অনলাইন
অনলাইন গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, অনলাইন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণে নীতিমালা থাকা দরকার। এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে আরও পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত দিনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে বাস্তবতা ছিল, সে জায়গা থেকে সংখ্যাগত এবং গুণগত দিক থেকে আমরা কতটুকু এগিয়েছি, কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে- এগুলোর তুলনামূলক বিষয়গুলো নিয়ে প্রকাশনা বের করতে হবে।
আরাফাত আরও বলেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেশের মানুষ এবং বিশ্ববাসীর কাছে আরও কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এখন প্রযুক্তি অনেক অগ্রসর হয়ে গেছে। মানুষের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে অধিদপ্তরের কাজে নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করতে হবে।
ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩ প্রয়োজনবোধে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র, জাদুঘর ও গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন তিনি।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগমসহ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের নজির সৃষ্টি হয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশের এক নম্বর ই-কমার্স ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেল দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ।
এর পাশাপাশি গত বছর সর্বোপরি দ্বাদশ জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলেও, এ বছর প্রতিষ্ঠানটি সকল ব্র্যান্ডের মাঝে সপ্তম সর্বপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে পুরস্কৃত হয়।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাওয়ে অনুষ্ঠিত ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’-এর ১৫ তম আসরে দারাজ এই স্বীকৃতি পায়।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম দেশের ব্র্যান্ডগুলোকে বাজারে তাদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এ বছর সারাদেশের ১০ হাজার ভোক্তাদের উপর চালানো এক জরিপ অনুসারে দেশের ১৫টি সেরা ব্র্যান্ডকে তাদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ও অবদানের জন্য স্বীকৃতি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে ই-কমার্সকে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ ১১.১১ সেল
সব গ্রাহক ও অংশীদারদের তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘গত ৯ বছর ধরে দারাজ অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে এমন একটি সেক্টরে যেখানে বিশ্বাস নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন উঠে। এর মাঝেই আমরা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছি যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদারদের জন্য সর্বোত্তম গুনমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের দৃঢ় মনোভাব। সেরাদের সেরার পুরস্কার পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে যুগান্তকারী উদ্ভাবন এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণার ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে।’
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) তালাত রহিম বলেন, ‘এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে সকলের জন্য বিনোদনমূলক করার লক্ষ্যে আরও নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে। এছাড়াও আগামীর দিনে ই-কমার্স শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতেও উদ্বুদ্ধ করে।’
২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৮ সাল থেকে সম্পূর্ণরূপে আলিবাবার মালিকানাধীনে, দারাজ গত নয় বছরে অসাধারণ ক্রয়াদেশ বৃদ্ধি অর্জন করেছে।
প্লাটফর্মটিতে বর্তমানে ১ দশমিক ৫ কোটিরও বেশি পণ্য রয়েছে যার মাঝ থেকে গ্রাহক তার পছন্দের জিনিসটি বেছে নিতে পারে। এছাড়াও তিন হাজারেরও বেশী রাইডার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ৬৪টি জেলায় ২ কোটির অধিক গ্রাহকের কাছে সময়মত ডেলিভারি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
আরও পড়ুন: স্যুট অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরার সম্মাননা পেলেন দারাজের সিসিএও-সিওও
দারাজের ১১.১১ সেল উৎসবে মেতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: অনলাইনে পাওয়া যাবে আ. লীগের মনোনয়ন ফরম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম অনলাইনে পাওয়া যাবে।
এ জন্য ‘স্মার্ট নমিনেশন অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে ক্ষমতাসীন দল।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর বা আইওএস অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড ও ইনস্টল করা যাবে।
এ ছাড়া, nomination.albd.org ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনেও মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনে ফর্ম পূরণ এবং জমা দেওয়ার জন্য, প্রথমে একজন মনোনয়নপ্রার্থীকে অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং নিবন্ধন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লগ ইন করার পর, নিয়মানুযায়ী ইলেকট্রনিকভাবে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে মনোনয়ন ফরম পূরণ ও জমা দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ
আ. লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ
অনলাইনে নারী হয়রানি রোধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান মানবাধিকার সংগঠনগুলোর
অনলাইনে নারী ও মেয়েদের প্রতি যৌন হয়রানি রোধে ব্যাপক সচেতনতার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকারভিত্তিক সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
আগামীকাল রবিবার আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালন জাতীয় কমিটি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, ইন্টারনেটে আপত্তিকর কনটেন্ট ফাঁস, চাঁদাবাজি, হ্যাকিং ও যৌন হয়রানির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মেয়ে ও নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। ইন্টারনেট নিরাপত্তা সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞানের অভাবে হয়রানির মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে অত্যন্ত সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে হস্তান্তর করা: শাহরিয়ার
বক্তারা নারী ও মেয়েদের টার্গেট করে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে আইনগত সহায়তার জন্য বিভিন্ন সরকারি হেল্প ডেস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালন জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান শামীমা আখতারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামান্না রহমান।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের ফেরদৌস আরা রুমি। জাতীয় কমিটির সদস্য করিম বক্স (সিরাজগঞ্জ), মঞ্জু আরা পারভীন (খুলনা), মো. এনামুল হক (জামলপুর), খন্দকার ফারুক আহমেদ (ময়মনসিংহ), সৈয়দা শামীমা সুলতানা (ঢাকা), মাহিন খান (মানিকগঞ্জ), মোস্তফা কামাল আকন্দ (আইআরডব্লিউডি-সচিবালয়) প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে হয়রানি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন তামান্না রহমান। বেসরকারি সংস্থা আইন ও শালিশ কেন্দ্রের (আসক) সাম্প্রতিক গবেষণায় উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান প্রকাশ পেয়েছে। এতে দেখা যায়, ৩৬ শতাংশেরও বেশি মেয়ে অনলাইনে পুরুষ বন্ধুদের কাছ থেকে যৌন হয়রানির শিকার হয়, ২৭ শতাংশ পরিচিত প্রাপ্তবয়স্ক বা আত্মীয়দের কাছ থেকে এবং ১৮ শতাংশ অজানা প্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে যৌন হয়রানির শিকার হয়।
একটি বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৫৮ শতাংশ নারী কোনো না কোনোভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় এবং অনেকে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভোগেন।
উপরন্তু, প্রতি তিনজন ভুক্তভোগী নারীর মধ্যে একজন নির্যাতনকারীর আইডিতে রিপোর্ট করেছেন। হয়রানির জন্য সবচেয়ে সাধারণ প্ল্যাটফর্ম হলো ফেসবুক। ৩৯ শতাংশ মেয়ে সেখানে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এ ছাড়া ২৩ শতাংশ ইনস্টাগ্রামে, ১৪ শতাংশ হোয়াটসঅ্যাপে ও ৯ শতাংশ এক্সে (পুরোনো টুইটারে)।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চর্চা করে যুক্তরাষ্ট্র একটি সমৃদ্ধ অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করেছে: হাস
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের এক গবেষণার ভিত্তিতে ২২টি দেশের ১৪ হাজার কিশোর-কিশোরী, তরুণী ও নারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
মঞ্জু আরা পারভীন বলেন, 'ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করার সময় আমাদের বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
সৈয়দা শামীমা সুলতানা বলেন, 'ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি কারো সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। আমাদেরও ছবি তোলার জন্য নির্জন জায়গায় যাওয়া এড়ানো উচিত।’
ফেরদৌস আরা রুমি বলেন, অনলাইন সহিংসতা ও সাইবার হয়রানির শিকারদের জন্য হেল্প ডেস্ক রয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, সাইবার পুলিশ সেন্টার, পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন, হ্যালো সিটি অ্যাপ, রিপোর্ট টু র্যাব অ্যাপ, ৯৯৯ এবং সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনা জানাতে পারবেন।
শামীমা আক্তার অনলাইনে হয়রানি রোধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন। ভুয়া আইডি, হয়রানিমূলক পোস্ট, অডিও, ভিডিও ও অনুরূপ কনটেন্টের বিরুদ্ধে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আয়োজকদের পক্ষে মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, দেশের ৫০টিরও বেশি জেলায় আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত হয়।
দিবসটি উপলেক্ষ শোভাযাত্রা, সেমিনার, কমিউনিটি ইভেন্ট, মেলা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়াসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি: গুতেরেস
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
নেশা বা পেশা যাই বলা হোক না কেন; ফটোগ্রাফি এখন আর চারপাশের প্রকৃতি ও মানুষকে ফ্রেমবন্দি করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল কন্টেন্টের অবতারণা দারুণভাবে প্রভাবিত করছে সৃজনশীলতাকে। ছবি তোলার পরেও অকৃত্রিম কন্টেন্টগুলোতে নৈপুণ্যের পরশ দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে নতুন ধরনের শিল্প। ফলে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও তৈরি হয়েছে নজরকাড়া এই শিল্পের বাজার। এভাবে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে দক্ষ ফটোগ্রাফারদের জন্য। আজকের নিবন্ধটি অনলাইনে ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন সেরা কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে। চলুন, ঘুরে আসা যাক ছবির ডিজিটাল বাজার থেকে।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার সেরা ৭টি প্ল্যাটফর্ম
অ্যাডোবি স্টক
বিখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাডোবির উচ্চ মানের গ্রাফিক পরিষেবা অ্যাডোবি স্টক। পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় ১৮ বছরের যে কোনো বাংলাদেশি সহজেই এই সাইট থেকে আয়ের চেষ্টা করতে পারবেন।
তাদের ওয়েবসাইটের কন্ট্রিবিউটর পাতায় গিয়ে ‘জয়েন নাউ’তে ক্লিক করে খুব সহজেই খুলে নেওয়া যাবে একটি অ্যাডোবি আইডি। নিবন্ধনের সময় অন্যান্য তথ্যগুলোর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ট্যাক্স ফর্ম পূরণ করতে হবে। এখানে বাংলাদেশিরা ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মের মাধ্যমে ট্যাক্স তথ্যাদি জমা দিবেন।
সাইন-আপ প্রক্রিয়া শেষ করার পর পরই আপলোড করা যাবে নিজের তোলা সেরা ছবিগুলো। অবশ্য ছবিগুলো কোনও স্বীকৃত ব্যক্তি বা অন্য কারও ব্যক্তিগত সম্পদের হলে, সেগুলোতে যে তার স্বত্ব আছে- এই মর্মে তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।
এই সাইট প্রতিটি স্টক ছবির জন্য ৩৩ শতাংশ রয়্যালটি দেয়। সাধারণত কন্ট্রিবিউটররা প্রতি ছবি বাবদ কমপক্ষে শূন্য দশমিক ৩৩ (৩৬ দশমিক ২৩ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ১২ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৩১৮ দশমিক ৪৬ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) পেয়ে থাকেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা হলে তারা অর্থপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
শাটারস্টক
উচ্চমানের ছবির জগতে সুপরিচিত একটি নাম শাটারস্টক। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যে কোনো ফটোগ্রাফি উৎসাহী যুক্ত হতে পারবেন এর বিশাল কম্যুনিটিতে। নিবন্ধনের জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে তাদের ওয়েবসাইটের সাবমিট পাতায়। এখানে নাম, ইমেল ও মেইলিং ঠিকানা দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই সাইন-আপ সম্পন্ন করা যাবে।
তারপর কয়েকটি ছবি জমা দিতে হবে। যেগুলো শাটারস্টকের নিজস্ব পর্যালোচকদের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। কন্ট্রিবিউটরকে খেয়াল রাখতে হবে, ছবির কপিরাইট যেন শুধুমাত্র তার নিজের হয়।
বাংলাদেশিদের অবশ্যই ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মে ট্যাক্সের তথ্য জমা দিতে হবে। সাইটটি পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় বাংলাদেশিরা সহজেই পেমেন্ট নিজেদের ব্যাংকে নিতে পারবেন।
শাটারস্টক থেকে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রয়্যালটি উপার্জন করা যায়। ধরা যাক, কোনো গ্রাহক ৩০টি ছবির জন্য ১১১ দশমিক ২০ মার্কিন ডলারের প্যাকেজটি কিনলেন। এখানে ১৫ শতাংশ রয়্যালটি পাওয়া কন্ট্রিবিউটররা তাদের প্রতি ছবির জন্য ৫৬ সেন্ট (৬১ দশমিক ৪৪ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) করে পাবেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ (বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা পড়লেই টাকাটা তোলার জন্য তারা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
দক্ষিণ এশিয়ার গ্রাহকদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এলো ‘আস্ক দারাজ’
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ, মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের সহায়তায় সম্প্রতি ‘আস্ক দারাজ’ শীর্ষক একটি এআই চ্যাটবট চালু করেছে।
দারাজ ব্যবহারকারীদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও পার্সোনালাইজড করে তুলতে এই ফিচারটি চালু করা হয়।
যার মাধ্যমে চ্যাটবটে কেনাকাটা বিষয়ক আলোচনা করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পণ্যের পরামর্শ পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।
বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে দারাজে ৩ কোটির বেশি ক্রেতা রয়েছে, যাদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করাই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য।
আস্ক দারাজ সার্ভিসটি প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য প্রদর্শন করবে যা নতুন দারাজ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কাছে সহজে পণ্য খুজে দিতে সাহায্য করবে। যার ফলে ব্র্যান্ড এবং বিক্রেতা উভয়েই উপকৃত হবে।
জি এস এম এ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ কোটিতে, যা নতুন গ্রাহকদের সংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষত বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে, এই নতুন মোবাইল গ্রাহকদের অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতার প্রসারে আরও অবদান রাখবে, কারণ এটি নন ই-কমার্স ব্যবহারকারীদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটাকে আরও সহজ করতে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড চালু করতে যাচ্ছে দারাজ-ভিসা
দারাজ গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিয়ার্কে মিকেলসেন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাণিজ্যিক শক্তি দিয়ে কমিউনিটিগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ‘আস্ক দারাজ’ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক কারণ আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই নতুন মার্কেট সেগমেন্ট চালু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি আমাদের মার্কেটগুলোতে ক্রমবর্ধমান স্মার্টফোন ব্যবহারের হার এবং আমাদের অ্যাপে মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের সাহায্যে তৈরি এই অত্যাধুনিক ফিচারের মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও চ্যাটবটের মাধ্যমে যত বেশি প্রোডাক্ট সার্চ করা হবে, ক্রমাগত এর প্রোডাক্ট সাজেশন তত বেশি প্রাসঙ্গিক ও পার্সোনালাইজড হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ই-কমার্স ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তনেও ভুমিকা রাখবে।’
মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ টেকনোলজি অফিসার ডায়োমেডিস কাস্তানিস বলেন, ‘মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার রিটেইল খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দারাজ-এর যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স খাতের অন্যতম নাম হিসেবে দারাজ তার ৩০ মিলিয়ন গ্রাহকের কাছে আরও বেশি পণ্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে তাদের একটি সন্তোষজনক অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত বলে মনে করি। এছাড়াও, ‘আস্ক দারাজ’ ফিচারটি নতুন গ্রাহকদের প্ল্যাটফর্মে আসতে উৎসাহিত করবে। এই পদক্ষেপ খুচরা বিক্রেতা এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নতুনত্ব আনতে সাহায্য করবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে গ্রাহকদের একটি পার্সোনালাইজড অনলাইন শপিং অভিজ্ঞতাও উপহার দিবে।’
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের কেনাকাটার সাশ্রয়ে শুরু হলো নতুন ক্যাম্পেইন ‘দারাজ এর চেরাগ’
ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
অনলাইন জালিয়াতি চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) সোমবার রাজধানীর ভাটারা ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অনলাইন প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- তৌহিদ মোল্লার ছেলে মো. তুর্জাউল হোসেন তুর্জো(২২), আব্দুল মোল্লার ছেলে জুলহাস হোসেন ওরফে শায়ন(৩০), মো. বখতিয়ার গাজীর ছেলে মো. মনির হোসেন(২৪), মো. কায়েস বিশ্বাসের ছেলে মো. রাজিব বিশ্বাস (২১), আবু জার বিশ্বাসের ছেলে মো. মাহফুজ বিশ্বাস ওরফে মাহফুজ(২৭) ও আব্দুল আল মুকিত কাওসার (২১)।
আরও পড়ুন: দলিল জালিয়াতির মামলায় জাপার আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
এটিইউ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসলাম খান (মিডিয়া ও সচেতনতা বিভাগ) বলেছেন, খবর পেয়ে এটিইউ -এর একটি দল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ভাটারা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, ১৮টি মোবাইল ফোন সেট এবং দুটি হার্ডডিস্ক উদ্ধার করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, অনলাইন প্রতারক চক্র ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঋণ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন
অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু বিমানের
অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু করল জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু করেছে। বিমানের যেসব যাত্রী অনলাইন (বিমান ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস)-এর মাধ্যমে টিকেট কিনবেন, তারা অনলাইনেই ভ্রমণতারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, যাত্রীরা টিকেট কেনার সময়ে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট কার্ডটি অথবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে বিমানের ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে তাদের ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।
বিমানের ওয়েবসাইটে www.biman-airlines.com বুক ফ্লাইট অপশনের মধ্যে ম্যানেজ মাই ট্রিপ অপশনে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার মাধ্যমে সহজেই ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে বিনামূল্যে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বিমান
এ বছর হজ ফ্লাইটে নিজস্ব বিমান ব্যবহার করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
২০২২ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ জার্সি অনলাইনে কোথায় পাবেন
গ্যালারিতে অথবা টিভি স্ক্রিনের সামনে বসে খেলা দেখার আনন্দটা যেন বহুগুণে বেড়ে যায়, যদি গায়ে থাকে প্রিয় দলের জার্সি। ফুটবল খেলা দেখার সঙ্গে জার্সি পড়াটা যেন রীতিমত প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। এবারের বিশ্বকাপ জ্বরে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি অনলাইনে কেনা যাবে। খেলা মাঠে গড়াবার আগেই তাই চলছে প্রিয় দলের জার্সি সংগ্রহের তোড়জোড়। চলুন, দেখে নেয়া যাক অনলাইনে কোথায় কোথায় বিক্রি হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ জার্সি।
অনলাইনে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি কেনার ১০টি সাইট
দারাজ
দেশের স্বনামধন্য এই ই-কমার্স সাইটটি এবারের বিশ্বকাপের প্রতিটি দলের জন্য অফিসিয়াল বিশ্বকাপ জার্সি বিক্রি করছে। সফ্ট প্রথম শ্রেণীর ফ্যাব্রিকগুলো থেকে শর্ট, মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল এবং ডাবল এক্সেলের যে কোনটি বাছাই করে নেয়ার সুযোগ তো আছেই। সেই সঙ্গে আছে পছন্দের জার্সিটি বাছাইয়ের মুহুর্তে ওয়েবসাইট থেকে ছবি ও বিস্তারিত যাচাই করার স্বাধীনতা। উচ্চ চাহিদার কারণে স্বভাবতই দ্রুত স্টক ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয় রয়েছে। দেশব্যপি কার্যক্রম থাকার কারণে দূরত্বের ভিত্তিতে পণ্য পেতে বিলম্ব হওয়ার ঝামেলা নেই। ডিলার ও আকারের উপর ভিত্তি করে জার্সির মূল্য মানে উল্লেখযোগ্য তারতম্য বিদ্যমান। ক্রেতাদেরকে ১০০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধের পরিকল্পনা রাখতে হবে।
ফেব্রিলাইফ
একজন ভক্ত হিসেবে প্রিয় দলটির সর্বোচ্চ মানের জার্সিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দ্বিধায় নির্ভর করা যায় ফেব্রিলাইফের ওপর। এরা রীতিমত পুরো ফুটবল কম্বো সরবরাহের ব্যবস্থা রেখেছে, যেখানে জার্সির সঙ্গে থাকছে বিভিন্ন কিট। তাই বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে ফুটবল ইভেন্টটিকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ধরে রাখতে চাইছেন যারা, তারা অনায়াসেই এই কিটগুলোর মালিকানা নিতে পারেন। বিশ্বকাপের পরের বছরেও কোন এক ভোরে বা সন্ধ্যায় এই জার্সি ও কিটগুলো শারীরিক অনুশীলনের সঙ্গী হতে পারবে। কাপড়ের গুণাগুণ নিয়ে কোন আপস নেই। শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই অন্যান্য কস্টিউমের মধ্যে এই জার্সিকেই সবার উপরে রাখা যায়। অর্থাৎ এ কথা অকুন্ঠচিত্তে স্বীকার করা যায় যে, ১২৯০ থেকে ১৩৯০ টাকার পণ্যগুলো বেশ ন্যায়সঙ্গত হবে।
ডেলিভারি হবে
মানসম্পন্ন জার্সি বিক্রির তালিকায় অল্প সময়েই নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই ইকমার্স সাইটটি। নকশার আসল-নকল নিয়ে চিন্তার কোন অবকাশ নেই। এদের সফ্ট পলিয়েস্টার ফ্যাব্রিকে এয়ার-কুলিং-এর হিট এ্যান্ড ড্রাই প্রযুক্তির স্পষ্ট প্রতিফলন পাওয়া যায়।
পছন্দ মত ডাবল এক্সেল থেকে শুরু করে শর্ট পর্যন্ত আকারগুলো ত্বকের ভিন্নতা উপেক্ষা করে ঠান্ডা ও আরামদায়ক অনুভূতির পরশ দিবে। ২৭ ইঞ্চি উচ্চতা এবং ১৮ ইঞ্চি প্রস্থ থেকে শুরু হওয়া ১০০ ভাগ পলিয়েস্টারে ১০০০ থেকে ১৪৫০ টাকা পর্যন্ত এর দামগুলো ন্যায্যতা পেয়েছে। তবে এখানে জার্সিগুলো কেবল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সের মত শীর্ষস্থানীয় দলগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকছে।
নেইম্যাট
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু করা এই শোরুমটি অনলাইনেও তাদের বিশাল এক গ্রাহক গ্রুপ তৈরি করে ফেলেছে। এবারের ফিফা কিটে এদের মিডিয়াম-থ্রি-এক্সেল বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পলিয়েস্টারের জার্সিগুলো অর্ডার করতে তাদের ফেসবুক বিজনেস পেজের ইনবক্স পর্যন্ত যাওয়াটাই যথেষ্ট। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতকৃত দেশগুলোর ভিন্ন ভিন্ন নকশা এমব্রয়ডারির মাধ্যমে সুচারুরূপে বসানো আছে জার্সিতে। ঘরে বসেই ট্রায়াল দেয়ার অনুভূতি পেতে ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকার জার্সির ভিডিও রিভিউগুলো সেরা হতে পারে। সেখানে পণ্যের আকারগুলো কাপড়েরর গুণাগুণ ও ব্যবহার সহ খুব পরিণত ভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। অন্যান্য জায়ান্ট ই-কমার্স সাইটগুলোর অভিজাত সারিতে শামিল হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বেশ আয়োজন করে এগিয়ে যাচ্ছে নেইম্যাট।
জার্সি.নেট.বিডি
হাজারো পণ্যের ভেতর থেকে পছন্দের জার্সি খুঁজে নেয়ার ঝামেলা এড়াতে হলে আসতে হবে জার্সি.নেট.বিডির কাছে। শুধুমাত্র জার্সিকে কেন্দ্র করেই পুরো এক নিবেদিত অনলাইন শপিং সাইট হিসেবে এটিকে তৈরি করা হয়েছে। আমদানিকৃত মালামালের অরিজিনালিটি স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে এগুলোর ১০০ ভাগ পলিয়েস্টারের কাজ দেখে। শর্ট, মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল এবং ডাবল এক্সেলের এর মত বাহারি আকারের জার্সি তো থাকছেই। পাশাপাশি এগুলোর উজ্জ্বলতা ক্রেতাদেরকে এদের নিপুণ কারুকাজের কথা জানান দেয়। ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার জার্সিগুলোকে মসৃণ ভাবে পরিষ্কারের জন্য ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অধিকাংশ জার্সিতেই শার্টের মত হাতা, কিন্তু এগুলোর কোনটিতেই মসৃণতা ঘাটতি নেই।
জার্সি শপ বিডি
ফুটবল ভক্তরা খেলোয়ারদের জার্সি পড়ার অনুভূতি উপভোগ করতে জার্সি শপ বিডির উপর ভরসা করতে পারেন। বাংলাদেশে থেকে যে জার্সিগুলো রপ্তানি করা হয়, এরা সেই প্লেয়ার সংস্করণগুলো এদের সাইটে তুলেছে। এই খাঁটি প্রিমিয়াম নেট ফ্যাব্রিক জার্সি পরিহিত অবস্থায় একজন খেলোয়ার হিসেবে অনুভূতি পাওয়াটা একদমি কৃত্রিম নয়। কেননা এই জার্সিটি পরেই কোন এক মিড ফিল্ডার মাঠে নামবে বিশ্বকাপের মঞ্চে। ৯৫০ থেকে ১০৯০ টাকার মধ্যে এই অনুভূতি পাওয়াটা একটি সেরা উপভোগ্য বিষয়। মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল, এবং ডাবল এক্সেলের প্রতিটিতে রয়েছে সূচিকর্মের লোগো। গায়ে ঠিকমত ফিট হচ্ছে কিনা অথবা হাতে পলিয়েস্টারের পরশ পেতে চাইলে চলে যেতে হবে এদের মোহাম্মদপুরের একমাত্র শোরুমটিতে। আর অনলাইনে অর্ডারের জন্য আছে এদের ফেসবুক পেজ।
শপ্জ্
দাম নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হলে শপ্জ্-এর চাইনিজ জার্সিগুলো সেরা হতে পারে। কেননা এরাই একমাত্র জার্সি দিচ্ছে মাত্র ৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এরা স্লিম-ফিট জার্সিগুলোকে কেন্দ্র করেই সাজিয়েছে এদের শপিং সাইটটি। হালকা ওজনের ও খাঁটি পণ্যগুলো সঠিক ভাবে যাচাই করে নিতে সরাসরি যোগাযোগ করে নেয়াটা উত্তম। এতে জার্সির আকারটি শরীরের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে কিনা তা বোঝার একটা সুযোগ পাওয়া যাবে। চূড়ান্ত অর্ডার অথবা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য সব সময়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে তাদের ফেসবুক পেজ।
দিয়ামু
এখানকার বেশিরভাগ জার্সি রেগুলার ফিট, রিবড ক্রুনেক এবং ১০০ ভাগ ডাবল নিট পলিয়েস্টারের। ছোট, মাঝারি, বড়, এক্সেল, এবং ডাবল এক্সেল আকার থাকায় জার্সি বাছাই নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। সাইটটি তেমন জনপ্রিয় নয়, তবে এর ৭৯০ টাকার খাঁটি জার্সি একটিবারের জন্য হলেও ভক্তদেরকে এই ই-কমার্স সাইটের দিকে ভ্রূক্ষেপ দিতে বাধ্য করবে। এর ২৭/১৬ ইঞ্চি অথবা ১৮/১৯ ইঞ্চি ক্যাটাগরিকে দেহের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করে সাবলিল ভাবেই জার্সি বাছাই করা যাবে। এর জন্য সরাসরি তাদের ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন আকারের তালিকা। প্রায় সবগুলো দেশের জার্সিই আছে দিয়ামুতে, তাই প্রিয় জার্সিটি না পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
অ্যাটায়ার গুরু
পলিয়েস্টারের জার্সি নিয়ে ফেসবুক ভিত্তিক আরো একটি জনপ্রিয় শপিং সাইট এই অ্যাটায়ার গুরু। বিশ্বকাপ মৌসুমকে ঘিরে তাদের কৌশল হলো একটি নির্দিষ্ট দাম পরিবেশন করে অগ্রসর হওয়া। তাদের ১০৯০ টাকার প্রিমিয়াম জার্সির গুণগত মান ফেসবুকের বর্তমান মার্কেটপ্লেসের যে কোন জার্সিকেই টেক্কা দেয়ার সক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশে এফ-কমার্স বা ফেসবুক ভিত্তিক ব্যবসার ব্যাপক প্রসারের দরুণ হাজার হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সারিতে নিজেদেরও শামিল করে নিয়েছে অ্যাটায়ার গুরু। মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল কিংবা ডাবল এক্সেল; যে কোনটিরই আসল ছবি দেখে অর্ডার করতে সরাসরি তাদের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে ম্যাসেজ দেয়া যেতে পারে।
বিবর্তন
চট্রগ্রামের বিবর্তন তাদের নামের মতই উন্নতি করছে টি-শার্ট বিপণনে। এবার তাদের ফিফা জার্সি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পালা। চট্রগ্রামের ভেতরে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার জার্সিগুলো পৌছে দিতে তারা কোন ফি নিচ্ছে না। তবে চট্রগ্রামের বাইরে হলে ১০০ টাকার বিনিময়ে পন্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিচ্ছে তারা। তাদের বিশেষত্ব হলো তাদের আমদানিকৃত আসল থাই প্রিমিয়াম জার্সি। প্রয়োজন মত আকার ও অন্যান্য বিবরণ সহ পছন্দ মত জার্সি অর্ডার করতে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে তাদের ফেসবুক পেজে।
আরো পড়ুন: ফিফা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম
শেষাংশ
এই সাইটগুলোর মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ঘরে বসেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে। পাশাপাশি এই ফুটবল মৌসুমে দারুণ সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে ডিজিটাল ব্যবসায়ীদের বিক্রি বৃদ্ধির। বড় বড় শপিং মলে ভীড়ের মধ্যে যেয়ে কেনাকাটা করার বিড়ম্বনা থাকছে না। অন্যদিকে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহের কারণে বিক্রির সংখ্যার আকাশ ছোঁয়ার দশা। সর্বসাকূল্যে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স সবকিছু ছাড়িয়ে এই বিশ্বমানের বিনোদনটি যেন খেলোয়ার আর দর্শকদের এক জার্সির বন্ধনে বাধতে চলেছে।
আইফোন ১৪ প্রো জেতার সুযোগ দিল ফুডপ্যান্ডা!
ফুড প্যান্ডা প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবারদের জন্য আইফোন ১৪ প্রে জেতার সুযোগ করে দিয়েছে। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ নামে আকর্ষণীয় একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে জনপ্রিয় অনলাইন ফুড অ্যান্ড গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়, এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবাররা আইফোন ১৪ প্রো জেতার সুযোগ পাবেন। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনটি ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। চলবে চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: উৎসবের মৌসুমে ফুডপ্যান্ডার করপোরেট ভাউচারে বিশেষ ছাড়
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্যান্ডাপ্রো নামের বিশেষ এই সাবস্ক্রিপশন সেবা ফুডপ্যান্ডা প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে এবং নিয়মিত ব্যবহারকারীরা উপভোগ করতে পারবেন বাড়তি সুবিধা। প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশনের ফলে গ্রাহকরা প্রত্যেক মাসে ১০টি ফ্রি ডেলিভারি, সব ধরণের পিকআপ অর্ডারে বাড়তি ৫ শতাংশ ছাড়, প্যান্ডামার্টে অর্ডারে প্রত্যেক মাসে ৩টি ভাউচার পাবেন।
এছাড়া শুধুমাত্র প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবাররা ডাইন-ইনের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। আর সর্বশেষ ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকরা পাচ্ছেন আইফোন ১৪ প্রো জেতার আকর্ষণীয় সুযোগ।
এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য গ্রাহককে প্রথমে ৪৯৯ টাকায় এক বছরের জন্য প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। এ বছরের অক্টোবরের ১৬ তারিখের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি অর্ডার করতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্ডারকারী সেই সপ্তাহের জন্য বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
ক্যাম্পেইন শেষে মোট চারজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং মানিষা সাফিয়া তারেক এ ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামের ফলে আমাদের সেরা গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। দৈনন্দিন প্রয়োজনে শুধু প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকদের জন্য বাড়তি অনেক সুবিধা থাকবে। আমাদের অ্যাপ ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে গ্রাহকদের জন্য প্যান্ডাপ্রো চালু করতে পারায় আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনটি দারুণ সব সুবিধা উপভোগের সুযোগের সঙ্গে একটি বড় আকর্ষণ।’
আরও পড়ুন: রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি