বিক্ষোভ
মিশিগানে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ
মিশিগানের গ্র্যান্ড র্যাপিডসে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যার ঘটনায় বেশ কয়েকদিন ধরে অঞ্চলটিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, গ্র্যান্ড র্যাপিডস পুলিশ বিভাগ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক পুলিশ অফিসারের ব্যাপক গুলিবর্ষণের মুখে প্যাট্রিক লিওয়া নিহত হয়েছেন। এই ভিডিও প্রকাশের পর বুধবার প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়।
প্যাট্রিক লিওয়া (২৬) ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো থেকে আসা একজন উদ্বাস্তু। গ্র্যান্ড র্যাপিডসের একটি বাড়ির সামনের বাগানে অফিসারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর তিনি নিহত হন। যদিও ঘটনায় জড়িত অফিসারের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: মহাকাশ স্টেশনে ৬ মাস অবস্থানের পর ফিরলেন ৩ চীনা নভোচারী
স্থানীয় টিভি চ্যানেল ডব্লিউজেডজেডএম জানিয়েছে, ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর বুধবার রাতে শত শত লোক ডাউনটাউনে মিছিল করে। এসময় তারা লাওয়াকে গুলি করা অফিসারের নাম প্রকাশের দাবি জানায়।
এছাড়াও গ্র্যান্ড র্যাপিডসের সম্প্রদায়ের সদস্যরা শুক্রবার রোজা পার্ক সার্কেলের ডাউনটাউনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিয়েছেন।
পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড ও অন্যান্য কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমেরিকা জুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট অনুসারে, এই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ২৫৫টি পুলিশি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
বিক্ষোভের কারণে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: মাহিন্দা রাজাপাকসে
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে দেশটিতে কয়েক সপ্তাহের গণবিক্ষোভের অবসান ঘটানোর জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা কয়েক দশকের মধ্য দেশের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সরকারের পদত্যাগের দাবি করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
বিদেশি রিজার্ভ তলানিতে এবং ২৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত দেশটি এখন দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
আরও পড়ুন: গণবিক্ষোভের মুখে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের
জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে রাজাপাকসে বলেছেন, সরকার দেশকে পুনর্গঠনের জন্য একটি পরিকল্পনা করছে। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করে ‘প্রতি সেকেন্ড’ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে দেশ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়ার সুযোগ হারাচ্ছে।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা তার পদত্যাগের দাবিতে সোমবার তৃতীয় দিনের মতো প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রবেশপথ দখলে রেখেছে।
খাদ্য ও জ্বালানি কেনার জন্য জরুরি ঋণের জন্য চীন ও ভারতের সাহায্য চেয়েছে দেশটির সরকার।
মাহিন্দা রাজাপাকসে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণ হিসেবে করোনা বিধিনিষেধ এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আয়ের ক্ষতিকে দায়ী করেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগের আহ্বান আইনপ্রণেতাদের
সংকট সমাধানে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণের আহ্বান শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টের
দেশের চলমান সংকটের সমাধান খুঁজতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে সরকারের সঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশটির মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীরা তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই আহ্বান জানানো হয়।
সোমবার একটি বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের মিডিয়া বিভাগ বলেছে, বর্তমান সঙ্কটটি বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক কারণ ও বৈশ্বিক উন্নয়নের ফলাফল এবং একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় একসঙ্গে ২৬ মন্ত্রীর পদত্যাগ
কারফিউ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ
চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ও কারকিউ জারি করেছেন। তবে প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে মিছিল করেছেন লঙ্কান বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতা ও জনগণ।
এদিকে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হলে রবিবার প্রায় ১৫ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এসব প্লাটফর্মে ঢুকতে পারেননি। পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পুনরায় চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি
বিক্ষোভকারীরা দেশটির এমন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে দায়ী করেন এবং তার পদত্যাগের দাবিতে এসব প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তারা বিক্ষোভ সংগঠিত করেন।
শুক্রবার মধ্যরাতে রাজাপাকসে জরুরি ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং সোমবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে রবিবার দ্বীপ দেশটিতে আরও বেশি বিক্ষোভ হয়েছে।
বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টে দেখা গেছে, তরুণরা সরকারবিরোধী স্লোগান ও গান গাইছেন।
রাজধানীতে, ‘দমন বন্ধ করুন’ এবং ‘গোতা গো হোম’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে আইনপ্রণেতারা কলম্বোর প্রধান চত্বরের দিকে মিছিল করে স্লোগান দেন। ‘গোতা’ হলো প্রেসিডেন্টের প্রথম নামের সংক্ষিপ্ত রূপ।
সশস্ত্র সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তারা চত্বর অভিমুখী সড়কে ব্যারিকেড স্থাপন করে রাখেন। চত্বরটি ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন থেকে দেশটির স্বাধীনতার স্মরণে নির্মিত।
সেনা সদস্যদের উদ্দেশে বিরোধীদলীয় নেতা সজিথ প্রেমাদাসা বলেন, ‘এটি অসাংবিধানিক। আপনারা আইন লঙ্ঘন করছেন। যারা কষ্ট পাচ্ছে তাদের কথা চিন্তা করুন। আপনি কেন এমন সরকারকে রক্ষা করছেন?’
আরেক আইনপ্রণেতা নলিন বান্দারা বলেছেন, ‘তারা কতদিন জরুরি অবস্থায় শাসন করতে পারবেন?’
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি
শ্রীলঙ্কার বিশাল ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং বৈদেশিক রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। দেশটি আমদানির জন্য অর্থ পরিশোধেও লড়াই করছে। মানুষ জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় দেশটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ জন্য প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা দেশটিতে বিদ্যুৎ থাকছে না।
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য দায়ী করা হচ্ছে- দেশটির সরকারের রপ্তানি ক্ষেত্রে বৈচিত্র না আনা এবং চা, পোশাক ও পর্যটনের মতো ঐতিহ্যবাহী উৎসের ওপর নির্ভরতা এবং আমদানি করা পণ্য ভোগের সংস্কৃতিকে।
করোনা মহামারিও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত দুই বছরে দেশটির সরকার ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
লঙ্কান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে সাড়ে ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা গত মাসে ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং তা আরও বাড়তে পারে।
তীব্র এই অর্থনৈতিক সংকট দ্বীপ দেশটির সর্বস্তরের মানুষের ওপর আঘাত হেনেছে। মধ্যবিত্ত পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী যারা সাধারণত সড়কে প্রতিবাদ করেন না তারাও দেশের অনেক জায়গায় রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করেছেন।
বিক্ষোভের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে শুক্রবার দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
দ্বীপ দেশটিতে চরম অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করে তার বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ পরিকল্পনার একদিন পর এ আদেশ জারি হলো।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পাবলিক সিকিউরিটি অধ্যাদেশ আরোপ করেছেন যা তাকে জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিদ্রোহ দমন, দাঙ্গা বা নাগরিক বিশৃঙ্খলা বা প্রয়োজনীয় সরবরাহের রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়।
এছাড়া তিনি গ্রেপ্তার অনুমোদন, যে কোনো সম্পত্তির দখল এবং যে কোনো স্থানে তল্লাশি করতে পারবেন। এছাড়া তিনি যেকোনো আইন পরিবর্তন বা স্থগিতও করতে পারেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে বিক্ষোভের জেরে কয়েক ডজন মানুষককে গ্রেপ্তারের একদিন পর এই আদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া রবিবার দেশব্যাপী জনবিক্ষোভের ডাকও দেয়া হয়েছে।
এদিকে রাজধানী কলম্বোর উপকণ্ঠে আরোপ করা কারফিউ শুক্রবার সকালে তুলে নেয়া হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘ লোডশেডিং ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতির জন্য রাজাপাকসেকে দায়ী করেছেন।
শ্রীলঙ্কার বিশাল ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং বৈদেশিক রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। দেশটি আমদানির জন্য অর্থ পরিশোধেও লড়াই করছে। মানুষ জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় দেশটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ জন্য প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা দেশটিতে বিদ্যুৎ থাকছে না।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার ঋণের অনুরোধ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: মোমেন
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য দায়ী করা হচ্ছে- দেশটির সরকারের রপ্তানি ক্ষেত্রে বৈচিত্র না আনা এবং চা, পোশাক ও পর্যটনের মতো ঐতিহ্যবাহী উৎসের ওপর নির্ভরতা এবং আমদানি করা পণ্য ভোগের সংস্কৃতিকে।
করোনা মহামারিও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গত দুই বছরে দেশটির সরকার ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
লঙ্কান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে সাড়ে ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা গত মাসে ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং তা আরও বাড়তে পারে।
সেনাসদস্য হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ
বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
বৃহস্পতিবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমানের নেতৃত্বে শহরের বনরূপা পেট্রোল পাম্পের সামনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, আহত ২
এর আগে সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা পেট্রোল পাম্পের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাঙ্গামাটিসহ বিভিন্ন উপজেলার থেকে আসা পাঁচ শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে থেকে বিক্ষোভকারীরা পার্বত্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযানসহ সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপনের দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সন্তু লারমার জেএসএসসহ আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির কারণে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ। সেনাবাহিনীর ওপর হামলায় সার্বভৌমত্বই হুমকির মুখে। দিন দিন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো অত্যাধুনিক ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চড়াও হচ্ছে। তাই পাহাড়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে কঠিন ভূমিকা নিতে হবে সরকারকে।’
১৯৭১ সালের মতো আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ করে বৈষম্য দূর করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
বক্তারা অবিলম্বে পার্বত্য এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, রাঙ্গামাটি জেলা পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সহ সভাপতি নাদিরুজ্জমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, জেলা নেতা কাজী মো. জালাল উদ্দিন জালোয়া, আবু বক্কর মোল্লা, হাবীব আজমসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে মাথায় গুলি চালিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের ‘আত্মহত্যা’
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার বথিপাড়ায় সেনাবাহিনীর টইল দলকে লক্ষ্য করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান নিহত হন। মো. ফিরোজ নামের এক সৈনিক আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তিন সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএমটি, তিনটি বন্দুক, ২৮০ রাউন্ড গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
রাবিতে ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মহানগর ও জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে প্রশাসনের তদারকি করার দায়িত্ব ছিলো। কিন্তু প্রশাসন সেই দিকে কোনো দৃষ্টিপাত করেনি। ফলে বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় ছাত্র হিমেল মারা গেছে। এঘটনায় নিহতের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি ছাত্রের মৃত্যু: প্রক্টরকে অব্যাহতি
মহানগর শাখার সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান রাকিবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রচার-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক বিজন সিকদার, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আহবায়ক লামিয়া সাইমন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা শাখার সদস্য কাজল দাস, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হাওলাদার, জেলা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সদস্য জহুরা রেখা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত, চালক গ্রেপ্তার
মিয়ানমারে জান্তা অভ্যুত্থানের বছরপূর্তিতে আটক অর্ধশতাধিক
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী বিক্ষোভ আয়োজনের পরিকল্পনা করে বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তাবাহিনী কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
সেনা শাসনবিরোধীরা বিক্ষোভের অংশ হিসাবে অসহযোগ কর্মসূচি পালন করে। এসময় তারা শহরগুলোর রাস্তাঘাট ফাঁকা রাখতে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে এবং সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে তারা ‘নীরব ধর্মঘট’ পালন করে।
পরবর্তীতে গণতন্ত্রপন্থীদের সমর্থকরা হাড়ি-পাতিল বাজিয়ে ও হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সেনা অভুত্থানের ১ বছর: সেনাবাহিনীর ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘের
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অং সাং সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ২০২০ সালে নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভের পর সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ বছর দেশশাসন করার ম্যান্ডেট পায়।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠা বন্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দেয়ার পর কমপক্ষে ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জান্তা অভুত্থানের এক বছর পূর্ণ হওয়ার বিষয়ে বলেন, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক শাসন ফিরিয়ে আনতে ও অং সান সু চি ও অন্যান্য বন্দিদেরকে মুক্তি দিতে এবং সকল দলের অংশগ্রহণে কার্যকর সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড
সু চির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলার রায় স্থগিত
বরিশালে পরীক্ষার দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বরিশালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চালু ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সরকারি বিএম কলেজের সাধারন শিক্ষার্থী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বিএম কলেজ শাখা।
আরও পড়ুন: বরিশালে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রথমে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সড়কে মানববন্ধন করে। এছাড়া ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা একই দাবিতে কলেজের সামনে মানববন্ধন করেছে।
শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সাত কলেজে পরীক্ষা চলছে। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সমস্ত পরীক্ষা করোনার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার ফলে মাত্র দুই-তিন বিষয়ের পরীক্ষা তাদের আটকে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি’র এমডি’র বিরুদ্ধে বরিশালে চেক প্রতারণার ৩ মামলা
তিনি আরও জানান, তাছাড়া বাণিজ্যমেলাসহ নানা কর্মকাণ্ড চালু রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়া এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
পরে তারা কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।
এবিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে সঙ্গে কথা বলছি।
পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ
বিনা নোটিশে সরকারের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকালে তারা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে এই প্রতিবাদ জানায়।
সকাল ৯ টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে এবং প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ দেখায়। রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় শিক্ষার্থীদের এই সড়ক অবরোধে যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতা অপহৃত: খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী ইউএনবিকে বলেন, তাদের পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে আগে জানানো হয়নি। পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পরই তারা বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
সকাল ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শেষে শিক্ষার্থীরা ঢাবি ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে তারা নিয়ন্ত্রকের অনুরোধে ইডেন কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে যান।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
সরকারি বাংলা কলেজের ছাত্রী রাবেয়া বলেন, হঠাৎ করে পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদে ব্যস্ত নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিলাম।
এর আগে শুক্রবার দেশে করোনার বিস্তার রোধে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।