জিডি
হত্যার হুমকি পেয়ে হিরো আলমের জিডি
হিরো আলম নামে পরিচিত আশরাফুল আলম সোমবার রাতে ফোন কলে হত্যার হুমকি পেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে হিরো আলম বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় জিডি করেন বলে জানান উক্ত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির।
জিডি সূত্রে জানা যায়, হিরো আলমকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে তিনটি ফোন কল আসে। সোমবার রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে তিনি প্রথম কল পান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি হিরো আলমের
জিডিতে আরও উল্লেখ আছে, ফোনকারী তাকে (হিরো আলমকে) শিক্ষা দেবে এবং সাত দিনের মধ্যে তার লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেবে বলে হুমকি দেয়।
গত ১৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম।
এ ঘটনায় হিরো আলমের একান্ত সহকারী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হিরো আলমের ওপর উক্ত ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
থানায় জিডির ৫ দিন পর ভুট্টাখেতে মিলল কিশোরের লাশ
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের পাঁচদিন পর ভূট্টাখেত থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থেকে রানীশংকৈল যাওয়ার পথে অটোরিকশা সহ নিখোঁজ হন সাইফুল ইসলাম৷ সাইফুলের সন্ধান না পেয়ে তার দাদা মুনসেফ আলী হরিপুর থানায় একটি জিডি করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রের মৃত্যু
থানায় জিডি করার পাচঁদিন পর পাশের উপজেলা রানীশংকৈল রামরায় দিঘির পাশে একটি ভুট্টাখেতে তার অর্ধগলিত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ এসে ভুট্টাখেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অটোরিক্সা চালক কিশোর সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সাইফুল হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গিপাড়া ইউনিয়নের দামোল পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, পাঁচ দিন আগে জিডি করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ নিখোঁজের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। আমরা জীবিত সাইফুলকে পাইনি, পেলাম তার অর্ধগলিত লাশ।
তবে হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ সঠিক নয়। নিখোঁজের অভিযোগ পেয়ে সাইফুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছে পুলিশ।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে। লাশ বিকৃত হওয়ায় প্রথমে স্থানীয়রা শনাক্ত করতে পারেনি। পরে তার পরিবারের লোকজন এসে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন। লাশের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
এছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আসল রহস্য জানা যাবে বলে জানান হরিপুর থানার ওসি। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী নিহত
বাঁশখালীতে ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নওগাঁয় হিজাব বিতর্ক: অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে থানায় জিডি
নওগাঁর মহাদেবপুরের দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের মারধরের গুজবের জেরে স্কুলের সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, গুজবের জেরে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনার তিনদিন পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় জিডি করেন।
জিডিতে ওই শিক্ষক লেখেন, ‘৭ এপ্রিল স্কুলে একটি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে স্কুলে হামলা করা হয়। স্কুলের আশ-পাশের গ্রামের অনেক লোক হামলা চালিয়ে স্কুলের চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করেছে।’
আরও পড়ুন: হিজাব পরা ইসলামে অপরিহার্য নয়: কর্নাটক হাইকোর্ট
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং দাউল বারবাকপুর এলাকায় কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য ঘটনার পর থেকে নজরদারি চলছে বলে জানান ওসি আজম উদ্দিন।
এর আগে ৬ এপ্রিল স্কুলের ইউনিফর্ম না পরার জন্য স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পাল সকাল ১১টার দিকে স্কুলের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ১৬ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠে।
পরে তা ‘হিজাব’ বিতর্ক নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক: বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের অভিমত আদালতের
বেনাপোলে শুল্ক কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি
চোরাচালানের পণ্য জব্দ করায় বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো. আব্দুল কাইয়ুমকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে চোরাচালান কারবারীরা। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই কর্মকর্তা।
রবিবার রাতে উপ-কমিশনার মো. আব্দুল কাইয়ুম বেনাপোল বন্দর থানায় এই জিডি করেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন,‘সত্যিকারের যাত্রীদের কোনো হয়রানি করা হয় না। অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই মাল আনলে তাদের আটক করা হচ্ছে। এখন কঠোর নজরদারি চলছে। চোরাচালানিরা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে মাল আনতে পারছে না।’
বেনাপোল চোরাকারবারীদের জন্য একটি নিরাপদ পথ হয়ে উঠেছে। কারণ চোরাচালানকারীরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে লাগেজে করে কয়েক লাখ টাকার মালামাল নিয়ে আসে, এদের ‘লাগেজ পার্টি’ বলা হয়।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
জানা যায়, দায়িত্ব নেয়ার পর কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ এক কোটি টাকার বেশি মূল্যের চোরাচালান পণ্য জব্দ করেন এবং রাজস্ব কর বাবদ ২০ লাখ টাকা আদায় করেন। এতে চোরাকারবারিরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হন।
ভুক্তভোগী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ভারতীয় চোরাকারবারিরা ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। তারা সঙ্গে আনে লাখ লাখ টাকার মালামাল। এগুলো চেকপোস্টেই বিক্রি করে ভারতে ফিরে যায় তারা।
আরও পড়ুন: হুমকি পেয়ে থানায় জিডি করলেন মুনিয়ার বোন
চট্টগ্রাম কারাগার থেকে হত্যা মামলার আসামি নিখোঁজ: থানায় জিডি
মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা: তদন্তের নির্দেশ আদালতের
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার (নন-জিআরও) কর্মকর্তা ফুয়াদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার ওই জিডি’র তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজিব হাসান।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান ডা. মুরাদের স্ত্রী জাহানারা এহসান। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মুরাদ হাসান বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন বিকালে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জাহানারা এহসান।
আরও পড়ুন: ডা. মুরাদ ও তার স্ত্রীর আগ্নেয়াস্ত্র জমা নিল পুলিশ
নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান।
সন্ধ্যায় তিনি জিডি করেন বলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানিয়েছেন।
তিনি জানান, স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন ডা. জাহানারা।
ওসি জানান, বিকাল ৩টার দিকে ধানমন্ডি পুলিশের একটি দল মুরাদের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে।
তিনি বলেন, জাহানারা অভিযোগ করেছেন তার স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। এমনকি তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও তিনি পুলিশকে জানান।
ওসি বলেন, পুলিশ তাকে থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পরামর্শ দিলে তিনি পরে জিডি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন অভিযোগটি তদন্ত করছি এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
নারীদের প্রতি অশোভন ও অশালীন মন্তব্যের জন্য গত ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে তার আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য ৪৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ নেটিজেনদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তারেক রহমানের মেয়েকে ‘বেশ্যা’ মন্তব্য করে বলেন, জাইমা রহমান প্রতি রাতে একজন কালো মানুষের সঙ্গ ছাড়া ঘুমাতে পারেন না।
আরও পড়ুন: মাত্র এক সপ্তাহে যেভাবে বদলে গেলো মুরাদের জীবন!
জাইমার বিরুদ্ধে তার অশালীন মন্তব্য নিয়ে হৈচৈয়ের মধ্যে অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন এবং অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদের দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে, মুরাদ অভিনেত্রীকে ‘ আপত্তিজনক মন্তব্য’ করেন এবং তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।
এছাড়া মুরাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ছাত্রনেত্রীদের বিরুদ্ধেও অশালীন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর দেশে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে মুরাদ মরিয়া হয়ে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসেন।
দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও মুরাদকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান তালুকদারের ছেলে মুরাদ ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালে তিনি আবার এমপি নির্বাচিত হওয়ায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রথমে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
আরও পড়ুন: কানাডা ও আমিরাতে ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরলেন মুরাদ
কানাডার পর দুবাইয়ে প্রবেশেও বাধা, আজ দেশে ফিরতে পারেন মুরাদ
হাতির বিরুদ্ধে থানায় জিডি!
চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে এসে হাতির দল ফসলি জমি নষ্ট ও মানুষ হত্যার করে চলছে। এবার সেই হাতির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে স্থানীয় এক কৃষক।
গুদাম ধান খেয়ে ফেলায় বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্টপুরা গ্রামের কুষক নিপুল কুমার সেন শনিবার থানা এই জিডি করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ২-৩টি বন্য হাতি বসত বাড়ির আঙিনায় থাকা ধানের গোলা ভেঙে প্রায় ১৫০ আড়ি (দেড় টন) ধান খেয়ে ফেলে। এসব ধানের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৫ হাজার টাকা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম বলেন, প্রায়ই পাহাড় থেকে বন্য হাতি নেমে লোকালয়ে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করছে।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, হাতি গোলার ধান খেয়ে ফেলায় এক ব্যক্তি সাধারণ ডায়েরি করেছেন থানায়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস রেলস্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে মিলটন হোসাইন (৪০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যান তিনি।
মিলটন হোসাইনের বাড়ি পাবনা পৌর চকছাতিয়ানিতে। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হোসাইন। তিনি পাবনা পৌর এলাকার জনতা ব্যাংকের আইটি বিভাগের সিনিয়র এক্সিউটিভ অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন মিলটন। কিন্তু ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে এই ট্রেনটির যাত্রাবিরতি করে। তবে স্টেশনটি অতিক্রমকালে ট্রেনের গতি কম থাকে। এ সময় স্টেশন অতিক্রম করতে ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে লাফ দেন। কিন্তু ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারীর মৃত্যু
ঈশ্বরদী রেলওয়ের জিআরপি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পকেটে একটি জিডির কপির পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে পরিবারকে খুঁজে বের করা হয়। তার পকেটে লালমনি এক্সেপ্রেস ট্রেনের একটি টিকিট পাওয়া গেছে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কর্মকার বলেন, ঘটনার পরই জিআরপি পুলিশের ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই শিশুসহ নিহত ৩
পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা: ফেরির মাস্টার ও সুকানি বরখাস্ত
পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়া 'ফেরি কাকলী'র ভারপ্রাপ্ত মাস্টার ও সুকানিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ফেরির ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং সুকানি আব্দুর রশিদ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলচলারত 'ফেরি কাকলী' সঠিকভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় উক্ত ফেরির ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং সুকানি আব্দুর রশিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় কে-টাইপ ফেরি ‘কাকলী’ পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কাকলীর ধাক্কায় পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপের সামান্য কিছু অংশের কংক্রিট উঠে গেছে। এতে সেতুর তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। তারপরও এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। ফেরিতে থাকা যাত্রী ও যানবাহনের বড় ক্ষতি হতে পারতো। এটা অত্যন্ত দু:খজনক।
ফেরি কাকলীর চালক মো. বাদল হোসেন জানিয়েছিলেন, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মাঝখান দিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু নদীর প্রচন্ড স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির একপাশে ফাটল ধরে। তবে ফাটল পানির স্তরের উপরে থাকায় ফেরিতে পানি ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রচন্ড ধাক্কায় সেতুর ১০ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপের কংক্রিট উঠে যায়। ফেরিতে থাকা এক যান আরেক যানকে ধাক্কা দেয়। অনেকেই পড়ে যান। এই সময় ফেরিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা ষড়যন্ত্র কি না তদন্ত করতে হবে: সেতুমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। সেতুর খুঁটি উঠে যাওয়ার পর কয়েক বছর ধরেই পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল করছে। তবে এ বছর কেন বারবার পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটছে।
এর আগে গত ৯ আগস্ট রাতে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে। এতে ফেরিতে থাকা দু’টি প্রাইভেটকার ও একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফেরির ৫ যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ লৌহজং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার ও হুইল সুকানীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া মঙ্গলবার যুগ্ম সচিব ও বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (কারিগরি) রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। কমিটি রিপোর্ট দেয়ার আগেই ফেরি আবার পদ্মা সেতুর খুঁটিতে আঘাত করল।
এছাড়া গত ২৩ জুলাই নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ‘শাহজালাল’ নামে রো রো ফেরির সংঘর্ষ হয়। এতে ফেরিটির কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হন।
ওই ঘটনার পরও ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমান ও সুকানী সাইফুল ইসলামকে বরখাস্ত করে বিআইডব্লিউটিসি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে আঘাত লাগলে দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত লাগে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
নবজাতক হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেলেন মা–বাবা!
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে এক শিশুকে ফেলে রেখে মা–বাবা পালিয়ে গেছেন। ১৪ দিন বয়সী ঝরনা নামের শিশুটিকে ররিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করার পর এ ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্টবিন থেকে মৃত নবজাতক উদ্ধার
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভর্তি তথ্যে শিশুটির বাবার নাম জসিম উদ্দিন ও ঠিকানার স্থানে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উল্লেখ করা রয়েছে। জরুরি যোগাযোগের জন্য দেয়া ফোন নম্বরে কল দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। শিশুটির হাত ও পায়ে জন্মগত ত্রুটি থাকায় মা–বাবা তাকে ফেলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা: মায়ের মৃত্যুর এক ঘণ্টা পর নবজাতকের মৃত্যু
হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে রোগী কল্যাণ সমিতি দেখাশোনা করছে। হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা ও রোগী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘১৪ দিনের শিশুটিকে ভর্তির দিনই তার মা–বাবা ফেলে গেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা যাবতীয় ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী কিনে দিয়েছি। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছে।’
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে বিরল টিউমার নিয়ে শিশুর জন্ম, নবজাতককে রেখে মা চলে গেলেন
চমেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডের প্রধান ডা. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, শিশুটির ক্লাবফুট (মুগুর পা) জটিলতা ছিল। চিকিৎসা করলে এ রোগ ভালো হয়। শিশুটির বাবা-মা পালিয়ে যাওয়ায় বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। শিশুটির চিকিৎসা চলছে। যেহেতু বয়স মাত্র ১৪ দিন তাই শিশু খাদ্য, স্যালাইনসহ সব কিছু ব্যবস্থা করা হয়ছে। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সদস্যরা খোঁজ খবর রাখছেন। চিকিৎসা শেষ হলে শিশুটির ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।