আধিপত্য বিস্তার
যশোরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
যশোরে আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক কন্দোলের জেরে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান শিমুলকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সোয়া ৮টার দিকে চুড়ামনকাটির আমবটতলার গোবিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিমুল গোবিলা গ্রামের সাবেক মেম্বার মোকলেছুর রহমানের ছেলে এবং আমবটতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য।
আরও পড়ুন: নাটোরে আদালত চত্বরে যুবককে কুপিয়ে জখম, আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড
স্থানীয়রা জানিয়েছে, জিল্লুর রহমান শিমুল এলাকায় রাজনৈতিক একটি পক্ষের অনুগত হিসেবে চলাফেরা করেন। দুইদিন আগে রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় গাড়িতে লাইট না থাকায় প্রতিপক্ষের একই এলাকার বুলবুল, বিল্লাল, নাইম, সোহরাব, শিমুল ও মনিরুলের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। তখন তারা জিল্লুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গোবিলা গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে দিয়ে একা যাচ্ছিলেন জিল্লুর রহমান। আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কয়েকজন তাকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় জিল্লুর রহমানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: নড়াইলের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, ৪ দিন পর মৃত্যু
নিহতের স্ত্রী নাসিমা খাতুন বলেন, ‘রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকার বুলবুল, বিল্লাল, নাইম, সোহরাব, শিমুল ও মনিরুল তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এদিন রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি বাইরে থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসছিলেন। পথিমধ্যে ওই সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
হাসপাতালটির ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে জিল্লুর রহমান মারা গেছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশের একাধিক টিম জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
সোনারগাঁয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পারভেজ হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের টেঁটাবিদ্ধসহ আটজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পারভেজ কান্দারগাঁও গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
আহতরা হলেন- জাকির পক্ষের পারভেজ, রিটন, হৃদয়, রুহুল আমিন, আক্তার হোসেন, জসীম উদ্দীন পক্ষের দেলোয়ার, জামান, কামাল, মহসিন।
আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রুহুল আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাকির হোসেন ও জসীম উদ্দীনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে শুক্রবার সোনারগাঁ রিজোর্ট সিটির মধ্য দিয়ে একটা রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটা, রামদা, লাঠি সোটা নিয়ে একে অপরের উপর হামলা শুরু করে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পারভেজ মারা যায়।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ইংল্যান্ডের টানা তৃতীয় হার, আধিপত্য শ্রীলঙ্কার
ময়মনসিংহে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ৭ জন নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানেবাড়ি গোষ্ঠি ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠি একটি পক্ষে এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠি আরেকটি পক্ষ।
একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মিয়া।
এই দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সন্ধ্যায় সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মেম্বারের পক্ষের দোলা গোষ্ঠির বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত ও তার ছেলেকে মারধর করে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়ার পক্ষের খানে বাড়ি ও সিরাজ আলীর গোষ্ঠির লোকজন।
বিষয়টি রাতেই স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সোমবার সকালে সদর থানায় মিমাংসা করার জন্য সালিশ সভা ডাকা হয়। সকালে সভা চলাকালে এলাকায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
পাবনায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
পাবনার পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মোস্তাফিজুর রহমান সিয়াম নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে পাবনা পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান সিয়াম পাবনা পৌর সদরের পৈলানপুর পাওয়ার হাউজপাড়া মহল্লার ইব্রাহিম আলীর ছেলে। সে আর এম একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কিশোর গ্যাং’র ছুরিকাঘাতে আহত ২
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় রাধানগর রথঘর এলাকায় সিয়ামের সঙ্গে তার বন্ধু সৈকত, আরিফসহ আরও কয়েকজনের পূর্ববিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শান্তিনগর এলাকায় সিয়ামকে একা পেয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সিয়ামের বাবা ইব্রাহিম আলী বলেন, একজন ফোন করে জানালো আমার ছেলেকে নাকি চাকু মারছে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। গিয়ে দেখি ছেলেটা মারা গেছে। কারা কী কারণে ছেলেটাকে মারল কিছুই বুঝতে পারছি না। যারাই এ হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
চাঁদপুরে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ১৫ সদস্য আটক
আধিপত্য বিস্তারের জন্য বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে সরকার বড় শক্তিগুলোকে সুযোগ দিচ্ছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারের অনভিজ্ঞ কূটনীতির কারণেই বড় শক্তিগুলোর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
একটি সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা চীন ও রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ব্যবহার করে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের স্বার্থ প্রচারের চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে আসার পর যা বলেছেন তাতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয়েছে যে, আধিপত্যের লড়াইয়ে বৃহৎ শক্তিগুলোর প্রভাবের ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হবে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি ও জাতির জন্য বিপদ ডেকে আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, তারা (সরকার) দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি দিচ্ছে এবং বাংলাদেশকে এমন একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য তাদের কূটনীতি অযৌক্তিকভাবে পরিচালনা করছে।
বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোভাযাত্রা বের করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। ১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দলের নারী শাখা হিসেবে মহিলা দল গঠন করেন।
ল্যাভরভ দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, মস্কো এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের শাসন ও হস্তক্ষেপ প্রতিষ্ঠার যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করবে।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে শুক্রবার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এটি ছিল রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বর্তমান আন্দোলনকে সফল করতে মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের শপথ নিতে হবে যে, যে কোনো মূল্যে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব এবং একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে (আগামী) নির্বাচন করব।
বিএনপি নেতা বলেন, তারা কোনো ধরনের সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে তাদের এক দফা দাবি আদায় করতে চান।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করাই বিএনপির লক্ষ্য।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠায় জনগণ রাজপথে নেমে আসায় বর্তমান সরকারের পতন অনিবার্য।
আরও পড়ুন: সরকার অমানবিকভাবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে: ফখরুল
সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ক্যাম্প-৮ ডাব্লিউ এর এইচ-৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন (২৪), এ-২১ ব্লকের মোহাম্মদ হামীম (১৬), ক্যাম্প-১০ এর এইচ ৪২ ব্লকের নজিবুল্লাহ, ক্যাম্প-৩ এর বি-১৭ ব্লকের নুরআমিন ও অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এআরএসএ ও আরএসও গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত: পুলিশ
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর।
৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত আরও দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও সেখানে মারা যান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে বিবাদমান কোন সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য তা নিশ্চিত করা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠি আরসা এবং আরএসওর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, পরে খবর পেয়ে এপিবিএন ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে ৫ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম পরিচালিত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ক্যাম্প এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত ১
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
মাগুরার শ্রীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে ও সন্ধ্যায় উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ ঘটে।
এসময় প্রায় ২০ টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের রুপবান বেগম (৫০) ও চম্পা বেগম (২৫), পল্টু (৪৫), আনিচ (২৭), ফরিদ জোয়ার্দার (৩৫) সহ ১০ জন আহত হয়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
এ সময় জিয়ারুল শেখ গ্রুপের মিলন, রিপন, শরাফত, সদর আলী, ইউনুস শেখ এবং ওয়াজেদ মেম্বর গ্রুপের রেজাউল, ছত্তারসহ উভয় পক্ষের প্রায় ২০ টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহেশপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়ারুল শেখ ও ওয়াজেদ আলী মেম্বর সমর্থকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার সকালে ও সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জিয়ারুল শেখ বলেন, বিভিন্ন সময় ওয়াজেদ মেম্বরের লোকজন আমার কাছে প্রতিমাসে ভাটার জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা আমার ভাটা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে তারা ইটভাটায় আমার ভাই জাকিরের ওপর হামলা করে ইট বিক্রির ৫০ হাজার ৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। হামলার পরেও তারা আমার লোকজনের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। এর পরেই মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ওয়াজেদ আলীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।
তবে ওয়াজেদ মেম্বরের ভাতিজা শরিফুল ইসলাম বলেন, জিয়ারুল শেখের লোকজন পল্টু, আনিচ ও ফরিদ জোয়ার্দারকে মারধর করে। এ সময় তারা আমাদের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে।
শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, ঘটনার পর থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী নিহত
চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী নিহত
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবলীগ কর্মী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
শনিবার বিকাল প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) মোহনপুর ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুসারী বলে স্থানীয়রা জানায়।
আহতদের মধ্যে জহির (২০) ও ইমনকে (১৮) গুলিবিদ্ব অবস্থায় মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকায় রেফার করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫
নিহত বাবুর ভাই আমির হোসেন কালু জানান যে মায়া চৌধুরীর নিদের্শে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে আসার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তার ভাই বাবু গুলিবিদ্ব হয়ে মারা যায়।
বিষয়টি মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় মুসা নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে মিজান গ্রুপের অনুসারী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পক্ষ দু’টি হচ্ছে- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া গ্রুপ এবং মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজান গ্রুপ।
ওসি মহিউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে নেওয়া হলে এক যুবক মারা যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। রবিবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রনারয়ণপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জিয়ারুল ইসলাম (৪০) একই এলাকার কসিমুদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: গরুর ধান খাওয়া নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে সুনামগঞ্জে নিহত ১
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশ কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এতে জিয়ারুলসহ অন্তত ১০জন আহত হয়।
গুরুতর আহত জিয়ারুলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।
এছাড়া সংঘর্ষে নিহত জিয়ারুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর
জৈন্তাপুরে দু'পক্ষের সংঘর্ষে মাদরাসা শিক্ষক নিহত, আহত শতাধিক
বরিশালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ২
বরিশালের মুলাদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল।
নিহতরা হলেন- হেলাল ব্যাপারী ও কামাল ব্যাপারী।
ওসি জানান, মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের তয়কা গ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ আকন ও হাজি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই দুই পক্ষের মাঝে থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হেলাল ব্যাপারী ও কামাল ব্যাপারী নামের দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এরই মধ্যে ডিবি ও পুলিশের বড় একটি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবক খুন
লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে শিশু নিহত, আহত ১০