মাদক মামলা
জেলা কারাগারে মাদক মামলার আসামির মৃত্যু
নওগাঁয় জেলা কারাগারে মাদক মামলার আসামি সামিরুল সরদার নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সামিরুল সরদার নাটোরের সিংড়া উপজেলার তেমুখ সাপুরাপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
নওগাঁ কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় করা মাদক মামলায় কারাগারে আসেন সামিরুল সরদার।
তিনি জানান, হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে সোমবার ভোরে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জেল সুপার আরও জানান, হাজতির লাশ বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জে থানায় আসামির মৃত্যু: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলা বিচারিক আদালতে চলবে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলা বাতিল চেয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
এ রায়ের ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটির কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আদালতে পরিমণির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, অ্যালকোহলের লাইসেন্স থাকায় এবং জব্দ করা অ্যালকোহল যথাযথ মাত্রায় থাকায় অ্যালকোহলের বিষয়টিতে বিচার হবে না। তবে এলএসডি ও আইস নামক দুটি মাদকের বিষয়ে বিচার চলবে।
আরও পড়ুন: পরীমনির মামলায় নাসির-অমি ৫ দিনের রিমান্ডে
২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। দাবি করা হয়, সেসময় বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় পরীমনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। একই বছরের ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
অভিযোগ গঠনের পর মামলা বাতিল চেয়ে পরীমনি হাইকোর্টে আবেদন করেন।
২০২২ সালের ১ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার কার্যক্রম পরীমনির ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। রুলে পরীমনির ক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৮ মার্চ চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে।
শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগ আদেশ দেন। আদেশে মামলা বাতিলের প্রশ্নে রুল ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। এ সময় মামলার কার্যক্রম পরিচালনা না করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে রুল নিষ্পত্তি না হলে বিচারিক আদালতে মামলাটির কার্যক্রম চলবে বলে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের আদেশের পর হাইকোর্টে মামলা বাতিলের প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট একই বছরের ১৯ অক্টোবর রায়ের জন্য দিন করেন। অবশ্য বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ায় ধার্য তারিখ রায় হয়নি। গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের ছাপা কার্যতালিকায় পরীমনির করা আবেদনটি ২২ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য আসে। সে অনুযায়ী আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা
চট্টগ্রামে মাদক মামলায় নারীর ৫ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে মাদক পাচার মামলায় এক নারীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।
হামিদা বেগম (৩৫) কক্সবাজার সদর থানার রুমালিয়ারছড়া এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ওমর ফুয়াদ।
রায়ের সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন আসামি হামিদা। জামিন পাওয়ার পর পালিয়ে যান হামিদা।
আরও পড়ুন: ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারি: মাহবুবুল হক চিশতী, স্ত্রী ও ছেলের কারাদণ্ড
জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৬ জুন কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকা থেকে হামিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন কর্ণফুলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর হামিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নোমান চৌধুরী বলেন, চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত হামিদা বেগমকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। হালিমা জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলা: ৭ আসামির সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় ফাতেমা খাতুন (৩২) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত ফাতেমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার সুরুজ আলীর স্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কৌসুলি (পিপি) আইনজীবী বেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার ফাতেমা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এসময় তার বসত ঘরের একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর বাজারের ব্যাগে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৫০৬ অ্যাম্পুল নেশার বুপেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ একই বছরের ২২ জুন ফাতেমা খাতুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিককে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ রফিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মার্চ সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতদিয়াড়ে রফিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়ি তল্লাশি করে ১৯ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন নামক মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে সদর থানায় রফিকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে আরও জানা যায়, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ ২০২০ সালের ১৫ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে মামলার ৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ!
কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত এক উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দীন প্রামানিক (৪২) ও মানিক দাস (৩৫) নামে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাদের ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অন্য এক ধারায় উল্লেখিত ২ আসামিকে ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ মামলায় অপর আসামি মাসুদ রানাকে (২৮) অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
হেলাল উদ্দীন প্রামানিক নওগাঁ জেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত জগি প্রামানিকের ছেলে এবং মানিক দাস ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মন্ডলাদাম গ্রামের মৃত বাদল দাসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জুন ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের সাধারণ ডায়েরি নং-১৮৫ এর প্রেক্ষিতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় পীরগঞ্জ থানার সেনুয়া বাজারে অবস্থানকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে ডিবি পুলিশের টিম জানতে পারে যে, পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পুরাতন ডাক বাংলোর আঙ্গিনায় ৩ জন লোক মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা) বিক্রির উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ডিবি পুলিশের টিমটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার পুলিশের এসআই হেলাল উদ্দীন প্রমানিককে (৪২) নীল রংয়ের পলিথিন ব্যাগ ধরে রাখা অবস্থায় আটক করা হয়।
পরে নীল রংয়ের ব্যাগটি থেকে মোট ৫ হাজার পিস ও অপর আসামি মানিক দাসের দেহ তল্লাশি করে ৩ হাজার পিস ইয়াবা মোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে হেলাল উদ্দীন প্রামানিকের দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়ির শয়ন ঘরের খাটের নিচ থেকে ২ কেজি গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই ডিবি পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) রুপ কুমার সরকার বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে পীরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন বিচারান্তে অবশেষে মামলার প্রথম আসামি তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার এসআই হেলাল উদ্দীন প্রামানিক ও মামলার দ্বিতীয় আসামি মানিক দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করে আদালত।
মামলার রায় প্রদানের সময় মানিক দাস পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ৩ নং আসামি মো. মাসুদ রানাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ছিলেন ঠাকুরগাঁও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায়। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিজ উদ্দিনসহ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ডয়চে ভেলেকে সাক্ষাৎকার দেওয়া নাফিজকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার
গত ৩ এপ্রিল ডয়চে ভেলের একটি ডকুমেন্টারিতে র্যাব সম্পর্কে সাক্ষাৎকার দেওয়া নাফিজ মোহাম্মদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান ইউএনবিকে জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় দায়ের করা মামলায় নাফিজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এছাড়া আরও একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি ওসি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর মারার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
গ্রেপ্তারের ৩ ঘন্টার মধ্যে ছাড়া পেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুক্তাদির
ফেনীতে মাদক মামলায় পুলিশ-আইনজীবীসহ ১৩ জনের কারাদণ্ড
ফেনীতে ছয় লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় তিন পুলিশ সদস্য ও এক আইনজীবীসহ ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) দ্বিজেন্দ্র কুমার কংস বণিক।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফয়েজুল হক মিলকী, আনোয়ারুল ইসলাম ফারুক, জাহিদ হোসেন কমল, মীর মোশাররফ হোসেন মানিক ও তাজুল ইসলাম ভূঁঞা।
১৩ আসামির মধ্যে ছয়জনকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, ছয়জনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একজনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় মামলায় জেলহাজতে থাকা প্রধান আসামি উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজসহ পাঁচজন, জামিনে থাকা তিনজন মিলে মোট আটজনকে আদালতে এ হাজির করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ অপর পাঁচ আসামি পলাতক। এদিকে মামলা দায়ের হওয়ার পর পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে গত বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার ১৫ আসামির মধ্যে পাঁচজন গ্রেপ্তার ও চারজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন এবং বাকি পাঁচজন আসামি পলাতক ও একজন মারা গেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করা এপিপি দ্বিজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক জানান, রায়ে পুলিশের এএসআই মো. মাহফুজুর রহমান, এসআই মো. বিল্লাল হোসেন বেলাল, এসআই মো. আশিকুর রহমান আশিক, সালেহ আহমদ, ফরিদুল আলম ফরিদ ও মো. জাফরকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল মো. শাহীন, মো. আব্দুল মোতালেব মুহুরি, কনস্টেবল কাশেম আলী কাশেম, গিয়াস উদ্দিন গেসুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
এ মামলায় মো. জাবেদ আলীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও জানান, গত সাত বছরে ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এছাড়া গত ১ মার্চ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফের আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আটজন আসামি উপস্থিত ছিলেন। পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবুল কাশেম (পুলিশ), আব্দুল মোতালেব (মুহুরী), বিল্লাল হোসেন বেলাল, আশিকুর রহমান আশিক ও জাফর।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ জানান, গত বছরের ৬ মার্চ তৃতীয় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় তিন ম্যাজিস্ট্রেট, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মামলার বাদীসহ ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলার ১৩ আসামির মধ্যে আট জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পাঁচ আসামি পলাতক।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কক্সবাজারে মাদক মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মাদক মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে অর্থদণ্ড প্রদান করে। ২০২০ সালে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা পাচার করার অভিযোগে তাদের এ দণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন-বালুয়াখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বশির আহমেদের ছেলে আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার আব্দুল মজিদের ছেলে বিল্লাল (৩৭), মকবুল আহমেদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) ও খাগড়াছড়ি জেলার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা সকলে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়,২০২০ সালের ২৩ আগস্ট রাত ৭ টা ৫ মিনিটের দিকে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রীজ এলাকায় একটি ফিশিং বোট আটক করে। একইসঙ্গে ফিশিং বোটে থাকা মো.আয়াজ ও মো. বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে। তখন র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও চার থেকে পাঁচ জন দৌড়ে পালায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা টেবলেট, ১০ হাজার ৯০০ নগদ টাকাস ফিশিং বোটটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত দু’জন সহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার ঘটনাস্থলে আটক আসামি মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশিট দেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার চার আসামির সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
পরীমণির মাদক মামলা চলবে, আবেদন খারিজ
চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) আবেদন করলে এ আদেশ দেন।
আবেদনে আইনজীবী বলেন, মামলার বিচারকাজ শেষ করার জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং, মামলাটি বাতিল করা উচিত। কারণ আদালত নির্ধারিত ১৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে এটি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল আলম বলেছেন যে যদিও আইনে বলা রয়েছে ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা শেষ করতে হবে। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মামলার কার্যক্রম বাতিলের আবেদন খারিজের আদেশ দেন।
আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
পরীমণির অনুপস্থিতিতে তার আইনজীবীরা হাজিরা দেন। সেসময় পরীমণির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও খালু কবীর হাওলাদারও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির অভিমান কি ঘুচল?
৪ আগস্ট পরীমণিকে তার বনানীর বাসায় র্যাবের অভিযানের পর আটক করা হয়। পরদিন তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
২০২১ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকার একটি আদালত মাদক মামলায় পরীমণিকে জামিন দেন। পরেরদিন তিনি কারাগার থেকে বের হন।
৪ অক্টোবর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আরও পড়ুন: মিমের স্ট্যাটাসের উত্তর দিয়ে স্ক্রিনশট শেয়ার করলেন পরীমণি
১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা অভিযোগ আমলে নেন।
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম এ মামলায় পরীমণিসহ তিনজনকে আসামি করেন।
৩০ জানুয়ারি পরীমণি মামলা ও পরবর্তী অভিযোগ বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আপিল করেন।
আরও পড়ুন: ছেলের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন পরীমণি, জানালেন নাম