এলএনজি
‘বাংলাদেশে তেল ও এলএনজি আমদানিতে অর্থায়ন করবে আইটিএফসি’
বাংলাদেশে তেলের সঙ্গে এলএনজি আমদানিতে অর্থায়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেম সুনবল।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করলেও পর্যায়ক্রমে তা বাড়তে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়াতে আমরা আগ্রহী।’
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান আইটিএফসি প্রধান।
এ সময় তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান সম্পর্ক আরও বাড়াতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার উত্তরোত্তর বড় হচ্ছে। বাংলাদেশে চলমান ও পরিকল্পনাধীন প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: শেভরনের বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, তেল রিফাইনারি, তেল ও গ্যাস পরিবহনের পাইপলাইন, সাশ্রয়ী জ্বালানির বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইত্যাদি বিষয়ে বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চাই। বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণেও আইটিএফসি সহযোগিতা করতে পারে।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও আইটিএফসির মহাব্যবস্থাপক আবদিহামিদ আবু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
এলএনজি, সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) প্রথম বৈঠকে বেশ কয়েকটি পাইকারি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজির এলএনজি কার্গো আমদানি করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা।
কমিটি সার আমদানির জন্য আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে
এর মধ্যে চারটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চারটি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানি করবে।
বিএডিসি সৌদি আরবের মা’দেন থেকে ২৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকায় প্রতি টন ৫৮৯ ডলারে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার, মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার ১১২ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় প্রতি টন ৩৮৬ ডলার মূল্যে, মরক্কোর একই কোম্পানি থেকে ২৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকায় আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার প্রতি টন ৫৪৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে এবং রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন প্রোডিনটর্গ থেকে ৩০ হাজার এমওপি সার প্রতি টন ৩০২ ডলার দরে ৯৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় আমদানি করবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক চারটি প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) মোট ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
এর মধ্যে কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া ১০৩ কোটি ৪২ লাখ টাকায় এবং প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলারে ইউরিয়া আমদানি করা হবে। কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া ১০৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় প্রতি মেট্রিক টন ৩১৬ দশমিক ৬২ ডলারে আমদানি করা হবে। সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১০৩ কোটি ৪২ লাখ টাকায় ৩০ হাজার বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ দশমিক ৪২ ডলার এবং একই সৌদি কোম্পানি থেকে ১০২ কোটি ৪২ লাখ ডলার দরে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক উত্থাপিত তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজি ১০১ টাকা ১৩ পয়সায় ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকায়এসব ডাল কেনা হবে। এ ছাড়া আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন বগুড়ার রায় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ঢাকার নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড থেকে প্রতি কেজি ১০৫ দশমিক ৪৫ টাকা দরে ১০৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকায় কেনা হবে। মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল; (২) মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেড ও আলী ন্যাচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় প্রতি লিটার মূল্য ১৫৮ টাকা দরে কেনা হবে।
টিসিবি খোলাবাজারে বিক্রয়ের মাধ্যমে ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে পণ্য বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন: ঈশা খাঁ'র জঙ্গলবাড়ি দুর্গ ভ্রমণ গাইড, আনুষঙ্গিক খরচ
মহেশখালীতে নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমোদন পেল সামিট গ্রুপ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে স্থানীয় সামিট গ্রুপ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এই চুক্তির আওতায় সামিট গ্রুপের আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের জন্য এলএনজি টার্মিনাল হিসেবে নতুন ভাসমান স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করবে।
অনুমোদন অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড ১৫ বছর মেয়াদি টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট (টিইউএ) এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) সই করবে। এই চুক্তির আওতায় প্রতিদিন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে গ্রুপটি। পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের খরচ পড়বে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের ১৪ জুন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এটি হবে দেশের তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল। কক্সবাজারের মহেশখালীতে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি কর্তৃক ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরও একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করেছে সামিট গ্রুপ।
কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য এক্সেলেরেট এনার্জি ও সামিট যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সামিট গ্রুপের প্রস্তাবটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ) আইন-২০১০ এর অধীনে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়া হিসেবে উত্থাপন করে, যা সরকারকে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই চুক্তি প্রদানের অনুমতি দেয়।
এর আগে সিসিইএ’র অনুমোদিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, প্রস্তাবিত সামিটের টার্মিনালের পুনঃগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা হবে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি)। কিন্তু এখন সামিট ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
পেট্রোবাংলা ৩০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩০০ এমএমসিএফডি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ
ফলে ৪ হাজার এমএমসিএফডির চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দুটি নতুন চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যাবে। এছাড়া ২০২৬ সাল থেকে অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির জন্য এক্সেলরেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি নতুন চুক্তিও সই হয়েছে।
পেট্রোবাংলার পৃথক একটি প্রস্তাবে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিগ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ'র এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সেলারেট এনার্জির এলএনজি সরবরাহ চুক্তি সই
রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন,বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আলোচনা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা গম এবং সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করছে।’
বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর ল্যাভরভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এই সত্যটির প্রশংসা করি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ করা সত্ত্বেও আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুরা তাদের জাতীয় স্বার্থে একচেটিয়াভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’
এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর আরও এক ঘণ্টার নৈশভোজে দুই পক্ষ রোহিঙ্গা ও ইউক্রেন সংকটসহ সব দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশকে খাদ্যশস্য, জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশি রপ্তানি শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য আমরা একটি রোড ম্যাপেও সম্মত হয়েছি।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা কাজের পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। যেমন প্রতি বছর বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে দুই দেশ এটিকে পরিচালনার একটি স্থায়ী উপায়ে পরিণত করবে।
ল্যাভরভ রোহিঙ্গা সংকটের কথা বলেন এবং বলেন যে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান কথোপকথনকে সমর্থন করে।
তিনি বলেন, তারা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অব্যাহত আলোচনাকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ল্যাভরভ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে বাইরের নেতাদের কেবল পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে নিজেদের সীমাবদ্ধ করা উচিত। রাশিয়ান ফেডারেশন মিয়ানমারের সঙ্গে তার প্রেক্ষাপটে ঠিক এটিই করছে এবং তা চালিয়ে যাবে।’
তবে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোনো একটি পক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বাইরের কিছু নেতা এই বিষয়গুলো ব্যবহার করে এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে।
ল্যাভরফ আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এটি উভয়ই বিপরীতমুখী এবং অগ্রহণযোগ্য।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে ও জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন।
বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি ভালো ও দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ জোরদার করছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়েও কথা বলেন এবং এর ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসায় আমরা খুবই আনন্দিত। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, তারা রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাশিয়ায় বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
মোমেন বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই আলোচনা ও আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের প্রক্রিয়াকালীন রাশিয়া যে ভূমিকা পালন করেছিল তা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। যেমন- ১৯৭১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক জনপ্রিয় সংগ্রামে সহায়তা এবং নবগঠিত রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করেছিল।
রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারপর থেকে আমাদের সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অপরের স্বার্থ বিবেচনার নীতির উপর ভিত্তি করে।’
ল্যাভরভ বলেন, ‘আমি ইতিবাচক যে আমাদের আলোচনা এই প্রবণতাকে পুনঃনিশ্চিত করবে এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করবে।’
তিনি বলেছিলেন যে তারা এই অঞ্চলে তাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে যাতে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার কোনও প্রচেষ্টা রোধ করা যায়।
প্রবণতা এবং বিনিয়োগ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে দুই বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। প্রধান রাশিয়ান রপ্তানির মধ্যে রয়েছে শিল্প সরঞ্জাম, ধাতু, খনিজ সার এবং গম।
রাশিয়ায় প্রাথমিক আমদানি মূলত পোশাক এবং সামুদ্রিক খাবার। ২০২২ সালে প্রতিকূল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের বাণিজ্য ২১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন হয়েছে।
এই নেতিবাচক প্রবণতা কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা নিয়ে আন্তঃসরকারি রাশিয়ান-বাংলাদেশ কমিশন অন ট্রেড, ইকোনমিক এবং সায়েন্টিফিক-টেকনিক্যাল কোঅপারেশন নিয়ে আলোচনা করবে।
কমিশনের প্রথম সভা মস্কোতে ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর, দ্বিতীয়টি ঢাকায় ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর এবং তৃতীয় ও চতুর্থটি যথাক্রমে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর নির্মাণ দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের প্রধান প্রকল্প।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মস্কো দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী
রাশিয়ান পক্ষ বলেছে, ২০২৪-২০২৫ সালে এর কমিশনিং বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে একটি যুগান্তকারী হিসাবে আসবে।
একই সময়ে, এর নির্মাণে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা রাশিয়ার ১০০ টিরও বেশি শিল্প কোম্পানির জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাজ নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশে প্রথাগত জ্বালানিতে রাশিয়ার দক্ষতার খুব বেশি চাহিদা রয়েছে।
গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি গ্যাজপ্রম সাবসিডিয়ারি সে দেশে সফলভাবে কাজ করছে।
২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এটি টার্নকি ভিত্তিতে বাংলাদেশে ২০টি গ্যাসক্ষেত্র কূপ খনন ও সম্পন্ন করেছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসেছেন যা পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
স্বাধীনতার পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন যাত্রার আগে তিনি ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষ করে ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
গত বছলের২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২২তম আইওআরএ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে যোগদানের জন্য ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল ল্যাভরভের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সফর স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মস্কো দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে আরও তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী, পেট্রোবাংলা সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজির একটি কার্গো আমদানি করবে। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৩ দশমিক ৭৭ ডলারে মোট ৫৯৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে।
এ ছাড়া, সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সমন্বিত একটি কার্গো আমদানি করবে পেট্রোবাংলা। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৪ দশমিক ৯০ টাকা করে মোট ৬৭৪ দশমিক ৩৫ কোটি টাকায় আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
সিসিজিপি সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মরক্কোর ওসিপি থেকে ১২৯ দশমিক ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন (এমটি) এসপি সার আমদানি করবে।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মাদেন থেকে ২৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করবে বিএডিসি।
সিসিজিপি (১) দোহওয়া, কোরিয়া (২) এসএমইসি ইন্টারন্যঅশনাল প্রাইভেট লিমিটেড অস্ট্রেলিয়া; (৩) প্যান আরব কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স, কুয়েত; (৪) এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, বাংলাদেশ এবং (৫) এসিই কনসাল্ট-এর যৌথ উদ্যোগে ৭২ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বরিশাল (দিনারেরপুল)-লক্ষীপাশা-দুমকি রোডের পাণ্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
এলএনজি টার্মিনাল পরিষেবা প্রদানকারী হিসেবে তাদের বিদ্যমান চুক্তির বাইরে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এলএনজি সরবরাহ পেতে সামিট গ্রুপ ও এক্সেলারেট এনার্জির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করতে যাচ্ছে সরকার।
বুধবার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের দেওয়া পৃথক দুটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৫ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এক্সেলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের স্থাপিত কক্সবাজারের মহেশখালীর একটি ভাসমান টার্মিনাল এবং রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এর মাধ্যমে ২০২৬ সাল থেকে প্রতি বছর ১ থেকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) এলএনজি সরবরাহ করবে।
অনুরূপ আরেকটি প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৫ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীনে সামিট গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের স্থাপিত কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি এফএসআরইউ এর মাধ্যমে ২০২৬ সাল থেকে বার্ষিক ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
মন্ত্রিপরিষদ কমিটির বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল আহসান। তবে তিনি সামিট ও এক্সেলারেট এনার্জি এবং এলএনজির দর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে (সিসিজিপি) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এলএনজির দর সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
বর্তমানে এক্সেলারেট এনার্জি ও সামিট উভয়ই কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
দুটি কোম্পানি আরও দুটি এফএসআরইউ স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। এর একটি সামিটের মহেশখালীতে, আরেকটি পটুয়াখালীর পায়রায়।
সামিট গ্রুপ মহেশখালীতে দ্বিতীয় এফএসআরইউ স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জির প্রস্তাবটি অনুরূপ অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ মরিয়া হয়ে এলএনজি আমদানির দিকে তাকিয়ে আছে।
পেট্রোবাংলা প্রতিদিনি ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে যার মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর আমদানি করা হয় ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
ফলে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার এমএমসিএফডি ঘাটতি থাকছে।
সম্প্রতি, পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দু’টি নতুন চুক্তি সই করেছে যাতে দুটি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান দু’টি চুক্তির বাইরে ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যায়।
এদিকে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মূল প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে ইলেকট্রিক (সুইজারল্যান্ড) জিএমবিএইচ সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতি (ডিপিএম) এর অধীনে ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারড কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের গ্যাস টারবাইনের ক্ষতিগ্রস্ত কম্প্রেসারের মেরামত পরিষেবা গ্রহণের জন্য নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদের অর্থনীতিবিষয়ক কমিটি।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর ‘পূর্বাচল নিউ টাউনে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ কমিটি নীতিগতভাবে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
রাজউক পূর্বাচল নিউ টাউনে একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সামিট গ্রুপ আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন পেল
এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দুটি কার্গো, ৫০ হাজার মেট্রিক টন রাইস ব্রান অয়েল এবং ৯৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানিসহ মোট ৩৪টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বৃহস্পতিবার সিসিজিপি’র ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সিসিজিপি-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা সিঙ্গাপুরের গানভোর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করবে, যার প্রতিটির পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ।
প্রথম এলএনজি কার্গোর প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১২ দশমিক ৯৮ ডলার, যার মোট মূল্য ৫৫৭ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় এলএনজি কার্গোর প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩ দশমিক ৮৫ ডলার, যার মোট মূল্য ৫৯৫ দশমিক ১০ কোটি টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কোনো টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় একটি কোম্পানির দুটি আউটলেট থেকে মোট ৫০ মিলিয়ন লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল আমদানি করবে।
এর মধ্যে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন লিটার মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেড, যশোর থেকে কেনা হবে এবং বাকি ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন লিটার মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড, ঢাকা থেকে কেনা হবে।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে তিউনিসিয়ার জিসিটি থেকে ৯১ দশমিক ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ হাজার মেট্রিক টন (এমটি) টিএসপি সার আমদানি করবে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির অধীনে ১১০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মরক্কোর ওসিপি, এস.এ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিকটন টিএসপি সার আমদানি করা হবে।
বিএডিসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে ২০৬ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মরক্কোর ওসিপি, এস.এ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিকটন ডিএপি সার আমদানি করবে।
২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি আমদানির জন্য ওমানের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি সই
বাংলাদেশের তেল গ্যাস ও খনিজ কর্পোরেশন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা আরও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের ওকিউটি-এর সঙ্গে আরেকটি চুক্তি সই করেছে।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ওমানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ওকিউটি ২০২৬ সাল থেকে ১০ বছরে বাংলাদেশে বার্ষিক শূন্য দশমিক ২৫ থেকে দেড় মিলিয়ন মেট্রিক টন(এমটিপিএ) এলএনজি সরবরাহ করবে।
সোমবার সোনারগাঁও হোটেলে চুক্তিসই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, এটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি দেশে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার একটি অগ্রগতি।’
আরও পড়ুন: ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে ঢাকা স্বাগত জানাবে
তবে চুক্তির কোনো মূল্য বা আর্থিক বিবরণ অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়নি। বাংলাদেশে ওমানি রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার আলবুলুশি বলেন, ‘এটি দুই পক্ষের মধ্যে একটি গোপনীয় বিষয়’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ওকিউটি-এর প্রধান নির্বাহী সাইদ আল মাওয়ালি এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এবং সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি সচিব ড. খাইতুজ্জান মজুমদার।
২০১৮ সালের ৬ মে পেট্রোবাংলা এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল (বর্তমানে ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড-ওকিউটি নামে পরিচিত) সই করা এলএনজির বিদ্যমান বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তির (এসপিএ) অধীনে, ওমান দু’দেশের সরকারি পর্যায়(জিটুজি) ১০ বছরের সময়কাল ভিত্তিতে ১ দশমিক শূন্য থেকে দেড় এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করছে।
নতুন চুক্তির অধীনে, ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড (ওকিউটি) জি-টু-জি ভিত্তিতে ১০ বছরের মধ্যে আরও এলএনজি সরবরাহ করবে।
এটি ২০২৬ সালে ৪টি কার্গো এলএনজি, ২০২৭ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত বছরে ১৬টি কার্গো এলএনজি এবং ২০২৯ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ২৪টি কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে।
বর্তমানে বিদ্যমান দুটি চুক্তির অধীনে সাড়ে ৩ থেকে ৪ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি ১০ বছরের চুক্তির অধীনে আরও ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন আমদানি বাড়ানোর জন্য ওমানের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির অতিরিক্ত হবে’।
বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে ঘন ঘন দামের ওঠানামার কারণে অস্থিরতা ধরে রাখতে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ তার এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে দেখছে।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বার্ষিক অতিরিক্ত ১৫ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাওয়ার জন্য কাতারের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি সই করেছে।
আরও পড়ুন: গ্রিন-ফিচার্ড বিল্ডিং বিনির্মাণে বিএইচবিএফসি ও এএফডি’র মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সভা
পেট্রোবাংলা কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাস লাফান লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (কাতারগাস) সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করেছে।
নতুন চুক্তির অধীনে, কাতার ২০২৬ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় দেড় এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে ১২টি এলএনজি এবং ২০২৭ সালে ২৪টি কার্গো পাবে।
দেশের মোট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) চাহিদা ৪০০০ এমএমসিএফডি’র বিপরীতে প্রায় ১০০০ এমএমসিএফডি’র ঘাটতি রয়েছে। মোট উৎপাদনের মধ্যে ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয় যখন চাহিদা ২৩০০ এমএমসিএফডি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণে এফবিসিসিআই ও এইচএসবিসি’র চুক্তি
সামিট গ্রুপ আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন পেল
স্থানীয় কোম্পানি সামিট গ্রুপ দেশে তৃতীয় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সঙ্গে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে সামিট গ্রুপের ‘সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডকে’ কক্সবাজারের মহেশখালীতে টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে।
সভা শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, প্রস্তাবিত টার্মিনালের রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি) হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা রি-গ্যাসিফিকেশন সেবা নেওয়ার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ শুরু
তিনি বলেন, এই অনুমোদন পেট্রোবাংলাকে টার্মিনাল স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করতে সহায়তা করবে।
প্রকল্পের ব্যয় ও বাস্তবায়নের সময় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
দেশে ইতোমধ্যে দু’টি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে - একটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে ইউনাইটেড স্টেটের এক্সেলরেট এনার্জি ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপন করেছিল এবং অন্যটি একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন সামিট গ্রুপ স্থাপন করেছিল।
অর্থমন্ত্রী সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি, সার, ওষুধ, চিনি ও সয়াবিন তেল সংগ্রহের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জি এলপি প্রতি ইউনিটের দাম ১৩ দশমিক ৯ মার্কিন ডলার দামে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সরবরাহ করবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় ২৪৯ দশমিক ৯৯ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করবে এবং প্রায় ১৪ হাজার ২০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া প্রতি টন ৩১৯ দশমিক ৮৭ ডলার মূল্যে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার টন ক্রয় করবে।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলা ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে আরও ৩টি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে চায়
এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে একই পরিমাণ বাল্ক দানাদার ইউরিয়া কিনবে প্রতি টন ৩১৯ দশমিক ৮৭ ডলার মূল্যে।
বিসিআইসি কাতার থেকে একই পরিমাণ ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া আমদানি করবে প্রতি টন ৩০৩ দশমিক ৩৩ ডলার মূল্যে।
মাহবুব খান বলেন, টেবিলে দুটি প্রস্তাব জমা পড়েছিল।
এর মধ্যে একটি ছিল সিঙ্গাপুরের একটি বেস সরবরাহকারীর কাছ থেকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি ক্রয় করা একটি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতি টনের মূল্য ৪৭৭ দশমিক ৯ ডলার।
অন্যটি ছিল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড সরবরাহ করার জন্য ৮০ লাখ টন সয়াবিন তেল ক্রয় করার। প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১৬১ দশমিক ৩৭ টাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এলএনজি আনায় সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রশংসায় ট্রুডো
এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানিসহ সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা ৫৭৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজির একটি কার্গো আমদানি করবে, যার প্রতিটি ইউনিট ১৩ দশমিক ৬৯ ডলার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জি এলপি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের একটি প্রস্তাবে ৭২ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানির জন্য কমিটির অনুমোদন পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আয়কর আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
ভারতের উমা এক্সপো প্রা. লিমিটেড (স্থানীয় এজেন্ট: ফিউচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, ঢাকা) প্রতি কেজি ৯১ টাকায় মসুর ডাল সরবরাহ করবে।
কমিটি সার আমদানির বিষয়ে পৃথক দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম হবে ৬১০ ডলার।
স্থানীয় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ১০৫ দশমিক ৪৩ কোটি টাকায় আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া সংগ্রহ করা হবে এবং প্রতি মেট্রিক টনের জন্য খরচ হবে ৩২৭ দশমিক ৬২ ডলার।
‘বরিশাল থেকে ভোলা হয়ে লক্ষ্মীপুর উন্নয়ন সড়ক’- শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় ১৫ কোটি ২১ লাখ টাকা বাড়ানোর জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
এদিকে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীনে ‘চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ও ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক মানের বেসরকারি অপারেটরদের নিয়োগ’।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পিপিপি প্রকল্প, ২০১৮ এর জন্য প্রকিউরমেন্ট গাইডলাইন অনুযায়ী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণে নীতিমালা অনুমোদন মন্ত্রিসভার
বিইআরসি ছাড়াই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার, মন্ত্রিসভায় সংশোধনী অনুমোদন