অগ্নিকাণ্ড
কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়-ক্ষতি সম্পর্কে প্রতিবেদন চেয়েছে বিজিএমইএ
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে কন্টেইনারের ক্ষয়-ক্ষতির প্রতিবেদন চেয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাস্টুরেরস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ এর চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে বিজিএমইএ একটি সার্কুলার প্রদান করেছে। সব তথ্য পাওয়ার পর ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।’
তিনি গতকাল রাতে ইউএনবিকে বলেন, বিএমের ডিপোতে রপ্তানি বোঝাই কন্টেইনারে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ঠিক কতগুলো কন্টেইনারে পুড়ে গেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
তিনি বলেন, আগুন এখনও অব্যাহত রয়েছে। তাই তারা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কন্টেইনারের সঠিক সংখ্যা অনুমান করতে পারছেন না। এতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রপ্তানি পণ্য বোঝাই (আরএমজি পণ্য ও হিমায়িত খাবার) কন্টেইনারের প্রায় ৮০০ টিইইউ (২০ ফুট সমতুল্য ইউনিট) এবং আমদানি করা পণ্য বোঝাই ৫০০টি কন্টেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রায় তিন হাজার খালি কন্টেইনার ডিপোতে রয়েছে।
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড ভঙ্গুর রাষ্ট্রব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশের অত্যন্ত ভঙ্গুর রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ‘সেখানে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমি এটা ভেবে শঙ্কিত যে, বলা হচ্ছে দেশ সিঙ্গাপুরের মতো আধুনিক হয়ে যাচ্ছে। দেশে মানুষের জীবনের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। এই সরকার উন্নয়নের নামে চুরি করে টাকা কামাচ্ছে।’
রবিবার ঠাকুরগাঁওয়ে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, কনটেইনার ডিপোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ‘আগুন বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ সরকার একটি আধুনিক কনটেইনার ডিপো নির্মাণে ব্যর্থ যা দেশের উন্নয়নের জন্য প্রকৃত অর্থে প্রয়োজনীয়।’
শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৯ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এদিকে রাজধানীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, এই ‘অবৈধ’ সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতায় অগ্নিকাণ্ড ও বিভিন্ন দুর্ঘটনার মতো দুর্যোগ দিন দিন বাড়ছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। তাই যতই দুর্ঘটনা ঘটুক, যতই প্রাণহানি ঘটুক না কেন, তারা চোখ বুজে থাকে। তাদের কাছে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটি মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনই কোনো না কোনোভাবে জড়িত। ‘সরকার যদি সঠিকভাবে ঘটনার তদন্ত করে শুরু থেকেই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতো তাহলে এমন ঘটনা বারবার ঘটতো না।’
ফেসবুকে লাইভ করতে গিয়ে প্রাণ গেল অলিউরের
সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মী অলিউর রহমান। ফেসবুক লাইভে থেকে সবাইকে আগুনের খবর দিচ্ছিলেন অলিউর রহমান।এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়, এতে আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। হাতের মোবাইল ছিটকে যায় অলিউর রহমানের। সেই লাইভে থাকা অলিউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে উড়ে গিয়ে দূরে ছিটকে পড়েন। কিন্তু মুহূর্তে সেই লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতেই দেখা যায় বিস্ফোণের চিত্র।আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল অলিউর। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অসংখ্য লাশের স্তুপ থেকে সহকর্মীরা শনাক্ত করে অলিউরকে। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী রুয়েল।রুয়েল জানান, অলিউর ফেসবুকে লাইভ করতে করতেই মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়বিএম কন্টেইনার ডিপোর শ্রমিক রুয়েল বলেন, ‘যখন বিস্ফোরণ ঘটে তখন রাতের খাবারের সময় ছিল। খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি আমরা। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যান।’তিনি আরও বলেন, ‘অলিউর আর বেঁচে নেই। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে। এখন তার মরদেহ নেয়ার জন্য স্বজনরা মেডিকেলে যাচ্ছেন।’এদিকে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিবেশ। চিৎকার, কান্না আর আহাজারিতে ভারী পুরো হাসপাতাল। হাসপাতালের সামনে হতাহতের স্বজনদের নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ।জানা গেছে, নিহত অলিউরের বাড়ী সিলেট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে। তিনি ওই এলাকার ফটিগুলি গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
সেই সাথে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
রবিবার এক শোকবার্তায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী যেসকল শ্রমিক নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং যে সকল শ্রমিক আহত হয়ে চট্রগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের সুরক্ষায় ১৮.৬৬ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সরকার: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ঘটা ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় হতাহতের জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহীও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এদিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চট্রগামের উপমহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাকিব মুবারাত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে দ্রুত আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে উপ-মহাপরিদর্শক নিহত এবং আহত শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৩ সদস্যের আরও একটি কমিটি গঠন করেছেন।
অন্যদিকে এ দুর্ঘটনায় সার্বিক শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর চট্রগ্রামের পরিচালক এস এম এনামুল হক তিন সদস্যের আরও একটি কমিটি গঠন করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিক ছাঁটাই না করার অনুরোধ শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
কারখানা ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন
হবিগঞ্জে শাহজীবাজার ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লাগে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টার পর দমকল বাহিনীর ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে কেন্দ্রের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মিহানুর রহমান প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
সেনেগালে হাসপাতালের শিশু ইউনিটে আগুন, ১১ নবজাতকের মৃত্যু
সেনেগালের একটি হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে ১১ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল।
বুধবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনায় মাত্র তিন শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। নিহতদের মা ও পরিবারের প্রতি, আমি আমার গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি।
রাজধানী থেকে ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) উত্তর-পূর্বে অবস্থিত শহর টিভাউনের মেয়র ডেম্বা দিওপ জানিয়েছেন, শহরটির মামে আবদু আজিজ সাই দাবাখ হাসপাতালে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিকে জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে যোগদানকারী দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদৌলায়ে ডিউফ সর সেনেগালে ফিরে যাওয়ার জন্য তার সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: ১১ লাখ আফগান শিশু ভয়াবহ অপুষ্টির মুখে পড়তে পারে
টেক্সাসে স্কুলে বন্দুক হামলা, ১৯ শিক্ষার্থীসহ নিহত ২১
নেছারাবাদে অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে ছাই
পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলার ইন্দুরহাট বাজারে মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মো. হোসেন জানান, রাত ১১টার দিকে একটি চশমার শোরুমে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগুনের সঠিক কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের পোশাক কারখানায় আগুন, ১০ শ্রমিক আহত
ফেনীতে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
ভারতের মধ্যপ্রদেশে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭
ভারতের মধ্যপ্রদেশে শনিবার ভোরে একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাতজন মারা গেছে এবং পাঁচজন আহত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যের রাজধানী ভোপাল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ইন্দোর শহরের স্বর্ণবাগ কলোনির ভবনের বেসমেন্টে ভোর ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রলে আনে।
ঊর্ধ্বতন এক ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের সব বাসিন্দারা ঘুমিয়ে ছিলেন। দমকলকর্মীরা ভবন থেকে সাতটি দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আগুন লাগার ঘটনায় ভবনের মালিক আনসার প্যাটেলকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ভবনে কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন না করার জন্য অবহেলার কারণে মৃত্যুর জন্য মামলা করা হয়েছে।’
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এ দুর্ঘটনায় টুইটারে শোক জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী টুইট পোস্টে বলেন, ‘মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা পরিবারগুলোর সদস্যরা যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন এবং আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’
আগুন লাগার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক তদন্ত বেসমেন্টে একটি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পড়ুন: কিউবায় পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত ২২, আহত ৭৪
নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে স্পিনিং মিলে আগুন
নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে সোমবার দুটি পৃথক স্পিনিং মিলে আগুন লেগে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জের গাউসিয়ার ভুলতা এলাকার মিতা স্পিনিং মিলসে সকালে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে হকার্স মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে
পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি পারমাণও জানা যায়নি।
সোমবার সকালে নরসিংদীর মাধবদীর বাগানবাড়িতে জোজ মিয়া গ্রুপ স্পিনিং মিলসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সিলেটে হকার্স মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে
সিলেট সিলেট নগরীর লালদীঘিরপার এলাকার হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সোমাবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মামুন পারভেজ বলেন, রবিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
আরও পড়ুন: স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ সাদিয়ার মৃত্যু
তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
মার্কেটের সেক্রেটারি আব্দুস ছুবহান জানান, মার্কেটের ৫নং গলির বিসমিল্লাহ স্টোর নামের রেডিমেইড কাপড়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর পরই অন্যান্য দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে একটি সিগারেটের গুদামসহ মার্কেটের ৩, ৪ ও ৫ নং গলিতে ২০টি কাপড়ের দোকান পুড়ে গেছে। অনেকের দোকানের মালামাল লুটপাটও হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিজয়নগরে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন
প্রসঙ্গত, টিন দিয়ে নির্মিত মার্কেটটিতে অন্তত তিন হাজারেরও বেশি দোকান রয়েছে। মার্কেটের ৯০ ভাগই শাড়ি-লুঙ্গি ও রেডিমেইড কাপড়ের দোকান। এসব দোকানে পাইকারি ও খুচরা কাপড় বিক্রি হয়।