যুক্তরাষ্ট্র
চীনের আপত্তির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি সই
চীনের আপত্তির মধ্যেই বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে।
দুই দেশের সরকার জানায়, ২১ শতকের বাণিজ্যে মার্কিন-তাইওয়ানের উদ্যোগ শুল্ক, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য নিয়মনীতির উন্নতির মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পের কেন্দ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখে এমন বেসরকারি সংস্থার কর্মচারীরা এই চুক্তি সই করে। এ দুই দেশের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবে তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে।
ডেপুটি ইউএসটিআর সারাহ বিয়াঞ্চি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ককে শক্তিশালী ও গভীর করার উদ্দেশ্যে এই চুক্তি করা হয়েছে।’
চীন সরকার ওয়াশিংটনকে তাইওয়ান বিষয়ক চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং মার্কিন সরকারকে তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর তাইওয়ান ও চীন বিভক্ত হয়। দ্বীপটি কখনই গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অংশ ছিল না, তবে মূল ভূখণ্ডের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দাবি, প্রয়োজনে জোর করে চীনের সঙ্গে একত্রিত হতে বাধ্য।
চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সরকার দ্বীপের কাছে যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমান উড়িয়ে তাইওয়ানকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
আমেরিকান ও ইউরোপীয় রাজনীতিবিদরা তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য সফর করেছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তাইওয়ানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক বিনিময় বন্ধ করা উচিত’ এবং ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল সংকেত পাঠানো থেকে বিরত থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি
চীনের হুমকির মধ্যেই তাইওয়ান পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার
আইওআরএ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সামুদ্রিক প্রকল্পে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
জলবায়ু সংকট; একটি টেকসই নীল অর্থনীতির জন্য সমর্থন; বৈশ্বিক স্বাস্থ্য; যুক্তরাষ্ট্র ও আইওআরএ প্রধান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর অংশ হিসেবে একসঙ্গে যে অগ্রাধিকারগুলো মোকাবিলা করে তার মধ্যে সমুদ্র নিরাপত্তা অন্যতম।
মঙ্গলবার মরিশাসে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মহাসচিব সালমান আল ফারিসির সঙ্গে বৈঠক করেন স্টেট ফর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস-এর উপ-সচিব রিচার্ড ভার্মা।
উপ-সচিব ভার্মা যুক্তরাষ্ট্র ও আইওআরএ'র মধ্যে চলমান সম্পর্কের জন্য মহাসচিব আল ফারিসিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মূল্যবান অংশীদার হিসেবে আইওআরএ'র ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: আইওআরএ সম্মেলন: চলতি সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উপ-সচিব ভার্মা ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ এশীয় উপ-অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা ও আইন প্রয়োগের সক্ষমতা বাড়াতে আইওআরএ’র সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা এবং ভারতের সঙ্গে সমুদ্র নিরাপত্তায় সহযোগিতার জন্য ৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনাও কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করেছেন বলে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভার্মা ও আল ফারিসি সংস্থাটিকে মার্কিন প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং আরও অনুসন্ধান করতে সম্মত হয়েছেন।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলটি বিশ্বজুড়ে মানুষ ও অর্থনীতিকে সংযুক্ত করে। কারণ এই অঞ্চল ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল, যা বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।
হরমুজ প্রণালী থেকে মালাক্কা প্রণালী পর্যন্ত এর বিস্তৃত উপকূল রেখায় বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিপিং লেন রয়েছে।
বিশ্বের সামুদ্রিক তেলের চালানের ৮০ শতাংশই ভারত মহাসাগরের জলপথ অতিক্রম করে এবং এই অঞ্চলটিতে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যসম্পদ রয়েছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট অনুসারে, ২০২১ ও ২০২২ অর্থবছরে জলবায়ু পরিবর্তন, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওআর দেশগুলোকে সহায়তা করতে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করে ৮০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রশাসন।
শুধু ২০২২ অর্থবছরেই প্রশাসন কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা এবং আইওআর জুড়ে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উদ্বেগ মোকাবিলায় অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারসহ এই অঞ্চলজুড়ে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য কর্মসূচির জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি প্রদানের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই অঞ্চল জুড়ে আমাদের সম্পৃক্ততা আরও গভীর করব এবং এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় অংশীদারদের পাশাপাশি আমাদের কাজ বাড়িয়ে তুলব এবং আইওআর জুড়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও মানব সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়তা করব।’
আরও পড়ুন: সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সহায়তা করুন: আইওআরএ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রসারে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ‘সাহস ও নিষ্ঠার’ প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে,‘আজ আমরা সাহসী বাংলাদেশি এবং জাতিসংঘের প্রতিটি শান্তিরক্ষীকে সম্মান জানাই যারা সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। তাদের সাহস এবং নিষ্ঠা একটি পার্থক্য তৈরি করে।’
আন্তর্জাতিক ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস’ উপলক্ষে মার্কিন দূতাবাস এ মন্তব্য করেছে।
২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী।
১৯৪৮ সাল থেকে, ২০ লাখেরও বেশি ইউনিফর্মধারী এবং বেসামরিক কর্মী সারা বিশ্বে জাতিসংঘের ফিল্ড মিশনে কাজ করেছেন।
সোমবার পালিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের আন্তর্জাতিক দিবসে তাদের অবদান তুলে ধরা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জীবন উৎসর্গকারী ৫ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে জাতিসংঘের সম্মাননা
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে 'গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস' গঠন
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন গভীর অবসাদে নিমজ্জিত। তাই বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক বলে গণ্য হবে না, যা গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থী বলে বিএনপির প্রচারণা ভেস্তে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপির অগ্নিসংযোগ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের খুশি করতে লাখ লাখ ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে।
বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির আলোকে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নতুন নাটকের ষড়যন্ত্র করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে: তথ্যমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে।
দলের সকল কর্মকাণ্ড জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে সম্পৃক্ত করে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিক্রি করে বিএনপি যতই বিদেশি প্রভুর প্রতি অনুগ্রহ করবে ততই জনশত্রু হয়ে যাবে।
আ.লীগ নেতা বলেন, জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, এদেশের মানুষ তাদের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবে না, কারণ বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ; যিনি উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।’
আরও পড়ুন: আ.লীগকে বিদেশিদের কাছে আগ্রাসী হিসেবে তুলে ধরতে চায় বিএনপি: কাদের
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
কয়েকটি বিরোধী দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি এমন এক সময়ে বর্তমান সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছে,যখন তারা আরেকটি অগ্রহণযোগ্য উচ্ছ্বাস পোষণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে।
রবিবার রাজধানীর মালিবাগে রোডমার্চ কর্মসূচির আগে তারা আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ সাল থেকে জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি শুধু এই সরকারের কারণেই দেশের মানুষের মুখে চুন ঢেকে দিয়েছে।
জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই ভিসা নীতি সরকারের নীতিনির্ধারকদের হৃদয়কে নাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি 'প্রহসনমূলক' নির্বাচন করতে চায়।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, 'আওয়ামী লীগের নেতারা এখন বুকে দুঃখ-বেদনা নিয়ে হাসছেন এবং বলছেন,এই ভিসা নীতি বিরোধীদের জন্য। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভরাডুবির সম্মুখীন হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১৪ দফা দাবিতে মালিবাগ রেলগেট থেকে বাড্ডা অভিমুখে পদযাত্রা করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
নেতারা আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ৭ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, কারণ তারা উপলব্ধি করতে পারে যে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ভোট জালিয়াতির চেষ্টা করছে। 'বিশ্বের কোনো দেশই এখন এই সরকারকে বিশ্বাস করে না'
তারা বলেন, ১৪ দফা দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আগামী ৪ থেকে ৭ জুন ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে রোডমার্চ করবে জোট। আগামী ৪ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই রোড মার্চ শুরু হবে। ঈদুল আজহার আগে আন্দোলনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা ধারাবাহিকভাবে আরও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। 'আমি বিশ্বাস করি আমরা বিজয়ী হব'
মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের কারচুপির চেষ্টা ব্যর্থ করতে গোপনে কাজ চলছে।
মান্না বলেন, ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, প্রতারণা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। আপনাদের (সরকারকে) এখনই যেতে হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে বিরোধী দলগুলো বিপাকে পড়েছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের করা মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে। দেশের জনগণকে বোকা মনে করে তারা এ ধরনের মন্তব্য করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
মোমেন বলেন, ‘ভিসা (যুক্তরাষ্ট্রের) কারা নেয়? কিছু ধনী ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তারা। যারা আমার পলিটিক্যাল এজেন্ট, যারা নির্বাচনে কাজ করবে, তারা ভিসা চাইতে আসে না। তাহলে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ কী?’
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনীতিবিদ, বড় ব্যবসায়ী বা সুশীল সমাজের নেতা যাদের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করে, তারা সেখানকার ভিসা নেয়।
যারা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তাদের কথা উল্লেখ করে মোমেন আশা প্রকাশ করেন, নতুন ভিসা নীতির কারণে মানি লন্ডারিং কমে আসবে।
মোমেন বলেন, যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের আশ্রয় নেয়, তাদের নেতাদের সতর্ক হওয়া দরকার। আপনারা জানেন এই কাজগুলো কারা করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাইব, এই ভিসা নীতির আওতায় জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হোক। যারা একবার জ্বলেছে এবং জীবিত আছে তাদের চেহারা দেখলে বড় দুঃখ পাবেন। আমরা আর জ্বালাও পোড়াও চাই না।’
ড. মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় পূজারি।
বাংলাদেশ আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি যথেচ্ছভাবে প্রয়োগ করা হবে না।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাক্টের অধীনে তথাকথিত থ্রিসি বিধান অনুযায়ী ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতিসম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার আমলে নিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে সকল পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণাকে দেখতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পরিচালনার জন্য কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সত্তার কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ড বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিবৃতি অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারিতে থাকবে।
সরকার আশা করে যে স্থানীয় অগণতান্ত্রিক শক্তি যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা সতর্ক থাকবে এবং সংবিধানের নির্দেশিত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কঠিন ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশের উন্নয়ন অর্জনকে সমুন্নত রাখা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহত অঙ্গীকারের পাশে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় সমর্থনকে বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কাতার সফর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের দৃশ্যমান উপস্থিতির চিহ্ন বহন করে: মোমেন
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি যথেচ্ছভাবে প্রয়োগের পরিবর্তে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে অনুসরণ করা হবে: বাংলাদেশের প্রত্যাশা
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ আশা করে যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি যথেচ্ছভাবে প্রয়োগের পরিবর্তে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে অনুসরণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমের সামনে তিনি বিবৃতিটি পাঠ করেন।
ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাক্টের অধীনে তথাকথিত থ্রিসি বিধান অনুযায়ী ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার আমলে নিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে সকল পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণাকে দেখতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পরিচালনার জন্য কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সত্তার কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ড বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: নতুন ভিসা নীতি শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য: রাষ্ট্রদূত হাস
বিবৃতি অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারিতে থাকবে।
সরকার আশা করে যে স্থানীয় অগণতান্ত্রিক শক্তি যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা সতর্ক থাকবে এবং সংবিধানের নির্দেশিত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কঠিন ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশের উন্নয়ন অর্জনকে সমুন্নত রাখা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহত অঙ্গীকারের পাশে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় সমর্থনকে বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষিত ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
এই ঘোষণার মাধ্যমে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে যেসব দল সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা সতর্ক থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চাই না। আমি আশা করি এই কাজগুলো কমবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তারা কোনো বাড়তি চাপের মধ্যে নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক চমৎকার।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কাতার সফর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের দৃশ্যমান উপস্থিতির চিহ্ন বহন করে: মোমেন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান এবং এই নীতি তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
আওয়ামী লীগ সব সময় ভোটারদের বিশ্বাস করে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন-এর কাছ থেকে আসা বিষয়টিকে তারা খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছেন।
চিঠিটি উদ্ধৃত করে মোমেন বলেন, এই নীতি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার প্রতিশ্রুতি সমর্থন করে।
তিনি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন, যা ভোটারদের পাশাপাশি পোলিং কর্মকর্তা এবং এজেন্টদের মধ্যে আস্থা স্থাপনের আদর্শ তৈরি করেছে।
মোমেন আরও বলেন, একটি শক্তিশালী জাতীয় নির্বাচন কমিশন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘খুব অদ্ভুত, কোনো রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়নি’: আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে দাবি করা প্রতিবেদন সম্পর্কে মোমেন
বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের ওপর কোনো নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে না, তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে উৎসাহিত করতে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা দেন- ‘এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে।’
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর ঘোষণা অনুযায়ী, এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা বা কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘খুব অদ্ভুত, কোনো রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়নি’: আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে দাবি করা প্রতিবেদন সম্পর্কে মোমেন
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হবার স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।’
তিনি আরও বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমসহ সকলের।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন: যারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছুই কিনবে না: প্রধানমন্ত্রী
মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যত মহামারি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর যে-কোনো ধরনের অংশীদারিত্বমূলক বোঝাপড়ায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
বুধবার চলমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের সাইড লাইনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি, গ্লোবাল কোভ্যাক্স ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদানসহ ভ্যাক্সিন পরিবহন, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারি হ্যাভিয়ার বে’চারা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এর মত মহামারি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতামূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন।
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ন্যায্যতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অধিকতর উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সকলের জন্য কল্যাণকর যে-কোনো ধরনের অংশীদারিত্বমূলক বোঝাপড়ায় ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, তারা স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা এবং মহামারি অতি দ্রুততার সঙ্গে মোকাবিলায় জেনেটিক ইনফরমেশন শেয়ারিং, ভ্যাক্সিন শেয়ারিং এবং মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থা উদ্ভাবন করে তা সারাবিশ্বে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় এ ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তি/সমঝোতা ফলপ্রসূ হতে পারে মর্মে একমত পোষণ করেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী একইদিনে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাদা করে আরেকটি বৈঠকে মিলিত হন।
জানা গেছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে সেক্রেটারির পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, ইউএসএইড, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর উচ্চ বিষয়ক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এর পাশাপাশি জেনেভাস্থ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে: জাপানে সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানুষকে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী