পদ্মা
পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে মাছ ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত (১ মার্চ) থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার জাটকা রক্ষা ও অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশের জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ।
জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত এ ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।
সরকারি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন ৪৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে।
জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে।
সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলায় টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলে পাড়াগুলোতে জেলেদের অংশগ্রহণে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। আইন অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে মাছ আহরণ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে জরিমানা
জেলা মৎস্য অফিসার মো. গোলাম মেহেদী হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে মাথাপিছু ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় জেলে পাড়া আনন্দ বাজার এলাকায় জেলেদের সঙ্গে এই সংবাদদাতার কথা হয়। জালাল দেওয়ান ও হৃদয় হোসেনসহ অন্যরা জানান, তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়, তাতে তাদের সংসার চলে না। সব দ্রব্যের দাম ডাবল। এরপর তাদের ঋণ থাকে। এই সময় বেকার হয়ে পড়ায় তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
তারা সরকারি সহযোগিতা দ্বিগুণ বাড়ানোর দাবি জানান।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই মাসের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নৌপুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে নদীতে কোনো অনিয়ম দেখলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, আইন অমান্য করে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাটকা রক্ষায় টাস্কফোর্স নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
পদ্মা ফেরিডুবি: সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জাতীয় কমিটির
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে বুধবারের ফেরিডুবির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর)।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি মো. শহিদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবি, নিখোঁজ ২৫
অজ্ঞাতপরিচয় বাল্কহেডকে দোষারোপ না করে ডুবে যাওয়া ফেরি 'রজনীগন্ধা' তৈরির সময় কোনো ত্রুটি ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানায়, বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ফেরিটি ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ফেরিডুবির ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
বিআইডব্লিউটিসির বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ফেরিটির নির্মাণ ত্রুটি ও সর্বশেষ ফিটনেস জরিপসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা প্রয়োজন।
দুর্ঘটনার পর থেকে জাতীয় কমিটি উদ্ধার তৎপরতাসহ পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি ডকইয়ার্ডে ফেরিটি নির্মাণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এত অল্প সময়ের মধ্যে বাল্কহেডের (বালুবহনকারী ছোট জাহাজ) ধাক্কায় এত বড় জাহাজের হাল ভেঙে নদীতে পড়ে যাবে তা অবিশ্বাস্য।
জাতীয় কমিটির নেতারা অবিলম্বে ফেরিসহ ডুবে যাওয়া যানবাহন উদ্ধার এবং নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ
গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কয়েক দিন ধরে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। শুক্রবার সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। কেবলমাত্র প্রয়োজনের তাগিতে বের হচ্ছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া নদী ভাঙন এলাকার শ্রমজীবী মানুষ শীতে বাড়তি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গোয়ালন্দে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গোয়ালন্দ উপজেলায় আবহাওয়া অধিপ্তরের কোনো কার্যালয় না থাকলেও প্রয়োজনের তাগিদে উপজেলা প্রশাসন আবহাওয়ার খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ উপজেলায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে। যা এ বছরের সর্বনিম্ন বলে মনে করছেন তিনি। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ১৮ জানুয়ারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এরপর তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কম। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষজন পেটের তাগিদে বাইরে বের হয়েছেন। লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে মানুষের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। কিছু মানুষ এলেও বেশিরভাগ চায়ের দোকানে গরম কাপে চুমুক দিতে দেখা যায়। জরুরি কাজ না থাকলে সহজে কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। উপজেলার উজানচর, দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম অঞ্চলের নদী ভাঙন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষজন অনেক কষ্টে দিন পার করছে। শীতে তাদের বাড়তি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) একজন ভ্যানচালক। প্রতিদিন গোয়ালন্দ বাজার, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকেন। কিছু মাছের ট্রিপ ধরতে এসেছেন দৌলতদিয়া ঘাটে।
দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ফেরি ঘাটে আলাপকালে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এমন শীত পড়েছে, মনে হচ্ছে জমে যাচ্ছি। এমন শীত আগে দেখিনি। ঘরে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে রয়েছে। রোজগার না করলে খাওন জুটবে না। ৩০০ টাকা ভাড়ায় দৌলতদিয়ায় আইছি। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে দাঁড়ায় থাকতে পারছি না।
ঘাটে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম পন্টুনের একটি কক্ষে গিয়ে বসে আছেন। এসময় তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। এরপর ঘাট এলাকায় শীতের সঙ্গে বাড়তি বাতাস থাকায় ডিউটি করা অনেক কষ্টকর। মাঝে মধ্যে বাতাস উঠলে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। উপায় না পেয়ে একটু উষ্ণতা নিতে চায়ের দোকানে ঠাঁই নিতে হয়।
আরও পড়ুন: শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগী
দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, এর আগে এত ঠান্ডা পড়েনি। আজকে সারাদিন ঘরেই বসে আছি। নদী ভাঙন এলাকার মানুষজন ঠান্ডায় কাতর হয়ে পড়ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে কিছু কম্বল দিয়েছিল তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত মানুষকে এখন কী দেব?
এদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় শীতকালীন অনেক ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। ধানের বীজতলা, দানা পেঁয়াজ, সরিষা।
দৌলতদিয়া তোরাপ শেখের পাড়ার কৃষক হুমায়ন আহম্মেদ বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় ধানের বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। দুই দিন ধরে বীজতলার ওপর পলিথিন দিয়ে ঘিরে দিচ্ছেন। সরিষা খেতে পোকার আক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় মুড়িকাটা ও দানা পেঁয়াজের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ অঞ্চলে পেঁয়াজ তোলা শেষের দিকে। সরিষার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। সরিষা খেতে পাতায় এক ধরনের পোকার আক্রমণ হতে পারে। ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ জন্য কৃষকদের সতর্কতার সঙ্গে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে বলেছি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জেকে বসেছে শীত, বিক্রি বেড়েছে হকার্স মার্কেটে
চুয়াডাঙ্গায় জন্মের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেল পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা
চুয়াডাঙ্গায় একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার শিশুই একে একে মারা গেল। যদিও জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে ছেলে শিশুটি মারা যায়। এরপর বেঁচে থাকা তিন মেয়ে শিশু পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা জন্মের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে একে একে মারা যায়।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত তিন মেয়ে শিশুই মারা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এক সঙ্গে চার শিশু (তিন মেয়ে ও এক ছেলে) জন্ম দেন তসলিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আকলিমা খাতুন সেসময় সফলভাবে কোনো অস্ত্রোপচার ছাড়াই বাচ্চা প্রসব করান।
তিনি আরও জানান, সাধারণত কোনো শিশু যদি ৩৭ সপ্তাহের পর জন্ম গ্রহণ করে ও তার ওজন ২ থেকে ২ দশমিক ৫০ কেজি হয় তাকে আমরা পুষ্ট বাচ্চা বলি। এর চেয়ে কম হলে সেগুলো অপুষ্ট বাচ্চা। এক সঙ্গে যে চারটা বাচ্চা জন্ম নিয়েছে তারা সময়ের ২ মাস আগেই জন্ম গ্রহণ করেছে।
তিনি জোনান, তাদের একেরজনের ওজন ১ দশমিক ৫ কেজির মতো বা তারও কিছু কম ছিল। যার কারণে তাদের ফুসফুসসহ অনেক অঙ্গ পরিপক্ব হয়নি। নিজে থেকেও শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছিল না। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যে ও আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্যে বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমরা কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থাও করেছি। যতটা সম্ভব আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাদের বাঁচানো সম্ভব হলো না।
এদিকে শিশুদের বাবা ইমরান হোসেন বলেন, আমার তিন মেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুস্থই ছিল। হঠাৎ একজনের নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে কিছুক্ষণ পর মারা যায়। এর কিছুক্ষণ পর আরও একজন অসুস্থ হয়ে মারা যায়। মৃত দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি এসে দাফন করার প্রস্তুতি নিতে নিতে আরও একজন মারা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নাটোরের বড়াইগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে পদ্মায় নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে একজনের এবং বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একইস্থান থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মায় গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এর আগে শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে নগরীর মতিহার থানার সাতবাড়িয়া এলাকার পদ্মা নদীতে তারা নিখোঁজ হয়।
নিহত দুই শিশু হলো- শুকুর আলীর ছেলে মো. সিয়াম (১১) ও একই এলাকার নেকবর আলীর ছেলে মো. সাজিম (১২)।
মৃত সিয়াম রাজশাহী নগরীর ডাশমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি লিডার আব্দুর রাজ্জাক জানান, শুক্রবার দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ডুবুরি দল তাদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে।
তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধার সম্ভব না হওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়। শনিবার সকাল থেকে আবারও অভিযান শুরু করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে সিয়ামের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। তার পাশ থেকেই বিকাল ৪টার দিকে সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহী নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার বলেন, চারঘাট এলাকা থেকে লাশ দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে। নৌ পুলিশ ছাড়াও চারঘাট থানা পুলিশের সদস্যরা বিষয়টি মনিটরিং করে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে দুইজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু ও আরও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার (২১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সদর উপজেলার চরবাগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত উদ্ধার শিশুটির নাম রেশমা খাতুন (৭)। সে ওই ইউনিয়নের সোনাপট্টি গ্রামের রেহসান আলীর মেয়ে। আর নিখোঁজ কিশোরী নাম মুসলেমা খাতুন (১৪)। সে কটাপাড়ার মো. গুমানির মেয়ে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ওই ঘাটে পদ্মা নদীতে গোসলে যায় রেসমা ও মোসলেমা। এ সময় নদীতে ডুবে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা রেসমার লাশ উদ্ধার করলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে মোসলেমা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক মাহফুজুল হক জানান, একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ মোসলেমার লাশের সন্ধানে রাজশাহীর ডুবুরি দল কাজ করছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
টাঙ্গাইলে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতঘরসহ আবাদি জমি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে।
সদর উপজেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ১৩ রশিয়া থেকে নারায়ণপুর ইউনিয়নের খলিফারচর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গত দুই সপ্তাহের ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে- অর্ধশতাধিক বসতভিটা, মসজিদ ও আবাদি জমি।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর চিত্রকর্ম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
হুমকির মধ্যে রয়েছে- প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, হাট, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বসতভিটা ও ফসলি জমি।
ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদী তীরের অনেকে তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন কবলিত এই এলাকার মানুষের একটাই দাবি ভাঙনরোধে দ্রুত নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
জানা গেছে, পাশাপাশি অবস্থিত এই দুই উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গত দুই-তিন বছর আগে পদ্মায় ভাঙন শুরু হয়।
ভাঙনে ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ভাঙনরোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্ষা মৌসুম এলেই এসব চরাঞ্চলের মানুষ থাকেন নদী ভাঙন আতংকে।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, পদ্মায় ভাঙনটা প্রায় সারা বছরই থাকে। কখনো কম আবার একটু বেশি। এখন এই যে বর্ষা আসলো এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে অসময়ে পদ্মায় ভাঙন
বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ১৩ রশিয়া থেকে তার ইউনিয়নের খলিফারচর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন চলছে। গত ১৫দিনে তার ইউনিয়নে ৭/৮টা মত বসত ভিটা, কিছু আবাদি জমি নদীতে গেছে।
ভাঙন আতংকে নারায়ণপুর আদর্শ কলেজ ও নারায়ণপুর দারুল হুদা আলিম মাদরাসা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, হাট, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অনেক বাড়িঘর ও আবাদি জমি হুমকির মধ্যে রয়েছে।
বর্তমানে এসব এলাকা থেকে নদী ১ কিলোমিটার দূরেও নাই।
তিনি আরও জানান, ১নং ওয়ার্ডের সরদারপাড়া, বাঘপাড়া, ঘোসপাড়া, মন্ডলপাড়া, ৪ নং ওয়ার্ডের পান্নাপাড়া, চটকপাড়া সবই নদী থেকে হাফ থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে।
ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা না নিলো একে একে সব পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে।
এদিকে পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, দুই মাসের উপর থেকে দক্ষিণ পাঁকা তেরো রশিয়া এলাকায় একটু একটু করে ভাঙন চলছিলো। এখন পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু বাড়ি নদীতে নেমে গেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ভাঙন রোধে ১০৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
ভাঙন আতংকে আছে অনেকে। তাদের কেউ কেউ ঘরবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে নদী ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ৫০টি মত বসতভিটা নদীতে নেমে গেছে। নদী পাড়ের মানুষ এখন ভাঙন আতংকে দিন পার করছে। কেউ কেউ ভাঙনের ভয়ে ঘরবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫০টি মত ঘরবড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান জানান, কয়েক বছর থেকে ওই এলাকা ভাঙছে। বর্তমানে নদীতে পানি বাড়ছে। এবারও অল্পদিন থেকে হালকা ভাঙন শুরু হয়েছে।
পাঁকা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাঁকা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
তবে এখনো কাজ করার কোনো অনুমতি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। প্রকল্প অনুমোদন হলে ও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর উপজেলার আলাতুলি এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা। বুধবার বিকালে লাশগুলো উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজন মারা গেল।
উদ্ধাররা হলেন - আলাতুলির ছয়রশিয়া এলাকার হযরত আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (৫৭), একই এলাকার মৃত সহোরাব আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৬২) ও চর দেবীনগর এলাকার সুমন আলীর ছেলে পাখি (১৪)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ও আলাতুলি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৩
তারা জানান, আজ বুধবার বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে জেলার হড়মা ও পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সারেংপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের মধ্যচর এলাকা থেকে চীনা ফসল নিয়ে ৭ থেকে ৮ জন একটি ছোট ডিঙ্গি নৌকায় বাড়ি ফিরছিল। দুপুর দেড়টার দিকে ছয়রশিয়া আসার পথে রাণীনগরের টিকর পাড়া এলাকার কাছাকাছি হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়ায় নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়।
এ সময় অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও চারজন ডুবে যায়।
পরে স্থানীয়রা নদী থেকে এনামুল হক নামে একজনের লাশ উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকে বাকি তিনজন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে পালানোর ৩২ দিন পর আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আলাতুলি ইউনিয়নে মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় নিহত একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
নিহত এনামুল হক (৬০) আলাতুলি ইউনিয়নের ছয়রশিয়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এবিষয়ে ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, আলাতুলি ইউনিয়নের মধ্যচর এলাকা থেকে চীনা ফসল নিয়ে এনামুল হকসহ আরও ৬/৭ জন একটি ছোটডিঙি নৌকা করে বাড়ি ফিরছিল। দুপুর দেড়টার দিকে ছয়রশিয়া আসার পথে রানীনগর টিকর পাড়া এলাকার কাছাকাছি হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়ায় নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। এসময় অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকি চারজন ডুবে যায়।
পরে স্থানীয়রা নদী থেকে এনামুলের লাশ উদ্ধার করে। নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।
নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। তবে নদীতে প্রবল স্রোত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত ও নিখোঁজদের পরিবারকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু
দিনাজপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে পদ্মায় কোরবানির ২৮টি গরুবাহী ট্রলারডুবি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে ৪৭ টি গরুসহ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ১৯টি গরু জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বাকি গরু ও ট্রলার এখনো উদ্ধার করা যায়নি। শনিবার সকালে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সুত্রকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা থেকে ৪৭টি গরু নিয়ে একটি ট্রলার নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কোরবানির এসব গরু বিক্রি করতে ২৪ জন ব্যবসায়ী ওই ট্রলারে করে নারায়ণগঞ্জের একটি গরু হাটে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হরিরামপুর উপজেলার সূত্রকান্দি এলাকায় পদ্মা নদীতে গরুবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে গরু ব্যবসায়ীরা সাঁতরে তীরে উঠলেও অধিকাংশ গরু নদীতে ডুবে যায়।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, ট্রলারের নিচে ফুটো হয়ে গরুসহ সেটি নদীতে ডুবে যায়। তবে এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের কেউ হতাহত হননি।
মানিকগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) ইমতিয়াজ মাহমুদ জানান, স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জাল পেতে ডুবন্ত ট্রলারটি শনাক্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রলার ও একটি সাম্পানের মাধ্যমে ডুবন্ত ট্রলার বাধা হয়েছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুইটি মৃত গরু ভেসে উঠেছে। বাকি গরুগুলো মৃত অবস্থায় দ্রুত পাড়ে টেনে নেওয়ার কাজ চলছে।
হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য জানান, উদ্ধারকাজে রয়েছে ডুবুরিদল আরিচা স্থলকাম নদী ফায়ার স্টেশন শিবালয়ের ৬জন কর্মী এবং হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৭ জন কর্মীসহ সিংগাইর সদর সার্কেল আব্দুল্লাহ আল ইমরানসহ স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জ শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
মানিকগঞ্জে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ
মানিকগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৪