লাশ উদ্ধার
শেরপুরে ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার, স্বামী-শাশুড়িসহ আটক ৩
শেরপুরে নিখোঁজের চারদিন পর ভাড়াবাড়ির ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের সিংপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-গৃহবধূ রোকসানা বেগম (৩৫) এবং তার ছেলে রাফিদ (১১)। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী মাসেক আলী ও শাশুড়িসহ তিনজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের নবীনগর পানাইতাপাড়া এলাকার মাদকাসক্ত অটোচালক মাসেক আলী তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে শহরের সিংপাড়া এলাকার বাসেদ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন। বাসেদ মিয়া ঢাকায় চালের ব্যবসা করেন। গত ৪ ডিসেম্বর মাসেকের স্ত্রী রোকসানা বেগম ও বড় ছেলে রাফিদ নিখোঁজ হন। এ নিখোঁজের ঘটনায় রোকসানার বড় বোন সুফিয়া বেগম ৭ ডিসেম্বর শেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৫ দিন পর কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
এদিকে, মাসেক মাদকাসক্ত হওয়ায় স্ত্রী-ছেলে নিখোঁজের দুই দিন পর রহস্যজনকভাবে শহরের একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় ভর্তি হন। এদিকে, সদর থানা পুলিশ ওই সাধারণ ডায়রির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে বুধবার মাসেক মিয়াকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশ জিজ্ঞেসাবাদ করে এবং বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের সিংপাড়া এলাকার ওই ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে বাড়ির ল্যাট্রিনের কুয়ার ট্যাংকি থেকে পুলিশ মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মৃত রোকসানার স্বামী মাসেক, শাশুড়িসহ তিনজনকে আটক করে।
পুলিশের সূত্রগুলো জানায়, মাদকের নেশার টাকা নিয়ে ঝগড়ার ফলেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
শেরপুর সদর সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান মিয়া জানিয়েছেন, মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের পুরো বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত রোকসানা বেগম একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নার্সের কাজ করতেন। তার বাবার বাড়ি শহরের খরমপুর টিক্কাপাড়া মহল্লায়। রোকসানা বেগম তার স্বামী, দুই ছেলে রাফিদ ও অর্নবসহ দীর্ঘদিন যাবত শহরের সিংপাড়া মহল্লার ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ বাদল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসেক আলী স্ত্রী-পুত্রকে হত্যার কথা স্বীকার করায় মা-ছেলের লাশ ওই ল্যাট্রিনের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করা হয়। কীভাবে ও কেনো হত্যা করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলার বাগান থেকে ২ ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
নিখোঁজের ৫ দিন পর কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ভালুকায় পুকুর থেকে কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নিখোঁজের পাঁচদিন পর লাশ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুরে উপজেলার ভাকাতিয়া ইউনিয়নের আউলিয়ারচালা গ্রামের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কলেজ ছাত্রীর পারভিন আক্তার (১৭)। সে ওই এলাকার মৃত আহাম্মদ আলীর কন্যা এবং বড়চৌনা কুতুবপুর জিকে কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার ভাকাতিয়া ইউনিয়নের আউলিয়ারচালা গ্রামের কলেজ ছাত্রী পারভীন আক্তার কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। পরিবারের সদস্যরা আত্নীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
কিন্তু তার নিখোঁজের ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ বা ডায়েরি করেননি পরিবার।
তিনি আরও জানান, সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দুরে পুকুরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে নিহত পারভিনের পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। এছাড়া লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলার বাগান থেকে ২ ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
কলার বাগান থেকে ২ ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় একটি কলাবাগান থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের ওই বাগানে লাশ দেখতে পেয়ে কৃষকরা পুলিশকে খবর দেন। বিকালের দিকে লাশ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, ওই গ্রামের সন্নিকটে একটি কলা বাগানের মধ্যে কে বা কারা দুই ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।
দুপুরে এলাকার কৃষকরা জমিতে ধান কাটতে যাওয়ার সময় কলা বাগানে তাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে রায়পুরা থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: যশোরে যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
নিহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এদের বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। উভয়ের পরনে লুঙ্গি ও গায়ে শার্ট ছিল।
খবর পেয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আদিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া জানান, ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোনও স্থানে হত্যার পর লাশ দু’টি এখানে এনে রেখে গেছে খুনির দল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত দুই জনের লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত করতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঝিলের পাশে মিলল ক্ষতবিক্ষত লাশ
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে সাকিব (২০) নামে এক পিকআপ চালকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. নাইমুল হোসেন ওরফে সিয়াম (২২)।
এর আগে ২ ডিসেম্বর এ ঘটনায় র্যাব-২ ছায়া তদন্ত শুরু করে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মিজানুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেলের) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানায়, শনিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাইমুল ও মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ি চালকের হত্যার চাঞ্চাল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
তিনি জানান, ৬ নভেম্বর রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আটিবাজার বুড়িগঙ্গা শাখা নদীর পাড় থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখ স্কচটেপ পেঁচানো অবস্থায় গাড়িচালক সাকিবের লাশ অজ্ঞাত পরিচয় হিসাবে উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় তার চাচা মো. জামাল অজ্ঞাতদের আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
এঘটনায় গ্রেপ্তার মিজানুর রহমানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে নাইমুল হোসেন সিয়ামকে আটক করা হয়। তাকে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নাইমুল একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। দুই মাস আগে তার চাকরি চলে যায়। চাকরি চলে যাওয়ার কারণে তিনি বিভিন্ন জায়গায় চুরি ও ছিনতাইয়ের কাজ করতেন।
এই ছিনতাইয়ের টাকায় তার সংসার চলছিল না। তখন তিনি ও তার বন্ধু মিজানুর রহমান মিলে পরিকল্পনা করে একটি গাড়ি ছিনতাই করে সেটি বিক্রি করে যে টাকা আসবে সেই টাকা দিয়ে তারা একটি ব্যবসা করবেন। গাড়ির চালক সাকিবকে মোবাইলে কল করে আরশি নগর আসতে বলেন। সাকিব সেখানে গেলে তারা বলে আমরা মুন্সীগঞ্জ যাবো। সাকিব মুন্সিগঞ্জ যেতে রাজি না হলে তারা তাদের রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা সাকিবের হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং কালো স্কচটেপ দিয়ে তার মুখ ও মাথা পেঁচিয়ে ফেলে। এরপর রাতে তারা তাকে নদীতে ফেলে দেয়। পরে সাকিবের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার দু’জনের দেয়া তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তার নাইমুলকে রবিবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাহত শজিমেক ছাত্রের মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
কেরানীগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
চাচার বাড়িতে বেড়াতে এসে লাশ হলো সুরভী!
নরসিংদীতে চাচার বাড়িতে বেড়াতে আসা তরুণীর ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের ব্যাংক কলোনি এলাকার বাহাদুর মিয়ার বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণসাগরে জাহাজে আগুন লেগে ১৪ নাবিকের মৃত্যু
নিহত সুরভী আক্তার (২৮) কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর এলাকার মৃত সোহেল মিয়ার মেয়ে।
এর আগে শনিবার দুপুরে ব্যাংক কলোনীতে তার চাচা বাহাদুর মিয়ার বাসায় বেড়াতে আসে তরুণী।
পুলিশের ধারণা, শনিবার রাতে কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে সুরভীর দূর সম্পর্কের চাচা বাহাদুর মিয়া পলাতক রয়েছেন।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম জানান, সুরভীর লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মাহিন্দ্রা উল্টে নিহত ৩
মতিঝিলে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মী নিহত
জৈন্তাপুরে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের জৈন্তাপুরে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার ভোর ৬টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সংযোগ সড়কের তেলিজুরী এলাকাথেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত মোক্তার হোসেন (৩৮) উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের তেলিজুরী গ্রামের রহমত উল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোর ৬টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সংযোগ সড়ক তেলিজুরী রাস্তার সন্নিকটে একটি রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়।
দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেন। জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)গোলাম দস্তগীর আহমদ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল হতে রক্তাক্ত লাশটি উদ্ধার করেন।
ওসি বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ আমরা ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি।
ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিখোঁজের ৪ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর বহুমুখী আদর্শ কাঁচা বাজারের সামনের শহীদ সরণী সড়ক থেকে অজ্ঞাত শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।উদ্ধারকৃত শিশুটির কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার।
কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার দোকানের সামনে রাস্তার মাঝখানে লাল কাপড় দিয়ে পেছানো ছিল শিশুটি। মনে করেছিলাম কেউ কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে বাসার আবর্জনা ফেলে রেখে গেছেন। রাস্তায় চলাচল গাড়ির চাকায় পৃষ্ট হয়ে যখন কাপড় থেকে রক্ত ও শরীরের অংশ বেড়িয়ে আসে তখন আশেপাশের লোকজনসহ আমি এগিয়ে এসে দেখি গাড়ির চাকায় পৃষ্ট হয়ে পরে রয়েছে নবজাতকের দেহ। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, দুই-তিন দিনের বয়সের অজ্ঞাত এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যশোরে নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
যশোরের ঝিকরগাছায় নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বামনালী সায়েমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত রাহুল হোসেন (১২) ওই গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। রাহুল স্থানীয় কাওরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মৃতের চাচা রাহাজান আলী জানিয়েছেন,তার বড় বোন রবিলা খাতুনের সন্তান ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মা সার্জিনা বেগম সেখানে অবস্থান করছেন কয়েক দিন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে বাবা শাহজাহান আলী রাহুলকে বাড়িতে রেখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। দুপুর আড়াইটার দিকে মা ও বাবা বাড়ি ফিরে ছেলে রাহুলকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘরের ভিতর বিছানা করার সময় দেখতে পান ছেলে রাহুল খাটের নিচে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে খাটের নিচ থেকে লাশ বের করে আনেন। এসময় খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের এসআই সুমন বিশ্বাস গভীর রাতে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন। রবিবার লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ঝিকরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন বিশ্বাস জানান, মৃত রাহুলের মুখে ও দাঁতে রক্ত,বাম হাতের কনুই ও আঙ্গুলের পাশে ছেঁচড়ে যাওয়ার দাগ রয়েছে।
পুলিশ বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যরা লাশ বাড়িতে নিয়ে যান বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভোলায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
ঘোড়াঘাটে ভুট্টাখেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ধানখেত থেকে কোরআন হাফেজের লাশ উদ্ধার
ভোলায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় জুয়া খেলার সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মেঘনা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া যুবক নোমানের লাশ চার দিন পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে তার ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নোমান মাছঘাটের একজন শ্রমিক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাটে ভুট্টাখেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে দৌলতখান উপজেলার পাতার খাল মাছঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় নোমানসহ বেশ কয়েকজন জুয়া খেলছিল। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য জুয়ার আসরে গিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মেঘনা নদীতে নোমানসহ আরও কয়েকজন পড়ে যায়।
তাদের মধ্যে সবাই সাঁতরে তীরে উঠে আসতে পারলেও, নোমান উঠে আসতে পারেনি। এরপরই নিখোঁজ হয় নোমান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নোমান নদীতে পড়ে যাওয়ার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার না করে তাকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করতে থাকে।
তাদের ধারণা পুলিশের ইটের আঘাতে নোমান নদী থেকে সাঁতরে তীরে উঠে আসতে পারেনি।
নিখোঁজ নোমানের সন্ধানে দৌলতখান ফায়ার সার্ভিসের টিম ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়ে তার কোন সন্ধান পায়নি।
নোমানের স্বজনরা মেঘনা নদীতে ট্রলার যোগে নোমানের সন্ধান পেতে মাইকিংও করেছেন। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে রবিবার সকালে দৌলতখান উপজেলার পাতার খাল মাছঘাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যর মামলা করেন।
ওই ঘটনায় লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জহুরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ডিবি) মো. এনায়েত হোসেন এবং ভোলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম কামরুল।
এছাড়াও নিখোঁজের পর থেকে এ ঘটনায় কনস্টেবল মো. রাসেল ও সজীব নামে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং দৌলতখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বরূপ কান্তি পাল ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল রানাকে ক্লোজড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানখেত থেকে কোরআন হাফেজের লাশ উদ্ধার
উত্তরায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার: স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
ঘোড়াঘাটে ভুট্টাখেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ভুট্টাখেত থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে উপজেলার লালমাটিয়া চোককাঁঠাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসমাইল হোসেন (৩২) উপজেলার ঋষিঘাট গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
স্হানীয়রা জানান, প্রায় তিন-চার বছর আগে লালমাটিয়া গ্রামে বিয়ে করেছিল ইসমাইল হোসেন। ওই সংসারে তাদের একটি মেয়ে হয়। বনিবনা হওয়ায় তিনি প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে চাচাতো শ্যালিকাকে পালিয়ে বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করতেন। কয়েকদিন আগে আগের সংসারে থাকা মেয়েকে দেখতে গ্রামে তার ফুপুর বাড়ি আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার: স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
শনিবার রাতে তার ফুপু তার শ্বাশুড়ি ও বর্তমান স্ত্রী নারগিস বেগমসহ বেশ কয়েকজনকে মোবাইল ফোনে জানান যে ইসমাইল হোসেন ইঁদুর মারা বিষ খেয়েছে। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাননি স্বজনরা। রবিবার তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, সকালে খবর পেয়ে উপজেলার লালমাটিয়া চোককাঁঠাল গ্রামে ভুট্টাখেত থেকে ইসমাইল হোসেনের লাশ উদ্ধার করেছেন তারা।
তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের সুরতহাল রিপোর্টে তেমন কিছু চোখে পড়েনি পুলিশের।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নিখোঁজের দু'দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
ধানখেত থেকে কোরআন হাফেজের লাশ উদ্ধার