পবিত্র ঈদুল আজহা
ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৬টি ট্রাকে এল কাঁচা মরিচ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর রবিবার (২ জুলাই) থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এদিকে, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধির মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে এসেছে ছয় ট্রাকভর্তি ৬০ টন কাঁচা মরিচ। রবিবার প্রথম পণ্যবোঝাই ট্রাক-লরিগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি
ছুটি শেষে সকল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন কাঁচা মরিচবোঝাই ছয়টি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
ট্রাকপ্রতি ১০ টন করে মোট ৬০টন কাঁচা মরিচ রয়েছে। আজ সন্ধ্যায় আরও কিছু কাঁচা মরিচের ট্রাক প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছেন সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষ।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকসুদ খান বলেন, ঈদুল আজহার কারণে গত মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পাঁচদিন ছুটি ছিল ভোমরা স্থল বন্দরে। রবিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রবিবার মোট কাঁচা মরিচবাহী ছয়টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। সন্ধ্যায় আরও কিছু কাঁচা মরিচ বন্দরে প্রবেশ করতে পারে।
কাঁচা মরিচের আমদানির ফলে স্থানীয় বাজারসহ দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমবে বলে তার আশা।
ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা ইফতেখার উদ্দীন বলেন, রবিবার সকাল থেকে কয়েকটি কাঁচা মরিচের ট্রাক প্রবেশ করেছে। ধীরে ধীরে আরও করবে। একটু সময় লাগবে।
সাতক্ষীরা কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, সাতক্ষীরার বাজারে কাঁচা মরিচ ৪শ’ থেকে ৪৫০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে। তাদেও ক্রয় ক্ষমতার বাইওে চলে গেছে।
রবিবার দুপুরে ভোমরা দিয়ে কিছু কাঁচা মরিচের ট্রাক প্রবেশের পর ইতোমধ্যে দাম কমতে শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ১ জুলাই (শনিবার) পর্যন্ত টানা ৫ দিন ঈদের ছুটিতে বন্দরের সবধরনের আমাদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিলো।
তবে, এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।
আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচের ঝাঁজে পুড়ছে বরিশাল
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর নামে সেই গরু কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতি
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে দেওয়া গরুটি কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের এক কৃষক দম্পতি।
ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বুলবুলের বাবা-মা, নিজের ও স্ত্রী ইসরাত জাহানের নামে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাউনা গ্রামের কৃষক বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান গরুটি কোরবানি করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদে কিশোরগঞ্জের দম্পতির উপহার হিসেবে গরু গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোণা জেলা থেকে আড়াই লাখ টাকায় গরুটি কিনে ঈদে কোরবানির জন্য লালন-পালন শুরু করেন এই দম্পতি।
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা থেকেই তিনি গরুটি কিনেছিলেন।
শেখ হাসিনা তার বিশেষ সহকারী ও কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তার প্রতি দম্পতির ভালোবাসায় শ্রদ্ধা জানিয়ে উপহারটি গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য শেখ হাসিনার আম উপহার
তুষার বলেন যে ক্রস ব্রাহমা জাতের গরুটি থেকে ৫৬৫ কেজি মাংস হয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মশিউর রহমানের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ও সুখিয়া ইউনিয়নের ১৬৬ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সাড়ে ৪ লাখ পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
ঘনিয়ে আসছে কোরবানি ঈদ বা পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই আগে থেকেই গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও খামারিরা তাদের পশুগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করে ফেলেছেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে বরিশাল অঞ্চলে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা দেখা গেলেও আলোচনায় থাকে বিশালাকৃতির গরুগুলো। এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি বাজার এলাকায় এমইপি এগ্ৰো ফার্মে বেড়ে ওঠা ২৯ মণ ওজনের ‘টাইটানিক’।
দেখতে অন্য সব গরুর চেয়ে বিশালাকার দেহের অধিকারী হওয়ায় এর নাম রাখা হয়েছে টাইটানিক।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
স্থানীয়দের ধারণা এটি এবার গোটা বরিশালের মধ্যে আকারে সব থেকে বড় কোরবানির গরু হতে যাচ্ছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি বাজার এলাকার এমইপি এগ্ৰো ফার্ম ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৩শ’টির মতো গরু লালন পালন চলছে এ ফার্মে। গরুগুলো দেখা শোনার জন্য রয়েছে ১৩ জন কর্মচারী। এর মধ্যে বিশালাকার দেহের অধিকারী টাইটানিক লালন পালনে রয়েছে নির্ধারিত একজন কর্মচারী।
টাইটানিক লালন পালনের দায়িত্বে থাকা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিশাল আকৃতির এই গরুটির লালন-পালনে দিনে এক হাজার চারশ টাকা খরচ হয়।
তাছাড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মে গরুটিকে পালন করা হচ্ছে। খাবারে প্রতিদিন ধান ভাঙ্গা, গম ভাঙ্গা, ভুট্টাসহ মিক্সড একটি উপাদান দেয়া হয়।
এছাড়া দিনে দুইবার গোসল করানো, দেখাশোনা, নিয়মিত পরিচর্যা করাসহ বিভিন্ন দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
ইসমাইল বলেন, গত কোরবানির পরপরই গরুটি এই ফার্মে আনা হয়েছে। তারপর থেকেই লালন পালন করতে করতে একটা মায়া হয়ে গেছে। বিক্রি করে দেওয়ার কথা শোনার পর থেকে খারাপ লাগছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সৌখিন মাছ শিকারির খোঁচায় ১৬ কেজির বোয়াল!
এমইপি এগ্ৰো ফার্মের ইনচার্জ রাফিউর রহমান অমি বলেন, গত কুরবানির পরপরই এই গরুটি ফার্মে আনা হয়েছে। তখন গরুটির ওজন ছিল প্রায় ১২ মণ। এখন গরুটির ওজন হয়েছে সাড়ে প্রায় ২৯ মণ। আগে গরুটির পেছনে ৮-৯শ’ টাকা খরচ হলেও এখন প্রায় ১৫শ’ টাকা খরচ হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাহিদার অতিরিক্ত ৫০ হাজার ৩১১টি কোরবানিযোগ্য পশু লালন-পালন করা হয়েছে। খামার ও পারিবারিকভবে এসব পশুকে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। জেলার চাহিদা পুরণ করে অন্য জেলায়ও গরু চালান করে খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশা প্রাণিসম্পদ বিভাগের।
তবে পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খামারিরা। তারা বলছেন, বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু পালনের ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। ফলে গরুর দামও বেড়ে যাবে।
জেলা প্রণিসম্পদ দপ্তরের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, এবার জেলায় কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৯ টি পশু। আর কোরবানির জন্য মোট পশু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৯০টি। অর্থাৎ অতিরিক্ত রয়েছে ৫০ হাজার ৩১১ টি পশু। জেলার ৫ উপজেলায় খামারি রয়েছেন ১২ হাজার ১৫৯জন।
খামারে ও পারিবারিকভাবে এসব পশু লালন পালন করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ৯৬ হাজার ৫৪৩টি, ছাগল ৭০ হাজার ৩১৯টি, ভেড়া ৯ হাজার ৫৮৭টি ও মহিষ রয়েছে ২৪১টি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোরবানিতে ৮,৬০৬ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে: প্রাণিসম্পদ বিভাগ
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো জেলার খামারিরা পশু পালন করেছেন। তারা জানান, গরু লালনপালনে বা মোটাতাজাকরণে তারা মানব স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করেন না। সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পুষ্টিকর খাবার ব্যবহার করছেন।
তারা জানান, বর্তমানে দেশে পর্যপ্ত পরিমানে গরুর খামার গড়ে উঠেছে। এ খাতের প্রতি সরকার নজর দিলে ভারত বা মিয়ানমার থেকে গরু আনার কোনো প্রয়োজন পড়বে না।
তারা আরও জানান, বর্তমানে পশু খাদ্যের দাম অনেক বেশি। পশু লালনপালনে গত বছরের চেয়ে এবার খরচ বেড়েছে দ্বিগুন। এতে গরুর দাম বেশি হবে।
সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার খামারি আবু বাক্কার বলেন, তার খামারে এবার ৮০টি গরু রয়েছে। যা কোরবানীর জন্য প্রস্তুত। এসব গরু ৫মন থেকে ১২ মন পর্যন্ত ওজনের। এসব গরু দেড় লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দামের।
ঈদকে সামনে রেখেই আমি প্রতি বছর ৩ মাস থেকে ৬ মাস আগে গরু কিনে মোটাতাজা করি। ২০১২ সাল থেকে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছি। তবে গরু মোটাতাজা করতে কোন সময়ই স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করি না। সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতেতে পুষ্টিকর খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করে থাকি।
তিনি আরও বলেন, গত রমজান মাসে এই ৮০টি গরু কিনেছিলাম। এসব গরুর মধ্যে কিছু ঢাকায় পাঠাবো, আর বাকিটা স্থানীয় হাটে বিক্রি করব। আশা করছি বাজার দর ভালো পাব।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদে কিশোরগঞ্জের দম্পতির উপহার হিসেবে গরু গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোনিমগাছি এলাকার খামারি ইকবাল হোসেন জানান, তার খামারে এবার কেরবানির জন্য ১৫টি গরু ও ৮টি মহিষ আছে। তবে এবছর পশু খাদ্যের দাম দ্বিগুন। খবার খরছ এক বছর আগে যা ছিলো এবার তার চেয়ে বেশি।
তিনি জানান, যে ভুট্টা কিনতাম ১৮ টাকা কেজি সেটা এখন ৩৬ টাকা কেজি, যে গম ছিলো ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজি সে গম এখন ৫৪ টাকা কেজি। ৭০০ টাকার খড় এখন ৪ হাজার টাকা, যে সোয়াবিন ভুষি খাওয়াতাম ৫২ টাকা কেজি সেটি এখন ৮৪ টাকা। যে ফিড কিনতাম ৩০ টাকা কেজি সেটা এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৫৪ টাকা কেজি।
সদর উপজেলা বুলনপুর এলাকার বাশরী এগ্রো ফার্ম -এর ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, বর্তমানে এই খামারে দেশি জাতের ৭০টি গরু আছে। আমরা আশা করছি এসব গরু গড়ে দেড় লাখ টাকা করে দাম পাব। আমরা সব থেকে বিপদে পড়েছি পশু খাদ্যের দাম নিয়ে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরুর খাদ্যের দাম অনেক বেশি।
ভুট্টার গুড়া, গমের গুড়া, সরিষার খৈল, চালের গুড়া, কাঁচা ঘাস, খড় প্রভৃতি গরুকে খাওয়ানো হয়। আমরা কোনো হরমন জাতীয় ট্যাবলেট বা ওষুধ যেগুলো গরুকে দ্রুত মোটাতাজা করে এমন কিছু প্রয়োগ করি না বা খাওয়াই না।
বর্তমানে বাজার তেমন ভালো না। তবে আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে বাজার ভালো হবে। ভারত থেকে যদি গরু না আসে আশা করছি সামনে অন্যান্য জেলা থেকে অনেক পার্টি নামবে বাজারটা ভালো হবার আশা করছি আমরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, জেলায় চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। কোরবানি পশুর কোনো সংকট হবে না। বরং স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে বাড়তি পশু অন্যান্য জেলার চাহিদা পুরণ করবে।
এখানকার খামারিরা বাড়তি পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে নিয়ে যায় আবার অন্য জেলার ব্যবসায়ীরাও এসে কিনে নিয়ে যায়। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। খামারিরা যেন গরু মোটাতাজাকরণে অসাধু উপায় অবলম্বন না করতে পারে সেজন্য উঠান বৈঠক, প্রশিক্ষণ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসব পর্যবেক্ষণে কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে ভারত থেকে গরু আসা একেবারেই বন্ধ। পশুর হাটগুলোতে বেচা-কেনা জমে উঠবে এবং খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
পবিত্র ঈদুল আজহা ১০ জুলাই
ঢাকা, ৩০ জুন (ইউএনবি)- আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ১৪৪৩ হিজরীর পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আরবী মাসের হিসাব অনুযায়ী আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। আগামীকাল ১ জুলাই শুক্রবার থেকে পবিত্র জিলহজ মাস গণনা করা হবে।
সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার।
পড়ুন: সৌদি আরবে ঈদুল আজহা ৯ জুলাই
হত্যা ও খুনের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হবে, প্রত্যাশা তথ্যমন্ত্রীর
পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে করোনাভাইরাস থেকে দেশবাসীর মুক্তির প্রার্থনা করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ শোকের মাস আগস্টের প্রথম দিনে হত্যা-খুনের রাজনীতি চিরতরে বন্ধই হওয়ার প্রত্যাশা করেছেন।
কোরবানির বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ: ডিএসসিসি
প্রতিদিনকার কোরবানির সৃষ্ট বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
২৭ জুলাই ঈদ বোনাস পাবেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ২৭ জুলাই এবং চলতি মাসের বেতনের অর্ধেক ৩০ তারিখের মধ্যে মালিকগণ পরিশোধ করবেন বলে সোমবার জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।