বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডে: বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার
বুধবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
চট্টগ্রামের উইকেট সাধারণত ব্যাটসম্যানদের পক্ষে থাকে। ফলে, এই সিরিজে বেশি রানের দেখা মিলতে পারে।
হেড টু হেড পরিসংখ্যানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ৫৪ ওয়ানডের মাত্র ১০টিতে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে দুই দলই চাইবে আজকের ম্যাচ নিজেদের পক্ষে রাখতে। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও ওয়ানডেতে লঙ্কানদের শক্ত প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আজ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান
শ্রীলঙ্কা একাদশ
আভিস্কা ফার্নান্ডো, পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা, জানিত লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহীশ তিকশানা, দিলশান মাদুশঙ্কা, প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমারা
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ফের বোলিং করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
দ্বৈত কর এড়াতে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের নতুন চুক্তি সই
দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে নতুন একটি চুক্তি সই হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং নেদারল্যান্ডসের কর ও কর প্রশাসনমন্ত্রী এমএলএ ভ্যান রিজ নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে প্রায় ৩০ বছর আগে ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
এরই মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে আন্তর্জাতিক রীতিনীতিতে নানা পরিবর্তন এসেছে, যেমন ওইসিডি মডেল বা জাতিসংঘের মডেল।
এছাড়া স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন চুক্তিতে ৩৩টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে করের পরিধি বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, আবার নতুন বিষয় উৎপত্তির জন্য কিছু নতুন অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়েছে।
চুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে বলা হয়েছে, নতুন চুক্তিতে বিদ্যমান বিধান সংশোধন করে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং কারিগরি সেবা ফি সংযোজনের ফলে সেবার বিপরীতে সেবা ও বিল পরিশোধের ওপর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে কর আদায় নিশ্চিত করা হবে।
নতুন চুক্তিতে শেয়ার হস্তান্তরে মূলধনী মুনাফা বাংলাদেশে করযোগ্য বলে বিধান রাখা হয়েছে। ফলে উৎস দেশে বাংলাদেশের অর্জিত মূলধনী মুনাফা থেকে কর আদায় করা সম্ভব হবে।
বিদ্যমান চুক্তির কোনো অনুচ্ছেদের আওতাভুক্ত নয় এমন কোনো আয়ের ক্ষেত্রে করদাতার উপর তার নিজ দেশে কর আরোপের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় নতুন চুক্তিতে সংশোধন করে করদাতার এ ধরনের আয় যে দেশে উৎপন্ন হয়, সেখানে করারোপ করা হয়েছে।
দাবি করা কর আদায়ে সহায়তার জন্য একটি অনুচ্ছেদ নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ উভয় রাষ্ট্রকে রাজস্ব আদায়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। নেদারল্যান্ডসের ১৫টি অংশীদার দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডে ২০০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। দেশটি বাংলাদেশের নবম বৃহত্তম রপ্তানি অংশীদার।
বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে নিটওয়্যার, ওভেন, গার্মেন্টস, গলদা চিংড়ি, জুতা, টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য এবং বাইসাইকেল।
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডস থেকে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শাকসবজি, প্রস্তুতকৃত খাদ্য উপাদান, জীবন্ত প্রাণী (পশু ও পাখি), খনিজ, রাসায়নিক, ওষুধ, জৈব রাসায়নিক, প্লাস্টিক ও রাবারসহ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) দিক থেকে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান চতুর্থ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে ২ হাজার ৫৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে নেদারল্যান্ডস।
জ্বালানি, বাণিজ্য, চামড়া খাত, চামড়াজাত পণ্য ও সিমেন্ট খাতে নেদারল্যান্ডসে বিনিয়োগ বাড়ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, অসঙ্গতি দূর করতে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সংশোধনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস নতুন চুক্তি সইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, অর্থ সচিব, নেদারল্যান্ডসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স সোনজা কুইপ।
আরও পড়ুন: ইইসি’র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ঈদ উপলক্ষে দারাজ নিয়ে এলো গ্র্যান্ড ঈদ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪
ঈদ সামনে রেখে দারাজ বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে ঈদের সেরা ক্যাম্পেইন ৩.৩ থেকে ৪.৪ গ্র্যান্ড ঈদ ফেস্ট।
১০ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে ক্রেতারা পাবেন অসাধারণ ডিসকাউন্ট, অনন্য অফার এবং সুরক্ষিত কেনাকাটার অভিজ্ঞতা।
প্রতিটি ক্রয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রিয়জনদের ভালোবাসা ও আনন্দ উপহার দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে ই-কমার্সকে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ ১১.১১ সেল
‘ভালোবাসা পৌঁছে যায় দারাজ থেকে দরজায়’ এই স্লোগানের অধীনে গ্র্যান্ড ঈদ উৎসব আপনাকে প্রতিদিনের সেরা দামের নিশ্চয়তা দেয়।
৫০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়ের ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার থেকে শুরু করে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের হট ডিলে এবং ফ্ল্যাশ সেলের মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দের পণ্যগুলি সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবেন।
এছাড়াও, বেশি কিনে বেশি ছাড়ের অফারের সুবিধা ও ৪৯৯ টাকার নিচের পণ্যগুলিতে প্রতিদিনের কম দামের সুযোগ নিয়ে ফ্রি ডেলিভারি উপভোগ করতে পারবেন।
সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ১০ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রি পেমেন্টে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ থাকছে।
পাশাপাশি ৪২০ টাকায় যেকোনো ৩টি পণ্য এবং ১৯৯ টাকার নিচের প্রতিদিনের অফার সমূহ থাকছে ক্রেতাদের জন্য।
ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফ্যাশন আইটেম, হোম ডেকোর, গ্রোসারি পণ্য, মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় পণ্য এবং বিউটি পণ্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য সরবরাহ করে দারাজ।
গ্রাহকরা ইলেকট্রনিক্স আপগ্রেড করতে অথবা হোম ডেকোরের পুনর্নির্মাণ করতে যাই চান, সবার জন্যই দারাজের কাছে কিছু না কিছু অফার থাকছে।
কো স্পন্সর হিসেবে এই ক্যাম্পেইনে আছে লটো, প্যারাসুট এডভান্সড, বিয়ারডো, হায়ার, বাটা, এবং নেসলে।
ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে আছে লিভন, ওগেরিও, সাফোলা, বেসআস, লুই উইল, স্কেমেই, ইউগ্রিন, অরাইমো, হোমেল, স্কিনক্যাফে, মোশন ভিউ, ইস্কয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, এপেক্স, আর স্প্রিন্ট।
এছাড়াও এই ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে বিকাশ, সিটি ব্যাংক, ইবিএল, ইবিএল কো ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ড, এইচএসবিসি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক, পিবিএল, এসসিবি, এসইবিএল, ব্রাক ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক, এবং ব্যাংক এশিয়া।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যাল
টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয় এবং অভিন্ন স্বার্থে তারা একসঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে মূল্য দেই। একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ আমাদের অভিন্ন স্বার্থ অনুসরণ করতে উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব আমরা।’
সোমবার (১১ মার্চ) ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অঞ্চলে তথাকথিত 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা সম্পর্কে প্রক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিলার বলেন, ‘এই প্রচারণা সম্পর্কে আমরা জানি। ভোক্তাদের ব্যক্তিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি অবশ্যই মন্তব্য করব না, সেটা বাংলাদেশ হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে এবং তারা তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চায়।
তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে: হাছান মাহমুদ
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার সম্প্রতি তিন দিনের বাংলাদেশ সফর করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, 'আপনারা এর আগেও মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাগুলো নিয়ে আমার কাছ থেকে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের কথা শুনেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের আইনের অপব্যবহার করে ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো হতে পারে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে তার ক্ষমতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী শেস্তাকভ এবং শ্রীলংকার হাইকমিশনার ভিরাক্কোডির সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্রে ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ব্যাপক সাড়া ফেলবে।
সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকায় পেট্রোবাংলার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দরপত্র আরও আকর্ষণীয় করতে এ বছর, আমরা কিছু নতুন বিষয় চালু করেছি- যেমন ব্রেন্টের সঙ্গে গ্যাসের দাম সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যয় পুনরুদ্ধারের বিষয়টিও যুক্ত করা হয়েছে।’
‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০২৪-এর অধীনে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান’ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। যেখানে পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোকে (আইওসি) আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানিসচিব মো. নুরুল আলম এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
আরও পড়ুন: অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা
রবিবার বিদেশে বাংলাদেশি মিশনসহ স্থানীয় সংবাদপত্র এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটে দরপত্র আহ্বানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি জমা দেওয়ার জন্য চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস দেওয়া হয়েছে।
দরপত্র অনুসারে, মোট ২৪টি অফশোর ব্লক- যার মধ্যে নয়টি অগভীর ব্লক- এবং ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক দরপত্রের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
নয়টি অগভীর সমুদ্র ব্লক হলো এসএস-০১, ০২, ০৩, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮, ১০, ১১ ও ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক হলো ডিএস-০৮, ০৯, ১০, ১১,১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ ও ২২।
দরদাতা এককভাবে বা অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে এক বা একাধিক ব্লকের জন্য দরপত্র আহ্বান করতে পারেন।
দরপত্রে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট ২০২৩-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সফল দরদাতাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।
তৌফিক এলাহী চৌধুরী জানান, সম্ভাব্য দরদাতা হিসেবে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এমন ৫৫টি আইওসিকে দরপত্রের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভূ-রাজনীতি সম্পর্কে একটি প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন যা নিলাম রাউন্ডে আইওসির অংশগ্রহণের একটি কারণ হতে পারে।
নসরুল হামিদ বলেন, এটি একটি উন্মুক্ত আহ্বান এবং যোগ্য কোম্পানি যেকোনো ব্লকের জন্য দরপত্র জমা দিতে পারবে। আগ্রহী দরদাতাদের নিয়ে রমজানের পর একটি প্রাক-নিলাম সভার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ১০ মার্চ
ইইসি’র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের (ইইসি) সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বেলারুশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
রবিবার(১০ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও বেলারুশের মধ্যকার ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পঞ্চম পর্বে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ইভগেনি শেস্তাকভ ফরেন অফিস কনসালটেশনে নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থনের জন্য তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হিসেবে বেলারুশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকা করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
উভয় প্রতিনিধিদল দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করে আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার ও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বেলারুশের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি এবং আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বেলারুশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষই ঝুলে থাকা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
কৃষি, শিক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আইনি বিষয়ে সহযোগিতাসহ বাংলাদেশ ও বেলারুশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইন্ডিপেন্ডেন্স ডিপ্লোম্যাটিক কাপ টেনিস টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সুইডেন ও রানার্স আপ ডেনমার্ক
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ফের বোলিং করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটিতে শনিবার টস জিতে সিরিজ নির্ধারণী লড়াইয়ে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ।
এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে স্বাগতিকরা।
এছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্তর অর্ধশত রানের ইনিংস, যা স্বস্তি ফিরেয়ে আনে। কারণ তিনি দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখা যাবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ
প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী ৫০ রান করলেও সেই ম্যাচ বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
এই সিরিজের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দুই দলই চট্টগ্রাম যাবে। এরপর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
প্রথম টেস্ট সিলেটে এবং দ্বিতীয় টেস্ট চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ একাদশ-
লিটন দাস (উইকেট কিপার), সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ-
ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস (উইকেট কিপার), কামিন্দু মেন্ডিস, সাধিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আশালঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাশুন সানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (অধিনায়ক), মহেশ থিকশানা, বিনুরা ফারর্নাডো ও নুয়ান তুষারা।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে বোলিং নিয়েছে বাংলাদেশ
সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো আরও সবুজ ও জলবায়ু সহিষ্ণু ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।
নর্ডিক দেশগুলোর পরিবেশ রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক অঙ্গীকারের প্রশংসা করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশও একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকার হোটেল রেডিসনে আয়োজিত নর্ডিক দিবস স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান পরিবেশমন্ত্রী। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব উদযাপন করতে এ্ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল। সে কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের সংহতি ও সমর্থনের ভিত্তিতে একটি সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলোর মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার উদাহরণ। এটি আসলে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ এবং টেকসই ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত অংশীদারিত্ব।
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সবচেয়ে টেকসই এবং সমন্বিত ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নর্ডিক কাউন্সিলের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়ে নর্ডিক অঞ্চলের মোহনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও জলবায়ু মোকাবিলার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এছাড়াও জলবায়ু সহনশীলতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের রূপরেখা তুলে ধরেন পরিবেশমন্ত্রী।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং উদ্ভাবন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতাকে আরও গভীর করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সভেনডসেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার ও ভারতের নয়া দিল্লিতে ফিনল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. টিটো গ্রোনোও বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতন করতে অলিম্পিয়াডের আয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ।
সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২০৭ রানের একটি দুর্দান্ত লক্ষ্য তাড়া করে তিন রানের পরাজয় হয় টাইগারদের। সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে জিততে হবে।
গত ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলী হাফসেঞ্চুরিসহ অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেও জয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
ধারাবাহিকতা এবং স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচে দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। সিরিজে সমতা লড়াইয়ের ম্যাচে সমর্থকরাও স্বাগতিকদের কাছ থেকে দারুণ পারফরম্যান্স আশা করছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখা যাবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ
টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ৯ মার্চ একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ জিততে পারলে তৃতীয় ম্যাচটি হবে আক্ষরিক অর্থেই ফাইনাল।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: আবিস্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাউইক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, চরিথ আশালাঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, মহেশ থেকশানা, আকিলা ধনঞ্জয়া, বিনুরা ফার্নান্দো, মাথিশা পাথিরানা।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে বোলিং নিয়েছে বাংলাদেশ
বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল: সংসদে শেখ হাসিনা
আগুন-জঙ্গি হামলার জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ক্ষমা করা যায় না। তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
এ সময় তার বক্তব্যে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০২৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংসতা ও অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসে এখনও অনেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার- এই অভিযোগের বিষয়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা রাজবন্দী (রাজবন্দী) হিসেবে পরিচিত এবং যারা আগুন জ্বালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা কীভাবে রাজনৈতিক বন্দী হতে পারে। বরং তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও অপরাধী।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন তারা হয় হুকুমদাতা, সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বা অর্থদাতা। সুতরাং অর্থদাতা, হুকুমদাতা বা যারা সরাসরি জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষী ও নথি দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ইসরায়েল শিশু ও নারীদের হত্যা করছে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যা করছে, বিএনপির চরিত্র এখানে তেমনই। বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।’
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত চলতি সংসদের প্রথম অধিবেশন গত ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে-বিদেশে অভিযোগ করে কোনো লাভ হবে না। আর বিদেশিরা যা বলবে তাতে দেশ চলবে না। আমরা সব দেশের নির্বাচন দেখেছি।’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক নারী ও নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'অতীতে এ ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ নির্বাচনের আগে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে।
আসন্ন জাতীয় বাজেটে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে- আমাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়ন করব।’
নতুন মন্ত্রিসভা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দেশের কল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে এবং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে এসব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখবে, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, সঠিক ব্যক্তিরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী হবে তা নিশ্চিত করবে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, সরকারি চাকরিতে শূন্য পদে নিয়োগ, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন পণ্য উৎপাদন, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান করবে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও শিল্পের উন্নয়নে উৎসাহিত করা এবং চামড়া, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা নিশ্চিত করা, যা এখন তৈরি পোশাক খাত উপভোগ করছে।
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর