অগ্নিকাণ্ড
বেইলি রোডের ভবনে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (এফএসসিডি) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডের ভবনটিতে কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।
শুক্রবার বিকেলে পুড়ে যাওয়া ‘গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মল’ নামে ভবনটির সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু এবং কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন।
এফএসসিডি ডিজি বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। পুরো ভবনে কেবল একটি ছোট সিঁড়ি ছিল। রুটিন মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে ভবন মালিকদের আগে ফায়ার সার্ভিস তিনটি নোটিশ জারি করেছিল বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: প্রিয়ন্তীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই
ডিজি মাইন উদ্দিন আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় যে রুমে সবাই আশ্রয় নিয়েছিল, তাতে কোনো জানালা ছিল না।
এর আগে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বহুতল ভবনটিতে কোনো ফায়ার এক্সিট নেই।
সাততলা বাণিজ্যিক ভবনটিতে যা যা আছে-
ভবনের প্রথম তলায় গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারের দোকান, মোবাইল শোরুম এবং চায়ের স্টল ‘চা চুমুক’ যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ছিল জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ‘কাচ্চি ভাই’ এবং পোশাকের শোরুম ‘ইলিয়েন’।
চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় ছিল যথাক্রমে ‘খানাস’, ‘ফুকো’ ও ‘পিজ্জা ইন’।
ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় ছিল ‘জাসদি’, ‘স্ট্রিট ওভেন’ ও ‘অ্যামব্রোসিয়া’।
শুক্রবার সকালে আগুনের একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, আগুন নিচতলার একটি দোকান থেকে ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এ অগ্নি দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক ডজন মানুষ হাসপাতালের বিছানায় লড়াই করছে।
আরও পড়ুন : বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড: চমেকে আরও ১ শিশুর মৃত্যু
একে একে মারা যাচ্ছে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ শিশুরা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সোহেল (৫) নামে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এনিয়ে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিসাধীন চার শিশুর মৃত্যু হলো।
বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক শিশু ও দুই নারী। তারা হলেন- জোবায়দা (২২), রোসমিনা (৫), আমেনা খাতুন (২৪)।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দগ্ধ ৯
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, সোহেল নামে আরও এক শিশু পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ হওয়াসহ শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এর আগে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাসানচরে দগ্ধ ৫ শিশুসহ ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেল নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া গত সোমবার ভোরে মোবাশ্বেরা ও সন্ধ্যায় রবি আলম নামে আরও দুই শিশু মারা যায়।
উল্লেখ্য গত (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানে আগুনে পুড়ে কিশোর নিহত, দগ্ধ-২
কুষ্টিয়ায় আগুনে পুড়ল রেস্তোরাঁ
কুষ্টিয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে একটি রেস্তোরাঁসহ দুটি দোকান।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের এন এস রোডের বাটারফ্লাই মোড়ে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এসময় আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাশে থাকা আরও দুইটি দোকান পুড়ে যায়। তবে অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফোম কারখানায় আগুনে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
মাসুদ রানা নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হঠাৎ কালো ধোঁয়া দেখতে পাই। এরপর দেখি রেস্তোরাঁর ভেতর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুষ্টিয়ার ওয়্যার হাউস ইনস্পেক্টর আব্দুস সালাম জানান, বিকালে কাবাব স্টেশন নামের একটি রেস্তোরাঁর চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এসময় আগুনের তাপে পাশে থাকা বড় গ্যাস সিলিন্ডার পাইপ ফুটো হয়ে গ্যাস বের হলে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আগুনে কাবাব স্টেশন ছাড়াও জুস ওয়ার্ল্ড ও খানাপিনা নামের আরও দুইটি দোকান পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত জুস ওয়ার্ল্ডের মালিক মো. তানিম বলেন, কয়েক মাস আগেই বিভিন্ন ফল দিয়ে বানানো জুসের দোকানে নতুন করে বিনিয়োগ করেছিলাম। সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমার পাঁচ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন
বাগেরহাটের যাত্রাপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৮ দোকান
বাগেরহাটের সদর উপজেলার যাত্রাপুর বাজারে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বাগেরহাট ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট এবং স্থানীয়রা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ততক্ষণে আগুনে ৮টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া আরো একটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে বাগেরহাট ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট দ্রুত সেখানে ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
তিনি বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে ৮টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
শাহাবুদ্দিন বলেন, বাজারের আতিয়ারের জুতার দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৬ দোকান
নাটোরে পৌর মেয়রেরসহ পুড়েছে ১১টি গাড়ি
সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি
রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের কংলাক পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি রির্সোট, একটি বাড়ি ও একটি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক থানার সার্কেল এএসপি আবদুল আওয়াল।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে রিসোর্ট মালিকরা।
আগুনে পুড়ে যাওয়া রিসোর্টগুলো হচ্ছে– মেঘছোঁয়া রিসোর্ট, ফুরেংগি রিসোর্ট ও দুমদে রিসোর্ট।
স্থানীয়রা জানায়, সাজেকের কংলাক পাড়ার একটি টিনের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখান থেকে দুমদে রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরে আরও দুইটি রিসোর্টে ছড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
শরীয়তপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৬ দোকান
শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকান পুড়েছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নড়িয়া বাজার ব্রিজ রোডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট।
পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
তারা আরও জানান, ভোর ৫টার দিকে মাহিয়া ইলেক্ট্রনিক্স ও বাবুল ইলেক্ট্রনিক্সের মাঝামাঝি জায়গায় প্রথম আগুন দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পরে আশপাশের দোকানে। খবর পেয়ে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে আশপাশের ৬টি দোকান পুড়ে যায়। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের নড়িয়া ইউনিট দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এতে ৬টি দোকান পুড়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন: তদন্তে জানা যাবে কারওয়ান বাজার বস্তির অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না: ডিএমপি কমিশনার
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চৈন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে রয়েছি।’
শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে গভীর সমবেদনা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
নরসিংদীর মাধবদীতে গ্যাস পাইপলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন।
আহতরা হলেন- শামীম মিয়া (৪০), তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে সানজিদা (১৮) ও রিয়া মনি (৯), শামীমের বড় ভাই গাফফার মিয়া (৪৪) ও ছোট ভাই রশিদ মিয়া (৩২)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের গদাইরচর এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলগী এলাকার মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার কর্মকর্তা আহত
সম্প্রতি মানিক মিয়া শামীম মিয়ার বাড়ির পাশের ড্রেন দিয়ে বিলকিস নামে এক নারীর বাড়িতে অবৈধ সংযোগ দিয়েছেন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, পাইপে গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে হাইকমিশন বলেছে, ‘আমরা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই, যারা ইচ্ছাকৃত অগ্নিসংযোগের হামলায় নিহত হয়েছে।’
হাইকমিশন আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
সিলেট নগরীতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে অগ্নিকাণ্ড
সিলেট নগরীর দরগাহ গেইটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের পশ্চিম পাশের গেইটে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার হেলাল আহমদ বলেন, বাসের ভেতর থেকে আগুন লেগেছে। গাড়ির যান্ত্রিক গোলযোগ কিংবা বৈদ্যুতিক ফ্যান থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে বাসের কয়েকটি সিট পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাসে আগুন
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে বাসযোগে সিলেটে পৌঁছান দর্শনার্থীরা। রাত ১০টার দিকে বাসটি মাজারের পশ্চিম গেটে পার্ক করা হয়। দর্শনার্থীরা মাজার জিয়ারতে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পর বাসটিতে আগুন লাগার খবর পান তারা।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইন উদ্দিন শিপন বলেন, বাসের ফ্যানের কয়েল থেকে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় নাশকতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বাসে আগুন, ৩ অটোরিকশা ভাঙচুর
গাজীপুরে ঝুটের গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ঝুটের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার দেওলিয়াবাড়ি এলাকায় স্থানীয় ডালিমের মালিকানাধীন ঝুটের গুদামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিপুল পরিমাণ ঝুট মালামাল পুড়ে গেছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, কোনাবাড়ীর দেওলিয়াবাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে তুলাসহ গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত ঝুট গুদামজাত করে রাখা ছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বেডিং কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
তিনি আরও বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝুট গুদামটিতে আগুন লাগে। আগুন লাগার খবরে কাশিমপুরের সারাবো ও কোনাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। পৌনে এক ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই উপ-সহকারী পরিচালক।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে সুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়েছে মূল্যবান মালামাল