ব্যবসা-বাণিজ্য
ঈদুল আজহা: হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সকল ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ছয় দিন বন্ধ থাকবে। বন্দরের সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) থেকে শনিবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত এই বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ভারতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত
এ ব্যাপারে বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন বলেন, ঈদে বন্ধের বিষয়টি নিয়ে গত রবিবার বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ বন্দর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করেছি। সেখানে ছয়দিন বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্ধের বিষয়টি আমরা ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষকে বকেটি পত্র দিয়ে জানিয়েছি। তারাও সম্মতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৫ জুলাই থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস উপকমিশনার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা ছয়দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ঈদের সরকারি ছুটি পর্যন্ত কাস্টমস কার্যালয় বন্ধ থাকবে। এরপর থেকে অফিসিয়াল কাজ-কর্ম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে স্বাভাবিক হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম
তিনি বলেন, সরকারি ছুটির বাইরে আমাদের অতিরিক্ত ছুটি গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
মেধা বিকাশে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে।
সম্প্রতি ‘টেক অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি: এভরিওয়ান’স ইনক্লুডেড’ শীর্ষক এক ফোরামে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম ২.০’ এ ঘোষণা দিয়েছে হুয়াওয়ে।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে ডিজিটাল ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে প্রতিষ্ঠানটি আগামী পাঁচ বছরে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে, যা ত্রিশ লাখেরও বেশি মানুষের উপকারে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
হুয়াওয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনের শেনঝেনে অনুষ্ঠিত এই ফোরামটি যৌথভাবে আয়োজন করে হুয়াওয়ে এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। হুয়াওয়ে, আইইউসিএন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, কার্বন ডিসক্লোজার প্রজেক্ট (সিডিপি), গ্লোবাল এনাবলিং সাসটেইনেবিলিটি ইনিশিয়েটিভ (জিইএসআই) এবং সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের (এসআইআইএ) প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন এবং টেকসই, অন্তর্ভুক্তিম‚লক ও পরিবেশবান্ধব বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
এই ফোরামের সাথে মিল রেখে, হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক এ অঞ্চলের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়নকে কেন্দ্র করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য ভার্চুয়াল গোলটেবিলের আয়োজন করে। হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চেন ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ সহ একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে এই অঞ্চলে আগামী পাঁচ বছরে ৪০ হাজারেরও বেশি আইসিটি বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের তৈরি করার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
জে চেন বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতিতে, ডিজিটাল রূপান্তর ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ডিজিটাল বিষয়ে তরুণ প্রতিভা ক্রমশই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। টেকসই ও সুষ্ঠু বিকাশের সুযোগ তৈরির জন্য সবাই যাতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। বৈশ্বিক মহামারির কারণে আমরা কর্মসূচিটি অনলাইনে আয়োজন করবো এবং একে আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ইউনিসেফ ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২৫ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী প্রায় ২২০ কোটি মানুষের বাড়িতে এখনও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। পরিস্থিতির উন্নয়নে, যেসব দেশে হুয়াওয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেসব দেশে ডিজিটাল ক্ষেত্রে তরুণ প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০০৮ সালে, বৃত্তি, প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিযোগিতা এবং ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হুয়াওয়ে এর প্রতিভা বিকাশের কর্মসূচিগুলো পরিচালনা শুরু করে এবং প্রতিষ্ঠানটি এসব কর্মসূচিতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। এ সময় থেকে হুয়াওয়ে দেড় শতাধিক দেশের ১৫ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উপকৃত করেছে।
দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে এবং ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের উৎসাহদানে একইভাবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে শুরু করা হয় ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ কর্মসূচিটি। দেশে এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে, বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন দূরবর্তী শিক্ষা পদ্ধতিতে সহায়তা করতে হুয়াওয়ে রাজধানীর টিঅ্যান্ডটি হাই স্কুল ও সারাদেশের সকল শাখাসমুহে ডিজিটাল সমাধান প্রদানে স্থানীয় অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম বিজয় ডিজিটালের সাথে অংশীদারিত্ব করে। দেশে প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য প্রতিভা বিকাশ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আইসিটি কম্পিটিশন, আইসিটি একাডেমি এবং বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা ও এজেন্সির সহযোগিতায় ডিজিটাল ট্রেনিং বাস। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার উদ্বোধন করল হুয়াওয়ে
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় হুয়াওয়ে আসিয়ান একাডেমি চালু হয়েছে এবং ডিজিটাল ভবিষ্যতের প্রস্তুতিস্বরূপ এক লাখেরও বেশি মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত করেছে। হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একসাথে কাজ করেছে।
করোনাকালে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে নগদ টাকার প্রবাহ আবশ্যক
করোনাকালে ব্যবসা-বাণিজ্যকে সচল রাখতে ঋণ নয় মানুষের হাতে নগদ টাকা পৌঁছে দিতে হবে, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে অভিমত দেন আলোচকরা।
কানাডার টিভি মেট্রো মেইল (টিএমএম) আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ অভিমত দেন আলোচকরা।
আলোচকরা আরও বলেন, বৈশ্বিকভাবে করোনা মহামারি দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তিগুলোকে প্রভাবিত করছে। এ জন্যে আনুষ্ঠানিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক খাতকে গুরুত্ব দিয়ে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দামে কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না: ক্যাব
টিভি মেট্রো মেইল কানাডার নির্বাহী পরিচালক ইমামুল হকের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন, এপেক্স ফুটওয়্যার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী নাসিম মনজুর, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি'র (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম এবং জি টিভির প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা।
'করোনাকালে বাংলাদেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্য কেমন চলছে' শীর্ষক এক আলোচনায় বর্তমান মহামারির ফলে বিরাজমান সংকট ও আসন্ন সংকটের বিভিন্ন আঙ্গিক ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বক্তারা কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্যাবের
টিএমএম এর চিটচ্যাট অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ মহামারি বর্তমানে কতটুকু প্রভাব ফেলছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কিনা বা দাঁড়ালেও নিকট ভবিষ্যতে এ অর্থনীতির চেহারা কেমন হবে, ভারত ও চীনের সাথে ঋণচুক্তি এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থিনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন বাংলাদেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো নেই বলে মনে করেন এবং বলেন, "উৎপাদনশীল কাজের কারণে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু তা কীভাবে হচ্ছে? তা কি অন্তর্ভুক্তিমূলক? প্রবৃদ্ধির গুণগত মান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। নিম্ন আয়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এই সময়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, নতুন দরিদ্র জনগোষ্ঠী সৃষ্টি হচ্ছে, এর ফলে আমাদের অর্থনীতির উপর চাপ পড়ছে।"
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিলো প্রাণ-আরএফএল
করোনার প্রভাব বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছরে মহামারির প্রথম পর্যায়ে আমাদের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত চাঙ্গা হয়ে উঠছিল, ঘুরে দাড়াচ্ছিল যখন অনেক বড় অর্থনীতিতে ও ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি ছিল কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে নাসিম মনজুর বলেন, মানুষের কর্মসংস্থান, আয়, দারিদ্র্য, অসাম্যের বিষয়টিকে এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিতে হবে। সংখ্যাগত প্রবৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য না রেখে অন্তর্ভুক্তির দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করতে হবে। প্রবৃদ্ধি ছাড়াও অন্যান্য সূচক, যা দেশের মানুষের প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরে, সেগুলো বিবেচনায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, "কর কতটা আদায় করতে পারল এমন অসুস্থ মানসিকতা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বেরিয়ে আসতে হবে, তাদের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। কর্মসংস্থান তৈরি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতেও তাদের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।"
তিনি আরও মনে করেন যে শিল্পের বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং রপ্তানি খাতের পণ্যে বর্তমানের বৈষম্যমূলক কর ব্যবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন।
মহামারিকালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "মহামারিকালেও বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, নতুন বিনিয়োগে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি আমরা। এমন বিনিয়োগ আমাদের অর্থনীতিকে করোনা পরবর্তীকালে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।"
বিশ্ব বিনিয়োগের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ যখন হ্ৰাস পেয়েছে ৪২% তখন বাংলাদেশে হ্রাস পেয়েছে মাত্র ১৯.৫%, এই বিবেচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো পর্যায়ে আছে।
সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বাংলাদেশ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৃষি খাত, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স, ও ব্যক্তি খাতের রেসিলিয়েন্স বা সহনশীলতার প্রশংসা করে বলেন, "কর কাঠামো যদি অতিমাত্রায় নিবর্তনমূলক হয় এবং ব্যবসায়ীদের গলায় চাপ দিয়ে যদি কর আদায়ের টার্গেট পূরণ করতে হয় তাহলে একসময় বড় ব্যবসায়ীরাও মুখ থুবড়ে পড়বে।"
চলতি আয় যখন কমাতে পারছে না সরকার তখন সরকার বিষয়ে তিনি বলেন, "আয়ের সাথে সঙ্গতি না রেখে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।"
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টির সাথে সাথে সামাজিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টিকেও সমান্তরালভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, "আমাদের সক্ষমতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। অতিমারীর সময় সাধারণত বাজেটে ভর্তুকির পরামর্শ দেয়া হয়, কিন্তু আমরা দেখছি বরাদ্দকৃত বাজেটই আমরা খরচ করতে পারছি না। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের হাতে নগত অর্থ প্রয়োজন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ প্রয়োজন।"
করোনা পরবর্তীকালে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে নগদ প্রণোদনার পাশাপাশি অন্য বিকল্পগুলোও ভাবা প্রয়োজন বলে বক্তারা মনে করেন।
টিসিবির পণ্য: সাতক্ষীরায় পঁচা পেঁয়াজ না নিলে দেয়া হচ্ছে না তেল, চিনি
সাতক্ষীরায় টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। খাবার অযোগ্য পঁচা পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে। পঁচা পেঁয়াজ না কিনলে ক্রেতার কাছে সয়াবিন তেল, চিনি, ছোলা, খেজুরসহ টিসিবির অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে না। এককথায় বাধ্য হয়েই ক্রেতাদেরকে পঁচা ও খাবার অযোগ্য পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।
এদিকে টিসিবির পণ্য বিক্রির অন্যতম শর্ত হলো করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না কেউই। গায়ে গা মিশিয়ে পণ্য কিনছে ক্রেতারা। ফলে করোনার ঝুঁকি বাড়ছে। আর এসব নিয়ে প্রশাসনের কোনো ধরনের তদারকি নেই সেখানে।
আরও পড়ুন: খুলনার বাজারে নতুন পেঁয়াজ, মজুদ নিয়ে চিন্তিত টিসিবি
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে টিসিবির ডিলার সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের ব্যবসায়ী সংকর সাধুর এভাবেই সরকারি পণ্য বিক্রির সরেজমিনে সত্যতা পাওয়া গেছে।
ক্রেতারা জানায়, পঁচা পেঁয়াজ না কিনলে অন্য কোনো পণ্য দেয়া হচ্ছে না। ডিলার সংকর সাধু ও তার ভাই সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যারা পঁচা পেঁয়াজ না কিনবে তাদেরকে অন্যান্য পণ্য দেয়া হবে না। মাল ওজনেও কম দেয়ার অভিযোগ করেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন:অনলাইনে ২৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির পেঁয়াজ
এ ব্যাপারে ডিলার সংকর সাধু বলেন, পঁচা পেঁয়াজ আমাদেরকে কিনে আনতে হচ্ছে টিসিবি থেকে। আমরা যা কিনবো তাই বিক্রি করবো। পেঁয়াজ পঁচা হলে আমাদের কিছু করার নেই।
পুলিশের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা: চট্টগ্রাম বন্দরে ২ ঘণ্টা পণ্য খালাস বন্ধ
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে মজুদকৃত বিপজ্জনক সেই রাসায়নিক পণ্য ধ্বংস করা হবে ছাতকে
চট্টগ্রাম বন্দরের এক একর ভূমি উদ্ধার
পুলিশের সাথে দুই ক্রেন অপারেটরের অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
বুধবার রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৬ শতাধিক ক্রেন অপারেটর এক যোগে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ক্রেন অপারেটর উইন্সম্যান বহুমুখি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ জানান, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে নেতাদের অনুরোধে রাত ১০টার দিকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে বন্দরে কাজ শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন বন্দর ক্রেন অপারেটর সোহাগ। পথে ইপিজেড জামান হেটেলের সামনে পুলিশের এসআই আনোয়ার মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র, লাইন্সেসসহ মোটরসাইকেল জব্দ করে। লকডাউনে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় কেন বের হয়েছে জানতে চাইলে সোহাগ বন্দরের কাজ শেষে ফিরছেন বলে জানালেও পুলিশ অফিসার অনোয়ার তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে জানান সোহাগ। একইভাবে নীমতলা বিশ্বরোড এলাকায় অপর এক ক্রেন অপারেটকে থাপ্পড় মারেন এক পুলিশ কনস্টেবল। এসব ঘটনার প্রতিবাদে এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে সকল ক্রেন অপারেটর বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়।
চট্টগ্রাম বন্দর ক্রেন অপারেটর উইন্সম্যান বহুমুখি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ বলেন, ‘আমরা বন্দরের পরিচালক ট্রাফিকের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। পুলিশ আমাদের দুই অপারেটরের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। এবং আমাদের একজন নেতা থানায় গেলে তাকে পুলিশ আটক করার হুমকি দেয়। এ কারণে অপারেটররা কাজ বন্ধ করে দেয়।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ দিন পর জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু
তিনি বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষকে আমরা ৩ দফা দাবি পেশ করেছি। দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে লকডাউন চলাকালে শ্রমিকদের একটি পাস ইস্যু করতে হবে। মালিক পক্ষের কাজ হলে মালিকরা যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে বা যাতায়াত খরচ দিতে হবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্ধ হয়ে যাবে চট্টগ্রাম বন্দর: বক্তারা
রমজানে নকল-ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : শিল্পমন্ত্রী
পবিত্র রমজান মাসে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহরোধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অভাব হবে না। আমাদের চিনি ও লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। যদি কেউ কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মাননিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই’র গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম ও চিনির বাজারস্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) চিনি বিক্রয় কার্যক্রম সম্পর্কে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ-প্রচার করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয়ে এসএমই খাতের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই কর্তৃক আকস্মিকভাবে পরিচালিত অভিযানগুলোতে বিশেষ করে রোজাদাররা সচরাচর যে সব খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন এবং ইফতার সামগ্রীর উপর বিশেষ নজর রাখা হবে।
তিনি বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চক্র কারসাজি করে সরকারের কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ করে। কোভিডকালীন সময়ে আমাদের সরকার এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তিনি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএসএফআইসি’র প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৬৮/-(আটষট্টি) টাকা এবং মিল এলাকায় খোলা চিনি কেজি প্রতি ৬৩/-(তেষট্টি) টাকা দরে বিক্রয় হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সরবরাহরোধে বিএসটিআই কর্তৃক সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে।
আরও পড়ুন: রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর
সিন্ডিকেটের মাধ্যমের পণ্যের কৃত্রিম সংকট যাতে সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনার এই মহামারীতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ২০২০ হতে মার্চ ২০২১ পার্যন্ত বিএসটিআই কর্তৃক মাননিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত গৃহিত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশিয় ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) লুৎফুন নাহার বেগম ও মো. সেলিম উদ্দিন (অ:দা: মান নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসা সহায়তা), বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার ও বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপুসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
‘ঘরে থাকাই নিরাপদ, ই-কমার্সই ভবিষ্যৎ’ জানাল ই-ক্যাব
বৃহস্পতিবার ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ইসলামী ব্যাংকের ‘বিশেষ ক্যাম্পেইন’ শুরু
‘সম্পদের উৎকর্ষ, প্রযুক্তির সাথে বন্ধুত্ব, ইসলামী ব্যাংক সর্বত্র’ এই স্লোগান নিয়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দেড় মাসব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন চালু করেছে।
ভারত থেকে হিলি দিয়ে চাল আমদানি ফের বন্ধ
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও তা আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে গত বুধবার থেকে দেশে কোনো চালের চালান বন্দরে আসেনি।