগুলোতে চলছে অবৈধ গরুর হাট!
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় স্কুল মাঠেই অবৈধ গরুর হাট চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া উপজেলার ২৩টি পশুর হাটের মধ্যে ১১টি হাটেরই কোনও অনুমোদন নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়নের নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, জোয়াগ ইউনিয়নের ধেরেরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও বরকইট ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সপ্তাহে দুইদিন করে গরুর হাট চলে। এর মধ্যে নবাবপুর ও ধেরেরা অস্থায়ী হাট অন্য জায়গা দেখিয়ে সরকারিভাবে ইজারা নিয়ে পরবর্তীতে বিদ্যালয় মাঠে হাট বসায়।
আরও পড়ুন: পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
এদিকে শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের হাট ইজারা ছাড়াই জোরপূর্বক হাট চলছে।
জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে চান্দিনা উপজেলায় চারটি স্থায়ী গরুর বাজার রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলায় আরও আটটি অস্থায়ী গরুর হাটের ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন। স্থায়ী ও অস্থায়ী ১২টি গরুর বাজারের স্থলে বর্তমানে চান্দিনায় অন্তত ২৩টি গরুর হাট রয়েছে। চান্দিনার শ্রীমন্তপুর, ছয়ঘড়িয়া, শুহিলপুর, কালিয়ারচর, গল্লাই-তালতলা, মহিচাইল-ছেঙ্গাছিয়াসহ আরও অন্তত পাঁচটি হাট অবৈধভাবে চলছে। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের অনুমতি না মিললেও, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ওই সব হাটে পশু বেঁচা-কেনা হচ্ছে। এতে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
চান্দিনার শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘কে বা কারা গরুর বাজার বসিয়েছে আমি কিছুই জানি না। শনিবার স্কুলে এসে মাঠে খুঁটি দেখে শুনেছি শুক্রবার নাকি গরুর হাট বসেছিল।’
ধেরেরা গরু হাটের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ধেরেরা মৌজার ৫৫১ দাগে ইজারা নিয়েছি। মাঠের এক পাশে খুঁটি বসাই। যেখানে আমাদের ইজারা আছে। স্কুলের জায়গায় খুঁটি দেইনি।’
নবাবপুর গরু বাজার পরিচালনা পর্ষদ সদস্য আশেক এলাহী জানান, ‘নবাবপুরে স্থায়ী গরুর বাজার আছে। ঈদের সময় ওই জায়গাতে সংকুলান না হওয়ায় স্কুল মাঠে নিয়ে আসি। ঈদের সময় মাত্র দু’টি বাজারই হয় স্কুল মাঠে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাট
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি জায়াগায় অস্থায়ী গরুর হাট ইজারা দিয়েছি। কোন বিদ্যালয়ের মাঠে নয়। যারা বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসিয়েছে, খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া অনুমোদনহীন গরুর হাট বন্ধে মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।’