ভিসা
ভূস্বর্গ কাশ্মীরে ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, ঘুরতে যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
পাহাড় চূড়া, দীঘল উপত্যকা ও এক পশলা হৃদের প্রাণবন্ত ঐকতানের অন্য নাম কাশ্মীর। তুষারাবৃত চূড়া এবং ব্যস্ত-সমস্ত তৃণভূমির অবারিত মোহনীয়তায় নিমেষেই খুঁজে পাওয়া যায় ভূস্বর্গ নামটির মানে। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও উষ্ণ আতিথেয়তা যে কোনো পরিব্রাজককে আপন করে নিতে যথেষ্ট। ভারতীয় উপমহাদেশের সর্ব উত্তরে অবস্থিত বিশ্ব জোড়া পর্যটকদের এই প্রিয় গন্তব্য নিয়েই এবারের ভ্রমণ কড়চা। চলুন, জেনে নেয়া যাক কাশ্মীর ভ্রমণের আদ্যোপান্ত।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরে যাওয়ার উপায়
ভিসা প্রক্রিয়া
কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা লাগবে। এর জন্য ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্টটি আনুমানিক প্রস্থানের দিন থেকে ন্যূনতম ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পাসপোর্ট বইয়ে কমপক্ষে দুটি পৃষ্ঠা খালি থাকতে হবে।
এই পাসপোর্টের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও সঙ্গে রাখা যেতে পারে।
ভিসা আবেদনের জন্য একটি পাসপোর্ট আকারের ছবি জেপিজি বা পিএনজি ফাইলের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে।
কাশ্মীরে যেয়ে কোথায় থাকা হবে তার একটা প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। হোটেলে থাকার ক্ষেত্রে বুকিংয়ের কাগজপত্র প্রিন্ট করে নিতে হবে।
ভারতে প্রবেশ ও ত্যাগ করার সময়টা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বিমান বা ট্রেন যেভাবেই যাওয়া হোক না কেন, আসা-যাওয়ার টিকেট দেখাতে হবে।
সর্বোপরি, কাশ্মীরে যাবতীয় খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট ভ্রমণ তহবিল আছে কিনা তার একটা প্রমাণ দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
ঢাকা থেকে কাশ্মীর যাতায়াত
জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে সংযোগ আছে ভারতের দিল্লী অথবা চণ্ডিগড়ের। ঢাকা থেকে আকাশপথে সরাসরি এই রাজ্যগুলোতে পৌঁছা যায়। স্থলপথে যেতে হলে রেলপথে বা বাসে কলকাতা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে হবে।
কাশ্মীরের জনপ্রিয় জায়গাগুলো ঘুরতে হলে প্রথমে যে পর্যন্ত যেতে হবে সে জায়গাটি হচ্ছে শ্রীনগর। দিল্লী থেকে শ্রীনগর বিমানে যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৯ ঘণ্টা। এখানে খরচ হতে পারে প্রায় ২৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা।
রেলপথে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কলকাতার হাওড়ার ট্রেন আছে যেখানে শ্রেণীভেদে জনপ্রতি ভাড়া ২ হাজার ৫৯৯ থেকে ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা। তারপর হাওড়া থেকে ট্রেন বদলে যাওয়া যাবে জম্মু। এখানে ননএসি স্লিপারগুলোর ভাড়া ৭৫০ থেকে ৭৯০ রুপি বা ৯৯০ থেকে ১ হাজার ৪২ দশমিক ৮ টাকা (১ ভারতীয় রুপি = ১ দশমিক ৩২ বাংলাদেশি টাকা)।
ঢাকা থেকে বাসে গেলে কলকাতা পর্যন্ত বাস ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৬০ টাকা। অতঃপর রেলপথে জম্মু পৌঁছানোর পর শ্রীনগরের বাকিটা পথ গাড়িতে শেয়ার করে কিংবা বাসে করে যেতে হবে। সব মিলিয়ে এভাবে শ্রীনগর পর্যন্ত যেতে সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ ২ দিন ১৯ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, ঘুরতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
কাশ্মীরের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো
শ্রীনগর
কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার শ্রীনগরেই মিলবে অপার্থিব অনুভূতির সঞ্চার করা ডাল লেকের স্নিগ্ধতা। এছাড়া এই লেকে রয়েছে এশিয়ার প্রথম ভাসমান সিনেমা হল। শঙ্করাচার্য মন্দিরের চূড়া থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের এই রাজধানী শহরটির প্রায় পুরোটা চোখে পড়ে।
২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
ভিসা ইন্টারভিউয়ের তারিখ পাওয়া থেকে শুরু করে সঠিক কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে ইন্টারভিউ পর্যন্ত যাওয়া রীতিমত খাঁড়া পাহাড় বেড়ে চূড়ায় উঠার মতো। ভিসা পাওয়ার এই ধকল সামলাতে যেয়ে মাঝপথে অনেকেই দেশের বাইরে ভ্রমণের ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে, এই সব ঝামেলা এক নিমেষেই উধাও হয়ে যায়, যখন সেই ভিসা করার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকে না।
আজকের নিবন্ধে জানা যাবে সেই সব দেশগুলোর ব্যাপারে যেগুলোতে প্রবেশের জন্য আগে থেকে কোনও রূপ ভিসা বিড়ম্বনা নিতে হবে না বাংলাদেশি নাগরিকদের। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের র্যাঙ্কিং করেছে হেনলি পাসপোর্ট সূচক।
চলুন জেনে নিই, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকরা কোন কোন দেশগুলো ভিসা ছাড়া, এবং অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারবেন।
২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
বিভিন্ন দেশের অভিবাসন ব্যবস্থার সবচেয়ে আকর্ষণীয় কার্যনীতি হচ্ছে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ। যেখানে বিদেশে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকের আগে থেকে কোনও রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন পড়ে না। এই নিয়মে ভ্রমণরতদের ভিসা ফি দিয়ে কোনও রূপ আনুষ্ঠানিক ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ঘুরে বেড়ানো বা ব্যবসা; যে কোনও উদ্দেশ্যেই এই সুবিধা নেওয়া যায়। তবে এইভাবে গন্তব্যের দেশটিতে অবস্থান করার একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকে, যা বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ২২টি দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন। এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ দেশের ভেতরে থেকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য অগ্রীম আবেদন করতে হবে না। এমনকি বিমানবন্দর পেরিয়ে সেই দেশগুলোতে প্রবেশের সময়েও প্রয়োজন হবে না কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক অনুমতির।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
চলুন, ভিসা ছাড়া গন্তব্যের দেশগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক।
১. বাহামাস
২. বার্বাডোস
৩. ভুটান
৪. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৫. কুক দ্বীপপুঞ্জ
৬. ডমিনিকা
৭. ফিজি
৮. গ্রেনাডা
৯. হাইতি
১০. জ্যামাইকা
১১. কিরিবাতি
১২. লেসোথো
১৩. মাদাগাস্কার
১৪. মাইক্রোনেশিয়া
১৫. মন্টসেরাট
১৬. নিউয়ে
১৭. রুয়ান্ডা
১৮. সেন্ট কিটস ও নেভিস
১৯. সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
২০. গাম্বিয়া
২১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২২. ভানুয়াতু
আরও পড়ুন: ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন
এখানে মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, এবং ভানুয়াতু গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু রেখেছিল। আর ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপদেশ কিরিবাতি এ বছরে এই তালিকায় নতুন সংযোজন।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময়- ৬ মাসের মেয়াদে ফ্রি ভিসায় থাকা যাবে বার্বাডোস, ডোমিনিকা, জ্যামাইকা, এবং মন্টসেরাট-এ। ফিজিতে ভ্রমণ করার জন্য বরাদ্দ রয়েছে সর্বোচ্চ ৪ মাস। ৯০ দিনের মেয়াদে অবস্থান করা যাবে কিরিবাতি, সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং লেসোথো’তে, যেখানে বাহামা, গ্রেনাডা, এবং হাইতি’র ক্ষেত্রে বলা আছে ৩ মাসের কথা।
কুক আইল্যান্ড্স-এ ফ্রি ভিসার মেয়াদ ৩১ দিন, গাম্বিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, রুয়ান্ডা, ভানুয়াতু, ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড্সে ৩০ দিন, এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স-এ ১ মাস। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে থাকার সুযোগ আছে ৩০ থেকে ৯০ দিন। আর মাদাগাস্কার-এ অবস্থানের সময়সীমা সবচেয়ে কম; মাত্র ১৫ দিন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারবেন যেসব দেশে
এই অভিবাসন নীতিতে ভ্রমণকারীকে গন্তব্যের দেশে প্রবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসা প্রদানের জায়গাটি হতে পারে সমুদ্র বন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট অথবা বিমানবন্দর। এই প্রবেশাধিকার প্রাপ্তির জন্য তাদেরকে যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় কোনও আবেদন করতে হয় না।
কোনও কোনও দেশে প্রবেশের সময় এই অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ফি দিতে হয়। হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল নিয়ে ১৮টি দেশে প্রবেশ করতে পারবে। আর এই জন্য ভিসাপ্রাপ্তির সময় তাদেরকে কোনও ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে না। তাছাড়া এই ভাবে ভিসা গ্রহণ প্রক্রিয়াতে কোনও ঝামেলা পোহাতে হয় না।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
চলুন, এবার দেখে নেয়া যাক বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সরবরাহকারী দেশগুলো।
১. বলিভিয়া
২. বুরুন্ডি
৩. কম্বোডিয়া
৪. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৫. কমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৬. জিবুতি
৭. গিনি-বিসাউ
৮. মালদ্বীপ
৯. মৌরিতানিয়া
১০. মোজাম্বিক
১১. নেপাল
১২. সামোয়া
১৩. সেশেল্স
১৪. সিয়েরা লিওন
১৫. সোমালিয়া
১৬. তিমুর-লেস্তে
১৭. টোগো
১৮. টুভালু
আরও পড়ুন:
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় তথা ৯০ দিন ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে- গিনি-বিসাউ, নেপাল, এবং বলিভিয়ায়। সামোয়া ও সেশেল্স-এ থাকা যাবে ৬০ দিন। কমোরো আইল্যান্ড্সে অবস্থানের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার মেয়াদ ৪৫ দিন। জিবুতি ও মৌরিতানিয়ায় থাকা যাবে ৩১ দিন । মালদ্বীপ, কেপ ভার্দে, সোমালিয়া, মোজাম্বিক, সিয়েরা লিওন, তিমুর-লেস্তে, এবং কম্বোডিয়া বেড়ানোর জন্য পাওয়া যাবে ৩০ দিন, যেখানে বুরুন্ডি এবং টুভালু’র ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ১ মাসের কথা।
আফ্রিকার দেশ ‘টোগো’তে অবস্থানের জন্য পাওয়া যাবে মাত্র ১৫ দিন।
আরও পড়ুন: দ্যা বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ: গাজীপুরে রোমাঞ্চকর ক্যাম্পিং
২০২৪ সালে যেসব দেশে যেতে বাংলাদেশিদের ইটিএ প্রয়োজন হবে
ইটিএ-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ইলেকট্রনিকভাবে তথা অনলাইনে একজন ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। এক কথায় এটিও একটি ভিসা ফ্রি প্রবেশাধিকার। ডিজিটাল অনুমতিটি দেশের ভেতরে থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে নিবন্ধন করার মাধ্যমে নিয়ে নেয়া যায়।
এমনকি এর জন্য আবেদনকারীকে সশরীরে নিজ দেশের অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত হওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যেই দেশে ইটিএ কার্যকর আছে সেই দেশের অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেয়ে সহজেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
২০২৪-এ দুটি দেশে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইটিএ প্রয়োজন হবে:
১. শ্রীলঙ্কা
২. কেনিয়া
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
পূর্বে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কা থাকলেও এ বছরই ইটিএ সেবা নিয়ে নতুন সংযোজন হলো কেনিয়া। এখন থেকে এই ডিজিটাল ছাড়পত্রের মাধ্যমে সমস্ত বিদেশি নাগরিক ৯০ দিনের জন্য কেনিয়াতে প্রবেশ করতে পারবে।
আর শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এই অনুমতির সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের তারিখ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত। এই সিঙ্গেল এন্ট্রির পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার ডাবল এন্ট্রির জন্যও ইটিএ রয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকরা ইটিএ ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে দুইবার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
অনুমোদন একবার হয়ে যাওয়ার পর ভিসাপ্রাপ্ত ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের সময় যে কোনো চেকপয়েন্ট অনায়াসেই অতিক্রম করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
শেষাংশ
পর্যটন কিংবা ব্যবসা উভয় উদ্দেশ্যকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের থাকে হাজারও পরিকল্পনা। কিন্তু এর সবকিছুই গুড়েবালি করে দেয় সীমানা পেরনোর নিয়মনীতি। সেখানে এই ভিসামুক্ত ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশিদের জন্য এক বিরাট নিষ্কৃতি। এ দিক থেকে ২০২৪ সাল বাংলাদেশিদের জন্য সৌভাগ্যের বছরও বটে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক মতে ভিসা ছাড়া, অন-অ্যারাইভাল এবং ইটিএ সব মিলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা মোট ৪২ টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবে। তাই সময় এসেছে পাসপোর্ট দ্রুত রিনিউ করে নেওয়ার। কেননা এই সুযোগ লুফে নিতে হলে পাসপোর্টটি অবশ্যই নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী হতে হবে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা তো আমেরিকার বহুল প্রচারিত ঘোষণা।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) সহ যে পাঁচ মার্কিন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে, এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী সংঘাতে জড়ালেই দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, “সংঘাতের আশঙ্কা সবসময় থাকেই। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিও অব্যাহত থাকবে।’’
কাদের বলেন, যারা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগ হোক কিংবা স্বতন্ত্র যেই হোক, দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবে এটাই প্রত্যাশা।
১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা যদি বিস্তারিত তথ্য দেয়, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপি লিফলেট বিতরণ করবে কেন? অসহযোগ করবে কেন? আসলে নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির এই প্রোগ্রাম।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা দেবে ভিএফএস গ্লোবাল
বিদেশিদের যুক্তরাজ্যের ভিসা ও নাগরিকত্ব পরিষেবার দেওয়ার বৈশ্বিক চুক্তি পেয়েছে দেশটির সরকারের অংশীদার ভিএফএস গ্লোবাল।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ভিসা, পাসপোর্ট ও নাগরিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জয়ের দীর্ঘ সারির সর্বশেষ পুরস্কার এটি।
আরও পড়ুন: ওমানের ভিসা পুনারায় চালুর ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
২০২৪ সালে ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশসহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপ, এশিয়া ও এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৪২টি দেশে যুক্তরাজ্যের জন্য ২৪০টি ভিসা ও সিটিজেনশিপ অ্যাপ্লিকেশন সার্ভিস (ভিসিএএস) কেন্দ্র স্থাপন করবে।
এসব কেন্দ্র সব ধরনের ভিসা আবেদনের পাশাপাশি কিছু জায়গায় যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টের আবেদনও গ্রহণ করবে।
সম্মিলিতভাবে, নতুন এসব কেন্দ্র প্রতি বছর ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন আবেদনকারীকে সেবা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিএফএস গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জুবিন কারকারিয়া বলেন, ‘আমরা এই চুক্তি জিততে পেরে এবং বিদেশে যুক্তরাজ্যের সমস্ত ভিসা গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে পেরে আনন্দিত।’
কারকারিয়া আরও বলেন, ‘আমরা নতুন জায়গায় কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আনন্দিত। একই সঙ্গে গ্রাহকদের নির্বিঘ্ন, সহজ ও সুরক্ষিত ভিসা ও পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের জন্য কাজ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। সব দেশের গ্রাহকদের শ্রেষ্ঠ মানের সেবা প্রদানে আমাদের নিবেদিত প্রচেষ্টার প্রমাণ এই জয়।’
ভিএফএস গ্লোবাল নতুন গ্রাহক ওয়েবসাইট ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের ভ্রমণ উন্নত করতে এবং সুবিধা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ করবে।
ভিএফএস গ্লোবাল শক্তিশালী পরিচয় পরীক্ষা বজায় রাখতে এবং ভিসা ও পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার সততা নিশ্চিত করতে তার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
সারাবিশ্বে ভ্রমণকারীদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে ভারত, চীন, নাইজেরিয়া ও তুরস্ক থেকে সবচেয়ে বেশি আবেদন করা হয়।
ভিএফএস গ্লোবাল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গ্লোবাল বায়োমেট্রিক কালেকশন সার্ভিস ম্যান্ডেট এবং সুইডেনের সঙ্গে গ্লোবাল ভিসা সার্ভিস চুক্তি নবায়নের পরপরই এই জয় অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: কানাডার নাগরিকদের জন্য পুনরায় ই-ভিসা চালু করল ভারত
চট্টগ্রামে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের স্থানান্তর
বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে ওমান
মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের নতুন ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে ওমান।
মঙ্গলবার এক ঘোষণায় জানানো হয়, রয়্যাল ওমান পুলিশ কিছু ধরনের ভিসা প্রাপ্তির নীতিমালা পর্যালোচনার মধ্যে ওমান সালতানাতে আগত সমস্ত জাতীয়তার জন্য সমস্ত ধরনের পর্যটন এবং ভ্রমণ ভিসাকে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তর স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য সব সহিংস ঘটনা পর্যালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
ওয়ার্ক ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক্স বাধ্যতামূলক করল সৌদি দূতাবাস, বুধবার চট্টগ্রামে সেন্টার চালু
বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশেরভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত। আজকে সৌদি আরব ভিসা দিয়ে দিচ্ছে সহজেই। তারা আলোচনা করছে ভিসা ছাড়া কীভাবে পর্যটকদের বিনোদন দেওয়া যায়। এরা (সৌদি আরব) আমাদের চেয়ে অনেক রক্ষণশীল। আমরা অনেক এগিয়েছি স্বাধীনতার পরে। তাই এ বিষয়ে আমাদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের এভিয়েশন এন্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।
সেমিনারে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা আছে। আমাদের এখন দরকার বিদেশ পর্যটক আকর্ষন করা। আমাদের নতুন নতুন হোটেল হচ্ছে। এজন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা দরকার। ভিসার ক্ষেত্রে আমাদের উদার হওয়ার দরকার।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে নেগেটিভ বিষয়গুলো গণমাধ্যমে সচেতন হতে হবে। যেন দেশ ভুক্তভোগী না হয়। মাস্টারপ্ল্যান প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
দেশে পর্যটকের অভাব নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে পর্যটকের কোনো অভাব নাই। ধারণক্ষমতারও বেশি। এখন আমাদের দরকার বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করা।
তিনি বলেন, আমরাও অনুভব করি, আমাদের বিদেশি পর্যটক দরকার। আমাদের পর্যটন করপোরেশনের যে মোটেলগুলা ৫০ বছর আগে করা, আপনি চিন্তা করেন কতটুকু রুচিশীল এই সময়ে। কিন্তু, আমরা পরিচালনাও করেছি, সরকারকে কোটি, কোটি টাকা ট্যাক্স দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
পর্যটনের বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেক হোল্ডার বিবেচনা নিতে হবে
বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার ও বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেকহোল্ডার হিসেবে বিবেচনা করে কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। গণমাধ্যম কর্মীদেরও পর্যটন বিকাশে যথাযথ অংশীদারত্বের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সেক্টরে নীতি নির্ধারক এবং ব্যবসায়ীদের একটি সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, গণমাধ্যম কর্মীদের ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে আহ্বান করেন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও বাংলাদেশের পর্যটন এবং এভিয়েশন খাতের বিকাশে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোন উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মিডিয়ার গঠনমূলক ভূমিকা ছাড়া কোন দেশের পর্যটন বিকাশসম্ভব নয়। এর জন্য সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পর্যায়ে থেকে গণমাধ্যমকে পর্যটনের স্টেকহোল্ডার হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে আমরা দেশ ব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। পর্যটন এমন একটি বিষয়ে যা প্রচার করতে হয়, আর এজন্য মিডিয়ার ভূমিকা প্রয়োজন। আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মিডিয়ার সাথে গ্যাপ কমিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি।
পর্যটন সচিব বলেন, আমরা সেন্ট মার্টিনকে প্লাস্টিক ফ্রি করবো। এজন্য মিডিয়া ভূমিকা প্রয়োজন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের পর্যটনের অনেক উপদান আছে। সরকারের নানা উদ্যোগ আছে, মিডিয়াও এগিয়ে আসছে। আমাদের আশে পাশের দেশ পর্যটনে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ট্যুরিজম সেক্টর সেরকম প্রমোট হয়নি। আমাদের আরও করনীয় আছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, মালদ্বীপের কোনো কর্মকর্তা যখন অন্য দেশে যান তাদের একটা এজেন্ডা থাকবেই, সেটা হলো ট্যুরিজম। আমাদেরও এভাবেই এগিয়ে আসতে হবে।
প্যাসেফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশনের (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি মেলায় অংশ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ নেপাল ও শ্রীলংকার মতো দেশ আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিচ্ছে।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট শিবলুল আজম কোরায়েশি বলেন, মিডিয়ার প্রচারের ফলে পর্যটনের নতুন নতুন গন্তব্য মানুষের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। শ্রীলংকা দেউলিয়া হলেও পর্যটনের প্রচারে পিছিয়ে নেই।
এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার আরও বেগবান করতে হবে। প্রমোশনের অভাবে বাংলাদেশের পর্যটন পণ্যের প্রচার হচ্ছে না। আমাদের পর্যটনার সম্ভবনা মিডিয়ার মাধ্যমে আরও বেশি প্রচার করতে হবে।
বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমাদের মিডিয়া পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আমাদের দেশে নেগেটিভ নিউজ বেশি পছন্দ করে, একারণে কিছু খারাপ খবর বেশি আসে। আমাদের মিডিয়াকে পর্যটনের বিষয়ে আরও আন্তরিক হতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের পর ফেরত নেওয়া যাবে পাসপোর্ট
ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশটি কাকে নিষিদ্ধ করেছে সে বিষয়ে কিছু জানা নেই।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন ভিসা নীতির একটা বড় তালিকা বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে। এটা কি রিউমার ছড়ানো হচ্ছে, না কি সত্যি? আদৌ সরকারের কাছে এ ধরনের কোনো তালিকা আছে কি না? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসা নীতি তারা ঘোষণা করেছে বলে আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে তো চিঠির মাধ্যমে তারা জানায়নি। কাজেই আমরা যেটা শুনেছি সেটাই জানি। এখন পর্যন্ত কাকে নিষিদ্ধ করেছে, সেগুলো আমরা জানি না।
তিনি বলেন, তারা যে লিস্টটা দিয়েছে, এটার ভিত্তি কী, সেটিও আমি জানি না। যেহেতু কিছুই জানি না। আমি মনে করি এটা সম্বন্ধে মন্তব্য করার আমার কোনো এখতিয়ার নেই।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভিসা নীতি প্রণয়ন করেছেন এটা তাদের ব্যাপার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে কাকে যেতে দেবে, কাকে যেতে দেবে না, এটা তাদের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের মন্তব্য নেই এবং বলার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিশেষ কারো বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের অনুচ্ছেদ ২ পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন সমঝোতা স্মারকটি পুনরায় চালুর বিষয়ে মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অবশেষে ১৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার সরকার এ বিষয়ে সম্মতি দেয়।
দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারকটি পুনরায় চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াংগুন বাংলাদেশ সরকারের এ সিদ্ধান্ত কূটনৈতিক মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মিয়ানমারে আমাদের নিজের ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন’
এর আগে ২০০৪ সালে সই হওয়া এই সমঝোতা স্মারকের ২ নম্বর অনুচ্ছেদটি মিয়ানমার সরকার ২০২০ সালের ২৮ মার্চ কোভিড-১৯ অতিমারির পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্রণোদিতভাবে স্থগিত ঘোষণা করে।
এ সমঝোতার আলোকে দু’দেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা অনধিক ৯০ দিন পরস্পরের দেশে ভিসা ব্যতীত অবস্থান করতে পারবে। সমঝোতা স্মারকটি পুনরায় চালু হওয়ায় শুধু সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগই বৃদ্ধি পাবে না, বরং দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও মিয়ানমার হয়ে চীনের বুলেট ট্রেন ভারত যাবে
ভিএসএফ গ্লোবালের সঙ্গে সুইডেনের ভিসা সেবা চুক্তি নবায়ন
ভিএসএফ গ্লোবালের সঙ্গে ভিসা সেবা চুক্তি নবায়ন করেছে সুইডেন।
বাংলাদেশের ঢাকাস্থ ভিএফএস গ্লোবাল ভিসা আবেদন কেন্দ্রে প্রতি সপ্তাহে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সুইডেনের ভিসার আবেদন পত্র জমা নেওয়া হবে।
সুইডেনের বিচার মন্ত্রণালয় বিশ্বের ৩৭টি দেশ থেকে সুইডেনের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ সেবা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভিএসএফ গ্লোবালকে নির্বাচিত করেছে। নতুন এই চুক্তির আওতায় ভিএফএস গ্লোবাল সুইডেন সরকারের পক্ষে বিশ্বব্যাপী আটটি অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেগুলো হলো — দক্ষিণ এশিয়া, আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং রাশিয়া।
ভিএফএস গ্লোবাল ২০১৪ সাল থেকে সুইডেন সরকারের সঙ্গে কাজ করছে এবং নতুন চুক্তির অধীনে নিম্নলিখিত ৩৭টি দেশে বায়োমেট্রিক সেবাসহ স্বল্পমেয়াদী শেনজেন ‘সি’ ভিসা সেবা দেবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
দেশগুলো হলো— বাংলাদেশ, বলিভিয়া, কম্বোডিয়া, কানাডা, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, কেনিয়া, কসোভো, লেবানন, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, মিয়ানমার, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, প্যালেস্টাইন, ফিলিপাইন, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ে।
ভিএফএস গ্লোবাল ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সুইডেন সরকারের পক্ষে প্রায় পাঁচ লাখ ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
সুইডেনের বিচার মন্ত্রণালয় এবং সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সি জানান, ‘আমরা আশা করছি আগামী দিনগুলোতে ভিএফএস গ্লোবাল বরাবরের মতো পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমাদেরকে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা করা অব্যাহত রাখবে।’
ভিএফএস গ্লোবালের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ক্রিস ডিক্স বলেছেন: ‘ভিএফএস গ্লোবাল একক সেবাদানকারী সংস্থা হিসেবে সুইডেন সরকারকে সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পেরে খুবই খুশি।’
উল্লেখ্য, ভিএফএস গ্লোবাল বিশ্বের বৃহত্তম আউটসোর্সিং এবং প্রযুক্তি বিষয়ক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যারা সরকার ও কূটনৈতিক মিশনের জন্য কাজ করে। এই কোম্পানি ৭০টি দেশের সরকারের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে বিশ্বের ১৪৪টি দেশে ৩ হাজার ৩০০ -এরও বেশি ভিসা আবেদন কেন্দ্রের একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে গবেষণায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট ১৯৯ টি দেশের পাসপোর্টের মধ্যে ৯৭তম অবস্থানে। বছরের শুরুতে সূচকের প্রথম সংস্করণে বাংলাদেশ ১০১তম স্থানে ছিল। অর্থাৎ পূর্ববর্তী র্যাঙ্কিং থেকে ৪টি অবস্থান পেরিয়ে উপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট সূচক মূলত ভিসা ছাড়াই দেশগুলো কতগুলো দেশে যেতে পারে তার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্টের মূল্যায়ন করে থাকে। চলুন, এবারের র্যাঙ্কিং অনুসারে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই কতগুলো দেশে যেতে পারছেন তা দেখে নেয়া যাক।
২০২৩-এ যে দেশগুলোতে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
ভিসা ফ্রি
এটি বিদেশ ভ্রমণের জন্য এমন এক অনুমতি, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক আগে থেকে কোন রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন ছাড়াই বিদেশে প্রবেশ করতে পারেন। ভিসা-মুক্ত (Visa Free) এন্ট্রি নামে পরিচিত এই নিয়মের মধ্যে ভ্রমণকারিদের কোনরূপ ভিসা ফি প্রদান করে আনুষ্ঠানিক ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। অথচ পর্যটন, ব্যবসা বা পারিবারিক নানা উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গন্তব্যের দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেন। এই সময়কালটি বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ১৮টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। এই দেশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সময়সীমার জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে বা সেই দেশে প্রবেশকালে কোনরূপ ভিসার নেয়ার ঝামেলায় যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়া যেসব দেশে প্রবেশ করা যাবে সেগুলো হলো-
ওশেনিয়া
১. কুক দ্বীপপুঞ্জ
২. ফিজি
৩. মাইক্রোনেশিয়া
৪. নিউ
ক্যারিবিয়ান
১. বাহামাস
২. বার্বাডোজ
৩. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৪. ডমিনিকা
৫. গ্রেনাডা
৬. হাইতি
৭. জ্যামাইকা
৮. মন্টসেরাট
৯. সেন্ট কিট্স এবং নেভিস
১০. সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন্স
১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
এশিয়া
১. ভুটান
আফ্রিকা
১. লেসোথো
২. গাম্বিয়া
২০২৩-এ যে দেশগুলো বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করবে
অন-অ্যারাইভাল ভিসা
এই অনুমতিপত্রটি অন-অ্যারাইভাল ভিসা (On Arrival Visa) বা ভিসা অন অ্যারাইভাল (Visa on Arrival) নামে পরিচিত। এটি এমন এক ধরনের ছাড়পত্র, যেটি যোগ্য ভ্রমণকারীদের গন্তব্যের দেশে প্রবেশের আগ মুহুর্তে প্রদান করা হয়। গন্তব্যের দেশে যাওয়ার মুহুর্তে প্রবেশস্থল তথা বিমানবন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট বা সমুদ্র বন্দরে এই ভিসা ইস্যূ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় আগমনী ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় না।
অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ভ্রমণকারীদের তাদের গন্তব্যের দেশ কর্তৃক নির্ধারিত কিছু শর্তাবলি পূরণ করতে হয়। এই শর্তাবলি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
যেসব দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করে থাকে, সেগুলো হলোঃ
ওশেনিয়া
১. সামোয়া
২. টুভালু
৩. ভানুয়াতু
এশিয়া
১. কম্বোডিয়া
২. মালদ্বীপ
৩. নেপাল
৪. তিমুর-লেস্তে
আমেরিকা
১. বলিভিয়া
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
আফ্রিকা
১. বুরুন্ডি
২. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৩. কোমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৪. জিবুতি
৫. গিনি-বিসাউ
৬. মাদাগাস্কার
৭. মৌরিতানিয়া
৮. মোজাম্বিক
৯. রুয়ান্ডা
১০. সেশেল্স
১১. সিয়েরা লিওন
১২. সোমালিয়া
১৩. টোগো
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ইটিএ ভিসা করতে হবে |
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ইটিএ ভিসা
ইটিএ (ETA) মানে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণকারীদের জন্য একটি ডিজিটাল এন্ট্রি পারমিট। এই দ্রুত অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণত স্বল্প মেয়াদে দেশান্তরের অনুমতি লাভ করা যায়।
এই সুবিধাটি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রদান করছেন শ্রীলঙ্কার সরকার। এর আবেদন প্রক্রিয়াটি শ্রীলঙ্কার অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়। এর জন্য আবেদনকারীদের সশরীরে অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই।
ইটিএর সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় আগমনের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ানো যায়। প্রতি ভিজিটে ইটিএ যোগ্য নাগরিকদের দেশে ৩০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
শ্রীলঙ্কা ইটিএ ডাবল এন্ট্রিরও অনুমতি দিয়ে থাকে। এর মানে হচ্ছে- বাংলাদেশি নাগরিকরা ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিন সময়সীমার মধ্যে দু’বার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এই ডিজিটাল ছাড়পত্রটি ইলেকট্রনিকভাবে ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। একবার অনুমোদিত হয়ে যাওয়ার পর ভিসাধারী ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় আগমনের সময় যে কোন চেকপয়েন্ট অনায়াসেই পেরুতে পারবেন।
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ই-ভিসা করতে হবে|
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
ই-ভিসা
ই-ভিসা (E-Visa) বা ইলেকট্রনিক ভিসা (Electronic Visa) হলো ভিসা যুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য ভিসার বিকল্প হিসেবে কাজ করা একটি ডিজিটাল ছাড়পত্র। ই-ভিসার আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করার পর আবেদনকারীর ই-মেইলে ভিসা পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ই-ভিসা এবং ইটিএ ভিসার মধ্যে সুক্ষ্ম কিছু পার্থক্য আছে। ই-ভিসা মূলত সেই সমস্ত দেশগুলোর জন্য, যেখানে প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়। আর ইটিএ ভিসা হলো সেই দেশগুলোর জন্য যেখানে ভিসার দরকার নেই। ইটিএ মূলত স্বল্পকালীন থাকার জন্য সেই দেশগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার একটি দ্রুত এবং সহজতর উপায়।
ই-ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সাধারণ ভিসার আবেদন করার মতোই। এই ক্ষেত্রে, ইটিএর আবেদনের মতোই আবেদনকারীকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে হয় না। ভিসার অর্থ প্রদানসহ আবেদনের যাবতীয় কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করা যায়।
আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর একটি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ভিসা আবেদনকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অতঃপর সেটি প্রিন্ট করে সঙ্গে নিয়ে দেশত্যাগ করতে হয়। ভিসা যাচাইয়ের কাজ অনলাইনেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে ভ্রমণকারীর নিকট ভিসার কাগজ চাওয়া হয়ে থাকে। তাই ভ্রমণের সময় মেইলকৃত নথির প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
মোট ২৭টি দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-ভিসা ইস্যু করে।
১. অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা
২. আজারবাইজান
৩. বেনিন
৪. কম্বোডিয়া
৫. কলম্বিয়া
৬. জিবুতি
৭. ইথিওপিয়া
৮. গ্যাবন
৯. জর্জিয়া
১০. গিনি
১১. কেনিয়া
১২. কুয়েত
১৩. কিরগিজস্তান
১৪. মালয়েশিয়া
১৫. মলদোভা
১৬. মায়ানমার
১৭. ওমান
১৮. পাকিস্তান
১৯. কাতার
২০. সাও টোমে এবং প্রিনসিপে
২১. সুরিনাম
২২. তাজিকিস্তান
২৩. তুর্কি
২৪. উগান্ডা
২৫. উজবেকিস্তান
২৬. জাম্বিয়া
২৭. জিম্বাবুয়ে
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
শেষ কথা
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান ইতিবাচক ধরা যেতে পারে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই ১৮টি দেশ ভ্রমণ উপভোগ্য বটে। তবে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো- এই ভিসা-মুক্ত দেশগুলো ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টে কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধতা থাকা বাঞ্ছনীয়। সর্বসাকূল্যে, এই র্যাঙ্কিং বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বৃহত্তর ভ্রমণের সুবিধা। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যুদস্ত দেশগুলো এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ