যুক্তরাষ্ট্র
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বুধবার ঢাকায় আসছেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের অনুমতি পাওয়ায় এই তিন চিকিৎসক বুধবার ঢাকায় আসবেন।
এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য সরকার বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার অনুমতি দিয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের ভিসা প্রদানে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে প্রায় ৯ ঘণ্টা রাখার পর মঙ্গলবার বিকালে আবারও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন যে তিনি খুব অসুস্থ। গতকাল রাতে তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে তাকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়।’
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, সকালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারা (চিকিৎসকরা) বলেছেন, ম্যাডাম এখন খুবই উদ্বেগজনক অবস্থায় আছেন।
৯ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন: আড়াই ঘণ্টা পর সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরেছেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না: খুরশীদ আলম
আমরা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে মনোনিবেশ করছি: আফরিন আখতার
রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তাদের আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার।
মঙ্গলবার(১৭ অক্টোবর) কক্সবাজার সফর করেন তিনি।
আফরিন আখতার বলেন, ‘এই অঞ্চলকে প্রভাবিত করে এমন একটি মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অংশীদারদের প্রচেষ্টায় অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের দিকে মনোনিবেশ করছি।’
মঙ্গলবার আরআরআরসি’র মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে আখতার বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন 'স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ' হতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ওয়াশ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন সুইডিশ স্টেট সেক্রেটারি
তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল না হওয়ায় প্রত্যাবাসনে জোরপূর্বক কোনো প্রচেষ্টা চালানো উচিত নয়।
আখতার বলেন, ‘তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাব।’
তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং 'অবিশ্বাস্য উদারতার' প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যিই উদারতার প্রশংসা করি।’
২০১৭ সালে দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: মাসুদ-আফরিন বৈঠক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন চায়
১৬-১৭ অক্টোবর সফরকালে তিনি ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশে অবস্থানকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ফলপ্রসূ বৈঠক করেন আফরিন আখতার।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় সুশীল সমাজের সদস্য ও এনজিও প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সরাসরি তাদের বক্তব্য শুনেছেন তিনি।
প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী, বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়াও, প্রতিনিধিদল শরণার্থীদের জীবন এবং আশ্রয় শিবিরের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান তারা।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: আফরিন আখতার
বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া অনলাইন প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আমরা অবগত; যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট কোনো দলকে পছন্দ করে না: মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র আবারও বলেছে, তারা বাংলাদেশে কোনো পক্ষ নেয় না এবং দেশে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ' নির্বাচন দেখতে চায়।
ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে পছন্দ করি না বা পক্ষ নেই না। আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণ তাদের নিজেদের নেতা নির্বাচন করতে সক্ষম হোক।’
তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং অন্যান্যরা বহুবার এ কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: ম্যান্ডেট না পাওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত হবে না: মুখপাত্র দুজারিক
যুক্তরাষ্ট্রের 'আল্টিমেটাম' নিয়ে একটি প্রতিবেদনের প্রতি দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুখপাত্র এ মন্তব্য করেন।
ওই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কাছে ইউএনবির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়- আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে অন্য একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের তৎপরতা চালাতে পারে? এটি কি কোনো রীতিতে পড়ে? পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এ ধরনের তথ্য শোনা গিয়েছিল। দূতাবাস কি ভারতীয় গণমাধ্যমের ওই খবরের বিষয়ে মন্তব্য করবে?
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া অনলাইন প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার যেমনটা গতকাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সমর্থন করে।’
তাকে উদ্ধৃত করে দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, নির্বাচন কেবল নির্বাচনের দিন কীভাবে পরিচালিত হয় তা নিয়ে নয়, বরং সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং অন্যান্য অংশীজনদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধে জড়িত হওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়েও।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’: জাতিসংঘের মুখপাত্র
মার্কিন প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন তারা।
এসময় তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা দানকারী বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রজেক্ট পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৪, ২/ওয়েস্ট পৌঁছে কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্প ও ৮/ওয়েস্ট পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে নেপালের উচ্চ পর্যায়ের সংসদীয় প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, সেখানে তারা দাতা সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় প্রতিনিধি দল এনজিও সংস্থায় কর্মরত কিছু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং ক্যাম্পে সার্বিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪, ২/ওয়েস্ট, কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্প ও ৮/ওয়েস্ট পরিদর্শন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা দানকারী বিভিন্ন এনজিও এর প্রজেক্ট পরিদর্শনের পর বেলা আড়াইটার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন- রাজনৈতিক ইউনিট প্রধান ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের শারিন ফিটজেরাল্ড, ডেপুটি আঞ্চলিক উদ্বাস্তু সমন্বয়কারী পিআরএম টমাস ব্রাউনস, আঞ্চলিক মানবিক উপদেষ্টা, ইউএসএআইডি অ্যান্ড্রু শেফার, ঢাকা মার্কিন দূতাবাসের ইশতিয়াক আহমেদ ও নিরাপত্তা তদন্তকারী কর্মকর্তা ইত্তে ইরতাজদ আক্তার।
ক্যাম্প পরিদর্শন কালে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
ঢাকায় ওয়াশ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন সুইডিশ স্টেট সেক্রেটারি
মাসুদ-আফরিন বৈঠক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন চায়
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আফরিনের বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে ‘শক্তিশালী বহুমুখী’ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, মধ্যপ্রাচ্য, স্বাধীন ও নির্দলীয় নির্বাচনী জরিপ দলের সাম্প্রতিক সফর এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেন।
সম্প্রতি কলম্বোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইতোমধ্যেই তাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করে বলেছেন, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান।
সরকারি সফরে শনিবার (১৪ অক্টোবর) তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তার সঙ্গে একজন সফরসঙ্গী ও তার স্ত্রী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী বিক্রান্তের আজ যাত্রা শুরু
এই সফরের অংশ হিসেবে তিনি দুটি সি-১৩০ পরিবহন বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ (পিডিএম ও ‘সি চেক’) কার্যক্রমের বর্তমান অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন।
বিমান বাহিনী প্রধানের সরকারি সফর শেষে আগামী ২১ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বিমানবাহিনী প্রধানের ঢাকা ত্যাগ
ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের যাত্রা শুরু
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে। আমার মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে। আমরা তাদের বলেছি যে ৮০ ও ৯০ এর দশকে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। আমরা নিঃসন্দেহে তাদের বলেছি যে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সফররত দলের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে, তা পর্যবেক্ষণ করতে মার্কিন প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসেছেন। এবার তাদের প্রতিনিধি দলের নেতা ২০১৮ সালের নির্বাচনেও এসেছিলেন।
এদিকে নির্বাচনের সময় যদি কোনো প্রার্থী নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন কিংবা কোনো দল বাধাগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ করেন, তখন কী হবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্ন তারা জিজ্ঞাসা করেছেন।
আমরা বলে দিয়েছি, আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড দেখেছি, এমন হত্যাকাণ্ড আর দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। তিনি আবার এখানে আসার পর আবার তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি সহিংসা ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়েছি। এখানে এখন শান্তির সুবাতাস বইছে। তিনি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনিও চান, নির্বাচনের কমিশনের মাধ্যমে একটি সুন্দর নির্বাচন হোক। স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তিনিই প্রবর্তন করেছেন। কাজেই এখন দুর্নীতির কোনো কারণ নেই।
তারা জিজ্ঞাসা করেছেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা আমরা দিতে পারব কি না? বিরোধী দল নির্বাচনে এলে সঠিকভাবে তারা প্রচার চালাতে পারবে কি না। আমরা বলে দিয়েছি, নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা সর্বময় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে সেই এলাকার নির্বাচন হবে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এমনকি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতার কথাও আমরা বলেছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন পরিচালনায় পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার দায়িত্ব পালন করে। অনেকগুলো নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা তাদের আছে।
এই নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে ৫ হাজার ৩০০টি নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীন থাকে। এখানকার পুলিশ সুপ্রশিক্ষিত, কীভাবে নির্বাচনকে পরিচালনা করতে হয়, তা তারা জানে। আগের মতো সহিংসতা আমাদের দেশে হয় না। এখন আমরা সহিংসতামুক্ত।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা আসছেন মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার
পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, ১৫-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সফর করতে পারেন।
সফরকালীন সময় তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চর্চা করে যুক্তরাষ্ট্র একটি সমৃদ্ধ অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করেছে: হাস
আফরিন আখতার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান ও মালদ্বীপের জন্য দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) পাশাপাশি নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের একজন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি।
তিনি মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
চলতি বছরের মে মাসে তিনি ঢাকা সফর করেন।
কূটনৈতিক সূত্রটি জানিয়েছে, মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অগ্রাধিকারমূলক দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং নির্বাচনী বিষয়গুলোও আলোচনার জন্য আসতে পারে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আর কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই: শাহরিয়ার আলম
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
বিএনপি সমঝোতার সুযোগ রাখেনি: মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা সম্ভব নয়।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন-পূর্ব প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রতিনিধিদল আলোচনা/পর্যালোচনা ও সমঝোতার সুযোগ আছে কি না জানতে চেয়েছিল। আমি উত্তরে বলেছিলাম, বিএনপি সেই সুযোগ দেয়নি। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, নির্বাচন কমিশনের বিলুপ্তি, সংসদ ভেঙে দিতে চান। তারা সমঝোতার সুযোগ রাখেনি।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি তাদের (মার্কিন প্রতিনিধি দল) কাছে যে অভিযোগ করেছে, তার জবাব দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সংবিধানের বিধান ছাড়া কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে?: কাদের
তিনি বলেন, বিএনপি আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে।
মার্কিন প্রতিনিধিদল বিএনপির দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। সহিংসতার কোনো হুমকি আছে কি না তা তারা জানতে চেয়েছে। আমরা আরও বলেছি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বেগ নেই, সবার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
১/১১-এর মতো সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চর্চা করে যুক্তরাষ্ট্র একটি সমৃদ্ধ অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করেছে: হাস
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘প্রতিযোগিতা’ দেশগুলোকে কোনো কিছু বেছে নিতে বাধ্য করার জন্য নয়; বরং এটি সম্মান, সমৃদ্ধি ও অংশীদারিত্বের উপর ভিত্তি করে একটি বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের প্রস্তাব করা।
তিনি বলেন, ‘আমার আশা এই অঞ্চলে আমাদের প্রতিযোগিতার অর্থ হলো আমরা যা করতে চাই স্পষ্টভাবে আমাদের সেসব লক্ষ্য ফুটিয়ে তুলতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনরুজ্জীবিত করবে।’
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক এবং বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘ডিফাইনিং কম্পিটিশন ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’- শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর; বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও অন্তর্ভুক্তির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তারা ‘একসঙ্গে’ আছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উন্মুক্ত সংলাপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করছে যেটি শুধু টিকে থাকে না, বরং উন্নতি লাভ করে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌম বৈদেশিক নীতির বিশেষাধিকারের স্বীকৃতির মাধ্যমে, আমরা এমন অংশীদারিত্ব গড়ে তুলি যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আকাঙ্ক্ষা এবং বিশেষ করে এই প্যানেলে থাকা আমাদের বন্ধুদের ক্ষেত্রে, অংশীদারিত্ব ও জোট যা সীমানা অতিক্রম করে এবং একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিকের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে আমাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অবশ্যই সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির এলাকা হতে হবে। এই অঞ্চলের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চল।’
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আন্তরিকভাবে একমত।
ভবিষ্যতের বিষয়ে হাস বলেছেন, সেই স্বাধীনতা, সেই উন্মুক্ততা রক্ষা করা সবার স্বার্থে। ‘এবং আমি সেই বৈচিত্র্যের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, যা ইন্দো-প্যাসিফিককে শুধুমাত্র এই অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির একটি গতিশীল ইঞ্জিনে পরিণত করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
তিনি বলেন, তারা সম্মিলিতভাবে একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার, শক্তিশালী অর্থনৈতিক একত্রীকরণ এবং মেরিটাইম কমন্সের পবিত্রতা রক্ষার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য একে অপরের সঙ্গে এবং এই অঞ্চলের অন্যদের সঙ্গে আমাদের জোট ও অংশীদারিত্বের উপর নির্ভর করতে সম্মিলিতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি আমাদের পদ্ধতির একেবারে মূল বিষয়।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা ‘মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক’ এর বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে সাধুবাদ জানায়।
হাস বলেন, এ ছাড়াও আমরা জোর দিচ্ছি, আমরা যেমন একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত অঞ্চল খুঁজছি, তেমনি বিশ্বাস করি আমরা এই নীতিগুলো নিজেদের মধ্যে প্রয়োগ করলেই আমরা সত্যিকার অর্থে এই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো পূরণ করতে পারি।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল চালিকাশক্তি অভিন্ন নীতি: পিটার হাস