আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার: আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে মঙ্গলবার।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদনে তারা আগের মতোই খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়েছেন। স্থায়ী মুক্তি মানে বুঝলাম না। তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চাওয়া হচ্ছে? আজ ফাইল হাতে পেয়েছি। তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) কী অনুরোধ করেছে, তা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই আমি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আগামীকালের মধ্যে তা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সময় বাড়ানো ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন
তিনি আরও বলেন, ‘একটা জিনিস বুঝতে পারছি না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে আমি আইনে বহুবার ব্যাখ্যা করেছি। এর বাইরে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু তারপরও প্রতিবারই দেখছি তারা প্রথমে যেভাবে আবেদন করেছিল সেভাবেই আবেদন করছে।’
তিনি আরও বলেন, তার বিদেশ যেতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না এটা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘তার মানে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। আমরা বিদেশ থেকে আসা চিকিৎসকদের তার চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছি।’
সরকার প্রধানের ইচ্ছায় খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইনের বাইরে গিয়ে মানবিকতা দেখাতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবার আগে মানবিকতা দেখিয়েছেন। মানবিক কারণে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।’
এর আগে রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও একবার বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে- দাবি করে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এই আবেদন করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল সরকার। এ নিয়ে তার সাজার মেয়াদ আটবারের মতো বাড়ানো হলো।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
অবৈধ মজুত করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
অবৈধ মজুত করে কেউ যদি বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তাহলে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছেন এবং আমাদের আইন সচিব সেসব প্রশ্নের জবাবে দিয়েছেন।
মামলা জট নিরসনের জন্য ডিসিদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেসব মাল জব্দ করা হয়, সেসব মাল নিষ্পত্তির বিষয়ে কী করা উচিত এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে আমরা ই-জুডিশিয়ালের কথা বলেছি। সেখানে কতটুকু সুবিধা হবে সে কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যের প্রথমে ডিসিদের কাছে মামলা জটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। মামলা জট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করে।’
মন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে। সেটা নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা ত্বরিত পদক্ষেপ নেব এবং একটা বিষয়ে স্পষ্টকরণ করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে কেউ যদি মামলা করে তখন হাইকোর্ট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য একটা আদেশ দেন। সেক্ষেত্রে অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয়, যে হাইকোর্টের আদেশ না বুঝে অনেক দেরি করা হয়। সে বিষয়ে স্পষ্টকরণ করে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আমি বলেছি- আবেদনটি ডিসপোজ করা বা সম্ভব হলে গ্রহণ করা। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে একটা জবাব দিয়ে এ ব্যাপারটা নিষ্পত্তি করে দেওয়া। সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু ছিল না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার বিষয়ে আমি নিজেই তুলেছিলাম এবং বলেছি আমরা একটা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চাই।
বাজার ব্যবস্থায় যদি কেউ অস্থিতিশীল করে বা মজুদ করে তাহলে তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন- সে বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ রকম কাজ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বার বার অগ্নিকাণ্ড ঘটার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তদন্ত শেষ হয়ে যদি আদালতের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন আসে এবং সেখানে যদি মামলা শুরু করা হয়, এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আমাদের প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন জমাতে আগুন লাগাতে পারে বিএনপি: আইনমন্ত্রী
এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
আন্দোলন জমাতে আগুন লাগাতে পারে বিএনপি: আইনমন্ত্রী
আন্দোলন জমানোর জন্য বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আন্দোলন জমাতে বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিল কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই রহস্য অবশ্যই উদঘাটন করা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কসবা উপজেলার কায়েমপুরে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার গার্ডার সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াও আগুন লাগানোর সঙ্গে বিএনপি জড়িত। ট্রেনে আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, মানুষ মারা- বিএনপির পুরোনো অভ্যাস।
তিনি বলেন, বিএনপি মানুষকে ভালোবাসে না, তারা চায় সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটুক। তারা চায় ক্ষমতা, চায় পকেটের উন্নয়ন, চায় দুর্নীতি করে টাকা কামাবে, বিদেশে টাকা পাচার করবে এবং বাংলা ভাই তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা জীবিত থাকতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জীবিত থাকতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।’
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এখন থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। আগুন নিয়ে খেললে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। সে জন্য প্রন্তুত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কথা বিবেচনা করে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বিষয়ক একটি আইন প্রণয়ন করার উদ্যোগ সরকার নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, এ আইন প্রণয়ন করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে অবশ্যই আলাপ-আলোচনা করা হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে 'সেন্টার ফর এনআরবি'র একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে চায়। সেজন্যই তার সরকার আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ—আলোচনার সুযোগ রেখেছে।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
প্রতিনিধি দলের প্রধান 'সেন্টার ফর এনআরবি'র চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নন—রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরাও (এনআরবি) যাতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তাদের মতামত জানাতে পারেন, সে বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নেবেন।
আনিসুল হক বলেন, সময়ের চাহিদার কারণে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আদালত কতৃর্ক তথ্য—প্রযুক্তি ব্যবহার আইন প্রণয়ন করেছে। ভার্চুয়াল আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। বৃটিশ আমলের সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করা হয়েছে। এখন দেশি—বিদেশি সব শ্রেণি—পেশার মানুষ সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের সুফল পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আলোচনা করে করলে ভালো হয় বলে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলও-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা শ্রম আইনের যে সংশোধন, সেটার বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে সংশোধনীর কথা হয়েছিল, সেখানে কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। সে বিষয়ে আইএলও কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জেনেভা থেকে আইএলও- এর চারজনের একটি টিমও আজকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। বৈঠকে শ্রম আইনের প্রায় প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম, শ্রম আইনটা পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনে পাস করার জন্য। কিন্তু আইএলও প্রতিনিধিদল বলেছেন, তারাহুড়ো না করে, আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে।
আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছি যে, আইএলও’তে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ ঝুলে আছে। প্রত্যেকবারই বলেন যে, এটা মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে যাবে। আবার নভেম্বরে হবে না মার্চে যাবে। আমি সেজন্য বলেছি মার্চ মাসের গভর্নর বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা তো আমরা নিতে রাজি না।
তখন তারা বলেছে, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। এই আইনের কিছু কিছু বিষয় আছে, তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। তাই আমরা দুইটি সিদ্ধান্তে এসেছি।
একটা হচ্ছে এই মিটিং আবারও অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে আইএলও-এর উদ্যোগে একটা অংশীজনদের ফ্যাসিলিটি মিটিং হবে। সেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য আছে- সেগুলো আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, তারা বলছেন, ‘সি ম্যান’ এর নাম বদলিয়ে ‘সি ফেয়ারার’ নাম করা। ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের ওয়ার্কার বলা।
তিনি বলেন, একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদের ওয়ার্কার বলতে হবে, আমি সেটা নাকচ করে দিয়েছি।
আমি বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদের আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে, ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে, তাদের ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে, আমরাও চাই না।
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
তিনি বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশ হবে শুধু তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। সকল শ্রমিকদের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সাম্প্রতিক বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও আধাসামরিক সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অনুপস্থিতিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, আজ (সোমবার) মিয়ানমার বর্ডার পুলিশের প্রায় ৭৮ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এসব বিজিপি সদস্যকে সেখানকার একটি স্কুলে রাখা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে তাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের ফেরত পাঠাতে না পারলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের বিষয়ে সরকার জানে এবং মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় স্কুল বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার সম্পন্ন করতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সরকার তা নেবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ধরা হবে। হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, যে যে পদক্ষেপ সরকারের নেওয়া উচিত সেটা সরকার নেবে।’
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে র্যাব ব্যর্থ কি না এবং এই তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাব তদন্তে ব্যর্থ সেটা বলব না। তবে তদন্তের কাজের পরিবর্তন প্রয়োজন হলে সেটাও করব। ঘটনা যেমনভাবে ঘটেছে যেকোনো সংস্থার জন্য এটা একটু কঠিন তদন্ত শেষ করা।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
১২ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনির মৃত্যুবার্ষিকী কিন্তু বিচার না হওয়ায় পরিবারের হতাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের পর আমাদের হতাশাও ছিল কারণ হত্যার পরে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিচারকার্য শেষ করেছেন। এরপর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও করেছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখন আর নেই।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অহেতুক গ্রেপ্তার বা কারাগারে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
তবে আদালত ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে রায় দেবেন তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্টদের বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়িয়ে দ্রুত সেবা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইন, বিচারক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এছাড়া আইনমন্ত্রী মামলা জট কমাতে উচ্চ আদালত ও অধঃস্তন আদালতের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোসহ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমকে জোরদার করতে বলেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর চলমান কাজের অগ্রগতি জানতে ও নতুন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে আইন ও বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা নিজ নিজ দপ্তর বা সংস্থার কাজের অগ্রগতি, সমস্যা, সাফল্য ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
এরপর আইনমন্ত্রী তার দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নিজ নিজ দপ্তরের কাজের গতি বাড়াতে বলেন। চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এসময় মামলাজট কমাতে বিচার বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
নতুন আদালত ভবন নির্মাণ, পুরাতন আদালতভবন ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ ও ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের আদালতে দণ্ডিত সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ই- জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে বিচারকার্যের গতি বাড়বে। ফলে মামলা জট কমবে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধি ও দেওয়ানি কার্যবিধির সংশোধন ও বাংলা অনুবাদের খসড়া তৈরির জন্য গঠিত কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে খসড়া তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।
প্রতি দুই মাসে একবার সমন্বয় সভা করে দপ্তর/সংস্থার কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করার কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এছাড়া এটি অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বর্তমান সংসদে এমপিদের সংখ্যা এবং এ সংক্রান্ত আইনের অস্পষ্টতার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলব, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।
কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।
বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূত আইনমন্ত্রীকে জানান, মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন হিসেবে মনে করেন এবং তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উন্নয়নেও তারা উভয়ই একমত পোষণ করেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই (সংসদে) উঠবে, অবশ্যই পাস হবে।’
আরও পড়ুন: দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, “আইএলও’র গভর্নিং বোর্ডের মিটিং আগামী মার্চে হবে। আমাদের যে অগ্রগতি ও এই শ্রম আইনের ব্যাপারে কী সব কাজ করছি তার একটা ব্রিফিংয়ের জন্য আজকের মিটিংটা ছিল।”
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। মন্ত্রণালয়কে তিনি কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখেন তারই প্রতিফলন এটা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্রিফ করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করার পরই সবকিছুর আলোচনা আপনাদের সঙ্গে করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আমি আপনাদের কোনো তথ্য দিতে পারব না।’
আরও পড়ুন: দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই: আইনমন্ত্রী
শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়েও আজকে আমরা আলোচনা করেছি। এখানেও যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটা পরিবর্তন এনেছি, আমি খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করব।’
স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করা আপনারা যৌক্তিক মনে করছেন কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘শ্রমিকরা যেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য সেটাই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী