দৌলতদিয়া
দৌলতদিয়ায় নদীতে পড়ে পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে পড়ে মো. ফিরোজ শেখ নামে এক পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল সোয়া ৭টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
ফিরোজ শেখ মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আসগর আলীর ছেলে এবং পেশায় সেলফি পরিবহনের সহকারী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিবহন শ্রমিক ফিরোজ শেখ পন্টুন থেকে হঠাৎ করেই নদীতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা গোয়ালন্দ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদী থেকে ফিরোজ শেখের লাশ উদ্ধার করে।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাবেকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার পদ্মা নদীতে এক ব্যক্তি পড়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে ডুবুরি দল এসে তার লাশ উদ্ধার করে দৌলতদিয়া নৌপুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন।
দৌলতদিয়া ঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা খবর পাই লঞ্চঘাটে পন্টুন থেকে এক যুবক নদীতে পড়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ফায়ার স্টেশনকে খবর দেই।’
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস তার লাশ উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া করছি।
তিনি বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষ হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: আহত পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
এ সময় মাঝ পদ্মায় আটকা ছিল ২টি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়ায় ২টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ৭টি ফেরি আটকিয়ে রাখা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নদী পার করতে আসা যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম জানান, মধ্য রাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। রাত দেড়টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
তিনি আরও জানান, মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও করবি নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া আরো ১০টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়ে অর্ধশত যাত্রীবাহী বাস ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢাকার বদলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে রাত ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে ৪টি ফেরি।
এছাড়া, পাটুরিয়ায় ৮টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ২টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদী পারাপারের যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম বলেন, মধ্যরাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। রাত ৩টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ঘন কুয়াশায় লঞ্চে কার্গো জাহাজের ধাক্কা, নিখোঁজ ১
তিনি আরও বলেন, মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে হামিদুর রহমান, বনলতা, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও হাসনা হেনা নামে ৪টি ফেরি। এছাড়া আরও ১০টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকে রাখা হয়।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়েছে অর্ধ শত যাত্রীবাহী বাস ও ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কুয়াশা কমতে শুরু করায় ফেরি চলাচল আবারও শুরু হয়।
এ সময় মাঝ পদ্মায় আটকা ছিল ৩টি ফেরি। এছাড়া, ২ ঘাটে আরো ১১টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছিল। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় নদী পারাপারের যাত্রীদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মহি উদ্দিন রাসেল জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে।
তিনি আরও জানান, রাত সাড়ে ৯টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় শাহপরান, কেরামত আলী ও বনলতা নামে তিনটি ফেরির। এছাড়া আরো ১১টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকে রাখা হয়। তবে কুয়াশা কমতে থাকায় আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়েছিল অর্ধশত যাত্রীবাহী বাসসহ ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি চলাচল শুরু
৯ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মাঝ নদীতে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকা আছে ফেরি বনলতা। এছাড়া পাটুরিয়াঘাটে ৭টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে ৪টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে।
পদ্মার উভয় পাড়ে আটকা পড়েছে শতাধিক যানবাহন।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় কুয়াশার প্রকোপ বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে ফেরির সার্চ লাইটেও নৌপথ দেখতে না পেয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় মাঝ নদীতে বনলতা নামে একটি ছোট ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এছাড়া পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ১১টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে।
ঘন কুয়াশা কেটে না যাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে আটকা ৪ ফেরি
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে আটকা ৪ ফেরি
ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ফেরি, লঞ্চসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে যানবাহনবোঝাই ৪টি ফেরি।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নৌযান চলাচল শুরু হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মধ্যরাত থেকে ভারী কুয়াশার কারণে সামান্য দূরের কিছুই দেখা না যাওয়া নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
আরও জানা যায়, দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১টা থেকে কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো (বড়) ফেরি ভাষা শহীদ বরকত, গোলাম মাওলা, ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি বনলতাসহ ৪টি ফেরি মাঝ নদীতে দিক হারিয়ে আটকা পড়ে। ফেরি ৪টিতে অন্তত শতাধিক যানবাহন রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার পর পর্যন্ত এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ঘাটে ভাঙনে ২০ মিটার বিলীন
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ফেরিঘাটে আকস্মিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। রবিবার থেকে ভাঙন শুরু হয়ে সোমবার পর্যন্ত ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ২০ মিটার এলাকা ভাঙনে ধ্বসে গেছে।
এসময় একটি জামগাছ, একটি আমগাছ, একটি বটগাছ ও টিউবওয়েল ছিল তাও পদ্মা নদীতে ধ্বসে গেছে।
এছাড়া আশপাশ এলাকায় অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন সোমবার দুপুরে দেখা যায়, ৬ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন স্থানীয় বারেক মৃধার মুদিখানা দোকান ও পেছনে তার বাড়ি। তার দোকানের সামনে এক পাশে বিআইডব্লিউটিএর অব্যবহৃত পন্টুন নোঙর করে রাখা, অন্য পাশে রয়েছে ৬ নম্বর ফেরিঘাট।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
বেশ এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় গত বন্যায় ভাঙন রোধে ফেলানো বালুভর্তি জিওব্যাগসহ ধ্বসে পড়ছে। স্থানীয় কয়েকজন ভাঙনস্থানে রাস্তার উপরে থাকা বালুভর্তি কিছু জিওব্যাগ ফেলার চেষ্টা করেন।
এছাড়া প্রায় ৩০ ফুট এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। মুদি দোকানসহ ১০-১২টি পরিবারের সকলে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে আসেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী।
স্থানীয় সিদ্দিক কাজী পাড়ার বাসিন্দা ও মুদি দোকানী বারেক মৃধা বলেন, রবিবার সকাল ৬টার দিকে হঠাৎ বিকট আকারে শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। স্থানীয় অনেকের সঙ্গে ভয়ে দৌড়ে নদীর পাড়ে এসে দেখি আমার দোকানের সামনের বিশাল অংশজুড়ে পদ্মায় ধ্বসে গেছে। পাশেই ৬ নম্বর ফেরি ঘাটও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বালুভর্তি জিওব্যাগ ধ্বসে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, নদী থেকে মাত্র ৮-১০ হাত দূরে আমার দোকান। দোকানের সামনে অনেক জায়গাজুড়ে ফাটল নিয়ে বিকালে আরও ভেঙে যায়। এসময় তিনটি গাছসহ টিউবওয়েল ধ্বসে নদীতে যায়।
তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ’র দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে দোকান, বাড়িঘর কিছুই থাকবে না।
পদ্মার পাড়ের আরেক বাসিন্দা সরোয়ার মোল্যা বলেন, সকালে ভিড় দেখে দ্রুত নদীর পাড়ে এসে দেখি প্রায় ৫০ ফুটের বেশি এলাকা ভেঙে গেছে। আমরা চাই, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে নদীর পাড়ের মুদি দোকানসহ ১০-১২টি পরিবারের বসতভিটা কিছুই থাকবে না।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে এলাকাবাসী
দৌলতদিয়ায় ৩ কিমি. দীর্ঘ যানজট
কয়েক দিনের টানা ছুটি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ’ গাড়ি। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট ছাড়িয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গাড়ির যাত্রীরা দুই-তিন ঘন্টার বেশি ধরে আটকে রয়েছেন।
রবিবার বিকালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুর থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী যাত্রীবাহী পরিবহনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গাড়ির চাপ বাড়ে। সেই সঙ্গে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ফরিদপুরের আটরশিগামী গাড়ি ফিরতে থাকায় বাড়তি চাপ তৈরি হয়। এসব গাড়ি মিলে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট ছাড়িয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন তৈরি হয়।
এছাড়া শারদীয় দূর্গাপূজা সহ সাপ্তাহিক ছুটিতে থাকা অনেকে কর্মস্থলের দিকে ছুটছে। ওই সব মানুষবাহী গাড়ির চাপও রয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর এই প্রথম যানবাহনের এতবড় লম্বা লাইন তৈরী হয়েছে।
কয়েক দিনের টানা ছুটি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ’ গাড়ি। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট ছাড়িয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গাড়ির যাত্রীরা দুই-তিন ঘন্টার বেশি ধরে আটকে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত যানজট, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে চলাচল করছে মাত্র ১০টি ফেরি। এরমধ্যে ৫টি রো রো (বড়), ৪টি ইউটিলিটি (ছোট) এবং ১টি কেটাইপ ফেরি চালু রয়েছে। অবশিষ্ট ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে ৭টি ঘাটের মধ্যে বর্তমানে সচল রয়েছে ৪টি ঘাট। এরমধ্যে পানির নাব্যত কমতে থাকায় ৭নম্বর ঘাটের একটি পকেট বন্ধ রয়েছে। পন্টুনের সংস্কার কাজ চলায় রবিবার সকাল থেকে পকেটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ৬ নম্বর ঘাটটি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরির জন্য। সবচেয়ে ব্যস্ততম এবং বড় ৫ নম্বর ঘাট নদী ভাঙনের কবলে পড়ায় ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। ৪নম্বর ঘাট শুধুমাত্র ভিআইপি ফেরির জন্য সচল থাকে। ৩নম্বর ঘাটটি গতকাল শনিবার সারাদিন একটি পকেট যান্ত্রিক সমস্যায় বন্ধ ছিল, বর্তমানে সচল রয়েছে। বাকি ১ এবং ২ নম্বর ফেরি ঘাট ২০১৯ সালে ভাঙনে বিলীন হয়। পরে সংস্কার করলেও ঘাট দুটি চালু হয়নি।
দৌলতদিয়া ঘাট পরিবহন শ্রমিক মো. রানা শেখ বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি সংখ্যা বেশি থাকলেও গাড়ির স্বল্পতায় সবকটি ফেরি চালু করা হয়না। শনিবার সাপ্তাহিক ও ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটিতে অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটছে। আবার পূজাসহ সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়ে কেউ কর্মস্থলের দিকে ছুটতে থাকায় শনিবার রাত থেকে দৌলতদিয়া এবং পাটুরিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ পড়ে। এরপর সবকটি ফেরি চালু না করায় দৌলতদিয়া প্রান্তে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।
ফরিদপুরের আটরশি ফেরত আলামিন শেখ নামের এক বাসযাত্রী বলেন, গতকাল শনিবার রাতে তারা গাজীপুর থেকে তিনটি বাস বোঝাই করে আটরশিতে যান ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে। রাত শেষে সকালে মিছিল ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের পর রওনা করেন। তাদের মতো এরকম শতাধিক আটরশি ফেরত গাড়ি দুই ঘন্টার বেশি লম্বা লাইনে আটকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন অফিস সময়: সকালেই রাজধানীতে তীব্র যানজট
কুষ্টিয়া থেকে আসা লালন পরিবহনের ঘাট তত্বাবধায়ক ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, রবিবার দুপুর থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। অনেকে রয়েছেন যারা সাপ্তাহিক ছুটি শেষে নিজ গন্তব্যে ফিরছেন। অনেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি কাটাতে ছুটছেন। এছাড়া ফরিদপুরের আটরশি ফেরত অনেক গাড়ি আসায় বাড়তি চাপ দেখা দিয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর প্রথম ঘাট থেকে প্রায় দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার যানবাহনের লাইন তৈরি হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরি রয়েছে। যানবাহনের চাপ না থাকায় মাত্র ১০টি ফেরি চালু রেখে বাকিগুলো পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় বসিয়ে রাখা হয়। রবিবার দুপুর থেকে ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীর কারণে চাপ বাড়তে থাকায় গাড়ির লম্বা তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা বসিয়ে রাখা ফেরিগুলো নামাতে পারি।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনার জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিমি দীর্ঘ যানজট
নদী ভাঙনে দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর ভাঙনের কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পাঁচ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার ফেরি চলাচলের টার্মিনাল এলাকার ৫০ মিটার নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ ফেরি চলাচল বাতিল করে।
ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলেছে।
আরও পড়ুন: গাড়ি ও মানুষের চাপ কমে দৌলতদিয়া ঘাট ফাঁকা
উপজেলার অন্যান্য আরও তিনটি ফেরিঘাট ভাঙনের হুমকিতে আছে।
সম্প্রতি ইউএনবি’র প্রতিনিধি ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখেন ভাঙন থেকে ঘাটের পল্টুন রক্ষায় বিআইডব্লিউটি’র ‘আইটি-৩৮০’ জাহাজের সাহায্যে সেটিকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
নদী ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা ১০টি দোকানকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বুধবার পর্যন্ত ২০০ ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ
নদী পাড়ি দিতে এসে রাত কেটে যাচ্ছে গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায়
মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর যান ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম। ঈদ শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ঈদের চতুর্থ দিন গত শুক্রবার থেকে কর্মস্থলে ছুটতে শুরু করেছেন। তিনিও পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রওয়ানা করেন। তবে ১২ ঘন্টার বেশি মহাসড়কে থেকে এখনও ঘাট পাড়ি দিতে পারেননি।
রবিবার সকালে ফেরি ঘাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার আগে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় আটকে থাকা অবস্থায় তাকে দূর পাল্লার পরিবহনের সামনে ইঞ্জিন কভারে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় আলাপকালে ইউএনবির প্রতিবেদককে তিনি এসব কথা বলেন।
শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, ঘাটে যানজটের কথা শুনে দিনের বেলা রওয়ানা করিনি। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে রাত ৯ টার দিকে বাসে উঠি। প্রায় ১৩ ঘন্টা ধরে বাসে বসে আছি। সঙ্গে লাগেজ রয়েছে। যে কারণে নামতেও পারছি না।
শরিফুল ইসলামের মতো ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখী শত শত মানুষের রাত কাটছে গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায়। নদী পাড়ি দিতে আসা শত শত গাড়ির লাইন ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে গাড়ির লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে গরমে ক্লান্ত যাত্রীরা সিটে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আবার অনেকের জরুরি কাজ থাকায় গাড়ি থেকে নেমে গেছেন।
এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের চাপ কমাতে ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার আগে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় আহ্লাদিপুর এলাকায় পুলিশ গাড়ি আটকে দিচ্ছে। এসময় পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়াও অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি আটকা পড়ছে। কিছু গাড়ি সিরিয়াল ভঙ্গ করে আগে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশের হাতে মামলাও খাচ্ছে। এছাড়া মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ শত শত ব্যক্তিগত গাড়ি গোয়ালন্দের জমিদার ব্রিজ ও পদ্মার মোড় এলাকা থেকে পুলিশ গোয়ালন্দ বাজার হয়ে উজানচর ও চর দৌলতদিয়া হয়ে অতিরিক্ত আরও প্রায় আট কিলোমিটার পথ ঘুরে ফেরি ঘাটে পৌঁছেছেন। রবিবার সকালে এ প্রতিবেদক সরেজমিন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখতে পান।
এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা থেকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ছেড়ে আসা যাত্রিবাহী দূরপাল্লার পরিবহন এখনও ঘাটে আটকে আছে। যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে কাঁচা পণ্যবাহী অনেক গাড়িও আটকে আছে। বিশেষ করে তরমুজবাহী কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহী গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার হওয়ার সুযোগ নিয়ে ওই সব গাড়ি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী দালালরা পুলিশের সহযোগিতায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। তারপরও ১৪-১৫ ঘন্টার আগে ফেরির নাগাল পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মে দিবসে পাটুরিয়া ঘাটে ভিড়
বরগুনা থেকে প্রায় ২২ টনের তরমুজ বোঝাই করে কাভার্ডভ্যান নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন ফল ব্যবসায়ী আবুল বাশার। তিনি বলেন, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে রওয়ানা করে ১১টার দিকে ঘাটে যানজটে আটকা পড়েন। স্পেশালভাবে তাদের যাওয়ার কথা বলে তাদের থেকে ১৮০০ টাকার টিকিট সাড়ে চার হাজার টাকা নিয়েছে। এরপরও প্রায় ১৩ ঘন্টা ধরে আটকে থাকায় গরমে অনেক তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রভাবশালী স্থানীয় এক ওয়ার্ড সদস্য, যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রতিটি তরমুজসহ বিভিন্ন কাঁচাপণ্য ও ফলের গাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছেন। এতে স্থানীয় কিছু পুলিশ সদস্য সহযোগিতা করে থাকে। এদিকে বিপুল সংখ্যক যানবাহন রাজধানীর দিকে ছুটছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে প্রায় ১১ হাজার ৫৯৩টি যানবাহন ফেরিতে নদী পাড়ি দেয়। ২৪ ঘন্টায় ২৬৬টি ট্রিপ দিয়ে যানবাহনের মধ্যে ছোট বা ব্যক্তিগত গাড়ি প্রায় সাত হাজার ১৯৬টি, মোটরসাইকেল তিন হাজার ২০৩টি, বাস ৮১৫টি এবং ৩৭৯টি ট্রাক পাড়ি দেয়।
আরও পড়ুন: ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির শঙ্কা
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড সংখ্যক গাড়ি পাড়ি দিয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ফেরি চললেও গতকাল শনিবার দুপুরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ে। পরে সন্ধ্যার আগেই বের হয়ে যায়। বর্তমানে ২১টি ফেরি ও পাঁচটি করে ঘাট সচল থাকলেও জরাজীর্ণ সড়ক এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের সমস্ত গাড়ি এই রুট ব্যবহার করায় অতিরিক্ত চাপ পড়েছে।
এদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে রবিবারও সকাল থেকে যাত্রীদের ভিড় ছিল। দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন থেকে আসা ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। গত শুক্রবার থেকে এই ঘাটে মানুষের ভিড় শুরু হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ ঘাটে যানজটে আটকে থাকার ভয়ে ফেরি পারাপারের পরিবর্তে লঞ্চে নদী পাড়ি দিচ্ছেন। প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ সংখ্যক যাত্রী বহন করছে।
আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতি দৌলতদিয়া ঘাট প্রতিনিধি নুরুল আনোয়ার বলেন, গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ১৬৬টি লঞ্চ ট্রিপ দিয়েছে। তবে ঝুঁকির কথা ভেবে রাত দশটার পর থেকে লঞ্চে যাত্রী পারাপার অনেকটা বন্ধ থাকায় ট্রিপ সংখ্যা কম রয়েছে, নতুবা আরও অনেক বাড়তো। ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৩০ হাজারের মতো যাত্রী পার হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া দিয়ে যান চলাচলের অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর