মিয়ানমার
মিয়ানমার সব সময় একই দাবি করে: ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব
এই অঞ্চলের সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের কাছে বাংলাদেশ তার উদ্বেগ জানিয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও তাদের ব্রিফ করা হয়েছে।
শান্তি বজায় রেখে মিয়ানমারের ফাঁদে পা না দেয়ায় বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেছেন কূটনীতিকরা।
মঙ্গলাবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খোরশেদ আলম (অবসরপ্রাপ্ত)।
কূটনীতিকরা বাংলাদেশের উদ্বেগ তাদের দেশকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশে মর্টার শেল নিক্ষেপের জন্য মিয়ানমার আরাকান আর্মি ও এআরএসএকে দায়ী করছে এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমার সব সময় একই দাবি করে আসছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা তাদের (কূটনীতিকদের) সাহায্য চেয়েছিলাম যাতে মিয়ানমার এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সুযোগ নিতে না পারে।’
পড়ুন: মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
এর আগে সোমবার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মোঃ খোরশেদ আলম(অবসরপ্রাপ্ত) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মিশন প্রধানদের ব্রিফ করেন এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা আমলে নিয়েছেন এবং তাদের নিজ নিজ দেশে যথাযথভাবে পৌঁছে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে মর্টার শেল পড়া ও বিস্ফোরণের ঘটনা, নির্বিচারে বিমান থেকে গুলি, মানুষের প্রাণহানি ও গুরুতর জখম, সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণের সম্পত্তি ও জীবিকার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের কথা আশিয়ান দূতদের জানান।
মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্বকারী কোনো কূটনীতিক ব্রিফিংয়ে ছিলেন না। তবে অন্যান্য আসিয়ান দেশ-ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া শাখা) মো. নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সাম্প্রতিক একাধিক মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ওপর দায় চাপিয়েছে মিয়ানমার।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের মহাপরিচালক জ ফিও উইন সোমবার ইয়াঙ্গুনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় মহাপরিচালক বলেন, আরাকান আর্মি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে’ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে মিয়ানমার বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
জ ফিও উইন বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সীমান্তের কাছাকাছি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মিয়ানমার সব সময় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি মেনে চলে এবং বাংলাদেশসহ সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি মাসের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে’ আরাকান আর্মি ও আরসার সন্ত্রাসীদের পরিখা এবং ঘাঁটির তথ্য অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া সেই সব স্থাপনা ও ঘাঁটি ধ্বংসে প্রয়োজনীয় এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মিয়ানমারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
সাক্ষাতে মহাপরিচালক বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের কাছে মিয়ানমারের ঘটনা সম্বলিত একটি আন অফিসিয়াল পেপার হস্তান্তর করেন।
পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মো বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একাধিক মর্টার শেল নিক্ষেপের কথা ‘স্বীকার করেছেন’। তবে তিনি দাবি করেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীরা ভারী কামান ও মর্টার নিক্ষেপ করছে, যার মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে।
বাংলাদেশ মিয়ানমারকে জনগণের জীবন ও জীবিকার ক্ষতি করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বলেছে, চলমান পরিস্থিতি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী নিরীহ জনগণের মধ্যে ‘ভয়’-এর পরিবেশ তৈরি করছে।
পড়ুন: মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার আগস্টের পর চতুর্থবারের মতো মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে দেশটির মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল নিক্ষেপে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে জনগণ ও সম্পদের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি প্রতিবাদ নোটও হস্তান্তর করেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোকে আরও মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে যে মানবিক কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
চলমান পরিস্থিতি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ক্ষতিকারক।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌম ভূখণ্ড ও আকাশসীমাকে সম্মান জানানোর দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের।
এ প্রসঙ্গে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তার প্রতি বিরূপ কোনো উপাদানকে আশ্রয় না দেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
মর্টার শেল নিক্ষেপে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বিএনপি
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মিয়ানমারের এ ধরনের দুঃসাহসিকতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই ।’
শনিবার বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় বক্তব্যে তিনি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সাহসিকতার সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর বারবার বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের দুর্বল ও আজ্ঞাবহ কূটনীতির কারণে গত ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক আগ্রাসন বেড়েই চলছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
ফখরুল বলেন, ‘সর্বশেষ ঘটনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ শুক্রবার মিয়ানমার বাহিনীর ছোঁড়া মর্টার শেলের আঘাতে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচ শিশু আহত হয়েছে।’
বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপের এক সপ্তাহ পর তিনি বলেন, মিয়ানমার বাহিনী বারবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে এবং যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন,
‘বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ১২০ মিটার ভেতরে মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। মিয়ানমার বাহিনী প্রায়ই আকাশসীমা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের দিকে গুলি চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে মিয়ানমার এমন স্পর্ধা দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মিয়ায়নমারের বিষয়টি কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার। তবে প্রয়োজন হলে সীমান্তে মর্টারশেলিং বিষয়ে জাতিসংঘে একটি অভিযোগ জানানো হবে।
শনিবার রাজধানীতে আহছানিয়া মিশনের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারকে বার বার সতর্ক করছে। তবুও তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না।
‘তামব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেলিংয়ে হতাহতের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি,’ তিনি যোগ করেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তাদের মধ্যেই রাখতে হবে। কিন্তু তাদের বাহিনী বার বার বাংলাদেশিদের আহত করছে।’
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে আছে যাতে কোনও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার রাতে বান্দরবানের তমব্রু’র আন্তর্জাতিক জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে মিয়ানমার বাহিনী একটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করলে মোহাম্মদ ইকবাল(১৭) নামে এক কিশোর নিহত হন। এসময় আহত হন আরও পাঁচজন।
আহত ও ক্ষতিগ্রস্তরা সকলে জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। ক্যাম্পটি মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টের বা নো ম্যান’স ল্যান্ডে অবস্থিত।
শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে চারটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করে মিয়ানমার।
শুক্রবার বিকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে অংথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা নামের এক আদিবাসী তরুণ মারাত্মক আহত হন।
কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে ১২টি মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন:সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে দুই সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ব্যবস্থা ব্যবহার করে ‘সংলাপ ও আলোচনার’ মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে চায় বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী বিদ্যমান ব্যবস্থার মাধ্যমে আলোচনা করবেন যাতে কোনো উস্কানি হলে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা যায়।
রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘মূলত, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ। হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তারা বিষয়টি স্বীকার করেছে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও বিজিবি সতর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভেতরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে । এ কারণে স্থানীয়রা আতঙ্কিত উঠতে পারে। আমাদের নজরদারি রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
তিনি বলেন, সীমান্তে যাতে কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না হয় সেজন্য চেষ্টা চলছে। আমরা অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। বিজিবি বাংলাদেশের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেবে না।’
এর আগে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে মর্টার শেল ছোড়া, সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমার থেকে নির্বিচারে বিমান গুলি চালানো এবং আকাশপথ লঙ্ঘনের বিষয়ে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।
পড়ুন: মিয়ানমার থেকে আর কোন শরণার্থী নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলি বিজিবি বিওপি ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমারের দুটি হেলিকপ্টার ও দুটি বিমানকে দেখা যায়।
এ ঘটনায় বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শান্তিকামী জনগণের নিরাপত্তা জন্য মারাত্মক হুমকি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন এবং প্রতিবেশী সুসম্পর্কের পরিপন্থী।
রাখাইন থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বাসিন্দাদের কোনো অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে তাদের উৎপত্তিস্থলে একটি নিরাপদ, নিরাপদ এবং অনুকূল পরিবেশ অপরিহার্য বলেও বৈঠকে জোর দেয়া হয়।
গেল আগস্ট মাসে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুটি মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় মিয়ানমারকে দুইবার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে উত্থাপন করেছে।
পড়ুন: মিয়ানমার থেকে ২ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে ২ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
মিয়ানমার থেকে দুই লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে কমিটি খাদ্য সরকারি পর্যায়ে চুক্তির আওতায় এ অনুমোদন দেয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এই আমদানি প্রক্রিয়ায় মোট ব্যয় হবে ৯০ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে প্রতি টন চালের মূল্য পড়বে ৪৬৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
এছাড়া মন্তিসভা কমিটি এক লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির প্রস্তাবনার অনুমোদন দেয়।
আরও পড়ুন: যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল-আটা বিক্রি: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন(বিএডিসি)-এর মাধ্যমে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন এমওপি সার, সৌদি আরবের মদিনা থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার, তিউনিশিয়া থেকে ২৫ হাজার মেট্রিকটন টিএসপি সার আমদানি করবে।
এখন পর্যন্ত সারের দাম সংক্রান্ত কোন তথ্য সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়নি।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে আর কোন শরণার্থী নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আর কোন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না।
শনিবার চা-শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে তাতে তারা বাংলাদেশ অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে না।’
মোমেন বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারে দেশটির জান্তা বাহিনী ও বিভিন্ন সশস্ত্র দলের মধ্যে সংঘাত চলছে।
এসব ঘটনার সময় মিয়ানমারের নাগরিকরা নৃশংসতার ভয়ে বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসে।
মোমেন বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ইতোমধ্যে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
শনিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলি বিজিবি বিওপি ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমারের দুটি হেলিকপ্টার ও দুটি বিমানকে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্থানীয়রা জানান, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও দুটি মর্টার শেল বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ছোড়া হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে গুলির খবরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করেছে।
শনিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহারিয়ার আলম ইউএনবিকে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মো কে ডেকে ওই ঘটনার জন্য কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
গেল আগস্ট মাসে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুটি মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় মিয়ানমারকে দুইবার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গত সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মো কে ডেকে পাঠায় এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপের একদিন পরই কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাল ঢাকা
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রত্যাবাসন হওয়া উচিত। এটি একটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যা। দক্ষিণ কোরিয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।’
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ইস্যুটি শুধু মানবিক নয়, মানবাধিকারও বটে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) কর্তৃক আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ. কোরিয়ার ‘আরও উদ্যোগ’ চায় বাংলাদেশ
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে। তিনি বলেন, ‘আগামী বছরকে আমাদের সম্পর্কের ভবিষ্যতের জন্য একটি অর্থবহ বছর করার লক্ষ্যে আমি বিভিন্ন পরিকল্পনা ও চেষ্টা করছি। ৫০ বছরের বন্ধুত্ব নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হচ্ছে তাঁর অন্যতম একটি প্রস্তুতি।’
তিনি বলেন, এই উদযাপন ও প্রচেষ্টায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২১ সালে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার অতিক্রম করে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। তাঁর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে ২০২১ সালে রপ্তানি করেছে ১৬৩ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ছে। অপরদিকে ২০২১ বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রপ্তানি করেছে, যা গতবছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ছে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত অর্থবহ উন্নয়ন। কারণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থবির হয়েছিল। ২০১১ সালে এটি ১৮০ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল।’ তিনি আরও যোগ করেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশ।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারে সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে ১৫ কোটি ডলার নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম অবস্থানে আছে। যা প্রমাণ করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘আমি নিশ্চিত যে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করতে মিডিয়া ও সাংবাদিকরাও ভূমিকা রেখেছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও গভীর করাই আমার দায়িত্ব। বাংলাদেশে আমার দায়িত্বের শুরুতে এ বিষয়ে বলেছি, এখানে আমি আমার মেয়াদে কাজের তিনটি প্রধান উদ্দেশ উপস্থাপন করেছি। যেগুলো হল-বৈচিত্র্যতা, উচ্চতা ও প্রজন্ম।’
আরও পড়ুন: ডিকাবের নতুন সভাপতি পান্থ, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাল ঢাকা
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টারশেল ছোড়ার একদিন পর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মো কে তলব করে প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, ‘আমরা মিয়ানমারের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি যাতে এ ধরনের ঘটনা না আর ঘটে।
রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি মৌখিক সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রথমত এটি তদন্ত করা হবে যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এটি নিক্ষেপ দুর্ঘটনাবশত ছিল, না ইচ্ছাকৃত ছিল।
রবিবার বিকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের দুটি মর্টার শেল পতিত হওয়ার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
অবিস্ফোরিত মর্টার শেল দেখে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার প্রতিবাদ জানাবে ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল