ব্রহ্মপুত্র
ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ল ৮৫ কেজির বাঘাইড় মাছ!
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে মো. মহুবর রহমান নামের এক জেলের জালে ৮৫ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন সাহেবের আলগার কাজিয়ার চর ব্রহ্মপুত্র নদে মাছটি ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
পরে জেলে মহুবর রহমান বিশালাকৃতির বাঘাইড় মাছটি বিক্রির জন্য হাতিয়া ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী মন্টুর কাছে বিক্রি করতে গেলে উৎসুক জনতা মাছটি দেখার জন্য ভিড় করেন।
মাছ ব্যবসায়ী মন্টু জানান, মাছটি এক লাখ দুই হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিই। পরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুক্তাদির খান বলেন, বিষয়টি অবগত নই। তবে বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে জেলের জালে ধরা পড়ল লাখ টাকার মেদ মাছ
কুড়িগ্রামে মাছের গায়ে ‘আল্লাহু'!
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ঝুঁকিতে গুরুত্বপূর্ণ পাগলার বাজার
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে পাগলার বাজার। জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার দুর্গম নারায়ণপুর ইউনিয়নের পদ্মারচর গ্রামে অবস্থিত এই জমজামট বাজারটি।
চলতি বছরের বন্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের করাল গ্রাসে বাজারের দেড়শটি দোকানের মধ্যে ২২টি দোকান নদীগর্ভে চলে গেছে।
ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে- পদ্মারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পদ্মারচর আবাসন প্রকল্প, আবাদি জমি ও শতাধিক বসতবাড়ি।
বাজারটি রক্ষায় এলাকাবাসী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীগণ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
সরজমিনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের নৌঘাট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা শ্যালো নৌকায় পৌঁছানো হয় পাগলার বাজার নামক স্থানে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
সেখানে গিয়ে দেখা যায় বাজারটির ভাঙন কবলিত দুর্দশা। বাজারের উত্তর-পশ্চিম ঘেঁষে ২২টি দোকানের স্থানটি নদীতে ধ্বসে পরেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি দোকান।
বাজারের ইজারাদার শাহাজুল হক জানান, ২০১২ সালে বাজারটি স্থাপন করা হয়। প্রথমে এমপির বাজার নামকরণ করা হলেও একজন অচেনা পাগলের আবির্ভাবের পর এর নাম হয়ে যায় পাগলার বাজার। এই বাজারের আশে পাশে কোন বাজার নেই। উত্তরে ৫ কিলোমিটার নৌপথে রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা নারায়ণপুর বাজার।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণে রয়েছে ১০ কিলোমিটার নৌপথে যাত্রাপুর বাজার। এখানকার ১০টি চরের ২০ হাজার মানুষের কেনাকাটার জন্য রয়েছে একমাত্র এই বাজারটি। এটি ভেঙে গেলে বাজারের দেড়শ ব্যবসায়ী পরে যাবে চরম বিপদে। দুর্গম এলাকা জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে কোন কাজ করতে চায় না। আমরা বাজার, স্কুল ও আবাসনটি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ আয়োজন করেছি।
বাজারের ব্যবসায়ী মানিক হোসেন ডাক্তার, জাহেদুল ইসলাম ও রফিকুল মাস্টার জানান, আমাদের পদ্মারচরটি প্রায় ৭০ বছরের পুরনো চর। এখানে প্রায় ২ হাজার ৬০০ পরিবারের বসবাস। এছাড়াও পাশেই রয়েছে ঝুনকারচর, দেবারী খোলা, পয়াস্তি ঝুনকা, অস্টআশির চর, রলাকাটা, বারোবিশ, নারায়ণপুর, মোল্লাপাড়া, ব্যাপারীর চর ও শান্তিয়ার চর। এসব চরের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ক্রয়-বিক্রয় করে এই বাজার থেকে। এই বাজার ভেঙে গেলে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতা ভীষণ বিপদে পরে যাবে।
এই বাজারের অরছব আলী, দুলাল, বুলু ও আলী হোসেন জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় ১৬টি নদ-নদীর মধ্যে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপচর। চরবাসীদের জীবন-জীবিকার সাথে হাট-বাজারগুলোর অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। জেলার দুর্গম ব্রহ্মপুত্র নদের ভেতরে স্থানীয়দের উদ্যোগে গড়ে ওঠা পাগলার বাজারটি আশপাশের ১০টি চরের মানুষের একমাত্র ক্রয়-বিক্রয় ও সময় কাটানোর জায়গা। বিকাল হলেই লোকজন এক কাপ চা আর গল্প করার জন্য এখানে ছুটে আসেন। এছাড়াও সপ্তাহে হাট বসে শুক্রবার ও সোমবার। হাটটি বিলিন হলে বিপদে পড়বে ২০ হাজার মানুষ।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করি। পাগলার বাজারে ভাঙনের কথা আমরা জানতে পারলাম। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আরও পড়ুন: রূপসায় নদী ভাঙন, ৫২৫ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে এলাকাবাসী
ভৈরবের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বিজয় নামে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেন ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির গ্রামের বাড়ি ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে। শহরের কমলপুরে ভাড়া থাকত। তার বাবা পাদুকা কারখানার শ্রমিক।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৯ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ভৈরব শহরের জগন্নাথপুর বেনী বাজার এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে যায় এক শিশু। তখন স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চান। তাৎক্ষণিক ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের সদস্য ও ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মৃত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এ সময় ভৈরব নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের লিডার রাশেদ জানান, মঙ্গলবার ১২টার দিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়ে ১টা ৫০মিনিটে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করি। উদ্ধারের পর শিশুর পরিচয় জানতে পারি।
ভৈরব নৌ পুলিশ ইউনিটের ইনচার্জ (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে আমাদের সংবাদ দেয় ব্রম্মপুত্র নদে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে একটি শিশু ডুবে যায়। এ খবরে ঘটনাস্থলে এসে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ডুবে যাওয়া শিশুর লাশ উদ্ধার করি। শিশুর বাবা তার ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এখন আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
খুলনায় ডোবা থেকে ১৯ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত: বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
দেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিইসি) মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১০৯টি নদীর জলস্তর পর্যবেক্ষণের পর ৯১টি স্টেশনে জলস্তর বৃদ্ধি এবং ১৫টি অন্যান্য স্টেশনে জলস্তর হ্রাস পাওয়ার তথ্য রেকর্ড করেছে।
মঙ্গলবার এফএফডব্লিউসি’র পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বুলেটিনে বলা হয়েছে, তিনটি নদী স্টেশনে জলস্তর স্থিতিশীল রয়েছে এবং সমস্ত নদীর পানি বিপদসীমার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া এই অঞ্চলের সব প্রধান নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংস্থার বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর (সুরমা, কুশিয়ারা, সারি গোয়াইন, ঝালুখালী, ভোগাই-কংস, সোমেশ্বরী, জাদুকাটা) পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।’
তারা আরও জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার অববাহিকা এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের কারণে এই সময়ে নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ফের বন্যায় ভাসতে পারে সিলেট-সুনামগঞ্জ
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
ইউএনবি কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান: প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পানির ঢলে কুড়িগ্রামে উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদীর পানির উচ্চতা অব্যাহত রয়েছে।
তবে সব পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী নিচু চর এলাকাগুলো প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে।
ফলে নদী অববাহিকায় মৌসুমি সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের খেত তলিয়ে যাচ্ছে।
জেলার নাগেশ্বরী, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজীবপুর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার শতাধিক পরিবার বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে।
এসব এলাকার অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষ বর্তমানে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে নৌকা ব্যবহার করছে।
চর ও নিচু এলাকায় নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছেন মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলার সব নদ-নদীর পানির উচ্চতা বাড়লেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে ২২ ও ২৩ জুন এসব নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে অবিরাম বর্ষণে আবারও বন্যার শঙ্কা
বন্যা দুর্গত এলাকায় কি ধরনের খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবেন
ব্রহ্মপুত্রে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল ২ কিশোরের
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে লাশ দু’টি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।
তার আগে সোমবার বিকালে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় দুই কিশোর।
নিহতরা হলেন- উজানচরনওপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে পৃথিবী (১২) ও একই গ্রামের আবদুল কাদিরের ছেলে ফয়সাল (১৬)। ফয়সাল উচাখিলা স্কুল ও কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ও পৃথিবী সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলাটির উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর বালুরঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নামে পৃথিবী। ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা দিয়ে যাত্রী পারাপার করছিল আরেক কিশোর ফয়সাল। ওই সময় গোসলে নেমে পৃথিবী ডুবে যেতে দেখে তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয় ফয়সাল। এতে সেও নিখোঁজ হয়। বিষয়টি নদের তীর থেকে কয়েকজন দেখে দ্রুত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় এবং স্থানীয় ভাবে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিখোঁজ পৃথিবী ও রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফয়সালের লাশ উদ্ধার করে।
ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে ডুবুরি দল এনে খোঁজ করতে নামানো হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ দু’টি পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত
খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানের হেলপার নিহত
ব্রহ্মপুত্র নদে বর্শিতে ধরা পড়লো ৬২ কেজির বাঘাইর মাছ!
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে এক জেলের বর্শিতে উঠেছে ৬২ কেজির বাঘা আইড় মাছ।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ডের এশিয়া মার্কেটে মাছটি নিয়ে আসলে কয়েকশ’ উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।
শুক্রবার সকালে নাগেশ্বরী পৌর বাজারে ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কেটে বিক্রি করা হয়। এতে মাছটির মূল্য দাড়ায় প্রায় এক লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনায় পটকা মাছ খেয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
মাছের মালিক হানিফ আলী। তার বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার বানুরখামার এলাকায়।
মাছ ব্যবসায়ী হানিফ জানান, চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে বৃহস্পতিবার বিকালে বর্শিতে মাছ ধরেছেন এক স্থানীয় জেলে। তার কাছ থেকে ৫০হাজার টাকায় মাছটি কিনে এনেছেন নাগেশ্বরীতে। দাম বেশি তাই ক্রেতা কম।
শুক্রবার সকালে পৌরবাজারে মাছটি কেটে ১৬শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বিক্রি হয় ৯৯হাজার ২০০টাকায়। এতে অনেক খরচ পড়েছে। লোকজন খাটাতে হয়েছে। তারপরও লাভ থাকবে। বড় কথা হলো এতে অনেক ভাললাগা আছে। এতো বড় মাছ সব সময় পাওয়া যায়না। এটাও সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই ভালোবাসা থেকে মাছটি কিনে এনেছি।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, এ ধরণের বড় মাছ ধরার খবর শুনেছি। ব্রহ্মপুত্র নদে অনেক বড় বড় মাছ আছে। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জাতের বড় বড় মাছ ধরার খবর আসে। এতে বোঝা যায় এ জেলার নদ নদী এখনও মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ।
ইলিশের নিষেধাজ্ঞা সময়টি জেলেরা মান্য করায় এখন নদীতে সব ধরণের মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরা পড়ছে বড় বড় মাছ।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় জেলের জালে ৩৮ কেজির বাগাড় মাছ!
ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে ফেরির লষ্কর নিখোঁজ
সিত্রাং: ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ব্রহ্মপুত্রের চরে আটকা পড়া ৮০ যাত্রী উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানার ব্রহ্মপুত্র নদের তেলিপাড়া নামক স্থানে ডুবোচরে আটকে পড়া নৌযান থেকে ৮০ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ওই যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ –এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওইদিন বিকাল ৫টায় ওই নৌযানের যাত্রী আজগর নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে তারা দুইজন মাঝি, নারী ও শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী কুড়িগ্রামের রৌমারি ঘাট থেকে চিলমারীর রমনাঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। পথে রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কবলে পড়েন তারা। এরপর তীব্র স্রোত ও দমকা হাওয়ার তোড়ে তাদের নৌযান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাসতে ভাসতে একটি ডুবোচরে আটকে যায়। পরে জানতে পারেন চরটির নাম তেলিপাড়া চর।
কলার আরও জানান, বৃষ্টির মধ্যে নারী শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে দুর্গম চরে আটকে আছেন। তিনি দ্রুত উদ্ধার সহায়তার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল ইমাম হোসেন কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল ইমাম তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং চিলমারী থানায় জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
পরবর্তীতে ৯৯৯ ডিস্পাচার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান চিলমারীর উপজেলার ইউএনও এবং চিলমারী রমনাঘাটের বিআইডাব্লিউটিএ’র ইজারাদারকে জানিয়ে উদ্ধারকারী নৌযানের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে রমনাঘাট থেকে একটি উদ্ধারকারী নৌযান চিলমারী থানার উদ্ধারকারী পুলিশ দলসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে রওনা দিয়ে রাত সোয়া দশটায় চরে আটকে পড়া যাত্রীদের কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া উদ্ধার করে নিকটবর্তী নিরাপদ স্থানে নিয়ে রাখে। পরবর্তীতে আবহাওয়া শান্ত হলে ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের রমনাঘাটে পৌঁছে দেয়া হয়।
চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে আবুল কাশেম (৬৮) নামের এক ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের দূর্গম জাহাজের আলগার চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধ উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মাদারটারী ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত মেজার আলীর ছেলে।
নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম মন্ডল ঘটনার সততা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: যুবকের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধ আবুল কাশেম পেশায় একজন ভিক্ষুক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। ভিক্ষা করতে বের হলে তিনি এক থেকে দুই সপ্তাহ পর বাড়ি আসেন।
রবিবার (৯ অক্টোবর) ভিক্ষা করার জন্য তিনি সাহেবের আলগা চরে যান। এরপর আর ফিরে আসে নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহাজের আলগার চরের লোকজন তার লাশ ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রাত প্রায় ১০টার দিকে উলিপুর থানায় নিয়ে আসে।
নিহত বৃদ্ধের ছোট ভাই আক্কাছ আলীসহ পরিবারের লোকজনের অভিযোগ না থাকায় থানা থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, ভিক্ষুক আবুল কাশেম যেকোন সময় নদে পড়ে মারা যান।
পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ভোলার মেঘনায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধায় বন্যার পানি কমলেও বেড়েছে রোগব্যাধি
একটু সাহায্যের আশায় বাড়ির সামনে কলাগাছের ভেলায় বসে থাকলেও গাইবান্ধার বন্যা কবলিত খরজানির চরের করিমন বেগমসহ অনেকের মিলছে না কোনো সহায়তা।
করিমন বেগম ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা কীভাবে বেঁচে আছি, আমরা কী খাচ্ছি তা দেখতে এখনও কেউ আসেনি।’
গাইবান্ধার চর উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে বন্যার পানির কারণে সৃষ্ট চর্মরোগ। ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগও উদ্বেগের বিষয়।
আর কোনো সমাধান না পেয়ে ওই এলাকার করিমন ও তার প্রতিবেশী হালিমা, মতিন কোবাজ্জামান, মিঠু মিয়াসহ আরও অনেকে জানান, ক্রমাগত চুলকানি থেকে কিছুটা উপশমের জন্য কেরোসিন তেলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে লাগাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: বন্যা: আরও ২ জনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪
করিমন বলেন, রাত দিন চুলকায়। পায়ে কেরোসিন তেলে হলুদ মেখে কষ্ট নিবারনের চেষ্টা করেন। রাতে ঘুম নেই, কখন সাত বছরের ছোট ছেলেটা পানিতে ভেসে যায় সেই ভয়ে। যেমনটা অন্য অনেক পরিবারের ক্ষেত্রে ঘটেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যা কবলিত অঞ্চলে পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে কিন্তু করিমনরা এখনও সেই সহায়তা পান নি।
করিমন আরও বলেন, এ অঞ্চলে পানীয় জলের সংকট প্রকট। এমনকি এই পরিস্থিতিতেও দিনের বেলা নদীর ওপার থেকে পানীয় জল আনতে আমাদের নৌকা ভাড়া দিতে হয়।
গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রবিবার কিছুটা কমছে।
কামারজানীর চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, সুন্দরগঞ্জ,সাঘাটা,ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার বেশ কয়েকদিন যাবৎ পানি বন্দি কামারজানি, মোল্লারচর, কাপাসিয়া, হরিপুর, ফজলুপুর, উড়িয়া, রতনপুর, ফুলছড়ি,গজারিয়া, এ্যাড়েন্ডাবাড়ি, কঞ্জিপাড়া, শ্রীপুর, তারাপুর, বেলকা সহ ২৫টি চর ইউনিয়নের বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্যার পানিতে আটকা পড়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পানি নামায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান
তিনি বলেন, অনেকের ঘরে খাবার আছে। কিন্তু রান্না করার মতো জায়গা নাই। তাই পানিতে নেমে কলার ভেলায় চুলা রেখে তাতে রান্না করছেন। এক বেলার রান্না খাচ্ছেন তিন বেলায়। খাবার পানির তীব্র সংকটের পাশাপাশি কোনো টয়লেটও নেই।
কর্তৃপক্ষের মতে, জেলায় মোট ৬০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে তবে মাত্র ১২টিতে আশ্রয় নিতে পেরেছে মানুষ। কারণ অধিকাংশ কেন্দ্রই পানির নিচে অথবা নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, অনেক লোক তাদের একমাত্র আয়ের উৎস, গবাদি পশু নিয়ে লড়াই করছে যা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখা যাচ্ছে না।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম ফয়েজ উদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত পুরুষ, নারী এবং শিশু সহ মাত্র ১৩৫ জন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ১২৫ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ টাকা ও শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় কনসার্ট সোমবার
কুড়িগ্রামে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি
কুড়িগ্রাম জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। তবে চর ও নদ-নদীর অববাহিকার নিচু এলাকাগুলোতে এখনও পানি জমে আছে। পানিবন্দি রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। অনেকের ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও সেগুলো বসবাসের উপযোগী হয়নি। দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। গ্রামীণ ও চরের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার নিচে নেমে যাওয়ায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন দৃশ্যমান হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, বন্যায় জেলায় প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাত হাজার কৃষক। পুরো পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিরূপণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, চলতি বন্যায় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩৮ মেট্রিক টন চাল, ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রম চলমান আছে।
তবে সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগ বানভাসিদের দুর্ভোগ কমাতে পারেনি। অনেক চরাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ত্রাণ পৌঁছেনি। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শৌচাগার ও গো খাদ্যের তীব্র সংকট রয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া ৩২৫টি স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস, তবে রবিবার ১১টি জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি