যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বিমানবাহিনী প্রধানের ঢাকা ত্যাগ
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান মার্কিন বিমান বাহিনীর প্রধান জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন জুনিয়রের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
সফরকালে এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান মার্কিন বিমানবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: ‘ভুল’ করে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
জেনারেল চার্লস ব্রাউন ও এয়ার চিফ মার্শাল আব্দুল হান্নান পেন্টাগনে পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
এয়ার চিফ মার্শাল আব্দুল হান্নানের সফর বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়াও, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন বিমান বাহিনী আয়োজিত আন্তর্জাতিক বিমান বাহিনী প্রধান সম্মেলনে যোগ দেবেন। এতে যোগ দেবেন প্রায় ৫০টি দেশের বিমানবাহিনীর প্রধান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
পরে, এয়ার চিফ মার্শাল আবদুল হান্নান মার্কিন বিমান বাহিনীর ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি এয়ার শোতে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের যাত্রা শুরু
ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী বিক্রান্তের আজ যাত্রা শুরু
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ছাড়াল
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ১৪ হাজার ৫৮১ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৫ লাখ ২০ হাজার ৫০৬ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৭২ লাখ ৭০৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৩ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৫ লাখ চার হাজার ৯৪৯ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ১৮৫ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৩৭ লাখ ছাড়াল
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ৪৩৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৩৫ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৩ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৩০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ২৬৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যুশূন্য,শনাক্ত ৪২১
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৪২ লাখ ছাড়াল
করোনা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার বাংলাদেশের করোনা ব্যবস্থাপনা ও টিকাদান কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, এটি একটি ‘উল্লেখযোগ্য দক্ষতা’ এবং ‘সত্যিই আশ্চর্যজনক’।
তিনি বলেন, মহামারির ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ‘গ্লোবাল কোভিড অ্যাকশন প্ল্যান’-এ বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে চায়।
হাস বলেন, ‘জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আওতার বাইরে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ে এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ স্পষ্টতই যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে। এটা সত্যিই বিস্ময়কর এবং অসাধারণ দক্ষতা’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে তৈরি ‘সবচেয়ে বড়’ কন্টেইনার জাহাজ যুক্তরাজ্যে রপ্তানি: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের রূপান্তরের প্রশংসা করে হাস বলেন, এটা সত্যিই উৎসাহজনক।
এ প্রসঙ্গে হাস আরও উল্লেখ করেন যে, হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আরও উন্নত হতে থাকবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সাফল্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দল এবং সহযোগী সংগঠনগুলো শুরু থেকেই চব্বিশ ঘণ্টা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। সে সময়ে তারা সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে,
রোগীদের সেবা করেছে এবং ওষুধ ও অক্সিজেন বিতরণ করেছে।
তিনি বলেন, যখন ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে, তার সরকার জনগণকে বিনামূল্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ দিয়েছে। এখন সরকার শিশুদের টিকা দিচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ টিকাদান প্রকল্প পরিচালনার জন্য অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন তিনি, যা সত্যিই ভাল কাজ করেছে।
সে সময় তিনি নিজেই সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে জানান শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এবং তাকে প্রধানমন্ত্রীর এই কৃতজ্ঞতা পৌঁছানোর অনুরোধ জানান।
কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা পূর্ণ সামর্থ্য নিয়ে জনগণের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাপানের অর্থায়নে ৮১ হাজার পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর
এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের বিষয়ে তিনি বলেন, তার সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘কোভিড-১৯ এর বিপর্যয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাংলাদেশ উন্নতি অব্যাহত রাখবে।’
এ লক্ষ্যে, প্রধানমন্ত্রী তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে সমাজের প্রান্তিক মানুষের জন্য তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করছে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে: বিশেষজ্ঞরা
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখছেন, চীনা পোশাক শিল্পের শেয়ার কমে যাওয়ায় ইউরোপ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সম্ভাব্য বাজার তৈরি।
২০৩০ সালে বিশ্বব্যাপী পোশাক শিল্প বাজারের আকার হবে প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এই সময়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা বৈশ্বিক বাজারের অন্তত ১০ শতাংশ বা ১০ হাজার কোটি ডলার পাওয়ার আশা করছেন।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পোশাক শিল্প বাজারের আকার প্রায় ৫৬ হাজার কোটি ডলারের। যেখানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি অংশ হচ্ছে চার হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের জুনের হিসাবে ৩৬ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে একটি ভালো সূচনা দেখা যাচ্ছে। জুলাই থেকে আগস্টের আয় ৭১১ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক ইউএনবিকে জানিয়েছেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের জন্য সম্ভাব্য ক্রমবর্ধমান বাজার।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের দুই হাজার ডলারের অতিরিক্ত রপ্তানি সম্ভাবনা রয়েছে। আবদুর রাজ্জাক তথ্যটি উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে এই বাজারে দেশটি তার রপ্তানি সম্ভাবনার ৬০ শতাংশেরও কম ব্যবহার করতে পারে।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপম্যান্টেরও চেয়ারম্যান রাজ্জাক জানিয়েছেন, ১০ হাজার ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দেশটিকে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বার্ষিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
তিনি তার মতামত দিয়েছেন- পশ্চিমা ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে পশ্চিমা দেশের বাজারে যেহেতু চীনা পোশাক রপ্তানির শেয়ার হ্রাস পাচ্ছে, তাই বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্য রপ্তানি বাড়াতে এ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে।
তিনি বলেন, চীন কম মূল্য সংযোজিত পোশাক থেকে সরে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
রাজ্জাক পরামর্শ দেন, ইইউ পোশাক বাজারের আকার ২০ হাজার কোটি ডলার, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার কোটি ডলার। চীনের বাজার প্রায় এক হাজার ১০০ ডলার, এদিকে ভারতের বাজার ১১০ কোটি ডলার। তাই বাংলাদেশকে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এর রপ্তানি অংশ যথাক্রমে ১২ ও ১৫ শতাংশ বাড়াতে হবে।
২০৩০ সালে ইইউ বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি অংশ হবে ছয় হাজার ৫০০ কোটি ডলার এবং যুক্তরাষ্টের বাজারে সংখ্যাটি দাঁড়াবে দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলারে। যা করোনা মহামারি সত্ত্বেও দেশের স্থিতিস্থাপকতার বিবেচনায় অর্জনযোগ্য দিক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের স্থিতিস্থাপকতার কারণে দেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মেয়াদে ইইউয়ের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। যা উক্ত বাজারে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখায়।
ডা. রাজ্জাক অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ১০ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা মসৃণ পথের হবে না। লজিস্টিক সুবিধা, বন্দর পরিচালনার ক্ষমতা ও দক্ষ শ্রম, পরিবেশ এবং শ্রমিক অধিকার উল্লেখযোগ্য বিবেচ্য দিক হতে পারে।
আগামী বছরগুলোতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে অবশ্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি সজ্জিত দক্ষ শ্রম এবং শ্রমিকদের মজুরি সন্তুষ্টির ওপর জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষিকে আরও উন্নত করতে চাই: কৃষিমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার একুশ বছরপূর্তি পালিত হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ৯/১১ -এর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ২১ বছরপূর্তিতে নিহতদের স্মরণে ও স্বেচ্ছাসেবীদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে নীরবতা পালন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে (টুইন টাওয়ার) হামলা করেছিল আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা। এ হামলায় হতাহতদের স্বজনের ও শুভাকাঙক্ষীরা রবিবার পেনিনসিলভানিয়ার পেন্টাগন মাঠে এই আয়োজন করে।
দেশের অন্যান্য স্থানেও দিনটি স্মরণে মোববাতি প্রজ্বলন, ধর্মীয় আচার ও স্মৃতিচারণ করা হয়। দেশপ্রেম দিবস, জাতীয় সেবা ও স্মরণ দিবস হিসেবে অন্য আমরিকানরা স্বেচ্ছাসেবী এই কর্মসূচিতে যোগ দেবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে সফরসঙ্গী দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত বছর ভয়াবহ এ হামলার ২০তম বার্ষিকী পালন করা হয়। ভয়াবহ সেই হামলায় কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’ মার্কিন যুদ্ধকে উদ্বুদ্ধ করেছিল এবং দেশটি তার জাতীয় নিরাপত্তা নীতি পুনরায় নির্ধারণ করে। এই ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।কেননা টুইন টাওয়া ছিল আমেরিকানদের জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক।
এ হামলার জেরে বছরের পর বছর ধরে মুসলিমদের প্রতি আমেরিকানদের সন্দেহ করার মানসিকতা এবং নিরাপত্তা ও নাগরিক স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে বিতর্কের জন্ম হয়। আমেরিকান রাজনীতি ও জীবনাচারের মধ্য দিয়ে আজ অবধি সূক্ষ্ম ও জটিল উপায়ে ৯/১১-এর পরের ঘটনা বিতর্কের সৃষ্টি করছে।
এ হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া কয়েক হাজার মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এছাড়া এ হামলায় প্রিয়জন,বন্ধু ও সহকর্মীদের হারানোদের জীবনে একটি বিরাট প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
টুইন টাওয়ারের উত্তর টাওয়ারের ওপরে অবস্থিত রেস্তোরাঁটি উইন্ডোজ অন দ্য ওয়ার্ল্ডে সেকো সিবির ৭০ জনেরও বেশি সহকর্মী মারা গেছেন। সিবির সেদিন সকালের শিফটে কাজ করার কথা ছিল। সিবি আর কোনদিন রেস্টুরেন্টের চাকরি নেয়নি; কেননা এতে তার অনেক বেদনাদায়ক স্মৃতি মনে পড়বে।
বর্তমানে রক ইউনাইটেডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিবি বলেছেন, ‘৯/১১ এর প্রত্যেকটি দিন আমাকে মনে করিয়ে দেয় আমি কি হারিয়েছি, যা কখনই আর ফিরে পাবো না।’
রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেন্টাগনে বক্তব্য ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন এবং ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন পেনসিলভানিয়ার শ্যাঙ্কসভিলে বক্তব্য দেয়ার কথা আছে। যেখানে বিমানের যাত্রী ও ক্রুরা ককপিটে বাধা দেয়ার চেষ্টার পরে ছিনতাইকারীরা হাইজ্যাক করা বিমানগুলোর একটি নিয়ে ওয়াশিংটনের দিকে রওনা হয়।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও তার স্বামী ডগ এমহফ নিউইয়র্কে ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় স্মৃতিসৌধে উপস্থিত থাকবেন। তবে ঐতিহ্য অনুসারে গ্রাউন্ড জিরো অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বক্তৃতা করবেন না। এটি ক্ষতিগ্রস্তদের আত্মীয়দের জন্য মৃতদের নাম উচ্চস্বরে পড়ার স্থান।
আরও পড়ুন:৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার স্মরণে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে পতাকা অর্ধনমিত
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার জন্য লন্ডনে তার অবস্থানের সময়সীমা একদিন বাড়ানো হতে পারে বলে রবিবার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রানির মরদেহ রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানোর জন্য ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে নেয়া হবে। ওইদিন যুক্তরাজ্যে সকল ব্যাংক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার সেন্ট্রাল লন্ডনের মধ্য দিয়ে কফিনটি ওয়েস্টমিনস্টার হলে নেয়া হবে। পরবর্তী চারদিন সেখানেই থাকবে কফিনটি।
সূত্রটি ইউএনবিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেয়ার পর তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হতে পারেন।
বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে রানি মারা যাওয়ার পর বিভিন্ন বিশ্ব নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তি রানির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
তারা রানির গভীর কর্তব্যবোধ, দৃঢ়তা, রসবোধ ও দয়ালু হৃদয়ের কথা স্মরণ করেছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়ার পর ওয়াশিংটন ডিসি সফর শেষে আগামী ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন,পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন লন্ডন, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন সফরে তার সঙ্গে থাকবেন।
তিনি জানান, ‘স্বাস্থ্যগত কারণ’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রীয় ভারত সফরে (৫-৮ সেপ্টেম্বর) তার সফরসঙ্গী দলের অংশ ছিলেন না।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা রয়েছে।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ‘একটি অশ্রুসিক্ত মুহূর্ত: ইন্টারলকিং চ্যালেঞ্জের রূপান্তরমূলক সমাধান’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন।
কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেনের যুদ্ধ, অনাকাঙ্খিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট মানবিক চ্যালেঞ্জ, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বিভিন্ন হুমকির বিষয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগসহ বিভিন্ন জটিল ও আন্তঃসংযুক্ত সংকটের স্বীকৃতিস্বরূপ এই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ।
২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এই বিশাল বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সমাধান অনুসন্ধান করবেন।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা চলতি বছরের সাধারণ বিতর্ক সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তি পর্যায়ে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে সফরসঙ্গী দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
রপ্তানির সঙ্গে সম্পৃক্ত কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন(বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি ও বিদ্যুতের সংকট এবং দেশে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রভাব পড়ার কথা স্বীকার করে এই অনুরোধ জানান।
শনিবার বিজিএমইএ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখার সময় এ অনুরোধ জানান তিনি।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম(অর্থ) এবং সংগঠনটির পরিচালকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন(বিজিএমইএ)এর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১২-১৮ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ আয়োজন করা হবে। যাতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চিত্তাকর্ষক গল্পসমূহ ও উৎকর্ষ সাধনের ক্রমাগত প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ -এর উদ্বোধন করবেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই শিল্প ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত এক বছর নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে ধীরে ধীরে আমাদের কাজের আদেশগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে,’ উল্লেখ করে বিজিএমইএ প্রধান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান বাজারগুলোতে সম্ভাব্য মন্দা ও মূল্যস্ফীতির কারণে আগামী বছরের কার্যাদেশ ২০-৩০ শতাংশ কমে এসেছে।
ফারুক হাসান বলেন, অনেক খুচরা বিক্রেতা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে এবং অনেক ব্রান্ডের পণ্যের বিক্রির হার কমে যাওয়ার ফলে অবিক্রিত পণ্যের মজুদ বেড়েছে।
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনায় সামনের মাসে আমাদের রপ্তানির ধারাবাহিকতায় নেতিবাচকতা দেখা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি মুনাফার ওপর ১ শতাংশ উৎস কর আরোপ করেছে সরকার। বিজিএমইএ প্রধান সরকারকে বিগত বছরের মতো (০.৫ শতাংশ) রাখার অনুরোধ জানান।
সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনের এই আয়োজনে মেলা, প্রদর্শনী, পুরস্কার, কারখানা ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কিংসহ শারীরিক ইভেন্ট উপস্থাপন করা হবে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এটি একটি সাংকেতিক ঘটনা। বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পোশাক রপ্তানি করে দেশটি।
মেড ইন বাংলাদেশ উইক’-এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা ও সহযোগিতা শুরু করতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সকল মালিকদের একত্রিত করা।
এছাড়াও, টেকসই এবং দায়িত্বশীল ব্যবসা সম্প্রসারণে সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির জন্য আয়োজনটি কাজ করবে।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, দেশের পোশাক শিল্পের প্রশস্ততা প্রদর্শনের পাশাপাশি, এই সপ্তাহের লক্ষ্য ভবিষ্যতের অগ্রাধিকার এবং অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার
সুযোগগুলো চিহ্নিত করা। যাতে বিশ্বব্যাপী পোশাকের সোর্সিংয়ের জন্য একটি পছন্দের গন্তব্য হিসাবে বাংলাদেশ থাকে, তা নিশ্চিত করা।
এতে বলা হয়েছে, মেড ইন বাংলাদেশ উইক হবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক ঘটনা।
বৈশ্বিক ফ্যাশন বাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতি জোরদার করার গুরুত্ব এবং টেকসই উৎপাদন ও সোর্সিংয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার সূচনার জন্য, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ বাংলাদেশে ৩৭তম বিশ্ব ফ্যাশন কনভেনশনের আয়োজন করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন ফোরামকে(আইএএফ) সুপারিশ করেছে।
আইএএফ সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে এবং ৩৭তম বিশ্ব ফ্যাশন সম্মেলন বাংলাদেশে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ -এর সহযোগিতায় ২০২২ সালের ১২-১৫ নভেম্বর -এর মধ্যে ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে সফরসঙ্গী দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন লন্ডন, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার সফরসঙ্গী দলে থাকবেন।
তিনি জানান, ‘স্বাস্থ্যগত কারণ’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রীয় ভারত সফরে (৫-৮ সেপ্টেম্বর) তার সফরসঙ্গী দলের অংশ ছিলেন না।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা রয়েছে।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ‘একটি অশ্রুসিক্ত মুহূর্ত: ইন্টারলকিং চ্যালেঞ্জের রূপান্তরমূলক সমাধান’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন।
আরও পড়ুন: আকবর আলী খানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেনের যুদ্ধ, অনাকাঙ্খিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট মানবিক চ্যালেঞ্জ, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বিভিন্ন হুমকির বিষয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগসহ বিভিন্ন জটিল ও আন্তঃসংযুক্ত সংকটের স্বীকৃতিস্বরূপ এই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ।
২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এই বিশাল বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সমাধান অনুসন্ধান করবেন।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা চলতি বছরের সাধারণ বিতর্ক সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তি পর্যায়ে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, সে এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর: ওবায়দুল কাদের
আর্থিক স্বচ্ছতা: বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, তবে এখনও শর্ত পূরণ হয়নি
বাংলাদেশ সরকার আর্থিক স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তবে ন্যূনতম মানদণ্ডে পৌঁছাতেও এখনও ঘাটতি রয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেশের রাজস্ব খাতের স্বচ্ছতা নিয়ে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
২০২২ ফিসকাল ট্রান্সপারেন্সি শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার কীভাবে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে সংগৃহীত কর রাজস্ব খাতে ব্যয় করে আর্থিক স্বচ্ছতার প্রতিবেদন নাগরিকদের তা জানায় এবং এটি কার্যকর সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
আর্থিক স্বচ্ছতার প্রতিবেদন নাগরিকদের সরকারি বাজেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেয় এবং এর মাধ্যমে নাগরিকরা (কর দানকারী) সরকারের কাছে জবাবদিহিতা চাইতে পারে। যার ফলে বাজারের আস্থা ও স্থায়িত্বকে জোরালো হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার এখনও ন্যূনতম শর্ত পূরণ করেনি। তবে আর্থিক স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
২০০৮ সাল থেকে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট বিদেশে দেশটির সহায়তাপ্রাপ্ত সরকারগুলোর রাজস্বখাতে আর্থিক স্বচ্ছতার মূল্যায়ন পরিচালনা করে আসছে।
আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদন ১৪১টি সরকারের (ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ) আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম শর্ত পূরণের প্রচেষ্টা, যে সরকারগুলো ন্যূনতম শর্ত পূরণ করেনি সেগুলোর মূল্যায়ন এবং যে সরকারগুলো আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করেনি তারা শর্ত পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে কি না তা পর্যালোচনা করে।
আরও পড়ুন: আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কাজ করুন, সিএজিকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের আর্থিক স্বচ্ছতা যেভাবে উন্নত করা যেতে পারে:
- আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী বাজেট নথি প্রস্তুত করা।
- নিশ্চিত করতে হবে যে সর্বোচ্চ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করার আন্তর্জাতিক মান পূরণ করছে এবং তাদের পর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে।
- যথাসময়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা, যাতে সারগর্ভ ফলাফল, সুপারিশ ও বর্ণনা থাকবে।
- প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ পুরস্কার সম্পর্কে মৌলিক তথ্য ধারাবাহিক ও সর্বজনীনভাবে উপস্থাপন করা।
- পর্যালোচনা মেয়াদে সরকার একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করে তার বছরের শেষের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
- এটি তার নির্বাহী বাজেট প্রস্তাবও তৈরি করেছে এবং অনলাইনসহ জনসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে ও সুলভ বাজেট প্রণয়ন করেছে।
ঋণ বাধ্যবাধকতা তথ্য সর্বজনীনভাবে উপস্থাপিত ছিল।
বাজেট নথিগুলো প্রাকৃতিক সম্পদের রাজস্বসহ সরকারের পরিকল্পিত ব্যয় এবং রাজস্ব প্রবাহগুলো একটি যুক্তিসঙ্গতভাবে সম্পূর্ণ রূপ দেয়।
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগে আর্থিক বরাদ্দ ও উপার্জনগুলো সর্বজনীনভাবে উপস্থাপিত বাজেট নথিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বাজেটে তথ্য সাধারণত নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচিত হত, যদিও বাজেট নথি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়নি।
সরকারের সর্বোচ্চ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি হিসাব পর্যালোচনা করেছে। কিন্তু এর রিপোর্টগুলিতে সারগর্ভ ফলাফল ছিল না এবং একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ করা হয়নি।
সর্বোচ্চ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেনি।
সরকার আইন বা প্রবিধান নির্দিষ্ট করেছে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ চুক্তি ও লাইসেন্স প্রদানের জন্য মানদণ্ড ও পদ্ধতিগুলো বাস্তবে অনুসরণ করতে দেখা গেছে।
প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ পুরস্কারের মৌলিক তথ্য জনসাধারণের জন্য ধারাবাহিকভাবে উপলব্ধ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন বাণিজ্যে স্বচ্ছতার আহ্বান বাংলাদেশের
যুক্তরাষ্ট্রে এইচআইভি আক্রান্ত পুরুষদের মাঙ্কিপক্স টিকা দেয়া হতে পারে
মার্কিন কর্মকর্তারা এইচআইভি আক্রান্ত অনেক পুরুষ বা যারা সম্প্রতি অন্যান্য যৌন রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে মাঙ্কিপক্সের টিকা নেয়ার সুপারিশের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও অধিকহারে অন্যান্য যৌন সংক্রমণে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ঘটছে।
দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. জন টি. ব্রুকস মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব প্রতিক্রিয়ায় এই সমীক্ষাটিকে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে দেখছেন।
ব্রুকস বৃহস্পতিবার এপিকে বলেন, তিনি ভ্যাকসিনের সুপারিশগুলোর পরিধি বাড়ানো হবে বলে আশা করেছিলেন এবং হোয়াইট হাউস সিডিসি’র সঙ্গে একত্রে এটির বিষয়ে একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
বর্তমানে সিডিসি এমন ব্যক্তিদের টিকা দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে যাদের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে, যাদের যৌন সঙ্গী গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে এবং সমকামী বা উভকামী পুরুষ; যাদের ভাইরাস সংক্রমিত এলাকায় গত দুই সপ্তাহে একাধিক যৌন সঙ্গী ছিল।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদেরও টিকা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের শেষের দিকে চারটি রাজ্য ও চারটি শহরে প্রায় দুই হাজার মাঙ্কিপক্সের ঘটনা দেখা গেছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও দেখা যায়, মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা