জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, তারা বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই, বিএনপির সঙ্গেও নেই।
কাদের বলেন, ‘জাপা যেকোনো দলের বন্ধু হতে পারে, কিন্তু কারও দাসত্ব করবে না।’
রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলি, আমরা দেশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি দেখে অনেকেই মনে করছেন, আমরা অন্য কারো সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা আসলে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করছি। কারো সাথে নাকে খদ দিয়ে রাজনীতি করবো না। কারো দালালী করতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নয়।
এসময় কাদের আরও বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম-এ নির্বাচনের বিরোধীতা করছি। আমরা মনে করি, ইভিএম-এ কারচুপির সুযোগ আছে। ইভিএম-এ কারচুপি করে ফলাফল ঘোষণা হলে, চ্যালেঞ্জ করা যায় না।
আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কেউ কেউ মনে করছেন, একটি দল নির্বাচনে কারচুপি করে বিজয়ী হয়ে শর্টকাট পদ্ধতিতে তাদের মন্ত্রী-এমপি করবেন। এটা যারা মনে করেন তারা জাতীয় পার্টির জন্য জীবাণু। তাদের জাতীয় পার্টি থেকে চলে যেতে হবে অথবা সংশোধন হতে হবে। আমরা শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়তে, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো। প্রয়োজনে অপ্রিয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হবো না।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুর্নীতি, দুঃশাসন আর দলীয়করণের মাধ্যমে দেশের মানুষের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তাই, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় একটি শক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ এখনো জাতীয় পার্টির স্বর্নালী যুগের কথা মনে রেখেছেন। তারা আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতেই রাজনীতি করছি।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার সংবিধান কাটাকাটি করে এক ব্যক্তির হাতে সকল ক্ষমতা দিয়েছে। নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা এবং বিচার বিভাগের বেশির ভাগই এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রনে। এটা কখনোই গণতন্ত্র হতে পারে না।
এসময় ফখরুল ইমাম এমপি, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন মুক্তি এবং ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, ময়মনসিংহের সকল উপজেলা এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের
কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
নির্বাচনের আগে প্রগতিবিরোধী দলের শাসন অশনি সংকেত: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের বারবার বাধা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য অশুভ লক্ষণ।
শনিবার আততায়ীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিরোজপুরের জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলামকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে না পারলে আগামী দিনে দেশে মারাত্মক রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারেনি তার দল। তাদের দল গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশের জন্য সমাবেশ করার চেষ্টা করেছিল।
কাদের আরও বলেন, ‘আমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হই, তাহলে রাজনীতি কীভাবে স্বাভাবিক হবে এবং স্বাভাবিক রাজনীতি কোথায় বিরাজ করবে? যদি এভাবে স্বাভাবিক রাজনীতির পথ রুদ্ধ করা হয়, তাহলে আমি আশঙ্কা করছি দেশ ভবিষ্যতে বড় ধরনের সহিংসতার দিকে যাবে এবং এটা আসন্ন নির্বাচনের জন্য অশুভ লক্ষণ‘।
সংসদের উপনেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে একটি বার্তা দিচ্ছে যে তারা আগামী নির্বাচনে তাদের পেশীশক্তি ব্যবহার করতে প্রস্তুত। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা সহিংসতায় বিশ্বাস করি না।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদি এসব করতে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে এখানে স্বাভাবিক রাজনীতি চলবে না। স্বাভাবিক রাজনীতি হিংসাত্মক রাজনীতিতে রূপ নিবে এবং স্বাভাবিক রাজনীতি শেষ পর্যন্ত বিলুপ্ত হতে পারে, আমাদের জন্য একটি বিশাল বিপদ ডেকে আনবে’।
জিএম কাদের বলেন, তিনি গুরুতর আহত শফিকুলকে দেখতে গিয়ে তার অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুসখালী ইউনিয়নে স্থানীয় জাপার সাধারণ সম্পাদক শফিকুলকে (শফিকুল) স্থানীয় আদালতে যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা কুপিয়ে তার একটি পা কেটে ফেলেছে।
জিএম কাদের দুঃখের সঙ্গে বলেন, ‘শফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। এখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বেঁচে গেলেও তাকে সারাজীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়েই থাকতে হবে’।
তিনি শফিকুলের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে প্রগতিবিরোধী দলের শাসন অশনি সংকেত: জিএম কাদের
কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ সরকার: জিএম কাদের
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে থাকবে না: জিএম কাদের
আকবর আলী খানের মৃত্যুতে জিএম কাদেরের শোক প্রকাশ
রাঙাকে জাতীয় পার্টির সব পদ থেকে অব্যাহতি
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের সংবিধানের ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যান জিএম কাদের তার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গৃহীত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
দলটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা এখনও সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ পদে আছেন।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার সময়েই এমন অপসারণের ঘটনা ঘটলো।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ আকস্মিক ২৬ নভেম্বর দলের জাতীয় কাউন্সিল করার ঘোষণা দেন।
এর একদিন পর জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল রওশন এরশাদকে বাদ দিয়ে জিএম কাদেরকে সংসদের প্রধান বিরোধী নেতা করার অনুরোধ জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
২ সেপ্টেম্বর দেয়া এক বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষ একটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে।
দলটির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পদচ্যুত করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
২০২০ সালের ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদের দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙাকে পদ থেকে সরিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে ওই পদে মনোনয়ন দেন।
এরপর বাবলু মারা গেলে গত বছরের ১০ অক্টোবর দলের কো চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নুকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনোনীত করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
অসুস্থ রওশনকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা থেকে সরাতে চায় জাপা
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে রওশন এরশাদকে সরাতে জাতীয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের অনুরোধ সম্বলিত একটি চিঠি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে দিয়েছে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল।
বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা জনিত কারণে বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এসময় জিএম কাদের সংসদীয় উপনেতা হিসেবে কাজ করছেন।
পড়ুন: জাতীয় পার্টির মহাসচিব রাঙ্গার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মামলা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে জাপা প্রতিনিধি দল স্পিকারের চিঠি দপ্তরে চিঠিটি প্রদান করেন।
চুন্নু বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, দীর্ঘদিন ধরে তিনি সংসদে আসতে পারছেন না। জাতীয় পার্টির ২৬ জন সংসদ সদস্যের সংসদীয় দলের ২৩ জনের উপস্থিতিতে ও একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া অপর একজন টেলিফোনে তার মতামত জানিয়েছেন,পরে তিনি সাক্ষর করবেন।’
চুন্নু বলেন, জাতীয় সংসদ ভবনের জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের কার্যালয়ে এক বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতা পরিবর্তন ও তা স্পিকারের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
রওশন বর্তমানে ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘এরূপ বক্তব্য আমাদের বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্য বিব্রতকর। এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের গুণীজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সরকারকে সহযোগিতা করতে তিনি অনুরোধ করেছেন।
হিন্দু ধর্মের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, দেবতা কৃষ্ণ দুষ্টকে ধ্বংস করতে ও সত্য প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীতে এসেছিলেন। ‘কিন্তু আমাদের দেশে দুষ্টরা নিরাপত্তা পাচ্ছে আর ভালোরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেবল সংখ্যালঘুরা নয় মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক কারণে দেশ ছাড়ছে।’
আরও পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সৎ মানুষরা চাকুরি পাচ্ছে না এবং আদর্শিক মানুষ ব্যবসাও করতে পারছে না।’
অনেক মানুষ বাঁচার জন্য দেশত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ ও বিচার।’
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করা হয়। জবাবদিহিতার অভাবে প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। যদি কেউ এর সমালোচনা করে তাহলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা নিশ্চিত করতে অবশ্যই সমালোচনা সহ্য ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
জিএম কাদের আরও বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিষয় তুললেই সরকার হাস্যকরভাবে উড়িয়ে দেয়। ‘ফলশ্রুতিতে বিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যাবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছি।’
নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
জিএম কাদেরের কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা চেয়ে মামলা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মাদ কাদেরের (জিএম কাদের) সব কার্যক্রম অববৈধ ঘোষণা চেয়ে ঢাকার দেওয়ানি আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ মো. জুলফিকার হোসাইন রনির আদালতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাফিজ মাহবুব এ মামলা করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে মানুষ: জিএম কাদের
মামলায় জিএম কাদের ছাড়াও জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
এরপর গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের
তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ৫ মার্চের বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়।
দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে: জিএম কাদের
দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চরিত্রগত কোন প্রার্থক্য নেই। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বৈরতন্ত্রে চলছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম বলেন, দেশের মানুষ সঠিক কথা বলতে ভয় পায়। দেশের মানুষ চেয়ে আছে তৃতীয় শক্তির দিকে। জাতীয় পার্টি হতে পারে সেই বিকল্প শক্তি। এজন্য দলীয় নেতা কর্মীদের আরও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘বেগমপাড়ার’ যাত্রীদের জন্য বিমানের ফ্লাইট চালু: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ৯১ এর পরের সরকারগুলো এরশাদের নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্ত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পরও তার নাম মুছে দেয়া সম্ভব হয়নি।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কোন নৈতিক পার্থক্য নেই। দুর্নীতিতে বিএনপি চারবার, আওয়ামী লীগ একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিএনপি দেশে প্রথম বিচার বহির্ভূত হত্যা শুরু করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে অথচ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে তারা।
তিনি বলেন, রমজান আসন্ন। দ্রব্যমূল্যে দিশেহারা মানুষ। নিত্যপণ্যের বাজারমূল্য চরমে। উন্নয়নের কথা বলে দেশের মানুষকে গলা টিপে মারছে। সামনে যদি ইউক্রেনে যুদ্ধ আরও বেড়ে যায় তাহলে ভবিষ্যৎ কি হবে?
আরও পড়ুন: পল্টনে বাম জোটের হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
জিএম কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন মাত্র তিনটি দল আছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। নির্বাচনের সময় তিনটি জোট হবে। একটি সরকার বিরোধী, আরেকটি সরকারের। বর্তমান সময়ে বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে রয়েছে। সুতরাং নেতৃত্ব জাতীয় পার্টির কাছে আসতে পারে। তাই তিনি জাতীয় পার্টির সকল নেতাকর্মীকে সংঘবদ্ধভাবে থাকার আহ্বান জানান।
জেলা আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদের সভাপতিত্বে মুজিবুর রহমান ও জহির মজুমদারের সঞ্চালনায় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় পার্টি মহিলা পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমা আক্তার এমপি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
রাজনীতিতে পরিবর্তন চায় মানুষ: জিএম কাদের
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে মানুষ বিকল্প শক্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের মুক্তির জন্য জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিয়মকালে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: দেশে এখন নির্বাচন মানে খুন ও আতঙ্ক: জিএম কাদের
তিনি বলেন, বিশ্ব রাজনীতির পরিবর্তেন ঢেউ বাংলাদেশেও পড়েছে। দেশের মানুষ রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন চায়।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে তাদের দল রাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির ওপর আস্থা থাকায় দলটি থেকে অনেক প্রত্যাশা করে মানুষ।
জিএম কাদের বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং তাদের উন্নয়ন নিশ্চিতে জাতীয় পার্টি তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান ফখরুলের
দেশে এখন নির্বাচন মানে খুন ও আতঙ্ক: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশে এখন নির্বাচন খুন ও আতঙ্কের নাম।
তিনি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধসে পড়েছে। এটা এখন খুন ও আতঙ্কের নাম।’
বুধবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে: বিএনপি
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের উপনেতা জিএম কাদের বলেন, মানুষ ভোটের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে এবং তারা এখন আর ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না।
অনুষ্ঠানে সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্টে কর্নেল (অব.) তছলিম উদ্দিন জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। ‘মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে হবে এবং এ জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন।’
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটি যে নামের তালিকা দেবে তা জানতে চায় মানুষ। ‘সার্চ কমিটির প্রস্তাবনা প্রকাশ করা উচিত।’
তিনি বলেন, এর আগে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দিয়ে কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছিল দলটি।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু কমিশনকে ক্ষমতা দেয়া হয়নি। তাই কমিশনকে দলীয় সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হবে।’
ক্ষমতাহীন নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন জিএম কাদের।
জিএম কাদের করোনায় আক্রান্ত
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য শনিবার তার করোনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
রবিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিএম কাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের বাসায় বিশ্রামে আছেন। তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। নিয়মিত ওষুধ ও খাবার খাচ্ছেন।
তিনি সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখন 'বন্ধুহীন': জিএম কাদের
মানবাধিকার ইস্যুতে আপস করবে না জাপা: জিএম কাদের
স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের