মানববন্ধন
রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘মিডিয়া ফর ডেভালপমেন্ট অ্যান্ড পিস’ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। রবিবার এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ‘রাজনীতির নামে জ্বালাও-পোড়াও নাশকতা বন্ধ করো, নির্বাচন-ই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ’ শীর্ষক এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মানববন্ধনে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, পত্রিকার সম্পাদকদের মধ্যে হেমায়েত উদ্দীন, হেদায়েত উল্লাহ প্রমুখ অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, রাস্তায় নেমেছেন। বিএনপি-জামায়াত হরতাল, অবরোধ, সমাবেশের নামে একজন পুলিশ সদস্যকে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, ড্রাইভার-হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদেরকে পিটিয়েছে, যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে এম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, সেগুলো কোনো মুভির নৃশংসতম দৃশ্যপটকেও হার মানিয়েছে। এগুলো রাজনীতি তো নয়ই, অপরাজনীতি বললেও ভুল হবে। রাজনীতির নামে পৃথিবীর কোথাও এ ধরণের নৃশংসতা হয়নি, যেটি বিএনপি-জামায়াত করছে। এরা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সবাইকে এদের প্রতিহত করতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, আজকেও হচ্ছে এবং এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্র যুক্ত আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত ষড়যন্ত্রকে উপড়ে ফেলে আজকে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে, উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন আমরা উপহার দিতে পারবো।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক ভাই-বোনদের অনুরোধ জানাবো আপনারা জনগণের পাশে আগেও ছিলেন, এখনো আছেন, আজকে যেভাবে মুখ খুলেছেন, ভবিষ্যতেও এমনই থাকবেন। আর যারা জনগণ ও গাড়ি-ঘোড়ার উপর হামলা চালায়, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, তাদের খুঁজে বের করে সমূলে উৎপাটন না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।
এছাড়া পুলিশ দল ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে।
দলটির বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দীনের নেতৃত্বে দলের রাজনৈতিক নিবন্ধন মামলা, একতরফা নির্বাচনের তফসিল, গুপ্ত হত্যা, গণগ্রেপ্তার, ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনে মানববন্ধন করা হয়।
তারা অভিযোগ করেন, হঠাৎ পুলিশ গুলি ছুড়ে, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫০
তাৎক্ষণিকভাবে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর (প্রধান) নুরুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী জানান, সকালে শহীদ ফারুক সড়কে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করার সময় লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এ ঘটনায় দলের ৩ জন সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন পর রবিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দলটি রাস্তায় নেমেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
জামায়াতের অর্থের ‘জোগানদাতা’ ডা. ফাতেমাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর গুম ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামী রবিবারের (১০ ডিসেম্বর) কর্মসূচি সফল করতে দলের প্রস্তুতির কথা বলেন।
রাজধানীতে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবেন বলে জানান তিনি।
রিজভী দাবি করেন, ‘বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি ইউনিট এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।’
এছাড়া এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরতে তাদের দলের সব জেলা ইউনিট একই দিনে একই সময়ে কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যদি কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধ ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
রিজভী বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে তারা সফলভাবে কর্মসূচি পালন করতে চান।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
তিনি বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী এবং যারা গুম এবং রাজনৈতিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে শুক্রবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশ পুলিশ বানচাল করার পর থেকে ১০ দফা অবরোধ ও তিন দফায় হরতাল পালন করে বিএনপি।
রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচারী’ আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানবতা ও মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার এখন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বৈরাচারী শাসনে পরিণত হয়েছে… তারা চায় দেশের মানুষ সত্য ভুলে যাক এবং তারা সমাজ থেকে সত্যকে মুছে ফেলতে চায়। তারা দেশ থেকে ন্যায়বিচার দূর করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, সরকার এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সত্য কথা বলা এবং মানবাধিকারের কথা বলা বা শান্তিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণভাবে সুশীল সমাজকে দমন করার চেষ্টা করছে, দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ বিএনপির ২১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তাদের দলের প্রায় ২০ হাজার ৪৯০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে নদীরক্ষা অন্তর্ভুক্তিসহ ৯ দাবিতে মানববন্ধন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের নদ-নদী রক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করাসহ ৯ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রকৃতিবাদী সংগঠনগুলোর নেতারা।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীতে তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নদী ও প্রকৃতি রক্ষার সংগঠন 'নোঙর ট্রাস্ট' আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনগুলোর নেতারা এ দাবি জানান।
এসময় নোঙর চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে দাবিগুলো তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন লোকশিল্পী ও গবেষক ইমরান উজ-জামান, পরিবেশবাদী লেখক ও প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন, ফজলে সানি, জাহাঙ্গীর নিপু, আমিনুল হক চৌধূরী, আহমেদুর রহমান রুমি, সংস্কৃতি কর্মী আব্দুস সামাদ ও প্রকাশক কামাল মুস্তফা প্রমুখ।
৯ দফা দাবিতে বলা হয়-
১) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের সকল নদী, খাল, বিল, হাওর-বাওড়, পুকুর, জলাশয়সহ প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণের অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্তি এবং বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ করা
২) আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯৪০ সালের সিএস নকশা অনুযায়ী সব নদী, শাখা নদী ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং সীমানা পিলার স্থাপন করে পুণরায় নদীপ্রবাহ নিশ্চিত করা
আরও পড়ুন: ছয় শতাধিক নদীর নাম ও হাজার হাজার দখলদারের তথ্য মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে সেমিনার
৩) রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া ৪৭টি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে বৃত্তাকার নৌপরিবহন চালু করা
৪) নদীর অপরিকল্পিত বাঁধ ও স্বল্প উচ্চতার সেতু-কালভার্ট সংস্কার করে পরিবহনযোগ্য নৌপথ তৈরি
৫) নদী দখল-দূষণকারী, বালুখেকো, ভূমিদস্যুদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণা করা
৬) সমুদ্র-পাহাড়, বনভূমি, প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ
৭) দেশের স্বার্থে 'জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭' অনুস্বাক্ষর করে সকল অভিন্ন নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের বাধা অপসারণ
৮) ফারাক্কা-তিস্তাসহ ৫৪টি আর্ন্তজাতিক নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন এবং
৯) দেশের নৌপথে নিহত সব শহীদের স্মরণে আগামী দিনের নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চত করতে ২৩ মে 'জাতীয় নদী দিবস’ ঘোষণা করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা।
দাবির পাশাপাশি বক্তারা বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে গত ৫২ বছর ধরে নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় ভরাট করে দখলের প্রতিযোগিতা বেড়েই চলছেই।
আবার একদিকে উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি সরিয়ে নেওয়ার ফলে বাংলাদেশের নদীগুলোতে দেখা দিয়েছে পানি সংকট অন্যদিকে দেশের মধ্যেই অতিরিক্ত পলি জমে নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
তারা বলেন, মনুষ্য সৃষ্ট নানা ধরনের শিল্পবর্জ্যের দূষণে আমাদের নদীমাতৃক দেশের প্রাণবৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে।
তারা আরও বলেন, পাশাপাশি কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নানা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে নদী ভরাট করে অথবা বালু উত্তোলন করে নদীগুলোকে ধ্বংস করেই চলছে, কোথাও আবার একাধিক নদী ব্যক্তি মালিকানায় দখলে রয়েছে।
এর অবসান হলেই কেবল দেশের পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা যাবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল: যা জানা দরকার
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত নদী রক্ষা: আনু মুহাম্মদ
১১ দফা দাবিতে বরিশালে বেসরকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, মূল বেতনের ৪০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশালে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) বরিশালের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
মানববন্ধন শেষে শিক্ষক নেতারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
বক্তারা বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা, যা বাস্তবায়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষার দরকার। যদি শিক্ষার মানোন্নয়ন না করা যায়, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে না।
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে হবে। যদি মানসম্মত শিক্ষক পেতে হয়, তাহলে শিক্ষকদের মানসম্মত সম্মানি দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের মাঝে কোনোরকম বৈষম্য যাতে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেসরকারি শিক্ষকদের পরিবার বিপর্যস্ত।
তারা বলেন, যদি ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না, আমরা এ সরকারকে বাধ্য করবো ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে।
জেলা বাকশিসের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান সেলিম, বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক কামাল চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় কলেজশিক্ষক নিহত
কুড়িগ্রামে ইয়াবা জব্দ, কলেজশিক্ষক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্মঘট ও মানববন্ধন স্থগিত বিএসবিআরএ’র
চট্টগ্রামে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুর গ্রেপ্তারের পর হাতে হ্যান্ডকাপ ও কোমরে রশি বাঁধায় ‘লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) ডাকা শনিবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে গতকাল (শুক্রবার) থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রামের সকল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার কর্মসূচিও প্রত্যাহার করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামানের সঙ্গে বিএসবিআরএ’র নেতৃবৃন্দের অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে রাতে সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা জানানো হয়।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান বলেন, সীমা গ্রুপের পরিচালকের সঙ্গে যা হয়েছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। এ ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো শিল্প মালিকের সঙ্গে না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।
আরও পড়ুন: সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএসবিআরএ'র সভাপতি আবু তাহের জানান, ‘আমাদের সম্মানিত সদস্য সীমা গ্রুপের পরিচালক জনাব পারভেজ উদ্দিন সান্টু সাহেবের পুলিশের কোমরে রশি বাঁধার ঘটনায় চট্রগ্রাম জেলা ও শিল্প পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বিএসবিআরএ'র দাবি যৌক্তিক বলে মেনে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে একইসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মানববন্ধন স্থগিতের অনুরোধ জানালে আমরা উনার কথায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করছি।’
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম সফিউল্লাহ; শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ সোলায়মান; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলমসহ বিএসবিআরএ-এর নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ১১ মার্চ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
কুমিল্লায় মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন
কুমিল্লায় মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখা।
সোমবার সকালে নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে এই মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষকরা।
এতে বক্তব্য দেন জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. জহিরুল আলম,সহ-সভাপতি মো. মোস্তফা ছারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক হানিফ মজুমদার, অধ্যক্ষ তপন চন্দ্র সাহা, মো. হাফেজ আহমেদ, মো. আব্দুল মোমেন, মো. আইয়ূব আলী, এস এম শেখ কামাল, ওয়ালীউল্লাহসহ অন্যরা।
আরও পড়ুন: সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
মানববন্ধনে বক্তারা , মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, সরকারি-বেসরকারি বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেড প্রদান, সরকারি শিক্ষদের ন্যায় বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে জেলার ১৭ উপজেলার শিক্ষক নেতারা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ১১ মার্চ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা অনুযায়ী আরেকটি 'সাজানো' নির্বাচন করতে চায়।
শনিবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য প্রতিবেশি দেশের জন্য ঘুষ হিসেবে ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি রাষ্ট্রবিরোধী বিদ্যুত চুক্তি সই করেছে।
দেশের সব মহানগর ও জেলায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা। ফখরুলের নেতৃত্বে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সংবিধানকে ‘বিকৃত’ করেছে এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুটি নির্বাচন হয়েছে জনগণের ভোট ছাড়াই… এখন তাদের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা রয়েছে। সেই নীলনকশা নিয়ে তারা ২০২৪ সালেও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চায়।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে, আর জনগণ তার প্রজা।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
১১ মার্চ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবি আদায়ে সাত রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ১১ মার্চ ঢাকাসহ বিভাগীয় সব শহরে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে ভাষানী আনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবুল চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল
তিনি বলেন, আমরা ভোটের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার, এই সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য হ্রাসসহ আমাদের ১৪দফা দাবি বাস্তবায়নে ১১ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
বাবুল নতুন কর্মসূচি সফল করতে গণতন্ত্র মঞ্চের সকল সহযোগী ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে গণতন্ত্র মঞ্চকে আরও শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। তাই এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন।
সেখানে সমাবেশ শেষে জোটের নেতাকর্মীরা ১৪ দফা দাবি আদায়ে কাকরাইল অভিমুখে পদযাত্রা করেন।
এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও সারাদেশে মহানগরের আওতাধীন সব ওয়ার্ডে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধী দল ও সংগঠন।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু, টুঙ্গিপাড়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ এনে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা কমলেশ বাগচীর ওপর হামলা করেছে রোগীর স্বজনেরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চিকিৎসকেরা।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিএমএ গোপালগঞ্জ শাখার আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ১০-১৫ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করেন ডা. কমলেশ বাগচী। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: ডিমলায় ভূয়া দলিল তৈরি করে জমি দখলকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
মানববন্ধনে চিকিৎসকেরা বলেন, টুঙ্গীপাড়াসহ সারা দেশেই বিভিন্ন সময় ডাক্তার লাঞ্ছিত হয়। তাই আমরা নিরাপদ কর্মস্থল চাই। টুঙ্গিপাড়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার না হলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মানববন্ধনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, অর্থোপেডিক চিকিৎসক জুলফিকার, চিকিৎসা কর্মকর্তা তানভীর হোসেন, চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম, চিকিৎসক মনির হোসাইন, চিকিৎসক আলিফ শাহারিয়াসহ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সংগঠন ফারিয়ার সদস্য ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের জায়েদ মুন্সী (১৭) জ্বর, শ্বাসকষ্ট, শারীরিক দুর্বলতা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কমলেশ বাগচী তাকে দ্রুত গোপালগঞ্জ সদর অথবা খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন গড়িমসি করে সময় নষ্ট করে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেননি। এমনকি রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসকের দেয়া প্রয়োজনীয় টেস্টও করাননি।
পরে দুপুরে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হলে নার্স কমলেশ বাগচীকে জানান। তখন তিনি রোগীকে দেখে মৃত ঘোষণা দিয়ে মৃত্যুসনদ দেন।
এতে রোগীর স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসককে মারধর করেন। পরে হাসপাতালে কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে কক্ষে নিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে নিহত জায়েদ মুন্সীর চাচা আরিফ মুন্সী বলেন, হাসপাতালে কোন রোগী গেলে চিকিৎসক খারাপ ব্যবহার করে। একজন নার্সকে হুকুম দিয়ে তাদের দ্বায়িত্ব শেষ। তাদের এক থেকে দুই বার ডাকতে গেলে বলে এখান থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যান। রোগীর কাছে আসতেই চায়না। এরা সব সময় তাদের ব্যক্তিগত চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবুল মুনসুর বলেন, চিকিৎসকের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান হত্যা: বিচারের দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন