পদত্যাগ
সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে বিএনপির একদফা আন্দোলনের শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের রোডমার্চের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই (শেখ হাসিনার পদত্যাগ)। এটা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাব না কেউ। এ ছাড়া ভোট চোরদের দিন শেষ, জনগণের বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরীর কাজির দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একদফা দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে ফেনী, মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোড় মার্চ কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভোট চোরদের বিদায় করতে ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সুনামি তৈরি করতে হবে। শেখ হাসিনা বিদায় হও, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দাও।
তিনি বলেন, এই বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোট চোরদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। এদের এবার ছাড় দেওয়া যাবে না।
আমীর খসরু বলেন, রোডমার্চে কুমিল্লায় একটি বড় জনসভা হবে ও চট্টগ্রামে একটি হবে। আর মাঝখানে যেগুলো হবে সেগুলো পথসভা। আমাদের পথসভাগুলো জনসভার মতোই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জেলখানায় বর্তমানে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে জনগণের সন্দেহ জেগেছে। বেগম খালেদা জিয়ার শরীর কী পর্যায়ে এভাবে এসেছে এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। অনেকেই জেলখানায় মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে জেলখানা থেকে বের হয়ে মারা যাচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের জেলের ভেতরে কী হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো জনমনে এসেছে আজ।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে না।
রিজভী বলেন, জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন হলেই কেবল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, তার আগে নয়।
আরও পড়ুন: নতুন সমাবেশস্থল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি: রিজভী
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডনচেম্বার এলাকায় মহানগর বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সদ্য প্রয়াত মাহমুদুর রহমানের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এই সরকারের অধীন ‘নিশিরাতের নির্বাচন’ এ বিএনপি অংশ নেবে না। আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, তারপর পার্লামেন্ট বাতিল করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তারপর নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের বিষয়েও সরকারকে দোষারোপ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এই মামলা ও রায় সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে সরকার এ ধরনের সাজাগুলো দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের একযোগে পদত্যাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনৈতিকতা ও আইন লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ২১ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (২৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন নেতারা।
ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ ইউনিটের সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাদের সাংগঠনিক গঠনতন্ত্রের ৮ অনুচ্ছেদের ১ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। তাই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের নেতাকর্মীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের অভিযোগ আমলে নেন নি।’
তাদের পদে বহাল থাকা নেতাদের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে গণ অধিকার পরিষদ
তিনি আরও বলেন, ‘তারা সাংগঠনিক নীতিমালা লঙ্ঘন করায় তাদের পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শূন্য হয়ে গেছে। কিন্তু ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং জিএস আরিফুল ইসলাম আদিব এখনও তাদের পদে বহাল রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এটা সাংগঠনিক শৃঙ্খলার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ছাড়া আর কিছুই নয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নেতাকর্মীরা একযোগে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করছি।’
এর আগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা করা হলেও কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের মাতৃ সংগঠন 'গণ অধিকার পরিষদ'-এর প্রতি অন্ধ অভিযোগে কমিটি সম্মিলিতভাবে পদত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: নুর-সমর্থকরা তালাবদ্ধ অফিসে প্রবেশের চেষ্টা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর, সম্পাদক রাশেদ
ডেঙ্গুর ব্যর্থতায় ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ চায় বিএনপি
রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির জন্য ঢাকার দুই সিটি মেয়রের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন বিএনপি নেতা তাবিথ আওয়ান ও ইশরাক হোসেন।
এ ছাড়া ব্যর্থতার দায় নিয়ে দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।
এদিকে মেয়রদের চরম ব্যর্থতাকে দায়ী করে ডেঙ্গু রোগীদের পাশে দাঁড়াতে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (২১ জুলাই) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীর ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণ তুলে ধরে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির অংশ হিসাবে তারা বলেন, তারা রক্ত সংগ্রহ অভিযান শুরু করবেন। দলের লোকদের রক্তদানে উৎসাহিত করবেন এবং অন্যদেরও এটি করতে উৎসাহিত করবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
যতদিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে দলটি গ্রহীতা ও দাতাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি অনলাইন ‘ব্লাড ইনফরমেশন ডিপোজিটরি’ ওয়েবসাইটও চালু করবে এবং এর পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পেতে এডিস লার্ভা নির্মূলে ওয়ার্ড পর্যায়ে লিফলেট বিতরণ ও পোস্টার লাগানোর মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার চালাবে দলটি।
বিএনপি জনগণের সঙ্গে একত্রে এডিস মশার প্রজনন চিহ্নিত করে পরিষ্কার করার পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে।
তাবিথ বলেন, এক্ষেত্রে, আমরা অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি সরাসরি জনসচেতনতার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অব্যাহত অবহেলায় মৌসুমি ডেঙ্গু এখন সারা বছরের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।
২০১০-২০১১ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু গত কয়েক বছরের অব্যবস্থাপনা এবং অবহেলার কারণে এটি এখন ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, শহরটি এডিস মশার অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। নগরবাসী এখন মশার কামড়ে মৃত্যুর ক্রমাগত ভয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, নগর কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল একটি সমন্বিত, কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। কিন্তু জনগণের নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধি না থাকায় আমরা ঢাকায় তেমন কিছু দেখিনি। ফলে ২০২৩ সালেও ঢাকার মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বর্ষাকালে বর্তমান হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে ডেঙ্গু খুব দ্রুত মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। বর্তমান অবৈধ সিটি করপোরেশন অবহেলা ও দুর্নীতির মাধ্যমে আমাদের যুব সমাজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকেও দায়ী করতে হবে।
তাবিথ বলেন, নগর কর্তৃপক্ষ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নাগরিকদের জরিমানা করার কথা বলছে। এই অনির্বাচিত মেয়রদের বক্তব্য পরস্পর বিরোধী। মশা নিয়ন্ত্রণে নিজেদের অসাবধানতা, ব্যর্থতা, দুর্নীতি আড়াল করার জন্য নাগরিকদের দায়ী করা হচ্ছে। আমরা এই প্রচেষ্টার নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, অকার্যকর ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে যথেচ্ছভাবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অবৈজ্ঞানিকভাবে চলছে।
এমনকি এই ওষুধগুলো কেনার ক্ষেত্রেও অসামঞ্জস্য ছিল, কারণ তারা তাদের কার্যকারিতা পরীক্ষা না করেই জনগণের অর্থ ব্যয় করেছে।
স্প্রে করার ক্ষেত্রে প্রচণ্ড অব্যবস্থাপনা, অপ্রশিক্ষিত শ্রমিকদের নিয়ে শো-অফের কর্মসূচিও রয়েছে।
তাবিথ বলেন, তবে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কর্মী হিসেবে আমরা মনে করি, সবসময় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য।
তাবিথ ও ইশরাক উভয়েই ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন।
ইশরাক বলেন, ঢাকার দুই সিটির মেয়রের ব্যর্থতায় রাজধানীতে ডেঙ্গু মহামারি ও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জনগণের কাছে জবাবদিহির অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, দূষণ রোধে এবং কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তৈরিতে সামগ্রিক ব্যর্থতা ডেঙ্গু পরিস্থিতি বর্তমান পর্যায়ে অবনতির অন্যতম কারণ।
স্থির পানিতে এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করে উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, অপর্যাপ্ত বর্জ্য নিষ্কাশনের কারণে স্থির পানিতে এডিস মশা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামতকে উপেক্ষা করে দুই মেয়র এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ঠেকাতে যথেচ্ছ কিছু কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ইশরাক অভিযোগ করেন যে, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়ররা শহরের আকার এবং জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন ঠেকাতে লক্ষ্মীপুরে সজীব হত্যা: বিএনপি
ভোট চুরির পরিকল্পনা আছে আ. লীগের: ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে বিএনপি
এখনই ক্ষমতা ছাড়ুন, জনগণ আপনাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না: ফখরুল
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে তাদের মিছিলকে অধিকার আদায়ের ‘বিজয় মিছিল’ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না, এখনই ক্ষমতা ছাড়ুন।
এছাড়া সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের নামে নির্বাচন কমিশন প্রহসন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এটি কেবল একটি মিছিল নয়, এটি বিজয়ের মিছিল। এটা জনগণের অধিকার আদায়ের বিজয় মিছিল।
মঙ্গলবার রাজধানীর গাবতলী এলাকায় দলের পদযাত্রা পূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিছিল কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা আরও ৩৬টি বিরোধী দলের সঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নতুন যাত্রা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: 'সময় শেষ, পদত্যাগ করুন': সরকারের প্রতি ফখরুল
ফখরুল বলেন, পদযাত্রার মধ্য দিয়ে আমাদের এক দফা দাবি আদায় করে আমরা বিজয় অর্জন করব। আমরা এই ভয়ঙ্কর দানবীয় সরকারকে পরাজিত করব এবং একটি সরকার ও জনগণের সংসদ গঠন করব।
ফখরুল বলেন, সারা দেশের মানুষ তাদের হারানো অধিকার ফিরে পেতে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে জেগে উঠেছে।
এছাড়াও নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু বিএনপি নয়, ১২ জুলাই একযোগে আরও ৩৬টি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেছিল যে বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এদেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশ ও জনগণকে রক্ষায় রাজপথে নেমে আসতে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল হিরো আলমের বিরুদ্ধে হেভিওয়েট প্রার্থী ও তার প্রধান বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে বসিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেনি।
ফখরুল বলেন, ভোট কেন্দ্র ফাঁকা ছিল। পঙ্গু-অকেজো এবং পরাধীন নির্বাচন কমিশন ১১ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখিয়েছে। আমরা দেখলাম কোথাও ভোটার নেই। ফলাফল ঘোষণার পর আরাফাত বিজয় চিহ্ন দেখালেন। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিরো আলমকে মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এটা লজ্জার বিষয়।
এছাড়া ভোটকেন্দ্রের সামনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে ১১ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি সবচেয়ে ভাল ছিল। জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য এমন উপহাস করার কোনো মানে নেই।
তিনি বলেন, ভয়াবহ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে রাজধানীবাসী যখন কঠিন সময় পার করছেন, তখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ছুটি কাটাতে ইউরোপে গেছেন। আর ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী গেছেন আমেরিকায়। তাদের কী দায়িত্ববোধ আছে!’
তাদের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী পুরান ঢাকা এলাকার রায় সাহেব বাজার অভিমুখে মিছিলে নিয়ে যাত্রা করেন।
ফখরুল সকাল ১১টা ২০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবং বিকাল ৪টায় রায় সাহেব বাজার মোড়ে তা শেষ হয়।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে মিছিলটি মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজে পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়, ফলে সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, পরে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে একটি মোটরসাইকেল ও একটি সাইকেলও পুড়ে গেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া অন্য সব মহানগর ও জেলা শহরেও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে বিরোধী দলের এক দফা আন্দোলনের এটাই প্রথম কর্মসূচি।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ আন্দোলন করছে।
এর আগে গত ১২ জুলাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ‘একদফা’ আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
এক দফা দাবি আদায়ে প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এছাড়াও বিএনপি আগামী ১৯ জুলাই (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মিছিল করবে।
একই দিন রাজধানীতে কর্মসূচি পালন করবে অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা গণতন্ত্রের নামে আ. লীগের তামাশা: ফখরুল
আ. লীগের ভয় দেখানোর কৌশল আর চলবে না, জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: ফখরুল
'সময় শেষ, পদত্যাগ করুন': সরকারের প্রতি ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বলেছেন, তাদের ক্ষমতায় থাকার সময় শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন আর সময় নেই। তাদের সময় শেষ। আমি আগেও এটা পরিষ্কার করে বলেছি এবং আবারও বলছি।‘
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালীর শহীদ বুলু স্টেডিয়ামে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ' ভালো ছেলের মতো পদত্যাগ করুন । সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন তদারকির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করুন।’
সরকার তা না মানলে রাজপথে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের নেতা তারেক রহমান প্রশ্ন করেছেন, সিদ্ধান্ত কোথায় নেওয়া হবে?
এ সময় সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা চিৎকার করে বলেন, 'রাস্তায়।'
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে: রিজভী
এ সময় মির্জা ফখরুল সরকার পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা খাত ও বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে এবং এটিকে অবৈধ উপার্জনের স্বর্গে পরিণত করেছে। লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো জনগণের সম্পদ কেড়ে নিয়েছে, কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তা ছাড়া, তারা আড়াই শতাংশ প্রণোদনার প্রস্তাব দিয়ে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য পরিকল্পনা করেছে।
মির্জা ফখরুল আরোও বলেন, এটা হাস্যকর যে তারা আমাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে চোরদের পুরস্কৃত করছে এবং আমাদের পকেট থেকে কেটে নিচ্ছে। এ বিষয় শুধু বিএনপি, খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের সমস্যা নয়, এটি পুরো জাতিকে প্রভাবিত করে। আমরা ভোটাধিকারের সংকট, স্বাধীনতা বিপন্ন এবং ভেঙে পড়া অর্থনীতির মুখোমুখি হয়েছি।
খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'গণতন্ত্রের জন্য অবিচল সংগ্রাম করেও তাকে অন্যায়ভাবে আট বছর কারারুদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচিত হলে দেশ পুনর্গঠনের জন্য আমরা ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান এই ৩১ দফার মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন বাংলাদেশের রূপকল্প উপস্থাপন করেছেন।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, শ্রমিক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল ও জাসাসের যৌথ উদ্যোগে শোভাযাত্রাটি দুপুর আড়াইটায় শুরু হয়। দেশের ছয়টি জেলা শহরে এই পাঁচ সংগঠনের পরিকল্পিত কর্মসূচির মধ্যে এই শোভাযাত্রাটি প্রথম।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ নেই: কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বিএনপি
রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা
আমাদেরও এক দফা দাবি, শেখ হাসিনাকে ছাড়া নির্বাচন হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।
‘আমাদের এক দফা এক দাবি, তা হলো শেখ হাসিনার অধীনে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন। যেখানে বিএনপির এক দফা দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ, আমাদের দাবি উল্টো।’
বুধবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথ ‘শান্তি সমাবেশে’ বিএনপির এক দফা সরকার পতনের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে এ কথা বলেন কাদের।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কোনো কথা বলেনি ইইউ: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘বিএনপির এক দফা দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনাকে ছাড়া আমাদের নির্বাচন হবে না। বিএনপি জানে তারা নির্বাচনে হেরে যাবে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার মুখে তারা ভেসে যাবে। তারা শেখ হাসিনার জনপ্রিতার হিংসা করে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের এক দফা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন এবং এই লক্ষ্য অর্জনে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
কাদের বলেন, উন্নয়ন হাসিনার অপরাধ। তার অপরাধ তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
বিএনপির একটি স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এখন আবার স্বপ্ন দেখছে। ‘তারা কী স্বপ্ন দেখছে? শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা (বিদেশি প্রতিনিধি দল) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। আমরাও তা চাই। যে কেউ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে।’
দলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত খেলা চলবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কোনো অপশক্তি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে না।’
তিনি দলের নেতাদের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করতে বলেন এবং সব সহযোগী-সংগঠনের নেতাদের সমাবেশ করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আ. লীগের শান্তি সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম
পদত্যাগ ছাড়া সরকারের আর কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন করতে সরকারের পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট... অবিলম্বে পদত্যাগ করুন এবং সংসদ ভেঙে দিন। অযথা সময় নিলে দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
সোমবার এক সরকারবিরোধী সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘এটাই একমাত্র উপায়, অন্য কোনো উপায় নেই। সুতরাং, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি করুন। অন্যথায়, আপনাদের পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। আপনাদের সময় শেষ।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
চলমান আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের দল সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সরকারের সমালোচনা করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গত এক মাসে আমাদের ৩৮৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে… কাজেই এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি বর্তমান সরকারকে রাজপথে পরাজিত করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখাসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
দল ও এর বিভিন্ন ফ্রন্ট সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগদান করে এবং একটি মিছিল বের করে যা কাকরাইল ও শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মঞ্চ-অভিনীত নির্বাচন, দমনমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ‘তারা (জনগণ) সেই নির্বাচনে ভোট দিতে চায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এবং তার দল সরকারে থাকলে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক: বিএনপি
সিইসির পদত্যাগ ও ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ ফয়জুল করিমের
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ ও সাংবিধানিক পদে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল বাসেত এই আইনি নোটিশ পাঠান।
এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ফয়জুল করিম ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ নেতাকর্মী তার ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
তবে প্রিজাইডিং অফিসার ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা সত্ত্বেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরে সাংবাদিকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এতে বলা হয়েছে, এই বক্তব্যের কারণে তিনি রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আপনার উপরোক্ত বক্তব্যটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অবৈধ, যার ফলে আমার মক্কেলের অপূরণীয় শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে (এর জন্য আপনি দায়ী)। তাছাড়া, তার খ্যাতি এবং ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে... তার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
এতে বলা হয়েছে, ‘এমন পরিস্থিতিতে, আপনি, নোটিশ প্রাপক, উপরোক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনৈতিক বিবৃতি প্রত্যাহার করবেন এবং নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জাতীয় দৈনিক--প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রকাশ করবেন।’
‘এছাড়াও, আপনি 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার' পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং আমার মক্কেলকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে৫০০ কোটি টাকা দেবেন।’
এতে বলা হয়, ‘অন্যথায়, নোটিশের মেয়াদ শেষে আমার মক্কেল দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে যথাযথ আদালতে নোটিশ প্রাপকের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।’
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
সিইসি’র পদত্যাগের দাবিতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম এর ওপর হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন কাংলাদেশ।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা শহরের নছর উদ্দিন মার্কেটের মাঠে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে দলটি।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর ওপর হামলা মেনে নেবার মতো নয়। অবিলম্বে দ্রুত দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে নিবার্চন না হওয়া ও তাদের প্রার্থীকে মৃত বলার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি)পদত্যাগও করতে হবে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, ধীরগতিতে ভোটগ্রহণের অভিযোগ
এতে আরও বক্তব্য দেন জেলা সভাপতি মাওলানা নুরে আলম সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক আইমানিক, যুব আন্দোলনের সভাপতি আশিকুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের