বিদেশ
ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
স্যাটেলাইট থেকে তোলা একটি ছবিতে দেখা গেছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় সিরিয়ার আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামরিক বাহিনীর অংশের একটি রানওয়ে ও এর পার্শ্ববর্তী স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার রাতে রাজধানী দামেস্কের প্রধান বিমানবন্দর আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সেসব রানওয়েতে ইসরাইল হামলা চালায় যেগুলো দিয়ে মাত্র মাসখানেক আগেও ইরানের অস্ত্রের চালান এসেছে।
শুক্রবার দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ছবিটি বিশ্লেষণ করেছে।
প্লানেট ল্যাব পিবিসির বৃহস্পতিবারের নেয়া ছবিতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের পশ্চিমাংশের একমাত্র রানওয়ের হামলার জায়গার চারদিকে অনেকগুলো গাড়ি ঘিরে রেখেছে। হামলায় রানওয়েতে গর্ত তৈরি হয়েছে এবং আগুন জ্বলছে।
আরেকটি হামলায় রানওয়ের দক্ষিণে বিমানবন্দরটির সামরিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং সড়কের পিচ ও আরেকটি কাঠামো নষ্ট হয়েছে।
সিরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো মতো বিমানবন্দরে দুটি রানওয়ে ব্যবহার করে যার একটি দিয়ে বেসামরিক ও অন্যটি সামরিক বাহিনীর জন্য। হামলায় ফ্লাইট বিঘ্নিত হয়েছে।
পড়ুন: সিরিয়ায় বিমান হামলায় ২৯ তুর্কি সেনা নিহত
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে বলেন, ‘হামলায় সামরিক বাহিনীর জায়গা ও যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।’
বিদ্রোহীদের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস অভিযোগ করছে যে ইরানের একটি মিসাইলের চালানকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। লেবাননের হিজবুল্লাহর ঘটিষ্ঠ সহযোগী ইরান। যারা সিরিয়ায় বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে ২০১১ সালে দেশব্যাপী চরম বিদ্রোহের সময় থেকে তার পক্ষে যুদ্ধ করছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার এপির পক্ষ থেকে ইরান ও সিরিয়ার আন্তর্জাতিক মিশনে যেগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিরিয়ায় ইরানের সঙ্গে ইসরাইল ছায়া যুদ্ধে লিপ্ত থেকে অনেক হামলা চালিয়েছে। তবে বুধবারের হামলার দায় এখন পর্যন্ত সরাসরি স্বীকার করেনি তারা।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরাইল এই হামলার জন্য দায়ী ‘দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমান বন্দরে বার বার হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ও চলাফেরার স্বাধীনতাকে হুমকির মধ্যে ফেলছে।’
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৩
সিরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২
আগস্টে রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে আগস্টে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাইতে অভিবাসী শ্রমিকরা ২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছিল।
জুলাইতে রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের আগস্টে ছিল ১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি ২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্সন্স আহরণ করেছে, যা ২১ অর্থবছরে আহরিত ২৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলারের তুলনায় ১৫ শতাংশ কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের রেমিটেন্স প্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আশার আলো দেখালেও ক্রমবর্ধমান আমদানি চাহিদা মেটানো কঠিন হয়েছে।
পড়ুন:দেশের অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের ৩ অগ্রাধিকার
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে আগ্রহ তৈরিতে প্রক্রিয়াগুলোকে সহজীকরণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি বলেন, সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তা প্রদান করছে। এখন ডলারের মূল্যহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলছে, মহামারি পরবর্তী বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি ও চাকরির সুযোগ ও রেমিটেন্স প্রবাহ গত অর্থবছরের তুলনায় আরও বাড়াবে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, ২০২২ অর্থবছরে ৯ লাখ ৮৮ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে যা ২০১১ অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার।
পড়ুন: মেগা প্রকল্প অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
গত সাত বছরে বার্ষিক বৈদেশিক চাকরির এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা।
কর্মকর্তারা আশা করছেন, মালয়েশিয়ার সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী পুনরায় জনশক্তি নেয়া শুরু করলে এই অর্থবছরে কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ অর্থবছরে করোনা মহামারির মধ্যে ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৫ জন চাকরি পেয়েছে, যা ২০২০ সালে ছিল ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ জন, ২০১৯ সালে ছিল ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪ জন, ২০১৮ সালে ছিল ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৭ জন, ২০১৭ সালে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩৬ জন এবং ২০১৬ সালে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭২১ জন।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
৮ লাখের বেশি কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা
সরকার চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) আট লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে বিদেশে পাঠানোর এবং পাঁচ লাখ ২০ হাজার কর্মীকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
এছাড়াও, বৈদেশিক চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে আরও বেশি কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিতে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ সেন্টার চালু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একটি সরকারি নথি অনুসারে, কর্মীদের দক্ষতা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া ও বিদেশে তাদের আরও ভাল চাকরি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এই লক্ষ্যে, কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও মেরিন প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সব ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গত অর্থবছর (২০২১-২২) থেকে জাতীয়, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক যোগ্যতা ফ্রেমওয়ার্ক (এনটিভিকিউএফ) এর অধীনে পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: দুর্বল ১০ ব্যাংককে রক্ষায় চুক্তি হচ্ছে
বিদেশের শ্রমবাজারে তাদের (বাংলাদেশি শ্রমিকদের) আয় বাড়ানোর জন্য রিকগনিশন অব প্রায়োর লার্নিং (আরপিএল) কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ৪৩টি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে (টিটিসি) বিদেশি ভাষা শেখানোর কোর্স চালু রয়েছে।
এ ছাড়া, অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনার জন্য তিনটি নতুন অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে- ‘এমপ্লয়ি কানেক্টিভিটি রিপোর্টিং সিস্টেম’, ‘অনলাইন গ্রিভেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ ও ‘রিক্রুটিং এজেন্সি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএআইএমএস)’।
প্রবাসী শ্রমিক ও বিদেশ থেকে ফেরত শ্রমিক উভয়ের কল্যাণে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
নিয়মিতভাবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সেক্টরটিকে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল করা হয়েছে। যেমন- কর্মচারী নিয়োগের জন্য পেশাদার ডাটাবেস তৈরি করা; মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভিসা ফরম যাচাই করা; অভিযোগ গ্রহণের জন্য পৃথক পোর্টাল এবং ‘জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’ (বিএমইটি) এর স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম।
দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের পুনঃসংহতকরণের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি কার্যক্রম চলছে এবং তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সহজ শর্তে বিনিয়োগ ঋণ প্রদান, প্রবাসীদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান এবং প্রতিবন্ধী প্রবাসী শ্রমিকদের ফিরে আসার সময় চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
সারাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অনুপ্রাণিত করার জন্য পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ৩৬.১০ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে, ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স থেকে আয় কিছুটা কমেছে।
আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে প্রণোদনার হার ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট থেকে ২.৫ শতাংশ করেছে।
এছাড়া সরকার পাঁচ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্সের বিপরীতে নগদ প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে রেমিটেন্স পাঠানো ব্যক্তিদের উপার্জনের নথি জমা দেয়ার বাধ্যতামূলক বিধান প্রত্যাহার করেছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে শিগগিরই রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক অবস্থায় ফিরে আসবে।
২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসা দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছিল।
এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি দেশের বাইরে বসবাস করছেন এবং কাজ করছেন, যার বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যে বাস করেন। তৈরি পোশাক রপ্তানির পর এটি দেশের দ্বিতীয় বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রাপ্তির খাত।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র গত বছরই তারা ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে।
বিএমইটি এর মতে, শুধুমাত্র ২০১৯ সালে, সাত লাখেরও বেশি অভিবাসী শ্রমিক বিদেশে কর্মসংস্থানের সন্ধানে দেশ ছেড়েছেন এবং ৭৩ শতাংশেরও বেশি রেমিট্যান্স উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলভুক্ত দেশসমূহ থেকে পাঠানো হয়েছিল।
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ সরাসরি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে প্রভাবিত করে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য একটি লাইফলাইন হিসেবে কাজ করে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের পরামর্শ মতে, শিক্ষা ও দক্ষতার উন্নতিতে বিনিয়োগ করা উচিত। যাতে স্বল্প-দক্ষ অভিবাসী শ্রমিকেরা আরও বেশি উপার্জন করতে পারে এবং ঋণের চক্র ভেঙে বাইরে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে কাতারের বিনিয়োগ চায় ঢাকা
খাদ্যের জন্য কোনক্রমেই বিদেশের ওপর নির্ভরশীল থাকা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি কর্মকর্তাদের দ্রুত খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্যের জন্য বিদেশের ওপর কোনক্রমেই নির্ভরশীল থাকলে হবে না। আন্তর্জাতিক বিশ্ব খুবই নির্দয় ও নিষ্ঠুর; দেশের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে তাদের মধ্যে কোন মানবতাবোধ, গণতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ কাজ করে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ‘শস্য রপ্তানির’ একটি চুক্তি হয়েছে; কিন্তু নানা অজুহাতে সেটি এখনও কার্যকর হয়নি। এরকম অস্বাভাবিক বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করতে না পারলে, টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহী, রংপুর বিভাগসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।এ সময় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, দ্রুত চালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ব্রি ২৮সহ পুরোনো জাতের ধানের পরিবর্তে নতুন উদ্ভাবিত বেশি উৎপাদনশীল জাত ব্রিধান ৮৯, ৯২, ১০০সহ নতুন জাতগুলো কৃষকের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিন ও জনপ্রিয় করুন। এ জাতগুলোর ফলন বিঘাতে ৩০ মণের বেশি হয়। এগুলো চাষ করলে চালের উৎপাদন ৩০ শতাংশ বাড়ান সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই মুহূর্তে দেশে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ। অন্যদিকে কৃষি জমি কমছে। এ অবস্থায় এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করতে হবে, যান্ত্রিক করতে হবে, আধুনিক করতে হবে। উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হবে: কৃষিমন্ত্রীড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে ডলারের সংকট নেই, তেলের সংকট নেই, সারেরও সংকট নেই। কিন্তু কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবীসহ যারা চায় সরকারের তাড়াতাড়ি পতন হোক, দেশে খাদ্য সংকট হোক, অর্থনৈতিক বিপর্যয় হোক, তারাই এটি বলে বেড়াচ্ছে। তারা স্বপ্ন দেখছে, এসব সংকট হলে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসবে বা সরকারের পতন হলে অগণতান্ত্রিক অনির্বাচিত সরকারের উপদেষ্টা ও মন্ত্রী হবে। আমি মনে করি, তারা গণতন্ত্রের শত্রু, দেশের শত্রু।কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার,ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।কর্মশালায় বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তি ও উচ্চ উৎপাদনশীল ধানের জাত চাষের মাধ্যমে তেল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পরিকল্পনা ও করণীয় বিষয়ে ৫ টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কৃষি কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।পরে বিকালে নগরীর একটি হোটেলে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত ‘কৃষি সেক্টর রূপান্তরে বিনিয়োগ’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
আগামী মাসে আরেকটি বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
শাহ আমানতে ২৮ স্বর্ণের বারসহ বিদেশ ফেরত যাত্রী আটক
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ২৮টি (প্রায় তিন কেজি) স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মধ্যপ্রাচ্যের জেদ্দা থেকে আসা বিমানের এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই যাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. নিয়ামুল হাসান।
তিনি বলেন, জেদ্দা থেকে আসা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৩৬ ফ্লাইটে এক যাত্রীর কাছ থেকে ২৮টি অবৈধ স্বর্ণের বার পাওয়া গেছে। স্ক্যানিংয়ের সময় ওই যাত্রীর লাগেজে ধাতব বস্তুর অস্তিত্ব দেখা যায়। এরপর তাকে চ্যালেঞ্জ করে তল্লাশি চালিয়ে স্বর্ণবারগুলো পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এ ঘটনায় কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে এক কোটি ১৬ লাখ টাকার ৯ স্বর্ণের বার জব্দ
বিমানবন্দরে ৫৯ স্বর্ণের বারসহ মার্কিন পাসপোর্টধারী যাত্রী আটক
এবার জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিচারকদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ
এবার দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের আবেদন না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা বেড়েছে। বিচারপ্রার্থী জনগণের দ্রুত বিচারিকসেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব এড়াতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করতে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি। এ অবস্থায়, খুব প্রয়োজন ছাড়া অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিদেশ ভ্রমণের আবেদন না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।’
এর আগে গত ১২ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয়, করোনা–পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরায় আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষাসফর, এপিএ এবং ইনোভেশনের আওতামুক্ত ভ্রমণ ও ওয়ার্কশপ বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
বর্তমান বিশ্ব সংকটের কারণে এবং কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য সরকার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তার কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত রেখেছে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব ধরনের এক্সপোজার ভিজিট, স্টাডি ট্যুর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ এবং ওয়ার্কশপ/সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সকল প্রকার বিদেশ ভ্রমণ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
মেগা প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশের মেগা প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তরল গ্যাসে গরল হিসাব (এলএনজিতে অসামঞ্জস্য) আজ (রবিবার) একটি সংবাদপত্রের শিরোনাম। প্রতিবেদনটি পড়লে অবাক হয়ে যাবেন, কীভাবে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে ১১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা চলে গেছে।’
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা ভাসানীর ‘মাও সেতুং এর দেশ’ শিরোনামের পুনঃমুদ্রিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সবক্ষেত্রে লুণ্ঠন ও শোষণ ছাড়া কিছুই নেই।’
ফখরুল বলেন, ‘আপনি যদি এই সমস্ত (মেগা) প্রকল্প তদন্ত করেন, তবে আপনি দেখতে পাবেন হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। দেশে এখন এমনই ভয়ানক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে জাতিকে মুক্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে। প্রথমে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি উদার গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।’
আরও পড়ুন: গুম, নিপীড়ন বন্ধে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘ড. আকবর আলী খান বিএনপির রাজনীতি করেন না। তিনি গতকাল (শনিবার) বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এটা শুধু তার মতামত নয়, অনেকেই এমনটি মনে করেন।’
ফখরুল বলেন, হারানো অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বর্তমান শাসনের পতন নিশ্চিত করতে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলতে এখন ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনে বাংলাদেশের মানুষ এখন চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মানুষ এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চায়।’
আওয়ামী লীগ কেন দেশ ও দলে মওলানা ভাসানীর ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয় না বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। কিন্তু তারা (আ.লীগ নেতারা) তাকে একবারের জন্যও চিনতে পারছে না।’
মওলানা ভাসানী তার সমগ্র জীবন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায় ও মেহনতি মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে তিনি মহান জাতীয় নেতার অবদানকে স্মরণ করার জন্য একটি মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, ‘স্কুলের শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে একজন ছাড়া অন্য কারো নাম নেই। এর মানে এই যে দেশের স্বাধীনতা, সংগ্রাম এবং মানুষের জীবন পরিবর্তনে একজন ব্যক্তি ছাড়া কারও অবদান নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
বিরোধী দলকে দমনে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি অবৈধ অর্থ ব্যয় করে দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাই এদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকে কি না-এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট বিশেষ করে বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত -এই কথাটা আমরা বহুদিন ধরে বলে আসছি। তারপরও হয়তো অনেকের মনে নানা প্রশ্ন ছিল। প্রকৃতপক্ষে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি রুখে দেয়ার জন্য, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি রীতিমতো অর্থ ব্যয় করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথ্য দাখিল করে। সেখানে বিএনপি এই ফার্মের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়, যেটি শাহরিয়ার আলম গতকাল পার্লামেন্টে জানিয়েছেন। বিএনপি তাদের নয়া পল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে এই ফার্মের সঙ্গে চুক্তিটা করেছে। এই ফার্মকে তারা প্রতি মাসে পঞ্চাশ হাজার ডলার করে এবং শুরুতে দেড় লাখ ডলার এডভান্স দিয়েছে। অর্থাৎ প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার তারা তিন বছরে ‘পে’ করেছে। নয়া পল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে করা চুক্তি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নাই। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ঠিকানা দিয়ে বিভিন্ন নামে তারা ১২টিরও বেশি লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার তারা এই ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে। অর্থাৎ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্য, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি রুখে দেয়ার জন্য, দেশে রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠান হিসেবে লবিস্ট নিয়োগ করে এই কাজগুলো করছে।’
আরও পড়ুন: শীতকালীন সংসদে গণমাধ্যমকর্মী আইন উত্থাপনের আশাবাদ তথ্যমন্ত্রীর
ড. হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, ‘আপনারা জানেন যে, ওয়াশিংটন টাইমসে বেগম খালেদা জিয়ার নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছিল, কয়েক বছর আগে। সেই নিবন্ধে তিনি বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে যাতে আমদানি বন্ধ করে সেজন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রী কিভাবে দেশের বিরুদ্ধে বিদেশি একটি পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে বলে যে বাংলাদেশ থেকে যাতে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি না করে!’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দেশে তাদের অফিসের ঠিকানা দিয়ে চুক্তি করে বিদেশি লবিস্ট ফার্মকে লাখ লাখ ডলার ‘পে’ করছে, নির্বাচন কমিশনে তারা যে ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে, সেখানে তো এই হিসাব দেয়নি, নির্বাচন কমিশনের উচিত তাদেরকে তলব করা। দ্বিতীয়ত, এই লাখ লাখ ডলার তারা কোথা থেকে পায়, কোথা থেকে আসে, সেটিও তো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমি মনে করি এখানে দুদকেরও ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি আয়কর বিভাগ থেকেও এ বিষয়ে তদন্ত ও তাদের তলব করা প্রয়োজন। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেটার দালিলিক প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। যে রাজনৈতিক দল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সে দলের কি দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে!’
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
এ বিষয়ে সরকারের মনোভাব প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের ওপর, জনগণের রায়ের ওপর বিশ্বাস করে না। তারা মনে করছে এ ধরণের প্রোপাগান্ডা চালালে তাদেরকে কেউ কোলে করে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরসহ নানা মেকানিজম এ বিষয়ে কাজ করছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার একটি রাজনৈতিক সরকার। আমরা বিশ্বাস করি, এদেশের ক্ষমতার মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণ যাদেরকে মনে করবে তাদেরকেই ক্ষমতায় বসাবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের রায় ও জনগণের শক্তির ওপর ভর করেই দেশ পরিচালনা করেছে। আর বিএনপি বিশ্বাস করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের ওপর এবং সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের ওপর।’
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘সরকারের সিংহাসন টলোমলো’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘সিংহাসন মধ্যযুগীয় শব্দ। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন হয়তো তারা সিংহাসন মনে করতেন। সরকার কিন্তু দেশ পরিচালনা করছে জনগণের রায়ে, সিংহাসনে নাই। আর সরকারের অবস্থান টলোমলো -এটি আমরা বারো বছর ধরে শুনে আসছি। তাদের কর্মীরা যে হতাশ হয়ে গেছে সেই হতাশা থেকে মুক্ত রাখার জন্য রিজভী সাহেবদের এই কথাগুলো বলতে হয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
যারা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের মধ্যে চিহ্নিত কয়েকজন আছে যারা ক্রমাগতভাবে এ কাজগুলো করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বাংলাদেশের অভ্যুদয়: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশে বসে যারা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে এ রকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তাদের কোন তালিকা সরকারের কাছে আছে কি জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, দেশ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে, দেশে হানাহানি লাগানোর জন্য অপপ্রচার চালায়, বিদেশিদের কাছে অপপ্রচার চালায়। সেগুলো তো রাষ্ট্রদ্রেহিতা মূলক কার্যক্রম। সুতরাং কেউ যদি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কার্যক্রম করে বা যুক্ত থাকে রাষ্ট্র তার পাসপোর্ট বাতিল করতে পারে। সেই সিদ্ধান্ত বুধবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্তিসভা কমিটির সভায় নেয়া হয়েছে। কারা এগুলো আমরা অনেকটা জানি। প্রয়োজনে আর কারা কারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদেরও তালিকা করা হবে।
তালিকায় কারা আছে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেটি এখানে বলার বিষয় নয়। কারা এগুলো করছে আমরা জানি, আপনারাও জানেন। অনেক লোক এ কাজগুলো করছে। কিন্তু চিহ্নিত কয়েকজন আছে যারা ক্রমাগতভাবে এ কাজগুলো করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ক্ষমা চেয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিদেশে বসে যারা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে, আমরা তাদের পাসপোর্ট বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছি। তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হোক, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কী কী করছে, রাষ্ট্রবিরোধী কী কাজ করলো সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যদি দেখা যায় তারা সক্রিয়ভাবে অব্যাহতভাবে এই কাজ করে যাচ্ছে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের জন্য উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।