বিটিআরসি
বিটিআরসি-বিআইজিএফের সমঝোতা স্মারক সই
ইন্টারনেট গভর্নেন্স বিষয়ে গণসচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গর্ভনেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়েছে।
মঙ্গলবার(৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়।
কমিশনের পক্ষে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান এবং বিআইজিএফের পক্ষে সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ইন্টারনেট গভর্নেন্স বিষয়ে গণসচেতনতা ও অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় ‘সামিট ফর দ্যা ফিউচার’ এবং ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপেক্ট’ সম্মেলনে বাংলাদেশের মতামত ও অবস্থান বিষয়ক কর্মকাণ্ড পারস্পরিক সহযোগিতা কার্যক্রম সম্পাদনে সহায়তা করবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিআরটিসি বিগত বছরগুলোতে বিআইজিএফকে ইন্টারনেট পলিসি গভর্নেন্স বিষয়ক নানা কার্যক্রমে সহায়তা করে আসছে এবং এই সমঝোতা স্মারক সই এই কার্যক্রমকে আরও বেগবান ও অর্থবহ করবে।
বিআইজিএফের চেয়ারপারসন হাসানুল হক ইনু বলেন, সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে বিটিআরসির সঙ্গে ‘সামিট ফর দ্যা ফিউচার’ এবং ডিজিটাল কমপ্যাক্ট বাস্তবায়ন ও ইন্টারনেট পলিসি বিষয়ে কাজ করার আরও সুযোগ তৈরি হলো।
বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমানের সঞ্চালনায় সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেন, কমিশনের সকল বিভাগের মহাপরিচালকগণ এবং বিটিআরসি ও বিআইজিএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উন্নত প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানে একীভূত লাইসেন্স পেল বাংলালিংক
উন্নত সংযোগ ও গ্রাহকসেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে ইউনিফাইড (একীভূত) লাইসেন্স পেয়েছে ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।
বৃহস্পতিবার বিটিআরসি অফিসে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে এই একীভূত লাইসেন্স গ্রহণ করেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক অস।
একীভূত এই লাইসেন্স সুবিধা টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জিসহ ভবিষ্যতে আসন্ন সব প্রযুক্তিগত সেবাপ্রদানের লাইসেন্সকে একত্রীকরণ করেছে।
বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিওনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কান তেরজিওগ্লু বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যৌথ লক্ষ্যে কাজ করতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের এই সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলালিংকে সহযোগিতা করার জন্য বিটিআরসিকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলালিংককে একীভূত লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে টেলিকম খাতকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।’
একীভূত লাইসেন্স প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘এটি সারা দেশে উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা বিস্তৃতির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। এই পদক্ষেপটি বাংলালিংকের জন্য গ্রাহকের পরিবর্তিত চাহিদা অনুযায়ী আরও বেশি ডিজিটাল সেবা প্রদানের পথ সহজ করে দিল।’
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
দেশে ব্যবহৃত আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। ২১ জানুয়ারি রবিবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। শুধুমাত্র অফিসিয়াল ফোনগুলোকে দেশের বাজারে রাখার এই পদক্ষেপটি বিটিআরসি প্রণীত এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) ব্যবস্থার একটি উদ্যোগ। মূলত বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিত করতে এবং অবৈধভাবে তৈরি বা আমদানিকৃত ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতেই এই কার্যক্রমের অবতারণা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী জুলাই থেকে দেশজুড়ে অনিবন্ধিত ফোন নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমতাবস্থায় ফোন ব্যবহারকারীদের সর্বপ্রথম যে কাজটি অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হচ্ছে- তাদের ফোনটি অফিসিয়াল কি না তা জেনে নেওয়া। এবারের আয়োজনে চলুন অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোন কী
যে ফোনগুলো দেশে প্রবেশকালে যথাযথ ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন নিয়ে থাকে, সেগুলোই অফিসিয়াল ফোন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রতিটি ফোনের বডিতে তাদের স্ব স্ব নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ অঙ্কের একটি অনন্য সংখ্যা লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়, যাকে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) বলা হয়।
আইনগতভাবে দেশে প্রবেশের সময় এই সংখ্যাটি সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। তাই এগুলোকে একইসঙ্গে অরিজিনাল এবং নিবন্ধিত ফোন বলা হয়ে থাকে। দেশের ভেতরে সরকারি নিয়ম মেনে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্স এবং অভিবাসনের নানাবিধ খরচের কারণে স্বভাবতই এই ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
অন্যদিকে, আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো দেশের বাইরে থেকে আমদানি বা দেশের ভেতরেই উৎপাদন করার সময় ভ্যাট বা ট্যাক্সের বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়। অবিকল অরিজিনাল ফোনের মতো দেখতে হলেও নকল এই ফোনগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশ কম থাকে। সরকারি ডাটাবেসে কোনো তথ্য না থাকায় অনিবন্ধিত এই ফোনগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধে ব্যবহারকারী কি কি বিড়ম্বনায় পড়বেন
অনিবন্ধিত বা আনঅফিসিয়াল ফোনগুলোকে নেটওয়ার্ক বহির্ভূত করা হলে ইতোমধ্যে সেই ফোন ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হবে। যেমন-
- এই ফোনে কোনো সিম ভরে তার মাধ্যমে কোনো অপারেটর থেকে কল গ্রহণ বা কল প্রদান করা যাবে না
- কোনো ধরনের ম্যাসেজ লেনদেন করা যাবে না
- ডাটা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না
- সরকারি বা সরকার অনুমোদিত বেসরকারি কোনো ডিজিটাল সেবা পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ফুড ডেলিভারি, রাইড শেয়ারিং, ও টাকা লেনদেনসহ কোনো ধরনের অ্যাপই ব্যবহার করা যাবে না।
এগুলো বাদে নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত নয়, যেমন ছবি তোলা, অডিও বা ভিডিও রেকর্ড করা, গান বা মুভি দেখাতে কোনো রূপ সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
বিকৃত সুরের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গান সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গানটি অপসারণ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি জে. বি. এম. হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ছয় মাসের জন্য এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া কাজী নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গান সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, আইনজীবী নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
এর আগে মানবাধিকার সংগঠন ‘ল’ এন্ড লাইভ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে গত ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।
রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি, ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউটকে বিবাদী করা হয়।
রিটকারীরা হলেন- মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান, ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, আইনজীবী শহিদুল ইসলাম, মো. শাহেদ সিদ্দিকী, মো. আনাস মিয়া ও মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান।
আরও পড়ুন: গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যশোর-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী নির্বাচন চালিয়ে যেতে পারবেন: হাইকোর্ট
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বিবাদীদের এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট' গানটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গানটি অপসারণ করতে বলা হয়। কিন্তু কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়।
রিটে বলা হয়, কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ গানটিতে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমান নতুনভাবে সুরারোপ করেছেন।
এটি ব্যবহার করা হয়েছে পিপ্পা নামের একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে। এ আর রহমান গানের কথা ঠিক রাখলেও সুরের পরিবর্তন করেছন। এই গান নজরুলের নিজের সুরারোপিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। আমাদের সব বিপ্লব–বিদ্রোহ তথা আন্দোলন–সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’।
রিটে আরও বলা হয়, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। তার কবিতা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। তার কবিতার আসল সুর অক্ষুণ্ন রাখার দাবি জানানো হয়। বৃটিশ সরকার কর্তৃক দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আটকের প্রতিবাদে কাজী নজরুল ইসলাম ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গানটি লেখেন। ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ গানটি 'ভাঙার গান' বইয়ে প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে। প্রকাশের পরপর ১৯২৪ সালের ১১ নভেম্বর ব্রিটিশ সরকার ভাঙার গান নিষিদ্ধ করে।
পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতে ‘ভাঙার গান’ কবিতাটি ফের প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
১৯৪৯ সালে কলাম্বিয়া রেকর্ড এবং ১৯৫০ সালে এইচএমভিতে গিরিন চক্রবর্তীর কণ্ঠে গানটি বাণীবদ্ধ হয়। ১৯৪৯ সালে নির্মল চৌধুরী পরিচালিত ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ সিনেমায় গিরিন চক্রবর্তী ও তার সহশিল্পীদের নিয়ে গানটি রেকর্ড করেন সংগীত পরিচালক কালীপদ সেন। এরপর ১৯৬৯-৭০ সালে জহির রায়হান তার কালজয়ী চলচ্চিত্র 'জীবন থেকে নেয়া' সিনেমায়ও গানটি ব্যবহার করেন।
রিটে বলা হয়, ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ শত বছরের এক অবিনাশী অমর গান। সময়ের প্রয়োজনে লেখা হলেও গানটির লোকপ্রিয়তায় সামান্য ঘাটতি হয়নি। ব্রিটিশি বিরোধী মানসে লেখা গানটি সব ধরনের অন্যায়, অবিচার ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার, ফলে এখনও সমানভাবে এটি প্রাসঙ্গিক।
নোটিশে বলা হয়, একই গান একটি কাজী নজরুলের সুরে ও আরেকটি বিকৃত সুরে থাকলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিভ্রান্ত হবে।
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, এ আর রহমানের গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গানটি অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেননি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। তার গান আমাদের সকল প্রকার বিপ্লব ও আন্দোলনে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার গান ও কবিতা আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমাদের জাতীয় কবি ও তার অমর কবিতার মূল সুর রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করা হয়েছিল।
শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত বিটিআরসিকে এআর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া জাতীয় কবির ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হার্টের রিংয়ের দামে বৈষম্য কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
নির্বাচনে টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির গৃহীত পদক্ষেপ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জরুরি সেবা হিসেবে মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিটিআরসি।
এ উপলক্ষে টেলিকম অপারেটরদের জরুরি নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োজিত যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সব মোবাইল, টাওয়ার-কো, এনটিটিএন, আইএসপি, আইআইজি, আইসিএক্স, আইজিডব্লিউ প্রভৃতি অপারেটরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সাইট, পপ, হাব-সাইটসহ অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণসহ স্ব-স্ব টেলিকম অপারেটরদের সার্বক্ষণিক নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে টেলিকম অপারেটর কর্তৃক ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি সার্বক্ষণিক নেটওয়ার্ক মনিটরিয়ের ব্যবস্থাকরণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে পোর্টেবল ও ডিজেল জেনারেটরের নেটওয়ার্ক সচল রাখার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাকরণ প্রয়োজনীয় মোবাইল বিটিএসের ব্যবস্থাকরণসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
সকল টেলিকম অপারেটরদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রণয়নসহ সার্বিকভাবে সব কার্যক্রম সুচারুরূপে পর্যবেক্ষণের জন্য বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়।
বিটিআরসির মনিটরিং সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সার্বিক পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও দিক নির্দেশনা প্রণয়নের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতকরণ বাস্তবায়ন হয়েছে।
নবনিযুক্ত বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে এমটব নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মোবাইল টেলিকম খাতের সংগঠন এমটবের শীর্ষ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এমটবের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এমটব সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আজমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত, এমটব মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.), বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের কর্পোরেট ও রেগুলেটরি বিভাগের উপপরিচালক মোস্তফা কামাল মাসুদ, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম. হাবিবুর রহমান, বাংলালিংকের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন তৌহিদ আহমেদ, রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ ফজলে খুদা এবং টেলিটকের উপমহাব্যবস্থাপক মামুন রশিদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিটিআরসির নতুন মহাপরিচালক খলিল-উর-রহমান
সাক্ষাৎকালে অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
এমটব মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.) বলেন, ‘বিটিআরসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা নিশ্চিত যে একজন অভিজ্ঞ প্রকৌশলী হিসেবে টেলিকম রেগুলেশন এবং ইন্ডাস্ট্রি ইকোসিস্টেম সম্পর্কে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কারণে তিনি এই খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। তার দিকনির্দেশনায় টেলিযোগাযোগ শিল্প নতুন এবং সৃজনশীল উন্নয়নের পথে আরও বেগবান হবে এবং দেশের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে তার কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং লক্ষ্য অর্জনের প্রতি ঐকান্তিক প্রচেষ্টা টেলিযোগাযোগ শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির দ্বার উন্মোচন করবে। তার অসাধারণ কর্মদক্ষতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলি আমাদের সকলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে অনুপ্রাণিত করবে। তার নির্দেশনায় বিটিআরসি এবং টেলিকম খাত একে অপরের পরিপূরক হিসেবে এগিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: বিটিআরসির চেয়ারম্যান হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ
দ. এশিয়ার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের কাউন্সিল চেয়ারম্যান হলেন শ্যাম সুন্দর শিকদার
দক্ষিণ এশীয় টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটর কাউন্সিলের (এসএটিআরসি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর সিকদার।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে তিন দিনব্যাপী ২৪তম এসএটিআরসি সম্মেলনের প্রথম দিনে চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হয়।
সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৯টি দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটরস, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেলো টিআরএনবি
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উক্ত বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি’র মহাসচিব মি. জনাব মাসানোরি কন্ডো বলেন, এসএটিআরসি এর ২৪তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন যথাযথভাবে আয়োজনের জন্য বিটিআরসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সদস্য দেশসমূহের টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়ন, কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের পাশাপাশি ভবিষ্যত লক্ষ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
সৃজনশীল ও বৈশ্বিক কানেক্টিভিটি প্লাটফর্ম তৈরিতে সদস্যসমূহকে সম্মিলিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, সদস্য দেশসমূহ পারস্পারিক ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার তথা- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি বাস্তবায়নে সদসদেশসমূহকে সার্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
কমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথোরিটি অব ইরানের পরিচালক আলী রেজা দরবিশি বলেন, পরিবর্তিত প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল রুপান্তর একটি বাস্তবতা এবং টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যত গঠনের অন্যতম।
ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাস্তবায়নে সদস্য দেশসমূহের মধ্য পারস্পারিক জ্ঞান বিনিময়, বহুপক্ষীয় সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যত গঠনে টেলিযোগাযোগ খাতের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক প্রণোদনার পাশাপাশি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার যুগে জনকল্যাণমূলক আইসিটি রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক নির্ধারণে পলিসি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসএটিআরসি সদস্য দেশসমূহের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, টেলিযোগাযোগ খাতের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ ও টেসকই ডিজিটাল অবকাঠামো বাস্তবায়ন, টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন, টেলিযোগাযোগ খাতে পলিসি গ্রহণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা গ্রহণের জন্য তরুণদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি প্রান্তিক এলাকায় দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি নিশ্চিতে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, তিন দিনের সম্মেলনে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশসমূহের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের বিকাশমান রুপান্তরে ক্ষেত্রে এসএটিআরসি’র এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার প্রযুক্তির ওপর থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়ায় মাধ্যমে কম্পিউটার প্রযুক্তির ডিজিটাল বিপ্লব শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির বিস্তারের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আফগানিস্তান টেলিকম রেগুলেটরি অথোরিটি (এআরটিএ) এর চেয়ারম্যান জনাব এস বরাত শাহ নাদিম, কমিউনিকেশন অথোরিটি অব মালদ্বীপ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ইলিয়াস আহমেদ, নেপাল টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটি এর চেয়ারম্যান জনাব পুরুষোত্তম খানাল, পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটি এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ আপনার রেহমান, টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন অব শ্রীলংকা এর মহাপরিচালক জনাব দেলানা মধুশাঙ্ক দিসানায়েকে, কমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথোরিটি অব ইরানের পরিচালক আলিরেজা দরবেশ, টেলিকম রেগুলেটরি অথোরিটি অব ইন্ডিয়া এর সচিব ভি রঘুনন্দন, ভূটান ইনফো কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া অথোরিটি’র পরিচালক জনাব জিগমে ওয়াংডি।
সম্মেলনে এসএটিআরসি এর সহযোগী সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ, বাংলালিংক ডিজিটাল, গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, জিএসএমএ (হংকং), হুয়াইয়ে টেকনোলজিস, টেলিনর এশিয়া, টেলিনর পাকিস্তান, ইনমারসেট সিংগাপুর, আইটিইউ-এপিটি ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া, নোকিয়া সলিউশনস এন্ড নেটওয়ার্কস ইন্ডিয়া এবং থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিকস এন্ড কম্পিউটার টেকনোলজি সেন্টার সম্মেলনে অংগ্রহণ করেছে।
প্রথম দিনে নিয়ন্ত্রকদের গোলটেবিল বৈঠক: টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য নিয়ন্ত্রক হস্তক্ষেপ এবং উদ্ভাবন শীর্ষক দুটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আফগানিস্তান, ভূটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করে নিজ নিজ দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
আগামীকাল নিয়ন্ত্রক-শিল্প সংলাপ: ভবিষ্যতের জন্য বর্ণালী শীর্ষক দুটি ডায়ালগসহ চারটি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রেগুলেটরি প্রধানগণসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।
তিনদিন ব্যাপী এ সম্মেলনে মোট ৯টি সেশনে টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যত, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে প্রবেশ ও গুণগত মান, ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা, স্যাটেলাইট ও টেরিস্ট্রিয়াল সেবায় তরঙ্গ ব্যবহার ও ৫জি প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক ও কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হবে।
সদস্য দেশগুলোর স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে প্রতি বছর এ কাউন্সিলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির জরুরি টিম গঠন
বিটিআরসির নতুন মহাপরিচালক খলিল-উর-রহমান
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমানকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে রেখে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কন্ট্রোল রুম খুলেছে বিটিআরসি
অন্যদিকে বিটিআরসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অধীনে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির জরুরি টিম গঠন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেকের বক্তব্য মুছে ফেলতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব বক্তব্য ও ভিডিও কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মুছে ফেলার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উচ্চস্বরে আদেশের প্রতিবাদ করায় আদালত কক্ষে বিশৃঙ্খল দেখা যায়। একপর্যায়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম হট্টগোলের মধ্যে আদালত কক্ষ ত্যাগ করেন।
বিচারপতিরা যখন আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ‘লজ্জা, লজ্জা’ বলে চিৎকার করছিলেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত বিচারপতিরা আদালতে ফিরে আসেননি।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা আপিল জমা দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষিদ্ধ করার জন্য ২০১৫ সালে একটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরীন সিদ্দিকী লিনা।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি রিট আবেদনের শুনানি চলাকালে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। আদেশে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক এবং তারেক রহমান নিজেসহ একাধিক সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সাড়ে আট বছর পর চলতি বছরের ২ আগস্ট রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী কামরুল ইসলাম শুনানির আবেদন করেন।
৮ আগস্ট মামলার শুনানি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
ঘূর্ণিঝড় মোখা: নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির জরুরি টিম গঠন
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগপরবর্তী সময়ে যাতে সকল ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ অধীনস্থ সকল সংস্থাসমূহকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি থেকেও সংশ্লিষ্ট সকল লাইসেন্সি সমূহকে এবং টেলিযোগাযোগ সেবাপ্রদানকারী সকল টেলিকম অপারেটর কর্তৃক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপনের জন্য শনিবার (১৩ মে) নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বিটিআরসি কর্তৃক ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। উক্ত টিম ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলোতে টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণসহ নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতের জন্য টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।
এছাড়া তিন সদস্যের সমন্বয়ে বিটিআরসি একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষও চালু করেছে। নিয়ন্ত্রণকক্ষের নম্বর দুটি হচ্ছে ০১৫৫২২০২৮৫৪ ও ০১৫৫২২০২৮৮৬।
বিটিআরসি’র কন্ট্রোল রুম মূলত বিটিআরসিতে গঠিত মনিটরিং টিম এবং মোখা মোকাবিলায় উপকূল এলাকায় কার্যরত লাইসেন্সিসমূহ কীভাবে কাজ করছে তার মধ্যে সমন্বয় সাধন করছে। এছাড়া মোবাইল অপারেটর, এনটিটিএন, আইএসপি এবং সংশ্লিষ্ট অনান্য লাইসেন্সি উপকূলীয় এলাকায় কার্যক্রম গ্রহণে যেকোনো প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হলে তাও কন্ট্রোল রুমকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কন্ট্রোল রুম খুলেছে বিটিআরসি
বিটিআরসির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে উপকূলীয় অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে টেলিকম অপারেটরসমূহ নিজ নিজ কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে এবং নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সচল রাখতে পাওয়ার ব্যাকআপ নিশ্চিতকরণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যাটারি, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ও দুর্যোগকালীন সময়ে যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার জনগণের বিনামূল্যে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ প্যাকেজ প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। গ্রামীণফোনের জরুরি যোগাযোগ নাম্বার হলো- ০১৭১১৫০৫৩৬৮, ০১৭১১০৮১১০১, ০১৭১১০৮১৮০৪।
ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করতে খুদে বার্তা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার পাশাপাশি মুঠোফোনে রিচার্জ সহজ করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বাংলালিংক। বাংলালিংকের জরুরি যোগাযোগ নাম্বার হলো- ০১৯৬২৪২৪৫৬৫, ০১৯১১৩১০৭৯৫, ০১৯৬২৪২৪৭০৬।
রবির গ্রাহকরা যেকোনো সময় *৮# ডায়াল করলেই পাবেন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স, মিনিট ও ইন্টারনেট। রবির হটলাইন নাম্বার হলো- ০১৮১৭১৮৩৬৮, ০১৮১৯২১০৩৫০।
টেলিটকের কোর সাইট ও হাব সাইটের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে সব জেনারেটরের যান্ত্রিক ত্রুটি দূর করে পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া একটি রেসপন্স টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের নাম্বার- ০১৫৫০১৫৫০৪৫, ০১৫৫০৫১৫৫০৩৪, ০১৫৫০১৫৫০৫৩। কন্ট্রোল রুমের নম্বর-০২৩৩৩৩১৫৯০০, ০১৫৫৫১৫৫২১১।
মোখা মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খুলেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ নাম্বার-০২৪৮৩১৭৭৮৮।
টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইডটকো’র জরুরি যোগাযোগ নাম্বার- ০১৮৭১০০৬৭৩০। সামিটের জরুরি যোগাযোগ নাম্বার-০১৭৯১০৪০৩৮৫, ০১৭১১০৮০৪৮৪। কির্তনখোলার জরুরি যোগাযোগ নাম্বার- ০১৪০১১৫৯৫৭২( চট্টগাম ও কক্সবাজার), ০১৭১৩৪৭৯৯১২(বরিশাল)। ফ্রন্টিয়ারের জরুরি যোগাযোগ নাম্বার- ০১৮১০১৬৯৫৪০, ০১৮১০১৬৯৫৪৮।
আইএসপি, এনটিটিএনসহ অন্যান্য টেলিকম অপারেটরসমূহ দুর্যোগকালীন সময়ে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সম্ভাব্য এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক সচল রাখতে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং সার্বক্ষণিকভাবে সচেষ্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে