যুক্তরাষ্ট্র
বিএনপির সঙ্গে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মনিটরিং টিম
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে করেছে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আইআরআই ও এনডিআই প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে ১০টা ২০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বাংলাদেশে চলতি বছরের শেষ বা আগামী জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে দলের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে বৈঠকে অংশ নেয় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল
প্রতিনিধি দলটি ৮ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধি দলের যৌথভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শদাতা জামিল জাফর; এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ; এবং এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের আইআরআই সিনিয়র ডিরেক্টর জোহানা কাও।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে প্রতিনিধিদলটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক সোমবার
বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে বনানীতে একটি হোটেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও তাদের বৈঠক করার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং জাতিসংঘে ২০০৫ সালে সই হওয়া আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার মূল্যায়ন পরিচালনা করবে।
কার্যক্রম শেষে প্রতিনিধিদল তাদের মূল অনুসন্ধান, নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ এবং নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারিক সুপারিশের একটি বিবৃতি প্রকাশ করবে।
এনডিআই এবং আইআরআই হলো একটি অরাজনৈতিক বেসরকারি সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনগুলোকে সমর্থন এবং শক্তিশালী করে।
ইনস্টিটিউটগুলো সম্মিলিতভাবে গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: আমাদের সর্বোচ্চটা করেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
ইসরায়েলের সমর্থনে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে রণতরী পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলকে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে তিনি ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। নিহত ও নিখোঁজদের মধ্যে আমেরিকানরাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নৌবাহিনীর সর্বাধুনিক ও অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং এর প্রায় ৫ হাজার নাবিক এবং যুদ্ধবিমানের ডেকের সঙ্গে ক্রুজার এবং ডেস্ট্রয়ার থাকবে। এটি হামাসের কাছে অতিরিক্ত অস্ত্র পৌঁছানো বন্ধ ও নজরদারি চালাবে। এছাড়া যে কোনও কিছুর জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে এটি।
এই বিশাল সামরিক স্থাপনার মোতায়েন সংঘাতের যেকোনো আঞ্চলিক সম্প্রসারণ রোধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে। কিন্তু ইসরায়েলি সরকার রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ‘উল্লেখযোগ্য সামরিক পদক্ষেপের’ জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩২
প্রাথমিক একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী হামলায় অন্তত চারজন মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আরও সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান এক মার্কিন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনাকারী কর্মকর্তা বলেন, সংখ্যাগুলো বাড়ছিল এবং একটি সম্পূর্ণ গণনা শেষ হওয়ার পর এটি পরিবর্তন হতে পারে। নিহত বা নিখোঁজদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
ফোর্ডের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রুজার ইউএসএস নরম্যান্ডি এবং ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস টমাস হাডনার, ইউএসএস রামেজ, ইউএসএস কার্নি এবং ইউএসএস রুজভেল্ট পাঠাচ্ছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে বিমান বাহিনীর এফ -৩৫, এফ-১৫, এফ -১৬এবং এ -১০ যুদ্ধবিমান স্কোয়াড্রন বৃদ্ধি করছে।
অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেন, 'প্রয়োজনের তাগিদে এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী বাহিনী প্রস্তুত রেখেছে।’
এছাড়াও, বাইডেন প্রশাসন ‘দ্রুত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে গোলাবারুদ সহ অতিরিক্ত সরঞ্জাম এবং সম্পদ সরবরাহ করবে।’ অস্টিন বলেন, প্রথম নিরাপত্তা সহায়তা আজ থেকে শুরু হবে এবং আগামী দিনগুলোতে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের ফিলিস্তিন বিরোধী নীতিকে 'টাইম বোমা' আখ্যা দিয়েছে আরব লীগ
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার টেলিফোনে 'হামাস যোদ্ধাদের হাতে শিশু, বয়স্ক, যুবক এমনকি পুরো পরিবার জিম্মি হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, 'এ ধরনের নৃশংস নৃশংসতার বিরুদ্ধে সব দেশকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং বলেছেন যে ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য অতিরিক্ত সহায়তা আসছে।
ইসরায়েলের কোনো শত্রু যেন মনে না করে যে তারা বর্তমান পরিস্থিতি থেকে সুবিধা নিতে পারবে বা করা উচিত। তা নিশ্চিত করার উপায় নিয়েও তারা আলোচনা করেন বাইডেন ও নেতানিয়াহু।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলা-ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় নিহত ১০০০ ছাড়িয়েছে
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজব উপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নতুন পর্যায় সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আল্লার দোহায়, এসব (গুজব) নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে ঘুম নষ্ট করবেন না।’
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশনের (পিইএএম) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম... একজন মানুষও আমাদের বলেনি যে ঝড় আসবে। আপনার (গণমাধ্যম) এসব বাবান। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এমনকি অংশগ্রহণমূলক বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার শব্দটিও উচ্চারণ করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
নির্বাচনী প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে এসেছে।
মোমেন বলেন, তারা সফররত এনডিআই-আইআরআই'র যৌথ প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন। আরও বলেছেন, সরকার কোনো সহিংসতা ছাড়াই 'অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ' নির্বাচন করতে চায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি 'সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি' গড়ে তুলেছেন, যা 'অত্যন্ত নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী'।
মোমেন বলেন, 'তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেয়নি, তারা আমাদের কথা শুনেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সহিংসতামুক্ত করতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, তারা গত ১৫ বছরে অর্জিত তুলনামূলক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, কেউ এই সাফল্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
ড. মোমেন বলেন, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
মোমেন বলেন, জনগণ যদি অংশগ্রহণ করে এবং অবাধে ভোট দিতে পারে তাহলে তা অংশগ্রহণমূলক।
তিনি বলেন, তারা চায় সবাই নির্বাচনে অংশ নিক, কারণ সরকার পরিবর্তনের একটাই উপায়- তা হলো নির্বাচন।
আরও পড়ুন: কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
এর আগে প্রতিনিধি দলের সদস্য দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ রবিবার বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিআই-আইআরআই যৌথ মিশন নির্বাচনী প্রস্তুতির অবস্থা মূল্যায়নের জন্য কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের কথা শুনতে এবং একটি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন দেখাতে এসেছি।
ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধি দলের সহসভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ এশীয়বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রাক্তন সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ; জামিল জাফর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শদাতা; এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ; আইআরআই-এর এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও রয়েছন দলে।
বনি গ্লিক বলেন, 'এই যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও সমর্থনের প্রতিফলন।’
তিনি বলেন, 'আমরা প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করব। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী বিশ্লেষণ দেব।’
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং ২০০৫ সালে জাতিসংঘে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের মূল্যায়ন পরিচালনা করবে।
কার্যক্রম শেষে প্রতিনিধিদল তাদের মূল অনুসন্ধান, নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ এবং নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারিক সুপারিশের একটি বিবৃতি প্রকাশ করবে।
এনডিআই ও আইআরআই হলো নির্দলীয়, বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চার প্রতি সমর্থন ও শক্তিশালী করে।
প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে সম্মিলিতভাবে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক সোমবার
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিএএম)।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সকাল ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হবে।
বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে দলের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবে বিএনপির প্রতিনিধি দল। এ দলের নেতৃত্ব দেবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে শনিবার বাংলাদেশে এসেছে আইআরআই ও এনডিআইয়ের যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) ।
আরও পড়ুন: যক্ষ্মা প্রতিরোধে নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আহ্বান জাতিসংঘের বৈঠকে
ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ৮ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধি দলের সহসভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ এশীয়াবিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহও রয়েছেন। জামিল জাফর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শদাতা; এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ; আইআরআই'র এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও।
প্রতিনিধি দলটি আজ (রবিবার) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং ২০০৫ সালে জাতিসংঘে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের মূল্যায়ন পরিচালনা করবে।
কার্যক্রম শেষে প্রতিনিধিদল তাদের মূল অনুসন্ধান, নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ এবং নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারিক সুপারিশের একটি বিবৃতি প্রকাশ করবে।
এনডিআই ও আইআরআই হলো নির্দলীয়, বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চায় সমর্থন ও বেগবান করে।
ইনস্টিটিউটগুলো সম্মিলিতভাবে গত ৩০ বছরে ৫০ টিরও বেশি দেশে ২০০ টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা অন্বেষণে এমভিটি জোট ও হায়দ্রাবাদের কিমস হাসপাতালের বৈঠক অনুষ্ঠিত
মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক পোশাক আমদানি ২২ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে ৫৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৬৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় পোশাক আমদানির উৎসগুলো মূল্য ও পরিমাণ উভয় দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানির উৎস চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমেছে ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ভিয়েতনাম থেকে আমদানি কমেছে ২৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি কমেছে যথাক্রমে ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ২৬ দশমিক ০৯ শতাংশ, ২৭ দশমিক ২৮ শতাংশ, ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ও ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ‘অসতর্ক’ বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক শ্রমিক ঐক্যজোট আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যা যা করা দরকার তা করবে তাদের দল।
ফখরুল বলেন, ‘সবাই এখন (মার্কিন) ভিসা নীতিতে ভীত। যারা দুর্নীতি করেছে, অন্যায় ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত, পক্ষপাতমূলকভাবে বিচার করেছে এবং চুরি-দুর্নীতিতে জড়িত ব্যবসায়ীরাও এখন আতঙ্কিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বেশি ভয় দেখতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মধ্যে। তিনি যেভাবে কথা বলছেন তা দেখে মনে হচ্ছে একজন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। বিচারপতি এটিএম আফজাল তার রায়ে এমনটাই বর্ণনা করেছেন। বর্তমানে তার মস্তিষ্ক আরও বিকৃত হয়েছে...যাকে পাগল বলা হয়।’
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের এই সম্মেলনে সারাদেশ থেকে এক হাজারেরও বেশি শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন।
খালেদা জিয়ার সময় নেই এবং ৮০ বছর বয়সের কাছাকাছি হওয়ায় তার জন্য কান্নাকাটি করে কোনো লাভ নেই- এমন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিকভাবে আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) সময় শেষ। আপনি দয়া করে সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তা না হলে জনগণ আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে তুলবে।’
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো কেন উদ্বিগ্ন- প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে। ‘বাইডেন প্রশাসন স্পষ্টভাবে বলেছে, যেসব দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু আছে, সেসব দেশের সঙ্গে তারা কাজ করতে চায়।’
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার সরকার যখন অবাধ, সুষ্ঠু ও সুষ্ঠু নির্বাচন করছে, তখন নির্বাচন নিয়ে এত কথা হচ্ছে কেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। এমন মন্তব্য শুনে ঘোড়াও হাসে। এটা বিস্ময়কর যে, একজন প্রধানমন্ত্রী ১৫ বছর ধরে যেভাবেই ক্ষমতায় থাকুন না কেন, তিনি কখনই ভাবেন না যে তার মন্তব্যে মানুষ হাসবে।’
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ চলমান এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে যোগ দিতে শিক্ষকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতির ওপর নির্ভর করে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা সম্ভব হবে না। ‘অন্য কেউ এটা (সরকারকে উৎখাত) করবে না। আমাদের এটা করতে হবে। ভয়ানক দানবীয় শাসনের কবল থেকে দেশকে বাঁচাতে আমাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে হবে। ইনশাল্লাহ আমরা জিতব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী ও লুটেরা শাসন দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে দেশ শাসন করায় বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ‘পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে জনগণ আর এই শাসনকে সহ্য করতে পারছে না।’
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার শিক্ষাখাত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক পরিবেশ ধ্বংস করেছে। ‘শিক্ষকদের যোগ্যতা বিবেচনা না করে ঘুষ ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা এখন দুর্নীতিতে লিপ্ত।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধতাহীন সরকার রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে সুশাসন ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য এক দিন তাদের ভোট দিয়ে তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে। সরকার সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এই সুযোগও নষ্ট করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:‘ওয়াকওভার’ করে আওয়ামী লীগকে আর সরকার গঠন করতে দেওয়া হবে না: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘গোপন’ সম্পর্ক নিয়ে কাদেরের দাবি উড়িয়ে দিল বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘গোপন’ সম্পর্ক নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা বড় মিথ্যাবাদী’।
তারা (আওয়ামী লীগ) এতটাই ভীত ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে যে তাদের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, পর্দার আড়ালে (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) একটি সমঝোতায় পৌঁছানোয় কোনো ভয় নেই। এর মানে আপনি স্বীকার করেছেন যে আপনি এত দিন ধরে ভয় পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
বুধবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও গণতান্ত্রিক পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বোঝাপড়ার কথা বলেছেন। ‘পৃথিবীতে আপনার মতো মিথ্যাবাদী খুব কমই আছে। আপনার মতো বড় মিথ্যাবাদী পৃথিবীতে আর পাওয়া যাবে না। আপনি গোয়েবলসকে ছাড়িয়ে গেছেন।’
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর আগে মিথ্যা দাবি করেছিলেন যে, ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে। ‘আমরা সবাই জানি, কীভাবে তারা (বাইডেন) ছবি তোলার জন্য দৌড়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বলেছেন, দিল্লি আছে, আমরাও আছি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন। দিল্লি কি আপনাকে বলেছে যে আপনার অপকর্ম চালিয়ে যেতে হবে এবং নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন নেই? দিল্লি কি আপনাকে জোর করে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বলেছে? তারপর বিষয়টি পরিষ্কার করে বলুন।’
আয়োজকরা জানান, সম্মেলনে সারাদেশ থেকে শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার দেড় হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।
ফখরুল বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এর মানে এই নয় যে, হামলা হলে তারা পাল্টা হামলা চালাবে না।
জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণকে রাজপথে নামতে উৎসাহিত করার জন্য পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘অশালীন’ মন্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা এই সত্যকে উন্মোচন করেছে যে, তার নির্দেশেই এ দেশে সবকিছু ঘটছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে তার (প্রধানমন্ত্রীর) বক্তব্য পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করেছে যে, এ দেশে বিচার বিভাগের কোনো প্রয়োজন নেই এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্তেরও প্রয়োজন নেই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও চরম ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ।
‘তিনি মনে করেন এই দেশ তার পৈতৃক সম্পত্তি। সর্বোপরি, তিনি মনে করেন তিনি অতুলনীয় হয়ে উঠেছেন। দেশে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই। তাহলে এত নাটক, প্রাণহানি, নির্যাতন আর এত নির্যাতনের কী লাভ? আপনি ঘোষণা করতে পারেন যে আমি এখন সম্রাজ্ঞী।’
বিএনপি নেতা বলেন, দেশ এখন ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে পড়েছে। ‘এই সরকার অবৈধ, কারণ এটি কোনো নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় না। তারা অবৈধভাবে সংবিধান বিকৃত করে ক্ষমতা দখল করেছে।’
তিনি বলেন, সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন আয়োজনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু দেশের জনগণ ও বিদেশিরা এর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাছাড়া যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায়, তারা তাদের (আওয়ামী লীগ) বিশ্বাস করে না।’
ফখরুল আরও বলেন, তারা পরিষ্কারভাবে বলেছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে তারা তা মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে এই সরকার যখন পদত্যাগ করবে তখনই একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে ঢাকার পথে প্রধানমন্ত্রী
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি রুশনারা আলীর (এমপি) নেতৃত্বে এপিপিজি’র একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ঘটলে সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
লন্ডন থেকে ঢাকার পথে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীসহ তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ফ্লাইটটির হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনে পৌঁছান।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি রুশনারা আলীর (এমপি) নেতৃত্বে এপিপিজি’র একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষ হচ্ছে আজ
জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ঘটলে সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষ হচ্ছে আজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) ৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন।
ফ্লাইটটি ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের
২ অক্টোবর লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি রুশনারা আলীর (এমপি) নেতৃত্বে এপিপিজি’র একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এখন লন্ডনে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরার উপায় নেই, ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী