পদত্যাগ
ফিলিস্তিন সরকারের পদত্যাগের ফলে সংস্কারের দ্বার উন্মোচনের সম্ভাবনা
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেছেন, তার সরকার পদত্যাগ করছে, যা মার্কিন সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কারের দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: রমজানে গাজা সংঘাত সম্প্রসারণের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ
সোমবার জমা দেওয়া ওই পদত্যাগপত্রের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি শাতায়েহ ও তার সরকারের পদত্যাগ গ্রহণ করবেন কি না। কিন্তু এই পদক্ষেপ পশ্চিমা সমর্থিত ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের নড়েচড়ে বসেছে এবং এটা মেনে নিতে ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সূচনা করতে পারে।
যুদ্ধ শেষ হলে গাজা শাসনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি সংস্কার করা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। চায় কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এখনও অনেক বাধা রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে: জেলেনস্কি
'আর গণহত্যায় জড়িত থাকব না' বলে নিজের গায়ে আগুন দিলেন মার্কিন সেনা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই প্রক্টরের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. মো. মোরশেদুল আলম ও অরূপ বড়ুয়া।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
আরও পড়ুন: ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও ৩ উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর
পদত্যাগপত্রে ড. মোরশেদুল আলম উল্লেখ করেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে আমি রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ এবং সোহরাওয়ার্দী হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষকের পদ ও সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এছাড়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একইদিন চবির পালি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরূপ বড়ুয়া সহকারী প্রক্টর পদ এবং চাকসু কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
বিষয়টি নিশ্চিত করে চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল আলম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই। রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি রবিবার সকালেই।’
এর আগে গত বছর মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির একটি বড় অংশ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা ১৯ জন শিক্ষক একযোগে গণপদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করা ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন
পদত্যাগ করা ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন
পদত্যাগ করা তিন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
সচিব বলেন, তিনটি মন্ত্রণালয় খালি হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদটি শূন্য হয়েছে। সেখানে পূর্ণ মন্ত্রী থাকায় কাউকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চলে যাবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এছাড়া এ বিষয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
উপদেষ্টাদের দায়িত্ব কাউকে বণ্টন করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এ ছাড়াও নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও আছে জানিয়ে সচিব বলেন, এখন সরকার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। আমাদের কাছে যদি বিবেচ্য বিষয় থাকে সেটার জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক চাইব।
আরও পড়ুন: ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও ৩ উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর
বিএনপিতে যারা তারেকের নেতৃত্ব মানছেন না, নির্বাচনে আসতে তারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও ৩ উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর
মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) ৩ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশিত করা হয়।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৯ নভেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম- এই ৩ জন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন মন্ত্রিপরিষদে
একই সঙ্গে ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী পদত্যাগপত্র জমা দেন।
২০ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, টেকনোক্র্যাট ৩ মন্ত্রী এবং উপদেষ্টাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যতক্ষণ না পদত্যাগপত্র গৃহীত হচ্ছে ততক্ষণ তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
৩ জনের পদত্যাগের পর এখন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মোট সদস্য ৪৪ জন, এর মধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে আগামী বুধবার থেকে ফের সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ‘বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থান’ উপলক্ষে বিএনপি ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে বিবেচনা করায় মঙ্গলবার বিরোধী দলগুলো তাদের কর্মসূচি পালনে বিরতি দেয়।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী অন্য বিরোধী দলগুলোও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় তাদের চলমান অবরোধ সফলভাবে পালিত হচ্ছে বলে দাবি করেন রিজভী।
আরও পড়ুন: রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিরোধীদের ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী অবরোধের শেষ দিনে নতুন আন্দোলনের ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে হরতাল চলাকালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
দেশব্যাপী তিন দিনের অবরোধে সংঘর্ষ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ব্যাপক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে রবিবারও তারা দেশব্যাপী ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ পালন করে; যা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানির মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতা-কর্মীরা। ক্রমেই তা নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশটি মাঝপথে ভণ্ডুল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেদিন থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে আছে দলটির প্রধান কার্যালয়।
আরও পড়ুন: নেতাদের পরিবারের সদস্যদের আটকের অভিযোগ বিএনপির
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ
পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
১৯৭১ সালের পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর নৃশংসতা ও দুঃশাসনের অনুকরণ করে সরকার শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্য দেশে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার (৪ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, আরেকটি একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকার বিএনপির 'শীর্ষ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের' নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বল প্রয়োগ করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করছেন। ১৯৭১ সালের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি এখন বাংলাদেশে বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭১ সালের দখলদার বাহিনীর নিষ্ঠুরতা ও দুঃশাসনের অনুকরণ করছে। আওয়ামী লীগ এখন ১৯৭১ সালের পাকিস্তানপন্থী 'শান্তি' কমিটির মতো 'শান্তি' সমাবেশ করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে না পেয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, আজকের আওয়ামী পুলিশ সেই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করছে। ছেলেকে না পেলে তার ভাইকে নিয়ে যাওয়া হয়, ভাইকে না পেলে তার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সারা দেশ থেকে প্রতিনিয়ত এ ধরনের অমানবিক খবর আমাদের পেতে হয়।
রিজভী বলেন, জাতি এখন নতুন মডেলের কাল্পনিক মামলা দেখতে পাচ্ছে। মামুন নামে এক যুবদল নেতাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে বরিশালে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলা করা হয়।
আরেক বিএনপি নেতা কঙ্কনকে একটি ট্রাকে পেট্রল বোমা নিক্ষেপের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়, অথচ তিনি কারাগারে ছিলেন। তিনি বলেন, 'আপনারা সংবাদপত্রে এসব বিষয় উঠে আসতে দেখবেন। আমরা প্রায়ই গণমাধ্যমে এসব মজার গল্প ও কৌতুকের খবর দেখি ও শুনি।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের নেতা-কর্মীদের 'হাস্যকর' মামলায় নাম ও আসামি করে দমন-পীড়ন ও হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'দেশের জাতীয় নেতাদের থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা অবর্ণনীয়ভাবে চলছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও হত্যা করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ১৭৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ এবং হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহে সারাদেশে ৫০৬টি নতুন মামলায় অন্তত ৭ হাজার ৭১৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ সময় পুলিশের গুলিতে ৫ হাজার ৭৮০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং একজন সাংবাদিকসহ ৯জন নিহত হয়েছেন।
রিজভী দাবি করেন, কারাগারে সরকারের অসদাচরণের পাশাপাশি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলের নেতা-কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে অনিচ্ছুক, কারণ তিনি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার স্বাদ পেয়েছেন। ‘তিনি একতরফা নির্বাচন করবেন, এমনকি রক্তপাত হলেও।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু রবিবার
রিজভী নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে প্রধানমন্ত্রীকে তার গণতান্ত্রিক যোগ্যতা প্রমাণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, জনগণই তার মূল শক্তি। তাহলে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করছেন না কেন? জনগণ যদি আপনাদের সঙ্গে থাকে, তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করে আপনারা ক্ষমতায় আসতে ভয় পাচ্ছেন কেন?
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে 'নৃশংসভাবে' হামলা চালানোর পর নির্বাচনের আগে সরকার কেন বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণ যদি আপনার পাশে থাকে, তাহলে কেন আপনি এই ধ্বংসাত্মক ও রক্তাক্ত পথ অবলম্বন করবেন? জনগণ যে সরকারকে ভয় পায়, সেটি হলো স্বৈরাচারী সরকার। এর পরিবর্তে যে সরকার জনগণকে ভয় পায়, তা হলো গণতান্ত্রিক সরকার।’
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির ২০০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১৫০
সরকারকে পদত্যাগ করে ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে: চরমোনাই পীর
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ চার দফা দাবি মানতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে দলটির নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) এ আল্টিমেটাম দেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর নিবন্ধিত ও আন্দোলনরত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
চলমান সংকট নিরসনে এক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপিসহ কারাবন্দি সব রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দেওয়া।
এ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানান চরমোনাই পীর।
তা ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে আরও কঠোর ও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
মুফতি রেজাউল করিম হুমকি দিয়ে বলেন, নির্বাচন পেছালে পাকিস্তান সরকারের মতো সরকারকেও ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন হবে না।
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধ্বংস করার নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশে আজ একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ এদেশের মানুষ একটি দাবি নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যারা জনগণের এই যৌক্তিক দাবির বিরোধিতা করে, তারা এ দেশের শত্রু।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
সরকার পদত্যাগের আগে কোনো সংলাপ নয়: শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সরকারের পদত্যাগের আগে কোনো সংলাপ নয়। পদত্যাগ করার পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ হতে পারে।
তিনি বলেন, আর একটা পথ খোলা আছে। যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে আলোচনায় আসে তাহলে বিএনপি বিবেচনা করে দেখবে। এ ছাড়া বিএনপির চলমান আন্দোলনে বাধ্য হয়েই সরকার সংলাপের জাল বিছাচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: হাইকোর্টে দুদুর আগাম জামিন
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছি। আমরা বাংলাদেশটাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছি। আমাদের এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।
তিনি আরও বলেন, আমরা পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার কথা বলছি। বাংলাদেশে ভালো নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠনের কথা বলেছি। এটা নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনের কোনো আপস নেই।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: এবার ঠাকুরগাঁওয়ে দুদুর বিরুদ্ধে মামলা
শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে জাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না: মঈন খান
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালের বাঘার বাজার এলাকায় নির্ধারিত রোডমার্চের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি, শপথ নিয়েছি, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং জনগণের ম্যান্ডেট বিহীন সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা দাবি করেন, দেশের জনগণ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে এবং তাদের (সরকারের) ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। ‘যত তাড়াতাড়ি তারা ক্ষমতা ছাড়বে, দেশের জন্য যত ভালো হবে।’
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী দিনগুলোতে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। ‘কারণ মানুষ বাঁচতে চায়, এ দেশের গরিব মানুষের আর বাঁচার উপায় নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের এমন মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে মানুষ বাঁচতে পারবে না।’
সুতরাং আপনি (জনগণ) আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে, উন্নত জীবনযাপন করতে এবং মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে চাইলে সরকারকে পতন করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সরকারের পদত্যাগ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই রোডমার্চের আয়োজন করে বিএনপি।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশালে ও ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনায় একই ধরনের রোডমার্চ করেছে দলটি।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
‘আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার কাজের সঙ্গে ছোটভাই তামিমের চলমান পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই’
বাংলাদেশ দলের সাবেক ওপেনার ও বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের বর্তমান সদস্য নাফিস ইকবাল একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে চলে যাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক হোম সিরিজে নাফিস জাতীয় দলের অপারেশনাল ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডেতে একই ভূমিকা পালন করতে স্টেডিয়ামে আসেন তিনি। তবে ম্যাচ শুরুর এক পর্যায়ে তিনি স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যাওয়ায় জাতীয় দল থেকে তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের হয়ে ১১ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা নাফিস বুধবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
আগের দিন সকালে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অংশ না হওয়ার বিষয় জেনে মানসিক প্রভাবের কারণে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমিও মানুষ। বাকি সবার মতো আমারও আবেগ আছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের উদ্দেশে রওনা দিল বাংলাদেশ দল
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং ছোট ভাই তামিম ইকবালের সঙ্গে যা ঘটছে, তার সঙ্গে আমার এই কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। মাঠ থেকে আমার চলে যাওয়ার ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হয়।’
নাফিস জোর দিয়ে বলেন, তিনি মাঠ ছাড়ার সময় প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রোটোকল অনুসরণ করেছিলেন। তিনি বলেন, তিনি প্রথমে প্রধান কোচকে অবহিত করেছিলেন এবং তারপরে স্টেডিয়াম ছাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটোকল অনুসরণ করেছিলেন।
বাংলাদেশ দল বর্তমানে ভারতের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছে, যেখানে তারা ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের মূল ইভেন্টের আগে দু’টি আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ানোর কারণ জানালেন তামিম
বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত তামিম নিজেই নিয়েছেন: মাশরাফি