ক্যাম্পাস
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন অব্যাহত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগ কর্মীদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শনিবারও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্র রাজনীতি সক্রিয় করার চেষ্টাকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা।
সকালে তারা ড. এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্র রাজনীতি চালুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর ১১ অক্টোবর ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির হল বরাদ্দ বাতিল করে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি প্রবেশের প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের
শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে ইমতিয়াজ রহিম রাব্বিকে বহিষ্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যেসব শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের বহিষ্কারেরও দাবি জানান তারা। তারা হলেন- এ এস এম আনাস ফেরদৌস (আইডি: ১৮১৮০০৪), মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল (আইডি: ২১০৬১০১), অনিরুদ্ধ মজুমদার (আইডি: ২১০৬০৭৯), জহিরুল ইসলাম ইমন (আইডি: ২১১২০৩১) এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদীন রিফাত (আইডি: ২১০৬১২৬)।
এছাড়া মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেমিনার কক্ষ ব্যবহারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছেন শিক্ষার্থীরা। কারণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করতে হলে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের অনুমতি নিতে হয়।
'দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি লঙ্ঘনের' অভিযোগেছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালকের পদত্যাগও দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণা দেন তারা।
শুক্রবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির কয়েকজন নেতা-কর্মী রাষ্ট্রপতির হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুয়েটের একজন দারোয়ান ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতাদের মিলনায়তন ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জালিয়াতি রোধে বুয়েট উদ্ভাবিত ডিভাইস শনাক্তকরণ যন্ত্রের সাফল্য
জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ৩ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও মো. মুরাদ।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল আমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ রাজধানীর ফার্মগেট ও নওগাঁ জেলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে যথাক্রমে মামুন ও মুরাদকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যরা হলেন- মোস্তফা মনোয়ার ওরফে সাগর সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাব্বির হোসেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জাবি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
ঢাবিতে নিরাপত্তা জোরদারে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকায় বুধবার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু করা হয়েছে।
আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুম থেকে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স অ্যান্ড মনিটরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানসহ অন্যান্য সহকারী প্রক্টর ও অনুষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্রীড়া কোটায় ঢাবিতে ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে
ক্যাম্পাস এলাকার নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে মোট ৫৮টি ক্যামেরা চালু রয়েছে।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, ‘এই ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেমের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশে পাশের বেশিরভাগ সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো এখন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
রবীন্দ্র সরোবরে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৬
চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যাওয়ার পথে চলন্ত শাটল ট্রেনের সঙ্গে গাছের ধাক্কা লেগে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় রাতভর উত্তাল ছিল চবি ক্যাম্পাস।
এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করেছেন ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন।
আরও পড়ুন: কমিটির দাবিতে চবি ফটকে ছাত্রলীগের অবরোধ
এর আগে, রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছালেই শিক্ষার্থীরা নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেন। এসময় তারা আগুন জ্বালিয়ে প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থী আহতের জবাব ও শাটল ট্রেনের বগি বাড়ানোর দাবি জানান। এ ছাড়াও জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে হাটহাজারীর চৌধুরীহাট এলাকায় চট্টগ্রাম শহর থেকে শাটল ট্রেনের ছাদে করে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই শাটলের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ছাদে চড়ে যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগেই চৌধুরীহাট এলাকার একটি গাছের ঢাল নুয়ে পড়ে। এতে বৃহস্পতিবার বিকেলেও এক শিক্ষার্থী আহত হন। রাতে অন্ধকার থাকায় ক্যাম্পাসগামী ট্রেনের ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা গাছের ডালের ধাক্কায় আহত হন। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ফতেয়াবাদ মেডিকেল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লোক প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে ক্যাম্পাসে ফিরছিলাম। ক্যান্টনমেন্ট এলাকা পার হওয়ার পর চৌধুরীহাট এলাকায় এলে গাছের একটি ডালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে তিনজন ট্রেন থেকে পড়ে যান। এ ছাড়া ১৫-২০ জনের মতো আহত হন। তার মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের অনেকের মাথা ও মুখ ফেটে গেছে।
শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক জানান, চবিতে আহত ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৩ জন আইসিইউতে, ৫ জন সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। বাকি ৮ জন ক্যাজুয়ালিটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
যারা ভর্তি আছেন তারা হলেন- আমজাদ হোসেন সোহাগ (১৮), খলিলুর রহমান (২২), অংসইনু মারমা (২১), তাইজুল ইসলাম (২১), আবু সাঈদ (২৪), মোহাম্মদ সান (২১), রাফসান (২৩), আসলাম(২২)।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক রতন কুমার চৌধুরী বলেন, ট্রেনের ছাদে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিল। তারা গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. মোরশেদুল আলম বলেন, রাতে ট্রেনের ছাদে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ১৫/২০ জনের মতো আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। আমরা আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকগুলোয় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১২টায় চট্টগ্রাম শিক্ষার্থীদের দেখতে যান চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
এসময় তিনি বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের পাশে প্রশাসন রয়েছে। চিকিৎসায় যাতে কোনো ত্রুটি না হয়, এজন্য আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২টি শাটল ট্রেন প্রতিদিন মোট ১৪ বার শহর-ক্যাম্পাস-শহর আসা যাওয়া করে। প্রতিটি শাটলে দশটি করে বগি আছে। ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতে যা খুবই অপ্রতুল। প্রতি বছর শিক্ষার্থী বাড়লেও বাড়েনি শাটলের শিডিউল। বরং লোকবলের সংকটে করোনা-পরবর্তী বন্ধ করে দেওয়া হয় নিয়মিত শিডিউলের ডেমু ট্রেন। এতে ট্রেন ও বগি সংকটের কারণে প্রতিদিন গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন শিক্ষার্থীরা। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে উঠেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চবি ফটকে তালা দিয়ে রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাবি ক্যাম্পাসের জনজীবন বিপর্যস্ত
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। সারা ক্যাম্পাস যেন 'বাসস্ট্যান্ডে' পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সারাদেশ থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। তারা তাদের গাড়িগুলো ঢাবি ক্যাম্পাসে পার্কিং করে রেখেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ শুরু হওয়ায় সকাল থেকেই নেতা-কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আসতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাবি কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে কবি জসিমুদ্দিন হলের খেলার মাঠ, মহসীন হলের খেলার মাঠ এবং সড়কের সর্বত্র যানবাহন পার্কিং করা হয়। এছাড়া, ক্যাম্পাসজুড়ে অবাধে জনসমাগমের কারণে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, বাইরে থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলের ক্যান্টিনে ভিড় জমায়।
এমনকি ঢাবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের 'গণরুম' থেকে বের করে দিয়ে বহিরাগতদের হলে থাকতে দেন।
বহিরাগতদের এই বাড়তি চাপের কারণে প্রায় প্রতিটি পুরুষ হলেই রান্না করা খাবারের ঘাটতি দেখা দেয় এবং একটু দেরিতে খাবার খেতে যাওয়া ছাত্ররা ক্যান্টিন থেকে দুপুরের খাবার খেতে পারেনি।
অন্যদিকে, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ক্যান্টিনগুলোতে বহিরাগত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের খাবার রান্নার প্রি-অর্ডার নেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো খাবার রান্না করা হয়নি।
কিছু নেতা-কর্মী খাবার ও থালা-বাসন নিয়ে সমাবেশে এসে ক্যাম্পাসে রান্না করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্বস্তিকর করে তোলে।
আরও পড়ুন: খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে আইনের বাইরে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই: কাদের
বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
ঢাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসের ডাস্টবিন থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকালে একটি ডাস্টবিন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক দীপক বালা জানান, সকাল ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের একটি বুথের পাশে ডাস্টবিনের ভেতরে কাপড়ে মোড়ানো লাশ দেখতে পান এক যুবক।
লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শাহবাগ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ভবনের একটি কক্ষে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: কোনাবাড়ীর ঝুট গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ভবনের ১২৭নং কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি রিসার্চ ল্যাবরেটরি ছিল।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কক্ষের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ও চেয়ার-টেবিল পুড়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসির শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে আগুন কক্ষের বাইরে ছড়াতে পারেনি। এর আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কারখানার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রামে টায়ারের গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
চবিতে সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সাবেক ও বহিষ্কৃত সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। একই সঙ্গে মাদক বিক্রি ও সেবন বন্ধের লক্ষ্যে ক্যাম্পাস এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে শিমুল ও নুর
সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যন্ড ডিসিপ্লিন সভার সদস্যদের সম্মতিতে ৯/১/২০২৩ তারিখে প্রদত্ত সুপারিশ-১ ও সুপারিশ-২ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সুপারিশের আলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী মাদকাসক্ত, ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন সম্ভাব্য মাদক বিক্রির স্থান ও মাদক সেবনের চিহ্নিত জায়গায় নিয়মিত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, হল ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী ছাত্রত্ববিহীন (সাবেক/বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন ব্যক্তিদের আগামী ১৫ মার্চ তারিখের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া নির্ধারিত ১৫ মার্চের পর ক্যাম্পাস এলাকায় ছাত্রত্ববিহীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কাউকে পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে ৮ কক্ষ ভাঙচুর, আহত ৩
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ক্যাম্পাসে ফিরেছে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নির্যাতিত কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ওই ছাত্রী হাইকোর্টের শনিবারের নির্দেশনার আদেশ অনুযায়ী কড়া নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(আইইউ) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার কর্মীদের হাতে নির্যাতন ও ভয় দেখানোর পাঁচ দিন পর তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে বহনকারী একটি পুলিশ ভ্যান ক্যাম্পাসে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে তাকে সরাসরি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে বেলা ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত যথাক্রমে হল কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি তার সাক্ষাৎকার নেয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন্নুর জায়েদ বিপ্লব ইউএনবিকে বলেন, শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন বলে জানান ওসি।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি আইইউ ছাত্রলীগ শাখার সহ-সভাপতি ও আবাসিক ছাত্রী শানজিদা চৌধুরী অন্তরা ওই ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নেন।
শনিবার রাতে অসুস্থতার কারণে অন্তরার সঙ্গে দেখা না করায় অন্তরা এবং তার অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুমের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী ভিকটিমের কক্ষে যায় এবং তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।
পরে, অন্তরা ও তার সহকর্মীরা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করে। অন্তরা একপর্যায়ে ভিকটিমকে কাপড় খুলে ফেলতে বাধ্য করে এবং তার মোবাইল ফোনে ‘র্যাগিং’ ঘটনার ভিডিও করে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অন্তরা হুমকি দিয়েছিল যে যদি ভিকটিম বিষয়টি কাউকে প্রকাশ করেন তাহেলে তিনি ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করবেন। সব মিলিয়ে তার অগ্নিপরীক্ষা ৪ ঘন্টারও বেশি স্থায়ী হয়েছিল বলে জানা গেছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও আইনজীবী গাজী মোহাম্মদ মহসিন বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেন।
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে এবং আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অভিযুক্তকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিযুক্ত কমিটির পাশাপাশি, ঘটনার আরও তদন্তের জন্য একটি পৃথক কমিটি গঠন করতে এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি: ঢাবির ২ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
বাংলাদেশে অফশোর ক্যাম্পাস স্থাপনের আহ্বান পলকের
আইটি খাতের দক্ষতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে রাশিয়ান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফশোর ক্যাম্পাস বাংলাদেশে স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. মান্টিটাস্কি আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে তার দপ্তরে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে তারা দুই দেশের পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা, রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ডিজিটাল কারেন্সি ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন (আইডিটিপি) ব্যবস্থার প্রবর্তন, রাশিয়ান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো রোবটিকস্, ব্লকচেইন, মেশিন লার্নিং, এআই, এআর, ভিআর ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবসা ও বিনিয়োগ, রাশিয়ান কোম্পানিগুলোর জন্য হাই-টেক পার্কে জমি বরাদ্দ, উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগে উদ্যোক্তা উন্নয়ন টেকসই স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ-রাশিয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিটের আয়োজন, ডিসেম্বরে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড সামিটে রাশিয়ান আইটি কোম্পানিগুলোকে অংশগ্রহণ, এজেন্সি ফর নলেজ অন অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন (আকাশ) প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রস্তাব রাখেন।
আরও পড়ুন:‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
রুশ রাষ্ট্রদূত এসকল বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে প্রসংশা করেন।
তিনি বলেন, অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরও এগিয়ে যাবে।
বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সৌহার্দপূর্ণ ও দৃঢ় সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
এসময় অন্যান্যোর মধ্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার থার্ড সেক্রেটারি এনথন ভারিসেনসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:গণহত্যার ৫ম বার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ
সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক